নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা প্রসঙ্গে

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫






কিছু প্রাসঙ্গিক কথা বলে নেই।


যখন ইসরায়েল, ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোন অবমাননাকর লেখা, কার্টুন কিংবা ভিডিও প্রকাশ করা হয় তখন আমি অবাক হয়ে একটা ব্যাপার লক্ষ করি। মুসলমানরা রাস্তায় নেমে নিজেরাই নিজেদের দেশের প্রপার্টি ধ্বংস করতে থাকে। কোন কোন দেশে অনেক মানুষ নিহত এবং আহত হয়। আমার ধারনা তখন ইসরায়েল, আমেরিকা এবং ইউরোপের মাস্টারমাইন্ডরা খুব আনন্দের সাথে সেটা উপভোগ করে।

আধুনিক সময়ের রাজনীতিকে অনেক ভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। তবে সেটা এমনই এক জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোন ব্যাখ্যাই স্বয়ংসম্পূর্ণ না। একই সাথে ইউনিভার্সালি অ্যাকসেপ্টেড এবং রিজেক্টেড অনেক মডেল কিংবা টুল আছে। তবে একটা ব্যাপার সব দিক থেকেই স্পষ্ট। সেটা হচ্ছে বর্তমান সময়ের বিশ্ব রাজনীতিতে ইসলাম ধর্মকে এবং এই ধর্মে বিশ্বাসী মানুষগুলোকে অনেকভাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দখল নিয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র এবং কর্পোরেট হাউজগুলোর মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছে সেখানে খুব কৌশলে ইসলাম ধর্মকে ব্যাবহার করা হয়েছে। আমরা যদি মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকাই তবে দেখব মুসলিমরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে একে অপরের সাথে যুদ্ধ করছে। নিজেরাই ভিন্ন মতবাদের নামে নিজেদের নারী এবং শিশুদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালাচ্ছে। এসব গ্রুপগুলোকে আর্মস এবং অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। আমাদের দেশের যে ছেলেগুলো আইসিসের নামে জীবন উৎসর্গ করছে তারা বুঝতেও পারেনা যে আইসিস পশ্চিমা পাওয়ার হাউজগুলোর একটা দাবার গুটি ছাড়া আর কিছুই না। অর্থাৎ সোজা ভাষায় বললে বলা যায় পশ্চিমা বিশ্বের পাওয়ার হাউজগুলোর মাস্টারমাইন্ডরা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে খেলছে। নিজেদের সুবিধামত তাদের কাজে লাগাচ্ছে।


এবার দক্ষিন এশিয়ার দিকে চোখ দেওয়া যাক। সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিগুলো অনেক আগে থেকেই এখানে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করতে চাচ্ছে। ভারত দক্ষিন এশিয়ার মার্কেটে সেই প্রথম থেকেই দাদাগিরি করে আসছে। অর্থাৎ তারা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পলিসিগুলোকে অনেকভাবেই নিয়ন্ত্রন করছে। আমাদের দেশের পলিসিমেকাররাও অনেক ভাবেই ভারতের উপর নির্ভরশীল। ভারতের শাসকগোষ্ঠী এমন একটা আবহ এ দেশে তৈরি করতে পেরেছে যেন এদেশের শাসকগোষ্ঠী তাদের উপর নির্ভরশীল থাকতে বাধ্য হয়।(আমি এখানে রাষ্ট্র বলতে পলিসি মেকারদের কথা বুঝাচ্ছি। কোন দেশের সাধারন মানুষদের কথা বলছিনা।)।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে ভারতের হস্তক্ষেপ চাওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত? আমার পর্যবেক্ষণ এবং মধ্যপ্রাচ্যের অভিজ্ঞতা বলে ঠিক এমনটাই ভারত চাচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বও চাচ্ছে। অর্থাৎ এদেশের মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে অনেক আগেই খেলা শুরু হয়ে গেছে। নাস্তিক এবং সংখ্যালঘুরা হচ্ছে বলির পাঁঠা।
মুসলিম স্কলারদের নতুন ভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে। তারা কেন বারবার ম্যানুপুলেট হচ্ছে তা নিয়ে গবেষণা না করে কার্যকরী ভূমিকা না রাখলে ধ্বংস অনিবার্য। ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে জঙ্গিরা মুসলিম না বলেই ঘোষণা দিয়ে কোন লাভ নেই।কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। মুসলিমদের রাগানো হচ্ছে যেন তারা ভুল করে। এবং তারা বারবার ভুল করছে।

নির্যাতিত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে সংঘটিত হয়ে নিজ দেশের সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। যেভাবেই হোক তারা এখন এদেশের বলির পাঁঠা। আবেগ দিয়ে কিছু হবেনা। ভারতকে বিশ্বাস করা হবে সবচেয়ে বড় ভুল। তবে মুসলিমরা যদি এভাবে ধর্মীয় অনুভূতির ফাঁদে পরে অন্য ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের নির্যাতন করতে থাকে।নাস্তিক হত্যায় নিরব সমর্থন দিতে থাকে তবে ভারত এমনিতেই আসবে। পশ্চিমা পরাশক্তিরাও আসবে। সেটাই তারা চাচ্ছে।

