নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ যাদুকর

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬



অপেক্ষা এবং আক্ষেপ

আজ সেই জনসভা। যার জন্য অধীর আগ্রহে শহরের মানুষ দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছে। ধারনা করা হচ্ছে এই জনসভা শহরের সব শ্রেণীর মানুষকে এক কাতারে নামিয়ে আনবে। কারন এই সভায় মঞ্চে শুধু একজনই থাকবে। বাকিরা সব শ্রোতা। মান্যগণ্য শ্রোতাদের জন্য কোন আলাদা ব্যাবস্থা নেই। প্রথমে মেয়র এই বিধান মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু তার আসলে অন্য কোন উপায় নেই। তাকেও আসতে হবে জনসভায়। শহরের সবচেয়ে ধনী লোকটিকেও আজ হয়তো কোন শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়ে যাদুকরের কথা শুনতে হবে।

শিহরণ এবং নির্লিপ্ততা

তুমি কি আজ বিদ্রোহ করবে? নাকি মাথা পেতে নিবে আরোপিত কোন সত্যের বিধান?

নিহিনকে কেমন যেন খুব অস্থির লাগছে আজ। তার চিরাচরিত নির্লিপ্ত দৃষ্টিভঙ্গিটারই খুব প্রয়োজন এখন। কিন্তু নিহিন কোন সিন্ধান্তেই স্থির হতে পারছেনা। একবার বলছে চল বিদ্রোহ করি। আবার বলছে, আমরাও স্রোতে গা ভাসিয়ে দেব। দেখি সময় আমাদের কোথায় নিয়ে যায়!

জুলি তাকে কি উত্তর দিবে ভেবে পায়না। এমন একটি দিনের মুখোমুখি তাদের হতে হবে, সেটা তারা জানত। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে দিয়েই সময়গুলো চলে যাচ্ছিল। দুজন দুজনকে আবিষ্কারের নেশায় বিভোর হয়ে ছিল। নিহিন যেদিন প্রথম জুলিকে স্পর্শ করেছিল সেদিন এ শহরে বাৎসরিক উৎসব চলছিল। এই দিনটিতে কিছু সামাজিক রীতি নীতি ভঙ্গ করলে তাকে অপরাধ হিসাবে দেখা হয়না। জুলি সেদিন প্রথম নিহিনের চোখে কামনা দেখে শিহরিত হয়েছিল। আসলে তার মনে হয় সে নিহিনের চোখে নিজের ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে পেয়েছিল। পরে সেদিনের সেই ঘটে যাওয়া কিছু মুহূর্ত নিয়ে নিহিন এবং জুলির মধ্যে অনেক আলোচনা, তর্ক বিতর্ক হয়েছে। নিহিন বলেছে তার নিজের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রন ছিল। কিন্তু জুলির মনে হয়েছে ঠিক যে মুহূর্তে নিহিন তার ঠোঁটে ঠোঁট রাখে, সেই মুহূর্তটায় সেখানে আসলে নিহিন ছিলনা। অন্য কোন শক্তি নিহিনের উপর ভর করেছিল যার নিয়ন্ত্রন তার নিজের হাতে ছিলনা। কিন্তু জুলি নিহিনকে সেদিন সরিয়ে দেয়নি, দিতে পারেনি। নিহিন যখন তাকে স্পর্শ করে তার মধ্যে এমন এক ঝড়ের খেলা শুরু হয় যা সে আগে কখনোই অনুভব করেনি। তারপর তারা খুব দ্রুতই একে অপরের মাঝে বিলীন হয়ে গিয়েছিল।

আমি বিদ্রোহ করব। যদি তোমার কাছ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়! তোমার প্রতি আমি তীব্র আকর্ষণ অনুভব করি। তোমার স্পর্শ আমাকে এমন এক শিহরন দেয় যার কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। কিন্তু তাই বলে এমনটাও না যে, শুধু মাত্র সে কারনেই আমি তোমার সাথে থাকতে পছন্দ করি। তোমার সাথে প্রতিদিন শারীরিক ভাবে মিলিত হওয়াটাকে আমি আমাদের সম্পর্কের একটা সেতু হিসাবেই বিবেচনা করি। আমি মনে করি আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেতুটা ভেঙে যাবে। আমি অবদমন নিয়ে বেঁচে থাকতে চাইনা। তবে এ ব্যাপারে তোমার ভিন্ন কোন চিন্তা ভাবনা থাকলে আমাকে জানাতে পার। জুলি কথাগুলো বলে নিহিনের চোখের দিকে তাকায়।

নিহিনের নির্লিপ্ত ভাবটা আবার ফীরে আসছে।সে খুব দ্রুত চিন্তা করছে। এখন সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ে ফেলতে হবে। যদি তারা বিদ্রোহ করে তবে কি হবে জানা নেই। আগে যারাই বিদ্রোহ করেছে তাদেরকেই বরন করে নিতে হয়েছে মৃত্যু। যদি তারা মরে যায় তবে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। যদি না করে বেঁচে থাকে তাহলেও তারা একসাথে থাকতে পারবেনা। তবে বেঁচে থাকবে। বেঁচে থাকা মানেই জুলিকে কাছে পাওয়ার তীব্র বাসনা! কিন্তু না পাওয়ার যন্ত্রণা। জুলি তার দিকে এখনো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নিহিনের চোখে হঠাৎ করেই একটু আগুন জ্বলে ওঠেই নিভে যেতে দেখে সে। সেখানে এসে ভীড় করতে থাকে কামনার মেঘ। জুলিও তাই বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে।

