নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্ক্সবাদ, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ এবং বিজ্ঞানঃ একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫



মার্ক্সবাদ এবং দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ কি বিজ্ঞান নাকি শুধুই একটি কালকে অতিক্রম করতে না পারা দার্শনিক মতবাদ এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।মার্ক্সবাদীরা দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদকে বিজ্ঞানের সকল শাখার সমন্বিত রুপ বলেই মনে করে।অপরদিকে অনেক বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানী মার্ক্সবাদকে এবং দ্বন্দ্বমুলক বস্তুবাদকে ছদ্ম বিজ্ঞান বলেই প্রমান করেছেন।তবে মার্ক্সবাদ অনেকভাবেই ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে ব্যর্থ প্রমানিত হয়েছে।তবুও এখনো সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতিকে যৌক্তিক ভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য মার্ক্সবাদের চেয়ে যৌক্তিক কোন মতবাদ আছে বলে আমার মনে হয়না।অন্যদের এ ব্যাপারে ভিন্ন মতামত থাকতে পারে।এ ব্যাপারটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই কিছু লিখব বলে ভাবছিলাম।বিশেষ করে সচলায়তন ব্লগে অভিজিৎ রায়ের মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান?প্রবন্ধে এর পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি তর্ক পড়ে মনে হয়েছে আমাদের দেশেও মার্ক্সবাদকে যৌক্তিক এবং নিরপেক্ষ ভাবে বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে।তাই নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতেই একটি তুলনামূলক আলোচনা করার চেষ্টা করব।আমার কাছে এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্য যেসব রেফারেন্স প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে তার আলোকেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।

মার্ক্সবাদের পটভূমি

মার্ক্সবাদ এবং দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়নি।বরং এই দর্শনকে অনেক দর্শনের সমন্নয়ে গড়ে ওঠা একটি প্রায়োগিক দর্শন বলা যেতে পারে।বস্তুবাদের ধারনা কার্ল মার্ক্সই প্রথম দেননি।গ্রীক দার্শনিক থেল্‌স্‌, ডেমোক্রিটাস্‌, ইপিকিউরাস্‌ প্রমুখের দর্শনে আমরা বস্তুবাদের দেখা পাই।পরবর্তীতে হবস এবং ফুয়েরবার্খের দর্শন চর্চাতেও আমরা ভিন্ন আঙ্গিকে বস্তুবাদের কাঠামো সম্পর্কে জানতে পারি। কার্ল মার্ক্স “The difference between the Democritean and Epicurean philosophy of nature”- এই বিষয়ের উপর পিএইচডি করেছিলেন।ধারনা করা হয় এই বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়েই তিনি দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের ধারনা পান। দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতেও মার্ক্সের পূর্ববর্তী দার্শনিকদের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যেমন মার্ক্স হেগেলের দ্বন্দ্বমূলক ভাববাদ দ্বারা প্রভাবিত হন।কিন্তু মূলত হেগেলের ‘অরিজিনাল আইডিয়া’ মার্ক্সের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা মনে হয়নি।হেগেলের কিছু ছাত্র তার এই মতবাদের বিরোধিতা করেছিলেন।তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন মার্ক্স এবং ফুয়েরবার্খ।তাই হেগেলের এই মতবাদ থেকে সরে এসে মার্ক্স দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ এবং ফুয়েরবার্খ যান্ত্রিক বস্তুবাদ নিয়ে কাজ করেন।

দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ

দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ সবকিছুকেই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত অবস্থায় বিবেচনা করে দ্বান্দ্বিক ভাবে বিশ্লেষণ করে।অর্থাৎ এ মতবাদে সবকিছুকেই বস্তুরুপে দেখা হয় এবং সকল বস্তু একে অপরের সাথে দ্বান্দ্বিক অবস্থায় বিরাজ করে।দুইভাবে এই দ্বন্দ্ব কাজ করে।একটি হচ্ছে বস্তুর নিজের অভ্যন্তরে ঘটে চলা দ্বন্দ্ব যাকে অন্তর্দ্বদ্ব বলা হয়।অপর দ্বন্দ্ব হচ্ছে বহিঃদ্বন্দ্ব যা দ্বারা একটি বস্তুর সাথে অপর বস্তুর দ্বন্দ্বকে বুঝানো হয়।তবে মার্ক্স অন্তর্দ্বদ্বকেই মূল দ্বন্দ্ব মনে করতেন এবং তার মতে বহিঃদ্বন্দ্ব শুধু অন্তর্দ্বদ্বকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু বস্তুর ভিতর থেকে পরিবর্তন না হলে আসলে পরিবর্তন সাধিত হবেনা।যেমন সমাজ পরিবর্তনের গুণাবলী যদি সমাজের মধ্যে না তাহলে সামাজিক পরিবর্তন আসবে না। অর্থাৎ সমাজের মধ্যে থেকেই যদি পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা এবং চেষ্টা না থাকে তবে বাইরে থেকে প্রভাবিত করে সমাজ পরিবর্তন করা যাবে না।

কার্ল মার্ক্স মানব সভ্যতার ইতিহাসকেও দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন।যেমন সমাজের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীগত দ্বন্দ্ব রয়েছে।জাতিতে জাতিতে দ্বন্দ্ব, ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ্ব, বর্ন নিইয়ে দ্বন্দ্ব।এমন অনেক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আমরা সমাজের মধ্যেই দেখতে পাই।তবে মার্ক্সের মতে সকল দ্বন্দ্বের মাঝেও একটি প্রধান দ্বন্দ্ব থাকে।পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় সেই প্রধান দ্বন্দ্ব হচ্ছে শ্রম এবং পুঁজির মধ্যে দ্বন্দ্ব।

দ্বন্দ্বমুলক বস্তুবাদের তিনটি মূলনীতি রয়েছে।মূলনীতিগুলো হচ্ছে,

১) বিরোধী শক্তির ঐক্য (unity of opposites)
2) বিকাশের পথে অবলুপ্তি, অবলুপ্তির পথে বিকাশ (Negation of the negation)
৩) পরিমাণগত পরিবর্তন থেকে গুণগত পরিবর্তন (From quantitative change to qualitative change)


১) বিরোধী শক্তির ঐক্য (unity of opposites)

সবকিছুর মধ্যেই এক ধরনের বিপরীতধর্মী স্বভাব বিরাজ করে।যেমন ধনাত্মক, ঋণাত্মক চার্জ কিংবা ইলেকট্রন প্রোটনের মত মানব সমাজেও বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য এবং শক্তির অবস্থান দেখতে পাওয়া যায়। এই বিপরীতধর্মী শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হলেই দ্বিতীয় মূলনীতি অর্থাৎ 2) বিকাশের পথে অবলুপ্তি, অবলুপ্তির পথে বিকাশ (Negation of the negation) হয়।

2) বিকাশের পথে অবলুপ্তি, অবলুপ্তির পথে বিকাশ (Negation of the negation)

এই নীতি সমাজের সৃষ্টি এবং ধ্বংসকে ব্যাখ্যা করে। অর্থাৎ সৃষ্টি এবং ধ্বংস পরস্পর সম্পর্কজুক্ত।সৃষ্টির মাধ্যমে যেমন ধ্বংস হয়।তেমনি ধ্বংসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়।

৩) পরিমাণগত পরিবর্তন থেকে গুণগত পরিবর্তন (From quantitative change to qualitative change)

সমাজে অল্প কিছু পরিবর্তন ঘটলে সেটাকে পরিমাণগত পরিবর্তন বলা যেতে পারে।কিন্তু সে ক্ষেত্রে সমাজের গুনগত পরিবর্তন হবেনা। সমাজ সম্পূর্ণ নতুন সমাজে পরিনত হলেই তার গুণগত পরিবর্তন হবে।

মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান না দর্শন?

মার্ক্সবাদীরা মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান বলে মনে করে। অর্থাৎ তারা মার্ক্সবাদের বিভিন্ন সূত্রগুলোকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার প্রমানিত সুত্রের মতই প্রায়োগিক বলে মনে করে। কিন্তু পরবর্তীতে অনেক দার্শনিক এবং বিজ্ঞানী মার্ক্সবাদকে ছদ্ম বিজ্ঞান বলেই অভিহত করেন।তারা তাদের মতবাদ প্রমান করার জন্য বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন কার্ল পপার। কার্ল পপার তার 'ফলসিফায়াবিলিটি” তত্ত্বের মাধ্যমে মার্ক্সবাদকে ছদ্ম বিজ্ঞান হিসাবে প্রমান করেন। কার্ল পপারের মতে,

'If something is scientific, it must be logically possible to find evidence that can falsify, refute or show it is wrong'.

অর্থাৎ কোন মতবাদকে বিজ্ঞান হতে হলে সেটাকে প্রমানিত হতে হবে।যা কিছুকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে প্রমান করা যায় না তা একটি মতবাদ হতে পারে কিন্তু বিজ্ঞান নয়। পপারের মতে ‘A theory is scientific to a degree to which it is testable.’

যেমন আমরা যদি বলি জিউস অলিম্পাস পাহাড়ের চূড়ার বাস করে।এটি একটি মিথ।এখন আমরা এই মিথকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বাতিল কিংবা গ্রহন করতে পারব না।তাই একে কখনো বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।আবার যদি নিউটনের গতি সূত্রের কথা ভাবি তাহলে দেখা যাবে সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমেই গ্রহন করা হয়েছে।তাই সে সুত্রগুলো বৈজ্ঞানিক সূত্র হিসেবেই বিবেচিত হবে।কিন্তু মার্ক্সের এমন অনেক মতবাদ আছে যাতে ফলসিফায়াবেলিটির অভাব রয়েছে।যেমন মার্ক্সের তত্ত্বে শ্রমিকদের Increasing misery পরিমাপের কথা বলা হয়েছে।কিন্তু এটা পরিমাপ করার কোন গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড নাই।যেমন ধরা যাক আমি যদি বলি আমি অনেক আনন্দে আছি এবং তারপর যদি আমি কতটা আনন্দে আছি সেটা পরিমাপ করতে চাই তবে সেটা সম্ভব হবেনা। তাই এ প্রসঙ্গে রুপার্ট য়ুডফিন বলেন‘…Increasing misery can be explained without reference to value. We don’t know if it is significant and have no way to finding out.’।আবার মার্ক্সের এলিনেশন থিওরী সম্পর্কে মার্ক্স বলেছেন – ‘We have only the illusion of happiness, because it is an essential part of our nature to be in a proper relationship to these things.। অর্থাৎ তিনি বলেছেন আমরা সুখে আছি এটা আমাদের ভ্রান্তি। কিন্তু এই ভ্রান্তিকে বস্তুনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণ করে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বাতিল কিংবা গ্রহন করার কোন উপায় নেই। ‘ডায়েলেক্টিক্স’ ব্যাপারটি নিয়েও তেমন ভাবে কিছু যুক্তি প্রদর্শন করা যায়। ফলসিফায়েবল কিনা তা বিবেচনার দাবী রাখে। পপার এ মতবাদকে রহস্যময় এবং অপ্রমানযোগ্য বলে দাবি করেছেন।

আবার ফলসিফিকেশনের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করলেও মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান বলা যায় না। যেমন যখন কোন বৈজ্ঞানিক মতবাদ দেওয়া হয় তখন সে মতবাদকে এক ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আসতে হয়।অর্থাৎ প্রমানিত হতে হয়।যেমন প্রমানিত হতে না পারায় অতীতের অনেক বৈজ্ঞানিক মতবাদই বাতিল বলে গণ্য হয়েছে।ঠিক তেমন ভাবে বলা যায়, মার্ক্সের অনেক ভবিষ্যদ্বানীই ভুল প্রামণিত হয়েছে।যেমন মার্ক্স ইতিহাস বিশ্লেষণ করে বলেছিলেন প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হবে জার্মানিতে।কিন্তু বিপ্লব হয়েছে রাশিয়াতে।অথচ রাশিয়া তখনো সামন্তবাদ থেকে পুঁজিবাদী সমাজে বিকাশ লাভ করেনি।সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব কখন কোথায় কিভাবে হবে তা নিয়ে মার্ক্সের বিশ্লেষণ ভুল প্রমানিত হয়েছে। এ সম্পর্কে পপার বলেছেন,

‘It has been predicted revolution would happen first in the technically highest developed countries, and it is predicted that the technical evolution of the ‘means of production’ would lead to social, political, and ideological movements, rather than other way round… But (so-called) socialist revolutions came first in one of the backward countries.’।

মার্ক্সবাদের প্রয়োগ নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। যেমন অনেকেই মনে করেন প্রয়োগে ভুল হয়েছে বলে তত্ত্ব প্রমানিত হয়নি। কিন্তু শুধু মাত্র তত্ত্ব এবং প্রয়োগ দিয়ে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করা যাবেনা।কারন্র ইতিহাসের গতিপথ কখনো সহজ সরল পথে চলে না।তাই শুধু মাত্র অতীত সভ্যতাকে বিশ্লেষণ করে কিছু তত্ত্ব কিংবা সিদ্ধান্ত দিয়ে সমাজের গতিপথ পরিবর্তন করে ফেলা যায়না।যেমন মার্ক্সের ইনএভিটেবল' বিপ্লব তত্ত্ব অধিকাংশ সময়েই ভুল প্রমানিত হয়েছে।তিরিশের দশকে চরম অর্থনৈতিক মন্দা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বিপ্লব হয়নি।মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থান সম্পর্কে মার্ক্সের ধারনা এবং অনুমান ভুল প্রমানিত হয়েছে।

মার্ক্সবাদীদের যুক্তি

মার্ক্সবাদীরাও বিভিন্ন যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধমতের বিরুদ্ধে তাদের যৌক্তিক অবস্থান তুলে ধরেছেন।এখানে প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

মার্ক্সবাদীরা মনে করেন মার্ক্সবাদ হচ্ছে বিজ্ঞান।অর্থাৎ বিজ্ঞানের অনেক শাখার মত মার্ক্সবাদও বিজ্ঞানের একটি বিকশিত ধারা।তাদের মতে এই মতবাদ শুধুই একটি দর্শন নয়।কারন এই মতবাদের প্রায়োগিক ভিত্তি আছে।তাদের মতে অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মতই মার্ক্সবাদও প্রয়োগের মাধ্যমেই কাঠামোগত ভাবে শুদ্ধ হয়ে উঠবে।অনেকের ধারনা এখনো এই মতবাদ পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়নি।

শিবদাস ঘোষ তার মার্ক্সবাদ এবং দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের কয়েকটি দিক গ্রন্থে মার্ক্সবাদ কেন বিজ্ঞান তার কিছু যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,

"গোটা বস্তুজগতকে ফর্মাল লজিক অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভাগ করে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার যে পদ্ধতি চালু আছে তাকে প্রয়োগ করে বস্তুর ভিন্ন ভিন্ন বিশেষ ক্রিয়াকলাপ,বিশেষ নিয়ম,বা ভিন্ন ভিন্ন গুনগুলোকে আমরা আলাদা করে জানছি।কিন্তু মনে রাখা দরকার, বস্তুর এই ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম কিংবা গুনগুলোকে জানলেই তা থেকে আমরা পুর্নাঙ্গ বস্তু ধারনা পেতে পারিনা- যেমন পেতে পারিনা মানবসমাজ, তার নীতি নৈতিকতা, প্রগতি-প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যার সঠিক সমাধান।"

অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন বিজ্ঞানের আলদা শাখাগুলো থেকে আহরিত জ্ঞান থেকে আমারা বস্তুজগতের কোন সামগ্রিক ধারনা পাইনা। জ্ঞানের বিশৃঙ্খল অবস্থানের কারনে সমাজের প্রগতি বাঁধাগ্রস্থ হয়। তাই বিজ্ঞানের সকল শাখাকে সমন্নয় করার জন্য একটি সামগ্রিক বিজ্ঞানের প্রয়োজন যা মানব কল্যাণে বিজ্ঞানকে সঠিক পথে নিয়ন্ত্রিত করবে।আর সেই সামগ্রিক বিজ্ঞানই হচ্ছে মার্ক্সবাদ। তাই মার্ক্সবাদীরা দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদকে দর্শন নয় বরং বিজ্ঞান মনে করে। তাদের ধারনা দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ বিজ্ঞানের বিচ্ছিন্ন শাখাগুলোকে সমন্বিত করে একটি সামগ্রিক বিজ্ঞানের কাঠামো গঠন করেছে।

শিবদাস ঘোষের বিশ্লেষণ যৌক্তিক এবং প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় তা নিয়ে আলোচনা করলাম।দেশে বিদেশে অনেক মার্ক্সবাদী স্কলার এ ব্যাপারে অনেক ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু সেসব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এই লেখাটি অনেক বড় হয়ে যাবে।

পরিশেষে

আধুনিক সভ্যতাকে মার্ক্সবাদ অনেকভাবেই প্রভাবিত করেছে।বিশেষ করে আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে শোষিত মানুষকে শোষণ মুক্তির আন্দোলনে আলোড়িত করেছে মার্ক্সবাদ।মেহনতি মানুষকে দেখিয়েছে উন্নত জীবনের স্বপ্ন।আমিও যখন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন কিংবা পুঁজিবাদের লাগামহীন শোষণ থেকে কিভাবে মুক্ত হওয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবি তখন মার্ক্সবাদের কোন বিকল্প খুঁজে পাইনা।যুগে যুগে অনেক আন্দোলন, দর্শন, সাহিত্য মার্ক্সবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েই সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু আমি যখন মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান কিনা এটা বিভিন্ন স্কলারদের যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং যুক্তি তর্কগুলো পড়ি তখন আমার কাছেও মনে হয় মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান হতে পারেনা।বরং মার্ক্সবাদকে এমন একটি দর্শন হিসেবেই দেখি যার প্রয়োগে সমাজে প্রগতি সম্ভব।কিন্তু তার জন্য মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান কেন হতে হবে তার কোন কারন খুঁজে পাইনা।

মার্ক্সবাদ বিশাল একটি ব্যাপার।এই মতবাদের রয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পটভূমি।কিন্তু আমি আমার আলোচনা শুধু মার্ক্সবাদ এবং বিজ্ঞানের তুলনামুলক পর্যালোচনায় সীমাবদ্ধ রেখেছি।আমি যেভাবে পড়েছি এবং বুঝেছি সেভাবেই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।তাই ভুল ত্রুটি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।তাই সেসব নিয়ে সবাই যৌক্তিকভাবে আলোচনা করবে এই আশা রাখছি।


তথ্যসূত্র

মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান?

মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান? কিছু আনুষঙ্গিক ব্যাখ্যা

কার্ল মার্ক্স (১৮১৮-১৮৮৩) ও তাঁর দর্শন

Science as Falsification by Karl R. Popper

Why Marxism-Leninism-Maoism is a Science

The Ideas of Karl Marx Written by Alan Woods

Dialectical Materialism and Modern Science

মার্কসবাদ ও দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের কয়েকটি দিক( শিবদাস ঘোষ)









মন্তব্য ১১১ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ি। মন্তব্য পড়েই দই জিনি ভায়া।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

জেন রসি বলেছেন: ঠিক আছে ভায়া। :)

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

দরবেশমুসাফির বলেছেন: মার্ক্সবাদীরা বিমূর্ত অস্তিত্বকেও(abstract) মূর্তরূপে বিবেচনা করেন।যেটাকে বলা যায় উগ্র বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। যা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

জেন রসি বলেছেন: বিমূর্ত অস্তিত্ব ব্যাপারটাও কিন্তু অযৌক্তিক।যেমন ধরেন আপনি যদি চিন্তা করেন যে, আপনি আকাশে উড়ছেন তাহলে আপনার চিন্তাজগতের সেই ভাবনাটাও বিমূর্ত হবে।মার্ক্সবাদীরা বিমূর্ত অস্তিত্বকে চিন্তার সাথে বাস্তবের দ্বান্দ্বিক অবস্থান থেকেই ব্যাখ্যা করে। যেমন হেগেলের ভাববাদও কিন্তু বিভিন্ন বিশ্লেষণে যৌক্তিক দিক থেকে বিচ্যুত হয়েছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কার্ল মাক্স তার ডাস ক্যাপিটাল(১৮৬৭) বইয়ে সমাজতন্ত্রের যে রুপরেখাপাত করেছিলেন তা এই বুর্জুয়ারা কি কোন দেশ ধরে রাখতে পেরেছে। আমার জানা মতে পারে নি। তাই বলে ভাব্বেন না যে অন্য তন্ত্র গুলো ধুয়া তুলশি পাতা ভাবছি। মানব জাতি এখন ও তার সঠিক তন্ত্র খুঁজছে। হয়ত সন্নিকটেই পেয়ে যাবে।


এই যা কি লিখতে কি লেখে ফেলেছি। আপনার লেখায় মুগ্ধতা রেখে গেলাম। অনেক সাজানো লেখা। সুখকর পাঠ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

জেন রসি বলেছেন: এটা সত্য যে, মার্ক্স যেভাবে সভ্যতার বিকাশকে ব্যাখ্যা করেছেন তা অন্য কোন দার্শনিক পারেনি।কিন্তু সামাজিক পরিবর্তন খুব সহজ সরল পথে হয় না। তাই মার্ক্সবাদ যখন প্রয়োগ করা হয়েছে তখন এমন কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল যে, সেই সমস্যাগুলো আর কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।

সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন সবসময়।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সহমত-

আধুনিক সভ্যতাকে মার্ক্সবাদ অনেকভাবেই প্রভাবিত করেছে।বিশেষ করে আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে শোষিত মানুষকে শোষণ মুক্তির আন্দোলনে আলোড়িত করেছে মার্ক্সবাদ।মেহনতি মানুষকে দেখিয়েছে উন্নত জীবনের স্বপ্ন।আমিও যখন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন কিংবা পুঁজিবাদের লাগামহীন শোষণ থেকে কিভাবে মুক্ত হওয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবি তখন মার্ক্সবাদের কোন বিকল্প খুঁজে পাইনা।যুগে যুগে অনেক আন্দোলন, দর্শন, সাহিত্য মার্ক্সবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েই সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু আমি যখন মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান কিনা এটা বিভিন্ন স্কলারদের যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং যুক্তি তর্কগুলো পড়ি তখন আমার কাছেও মনে হয় মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান হতে পারেনা।বরং মার্ক্সবাদকে এমন একটি দর্শন হিসেবেই দেখি যার প্রয়োগে সমাজে প্রগতি সম্ভব।কিন্তু তার জন্য মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান কেন হতে হবে তার কোন কারন খুঁজে পাইনা।

মার্ক্সবাদ বিশাল একটি ব্যাপার।এই মতবাদের রয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পটভূমি।কিন্তু আমি আমার আলোচনা শুধু মার্ক্সবাদ এবং বিজ্ঞানের তুলনামুলক পর্যালোচনায় সীমাবদ্ধ রেখেছি।আমি যেভাবে পড়েছি এবং বুঝেছি সেভাবেই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।তাই ভুল ত্রুটি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।তাই সেসব নিয়ে সবাই যৌক্তিকভাবে আলোচনা করবে এই আশা রাখছি।



তবে মার্ক্সিজম কে গবেষণা করে আরো উন্নত বিজ্ঞান গবেষণার ধারা তৈরি করা যেতে পারে। মানবকল্যানে বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে এটাই হোক আমাদের দিক নির্দেশক।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

জেন রসি বলেছেন: অনেক মার্ক্সবাদী মার্ক্সবাদকে অভ্রান্ত বিজ্ঞান ভেবে অনেকটা অযৌক্তিক বিশ্বাসের বলয়ে ঘুরপাক খায়। সেভাবে এই মতবাদকে অভ্রান্ত বিজ্ঞান ভাবলে কিন্তু এক ধরনের ধর্মীয় চেতনার মতই বিমূর্ত চেতনা সৃষ্টি হয়। আপনি ঠিক বলেছেন। কারো মতবাদকে পরম সত্য ধরে না নিয়ে বরং তাকে যৌক্তিক ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার আলোকে বিশ্লেষণ করলে বিকাশের একটা সম্ভাবনা থাকে।

ধন্যবাদ ভায়া।

ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

দরবেশমুসাফির বলেছেন: বিমূর্ত অস্তিত্ব ব্যাপারটাও কিন্তু অযৌক্তিক।যেমন ধরেন আপনি যদি চিন্তা করেন যে, আপনি আকাশে উড়ছেন তাহলে আপনার চিন্তাজগতের সেই ভাবনাটাও বিমূর্ত হবে।

সকল বিমূর্ত অস্তিত্তই অযৌক্তিক নয়। যেমনঃ সুবিচার (justice) । সুবিচারকে কোন মতবাদের ভিত্তিতেই অযৌক্তিক বলা যায় না। এমনকি উগ্র anarchist রাও সুবিচারকে অস্বীকার করতে পারে নি।কেননা সুবিচার অযৌক্তিক হলে আমাদের জীবন ব্যবস্থার সকল যৌক্তিক ব্যাখ্যাই ভেঙে পড়বে।সুবিচার নিশ্চয়ই একটি বিমূর্ত ধারনা???

জ্ঞানের পথে মানুষের যাত্রাই হয়েছিল বিমূর্ত ভাবনা দিয়ে তা অবশ্যই আপনার জানা আছে। ঋণাত্মক সংখ্যা, জটিল সংখ্যার মত মৌলিক ধারনাও বিমূর্ত অস্তিত্ব। এগুলোকে অযৌক্তিক বলা হলে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞান ও প্রজুক্তির সকল অবদানই অযৌক্তিক হয়ে যায়।

আকাশে ওড়ার ব্যাপারটি দিয়ে সকল বিমূর্ত ধারনা সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়।

existentialist রা অবশ্য বিমূর্ত ধারনাকে স্বীকার করে না।সেটা absurdism উপর ভিত্তি করে।কিন্তু মারক্সিজম আর absurdism এর মধ্যে পার্থক্য আছে।বিমূর্ত ধারনার ব্যাপারে absurdist দের যুক্তি মার্ক্সইসট দের যুক্তির চেয়ে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে আমার কাছে। মার্ক্সইসট দের যুক্তি বাছবিচারহীন ভাবে বস্তুবাদ দিয়ে সবকিছু দেখা ছাড়া আর কিছু নয়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

জেন রসি বলেছেন: সুবিচার একটি ধারনা যা সবসময় আর্থ সামাজিক অবস্থার সাথে সম্পর্কিত।যেমন কাল,সমাজ, দেশ ভেদে সুবিচারের ধারনা ভিন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ সামাজিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমেই কিন্তু সুবিচারের ধারনা গড়ে ওঠে।পূর্ব থেকে নির্ধারিত কোন পরম সুবিচারের ধারনা পূর্ব থেকেই মানুষের মনোজগতে অবস্থান করেনা।এই বিষয়টি নিয়ে দার্শনিকদের মধ্যে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে।কিন্তু আধুনিক দর্শনের সব শাখাই কিন্তু এই পরম বিমূর্তরুপকে বাতিল করে দিয়েছে।

অস্তিত্ববাদীদের মধ্যে দুই দল আছে।এক পক্ষ বিমূর্ত ধারনাকে স্বীকার করে নিয়েছিল। পরে jean paul sarte এর বিশ্লেষণে অস্তিত্ববাদ থেকে বিমূর্ত ধারনা খারিজ করে দেওয়া হয়। মার্ক্সবাদীরাও কিছু ব্যাপারে নিজেদের মতবাদকে পরম সত্য ভেবেই ব্যাখ্যা করে।

সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: মার্ক্সবাদ, লেফট উইং, কমিউনিজম, সোস্যালিজম আমার খুবই আগ্রহের কিছু বিষয় । তবে খটকা অনেক কিছু নিয়ে থেকেই যায়। যতটুকু জানি ফরাসী বিপ্লব এর কিছু জিনিস থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই হেগেলের দর্শন Left wing, Right wing এ বিভক্ত হয়ে যায়। কিন্তু মার্ক্স বাম দিক টাই গ্রহন করেন যেটা কিনা Dialectic Method. আর দ্বান্দিক ভাববাদ কিংবা বস্তুবাদের মত টপিক যখন চলে আসে তখন সেখানেই সবকিছুই বস্তুকেন্দ্রিক হয়ে যায়। কিন্তু হেগেলের রাইট উইং এ স্পষ্ট "অতি প্রাকৃত শক্তি" কিংবা "ঈশ্বর" এর উল্লেখ ছিল। আমি আসলে এখন ঠিক মনে করতে পারছি না অনেক আগে পড়া ছিল।

হ্যা, শ্রেনিহীন সমাজ ব্যাবস্থা আমি খারাপ করিনা। কিংবা যে সকল ছেলেরা একটা পরিবর্তিত সমাজের সপ্নদেখে ততকালীন ভারতে নকশাল নামক ভুল পদক্ষেপে ভবিষ্যত নষ্ট করেছিল তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা আছে। তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মার্ক্সবাদ এর কিছু জিনিস মানতে পারিনা, কারন সেগুলা সরাসরি আমার "বিশ্বাসে" আঘাত হাতে। এটা একান্তই আমার ব্য্যাক্তিগত মত।

আর আপনার পোষ্ট টি অসাধারণ। খুব খুব কম পোস্টই দেখছি এমন, আমার খুবই ভাল লেগেছে। কারন জানি এগুলো নিয়ে রীতিমত পড়াশুনো করা লাগে। আপ্নার পরিশ্রমের প্রতি সম্মান থাকল :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

জেন রসি বলেছেন: আমার নিজের চিন্তা চেতনাও অনেকভাবে মার্ক্সবাদ দ্বারা প্রভাবিত।মার্ক্সবাদ পড়েই আমি যৌক্তিক ভাবে চিন্তা করতে শিখি এ কথা আমাকে স্বীকার করতেই হবে।তবে পরবর্তীতে মার্ক্সবাদীদের কিছু ব্যাপার আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়। যেমন তারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে মার্ক্সের মতবাদকেই পরম সত্য ভেবে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছে যা অনেকটা অন্ধ বিশ্বাসের সামিল। আর আমার সবচেয়ে বেশী অযৌক্তিক লেগেছে মার্ক্সবাদের বিজ্ঞান হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঝোঁককে। কারন এই মতবাদকে সমাজ বিজ্ঞানের একটি প্রায়োগিক শাখা হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কিন্তু ফিজিক্যাল বিজ্ঞান হিসেবে মার্ক্সবাদ প্রমানিত হয়নি। সেই ব্যাপারটি নিয়েই এই লেখায় আলোচনা করেছি।

আপনি ঠিক বলেছেন।হেগেলে ভাববাদ থেকেই মার্ক্সের দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ এসেছে। এবং হেগেলের আরেক বিদ্রোহী ছাত্র ফুয়েরবার্খ যান্ত্রিক বস্তুবাদ নিয়ে কাজ করছেন।বিভিন্ন সময় সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে যারা শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য আত্মত্যাগ করেছে তাদের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধা আছে।আর এই জন্যই আবেগ দিয়ে না বুঝে বরং মার্ক্সবাদের আরো যৌক্তিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত এই মন্তব্যের জন্য।ভালো থাকুন সবসময়।শুভকামনা রইল।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:

মার্ক্স তাঁর ম্যানিফেস্টোয় বিশ্বায়নের বুনিয়াদি প্রবণতাগুলি বর্ণনা করে গিয়েছিলেন ৷ এবং বিভিন্ন একক ক্ষেত্রে মার্ক্স দেখিয়েছিলেন, পুঁজি কীভাবে ঠিক সেখানেই যায়, যেখানে শ্রমের মূল্য কম এবং কীভাবে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক কমানোর চেষ্টা করা হয়৷ কম মাইনের দেশগুলিতে আউটসোর্সিং বুঝতেও মার্ক্সের সাহায্য নেওয়া যায় ৷

