নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অমীমাংসিত

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১



আয়োজন

তোমাকে এখন হত্যা করা হবে। তোমার শেষ ইচ্ছা কি আমাদের জানতে দাও। যদি সম্ভব হয় আমরা তা পূরণ করব। নিকের খুব কাছ থেকে ভেসে আসা কথাগুলো তার নিজের কাছেই কেমন যেন দুর্বোধ্য মনে হচ্ছে। মৃত্যু অবধারিত জেনে মানুষের শেষ ইচ্ছা একটাই হতে পারে। সেটা হচ্ছে বেঁচে থাকার প্রবল ইচ্ছা। সম্ভবত মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তেই মানুষ বেঁচে থাকার তীব্র স্বাদ অনুভব করতে পারে। নিকের কাছেও মনে হচ্ছে বেঁচে থাকা যে এমন চমৎকার একটা ব্যাপার তা সে আগে কখনো এমন ভাবে অনুভব করতে পারেনি। সে খুব দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। তাকে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হবে।

নিক নিজের বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত করে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার চেষ্টা করল। তারপর খুব ঠাণ্ডা গলায় ওদের উদ্দেশ্য করে বলল আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে চাই। এটাই আমার শেষ ইচ্ছা। সে বিদ্রুপের হাসি শুনতে পেল। তুমি এখন অসহায়। কোন ভাবেই প্রতিরোধ কিংবা যুদ্ধ করার মত অবস্থাতে তুমি নেই। আমরা ইচ্ছা করলেই যেকোনো সময় তোমাকে মেরে ফেলতে পারি। তুমি কিভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে চাও? যুদ্ধ করে মরতে চাও? কিন্তু তুমিও খুব ভালো করেই জান সেটা করার সুযোগ দিলেও তোমার বেঁচে থাকার কোন সম্ভাবনাই নেই।

যুদ্ধ করে তোমাদের সাথে আমি পারবনা তা জানি। নিক খুব স্থির গলায় উত্তর দিল। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা হিসাবে তোমাদের সাথে আলোচনা করতে চাই। এটাকে তোমরা বিতর্কও বলতে পার। আমি তোমাদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করব যে, আমাকে মেরে ফেলাটাই তোমাদের জন্য কোন সমাধান হতে পারেনা। বরং আমাকে বা আমার মত অনেককে হত্যা করে তোমরা নিজেরাই তোমাদের ধ্বংসের পথকে স্বাগতম জানাচ্ছ।

যদিও তোমাকে হত্যা করা হবে এটা অবধারিত, তবে তোমাকে তোমার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে দেওয়া হবে। আমাদের আধ্যাত্মিক নেতা তোমার সব কথা শুনেছেন। তিনি তোমার সাথে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন।

নিকের চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়েছে। তার সামনে একজন মানুষ বসে আছেন। নিক বুঝেছে এই মানুষটিই সেই, যাকে ওরা তাদের আধ্যাত্মিক নেতা বলে অভিহিত করে থাকে। মানুষটির একধরনের আকর্ষণ করার ক্ষমতা আছে তা নিক বুঝতে পারে। কারন তাকে একপলক দেখেই নিকের মাঝেও একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে।


মোহ

আমি জানি তোমার মনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তুমি চুপ করে না থেকে আমার সাথে তোমার অনুভূতি শেয়ার করতে পার। মায়ার হাত ধরে কথাগুলো বলল অর্ক। মায়া আর অর্ক আজ দুবছর ধরে একসাথে থাকছে। প্রফেশন, প্যাশন, এবং চর্চার দিক থেকে তারা দুজনই সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী চরিত্র। মায়া খুব বিখ্যাত চিত্রকর। দেশের বাইরেও তার বেশ কয়েকটা চিত্রকর্মকেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেই মাস্টারপিস বলা যায়। মায়ার কাজ হচ্ছে স্যুরিয়েল জগত নিয়ে। অপরদিকে অর্ক এ দেশের একজন বিখ্যাত গণিতবিদ। তার পিএইচডি থিসিস সারা বিশ্বের স্বনামধন্য গণিতবিদদের মধ্যেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। অর্ক এখন খুবই গোপন একটা গবেষণার কাজে জরড়িত আছে। বলা হচ্ছে এই গবেষণা শেষে অনেক জটিল রহস্যের জট খুলে যাবে। মায়া এবং অর্ক আসলে তাদের এই বিপরীতধর্মী স্বভাবের কারনেই একে অপরের প্রেমে পড়েছিল। অবশ্য আরো একটি কারন আছে। নিকের সাথে বিচ্ছেদের পর থেকেই মায়া একধরনের শূন্যতায় নিমজ্জিত হয়ে যায়। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই হয়তো মায়ার জীবনে অর্কের আগমন ঘটে।