ক্ষমতা এবং জ্ঞান

ক্ষমতার খেলা খুব মজার খেলা। যে এই খেলা খেলেনি সে কখনো বুঝবেনা। আরিয়ান জানে এই খেলা কিভাবে খেলতে হয়। অনেক খেলায় জিতেই আজ সে এই শহরের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি। যদিও সাধারন মানুষ মনে করে মেয়র সবচেয়ে বেশী ক্ষমতাবান। কিন্তু খুব কম মানুষই জানে মেয়র আরিয়ানের হাতের খেলার পুতুল মাত্র। এই মেয়রকে সেই ক্ষমতায় বসিয়েছে। তার নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপ আরিয়ানের কর্পোরেট সাম্রাজ্যকেই আরো শক্তিশালী করছে। কিন্তু আরিয়ান আজ খুব চিন্তিত। আজ তার নিজেকে ক্ষমতাবান মনে হচ্ছে না। বরং নিজেকেই খেলার পুতুল বলে মনে হচ্ছে। সে কোনভাবেই যাদুকরের আগমন বন্ধ করতে পারেনি। আজই এ শহরে যাদুকরের প্রবেশ ঘটবে। তারপর যা হবে তার জন্য আরিয়ান কোন ভাবেই প্রস্তুত না।

প্রোফেসর, কি অদ্ভুত সময়, তাইনা? আমি আর আপনি একই সমস্যা সমাধানের জন্য মুখোমুখি বসে আলোচনা করছি। অথচ আমার শত্রুদের মধ্যে আপনি হচ্ছেন এক নম্বর। আপনি অনেকবার আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। কারন আপনার একটা অসাধারন ব্রেন আছে যার কদর আমাকে করতেই হয়। বিশেষ করে গতবার যখন এ শহরের মানুষগুলোর অর্থনৈতিক দাসত্ব নিয়ে বই লিখিছিলেন এবং কিছু উঠতি বুদ্ধিজীবী এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল, আমি বুঝেছিলাম একটা বিদ্রোহ আসন্ন। কিন্তু সেটা বন্ধ করতে আমাকে অনেক কিছুই করতে হয়েছিল। কয়েকজনকে কিনে ফেললাম। যারা নিজেদের বেচতে চায়নি তাদের হত্যা করালাম। একবার ভেবেছিলাম আপনাকেও সরিয়ে দেই। কিন্তু ভেবে দেখলাম সেটা ভুল পদক্ষেপ হবে। আপনি এ শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় বুদ্ধিজীবী। আপনাকে হত্যা করলে জনতা ক্ষেপে যেতে পারে। তাছাড়া আপনার লেখা বইগুলো আমার নিজের কাজেও লাগে। কারন আমি মনে করি যারা ক্ষমতার খেলা খেলে, তাদের প্রতিপক্ষ থেকেও শেখা উচিৎ। কিন্তু প্রোফেসর, কিছু সময় পর এসবের আর কোন মূল্য থাকবেনা। আমিও ক্ষমতা হারাব। যে আপনি দাসত্বের বিরুদ্ধে সারা জীবন সংগ্রাম করে এসেছেন, সেই আপনিও কিছুক্ষন পর সেই দাসেই পরিনত হবেন। এমনকি বিদ্রোহ করার ইচ্ছাটুকু পর্যন্ত আপনার কাছ থেকে কেঁড়ে নেওয়া হবে।

কবিতা পড়েন? প্রোফেসর হাসি মুখে আরিয়ানের কাছে জানতে চাইল। এই মানুষটা কিভাবে হাসিহাসি মুখ করে বসে আছে- আরিয়ান বুঝতে পারছেনা। অতি জ্ঞানী হলে মানুষ আসলেই কিছুটা পাগল হয়ে যায় বলেই আরিয়ানের ধারনা।
না পড়িনি। কবিতা আমার কাছে মূল্যহীন ব্যাপার। অনুভূতির চর্চা করা মানে সময়ের অপচয়। কিন্তু হঠাৎ এ প্রশ্ন করলেন কেন? যাদুকরের সমস্যার সাথে কবিতার কি সম্পর্ক! আরিয়ান কিছুটা বিরক্তি নিয়েই জানতে চাইল।

গভীর সম্পর্ক আছে। তবে তা ব্যাখ্যা করার মত পর্যাপ্ত সময় আমার হাতে নেই। বরং আপনাকে একটা কবিতা শোনাই-

ভগবান, তুমি যুগে যুগে দূত, পাঠায়েছ বারে বারে
দয়াহীন সংসারে,
তারা বলে গেল "ক্ষমা করো সবে', বলে গেল "ভালোবাসো--
অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো'।
বরণীয় তারা, স্মরণীয় তারা, তবুও বাহির-দ্বারে
আজি দুর্দিনে ফিরানু তাদের ব্যর্থ নমস্কারে।
আমি-যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে
হেনেছে নিঃসহায়ে,
আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে
আমি-যে দেখিনু তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে
কী যন্ত্রণায় মরেছে পাথরে নিষ্ফল মাথা কুটে।
কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা,
অমাবস্যার কারা
লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তলে,
তাই তো তোমায় শুধাই অশ্রুজলে--
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো।