আঙ্গিক ভিন্ন হলেও , পৃথিবীর অনেক দল বা রাজনৈতিক গোষ্ঠী মার্ক্স থেকে অনেক কিছুই নিয়েছে ।

এঙ্গেলস মার্ক্সের বিপ্লবের ধারনাকে সায়েন্টিফিক বলেছেন । আমাদের দেশেও 'বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র'' বলে একটা কথা শোনা যায় ।

নিয়মতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার সন্নিবেশ যখন একটা সিদ্ধান্ত দেয় তখন সেইটাই বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত ।
আবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট নিয়মতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা ক্ষেত্রবিশেষে ভুল সিদ্ধান্তও দিতে পারে ।
তাই আমার কাছে মার্ক্সিজম সময়ে বিজ্ঞান ,সময়ে মতবাদ ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

জেন রসি বলেছেন: মার্ক্সবাদ সমজে প্রধান দ্বন্দ্ব হিসেবে শ্রম এবং পুঁজির দ্বন্দ্বকে দেখে। কিন্তু যখন মার্ক্সবাদ প্রয়োগ করা হলো তখন শ্রমের মধ্যেও অনেক অন্তর্গত দ্বন্দ্ব দেখা গেল।অর্থাৎ মার্ক্সবাদ সামাজিক ভাবে প্রয়োগ করা গেলেও বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমান করা গেল না। মানব সভ্যতার ইতিহাসকে যৌক্তিকভাবে বুঝতে অবশ্যই মার্ক্সবাদকে জানতে হবে। কিন্তু মার্ক্সবাদকে অমোঘ বৈজ্ঞানিক মতবাদ ভাবলে এক ধরনের ভ্রান্তিতে আবর্তিত হতে হবে।আবার কেউ কেউ বলেন মার্ক্সবাদ এমন বিজ্ঞান যার বিকাশ হচ্ছে। কিন্তু মার্ক্সবাদকে কেন বিজ্ঞান বলা যাবে না সেটা এই লেখায় আলোচনা করেছি।বিজ্ঞানের কথা না বলে যদি সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা বলি তবে বলতে হবে মার্ক্সবাদ অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে।

আপনার যৌক্তিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইল।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: খাড়ান, পুরা মন্তব্য করতে একটু সময় লাগবে! তয় আমি যে আছি সেইটা জানাইয়া গেলাম! যে তত্ত্ব ঝাঁড়ছেন তা বুঝুম কিনা সেইটা নিয়ে বেশ কনফিউশনে আছিরে ভাই!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

জেন রসি বলেছেন: সাহসী সন্তান না থাকলে কেমনে হবে? আপনি যদি সাহস কইরা কনফিউশনকে গুল্লি না মারেন তাইলে ভীতুর ডিমরা কি করবে??? :P

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

শায়মা বলেছেন: ৮. ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩ ০
সাহসী সন্তান বলেছেন: খাড়ান, পুরা মন্তব্য করতে একটু সময় লাগবে! তয় আমি যে আছি সেইটা জানাইয়া গেলাম! যে তত্ত্ব ঝাঁড়ছেন তা বুঝুম কিনা সেইটা নিয়ে বেশ কনফিউশনে আছিরে ভাই!


মনের কথা! আমিও আসছি! তবে মাথায় একটু ঠান্ডা পানি ঢেলে আসি আগে।:)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

জেন রসি বলেছেন: ঠাণ্ডা পানি ঢাললে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। গরম পানি ঢাললে মাথা গরম হয়ে যেতে পারে। নাতিশীতোষ্ণ পানি ঢালতে পারেন।:)

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই, যদিও কার্লমার্ক্স সম্পর্কে আপনার এই পোস্টের আগে আমি ভিন্নমত পোষন করতাম এবং তাকে একজন সফল বিপ্লবী হিসাবেই চিনতাম! তবে আপনার এই পোস্টেটা পড়ে অনেক অজানা কিছুই জানতে পারলাম!

আর পোস্টের মধ্যে সব থেকে ভাল লাগলো এইটাঃ-
কার্ল পপারের মতে, কোন মতবাদকে বিজ্ঞান হতে হলে সেটাকে প্রমানিত হতে হবে। যা কিছুকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে প্রমান করা যায় না তা একটি মতবাদ হতে পারে কিন্তু বিজ্ঞান নয়।

আসলেই বিজ্ঞান চায় স্থুল সত্যের কারসাঁজি! আবছায়া অস্পষ্ট কিছু সে চায় না! আর কার্লমাক্স যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলোকেও আমার মতে 'মতবাদ হতে পারে কিন্তু বিজ্ঞান কিছুতেই নয়'!

সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! শুভকামনা জানবেন!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

জেন রসি বলেছেন: মানব সমাজে কার্ল মার্ক্সের অবদান অবশ্যই অনস্বীকার্য।দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ সবকিছুকে যৌক্তিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে শিখায়। যা সমাজের সবকিছুকেই নতুন আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করে। তাই মার্ক্সকে সামগ্রিক ভাবে ব্যর্থ বলা যাবে না। সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অনেক বিপ্লবেই মার্ক্সবাদ সফল। এবং শ্রেণিহীন মানুষকে লড়াই করে নিজেদের অধিকার আদায়ের প্রেরনা এই মার্ক্সবাদই দিয়েছিল। এখনো শ্রেণিহীন সমাজ গড়ার জন্য মার্ক্সবাদের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু মার্ক্সবাদ নিজেকে বিজ্ঞান হিসাবে প্রমান করতে পারে নাই। তাই যৌক্তিক মার্ক্সবাদীরাও যদি সেই গোঁড়ামিতে আবদ্ধ থাকে তবে তবে তারা নিজেরাই বিকাশের সব পথকে অবরুদ্ধ করে ফেলবে।

ধন্যবাদ সাহসী ভাই। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপুনি বলেছেনঃ- মনের কথা! আমিও আসছি! তবে মাথায় একটু ঠান্ডা পানি ঢেলে আসি আগে।

-মনের কথা তো হবেই! আমরা-আমারই না! ;)

আপুনি জেন ভাই যে তত্ত্ব আজ ঝাড়ছেন তাতে মাথা-টাতা সব আওলাইয়া গেছে! এই পোস্টটা বোঝার জন্য আমি উইকি সহ জেন ভাইয়ের দেওয়া প্রত্যেকটা তথ্যসূত্রতে যেয়ে অনুসন্ধান করছি! এবং এত এত সব অজানা কিছু জানতে পেরেছি যে জেন ভাইয়ুকে রাতে দাওয়াত করে খাওয়াতে ইচ্ছা করছে! :P আপনি রান্নাবান্না রেডি করেন, আমি জেন ভাউকে সাথে নিয়া আইতাছি! :(

আপুনি, ফিরতি আসার সময় আমার জন্য এক বোতল ফ্রিজের পানি আইনেন আর সাথে জেন ভাউয়ের জন্য একটা ললিপপ! :P

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

জেন রসি বলেছেন: আপনাকে অনেক অজানা কিছু জানাতে পেরেছি বলে আনন্দিত।আপনিও আমাকে অজানা অনেক কিছু জানিয়েছেন।তাই আপনিও আমার কাছে দাওয়াত পাওনা। তবে ভুলেও আপুর রান্না খাবার ইচ্ছা নিয়া বসে থাইকেন না। তাহলে আপনাকে আর আমাকে নতুন করে সোমালিয়া টাইপ দুর্ভিক্ষে পতিত হতে হবে। পরে কিন্তু ক্ষুধার যন্ত্রণায় বিপ্লব করার শক্তিও থাকবে না!!! :P

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বিস্তর গবেষণা !!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২

জেন রসি বলেছেন: হুমমমমম........

ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময়।

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট হইছে। আমার এইরকম লাইনে পড়াশুনা কম, জানাও কম। তবে ব্যর্থতার কারনগুলা খুজি। তাত্বিকভাবে নিখুতের কাছাকাছি হইলেও মানব সমাজ ব্যবস্থ্যা তত্ত্ব মানেনা, এইটাই সমস্যা। কোন সমাজব্যবস্থ্যা কিংবা দর্শনই কোন্সময়ে, কোন স্থানে কোন মানবগোষ্ঠির জন্য কার্যকর কিংবা প্রয়োগ করা সম্ভব না।

পোস্টে ভালোলাগা রইলো। :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০

জেন রসি বলেছেন: সেটাই বলতে চেয়েছি।অর্থাৎ মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান ভাবাটা ভুল হবে। কারন মার্ক্সবাদের সূত্রগুলো অনেক ক্ষেত্রেই প্রমানিত হয়নি। তাই সামাজ বিজ্ঞান এবং ন্যাচারাল সাইন্সকে একই মাপকাঠিতে দেখা ঠিক হবেনা। মার্ক্সবাদীরা এই ব্যাপারটিতে এখনো গোঁড়ামি কাটাতে পারে নাই।

ধন্যবাদ নদী ভাই। :)

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: জেন ভাই আপনি আমার আপুনিরে এইভাবে অপমান করতে পারেন না? হাজার হইলেও সে আপনার আমার এই ব্লগের সবার আপু! সুতরাং আপাতত খামোশ থাকেন!! আপুনি যদি হেইডা শুইনা বা দেইখা ফেলে তাইলে কিন্তু লঙ্কা কান্ড ঘইটা যাইবো! শেষটায় ওনার মাথা ঠান্ডা করনের লাই আমারই না শামুক লইয়া দৌড়ান লাগে?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

জেন রসি বলেছেন: ভাই, আমি কিন্তু সত্য কথা বলেছি। আপনার এবং আমার আপুনির কাছে দাওয়াত চাইলে তিনি আসলেই সোমালিয়ার মত কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে ফেলবে। তাই চলেন খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে অন্য কোন উপায় খুঁজে বের করি।যেমন ধরেন আমরা অন্য কোন গ্রহে দাওয়াত খেয়ে আস্তে পারি।!!

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

শায়মা বলেছেন: মার্ক্সবাদ, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ এবং বিজ্ঞান এ তিনটি শব্দ পড়েই প্রথমেই আমার মনে এলো হাছন রাজার গানের কিছু কলি ।
লোকে বলে বলে রে
ঘর বাড়ি বালা না আমার
কি ঘর বানাউম আমি শূন্যের মাঝার
লোকে বলে বলে রে ঘর বাড়ি বালা না আমার .....

পার্থীব জগতের তুচ্ছ বস্তুবাদী বিষয়য়াদি নিয়ে দ্বন্দমূলক ভাবনা চিন্তার সাথে ঐশ্বরিক নিজস্ব মতবাদের দ্বন্দ। এবং এরপর কোনো রকম বিজ্ঞান বা মার্ক্সবাদের কোনো রকম ধারনা না থাকবার পরে নিজের মনে ধ্যান ও দর্শনের যুক্তিগত বিন্যাসের সাথে একটা সময় আলো বা নিজস্ব অনুভুতির আলোকে সত্যের সন্ধান পাওয়া এই তো বিজ্ঞান। এইখানে হাছনরাজাও একজন কার্লমার্ক্স একজন ভোগত্যাগী মানুষ।


মার্ক্সবাদ এবং দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়নি।বরং এই দর্শনকে অনেক দর্শনের সমন্নয়ে গড়ে ওঠা একটি প্রায়োগিক দর্শন বলা যেতে পারে।বস্তুবাদের ধারনা কার্ল মার্ক্সই প্রথম দেননি।গ্রীক দার্শনিক থেল্‌স্‌, ডেমোক্রিটাস্‌, ইপিকিউরাস্‌ প্রমুখের দর্শনে আমরা বস্তুবাদের দেখা পাই।পরবর্তীতে হবস এবং ফুয়েরবার্খের দর্শন চর্চাতেও আমরা ভিন্ন আঙ্গিকে বস্তুবাদের কাঠামো সম্পর্কে জানতে পারি। কার্ল মার্ক্স “The difference between the Democritean and Epicurean philosophy of nature”- এই বিষয়ের উপর পিএইচডি করেছিলেন।ধারনা করা হয় এই বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়েই তিনি দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের ধারনা পান। দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতেও মার্ক্সের পূর্ববর্তী দার্শনিকদের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যেমন মার্ক্স হেগেলের দ্বন্দ্বমূলক ভাববাদ দ্বারা প্রভাবিত হন।কিন্তু মূলত হেগেলের ‘অরিজিনাল আইডিয়া’ মার্ক্সের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা মনে হয়নি।হেগেলের কিছু ছাত্র তার এই মতবাদের বিরোধিতা করেছিলেন।তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন মার্ক্স এবং ফুয়েরবার্খ।তাই হেগেলের এই মতবাদ থেকে সরে এসে মার্ক্স দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ এবং ফুয়েরবার্খ যান্ত্রিক বস্তুবাদ নিয়ে কাজ করেন।

ঠিক একইভাবে হাছন বা লালনের মাঝেও একই সাদৃশ্যের ভোগবাদী বা বস্তুবাদী দর্শন দেখা যায়। তারা কোথাও পি এইচ ডি করেননি। তাদের এই দর্শনের সৃষ্টি হয়েছিলো তাদের অন্তরে তাদের মস্তিস্কে। আর যুগ যুগ ধরে মানুষের মস্তিস্ক প্রসুত কল্পনাই একদিন নানা গবেষনার ফলে বিজ্ঞানরুপে আবির্ভূত হয়েছে। হোক না ছদ্মবিজ্ঞান অথবা প্রকৃত বিজ্ঞান বিজ্ঞান তো। আর বিজ্ঞান মানেই সত্যের অনুসন্ধান।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

জেন রসি বলেছেন: আপনার এই চিন্তা ভাবনায় বৈচিত্র্য আছে।আপনি ভাববাদ এবং বস্তুবাদের উৎস নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন।তবে এখানে সমস্যাটা অন্য ভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।

পার্থীব জগতের তুচ্ছ বস্তুবাদী বিষয়য়াদি নিয়ে দ্বন্দমূলক ভাবনা চিন্তার সাথে ঐশ্বরিক নিজস্ব মতবাদের দ্বন্দ। এবং এরপর কোনো রকম বিজ্ঞান বা মার্ক্সবাদের কোনো রকম ধারনা না থাকবার পরে নিজের মনে ধ্যান ও দর্শনের যুক্তিগত বিন্যাসের সাথে একটা সময় আলো বা নিজস্ব অনুভুতির আলোকে সত্যের সন্ধান পাওয়া এই তো বিজ্ঞান। এইখানে হাছনরাজাও একজন কার্লমার্ক্স একজন ভোগত্যাগী মানুষ।

ভাববাদ এবং বস্তুবাদের ভিন্নতা হচ্ছে প্রয়োগে। কোন দর্শন কতটুকো সফল সেটা সেই দর্শনের প্রায়োগিক সফলতার উপর নির্ভর করে। যেমন ধরেন কোন একদিন আপনার ভাবজগতে এমন ধারনা আসল যে, পৃথিবীর সব মানুষ স্রষ্টার সৃষ্টি। তাই সবাই মিলে মিশে থাকা উচিৎ। কিন্তু এখন ব্যাপার হচ্ছে আপনি আপনার এই ইচ্ছা কিভাবে সামাজিক ভাবে প্রয়োগ করবেন।যদি প্রয়োগ করতে না পারেন তবে সেটা শুধুই একটা বিমূর্ত ধারনা থেকে যাবে। এখন যদি হাছন রাজার মরমীবাদ এবং লালনের দেহতত্ত্ব নিয়ে বলি তবে বলতে হবে তারা এক ধরনের চেতনা নিয়ে কাজ করেছে।অর্থাৎ নিজের মধ্যেই পরম স্বত্বার অনুসন্ধান করে গেছে। কিন্তু সামাজিক ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু প্রয়োগ করা যায়নি। কারন সমাজে উৎপাদন ব্যবস্থা বলে একটা ব্যাপার আছে।আর এই উৎপাদন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করেই অনেক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে উঠেছে।দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের প্রায়োগিক বৈশিষ্ট্য আছে যা সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থা এবং কাঠামোগত পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে।কিন্তু ভাববাদ একধরনের বিমূর্ত ভাবনা যার প্রায়োগিক ক্ষমতা সীমাবদ্ধ।

ঠিক একইভাবে হাছন বা লালনের মাঝেও একই সাদৃশ্যের ভোগবাদী বা বস্তুবাদী দর্শন দেখা যায়। তারা কোথাও পি এইচ ডি করেননি। তাদের এই দর্শনের সৃষ্টি হয়েছিলো তাদের অন্তরে তাদের মস্তিস্কে। আর যুগ যুগ ধরে মানুষের মস্তিস্ক প্রসুত কল্পনাই একদিন নানা গবেষনার ফলে বিজ্ঞানরুপে আবির্ভূত হয়েছে। হোক না ছদ্মবিজ্ঞান অথবা প্রকৃত বিজ্ঞান বিজ্ঞান তো। আর বিজ্ঞান মানেই সত্যের অনুসন্ধান।

উপরে উল্লেখ করেছি যে, পার্থক্যটা আসলে প্রয়োগের ভিন্নতার কারনে হয়ে থাকে। হাছন রাজা এবং লালনের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধা
আছে।তারা কিছু প্রগতিশীল চেতনার জন্ম দিয়েছে। কিন্তু এটাও দেখতে হবে সামাজিক কাঠামোতে তাদের চেতনা প্রায়োগিক দিক থেকে কতটা সফল।যেমন মার্ক্সবাদের জন্যই শ্রমিকরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছে।এটাকে একটা প্রায়োগিক সফলতা বলা যেতে পারে। তাই ভাববাদ এবং বস্তুবাদকে এক করে ফেলাটা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়।



১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: মঙ্গলে নাকি পানির সন্ধান পাওয়া গেছে, তাইলে চলেন আমরা সেখানেই যাই? আর থাকুম না এই পোড়া পৃথিবীতে! তয় জলদি কইরা বাক্সো প্যাটরা গোছান?