ওরা কি নিককে আসলেই মেরে ফেলবে? নিজের জানা উত্তরটাই যেন মায়া শুনতে চাচ্ছেনা। অর্ক কিছুক্ষন চুপ করে থাকে। তারপর বলে, উত্তরটা আমরা দুজনই জানি। নিক অনেকদিন থেকেই তার যুক্তির জাল বিস্তার করে ওদের বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে আঘাত করে আসছিল। বিশেষ করে নিকের শেষ থিসিসটা পুরো বিশ্বেই আলোড়ন সৃষ্টি করে। অনেকেই অবিশ্বাসী হয়ে যেতে শুরু করে। তারপর থেকেই আধ্যাত্মিক গোষ্ঠীগুলোর প্রধান শত্রু হয়ে যায় নিক। অনেকদিন থেকেই তারা নিককে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছে। তাই তার আর ফীরে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তাছাড়া আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে, যা আমি গোপন সুত্রে জানতে পেরেছি। তোমাকে বলা ঠিক হবে কিনা জানিনা! তবে আমার মনে হয় তোমার জানার অধিকার আছে। সরকারও চাচ্ছেনা নিক বেঁচে থাকুক। কারন সরকারের সাথে আধ্যাত্মিক গোষ্ঠীগুলোর একধরনের সম্পর্ক আছে। তারা একে অপরের প্রয়োজনে কাজ করে থাকে। নিকের গবেষণা সরকারের জন্যও অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। তাই তারা এই ব্যাপারে নিরব থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।

মায়ার চোখ থেকে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। তার হঠাৎ করে খুব নিককে দেখতে ইচ্ছে করছে। অনেকদিন আগের সেই সোনালী সময়গুলোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। মায়ার চিত্রকর্ম সম্পর্কে নিকের খুব একটা আগ্রহ ছিলনা। তবে নিক তার সবটা দিয়েই মায়াকে ভালোবাসত। কিন্তু মায়ার একটা চিত্রকর্ম নিয়েই নিকের সাথে তার প্রথম তর্ক হয়। সেখানে মায়া এমন কিছু ব্যাপার তুলে ধরেছিল যা নিকের গবেষণার সাথে কন্ট্রাস্ট করছিল। নিক প্রথমে তাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিল। তারপর বলেছিল তুমি যা সৃষ্টি করছ তা যতই সুন্দর হোকনা কেন, তা অযৌক্তিক। আর একটা মিথ্যাকে যেভাবেই উপস্থাপন করা হোক না কেন তা মিথ্যাই। মায়া বলেছিল তোমার সাথে আমার বিশ্বাসের মিল নেই বলে তুমি আমার কাজকে অপমান করতে পারনা। আমার কাজকে ভালো না বাসতে পারলে আমাকে ভালোবাসার অধিকারও তুমি রাখোনা। নিককে সে সময় খুব অসহায় লাগছিল। কিন্তু মায়ার রাগ এবং আবেগের কাছে নিকের প্রতি তার ভালোবাসা পরাজিত হয়। সে সেদিনই নিককে একা ফেলে চলে এসেছিল। তারপর আর কোনদিন নিকের সাথে দেখা করেনি। এখন নিককে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। বলতে ইচ্ছে করছে, আসলেই সে নিককে অনেক ভালোবাসে। অর্ক এখনো মায়ার হাত ধরে আছে। সে যেন মায়ার সব অনুভূতি খুব স্পষ্ট ভাবেই পড়ে ফেলতে পারছে।


বিনির্মাণ

মানুষের মৃত্যুর পরেই সব শেষ হয়ে যাবে, এমন ধারনা পোষণ করলে সমাজে অনেক ধরনের পরিবর্তনই হতে পারে। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা হবে তা হচ্ছে, আমাদের ক্ষমতাও তখন টিকে থাকবেনা। ডুমার তার কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলে। মানুষ যদি বুঝতে পারে যে, এই জীবনই তার একমাত্র জীবন এবং এই জীবনেই তার সব অধিকার তাকে আদায় করে নিতে হবে- তবে শোষিত শ্রেণী বিদ্রোহ করবে। তাদেরকে আর ভ্রান্ত বিশ্বাসের জালে আটকে রাখা যাবেনা। মানুষ তখন সব প্রথা ভেঙ্গে নিজের জীবনটাকেই পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করতে চাইবে। আমাদের ভাড়া করা কয়েকজন সমাজবিজ্ঞানী তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে বলেছে যে, তখন মানুষকে শাসন এবং শোষণ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তাই আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আধ্যাত্মিক গোষ্ঠীর হাতে নিককে হত্যা হতে দেওয়া। আধ্যাত্মিক গোষ্ঠীগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করে রেখে আসলে আমাদেরকেই আরো শক্তিশালী করে তুলছে। তাই তাদের আমরা খুব কৌশলে আমাদের প্রয়োজনে ব্যাবহার করছি। তবে যে জন্য আজ এই গুরুত্বপূর্ণ গোপন মিটিং এ আপনাদের ডেকেছি তা এখন আমি আপনাদের বলব।

আধ্যাত্মিক নেতা বিভিন্ন সময় আমাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলেও আমরা গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি যে, তার মনোভাবের কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। সে এখন আমাদেরকে আধ্যাত্মিক বিপ্লবের মাধ্যমে উৎখাতের পরিকল্পনা করছে। তাই তাকেও সরিয়ে দেওয়া ছাড়া আমাদের হাতে অন্য কোন উপায় নেই। তাকে সরিয়ে আমরা সেখানে আমাদের নিজস্ব লোক নিয়োগ করব। তবে তারা যখন নিককে হত্যা করবে তখন আমরা খুব দ্রতই তাদের উৎখাত করব। এতে করে এক আমরা এক ডিলেই আমাদের প্রধান দুই শত্রুকে সরিয়ে দিতে পারব।