রবিঠাকুর নামে এক বিখ্যাত বাঙ্গালি কবি এই কবিতাটি লিখেছিলেন। আমরা এখন জানি ভগবান মানে পরম সত্ত্বার ধারনা একটা বিমূর্ত ধারনা। তবে সব যুগেই যখন মানুষ কোন না কোন সিস্টেমের জালে ঘুরপাক ক্ষেতে থাকে, তখন অবতার রুপে কেউ একজন আবির্ভূত হয়ে যান। আপনি যদি যাদুকরকে বুঝতে চান তবে আপনাকে এইসব অবতারদের শক্তির উৎস সম্পর্কে জানতে হবে। যুগে যুগে অনেক অবতার এসেছে। মানুষ তাদের গ্রহন করেছে। আবার প্রয়োজন শেষ হলে অগ্রাহ্যও করেছে। কিন্তু তার একটা টাইম সাইকেল সবসময় থাকে। সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হচ্ছে এই টাইম সাইকেলের ব্যাপারটা এখন যাদুকরের পক্ষে আছে। এখন তাকে গ্রহন করার করার সময় চলছে। তবে সময়ের প্রয়োজনে তাকেও একদিন অগ্রাহ্য করা হবে। কিন্তু সেই সময় আসতে এখনো অনেক দেরী! প্রোফেসর এবার কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গীতে সিগারেট ধরালেন। আরিয়ান খুব মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনছে।

সিগারেটে একটি লম্বা টান দিয়ে প্রোফেসর আবার কথা বলা শুরু করলেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যাদুকরকে কিন্তু আমরাই সৃষ্টি করেছি। তাই এখন চাইলেও আমরা তাকে পরাজিত করতে পারবনা।

আমরা সৃষ্টি করেছি? কিভাবে? আরিয়ান অবাক হয়ে জানতে চায়।

আপনি জানেন সকল ক্রিয়ারই একটি সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। এখন ভেবে দেখুন আপনি নিজে কি করেছেন। এই শহরে আপনি ক্ষমতার নামে এক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ফাঁদের জাল বিনির্মাণ করেছেন। মানুষ কিন্তু জানে তারা জালে আটকা পড়ে গেছে। সেখান থেকে বের হওয়ার এক তীব্র বাসনা তাদের মধ্যেও আছে। কিন্তু ক্ষমতা নেই। উপায় নেই। কিন্তু তাদের এই সিস্টেম ভেঙে ফেলার আকাঙ্ক্ষা থেকেই যাদুকরের জন্ম। যাদুকরের ক্ষমতার প্রধান উৎস হচ্ছে আপামর জনগনের এই মুক্ত হওয়ার বাসনা।আমিও তাই চেয়েছিলাম। এই পরিবর্তন আনার জন্যই বছরের পর বছর জ্ঞানের চর্চা করেছি। কিন্তু আমি সফল হইনি। তবে যাদুকর হবে। সাময়িক সময়ের জন্য হলেও সে সফল হবে। কারন আপনি জানেন তার কাছে এমন এক ক্ষমতা আছে যা আমাদের কাছে নেই।

কি সে ক্ষমতা? আরিয়ান জানতে চাইল।

সে সম্মোহিত করতে পারে। তবে শুধু তাদেরই যারা সেটা হতে চায়। এ শহরের অধিকাংশ মানুষ তাদের জীবনকে যন্ত্রণা মনে করছে। তাই তারা যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সম্মোহিত হওয়ার প্রহর গুনছে। তারা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় বিভোর হয়ে আছে।

কিন্তু প্রোফেসর, আমরা কিন্তু সম্মোহিত হতে চাচ্ছি না। কিন্তু সে আমাদেরকেও সম্মোহিত করবে? কিভাবে?
কারন আমরা যদি সম্মোহিত না হই তবে জনতা আমাদের মেরে ফেলবে। তাই এখানে দুটো পথই খোলা আছে। এক হচ্ছে যাদুকরের দ্বারা সম্মোহিত হয়ে দাসত্ব মেনে নেওয়া! অথবা মৃত্যুকে বরন করে নেওয়া! আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি আরিয়ান সাহেব। এবার আপনি আপনারটা নিয়ে ফেলুন। আমাদের হাতে খুব বেশী সময় নেই আর! আরিয়ান হতবাক হয়ে প্রোফেসরের দিকে তাকিয়ে আছে। প্রোফেসরের মুখে এখনো হাসি লেগে আছে।

উৎসব এবং মূর্ছনা

শহরের মানুষের জন্য আজ উৎসবের দিন। অবশেষে যাদুকর আজ তাদের শহরে আসবে। কাল থেকে সব নতুন ভাবে শুরু হবে। সব সমস্যার অবসান হয়ে যাবে! যাদুকর এ শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন। ক্ষমতার নামে, অর্থের নামে, জ্ঞানচর্চার নামে, ভালোবাসার নামে কেউ আর যা খুশী তা করতে পারবেনা। যাদুকর আসছে! যাদুকর আসছে!

জনসভা চলছে। শহরের সব মানুষ মন্ত্র মুগ্ধের মত যাদুকরের কথা শুনছে। সম্মোহনের মূর্ছনায় তারা সব ভেসে বেড়াচ্ছে এক অধরা স্বপ্নের জগতে। তবে তাদের কাছে কোন কিছুই আর স্বপ্ন মনে হচ্ছেনা। যা কিছু একদিন অধরা ছিল তাই যেন আজ তাদের কাছে এসে ধরা দিয়েছে। তারা তাদের ভীষণভাবে বেঁচে থাকায় আজ পরিবর্তনের স্বাদে সম্মোহিত!

মুহূর্ত এবং সিদ্ধান্ত

জুলি পরম মমতায় নিহিনকে আঁকড়ে ধরে আছে। তারা ভেবেছিল শেষ সময় পর্যন্ত তারা একে অপরের সাথে মিলিত হতে থাকবে। যেন মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত তারা একে অপরকে শিহরিত করতে পারে। কিন্তু জুলির মাথা নিহিনের বুকে নিয়ে নিহিন যেন তাকে সব ভুলিয়ে রাখতে চাচ্ছে। জুলি নিহিনের হৃদস্পন্দন টের পাচ্ছে। যখন জুলি কেঁপে কেঁপে উঠছে নিহিনের হৃদস্পন্দনও বেড়ে যাচ্ছে!

