নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ঝোঁক আছে লেখালেখিতে। চেষ্টা করি। অসম্ভব ভালো লাগে সবুজ প্রকৃতি, ভালবাসি প্রকৃতির প্রতিটি অনুষঙ্গ। আরও একটা জিনিস খুব-ই ভালো লাগে তা হলো পূর্ণিমার রাতে চাঁদের রুপালী আলো। মন চায় সে আলোতে হারিয়ে যেতে, বার বার ডুব দিয়ে গোসল করতে।এ

রাশেদ আহমেদ শাওন

রাশেদ আহমেদ শাওন

সবুজ প্রকৃতির ছেলে

রাশেদ আহমেদ শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরব কান্না, অব্যাক্ত কথা-১

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৬

মেয়েটি যেন ঠিক একখানা অপরিস্ফুটিত পুষ্প। তার নির্মল নিস্পাপ সৌন্দর্য আর কারো চোখ এড়িয়েছিল কিনা কে জানে! কিন্তু চোখ এড়ায়নি নিরবের। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে গতবার গ্রামে যাওয়ার পর প্রথম দেখে সে মেয়েটিকে। বাড়ির সামনের যে রাস্তাটার পাশে নিরব প্রতিদিন বসে থাকে ঠিক সেই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করত মেয়েটি। প্রতিদিন-ই নিরব ভাবে আজ সে মেয়েটির সাথে কথা বলবে। কিন্তু বলা হয় না, হয়তো ভয় অথবা লজ্জার কারনেই। একদিন সে মেয়েটির পিছু পিছু কলেজ পর্যন্ত যায়। জানতে পারে মেয়েটির নাম কথা, ইন্টারমিডিয়েট পড়ে সে। প্রথম বর্ষে। মেয়েটিকে অসম্ভব ভালো লাগে নিরবের, তার চোখে একবার তাকালে কোথায় যেন হারিয়ে যায় সে।

এখন কি করবে নিরব! ভাবে সে মনে মনে।

নাহ! বলতেই হবে ওকে।

কিন্তু কিভাবে! এতো অসম্ভব।

এদিকে সময়ও তো হাতে বেশি নেই, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাবে। আবার চলে যেতে হবে ঢাকায়।

এ ব্যাপারে বন্ধুদের সাথে কথা বলে নিরব।

"বলে ফেল ওকে কথাটা।" সব বন্ধুদের একই পরামর্শ।

নিরব আজ রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকে, আজ সে বলেই দিবে ওকে মনের সব কথা।

মেয়েটিকে দেখা যায় সে দূর থেকে আসছে। গ্রামের এই অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতির মাঝে যেন আরেক অপরূপ প্রকৃতি। যেখানে কেউ স্পর্শ করেনি কোনদিন। মেয়েটি নিরবের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে। আজও তার চোখের দিকে তাকিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে যায় সে। কিছুই বলতে পারে না। তাকিয়েই নিজের ভালবাসা প্রকাশ করে।

ধুর! আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না। নিজেই নিজেকে বলতে থাকে। বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে। অবশেষে তার এক বান্ধবীকে খুঁজে বের করে নিরব। পথ পাওয়া গেছে। কথার বান্ধবীর কাছে সব বলে দেয় সে। বান্ধবীও সব বলে কথার কাছে।

পরদিন রাস্তার পাশে ঘাসের উপর বসে ছিল নিরব। হঠাৎ পেছন থেকে 'এই যে শোনেন' বলে কেউ একজন ডাক দেয় নিরবকে। আশ্চর্য হয় নিরব। সে ডাক তার কর্ণকুহর ভেদ করে পৌঁছে যায় হৃদয়ের অতল গভীরে। স্পন্দন সৃষ্টি করে সেখানে। পেছন ফিরে তাকিয়ে আরও বেশি অবাক সে!

এতো স্বর্গের সেই অপ্সরী যার জন্য তার এতো অপেক্ষা। কিছুক্ষনের জন্য স্থির হয়ে যায় সে, হিম হয়ে যায় তার দুটি চোখ। সম্বিত ফিরে পেয়ে নিরব বলে- জ্বি।

আপনি কি বলেছেন আমার বান্ধবীর কাছে? প্রশ্ন করে কথা।

নিরব ভয় পেয়ে যায় কি বলবে বুঝে উঠতে পারে না।

পরক্ষনেই বলে ওঠে- কি বলেছি আমি?

যা বলেছেন আপনি-ই ভালো জানেন।

এবার সাহসী হয়ে ওঠে নিরব।'যা বলেছি ঠিক-ই বলেছি।

স্তব্ধ হয়ে যায় কথা। তার হৃদয়েও যেন সৃষ্টি হয় ঝড়। কিছু না বলে হাটতে থাকে কলেজের দিকে। নিরব বলতে থাকে 'উত্তর কিন্তু পেলাম না'। আমি অপেক্ষা করতে থাকব এখানেই।

ক্লাস শেষ করে খালার বাড়ি যায় কথা। এদিকে সারাদিন পার হয়ে যায় নীরবও বসে থাকে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে গোধূলি বেলায় নিরব দূর থেকে দেখে কথা আসছে।

উঠে দাড়ায় সে।

এবার রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে পথ আটকে দেয় কথার। নির্জন রাস্তার আশেপাশে কেউ নেই। নিরব উত্তর চায় তার কথার।

'পথ ছাড়ুন" বলে ওঠে কথা। কিন্তু পথ ছাড়ে না নিরব।

"ঠিক আছে, কাল উত্তর পাবেন" বলে বাড়ির দিকে হাঁটতে থাকে কথা। নীরবও আর বাধা দেয় না। কিন্তু তার মনে সৃষ্টি হয় আরেকটি নতুন ভাবনা।

কাল কি উত্তর দিবে কথা।..................(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.