একে তো আপনার মার্ক্স তত্ত্ব তার উপর একটু আগে আপুনি যে লালন তত্ত্ব ঝাড়লেন তাতে আমি আপাতত জ্ঞান হারা অবস্থায় আছি! জলদি কইরা চুমকির মায়রে খবর দেন, হেই একটু নাতিশীতষ্ণ পানি আইনা নাকে মুখে ঢালুক!

আর নিতে পারতাছিনা ভাই! আজকের মত বিদায়! চেতনা ফিরলে আগামী কাল কথা হইবেক! শুভ রাত্রি!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

জেন রসি বলেছেন: পানির সন্ধান পাওয়া যাক অথবা লাল পানির সন্ধান পাওয়া যাক আমরা কোন একদিন সেইখানে গিয়েও পান খাইয়া পানের পিক ফেলে আসব এইটা নিশ্চিত! :P আমি প্রস্তুত আছি!আপনি আওয়াজ দিলেই চলে আসব! আপনি বর্ডারের আশেপাশের মানুষ। বর্ডার ক্রস করে কেমনে কই যাইতে হয় এইটা ভালো বলতে পারবেন!!তাই এই বিষয় নিয়া আমি নিশ্চিন্ত থাকলাম। ;)

আপুনির লালন তত্ত্ব আমার নিউরনকেও কিছুটা আলোড়িত করেছে।এখন নাতিশীতষ্ণ তত্ত্ব দিয়া আলোড়ন থামানোর চেষ্টা করিতেছি। :P

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

শায়মা বলেছেন: সাহসীভাইয়া আমাকে ফেলে যেওনা। আমি সত্যি গরম পানি মাথায় ঢেলে এইখানে এসে জিনিভাইয়ার তত্ব পড়ে বুঝার ট্রাই করছি!!!!!:(

র্ল মার্ক্স মানব সভ্যতার ইতিহাসকেও দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন।যেমন সমাজের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীগত দ্বন্দ্ব রয়েছে।জাতিতে জাতিতে দ্বন্দ্ব, ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ্ব, বর্ন নিইয়ে দ্বন্দ্ব।এমন অনেক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আমরা সমাজের মধ্যেই দেখতে পাই।তবে মার্ক্সের মতে সকল দ্বন্দ্বের মাঝেও একটি প্রধান দ্বন্দ্ব থাকে।পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় সেই প্রধান দ্বন্দ্ব হচ্ছে শ্রম এবং পুঁজির মধ্যে দ্বন্দ্ব।

অনেক কষ্ট করে বুঝার ট্রাই করে যা বুঝলাম প্রধান দ্বন্দ বলতে অনেক শ্রম করেও একজন শ্রমিক যে মূল্য পায়না অর্থনৈতিক বা সামাজিকভাবে সেটাই আরেক শ্রেনী বহুগুন পাচ্ছে কম শ্রমসাধ্য কাজ করে । :(

এই দ্বন্দের অবসান প্রয়োজন। কিন্তু কিভাবে?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

জেন রসি বলেছেন: অনেক কষ্ট করে বুঝার ট্রাই করে যা বুঝলাম প্রধান দ্বন্দ বলতে অনেক শ্রম করেও একজন শ্রমিক যে মূল্য পায়না অর্থনৈতিক বা সামাজিকভাবে সেটাই আরেক শ্রেনী বহুগুন পাচ্ছে কম শ্রমসাধ্য কাজ করে । :(

এই দ্বন্দের অবসান প্রয়োজন। কিন্তু কিভাবে?


শ্রম এবং পুঁজির দ্বন্দ্ব বুঝতে হলে মার্ক্সের পূঁজি ও শ্রমের এন্টিথিসিস এবং ব্যক্তি সম্পত্তি এবং শ্রম বিষয়ক ধারনা বুঝতে হবে।

আপনি যদি পুঁজিবাদী সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থা গভীর ভাবে পর্যালোচনা করেন তাহলে দেখতে পাবেন পুঁজি এবং শ্রমের দ্বন্দ্ব অনিবার্য। কারন পুঁজিবাদী সমাজে পুঁজি শ্রমকে নিয়ন্ত্রন করে এবং শ্রমের উপর প্রভুত্ব করে। আর শ্রম চায় এই দাসত্বের হাত থেকে মুক্তি।এটাকেই পুঁজি এবং শ্রমের দ্বন্দ্ব বলা হয়। সহজ ভাবে যদি বলতে হয় তাহলে বলা যায় যে, পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় দুটি অপরিহার্য অংশ হচ্ছে পুঁজি এবং শ্রম। কিন্তু মুনাফার অধিকাংশ অংশ পুঁজিপতিরা পায় কিন্তু শ্রমিকরা উৎপাদন ব্যবস্থায় ভূমিকা রেখেও পুঁজিপতিদের কাছে তীব্রভাবে শোষিত হয়।

আপনার বুঝার জন্য একটু মজা করে একটা উদাহরন দেই। যদিও সেটা এই তত্ত্বের তুলনায় সাধারন একটি উদাহরন হবে।তবুও দিচ্ছি।ধরেন কেউ একজন এক কেজি মাংস কিনে আনল।আপনি সেই মাংস খুব সুন্দর করে রান্না করলেন। তারপর সেই কেউ একজন আপনাকে একটুকরো মাংস দিয়ে বাকিটা খেয়ে ফেলল।তখন আপনার নিশ্চয়ই তাকে একটা লাথি দিতে ইচ্ছে করবে!কারন আপনি শ্রম দিয়ে রান্না করেছেন। আর সেই কেউ একজন মাংস কিনেছে বলে পায়ের উপর পা তুলে সব মাংস খেয়ে ফেলেছে। তাই দ্বন্দ্ব কিন্তু অনিবার্য। এখন আমার এই উদাহরন শুনে আপনি কি চিন্তা করবেন সেটাও আমি জানি!আপনি চিন্তা করবেন হাজার কেজি মাংস কিনার ক্ষমতা আপনার আছে! আপনি অন্যকে দিয়ে রান্না করিয়ে তাকে সেই মাংস দিয়ে দেওয়ার মানসিকতাও রাখেন।যদি এভাবেও চিন্তা করেন তবে দেখবেন আপনি এমন ভাবে চিন্তা করছেন যে, যেহেতু আপনি মাংস কিনেছেন তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও আপনার! মানে আপনি নিজেও পুঁজিপতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে শ্রমকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করবেন।এটাই হচ্ছে পুঁজি এবং শ্রমের দ্বন্দ্ব। এখন আপনি আবার এভাবেও চিন্তা করতে পারেন যে, আপনার আছে তাই আপনি নিয়ন্ত্রন করছেন। ফকিরদের নাই, তাই তারা শ্রম দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। কিন্তু আপনার কেন আছে আর তাদের কেন নাই এটা ব্যাখ্যা করতে হলে ব্যক্তিমালিকানাধীন সমাজের সামাজিক এবং পারিবারিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে হবে। আপনি চাইলে সেটাও করতে পারি! :P

আমি আমার লেখাতেই বলেছি এই দ্বন্দ্ব অবসানে মার্ক্সবাদের কোন বিকল্প আমি খুঁজে পাইনি।



১৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

সুমন কর বলেছেন: এত কঠিন বিষয় পড়ুম না..... :( মাথা ব্যাথা করছে, ওটাকে আর বাড়ামু না.... :(

কিন্তু পোস্টে প্লাস। !:#P

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

জেন রসি বলেছেন: ঠিক আছে। মাথা ব্যাথা থাকলে পইড়া দেখতে পারেন।বিষে বিষ ক্ষয় হইলেও হইতে পারে!! :P

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। :)

১৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

শায়মা বলেছেন: সমাজে অল্প কিছু পরিবর্তন ঘটলে সেটাকে পরিমাণগত পরিবর্তন বলা যেতে পারে।কিন্তু সে ক্ষেত্রে সমাজের গুনগত পরিবর্তন হবেনা। সমাজ সম্পূর্ণ নতুন সমাজে পরিনত হলেই তার গুণগত পরিবর্তন হবে।

সম্পূর্ণ নতুন সমাজ? কি করে হবে ভাইয়া? তাহলে তো পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিয়ে এলিয়েনদেরকেই আনতে হবে।:(


যেমন আমরা যদি বলি জিউস অলিম্পাস পাহাড়ের চূড়ার বাস করে।এটি একটি মিথ।এখন আমরা এই মিথকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বাতিল কিংবা গ্রহন করতে পারব না।তাই একে কখনো বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।আবার যদি নিউটনের গতি সূত্রের কথা ভাবি তাহলে দেখা যাবে সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমেই গ্রহন করা হয়েছে।তাই সে সুত্রগুলো বৈজ্ঞানিক সূত্র হিসেবেই বিবেচিত হবে।কিন্তু মার্ক্সের এমন অনেক মতবাদ আছে যাতে ফলসিফায়াবেলিটির অভাব রয়েছে।

ওহ তার মানে হাছন রাজা তত্ব বা মরমীবাদ বা লালনতত্বও কোনোভাবেই বিজ্ঞান না, তা শুধুই দর্শন। তাহলে তো প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া হয়ে গেলো মার্ক্সবাদও বিজ্ঞান না।

@সুমনভাইয়া কষ্ট করে পড়ে ফেলো। এই দেখো আমি কত কষ্ট করে আমার প্রিয় ভাইয়ার পোস্ট প্যারা করে করে পড়ছি!:(

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

জেন রসি বলেছেন: সম্পূর্ণ নতুন সমাজ? কি করে হবে ভাইয়া? তাহলে তো পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিয়ে এলিয়েনদেরকেই আনতে হবে।:(

সমাজের মধ্যেই সমাজ পরিবর্তনের উপাদান থাকে।সমাজের ভিতরে যে অবিরাম দ্বন্দ্ব চলে তার মাধ্যমেই সমাজ পরিবর্তিত হয়। মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে সমাজ ভেঙ্গে অনেকবারই নতুন সমাজ সৃষ্টি হয়েছে। সমাজ একটি বিকাশমান ধারা। তাই সমাজ সবসমই পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রাখবে। আর মানুষই কিন্তু বার বার পুরানো সামজিক রীতি নীতি ভেঙ্গে নতুন সমাজ সৃষ্টি করেছে।এলিয়েনরা কিন্তু করে নাই। ;)

ওহ তার মানে হাছন রাজা তত্ব বা মরমীবাদ বা লালনতত্বও কোনোভাবেই বিজ্ঞান না, তা শুধুই দর্শন। তাহলে তো প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া হয়ে গেলো মার্ক্সবাদও বিজ্ঞান না।

মরমীবাদ বা লালনতত্ব বিজ্ঞান না। একে আধুনিক এবং প্রগতিশীল আধ্যাত্মবাদ বলা যেতে পারে। মানুষের উন্নত চিন্তার জন্য অবশ্যই লালন এবং হাছন রাজার চিন্তাকে ধারন করা যেতে পারে। কিন্তু সামাজিক কাঠামোর পরিবর্তনের ব্যাপারে প্রয়োগের দিক থেকে ভাববাদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে পূর্ব মন্তব্যে আলোচনা করেছি।

২০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৭

শায়মা বলেছেন: পরিশেষে

আধুনিক সভ্যতাকে মার্ক্সবাদ অনেকভাবেই প্রভাবিত করেছে।বিশেষ করে আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে শোষিত মানুষকে শোষণ মুক্তির আন্দোলনে আলোড়িত করেছে মার্ক্সবাদ।মেহনতি মানুষকে দেখিয়েছে উন্নত জীবনের স্বপ্ন।আমিও যখন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন কিংবা পুঁজিবাদের লাগামহীন শোষণ থেকে কিভাবে মুক্ত হওয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবি তখন মার্ক্সবাদের কোন বিকল্প খুঁজে পাইনা।যুগে যুগে অনেক আন্দোলন, দর্শন, সাহিত্য মার্ক্সবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েই সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু আমি যখন মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান কিনা এটা বিভিন্ন স্কলারদের যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং যুক্তি তর্কগুলো পড়ি তখন আমার কাছেও মনে হয় মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান হতে পারেনা।বরং মার্ক্সবাদকে এমন একটি দর্শন হিসেবেই দেখি যার প্রয়োগে সমাজে প্রগতি সম্ভব।কিন্তু তার জন্য মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান কেন হতে হবে তার কোন কারন খুঁজে পাইনা।

মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান হতেই হবে কেনো? দর্শন বা চিন্তা না থাকলে তো বিজ্ঞান আসতোনা। কাজেই এইখানে বিজ্ঞানের চাইতেও শক্তিশালী এই দর্শন । এখন তার সুষ্ঠ প্রয়োগ কিভাবে সম্ভব সেটার জন্য হয়তো আর কাউকে জন্ম নিতে হবে। অনেক জ্ঞান গর্ভ আলোচনা হইলো এইবার আমি চলিলাম।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

জেন রসি বলেছেন: মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান হতেই হবে কেনো? দর্শন বা চিন্তা না থাকলে তো বিজ্ঞান আসতোনা। কাজেই এইখানে বিজ্ঞানের চাইতেও শক্তিশালী এই দর্শন । এখন তার সুষ্ঠ প্রয়োগ কিভাবে সম্ভব সেটার জন্য হয়তো আর কাউকে জন্ম নিতে হবে। অনেক জ্ঞান গর্ভ আলোচনা হইলো এইবার আমি চলিলাম।

সেটা আমিও বলেছি।অর্থাৎ সমাজ পরিবর্তনে প্রয়োগের দিক থেকে মার্ক্সবাদের চেয়ে শক্তিশালী এবং যৌক্তিক কোন দর্শন নেই। রাশিয়া, কিউবাসহ বিভিন্ন দেশে আমরা মার্ক্সবাদ প্রয়োগ করে সমাজ পরিবর্তনের উদাহরন দেখেছি। তাছাড়া মার্ক্সবাদের দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে এবং এখনো অধিকার আদায়ের সংগ্রাম হলে মার্ক্সবাদই পরিবর্তনের অনুপ্রেননা দেয়। তাই সময় এসেছে মার্ক্সবাদকে আরো যৌক্তিক এবং নিখুঁত ভাবে ব্যাখ্যা করার। তাই যারা মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান ভেবে এর সমালোচনা করে না তারা আসলে মার্ক্সবাদের বিকাশের পথকেই অবরুদ্ধ করে।

২১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: প্রিয়তে নিচ্ছি।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইল।

২২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:২৮

রিকি বলেছেন: 'If something is scientific, it must be logically possible to find evidence that can falsify, refute or show it is wrong'.