আরিয়ান কবিতা পড়ছে। সে তার শেষ সময়টা কবিতা পড়ে কাটাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জীবনের শেষটা হোক নতুন কিছু শুরু করে। সে বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই আবৃতি করার চেষ্টা করছে,

Therefore trust the physician, and drink his remedy
in silence and tranquillity:

For his hand, though heavy and hard, is guided by
the tender hand of the Unseen,

And the cup he brings, though it burn your lips, has
been fashioned of the clay which the Potter has
moistened with His own sacred tears.


প্রোফেসর জনতার ভীড়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি এমন এক তথ্য জানেন যা এই শহরের কেউ জানেনা। তিনি জানেন, তিনি সম্মোহিত হচ্ছেন না।তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তা সে সফল ভাবেই শেষ করতে পেরেছে।


আরম্ভ

আমরা আরেকটি শহরের দখল নিতে পেরেছি। এই মাত্র প্রোফেসর আমাদের খবর পাঠিয়েছে যে, যাদুকর সফল ভাবেই সে শহরের নাগরিকদের সম্মোহিত করতে পেরেছে। খবরটি শুনে কয়েকজন বৃদ্ধ লোক পরস্পর পরস্পরের সাথে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

শায়মা বলেছেন: আরম্ভ

আমরা আরেকটি শহরের দখল নিতে পেরেছি। এই মাত্র প্রোফেসর আমাদের খবর পাঠিয়েছে যে, যাদুকর সফল ভাবেই সে শহরের নাগরিকদের সম্মোহিত করতে পেরেছে। খবরটি শুনে কয়েকজন বৃদ্ধ লোক পরস্পর পরস্পরের সাথে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করে।


আমিও সন্মোহিত হয়েছি! :)

বিজয়ের শুভেচ্ছা।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

জেন রসি বলেছেন: সবাই সম্মোহিত হইলে বিপদ!!!

তাহলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে! ;)

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যেমন ভিন্ন স্বাদের গল্প.. তেমনি ভিন্ন তার উপস্থাপন...

দারুন লাগলো...

আমাদের যাদুকর কবে আসবে? প্রফেসর সাহেবই বা কই ? ;)

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই।

আমাদের দেশে কয়েকজন প্রফেসর সবসময়ই থাকে।

যাদুকরও চলে আসতে পারে যেকোনো সময়! ;)

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
আরম্ভ
আমরা আরেকটি শহরের দখল নিতে পেরেছি। এই মাত্র প্রোফেসর আমাদের খবর পাঠিয়েছে যে, যাদুকর সফল ভাবেই সে শহরের নাগরিকদের সম্মোহিত করতে পেরেছে। খবরটি শুনে কয়েকজন বৃদ্ধ লোক পরস্পর পরস্পরের সাথে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

শুরু করার আগে শেষটা পড়ে রাখলাম :)
+++

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা

শেষটাই আরম্ভ!!

ধন্যবাদ রুদ্র জাহেদ ভাই। :)

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

কল্লোল পথিক বলেছেন:





চমৎকার হয়েছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই।

শুভকামনা।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: গল্প ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

শুভকামনা।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: সময় নিয়ে পড়তে হবে।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৮

জেন রসি বলেছেন: ঠিক আছে বিজন ভাই। :)

৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

তার আর পর নেই… বলেছেন: এই প্রথম আপনার একটা গল্প মাথার উপর দিয়ে গেছে।
কিন্তু খলিল জিব্রান মাথায় ঢুকেছে, এর আগে অন্য কোন কবিতা পড়িনি। এখন দু একদিন খলিল জিব্রান থাকবে। আপনাকে ধন্যবাদ। :)

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৯

জেন রসি বলেছেন: সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের কিছু ব্যাপার গল্পে আছে।

খলিল জিব্রান আমার প্রিয় কবি। আশা করি আপনার কাছেও ভালো লাগবে। :)

৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

শায়মা বলেছেন: সবাইতো হচ্ছে মনে হচ্ছে ভাইয়ু।:)

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৭

জেন রসি বলেছেন: দুই একজন প্রোফেসর ঠিকই আছে! ;)

১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আসছি !:#P

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩১

জেন রসি বলেছেন: আসেন। :)

১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,



সম্মোহিত হবার মতোই গল্পটি ।

জনগনের দাসত্ব মোচনের একটা সম্ভাবনা তৈরী করেও আবার তাদের দাসত্বেই নিয়ে গেছে লেখক ।

মানুষ কিন্তু জানে তারা জালে আটকা পড়ে গেছে। সেখান থেকে বের হওয়ার এক তীব্র বাসনা তাদের মধ্যেও আছে। কিন্তু ক্ষমতা নেই। উপায় নেই।
উপায় ছিলো এবং থাকেও - সিস্টেম ভেঙে ফেলার আকাঙ্ক্ষা থেকে উৎসারিত জন-জোয়ার ।
কিন্তু তাদের এই সিস্টেম ভেঙে ফেলার আকাঙ্ক্ষাকে লেখক কল্পলোকের যাদুকরের জন্ম আর যাদু দিয়ে ভেঙে প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির জয়গানই গাইলেন প্রকারন্তরে ।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