আপনারা জানেন যে, নিক এবং আধ্যাত্মিক নেতা দুজন সম্পূর্ণ বিপরীত মতবাদ ধারন এবং প্রচার করে থাকে। তারা দুজনই প্রথমে আমাদের বন্ধু ছিল। কিন্তু নিকের সত্য আবিষ্কারের অবসেশন আমাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে তার শেষ থিসিসটা মানুষকে প্রভাবিত করতে থাকে। সে যুক্তি দিয়ে প্রমান করে যে পরকাল বলে কিছু নেই। এই জীবনকেই তাই পূর্ণরুপে উপভোগ করতে হবে।

অপরদিকে, আধ্যাত্মিক নেতা এর বিপরীত মতবাদ প্রচার করে আসছে। অর্থাৎ তাদের মতে পরকালই সব। তাদের প্রচার আমাদের জন্য খুব একটা সমস্যা ছিলনা। বরং মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখার তাদের এই আয়োজন আমাদেরই কাজে আসত। কিন্তু আমদের তাদের দুজনের মতবাদ নিয়েই কোন মাথা বেথা ছিলনা। কিন্তু এখন আমরা আমাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার পথে দুজনকেই বাঁধা মনে করছি। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা নিককে আধ্যাত্মিক গোষ্ঠীর হাতে মরতে দেব। তারপর নিককে হত্যা করার অপরাধে আমরা আধ্যাত্মিক নেতাকে উৎখাত করব।


ডুমার কথা শেষ করে কারো কোন প্রশ্ন কিংবা সংশয় আছে কিনা জানতে চাইল। কিন্তু বরাবরের মতই কেউ কোন প্রশ্ন করল না।


শেষ প্রহরের খেলা

আলোচনা শুরুর আগে তোমার কাছে একটা সত্য জানতে চাচ্ছি। যখন তোমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তোমার শেষ ইচ্ছে কি, তখন আমি ভেবেছিলাম তুমি মায়াকে শেষ বারের জন্য দেখতে চাইবে। তোমার কি আসলেই তেমন কিছু মনে হয়েছিল। নিকের চোখে চোখ রেখেই কথাগুলো বলল আধ্যাত্মিক নেতা।

দেখতে ইচ্ছে করছিল। আর আমি জানি সেটা চাইলে আমার ইচ্ছাও পূরণ করা হতো। কারন মায়ার সাথে আপনার সম্পর্কের কথা আমি জানি। মায়ার ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিসঅর্ডারের কথা শুধু তিনজন মানুষই জানে। আমি, অর্ক এবং আপনি। আপনি মনোবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। পি এইচ ডি করার সময় হঠাৎ করেই জাগতিক সবকিছু আপনার কাছে অর্থহীন মনে হয়। তখন থেকেই আপনি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। এবং একসময় চরম্পন্থি হয়ে যান। আপনি মায়ার চিত্রকর্মের ফ্যান ছিলেন। বিশেষ করে তার সুরিয়েল চিত্রকর্মে আপনি আপনার আধ্যাত্মিক দর্শনের ছোঁয়া পেতেন। মায়াও বিভিন্ন ভাবে আপনার দ্বারা প্রভাবিত হয়। তার একটা বিখ্যাত চিত্রকর্মে আপনার প্রভাব সুস্পষ্ট। যদিও সেটা সে জানেনা। সেই চিত্রকর্ম নিয়েই তার সাথে আমার বিরোধ হয়েছিল। সে একদিকে চাচ্ছে আপনি আমাকে হত্যা করুন। অপরদিকে তার আরেক সত্ত্বা চাচ্ছে আমি জীবিত অবস্থায় ফীরে যাই। কারন তার একটা সত্ত্বা আমাকে পাগলের মতই ভালোবাসে। চোখে চোখ রেখেই উত্তর দিল নিক।

আমার মনে হয়, আমাকে হত্যা করতে চাওয়ার পেছনে আপনার অন্য কোন কারন আছে। আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের অজুহাত দিয়ে আপনি যতজনকে হত্যা করেছেন তার পেছনের কারন হিসাবে একটা প্যাটার্ন আমি খুঁজে পেয়েছি। আপনার মধ্যে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস দুটো ব্যাপারই চরম ভাবেই অবস্থান করে। কিন্তু বিশ্বাস আপনাকে শান্তি দেয়। আর অবিশ্বাস আপনাকে পাগল করে ফেলে। তাই আপনি আসলে আপনার বিশ্বাসী স্বত্বাটাকে চাপা দেওয়ার জন্যই আমাদের হত্যা করছেন।