অর্থাৎ কোন মতবাদকে বিজ্ঞান হতে হলে সেটাকে প্রমানিত হতে হবে।যা কিছুকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে প্রমান করা যায় না তা একটি মতবাদ হতে পারে কিন্তু বিজ্ঞান নয়। পপারের মতে ‘A theory is scientific to a degree to which it is testable.’


এই পোস্টে প্রথম মন্তব্য আমি করতে গিয়ে দুই দুইবার ব্যর্থ হয়েছি, পরে ব্রাউজার হ্যাং হয়ে গিয়েছিল। চেষ্টা বাদ দিয়েছি তারপর। শতদ্রু ভাইয়ের মতই বলবো, খুব বেশি জানিনা এসব বিষয়ে। সিভিক্স রিলেটেড কিছু দেখলেই আমি পালায় !!! অসাধারণ একটা পোস্ট, অসাধারণ উপস্থাপনা, এত কঠিন একটা বিষয়কে এত গুছিয়ে তুলে ধরার জন্য হ্যাটস অফ ভাই। আর যে লাইনগুলো বোল্ড করলাম, কথাগুলো মনে ধরেছে। :) :) :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

জেন রসি বলেছেন: এসব ব্যাপারে আমার আবার আগ্রহের শেষ নাই। তাছাড়া সেই স্কুল থেকেই রুশ সাহিত্য এবং মার্ক্সবাদ দ্বারা অনেক প্রভাবিত হয়েছিলাম। কিন্তু মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান কিনা এ বিষয়ে আমার মনেও সংশয় কাজ করত। তাই সেসব নিয়ে পড়ালেখা করতে গিয়েই এই বিষয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে হল।

হ্যাটস অফের জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

রিভিউ লিখে পুরুস্কার পাইছেন! পার্টি দিবেন কবে?? :P

২৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: " মার্ক্সবাদ, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ এবং বিজ্ঞানঃ একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা"- আমি একজন মানবিক বিভাগের ছাত্র হিসেবে বলব মার্ক্সবাদ একটা কল্পকাহিনী। Suppose, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র চলছে। আর সৌদিআরব রাজা-বাদশাদের শাসন (একনায়কতন্ত্র বলতে পারেন)। কিন্তু, সার্বিক দিক থেকে দেখুন সৌদিয়ারবের একনায়কতন্ত্র-এর কাছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পরাভূত প্রায়। গণতন্ত্র আর একনায়কতন্ত্র কি শুধু নামেই নয়? আর বস্তুবাদ সেতো সয়ং চার্লস ডারউইন আর ওয়ালেস রাসেলই সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু, রিচার্ড ডকিংস কেবল কালক্ষেপণ করছেন। এটা তার রোজগারের পথা বলা যায়। মার্ক্সবাদ আর বস্তুবাদ সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

জেন রসি বলেছেন: মার্ক্সবাদকে ঠিক কল্পকাহিনী বলা ঠিক হবেনা। কারন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে বিশ্লেষণ করলে কিছু ব্যাপারে মার্ক্সবাদকে অবশ্যই যৌক্তিক বলতে হবে।যেমন আপনি বাংলাদেশের গনতন্ত্র এবং সৌদি আরবের একনায়কতন্ত্রের কথা বললেন।গনতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র কিন্তু পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত।আর রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা কিভাবে পুঁজিবাদ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা মার্ক্সবাদ দিয়েছে।কিন্তু মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান না। তাই চার্লস ডারউইন সন্দিহান ছিলেন।কিন্তু পরবর্তীতে ডারউইনের বিবর্তনবাদ দ্বারা মার্ক্সবাদ অনেক দিক দিয়েই প্রভাবিত হয়েছে।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।শুভকামনা জানবেন।

২৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: জেন ভাই, সবার মন্তব্য দেখে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনিত হইলাম যে কেউই আপনার এই মার্ক্স তত্ত্ব ভাল ভাবে বুঝেনি (আমার নিজেরই কনফিউশন এখনও কাটেনি)! :P :P শায়মা আপুনি যতই অংবং বলুক না কেন, সেও যে কতটা বুঝেছে তা জাতির কাছে পরিষ্কার! :P :P

এমনিতেই এত শক্ত কথা বুঝতে গেলে আপনার মত শক্ত মাথার লোক হওয়া লাগবে, আর সেটা যে আমাদের নেই তাতো বুঝতেই পারছেন? তাছাড়া এইটা বোঝার জন্য এলিয়েন তত্ত্বও জানা লাগতে পারে! আর আমার দ্বারা এটা কিছুতেই সম্ভব না! সুতরাং টা....টা......!! :P


ভাই মন্তব্য পড়ে আছে আপনার কোন উত্তর নেই? গেলেনটা কৈ?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

জেন রসি বলেছেন: এ ব্যাপারে সবার ধারনাগুলো একে অপরের সাথে শেয়ার করার জন্যই এই পোষ্ট দিয়েছি। কারন আপনার মত আমারো কিছু ব্যাপারে কনফিউশন আছে!! :P তাই আলোচনা করে চিন্তার সীমাবদ্ধতা কাটানোর চেষ্টা করতেছি।

শায়মা আপু পরীর দেশ থেকে একের পর এক পরী দেশের তত্ত্ব নাজিল করছেন!! :P যা মনে হচ্ছে এবার মানব সমাজ বাদ দিয়ে পরী সমাজের সামাজিক বিবর্তন নিয়া গবেষণা করতে হবে!! :P

আর এই অবস্থায় আপনার মত সাহসী সন্তান যদি নির্বাসনে চলে যায় তাহলে কেমনে হবে!! পরী জগতের এলিয়েন রহস্য খুঁজে বের করতে হবেনা?? ;)

২৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: খুবই কষ্টসাধ্য পোষ্ট ভাই। ভালো লাগা রইল।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

জেন রসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইল।

২৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

আলোরিকা বলেছেন: 'ঠিক একইভাবে হাছন বা লালনের মাঝেও একই সাদৃশ্যের ভোগবাদী বা বস্তুবাদী দর্শন দেখা যায়। তারা কোথাও পি এইচ ডি করেননি। তাদের এই দর্শনের সৃষ্টি হয়েছিলো তাদের অন্তরে তাদের মস্তিস্কে। আর যুগ যুগ ধরে মানুষের মস্তিস্ক প্রসুত কল্পনাই একদিন নানা গবেষনার ফলে বিজ্ঞানরুপে আবির্ভূত হয়েছে। হোক না ছদ্মবিজ্ঞান অথবা প্রকৃত বিজ্ঞান বিজ্ঞান তো। আর বিজ্ঞান মানেই সত্যের অনুসন্ধান।' - ঠাণ্ডা পানি মাথায় ঢালার প্রতিক্রিয়া দেখেছেন রেসি ভাইয়ু ! হ্যাটস অফ টু শায়মা আপুনি :)

আমি শুধু বলতে চাই - পথ পথিকের সৃষ্টি করেনা , পথিকই পথের সৃষ্ট করে । তুমি তোমার টা খুঁজে নাও :)

বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট , আমি এই বিষয়গুলো একটু কম বুঝতে চাই , শুভ কামনা :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

জেন রসি বলেছেন: আসলেই হ্যাটস অফ টু শায়মা আপুনি :) । আপু মাথায় ঠাণ্ডা পানি দিয়েছেন কারন মাথা গরম ছিল।এখন সেই ঠাণ্ডা পানি গরম মাথায় পড়ে কিঞ্চিৎ গরম হয়ে গেছে।সেই কুমকুম গরম পানিতে আপু ভাববাদের বস্তুবাদী প্রতিফলন দেখেছেন! :P

আমি শুধু বলতে চাই - পথ পথিকের সৃষ্টি করেনা , পথিকই পথের সৃষ্ট করে । তুমি তোমার টা খুঁজে নাও :)

আসলেই সমাজের প্রয়োজনে, সময়ের প্রয়োজনে মানুষই পথের সৃষ্টি করে। আর এভাবেই আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সমাজকে পরিবর্তিত হতে দেখেছি। তাই পরম সত্য ভেবে কিছুকে অযৌক্তিক ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকলে নতুন পথের সন্ধান পাওয়া যায় না।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।ভালো থাকুন সবসময়।শুভকামনা রইল। :)

২৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

আবু শাকিল বলেছেন: ভাই আমি যে আপনার সাথে আছি ,জানান দিয়ে গেলাম।
মুল লেখা এবং মন্তব্য সহ পড়তে সময় নিয়ে আসতে হবে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

জেন রসি বলেছেন: আপনি আছেন জানতে পেরে অনেক আনন্দিত হলাম।

ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা রইল।

২৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে তোমার মাংসবাদ, সমাজবাদ, লালনবাদ হাছনবাদ এবং পরিশেষে এগেইন মার্ক্সবাদ নিয়ে আবারও আমি আসছি। মাথাটা এখনও ঠান্ডা হয়নি তাই ঠান্ডা করে আসি।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

জেন রসি বলেছেন: মাথা ঠাণ্ডা কইরা যে তত্ত্ব নিয়া আসবেন সেটা বুঝার জন্য নিশ্চিত আমার মাথাকে ঠাণ্ডা গরমের উর্দ্ধে রাখতে হবে!! :P ;)

২৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

রিকি বলেছেন:

নেন এটার পার্টির আরম্ভ !!!!! ;) খাওয়ার দাওয়ার এখনও প্লেনে করে আসছে। B-))

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

জেন রসি বলেছেন: ঘটনা বুঝতে পেরেছি। কিছুক্ষন পর বলবেন খাবার দাবারের প্লেন আইএস ছিনতাই করে নিয়ে গেছে! সেইখানে আবার রাশিয়া আক্রমন করে প্লেন ইরান পাঠাইয়া দিছে। সেই প্লেন আবার আমেরিকা হুমকি ভেবে চুরি কইরা নিজেদের দেশে নিয়া গেছে। যা বুঝছি সেই প্লেনের খাবার খাইতে হইলে বিপ্লব ছাড়া উপায় নাই। ;)

৩০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মার্ক্সবাদ এমনি একটি ব্যাপার স্যাপার যা পড়লে বা এই বিষয়ে কারো আগ্রহ থাকলে দেখা যাবে সে ব্যাক্তি সমাজের কিছু বিভেদ-বৈষম্য, যুক্তিকতা বা অযোক্তিকতা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। এসব যৌক্তিক অযৌক্তিক দ্বিধাদ্বন্দে একটা সময় মাথা ঘামাতে শুরু করবে সে নিজেই। মার্ক্সবাদ এ জটিল বিষয়টি নিয়ে তরুন বয়সেই সাধারণত আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আমার দেখা মানুষগুলোর মাঝে আমি তাই দেখেছি তাই মার্ক্সবাদ মানেই আমার কাছে তারুন্যের প্রতীক। আর সমাজ তো বদলাবে তরুনেরাই।
মার্ক্সবাদের প্রয়োগ এর যথার্থতা পায়নি বটে তবে অসফলতার মধ্য দিয়েও সফলতা সম্ভব এবং এটাই হয়ে আসছে যুগে যুগে। অন্ধবিশ্বাস বা বিশ্বাস তাতেও মিলায় বস্তু। বিজ্ঞান হিসাবে স্বীকৃতি না পেলেও মার্ক্সবাদের অর্জন তা যত কম বা অসফল হোক না কেনো সেও তো কম নয়।
হেগেল, ফুয়েরবার্ক বা মার্ক্স এরা সমাজের পথিকৃত। সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন একজন দেখলেই সেই তা পূরণ করতে পারবে এমন নয় তবে সেই স্বপ্ন ছড়িয়ে যাক কোটি তরুন প্রাণে। শোষনমুক্ত সমাজ গড়তে অনেক আত্মত্যাগই প্রয়োজন আর আত্মত্যাগ ছাড়া কি কিছু হয়? চলুক যৌক্তিক বিশ্লেষন , পরিবর্তন হোক সমাজের শোষন শাসন। গড়ে উঠুক সুস্থ্য সুন্দর সুষ্ঠ সমাজ ব্যাবস্থা।
অজস্র শুভকামনা আপনার জন্য জেন রসি।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

জেন রসি বলেছেন: মার্ক্সবাদ এমনি একটি ব্যাপার স্যাপার যা পড়লে বা এই বিষয়ে কারো আগ্রহ থাকলে দেখা যাবে সে ব্যাক্তি সমাজের কিছু বিভেদ-বৈষম্য, যুক্তিকতা বা অযোক্তিকতা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। এসব যৌক্তিক অযৌক্তিক দ্বিধাদ্বন্দে একটা সময় মাথা ঘামাতে শুরু করবে সে নিজেই। মার্ক্সবাদ এ জটিল বিষয়টি নিয়ে তরুন বয়সেই সাধারণত আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আমার দেখা মানুষগুলোর মাঝে আমি তাই দেখেছি তাই মার্ক্সবাদ মানেই আমার কাছে তারুন্যের প্রতীক। আর সমাজ তো বদলাবে তরুনেরাই

মার্ক্সবাদের সার্থকতা এখানেই যে, এই মতবাদ সমাজে শ্রেণী বৈষম্যের ব্যাপারটাকে খুব যৌক্তিক ভাবে বিশ্লেষণ করেছে। শুধু বিশ্লেষণেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং কিভাবে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় সে ব্যাপারেও যৌক্তিক দিক নির্দেশনা দিয়েছে।কিন্তু সকল সামাজিক মতবাদেরই কালকে অতিক্রম করতে না পারার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আর এই সীমাবদ্ধতার কারনেই অনেক সময় প্রয়োগের দিক থেকে কিছু ভুল হয়ে যায়। আর আধুনিক এই জটিল বিশ্বের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বুঝতে হলে মার্ক্সবাদকে অবশ্যই বুঝতে হবে।

মার্ক্সবাদের প্রয়োগ এর যথার্থতা পায়নি বটে তবে অসফলতার মধ্য দিয়েও সফলতা সম্ভব এবং এটাই হয়ে আসছে যুগে যুগে। অন্ধবিশ্বাস বা বিশ্বাস তাতেও মিলায় বস্তু। বিজ্ঞান হিসাবে স্বীকৃতি না পেলেও মার্ক্সবাদের অর্জন তা যত কম বা অসফল হোক না কেনো সেও তো কম নয়।

বারবার প্রয়োগের ফলেও সফল না হওয়ার কারন খুঁজলে দেখা যাবে অন্ধবিশ্বাস এবং অযৌক্তিক বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে থাকার জন্যই এমনটা হচ্ছে। তাই মার্ক্সবাদের সফল প্রয়োগের জন্য অবশ্যই ত্রুটিুলো খুঁজে বের করতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইল।

৩১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

রিকি বলেছেন:

প্লেন এই ধরণের পরাবাস্তব গতিতে এগোচ্ছে তো, তাই একটু দেরী হচ্ছে আর কি !!!! চলে আমার পিলেন (প্লেন !!! ) হাওয়ার বেগে উইরা উইরা !!!!! ;) ;)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