জেন রসি বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই,

আপনার মন্তব্য মানেই অন্যরকম কিছু। কোল্ড ওয়ার এর সময় এবং তার পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি বিভিন্ন দেশেই মাঝেমাঝে এমন কিছু যাদুকরের আবির্ভাব হয়েছে, যারা সমাজ কাঠামো ভেঙে নতুন কাঠামো তৈরি করেছে। জনগণকে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখিয়ে সামন্তবাদকে কিংবা জাতীয় পুঁজিকে ধ্বংস করে তার বদলে কোথাও সমাজতন্ত্র কিংবা কোথাও সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন চালিয়েছে। কিন্তু আসলেই কি জনগণকে দাসত্বের হাত থেকে রক্ষা করা এদের উদ্দেশ্য ছিল। নাকি এসব যাদুকরও অন্য কোন পরাশক্তির পোগ্রাম করা অস্ত্র হিসেবেই কাজ করেছে! এখন সমাজতন্ত্রের সম্প্রসারনবাদি আগ্রাসন নেই। আছে কর্পোরেট হাউজগুলোর মার্কেট দখলের খেলা। এক তেলের সাম্রাজ্য দখল করার জন্য তাদের যাদুকর তৈরি করতে হয়। খনিজ সম্পদ দখল করার জন্য তাদের যাদুকর তৈরি করতে হয়। দরকার মত লাদেনকে যাদুকর হিসাবে আফগানিস্থান পাঠানো হয়, আবার সেই লাদেনকে সরানোর জন্য নতুন যাদুকরের জন্ম দিতে হয়! তাই আসলেই ভেবে দেখার সময় এসেছে, আসল যাদুকর কারা যারা আজ জনগনের সিস্টেম ভেঙে ফেলার আকাঙ্ক্ষাকেও নিজেদের দরকার মতই কাজে লাগাচ্ছে! তাই লেখক এখানে নিরুপায় ছিল।

শুভকামনা।

১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪১

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ুমনি

রবীন্দ্রনাথ লেখার সময় দীর্ঘ-ইকার আর শুধু রবি এমন.....


কাজেই রবিঠাকুর হবে।:)

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৫

জেন রসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

আমি এমনিতেও বাংলাতে গোল্লা!

আসলে সবকিছুতেই! :)

১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কাহলিল জিব্রালের অন পেইন কবিটাটা আমার পছন্দের। অনেক দিন পর মনে হইলো সেই পুরোনো কিছু কথা!

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১০

জেন রসি বলেছেন: প্রোফেটের সবগুলো কবিতাই আমার খুব প্রিয়। তবে অন চিলড্রেন কবিতাটা বেশী প্রিয়।

Your children are not your children.
They are the sons and daughters of Life's longing for itself.
They come through you but not from you,
And though they are with you yet they belong not to you.

You may give them your love but not your thoughts,
For they have their own thoughts.
You may house their bodies but not their souls,
For their souls dwell in the house of tomorrow,
which you cannot visit, not even in your dreams.
You may strive to be like them,
but seek not to make them like you.
For life goes not backward nor tarries with yesterday.

You are the bows from which your children
as living arrows are sent forth.
The archer sees the mark upon the path of the infinite,
and He bends you with His might
that His arrows may go swift and far.
Let your bending in the archer's hand be for gladness;
For even as He loves the arrow that flies,
so He loves also the bow that is stable.

ধন্যবাদ উদাসী ভাই। :)

১৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ভালো লাগলো।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

শুভকামনা। :)

১৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পটা পড়ার পর ভাবছি কী কমেন্ট করব! অনেকক্ষণ থেকে খুঁজছি পার্ফেক্ট শব্দটা! ভাবছি, "অসাধারণ" কিংবা "অনন্য" কি সঠিকভাবে আমার ফিলিংসটা প্রকাশ করতে পারবে?
তবুও বলছি, "অসাধারণ"। আর কিছু বলতে পারছি না

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

জেন রসি বলেছেন: রখাল ভাই, আপনার সমালোচনা গুলো আমি খুব পজিটিভ ভাবে গ্রহন করি। আপনি তীব্র ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং স্পষ্টবাদিতার সৎ সাহস আপনার আছে। তাই গল্প পড়ে অসাধারন বলেছেন মানে গল্প কিছুটা হলেও ভালো হয়েছে। আর আমার যেকোনো লেখার ব্যাপারে সমালোচনা করতে কখনোই সংশয় অনুভব করবেন না। আপনার মত একজন ভালো পাঠক পাওয়া আসলেই লেখকের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার।

শুভকামনা। :)

১৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: যারা ক্ষমতার খেলা খেলে, তাদের প্রতিপক্ষ থেকেও শেখা উচিৎ।

অনেক অনেক ভালো।

কথনরীতি এবং উপস্থাপনও।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২৭

জেন রসি বলেছেন: আনন্দিত হলাম।

ধন্যবাদ দাদা।

শুভকামনা। :)

১৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

এস কাজী বলেছেন: মামা আমি যদি বলি আসলেই আমি গল্পটা বুঝিনি তাইলে কি আপনি আমাকে টিউবলাইট বলবেন??? :( যাইহোক বিচ্ছিন্ন কথা এক জায়গায় গেঁথেছেন। ওয়েল ডান।

আরেকটা ব্যাপার যেটা না বললেই নয় সেটা হল আমি প্রথম দুই তিন পড়ে ভাবসিলাম বঙ্গবন্ধু রিলেটেড কোন পোস্ট হবে।


হাহাহাহাহাহা

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৮

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা

না, আপনাকে টিউব লাইট ভাববো না। বরং নিজেকেই টিউব লাইট মার্কা লেখক ভাবছি। আহমেদ জী এস ভাইকে করা প্রতিউত্তর দেখতে পারেন।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নয়। তিনি ছিলেন আসল যাদুকরদের মধ্যে একজন। এই গল্পের যাদুকর একজন কালো যাদুকর।

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১১

সায়েল বলেছেন: ক্ষমতার খেলা!!

আমার ধারণাগুলোর অনেকটাই উঠে এসেছে এ গল্পে। সহজ মেটাফোর হলেও দারুণভাবে জনমত ব্যবহারের ও আগ্রাসনের চিত্র তুলে ধরেছেন।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

শুভকামনা। :)

১৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: কি কইমু খুইজা পাইতেছি না !