নিকের দিকে হাসি মুখেই তাকিয়ে আছেন আধ্যাত্মিক নেতা। তাকে দেখে মনে হচ্ছে নিকের কথা শুনে সে খুবই আনন্দ পাচ্ছে। তুমি ঠিক বলেছ। বিশ্বাস মানেই শান্তি। অবিশ্বাস মানেই চরম অশান্তি। তাই আমি আমার অবিশ্বাসী অংশটাকে চিরতরে ধ্বংস করে পরম শান্তি অনুভব করতে চাই। তবে এতদিন সরকার আমাকে বন্ধু ভেবে এসেছে। এখন ভাবছে না। আমার ধারনা তোমাকে মেরে ফেললেই তারা আমাকেও মেরে ফেলবে। তারা তোমাকে কিংবা আমাকে কাউকেই বাঁচতে দিতে চাইছে না এখন। তবে তাদের সেই প্ল্যান আমি বাস্তবায়িত হতে দেবনা। আমি বরং তোমার সাথে একটা খেলা খেলতে চাই। তুমি বলেছ এই জীবনই একমাত্র সত্য। পরকাল বলে কিছু নেই। স্রষ্টা বলে কিছু নেই। তাই এই জীবনটাকেই উপভোগ করতে হবে। আমিও তাই চেয়েছিলাম। কিন্তু একসময় বুঝলাম বিশ্বাস ছাড়া বেঁচে থাকা দুর্বিষহ। সকিছুর ব্যাখ্যা না খুঁজে বরং স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণই একমাত্র শান্তি আনতে পারে। কিন্তু তোমার একের পর এক থিসিস আমার মধ্যেও সংশয়ের জন্ম দেয়। তোমার অকাট্য যুক্তি, প্রমান আমাকে শান্তি দিচ্ছিলনা। তুমি আমার শান্তি কেঁড়ে নিয়েছ। আমিও তোমার শান্তি কেঁড়ে নেব। তোমাকে ছেঁড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তোমার বদলে মায়াকে হত্যা করা হবে। তুমি বাকি জীবন অনেক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকবে। অথবা তোমার হাতে রিভলবার তুলে দেওয়া হবে। তুমি নিজেই নিজের মাথায় গুলি করবে। এখন বল, কি চাও? জীবন না মৃত্যু?


পরিশেষে


ডুমার খুব অবাক হয়ে মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। শেষ মুহূর্তে কেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে? ডুমার বিভ্রান্ত হয়েই জানতে চায়। মায়া হাসি মুখেই বলে, যারা আমায় ভালোবাসে তারা জানে আমার ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিসঅর্ডার আছে। তুমি কি আমাকে ভালোবাসো না নাকি? সময়ের প্রয়োজনে আমাকে এক এক সময় একেক রকম চরিত্র হয়ে যেতে হয়। ছোটকাল থেকে আমাকে এ ধরনের ট্রেনিং খুব ভালো ভাবেই দেওয়া হয়েছে। তুমি জানো আমি যে গুপ্ত সংঘটনের হয়ে কাজ করি, পৃথিবীর অনেক কিছুই এখন তাদের নিয়ন্ত্রনে। পৃথিবীতে কত্টুকো বিশ্বাসের চর্চা হবে কিংবা কত্টুকো অবিশ্বাসের চর্চা হবে- তা তারা তাদের প্রয়োজন মত ঠিক করে নেয়। নিক, অর্ক, কিংবা আধ্যাত্মিক নেতা কেউ জানত না যে তাদের সাথে সম্পর্কটা একটা পরিকল্পনার অংশ ছিল। আসলে নিক তার শেষ থিসিসে ঠিকই বলেছিল যে, এই পৃথিবীতে মানুষই সবকিছুর ডিজাইনার। মানুষই মানুষকে নিয়ে খেলে, আবার মানুষই মানুষের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করে। আসলে আমরা জানতে পারি যে, নিক কগনেটিভ ম্যাপ নিয়ে গবেষণা করছে। যা আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই জানা প্রয়োজন। তাই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আধ্যাত্মিক নেতাকে মেরে নিককে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে হয়েছে।

মায়া জানে নিক তাকে বাঁচাতে আরেকটু হলেই আত্মহত্যা করত। নিকের মত যুক্তিবাদী মানুষ নিজের গবেষণা অর্ধেক বাকী রেখেই মায়াকে ভালোবেসে মরতে বসেছিল। তার মধ্যে কি তখন আসলেই কোন যুক্তি কাজ করছিল? মায়াও শেষ মুহূর্তে অনেক বড় রিস্ক নেয়। সে তার অথোরিটিকে না জানিয়েই নিককে উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সে জানে, যৌক্তিক কারন দেখিয়ে তাদের কনভিন্স করতে না পারলে, তাকেও হত্যা করা হত। ভালোবাসা আসলেই এক রহস্যময় অনুভতি যেখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাস, যুক্তি সব তুচ্ছ হয়ে যায়।

মন্তব্য ৮৩ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৮৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

পবন সরকার বলেছেন: অনেক বড় লেখা প্রিয়তে নিযে নিলাম। পরে পড়বো।

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

জেন রসি বলেছেন: ঠিক আছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

হুকুম আলী বলেছেন: অর্ধেক পড়েছি। সময় নিযে পড়তে হবে।

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

জেন রসি বলেছেন: ঠিক আছে ভাই।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


ব্রিলিয়ান্ট!!!!