জেন রসি বলেছেন: আপনার পিলেন (প্লেন !!! ) মুক্তিবেগ ভেদ কইরা কোন গ্যালাক্সিতে চইলা গেছে কে যানে!! ;) এখন মনে হইতেছে এই প্লেন উদ্ধারে শায়মা আপুর এলিয়েন তত্ত্ব প্রয়োগ করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই!! :P

৩২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শায়মা বলেছেন: ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১ ১
লেখক বলেছেন: মাথা ঠাণ্ডা কইরা যে তত্ত্ব নিয়া আসবেন সেটা বুঝার জন্য নিশ্চিত আমার মাথাকে ঠাণ্ডা গরমের উর্দ্ধে রাখতে হবে!! :P ;)


X(( X(( X((

আজকে খবর আছে। এখনও আমার পড়ালেখার কাজ চলিতেছে। শেষ হোক কত ধানে কত চাল গুনে গুনে দেখাবো। আমার সাহসী ভাইয়া আর রিকি আপুকে কি বলছো আমি সব দেখছি। তত্ব কত প্রকার ও কি কি সবই জানাবো আজকে। শুধু একটু ফ্রি হয়ে নেই!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

জেন রসি বলেছেন: পড়ালেখার কাজ না কইরাই যা দেখাইছেন তাতে ধান চাল সব বাষ্প হয়ে উড়ে গেছে!! :P পড়ালেখা কইরা আসলে মনে হয় ধান চালও এলিয়েন হয়ে অন্য কোন গ্যালাক্সিতে গিয়ে ভাত হয়ে যেতে পারে!! :P

৩৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

ভারসাম্য বলেছেন: বিভ্রান্তিটা আসলে 'বিজ্ঞান' শব্দের সরলীকরণের কারনে হয়েছে। যদি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, যেমন পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এই ধরনের 'বিজ্ঞান' হিসেবে 'মার্কসবাদ' কে চিন্তা করা হয়, তাহলে 'মার্কসবাদ' বিজ্ঞান নয় অবশ্যই। কিন্তু যদি সমাজ বিজ্ঞান, যেমন অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান ইত্যাদি হিসেবে ভাবা হয়, তাহলে হয়তো মার্কসবাদকে 'সমাজ বিজ্ঞান' এর কোন শাখায় ফেলা গেলেও যেতে পারে।

পোস্টে +++ ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

জেন রসি বলেছেন: সমাজ বিজ্ঞান এবং ন্যাচারাল সাইন্সের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।কিন্তু মার্ক্সবাদীরা মার্ক্সবাদকে সকল বিজ্ঞানের সমন্বিত রুপ বলেই মনে করে। কিন্তু যৌক্তিক ভাবে মার্ক্সবাদকে বিশ্লেষণ করলে মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান বলা যাবেনা।তবে মার্ক্সবাদকে অবশ্যই সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা বলা যেতে পারে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।

৩৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: এইসব কঠিন কঠিন বাদ দ্বন্ধ আমার মগজের উপ্রে দিয়া যায়।তবে আজকে বুঝার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়লাম আপনার লেখা ।
লেখার জন্য ধন্যবাদ ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

জেন রসি বলেছেন: পড়েছেন জেনে অনেক আনন্দিত হলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইল।

৩৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

এস কাজী বলেছেন: জিনি মামা এ্যাগজ্যাম নিয়ে বেকায়দায় এত উচ্চমার্গীয় পোস্ট এখন পড়ছি না। তবে হাজিরা দিয়ে গেলাম। মামা শ্বাশুর বলে কথা B-)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

জেন রসি বলেছেন: মন দিয়া পড়া লেখা কইরা সুস্থ দেহে এক্সাম দেন!! :P এক্সামে খারাপ করলে কিন্তু এইটা পাত্রের ত্রুটি হিসেবে বিবেচিত হবে! ;) হাজিরা দিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ এক্সাম! :)

৩৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: জিনি ভাউ, আপুনি কি আপনারে হুমকি দিয়া গেল নাকি বুঝবার পারতাছি নাতো? :( আমি অবশ্য ব্যাপারটাকে ততটা আমল দিচ্ছিনা, :|| কারন আমার কাছে কিন্তু একদেড়'শ লোক কিচ্ছু না যদি আমার দৌঁড়ানোর রাস্তা ক্লিয়ার থাকে তাইলে! :P গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুনছি আপনার নাকি আবার বাতের ব্যায়রাম? :`> সুতরাং আগেই দৌঁড়াইয়া কিছুটা রাস্তা আগাইয়া রাখেন, নইলে কিন্তু পিছনে পইড়া ধরা খাওনের চান্স আছে কইলাম? :P

রিকি আপুর পার্টিতে কি এই অধমের একটু দাওয়াত হয় না? পাটি-ফাটি লাগবো না, একটু বিছেন হইলেই যথেষ্ট.......!! :P

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

জেন রসি বলেছেন: আপু পরী রাজ্যে বইসা আমাদের হুমকি দিলে আমরা ভয় পাব নাকি??আমরা সাহসী মানব সম্প্রদায়!!অলৌকিক রাজ্যের অলীক হুমকিকে আমারা ভয় পাইনা। কারন আমাদের আছে অলৌকিককে লৌকিক করে ফেলার বিশেষ এক ক্ষমতা!! ;) আপনার গোপন সংবাদদাতা নিশ্চিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত!! :P আমি অলিগলির সন্ধানে আছি!!বিপদ দেখলেই নাই হয়ে যাব!! :P

রিকি আপুর পার্টি মনে হয় এই গ্রহে হবে না!! কোন গ্রহে হবে সেইটা বুঝতে হলে শায়মা আপুর এলিয়েন তত্ত্ব বুঝতে হবে!!! :P

৩৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক তাত্ত্বিক আলোচনা। মন্তব্যগুলোও পড়লাম।

যারা মার্ক্সকে একদম সেকেলে বা অবাস্তব বলে ফেলে দিতে চায় এবং যারা এখনও তার দর্শন নিয়ে হাতিঘোড়া মারে, তাদের উচিত এই লেখাটি ভালোভাবে পড়া। একটা ভারসাম্য চলে আসবে।

ব্যক্তিগতভাবে আমি মার্ক্সকে শ্রদ্ধা করি, কারণ পুঁজিবাদ নির্মূলের প্রধান হাতিয়ারটি তার তত্ত্ব থেকেই এসেছিল। পরবর্তিতে তার তত্ত্বের শিক্ষার্থী হয়ে কিছু সাম্যবাদী অর্থনীতিবিদ তার বিপক্ষ অবস্থান সৃষ্টি করেন। সেটি হয় আরও উত্তম এক তত্ত্ব। (দৃষ্টান্ত: ম্যাক্স ওয়েবার)। অতএব মার্ক্স ছিলেন সেই ভিত-নির্মাণকারী শক্তিমান সংস্কারক। মার্ক্সকে বাদ দিয়ে নয়, মার্ক্সকে নিয়েই গড়ে ওঠেছে শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ।

আপনাকে ধন্যবাদ :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৮

জেন রসি বলেছেন: মার্ক্সবাদকে কোনভাবেই সেকেলে ভেবে বাতিল করে দেওয়া যাবে না। কারন বর্তমান বিশ্বের আর্থ-সামাজিক অবস্থা যদি আমারা বিশ্লেষণ করি তবে দেখব শ্রেণী দ্বন্দ্ব আরো প্রকট রুপ ধারন করছে। ধনী আরো ধনী হচ্ছে এবং গরিব আরো গরিব হচ্ছে।পৃথিবীর সম্পত্তির মালিকানা মাত্র এক ভাগ মানুষের হাতে পুঞ্জিভূত হয়ে আছে।অপর দিকে বাজার দখলের নামে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর আগ্রাসন দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে।বাজার দখলের জন্য কৃত্তিম সংকট তৈরি করে ভহাবহ যুদ্ধের আয়োজন করা হচ্ছে।যার ভয়াবহ প্রভাব তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে ফেলছে।তাই পুঁজিবাজারের লাগামহীন আগ্রাসনকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য সমাজতন্ত্রের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই

কিন্তু অপরদিকে আমরা দেখেছি বিভিন্ন দেশে মার্ক্সবাদ প্রয়োগের নামে চলেছে ভয়াবহ সামাজিক আগ্রাসন।সোভিয়েত ইউনিয়নে একটা সময় মার্ক্সবাদকে অভ্রান্ত প্রমান করার জন্য মার্ক্সবাদের সাথে মিল নেই এমন সকল বৈজ্ঞানিক গবেষণা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এমনকি মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান প্রমান করার জন্য কিছু বিজ্ঞানীকে বিজ্ঞানের নামে অযৌক্তিক গবেষণায় বাধ্য করা হয়েছিল।মার্ক্সবাদকে পরম সত্যের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার এসব প্রচেষ্টার কারনেই এই মতবাদ বিকাশের পথ হারিয়ে ফেলে। শ্রদ্ধেয় মার্ক্সের শিখিয়ে দেওয়া পথেই তাই যেকোনো মতবাদকে অন্ধের মত অনুকরণ না করে বরং যৌক্তিক ভাবে বিশ্লেষণ করে বিকাশের পথকে খোলা না রাখলে তা কখনোই কালকে অতিক্রম করতে পারবে না।

সুচিন্তিত এবং যৌক্তিক মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।শুভকামনা রইল। :)

৩৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

রিকি বলেছেন: রিকি আপুর পার্টিতে কি এই অধমের একটু দাওয়াত হয় না? পাটি-ফাটি লাগবো না, একটু বিছেন হইলেই যথেষ্ট.......!! :P সাহসী সন্তান বলেছেন:

রিকি আপুর পার্টি মনে হয় এই গ্রহে হবে না!! কোন গ্রহে হবে সেইটা বুঝতে হলে শায়মা আপুর এলিয়েন তত্ত্ব বুঝতে হবে!!! :P লেখক বলেছেন:

ভাই খারাপ আবহাওয়ার কারণে উগান্ডাতে এখনও প্লেন পৌঁছাতে পারেনি !!!! সেখান থেকে কয়েকটা এলিয়েনের ভাস্তাভাস্তি নিয়ে প্লেন বাংলাদেশে আসবে !!!! ;) আমার পার্টিতে সবাই ইনভাইটেড। :D

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

জেন রসি বলেছেন: খারাপ আবহাওয়া কি ন্যাচারাল সংকট নাকি বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য আবহাওয়ার পাশে খারাপ বিশেষণ লাগানো হইছে সেটা নিয়া গবেষণা করতে হবে। ;) প্লেন সরসরি বুড়িগঙ্গা নদীতে পতিত না হয়ে কেন উগান্ডা যাবে সেটাও এক রহস্য।আমাদের দেশের দেশীয় এলিয়েন থাকতে কেন উগান্ডা থেকে এলিয়েন নিয়ে আসতে হবে?? :P পার্টির নামে আন্তর্জাতিক এবং মহাজাগতিক ষড়যন্ত্রের আভাস পাইতেছি। ;)

৩৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০০

প্রামানিক বলেছেন: লেখায় মুগ্ধতা রেখে গেলাম। অনেক সাজানো লেখা। ভাল লাগল।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। আগ্রহ থেকেই এই লেখা।ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। শুভেচ্ছা। :)

৪০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: লেখক বলেছেন: খারাপ আবহাওয়া কি ন্যাচারাল সংকট নাকি বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য আবহাওয়ার পাশে খারাপ বিশেষণ লাগানো হইছে সেটা নিয়া গবেষণা করতে হবে। ;) প্লেন সরসরি বুড়িগঙ্গা নদীতে পতিত না হয়ে কেন উগান্ডা যাবে সেটাও এক রহস্য।আমাদের দেশের দেশীয় এলিয়েন থাকতে কেন উগান্ডা থেকে এলিয়েন নিয়ে আসতে হবে?? :P পার্টির নামে আন্তর্জাতিক এবং মহাজাগতিক ষড়যন্ত্রের আভাস পাইতেছি।

-ভাই এ সম্পর্কিত বিষয়ের উপর সঠিক তদন্তের জন্য ঊনচব্বিশ জন বাংলাদেশি এলিয়েনের বিশিষ্ট সদস্যদের নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা যেতে পারে! এবং তদন্ত শেষ হলে তার শেষ পৃষ্টায় খুবই সুন্দর বড় বড় অক্ষরে লেখা থাকবে 'আগামী চব্বিশ ঘন্টার ভিতরে রিকি আপু পার্টি না দিলে তিনি যেকোন মূহুর্ত্বে গুম হয়ে যেতে পারেন'! :P কোন রকম ছল চাতুরিতে কাজ হবে না..........!! :P

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

জেন রসি বলেছেন: ভাই, আমার ধারনা রিকি আপু নিজেই প্লেনসহ অন্য গ্রহে গুম হয়ে গেছে। :P তাই তিনি এলিয়েনদের উপর দোষ চাপিয়ে ভাবের জগতে বিচরন করছেন। ;) এই ব্যাপারে শায়মা আপুর এলিয়েন তত্ত্ব মনে হয় রিকি আপুকে প্রভাবিত করেছে! তাই আমি বস্তুবাদ নিয়ে এই পোষ্ট দিয়েছি! যেন তাহারা ভাবজগতের বিমূর্ত দাওয়াত না দিয়ে আমাদেরকে জাগতিক ভাবে দাওয়াত দেন। :P তখন আমরা দাওয়াত খেয়ে একটা বিড়ি ধরাইয়া বস্তুবাদ এবং ভাববাদের সাথে ভোগবাদের সম্পর্ক নিয়া আলোচনা করব!! ;)

৪১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: সব ঠিক আছে। তবে শেষে এই বিড়ি খাওয়ার ব্যাপারটা মনে হয় ওনারা ঠিক-ঠাক মত মানতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। ভাই আমার মনে হয় সম্ভাবত দু'জনই আজ কোন গোপন স্থানে বৈঠকে বসছেন, তা না হলে ক্যামনে দু'জন একসাথে ব্লগ ছাড়া হয়ে যান? খবর লাগান তো, ওনাদের গোপন বৈঠকের উপরে আমি পারমানবিক বিষ্ফোরন ঘটাবো! :P

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

জেন রসি বলেছেন: হুমমমমম.......চিন্তার বিষয়!! :P

৪২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




অত্যন্ত ভাবগম্ভীর বিষয়ের সাথে প্রাপ্ত মন্তব্যগুলি আর তার উত্তরগুলিও এক একটি সমৃদ্ধ দর্শন হয়ে গেছে । ঋদ্ধ আলোচনায় ভরপুর এমন একটি লেখার জন্যে “প্রিয় পোষ্ট তালিকায় নিন” বোঝাতে যে কমলা রঙের তারকাটি দেয়া আছে তাতে আলগোছে টোকা মারতেই হয় ।