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪২

জেন রসি বলেছেন: কি কইতে চাইছিলেন? গালি হইলে মনে মনে দিয়েন!! :P

২০| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল গল্প।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

শুভকামনা। :)

২১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পুরোটা না বুঝলেও.... তুমি কি আজ বিদ্রোহ করবে? না আমি করবো না।। শুধু যাদুকরের সাথে থাকবো।। যে বদলে দেবে আমাদের সব কুসংষ্কার আর প্রাগৈতিহাসিক রীতি নীতি।। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে বলতে পারবো আহ্।।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

জেন রসি বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। আশা করি ভালো আছেন।

শুভকামনা রইলো।

২২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:২২

পুলহ বলেছেন: বুদ্ধিবৃত্তিক গল্প, আমার মনে হয় এধরণের গল্পের বহুমাত্রিক ইন্টারপ্রিটেশন হতে পারে। যদিও কমেন্টগুলো থেকে এই গল্পের লেখকের চিন্তাটা সুনির্দিষ্ট এবং পরিষ্কার হয়ে এসেছে :)
শুভেচ্ছা আপনার জন্য! বলা বাহুল্য- গল্প চরম হইছে... :)
দীপংকর দা'র করা কমেন্টের লাইনটা আমিও পিক করছিলাম- ' ..যারা ক্ষমতার খেলা খেলে, তাদের প্রতিপক্ষ থেকেও শেখা উচিৎ।' :)
ধন্যবাদ !

১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

জেন রসি বলেছেন: বহুমাত্রিক ইন্টারপ্রিটেশন অবশ্যই হতে পারে। :) যাদুকররা কত রুপেই না যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন। আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হলাম। শুভকামনা। :)

২৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:১০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: যাদুকররাই পারেন সম্মোহন করতে । আসলেই কিছু কিছু মানুষ বেশ charismatic হয় । এরা চাইলে ভালো খারাপ দুটাই করতে পারে মানুষের জন্য । এই ধরনের charismatic people রা যে কত কত সাফল্যমণ্ডিত জনপদের সূচনা এবং শেষ করেছেন , তার তো কতই ইতিহাস রয়েছে । এই charisma আসে কোথা থেকে ? কে এর পেছনে রয়েছে ? কেন মানুষ মুগ্ধ হয়ে তাদের কথা শোনে ? আসলেই কি তারা অবতার হয়েছে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য ? কোন সুপার পাওয়ার কি আছে ?

ভালো লাগলো । তবে এমন মেটাফর যে অক্টোপাসের মত যার কয়েকটা মিনিং করা যায় । :)

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

জেন রসি বলেছেন: যারাই বিভিন্ন সময় মতবাদের নামে, ধর্মের নামে, কিংবা জাতীয়তাবাদের নামে জনগণকে একতাবদ্ধ করে পরিবর্তন এনেছেন তারা অবশ্যই অনেকটা যাদুকরের মতই। কিন্ত অনেক সময় আমরা দেখতে পাই এদের মধ্যে কিছু কালো যাদুকরও থাকে। তাদের পাওয়ার আসলেই কোথা থেকে আসে? ম্যান্ডেলা বলেছিলেন সময়ের প্রয়োজনেই একজন নেতার আবির্ভাব হয়। আসলে জনগন যখন সম্মোহিত হতে চায়, তখনই তাদেরকে সম্মোহিত করা যায়। কিন্তু অনেক যাদুকরই মাঝেমাঝে তার সুবিধা নিয়ে থাকে।

আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হলাম। কয়েকটা মিনিং অবশ্যই আছে। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)

২৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: শঙ্কিত চিন্তাটা বোঝা যায়, মনের গহীন মহৎ বাসনাটারও ইঙ্গিত পাওয়া যায়, কিন্তু দিশাহীন। আর পুরো বিষয়টা যাদুর মতো রহস্যময় নয় কোনোভাবেই। মানুষ বোঝে, অধিকাংশ মানুষই বোঝে; কিন্তু অসহায়, হতাশ এবং উদ্যমহীন। বিষয়বস্তু নির্বাচনের জন্য অকুন্ঠ শ্রদ্ধা রইল। সামনে তাকিয়ে আপনার ব্লগে অনুসরণ দিলাম। ভাল থাকুন, এগিয়ে যান। পাশে আছি।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৩

জেন রসি বলেছেন: মানুষ যখন অসহায় হয়ে যায়, সিস্টেমের জালে ঘুরপাক খেতে থাকে- তখন আসলেই তারা পরিবর্তন চায়। একজন যাদুকরের অপেক্ষায় থাকে যে তাদের মুক্তির পথ দেখাবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় এমন কিছু যাদুকরের আবির্ভাব হয় যারা আসলে এই সুযোগটাকেই কাজে লাগায় ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য নিয়ে। আবার অনেক যাদুকরকে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টিও করা হয়। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আনন্দিত হলাম। শুভকামনা। :)

২৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

সায়ান তানভি বলেছেন: আর কি বলবো ,আপনি তো ভালো লিখেন ,তবে সাধারণের জন্য নয় ।আপনার লেখা পড়তে গেলে মাথা ঝিম ঝিম করে উঠে ,এতো শাস্তি কেন দেন ভাই :( ।শুভ কামনা :)

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৪

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা

আসলে আমি এভাবে গল্প লিখে দেখছি কেমন লাগে! লিখতে ভালোই লাগে। আমি একটু এক্সপেরিমেন্টাল। একটা ব্যাপার ধরার চেষ্টা করছি। ধরে ফেললেই নতুন কোন এক্সপেরিমেন্টে চলে যাব! ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)

২৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

কাবিল বলেছেন: প্রোফেসর এবার কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গীতে সিগারেট ধরালেন। এই জায়গায় এসে আমি থেমে গেলাম, তারপর আমিও---
আর গল্প-- সে কি আর বলা লাগে?