মনে মনে অনেক হাসলাম। বুঝে নিন :)

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

জেন রসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

বুঝে নিলাম। :)

৪| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




ভালো লাগলো ক'টি কারনে -
এক - সমসাময়িকতার ধুম্রজাল সরিয়ে আসল আগুনকে তুলে সফল আনার চেষ্টা ।
দুই - একটা মিথ্যাকে যেভাবেই উপস্থাপন করা হোক না কেন তা মিথ্যাই। এই লাইনটি ।
তিন - পৃথিবীতে মানুষই সবকিছুর ডিজাইনার। মানুষই মানুষকে নিয়ে খেলে, আবার মানুষই মানুষের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করে। এই সত্যটি গল্পের ছলে হলেও তুলে ধরে একটা সতর্কীকরণ দেয়ার চেষ্টা ।
চার - ভালোবাসা আসলেই এক রহস্যময় অনুভতি যেখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাস, যুক্তি সব তুচ্ছ হয়ে যায়। এই বাক্যটি তবে বিশ্বাস নামের শব্দটি বাদে । কারন একমাত্র প্রকৃত ভালোবাসাই বিশ্বাসে স্থিত হয় । কিম্বা বিশ্বাসই ভালোবাসার বীজ বুনে দেয় ।

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩২

জেন রসি বলেছেন: খুব চমৎকার ভাবে গল্পের সারমর্মই তুলে ধরেছেন। আসলেই সমসাময়িক ব্যাপারগুলো আমার এমন বলেই মনে হয়। তার সাথে আছে ইতিহাস থেকে নেওয়া শিক্ষা। আসলে মানুষই মতবাদের চাষ করে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করে। হোক সেটা ধর্মীয় বিশ্বাস কিংবা প্রযুক্তির আবিষ্কার। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক থাকতে পারে।

ভালোবাসা আসলেই এক রহস্যময় অনুভতি যেখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাস, যুক্তি সব তুচ্ছ হয়ে যায়। এই বাক্যটি তবে বিশ্বাস নামের শব্দটি বাদে । কারন একমাত্র প্রকৃত ভালোবাসাই বিশ্বাসে স্থিত হয় । কিম্বা বিশ্বাসই ভালোবাসার বীজ বুনে দেয় ।

আমার মনে হয় অন্ধ বিশ্বাস যে ভালোবাসার জন্ম দেয় তা ভালো ফল বয়ে আনেনা। যেমন ধরুন যে লোক বোম দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিচ্ছে সেও কিন্তু একজনের প্রতি প্রবল ভালোবাসা থেকেই সেটা করছে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

৫| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শায়মা বলেছেন: যুদ্ধ করে তোমাদের সাথে আমি পারবনা তা জানি। নিক খুব স্থির গলায় উত্তর দিল। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা হিসাবে তোমাদের সাথে আলোচনা করতে চাই। এটাকে তোমরা বিতর্কও বলতে পার।


এটা আর নিকের থেকে ভালো কে পারে! তাইনা!!!!!! :P

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪২

জেন রসি বলেছেন: ঠিক! ঠিক! এটা কিন্তু অনেক বড় অস্ত্র। কথায় আছে স্বপ্ন দেখে একজন! বাকীরা তা বাস্তবায়িত করার জন্য শ্রম দেয়। ;)

৬| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু এটা কি সায়েন্স ফিকশন নাকি প্রেমের গল্প??? B:-/

মইনুলভাইয়া হাসছে কেনো???

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

জেন রসি বলেছেন: এটাকে প্রেমের গল্প বলে ট্যাগ করতে চাইলে করা যেতে পারে। তবে কোন ভাবেই সায়েন্স ফিকশন বলা যাবেনা!

মইনুল ভাইয়া কেন হাসছে, এটা ওপেন সিক্রেট! ;)

৭| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


@শায়মামণি!
আমার হাসির কারণ জিজ্ঞেস করবেন না। এমনিতেই হাসি। কাঁদিও হাসি দিয়েই /:)

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০৯

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা হা হা

এবার আমি হাসছি খুব। আপনি বুঝে নেন। :)

৮| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ১ম লাইক এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছি পরের সেশনে। :)

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১৭

জেন রসি বলেছেন: প্রথম লাইকের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর আপনার মূল্যবান প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকলাম। :)

৯| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: পড়ে শেষ করতে পারিনি এখন।

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৫

জেন রসি বলেছেন: ঠিক আছে ভাই।

উপস্থিতি এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

শায়মা বলেছেন: মইনুলভাইয়া হাসি দিয়ে কাঁদো!!!!!!!!!! ভালো ভালো !!!!!!!! ভেরি গুড!!!!!!!!!! :) :) :)


বুঝেছি ভাবিজী বকা দেয় কি আর করবা!!!!!!!! তাই হাসি হাসি কান্না তাইনা!!!!!!!!!!!

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৭

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা

:P

১১| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

শায়মা বলেছেন: জিনিভাইয়ু!!!!!!!!!!

এতক্ষন ছবিটা দেখিনি!!!!!!!

এ দেখছি মগজ টেরারিয়াম!!!!!!!!! B:-)

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩১

জেন রসি বলেছেন: পুরা মানব জীবনটাই একটা টেরারিয়াম!

এইটা একটা ভাবের কথা কইলাম! :P

যাচাই বছাই করা কোন ফলাফল না! ;)

১২| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




আমি কিন্তু কোথাও "অন্ধ বিশ্বাস" এর কথা বলিনি । বলেছি - "প্রকৃত ভালোবাসাই বিশ্বাসে স্থিত হয় .." ; এ বিশ্বাস অন্ধ নয় । ভালোবাসায় অনুভবের প্রগাঢ়তা, বিবেচনার প্রাজ্ঞতা , সহমর্মিতার স্পর্শময়তা, বোঝার ঋজুতা ধীরে ধীরে যে বিশ্বাসের জন্ম দেয় তার কথা বলেছি । যে বিশ্বাস অটুট বন্ধনে বেঁধে রাখে । যা কেবলই শুদ্ধ । বোধগম্য ।
আপনি যে উদাহরন দিয়েছেন তা শুধু মোহ । এতে বিশ্বাস আছে বলে আমরা যা ধারনা করি তা আসলেই ভুল । তা না জানা, না বোঝার অপরিনত ফসল ।
বোঝাতে পেরেছি কিনা জানিনে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