এবারে নিজের কিছু দর্শন - এটাকে আপনি দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ বা ভাববাদ না বলে স্রেফ কট্টর বাস্তববাদ বললেই ভালো করবেন ।
সকল তন্ত্রকেই নিজস্ব মন্ত্রে ছাপ মারা থেকে শুরু করে সব দর্শনকেই “ধর্ষন” (দুঃখিত এই শব্দটি ব্যবহারে ) করে ছেড়ে দিয়েছে মানুষই তার নিজস্ব প্রয়োজনে । প্রয়োজন যেমন উপায় উদ্ভাবন করে অর্থাৎ সৃষ্টি করে তেমনি আবার প্রয়োজনই তাকে ধংসও করে । কারন বেঁচে থাকার প্রতিযোগিতায় মানুষকে সেই আদ্দিকাল থেকেই খাদ্যপ্রাপ্তি, ফসলী জমির মালিকানা সহ উৎপাদনের যাবতীয় হাতিয়ারকে নিজের কব্জায় আনতে হয়েছে । মানুষের ইতিহাসের শুরুতে এই কব্জা করার সংস্কৃতি ছিলো দলবদ্ধভাবে কোনও বিশেষ গোষ্ঠীকৃত । অর্থাৎ “কমিউন” ধর্মী । লড়াইটা ছিলো গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে । এখন এই লড়াইটা গোষ্ঠীর পরিবর্তে ব্যক্তিতে এসে দাঁড়িয়েছে । কমিউন এখন আউট অব বাউন্ড হয়ে
“ওয়ান ইউনিট” এ এসে ঠেকেছে । তাই টিকে থাকা এবং ভালোভাবেই টিকে থাকার স্বার্থে ব্যক্তি মানুষকে অবশ্যই ক্ষমতাবান এবং সম্পদশালী হতে হয় এবং এটি হতে গিয়ে তাকে মানুষেরই সৃষ্ট সব বিধিনিষেধ তথা তন্ত্র, ত্বাত্তিকতা এমনকি ধর্মীয় নির্দেশাবলীকেও সুচতুরতার সাথে ব্যবহার করতে হয় । তাই মার্কস বলুন আর হেগেল বলুন, দেকার্ত বলুন আর কান্ট বলুন কোনও কিছুতেই তার ঠাঁই নেয়া চলেনা । এখন সব ভাববাদ , বস্তুবাদ আর যতো “বাদ” এর কথাই বলুন না কেন , “নিজস্ববাদ” ( Selfism) এর বাইরে আর কোনও বাদেরই অস্তিত্ব নেই । মানুষ এগুলিকেই ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে নিজের স্বার্থে আনবেই আনবে । তাই সোশ্যালিজম মার খাবে , কমিয়্যুনিজমকে ঝাঁট দিয়ে বিদেয় করতে হবে । বর্তমানের টোল খাওয়া ক্যাপিটালিজমকে নিজ নিজ সুবিধা মতো বাহারী রঙের হিজাব পরিয়ে পেশ করা হবে । যাতে তার সুরতের রোশনাই বাড়ে ।
শুধু বাদ রয়ে গেল মার্কস বর্নিত – “ ইউটোপিক কমিয়্যুনিজম “ বা “ ইউটোপিয়া”। আমরা এখনো এখানে আসতে পারিনি । তাই এর আলোচনা আজকাল অচল ।

এবারে দর্শন প্রসঙ্গে আসি ----দর্শন হলো অনুমিত জ্ঞান , প্রতিষ্ঠিত সত্য নয় যাকে বিজ্ঞান বা বিশুদ্ধ জ্ঞান বলা হয় । দর্শনের কাজ হলো কোনও কিছু আবিষ্কার করা নয়, বরং প্রচলিত বিশ্বাস আর ধারনার যৌক্তিক মূল্যায়ন ।
আর বিজ্ঞান হলো পর্য্যবেক্ষন, পরীক্ষন লব্ধ বিশুদ্ধ জ্ঞান । তাই বলে মূল্যবোধ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব কিন্তু বিজ্ঞানের কাছে পাবেন না । এটা দর্শনের কাজ ।
বিজ্ঞান আর দর্শনের পার্থ্যকটা এভাবে দিই – জগদীশ চন্দ্র বসু পদার্থ বিজ্ঞানী হয়েও বৃক্ষের কাছে গেছেন । যে অনুসন্ধিৎসা আর সংবেদনশীলতা তাঁর অন্তরে ছিল তার উপর ভর করেই সেখানে গিয়ে প্রমান করলেন, উদ্ভিদ নীরব থাকে বটে কিন্তু তাদেরও প্রান আছে আমাদের মতো । আছে আমাদের মতোই মায়া মমতা আর স্পর্শকাতরতা । অর্থাৎ তিনি অব্যক্তকে ব্যক্ত করলেন । এটা বিশুদ্ধ জ্ঞান মানে , বিজ্ঞান ।
এই একই কাজটি করলেন রবীন্দ্রনাথও । প্রকৃতিতে , সমাজে , দেশ-কালে আর বিশেষ করে মানব মনের অন্তরালে যে সব না বলা কথা রয়েছে , তাকে ব্যক্ত করলেন কবিতায় , গানে . গল্পে । এক্ষেত্রে তিনিও অব্যক্তকে ব্যক্ত করার কাজটিই করেছেন । তবে তার এই কাজটি কিন্তু বিজ্ঞান নয় । ওগুলো দর্শন । রাবীন্দ্রিক দর্শন । এতে আত্মার ক্ষুন্নিবৃত্তি হয়ে চিত্তরঞ্জন ঘটে বটে , কিন্তু পেটের ক্ষুধা মরেনা । পেটের ক্ষুধার জন্যে বিজ্ঞানের কাছেই হাত পাততে হয় প্রকারন্তরে ।

সকল মতবাদের যতোই সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পটভূমি থাকুক না কেন সবই নিজস্ববাদের কাছে গো-হারা হেরে বসে আছে । আর জানেনই তো , প্রতিটি মানুষ মাত্রেই একজন দার্শনিক , বৈজ্ঞানিক হতে পারুক আর না পারুক ।

যথেষ্ট সুন্দর আলোচনার অবতারনা করেছেন । আরো প্রাসঙ্গিক আলোচনা হোক , এটা কাম্য ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

জেন রসি বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য পড়ে আমার এই বিষয় নিয়ে লেখার প্রয়াস সার্থক মনে হচ্ছে।অত্যন্ত যৌক্তিক ভাবে বাস্তবতার নিরিখে আপনি দর্শন, বিজ্ঞান,রাজনীতি এবং মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা এক কথায় অসাধারন।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সকল তন্ত্রকেই নিজস্ব মন্ত্রে ছাপ মারা থেকে শুরু করে সব দর্শনকেই “ধর্ষন” (দুঃখিত এই শব্দটি ব্যবহারে ) করে ছেড়ে দিয়েছে মানুষই তার নিজস্ব প্রয়োজনে । প্রয়োজন যেমন উপায় উদ্ভাবন করে অর্থাৎ সৃষ্টি করে তেমনি আবার প্রয়োজনই তাকে ধংসও করে । কারন বেঁচে থাকার প্রতিযোগিতায় মানুষকে সেই আদ্দিকাল থেকেই খাদ্যপ্রাপ্তি, ফসলী জমির মালিকানা সহ উৎপাদনের যাবতীয় হাতিয়ারকে নিজের কব্জায় আনতে হয়েছে । মানুষের ইতিহাসের শুরুতে এই কব্জা করার সংস্কৃতি ছিলো দলবদ্ধভাবে কোনও বিশেষ গোষ্ঠীকৃত । অর্থাৎ “কমিউন” ধর্মী । লড়াইটা ছিলো গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে । এখন এই লড়াইটা গোষ্ঠীর পরিবর্তে ব্যক্তিতে এসে দাঁড়িয়েছে । কমিউন এখন আউট অব বাউন্ড হয়ে ওয়ান ইউনিট” এ এসে ঠেকেছে । তাই টিকে থাকা এবং ভালোভাবেই টিকে থাকার স্বার্থে ব্যক্তি মানুষকে অবশ্যই ক্ষমতাবান এবং সম্পদশালী হতে হয় এবং এটি হতে গিয়ে তাকে মানুষেরই সৃষ্ট সব বিধিনিষেধ তথা তন্ত্র, ত্বাত্তিকতা এমনকি ধর্মীয় নির্দেশাবলীকেও সুচতুরতার সাথে ব্যবহার করতে হয় । তাই মার্কস বলুন আর হেগেল বলুন, দেকার্ত বলুন আর কান্ট বলুন কোনও কিছুতেই তার ঠাঁই নেয়া চলেনা । এখন সব ভাববাদ , বস্তুবাদ আর যতো “বাদ” এর কথাই বলুন না কেন , “নিজস্ববাদ” ( Selfism) এর বাইরে আর কোনও বাদেরই অস্তিত্ব নেই । মানুষ এগুলিকেই ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে নিজের স্বার্থে আনবেই আনবে । তাই সোশ্যালিজম মার খাবে , কমিয়্যুনিজমকে ঝাঁট দিয়ে বিদেয় করতে হবে । বর্তমানের টোল খাওয়া ক্যাপিটালিজমকে নিজ নিজ সুবিধা মতো বাহারী রঙের হিজাব পরিয়ে পেশ করা হবে । যাতে তার সুরতের রোশনাই বাড়ে ।

সেই আদিম সমাজ ব্যবস্থা থেকে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায় যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তবে দেখব সমাজ একটা বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে একধরনের সৃষ্টি এবং ধ্বংসের চক্রে বারবার আবর্তিত হয়েছে।এই আবর্তন কখনো সরলরৈখিক পথে হয়েছে আবার কখনো বক্র পথে।মানুষ যখনই কোন নতুন জ্ঞান আরোহণ করেছে তখনই নতুন সমাজ সৃষ্টির তাগিদ অনুভব করেছে।যেমন মানুষ যখন পশুপালন করতে শিখল এবং পরবর্তীতে চাষাবাদের কাজ শিখল তখনই কিন্তু ব্যাক্তিমালিকানার সৃষ্টি হলো।কারন মানুষ তখন নিজেদের ব্যাক্তিগত অর্জনগুলোকে ধরে রাখতে চেয়েছিল।আর তার একমাত্র উপায় ছিল পরিবার প্রথা।অর্থাৎ বংশবিস্তারের মাধ্যমে মালিকানার হস্তান্তর।আর এভাবেই শুরু হলো সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য।তাই এই সামন্তবাদি প্রথাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল সমাজ, রাজনীতি এবং ধর্মের কাঠামো যেসব আবার উপকাঠামো হিসেবেই মূল শাসন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করত।

তারপর যখন নিত্য নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে পর শিল্প বিপ্লব ঘটল তখন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন দিকে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটল।ফলে সেই পুরানো সামন্তবাদি সমাজের ধ্বংস অনিবার্য হয়ে উঠল।কিন্তু একসময় পুঁজির আগ্রাসনে যখন একটা বিশাল শ্রেণীর মানুষ শোষিত হতে থাকে তখনই সমাজতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা আবশ্যক হয়ে উঠে।আর মার্ক্সবাদকে কেন্দ্র করেই সেটা হয়।সেখানেও কিন্তু সর্বহারা মানুষের এক নায়কতন্ত্র প্রতিস্ঠার কথা বলা হয়েছে।অর্থাৎ গোষ্ঠীবদ্ধ স্বার্থ এখানেও ছিল।এখন এই আধুনিক সভ্যতার জটিল এক আর্থ সামাজিক অবস্থায় আপাত দৃষ্টিতে ব্যাক্তি মানুষকে বিচ্ছিন্ন মনে হলেও শ্রেণী বৈষম্য এবং শ্রেণী দ্বন্দ্ব কিন্তু এখনো আছে। আপনি দেখতে পাবেন পৃথিবীর মানচিত্রে এমন কিছু দেশ আছে যেসব দেশের অধিকাংশ নাগরিক অধিকার পায়।আবার কিছু দেশ আছে যেখানকার অধিকাংশ নাগরিক সকল রকম নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্ছিত।তাই আদিম সমাজের সেই গোষ্ঠীবদ্ধ স্বার্থ আজ প্রবলভাবে রাষ্ট্রীয় সমীকরণে এসে দাঁড়িয়েছে।আবার রাষ্ট্রের মধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব।

তবে একটা ব্যাপার লক্ষ করা যায়।আর তা হলো সেই আদিম সমাজ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকল শাসকগোষ্ঠী যুগলব্ধ জ্ঞান এবং দর্শন নিজেদের স্বার্থে এবং নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই ব্যবহার করেছে। এটা সামন্তবাদিরা যেমন করেছে, পুঁজিবাদীরা যেমন করেছে তেমনি কম্যুনিস্ট শাসকরাও করেছে। তাই গোষ্ঠী স্বার্থ কিংবা শ্রেণী দ্বন্দ্ব কিন্তু এই আধুনিক সমাজেও খুব প্রবল ভাবে অস্তিত্বশীল যেখানে ব্যাক্তি মানুষ বিচ্ছিন্ন কোন সামাজিক স্বত্বা না।

শুভেচ্ছা জানবেন। :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২২

জেন রসি বলেছেন: এবারে দর্শন প্রসঙ্গে আসি ----দর্শন হলো অনুমিত জ্ঞান , প্রতিষ্ঠিত সত্য নয় যাকে বিজ্ঞান বা বিশুদ্ধ জ্ঞান বলা হয় । দর্শনের কাজ হলো কোনও কিছু আবিষ্কার করা নয়, বরং প্রচলিত বিশ্বাস আর ধারনার যৌক্তিক মূল্যায়ন ।
আর বিজ্ঞান হলো পর্য্যবেক্ষন, পরীক্ষন লব্ধ বিশুদ্ধ জ্ঞান । তাই বলে মূল্যবোধ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব কিন্তু বিজ্ঞানের কাছে পাবেন না । এটা দর্শনের কাজ ।
বিজ্ঞান আর দর্শনের পার্থ্যকটা এভাবে দিই – জগদীশ চন্দ্র বসু পদার্থ বিজ্ঞানী হয়েও বৃক্ষের কাছে গেছেন । যে অনুসন্ধিৎসা আর সংবেদনশীলতা তাঁর অন্তরে ছিল তার উপর ভর করেই সেখানে গিয়ে প্রমান করলেন, উদ্ভিদ নীরব থাকে বটে কিন্তু তাদেরও প্রান আছে আমাদের মতো । আছে আমাদের মতোই মায়া মমতা আর স্পর্শকাতরতা । অর্থাৎ তিনি অব্যক্তকে ব্যক্ত করলেন । এটা বিশুদ্ধ জ্ঞান মানে , বিজ্ঞান ।
এই একই কাজটি করলেন রবীন্দ্রনাথও । প্রকৃতিতে , সমাজে , দেশ-কালে আর বিশেষ করে মানব মনের অন্তরালে যে সব না বলা কথা রয়েছে , তাকে ব্যক্ত করলেন কবিতায় , গানে . গল্পে । এক্ষেত্রে তিনিও অব্যক্তকে ব্যক্ত করার কাজটিই করেছেন । তবে তার এই কাজটি কিন্তু বিজ্ঞান নয় । ওগুলো দর্শন । রাবীন্দ্রিক দর্শন । এতে আত্মার ক্ষুন্নিবৃত্তি হয়ে চিত্তরঞ্জন ঘটে বটে , কিন্তু পেটের ক্ষুধা মরেনা । পেটের ক্ষুধার জন্যে বিজ্ঞানের কাছেই হাত পাততে হয় প্রকারন্তরে ।

সকল মতবাদের যতোই সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পটভূমি থাকুক না কেন সবই নিজস্ববাদের কাছে গো-হারা হেরে বসে আছে । আর জানেনই তো , প্রতিটি মানুষ মাত্রেই একজন দার্শনিক , বৈজ্ঞানিক হতে পারুক আর না পারুক ।


দর্শন হচ্ছে একধরনের বিমূর্ত ধারনা যা মানুষের চিরায়ত স্বভাবকে ব্যাখ্যা করে উন্নত জীবনের দিক নির্দেশনা দেয়।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিমূর্ত ধারনাকে কিভাবে মূর্ত মানব সমাজে প্রয়োগ করা যায়? আর এখানেই দর্শনের সাথে বিজ্ঞানের দ্বন্দ্ব।যেমন নিউটনের গতিসূত্র সব দেশেই প্রমানিত সত্য।কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এ দেশে যেমন ফ্রান্সে তেমনভাবে গ্রহনযোগ্য না। আবার ফ্রান্সে জ্যা পল সাত্রকে যেভাবে গ্রহন করা হয় এ দেশে সেভাবে হয়না।কারণটা দুই দেশের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সাথে সম্পর্কিত।অর্থাৎ এইসব ধারনা মানুষের মনে এক ধরনের বিমূর্ত ধারনা সৃষ্টি করে যা দিয়ে একজন মানুষ উন্নত চিন্তার অধিকারী হতে পারে।কিন্তু যখন বাস্তবিক অর্থেই আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের কথা বলা হয় তখন কিন্তু এইসব বিমূর্ত চেতনার প্রায়োগিক ভুমিকা থাকে না।