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৮

জেন রসি বলেছেন: আমিও ধরাইছিলাম! :) তবে ছাড়ার চেষ্টায় আছি। :)

ধন্যবাদ কাবিল ভাই। শুভকামনা। :)

২৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যাদুকরকে কিন্তু আমরাই সৃষ্টি করেছি। তাই এখন চাইলেও আমরা তাকে পরাজিত করতে পারবনা।
..................................................... এই শহরে আপনি ক্ষমতার নামে এক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ফাঁদের জাল বিনির্মাণ করেছেন। মানুষ কিন্তু জানে তারা জালে আটকা পড়ে গেছে। সেখান থেকে বের হওয়ার এক তীব্র বাসনা তাদের মধ্যেও আছে। কিন্তু ক্ষমতা নেই। উপায় নেই। কিন্তু তাদের এই সিস্টেম ভেঙে ফেলার আকাঙ্ক্ষা থেকেই যাদুকরের জন্ম। যাদুকরের ক্ষমতার প্রধান উৎস হচ্ছে আপামর জনগনের এই মুক্ত হওয়ার বাসনা

এই জায়গাটুকু গল্পটার প্রাণ। যাদুকর আমরাই তৈরি করি, আমাদের প্রয়োজনেই তারা আসে। ধর্মগ্রন্থগুলিও তাই বলছে। একজনের যুগ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, আরেকজন ম্যাসেঞ্জারের আগমন। যদিও শেষে তারা আমাদের একটা কলা ধরিয়ে দিয়ে বলেছে, আর আসবে না। কিন্তু আসা তারা রোধ করতে পারেনি। যুগে যুগে যাদুকর এসেছে, আমাদের সম্মোহিত করেছে। যারা যারা সম্মোহিত হয়নি, তাদের মেরে ফেলা হয়েছে কিংবা তারা লুকিয়ে থেকেছে।
আপনি পুরো গল্পটাতে অসাধারণ দক্ষতায় ব্যাপারটা তুলে ধরতে পেরেছেন। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার (নাকি দাবীদার- ই না ঈ!!!)।
একটা চুপকথা কৈ, এই গল্পটা কাঠমোল্লারা বুঝলে কিন্তু আপনাকে শূলে চড়াবে! :P সাবধান!

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

জেন রসি বলেছেন: আসলে মঞ্চ প্রস্তুত থাকে। যাদুকররা এসে শুধু পারফর্ম করে। মতবাদের নামে, ধর্মের নামে, কিংবা জাতীয়তাবাদের নামে জনগণকে একতাবদ্ধ করে শুরু হয় অন্য আরেক খেলা। ধর্ম হচ্ছে এসব যাদুকরদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। যা দিয়ে খুব সহজেই মানুষকে আফিমের মতই নেশায় আসক্ত করে ফেলা যায়! আবার আধুনিক সময়ে যা করা হয় বিভিন্ন মতবাদের নামে। উন্নয়নের সপ্ন দেখিয়ে। ঠিক ধরেছেন। গল্পটি আসলে সেসব যাদুকরদের নিয়েই। তবে কাঠমোল্লাদের ভয় পেলে কি আর লেখালেখি করা যাবে? তারা তাদের কাজ করুক। আমরা আমাদের। তাদের শূল থাকলে, আমাদেরও কলম আছে! :)

ধন্যবাদ। :)

২৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

সুমন কর বলেছেন: গল্পের চেয়ে প্রবন্ধভাবটা বেশি। আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে। তবে খারাপ নয়... ;)

+।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

জেন রসি বলেছেন: খারাপ লাগলেও কোন রকম সংশয় ছাড়া বলে ফেলতে পারেন। :) আনন্দিত হলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)

২৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সম্মোহনকারী জাদুকরের প্রতিক্ষায় আছি................। :)

দারুণ গল্প।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

শুভকামনা রইলো। :)

৩০| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: যুগে যুগে বুদ্ধিমানেরাই দেবতা। নিজেদের প্রয়োজনে আমরা ডেকে আনি অবতারকে। নিয়ম করি নিয়ম ভাংগি।

প্রজারা সারাজীবন প্রজাই থাকে। অপেক্ষায় থাকে কোনো এক যাদুকরের। আরিয়ানের স্থান করে নেয় প্রফেসর কিংবা অন্য কেউ। সাধারনের মুক্তি নেই।

গল্প, কবিতা, লেখনী সব ভালো লেগেছে। অন্য ধারার ভালোলাগা। স্বল্পমাত্রার জ্ঞ্যানে এই লেখা সম্ভব না। ভালো থাকুন।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

জেন রসি বলেছেন: মানুষকে নিয়ন্ত্রন করার আসল উপায় হচ্ছে তাদের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রন করা। মানুষ কি আসলে স্বাধীনভাবে স্বপ্ন দেখতে পারে? নাকি সেটাও খুব কৌশলে তৈরি করা হয়! আসলে যাদুকররা একটা সময়ের অপেক্ষায় থাকে। সময়ের প্রয়োজনেই যাদুকরের জন্ম হয়। তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ কালো যাদুকর হয়ে যায়। আপনার চমৎকার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)

৩১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কি লিখবো বুঝে উঠতে পারছি না -- এক কথায় অসাধারণ ---

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

শুভকামনা রইলো। :)

৩২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আমাদের কি কখনো বিদ্রোহ করার অপশন থাকে :-/

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫১

জেন রসি বলেছেন: সম্মোহিত হতে না চাইলে অবশ্যই অপশন থাকে! ;)

ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)

৩৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: দারুন গল্প ভাইয়া! উপস্থাপনা খুব সুন্দর। শুভকামনা রইল :)

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

শুভকামনা রইলো। :)

৩৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যাদুকর আর প্রফেসর !!! এরকম হলে ভাল হত । যে কোন প্রকারে ভাল কিছু হয়ে গেলে সেটাকে ওয়েলকাম জানাবো । উপস্থাপনা বেশ ব্যতিক্রমি মনে হলো । বুদ্ধিদীপ্ত লিখা ।

সুন্দর +

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই।

শুভকামনা রইলো। :)

৩৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৫

জুন বলেছেন: ক্ষমতার নামে, অর্থের নামে, জ্ঞানচর্চার নামে, ভালোবাসার নামে কেউ আর যা খুশী তা করতে পারবেনা। যাদুকর আসছে! যাদুকর আসছে! এমন এক যাদুকরের জন্য আকুল প্রতীক্ষায় আজ আমরা জেন রসি । অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প ।
+

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আনন্দিত হলাম।

শুভকামনা রইলো। :)

৩৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব ব্যস্ততা যাচ্ছে অফিসে। জাস্ট চোখ বুলিয়ে গেলাম। আবার আসব।

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা......

ঠিক আছে আপু। :)

৩৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: বেশ লাগলো কিন্তু ! +++

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়।

৩৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রোফেসর বুদ্ধিমান বটে!
এই গল্পের উপস্থাপনা তেমন ভালো লাগেনি। তবে এরকম ধরণের আরেকটা গল্প চাচ্ছি।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আসলে মতবাদের নামে কিংবা ধর্মপ্রচারণার নামে কিভাবে মানুষকে সম্মোহিত করা হয় এবং তার সাথে ক্ষমতার সম্পর্ক কেমন- এসব নিয়ে মাঝেমাঝে ঘাটাঘাটি করি। খেলা, ধাঁধা, এবং এই গল্পটি তারই ফল।

৩৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

নীলপরি বলেছেন: কিছু লেখক আছেন যাঁরা পাঠক দিয়ে লেখা পড়িয়ে নেন । আপনার গল্পগুলোও সেরকম ।
বরাবরের মতোই খুব ভালো লাগলো ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। উৎসাহিত হলাম।

ভালো থাকুন সবসময়। :)

৪০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:


আমরা সারাজীবন দাস। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছুর। ব্যক্তির কখনো তো কখনো বস্তুর। খুব কম লোক প্রফেসর হতে পারে। বর্তমানে আমরা সম্ভবত লোভের দাস। তাই যাদুকরও আমরাই। শুধু জীবন্ত হবার অপেক্ষা।

গল্প নিঃসন্দেহে অসাধারণ। তবে অন্যগুলোর তুলনায় একটু আলোহীন মনে হলো।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার বলেছেন রাজপুত্র ভাই।

ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৪১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৪

শায়মা বলেছেন:

যাদুকরকে ম্যাজিক ওয়ান্ড ছাড়া মানাচ্ছিলো না । তাই নিয়ে এলাম ভাইয়ু!!!!!!!!:)

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪২

জেন রসি বলেছেন: আজকাল আসল যাদুকরদের ম্যাজিক ওয়ান্ড লুকায়িত অবস্থায় থাকে! ;)

যারা ম্যাজিক ওয়ান্ড নিয়া প্রকাশ্যে যাদু দেখায় তারা নিশ্চিত স্কেপগোট! ;)

আপনার ম্যাজিক ওয়ান্ড কই লুকাইয়া রাখছেন??? :P

৪২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৫

শায়মা বলেছেন: তরুন হাসির আড়াল কোন আগুন ঢাকা রয়! একি গো বিস্ময়! অস্ত্র তোমার গোপন রাখো কোন তূণে!

এইখানে খুঁজো কোথায় আছে ম্যজিক ওয়ান্ড ভাইয়ু!!!!!!!:)

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০১

জেন রসি বলেছেন: আপনি আসল যাদুকর!

আমার মত আম জনতা কেমনে জানবে কোথায় আছে ম্যজিক ওয়ান্ড! ;) :P

৪৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশের যাদুকর ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

আর কোন যাদুকর আসবে কিনা জানিনা।
মানুষের মুক্তি কোথায় জানিনা।

গল্প অনেক ভাল হয়েছে।
++++

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

জেন রসি বলেছেন: বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাদা যাদুকর। আমি এ গল্পে কালো যাদুকরদের কথা বলেছি। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৪৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

রোদেলা বলেছেন: চমকে দেবার মতোন উপস্থাপন,ভিন্নতা রয়েছে প্রত্যেকটি প্যাড়াতে।প্রিয়তে রাখলাম,সুযোগ পেলেই আবার পড়ে নেব।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। অনেক অনুপ্রাণিত হলাম।

ভালো থাকুন সবসময়। :)

৪৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

সায়েল বলেছেন: আসলে স্তরে স্তরে আমরা কোন না কোন দল/পক্ষের দাসত্ব করছি। খেলার ঘুঁটি হিসেবে কাজ করছি কিন্তু জানি না। তবে উপরের এরা জানে। আবার অনেক সময় জানে না।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

জেন রসি বলেছেন: এটাকে একটা মজার কিংবা নির্মম ডিলেমা বলতে পারেন যা মানব সভ্যতার ইতিহাসের প্রথম থেকেই ঘটে আসছে। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৪৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৪

রাজসোহান বলেছেন: চমৎকার। কিছু কিছু বাক্য পড়তে গিয়ে কবিতার মতো মনে হয়েছে। প্লাস! :)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আনন্দিত হলাম। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.