জেন রসি বলেছেন: আপনি কি বলতে চেয়েছেন আমি বুঝতে পেরেছি জি এস ভাই। কিন্তু আমাদের বোধের সাথে পারিপার্শ্বিক সবকিছুর একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাই ভালোবাসায় অনুভবের প্রগাঢ়তা, বিবেচনার প্রাজ্ঞতা , সহমর্মিতার স্পর্শময়তা দিয়ে যেমন বিশ্বাসের জন্ম হয়, তেমনি অজ্ঞানতা, তীব্র হতাশা থেকে মুক্তির উপায়- এসব থেকেও বিশ্বাসের জন্ম হতে পারে। আপনি এক পবিত্র ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের কথা বলেছেন। কিন্তু সবকিছুরই একটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই অন্ধ বিশ্বাসের কথাও বললাম। এত চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

বোঝাতে পেরেছেন। :)

১৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সেই খেলা!!! :| :|

কিন্তু কিছুই করার নেই। স্থুল দৃষ্টিতে ও পরিমাপে আমরা যা করি, দেখি, অনুমান করি, মানি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি তার বেশিরভাগই লজিকের নিরীখে ক্রটিযুক্ত এবং আপেক্ষিকভাবে প্রতিপাদিত।
স্থানের পরিবর্তনের অন্য-মাত্রিক পরিমাপ করলে কোন কোন অসম্ভব সম্ভব হয়ে যায়। জগৎবাসী'র শতভাগ নিয়ন্ত্রণ আল্টিমেটলি কেউই করছে না। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে একাধিক গোষ্টি দ্বারা।
গল্পে সারা দুনিয়া সহ আমাদের দেশেরও কিছু বিষয়ে ভাবনাগত উপলদ্ধির প্রকাশ পাচ্ছি। গত মাসে আমার লেখা একটি ছোটগল্পের সাথে ভালই মিল পেলাম।

উপভোগ্য একটি গল্প পরিবেশন করার জন্য ধন্যবাদ রইল জিনি ভাই। :)

০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০২

জেন রসি বলেছেন: সভ্যতার বিকাশ কখনো সরল পথে হয়নি। নানা রকম ঘাত প্রতিঘাত, দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই আঁকা বাঁকা পথ ধরেই সমাজের বিবর্তন হয়েছে। স্থান, কাল, মানুষ ভেদে চিন্তার পার্থক্য এবং প্রয়োগের পার্থক্য এসব কিছুই আমরা ইতিহাস থেকে দেখি। যদি বর্তমান সময়ের দিকে তাকাই তবে সেই একই ব্যাপার ঘটে চলতে দেখি আমরা। একটা সিস্টেম কিংবা সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রোগ্রাম দিয়ে মাস পিপলের ভাবনা চিন্তা নিয়ন্ত্রন করা।

সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

সুমন কর বলেছেন: উপস্থাপন এবং কিছু বাক্য ভালো ছিল। গল্প হিসেবে মোটামুটি লেগেছে। +।

০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

জেন রসি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

১৫| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শোষিত শ্রেনী বরাবরই বিদ্রোহী।। সুযোগেই তার চরম প্রকাশ।। মানুষই গড়ে আবার তা নিজেই ভেঙ্গে ফেলে।।তবে মায়ার চরিত্রটি কেন যেন ভাল লাগছে।। বাস্তবতার কারনেই বোধহয়।।
কেন এং কোথায় যে আপনাদের/আমাদের পার্থক্য, তা আর বুঝিয়ে বলতে হবে না??

০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

জেন রসি বলেছেন: শোষিত শ্রেনী যেন বিদ্রোহ না করতে পারে তার জন্যই শাসক শ্রেণীর কত আয়োজন। বিশ্বাসের নামে, প্রথার নামে তাদের দমিয়ে রাখা হয়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।

১৬| ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১২

এখওয়ানআখী বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা। অনেক ভাল লাগল

০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

জেন রসি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। :)

১৭| ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: দুর্দান্ত লেখা। :)
বিশ্বাস-অবিশ্বাস, ভালবাসা, যুক্তি-তর্ক, ক্ষমতার দ্বন্দকে এক সুতোয় গেঁথেছেন।

০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

জেন রসি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: আমার দৃষ্টিতে মানুষগুলোকে মূল তিনটি ধারায় ভাগ করা যায়। বুদ্ধিমান, নির্বোধ আর হঠকারী। নির্বোধকে নিজস্বার্থে ব্যবহার করে হঠকারী এবং টার্গেট "বুদ্ধিমান ঠেকাও"। কিন্তু বুদ্ধিমান শ্রেনী সবসময় হাইড্রা হেডেড। কেঁটে ফেলা মাথার একফোটা রক্ত থেকে জন্ম নেয় একশ মাথা। বিনাশ নেই।

কঠিন এক কাহীনির সাথে মিশেল দিয়েছেন প্রেমের। সফল হয়েছে।

আহমেদ জী এসের দৃস্টি সর্দাই শ্যান। মাঈনুদ্দিন মইনুলের হাসি ভালো লাগলো। শায়মার সরল মন্তব্যে মজা পেলাম :) :)