৪৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আহমেদ জি এস বলেছেন:
জেন রসি ,
অত্যন্ত ভাবগম্ভীর বিষয়ের সাথে প্রাপ্ত
মন্তব্যগুলি আর তার উত্তরগুলিও এক একটি সমৃদ্ধ দর্শন
হয়ে গেছে । ঋদ্ধ আলোচনায় ভরপুর এমন একটি
লেখার জন্যে “প্রিয় পোষ্ট তালিকায় নিন”
বোঝাতে যে কমলা রঙের তারকাটি দেয়া আছে
তাতে আলগোছে টোকা মারতেই হয় ।

এবারে নিজের কিছু দর্শন - এটাকে আপনি দ্বান্দ্বিক
বস্তুবাদ বা ভাববাদ না বলে স্রেফ কট্টর বাস্তববাদ
বললেই ভালো করবেন ।
সকল তন্ত্রকেই নিজস্ব মন্ত্রে ছাপ মারা থেকে
শুরু করে সব দর্শনকেই “ধর্ষন” (দুঃখিত এই শব্দটি
ব্যবহারে ) করে ছেড়ে দিয়েছে মানুষই তার
নিজস্ব প্রয়োজনে । প্রয়োজন যেমন উপায়
উদ্ভাবন করে অর্থাৎ সৃষ্টি করে তেমনি আবার
প্রয়োজনই তাকে ধংসও করে । কারন বেঁচে থাকার
প্রতিযোগিতায় মানুষকে সেই আদ্দিকাল থেকেই
খাদ্যপ্রাপ্তি, ফসলী জমির মালিকানা সহ উৎপাদনের
যাবতীয় হাতিয়ারকে নিজের কব্জায় আনতে
হয়েছে । মানুষের ইতিহাসের শুরুতে এই কব্জা করার
সংস্কৃতি ছিলো দলবদ্ধভাবে কোনও বিশেষ
গোষ্ঠীকৃত । অর্থাৎ “কমিউন” ধর্মী । লড়াইটা
ছিলো গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে । এখন এই
লড়াইটা গোষ্ঠীর পরিবর্তে ব্যক্তিতে এসে
দাঁড়িয়েছে । কমিউন এখন আউট অব বাউন্ড হয়ে
“ওয়ান ইউনিট” এ এসে ঠেকেছে । তাই টিকে থাকা
এবং ভালোভাবেই টিকে থাকার স্বার্থে ব্যক্তি
মানুষকে অবশ্যই ক্ষমতাবান এবং সম্পদশালী হতে হয়
এবং এটি হতে গিয়ে তাকে মানুষেরই সৃষ্ট সব
বিধিনিষেধ তথা তন্ত্র, ত্বাত্তিকতা এমনকি ধর্মীয়
নির্দেশাবলীকেও সুচতুরতার সাথে ব্যবহার করতে
হয় । তাই মার্কস বলুন আর হেগেল বলুন, দেকার্ত
বলুন আর কান্ট বলুন কোনও কিছুতেই তার ঠাঁই নেয়া
চলেনা । এখন সব ভাববাদ , বস্তুবাদ আর যতো “বাদ”
এর কথাই বলুন না কেন , “নিজস্ববাদ” ( Selfism) এর
বাইরে আর কোনও বাদেরই অস্তিত্ব নেই । মানুষ
এগুলিকেই ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে নিজের স্বার্থে
আনবেই আনবে । তাই সোশ্যালিজম মার খাবে ,
কমিয়্যুনিজমকে ঝাঁট দিয়ে বিদেয় করতে হবে ।
বর্তমানের টোল খাওয়া ক্যাপিটালিজমকে নিজ নিজ
সুবিধা মতো বাহারী রঙের হিজাব পরিয়ে পেশ করা
হবে । যাতে তার সুরতের রোশনাই বাড়ে ।
শুধু বাদ রয়ে গেল মার্কস বর্নিত – “ ইউটোপিক
কমিয়্যুনিজম “ বা “ ইউটোপিয়া”। আমরা এখনো এখানে
আসতে পারিনি । তাই এর আলোচনা আজকাল অচল ।

এবারে দর্শন প্রসঙ্গে আসি ----দর্শন হলো অনুমিত
জ্ঞান , প্রতিষ্ঠিত সত্য নয় যাকে বিজ্ঞান বা বিশুদ্ধ
জ্ঞান বলা হয় । দর্শনের কাজ হলো কোনও কিছু
আবিষ্কার করা নয়, বরং প্রচলিত বিশ্বাস আর ধারনার যৌক্তিক
মূল্যায়ন ।
আর বিজ্ঞান হলো পর্য্যবেক্ষন, পরীক্ষন লব্ধ
বিশুদ্ধ জ্ঞান । তাই বলে মূল্যবোধ সংক্রান্ত
প্রশ্নের জবাব কিন্তু বিজ্ঞানের কাছে পাবেন না ।
এটা দর্শনের কাজ ।
বিজ্ঞান আর দর্শনের পার্থ্যকটা এভাবে দিই –
জগদীশ চন্দ্র বসু পদার্থ বিজ্ঞানী হয়েও বৃক্ষের
কাছে গেছেন । যে অনুসন্ধিৎসা আর
সংবেদনশীলতা তাঁর অন্তরে ছিল তার উপর ভর
করেই সেখানে গিয়ে প্রমান করলেন, উদ্ভিদ
নীরব থাকে বটে কিন্তু তাদেরও প্রান আছে
আমাদের মতো । আছে আমাদের মতোই মায়া
মমতা আর স্পর্শকাতরতা । অর্থাৎ তিনি অব্যক্তকে
ব্যক্ত করলেন । এটা বিশুদ্ধ জ্ঞান মানে , বিজ্ঞান ।
এই একই কাজটি করলেন রবীন্দ্রনাথও । প্রকৃতিতে ,
সমাজে , দেশ-কালে আর বিশেষ করে মানব
মনের অন্তরালে যে সব না বলা কথা রয়েছে ,
তাকে ব্যক্ত করলেন কবিতায় , গানে . গল্পে ।
এক্ষেত্রে তিনিও অব্যক্তকে ব্যক্ত করার কাজটিই
করেছেন । তবে তার এই কাজটি কিন্তু বিজ্ঞান নয় ।
ওগুলো দর্শন । রাবীন্দ্রিক দর্শন । এতে আত্মার
ক্ষুন্নিবৃত্তি হয়ে চিত্তরঞ্জন ঘটে বটে , কিন্তু
পেটের ক্ষুধা মরেনা । পেটের ক্ষুধার জন্যে
বিজ্ঞানের কাছেই হাত পাততে হয় প্রকারন্তরে ।

সকল মতবাদের যতোই সামাজিক, রাজনৈতিক এবং
অর্থনৈতিক পটভূমি থাকুক না কেন সবই নিজস্ববাদের
কাছে গো-হারা হেরে বসে আছে । আর
জানেনই তো , প্রতিটি মানুষ মাত্রেই একজন দার্শনিক
, বৈজ্ঞানিক হতে পারুক আর না পারুক ।
যথেষ্ট সুন্দর আলোচনার অবতারনা করেছেন ।
আরো প্রাসঙ্গিক আলোচনা হোক , এটা কাম্য ।

"সহমত "

কার্ল মার্ক্সকে একজন প্রভাবশালী সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কার্ল মার্ক্সকে নিয়ে কিছুটা স্টাডি হয়েছে,তবে তেমন ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে পারিনি সব। আপনার নির্মল সুন্দর লেখাটাও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর পোস্টের জন্য।আরো লিখতে থাকুন

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

জেন রসি বলেছেন: কার্ল মার্ক্স অবশ্যই একজন প্রভাবশালী সমাজবিজ্ঞানী।শুধু তাই নয়, মার্ক্সবাদ অনেক ক্ষেত্রেই আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটকে যৌক্তিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে সফল হয়েছে।পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আহমেদ জি এস ভাইয়ের মন্তব্যে আসলেই ভাবার মত অনেক ব্যাপার আছে।শুভকামনা জানবেন।

৪৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


অর্থনীতি যদি বিজ্ঞান হয়, "Das Kapital" যদি অর্থনিতি হয়, মার্কসবাদ বিজ্ঞান।

আপনার লেখা, "Das Kapital" ছাড়াই লেখা হয়ে গেছে?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

জেন রসি বলেছেন:
Das Kapital" যদি অর্থনিতি হয়, মার্কসবাদ বিজ্ঞান।

যদি কিন্তু দিয়ে বিজ্ঞান, দর্শন এসব যাচাই বাছাই করা যায়না। তবে আপনি যদি যুক্তি দিয়ে প্রমান করতে পারেন তবে আমি মেনে নিব।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

৪৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মার্কসবাদ যে বিজ্ঞান নয়, সে বিষয়ে আমিই চূড়ান্ত রায় দিয়ে গেলাম। বিজ্ঞান আমাকে খুব টানে, কিন্তু মার্কসবাদ মোটেও না। তাহলে মার্কসবাদ কীভাবে বিজ্ঞান হয়? হাহাহাহাহা

মূল টেকস্ট থেকে আমি অবশ্য কমেন্টগুলো থেকেই একটু বেশি কমপ্রিহেন্ড করতে পারলাম। মোটের উপর এটাতে আমার বিন্দু আগ্রহ নেই, তবু পড়ে দেখলাম কিছু বুঝি কিনা ;) মোটামুটি বুঝেছি :(

অনেক ভালো গবেষণা।

শুভেচ্ছা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

জেন রসি বলেছেন: আগ্রহ না থাকার পরেও পড়েছেন জেনে খুব আনন্দিত হলাম। :) আমার আবার আগ্রহের শেষ নাই। ;)

ভালো থাকুন সবসময়। শুভেচ্ছা। :)

৪৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: Das Kapital" যদি অর্থনীতি হয়, মার্কসবাদ বিজ্ঞান। এসব তত্বকে প্রতিষ্ঠা রতে যেয়ে রক্ত ঝড়েছে দেশে দেশে।। ফলাফল সেসব দেশের পারিপার্শিকতার উপর।।
আজ ভাবি, সবার উপরে মানুষ সত্য,তার উপরে নাই।।
কিন্তু বাস্তবে দেখি এটাও শুধুই বুলি!! ক্ষমতায় যাওয়ার।।এতোসব প্রতিবন্ধকতা !!
তার চেয়ে ভাল চর্চাতেই থাক না,এটা।। প্রয়োগ যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ।।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

জেন রসি বলেছেন: যখন কোন দর্শন সমাজে প্রয়োগ করা হয় তখন তার ফলাফলের উপর নির্ভর করেই নতুন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।

ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা। :)

৪৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

নেক্সাস বলেছেন: আমি এই পোষ্টা আমার পড়ার সাবজেক্ত হিসেবে নিলাম। বার বার পড়ব। অনেক কিছু সিখার আছে আমার। ধন্যবাদ

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।অনেক আনন্দিত হলাম।শুভেচ্ছা। :)

৪৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু!!!!! :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

জেন রসি বলেছেন: :)

৪৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু একটা কথা!!!:(

আবারও কি এমন কঠিন তত্ববাদী নতুন কোনো পোস্ট লিখছো নাকি!!!! তাহলে এখনি ভাব জগতে ঢুকে যাই নইলে হঠাৎ আসমান থেকে পড়তে হবে!:( :( :(

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

জেন রসি বলেছেন: না লিখছি না!! শুধু লিখে কিছু হয়না!!তার সাথে অন্য কিছুও করতে হয়!এবার সেই অন্যকিছু কিছু করার চেষ্টা করব!!! ;)

৫০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: জিনি ভাই, আপুনি সম্ভাবত ভুই পাইছে? হেতে নিজে পোস্টায় না, অন্যে পোস্টাইলে গায়ে জ্বালা ধরে......!

জেন ভাই, সেই অন্য কিছুটা কি একটু শিখাইবেন?

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

জেন রসি বলেছেন: সাহসী ভাই, সেই অন্য কিছু না শিখাই ভালো!

৫১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জন রেসি ভাই , পরে বিস্তারিত কমেন্ট করছি । আপাতত এটুকু বলছি , আপনার জন্য শুধু মৌখিক
ধন্যবাদই যথেষ্ট নয় ।
অনেক অনেক ভাল থাকবেন

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

জেন রসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। আনন্দিত হলাম।উৎসাহিত হলাম।

ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইল।

৫২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

শায়মা বলেছেন: সাহসী সন্তান বলেছেন: জিনি ভাই, আপুনি সম্ভাবত ভুই পাইছে? হেতে নিজে পোস্টায় না, অন্যে পোস্টাইলে গায়ে জ্বালা ধরে......!

জেন ভাই, সেই অন্য কিছুটা কি একটু শিখাইবেন?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৯ ০
লেখক বলেছেন: সাহসী ভাই, সেই অন্য কিছু না শিখাই ভালো!


সেই অন্য কিছু হলো জিনিভাইয়া ইজ এন এলিয়েন।)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২২

জেন রসি বলেছেন: কোন সন্দেহ নাই!!! ;) :P

৫৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন পোস্টটি আবার পড়লাম,আরো পড়তে হবে...

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

৫৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অবশ্যই দারুণ একটা পোস্ট। মন্তব্যগুলিও দারুণ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৫৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দর্শন আমার কাছে ভালো লাগে না। কারন বিজ্ঞান দিয়ে মানবজীবন ব্যাখ্যা করার মানে হলো স্ট্রিং তত্ব দিয়ে আমার হাতের আলু ভাজি রান্না কেন আমার মায়ের হাতের আলু ভাজীর থেকে বেশী সুস্বাদু হয় না তার ব্যাখ্যা করার মতোই!

আর আমার মনে হয় দর্শন ধরা খাইছে সেইখানেই যখন শ্রোয়েডিঙ্গার বিলাই নিয়া পরীক্ষা করচে আর পাউলি যখন ইলেক্ট্রনের মোমেন্টাম আর পজিশন নিয়া থিওরীটা দিছে। তার মানে কোয়ান্টাম ফিজিক্সেই দর্শন মাইর খাইয়া গেছে।

তবে মার্ক্সবাদ পড়া হয় নাই। কিন্তু জর্জ গ্যামো, সাত্রে, দেকার্তের কিছু কিছু ভাষা ভাষা লেখা অধৈর্য্য স হকারে পড়ার পর মনে হইলো দর্শন তখনই আগাইতে পারবো যখন আমরা চার বল একীভূত কইরা স্ট্রিং তত্ব দিয়া ভবিষ্যৎদ্বানী করতে পারুম, যদি সম্ভব হয়। তার মানে কোয়ান্টাম ফিজিক্সে রিলেটিভিটির পূর্ন প্রয়োগ....

প্রচেষ্টা চলছে, যখন সম্ভব হবে তখন সেরাম কোনো জিনিয়াস দর্শনের গতিবিধি পরিবর্তন করে তাইলেই এই ক্যাচাল মিটবে!

এইটা আমার ব্যাক্তিগত ধারনা!

২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

জেন রসি বলেছেন: আসলে সব যুগেই মানুষ এমন কিছু দৃষ্টিভঙ্গির সন্ধান করেছে যেগুলোকে চলার পথে মানদণ্ড হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে। সেই ব্যাপারগুলোই আসলে দর্শন। যেমন ধরেন যদি সহজ ভাবে বলি , আপনি পারমানবিক বোমা বানাইলেন। এটা বিজ্ঞান। কিন্তু এই বোমা দিয়ে কি করবেন, কেন করবেন সেটা দর্শন। তাই সকল রাজনৈতিক মতবাদেরও একটা দার্শনিক ব্যাকআপ লাগে। এখন যুগের প্রয়োজনেই বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য সব আলাদা ভাবে বিকশিত হচ্ছে। সবকিছুর মধ্যে একটা সমন্বয় যেমন আছে তেমনি কিছু বেসিক পার্থক্যও আছে। এখন এসব ব্যাপার না বুঝে চর্চা করতে গেলে কিংবা অন্য কারো উপর আরোপ করতে গেলেই সমস্যা। মিশেল ফুকো পইড়া দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ উদাসী ভাই। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.