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:০৯

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। তবে একই মানুষ সময় ভেদে এই তিন শ্রেণীতেই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতে পারে। আর একটা কথা আছে- যে যত বেশী জানে, সে তত কম মানে। তাই শাসক গোষ্ঠী কিংবা ধর্মীয় গুরুরা সবসময় চায় যে, মাস পিপল ঠিক ততটুকুই জানুক যতটুকু জানলে তারা অবাধ্য হবেনা। তবে বুদ্ধি এমন এক ব্যাপার যা একজন থেকে হাজারজনে ছড়িয়ে পড়বেই। তা না হলেত সভ্যতার বিবর্তনই বন্ধ হয়ে যেত।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

১৯| ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: ও হ্যা, লিখতে ভুলে গেছি। প্রতিটা ঘটনার আলাদা নাম দেওয়াটা নতুনত্ব কিন্তু না দিলেও ভালো লাগত। ভাগ নামে গল্প কিছুটা প্রবন্ধগন্ধী হয়(আমার ব্যক্তিগত ভাবনা)।

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১২

জেন রসি বলেছেন: না দিলেও হয়। আপনার পরামর্শ মনে থাকবে। :)

২০| ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

জুন বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো জেন রসি
+

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১৪

জেন রসি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জুন আপু। :)

২১| ০৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

সুলতানা রহমান বলেছেন: পুরো গল্পটাই আপনি একটা থিম নিয়ে লিখছেন। জাগতিক আর ইহলৌকিক এই দুইটা বিষয়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু শেষ দিকে এসে গল্পের মতো করে ফেলেছেন মানে ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিয়ে ফেলছেন।

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২২

জেন রসি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম। ইহজগতের নামে এই জগতেই খেলা খুব জমে উঠেছে। আর মানুষকে যেভাবেই ডিফাইন করা হোক, ভালোবাসা মূর্ত রূপেই থাকবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি ভালোই আছেন। :)

২২| ০৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

কাবিল বলেছেন: মানুষ যদি বুঝতে পারে যে, এই জীবনই তার একমাত্র জীবন এবং এই জীবনেই তার সব অধিকার তাকে আদায় করে নিতে হবে- তবে শোষিত শ্রেণী বিদ্রোহ করবে। তাদেরকে আর ভ্রান্ত বিশ্বাসের জালে আটকে রাখা যাবেনা। মানুষ তখন সব প্রথা ভেঙ্গে নিজের জীবনটাকেই পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করতে চাইবে। আমাদের ভাড়া করা কয়েকজন সমাজবিজ্ঞানী তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে বলেছে যে, তখন মানুষকে শাসন এবং শোষণ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

ভাল লাগলো।

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল ভাই।

আছেন কেমন?

২৩| ০৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: বুদ্ধিদীপ্ত গল্প কিন্তু কোপ হইতে সাবধান :D

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৭

জেন রসি বলেছেন: চারপাশে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে! ;)

ধন্যবাদ অপু ভাই। :)

২৪| ০৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: :D =p~

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩০

জেন রসি বলেছেন: :D =p~ B-) ;)

২৫| ০৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আলাদা আলাদা পাঁচটি সেগমেন্টে লিখে পাঠক আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। চমৎকার লাগলো গল্প।
ধন্যবাদ জেন রসি।

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩২

জেন রসি বলেছেন: আপনি একজন চমৎকার গল্পকার। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

২৬| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

আলোরিকা বলেছেন: ' ভালোবাসা আসলেই এক রহস্যময় অনুভতি যেখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাস, যুক্তি সব তুচ্ছ হয়ে যায়। ' ------- একদম সত্যি এটা নিয়ে কোন যুক্তি , তর্ক নেই ;) গল্প খুব খুব ভাল হয়েছে - একদম জেন রসিয় স্টাইল ! শুভ কামনা :)

০৮ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জেন রসি বলেছেন: যুক্তি তর্ক করা যেতে পারে! তবে দ্বন্দ্ব অনিবার্য! ;)

ধন্যবাদ আলোরিকা আপু।

ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা। :)

২৭| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন।

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১৯

জেন রসি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। :)

২৮| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুরুটা জটিল এবং ধোঁয়াশে হলেও পরে একটা সরলীকৃত এবং পজিটিভ মেসেজ দিয়েছেন। ভালো লাগলো।

ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিসঅর্ডার ব্যাপারটা একটু খুলে বলেন।

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।

একজন মানুষের মধ্যে সমান্তলার ভাবে কয়েকটি সত্ত্বা থাকতে পারে। আমাদের সবার মধ্যেই আছে। কিন্তু যখন মানুষ একটার সাথে আরেকটার লিংক করতে পারেনা, তখন সে আসলেই ডিফারেন্ট চরিত্র ধারন করে ফেলে, যা সে নিজেও জানেনা বা মনে রাখতে পারেনা।

শুভকামনা। :)

২৯| ০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

আমিই মিসির আলী বলেছেন: আধ্যাত্মিক নেতা এর বিপরীত মতবাদ প্রচার করে আসছে। অর্থাৎ তাদের মতে পরকালই সব। তাদের প্রচার আমাদের জন্য খুব একটা সমস্যা ছিলনা। বরং মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখার তাদের এই আয়োজন আমাদেরই কাজে আসত। কিন্তু আমদের তাদের দুজনের মতবাদ নিয়েই কোন মাথা বেথা ছিলনা। কিন্তু এখন আমরা আমাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার পথে দুজনকেই বাঁধা মনে করছি। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা নিককে আধ্যাত্মিক গোষ্ঠীর হাতে মরতে দেব। B:-) B:-)


দীর্ঘ লেখা পড়িয়া ভালো লাগলো।
++

০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

জেন রসি বলেছেন: পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মিসির আলী সাহেব।

মিসির আলী আমার খুব প্রিয় একটি চরিত্র। :)

৩০| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:০৯

নীলপরি বলেছেন: বরাবরের মতোই ভালো লেগেছে । ++

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

ভালো থাকুন সবসময়। :)

৩১| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: পুরোটাই ভালো লাগল। ধন্যবাদ

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়।

৩২| ১০ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্প বেশ চমৎকার লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।

১০ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়। :)

৩৩| ১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার লাগলো ! কিছু লাইন রীতিমত কোটেশন করার মত ।

১০ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়। :)

৩৪| ১০ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পৃথিবীতে মানুষই সবকিছুর ডিজাইনার। মানুষই মানুষকে নিয়ে খেলে, আবার মানুষই মানুষের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করে। আসলে আমরা জানতে পারি যে, নিক কগনেটিভ ম্যাপ নিয়ে গবেষণা করছে। যা আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই জানা প্রয়োজন। তাই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আধ্যাত্মিক নেতাকে মেরে নিককে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে হয়েছে।"

মায়া জানে তাকে বাঁচাতে আরেকটু হলেই আত্মহত্যা করত। নিকের মত যুক্তিবাদী মানুষ নিজের গবেষণা অর্ধেক বাকী রেখেই মায়াকে ভালোবেসে মরতে বসেছিল। তার মধ্যে কি তখন আসলেই কোন যুক্তি কাজ করছিল? মায়াও শেষ মুহূর্তে অনেক বড় রিস্ক নেয়। সে তার অথোরিটিকে না জানিয়েই নিককে উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সে জানে, যৌক্তিক কারন দেখিয়ে তাদের কনভিন্স করতে না পারলে, তাকেও হত্যা করা হত। ভালোবাসা আসলেই এক রহস্যময় অনুভতি যেখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাস, যুক্তি সব তুচ্ছ হয়ে যায়। "

অনেক অনেক ভালো লাগা!

১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

জেন রসি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়। :)

৩৫| ১৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভালোবাসা আসলেই এক রহস্যময় অনুভতি যেখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাস, যুক্তি সব তুচ্ছ হয়ে যায়।

১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথি ভাই। :)

৩৬| ১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল

১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

জেন রসি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন সবসময়। :)

৩৭| ২৫ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

সিলা বলেছেন: মনেহয় ভালো।
(মাথা চুলকানো একটা ইমো হবে)

২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫২

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা........... ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৩৮| ২৭ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

ফয়সাল রকি বলেছেন: শেষ পর্যন্ত যে প্রেম-ভালবাসা জয়ী হবে তা বুঝতেই পারিনি।
ভাল লাগলো... প্লাস।

অর্ক এখন খুবই গোপন একটা গবেষণার কাজে জরড়িত আছে।
এখানে মনে হয় জরড়িত << জড়িত/জরিত হবে।

আরেকটা কথা, অনেকেই লেখাটাকে দীর্ঘ/বড় বলেছেন, কিন্তু আমার কাছে তেমন একটা বড় মনে হয়নি, বরং কমপ‌্যাক্ট একটা লেখা মনে হয়েছে।

২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

জেন রসি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফয়সাল রকি ভাই। ভালোবাসা অনেক কিছুর গতিপথই পরিবর্তন করে দিতে পারে। জড়িতই হবে। পিসিতে ঢুকলে ঠিক করে দেব। শুভকামনা রইলো।

৩৯| ১৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: গল্প লেখার স্টাইলটা অসাধারণ লেগেছে, নতুনত্বের ছোয়া পেলাম।

"ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিসঅর্ডার" ব্যাপারটায় একটু কনফিউশন ছিলো, পরে একটা কমেন্টের উত্তরে ধারণা স্পষ্ট হলাম।

গল্পে প্লাস।

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৪

জেন রসি বলেছেন: গল্পের স্টাইল কিংবা বিষয় নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে মজা পাই।

আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে :)

৪০| ২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্প গল্প ফ্লেভারটা কম কম লাগলো মনে হচ্ছে। নাকি অনেকদিন পর পড়ছি বলে এমন লাগছে কে জানে!
গল্পের ভারী ভারী চিন্তাভাবনায় পর্যুদস্ত হয়ে যাচ্ছি
আশা করি ভালো ছিলেন

২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০৯

জেন রসি বলেছেন: গল্প গল্প ফ্লেবার কেন কম লাগছে তা বললে ব্যাপারটা আমার কাছেও আরো স্পষ্ট হত। তবে আমি যেহেতু এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি তাই লাগাটাই স্বাভাবিক। অনেকদিন পর ব্লগে আসলেন। আমি ভালোই আছি। আশা করি আপনিও ভালো আছেন। :)

৪১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: অভিনব

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

৪২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪১

ANIKAT KAMAL বলেছেন: অতুলনীয়

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.