আমি জাতীয়তাবাদী চেতনা দ্বারা এখন আর খুব বেশি প্রভাবিত না। ধর্ম, জাতীয়তাবাদ, বিভিন্ন মতবাদ এসবকে মডেল কিংবা ডিভাইস মনে করি। গনমানুষের স্বার্থের জন্য যে মডেল যতক্ষণ কাজ করবে ততক্ষন সে মডেল ফলো করা যেতে পারে। কাজ না করলে বাদ! এসব বিষয় নিয়ে আরো লিখব। এ বিষয়ে মোটা দাগে কিছু কথা বললাম। কেউ যদি দ্বিমত পোষণ করেন যুক্তি দিয়ে আমাকে আলোকিত করেন।





মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুসলিম স্কলারদের নতুন ভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে। তারা কেন বারবার ম্যানুপুলেট হচ্ছে তা নিয়ে গবেষণা না করে কার্যকরী ভূমিকা না রাখলে ধ্বংস অনিবার্য। ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে জঙ্গিরা মুসলিম না বলেই ঘোষণা দিয়ে কোন লাভ নেই।কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। মুসলিমদের রাগানো হচ্ছে যেন তারা ভুল করে। এবং তারা বারবার ভুল করছে।

এই ভাবটুকু বোঝার মানুষইতো দেখি না!!!!!!!!!!!

সত্যি বশ্বিাস করেন- হুজুরদের বাস্তব লেভেল কল্পনা করলে ভয়ে শিউরে উঠতে হয়! তাদের চেতনা কতশত বছর পেছনে পড়ে আছে ভাবনার্ও অতীত! যদিও হাতে লেটেষ্ট ডিভাইস থাকে ;)

আর এ নিযে গণমূখি কোন কাজ তো নাইই!!!!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০১

জেন রসি বলেছেন: আপনারা যারা ব্যাপারগুলো বুঝেন কিংবা বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে ধারনা রাখেন তাদেরকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করা যে আসলে মুসলিমদের জন্য একটা ট্র্যাপ সেটা না বুঝে প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে দাবার গুটিতে পরিনত হওয়া। এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুতই পরাশক্তিগুলো আমাদের দেশে শান্তি রক্ষা করার অজুহাতে চলে আসবে। ইউ নো দ্যা গেম।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আপনার পোস্টে আমার এটাই প্রথম মন্তব্য ,কিন্তু তার আগে একটা ডিসক্লেইমার : আমি একজন ভারতীয় বাঙালী।
আপনি লিখেছেন :এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে ভারতের হস্তক্ষেপ চাওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত? আমার পর্যবেক্ষণ এবং মধ্যপ্রাচ্যের অভিজ্ঞতা বলে ঠিক এমনটাই ভারত চাচ্ছে।
এর আগে লিখেছেন :রাষ্ট্র বলতে পলিসি মেকারদের কথা বুঝাচ্ছি। কোন দেশের সাধারন মানুষদের কথা বলছিনা।
ভারত এক উন্নয়নশীল দেশ , এতো বেশি জন সংখ্যা, সাধারণ জনগনের এতো বেশী সমস্যা , ভারতের সাধারণ জনগণ কখনোই চায় না তাদের দেশের সরকার /পলিসি মেকাররা অন্য প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘু দের ব্যাপারে /অথবা অন্যকোনো ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক যদি না প্রতিবেশী কোন দেশের সরকার /পলিসি মেকাররা ভারতের কোন ক্ষতি করে। দেশের অভ্যন্তরেই হাজারো সমস্যার সমাধান করা বাকী এবং সেটা না করে ভারতের সরকার যদি অন্য কিছু করতে যায় তাহলে ভারতের জনগণ ৫ বছর পর পর সরকার বদলে দেয়। সরকার /পলিসি মেকার রা একথা টা খুব ভালো ভাবে জানে।

আমাদের দেশের যে ছেলেগুলো আইসিসের নামে জীবন উৎসর্গ করছে তারা বুঝতেও পারেনা যে আইসিস পশ্চিমা পাওয়ার হাউজগুলোর একটা দাবার গুটি ছাড়া আর কিছুই না। অর্থাৎ সোজা ভাষায় বললে বলা যায় পশ্চিমা বিশ্বের পাওয়ার হাউজগুলোর মাস্টারমাইন্ডরা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে খেলছে। নিজেদের সুবিধামত তাদের কাজে লাগাচ্ছে।

আসলে দুনিয়া জুড়ে মুসলমানদের সমস্যা এই vicktimhood মেন্টালিটি , ধর্ম এতে সবথেকে বড় রোল প্লে করে। বিশ্বের অন্যানো ধর্মের অনুসারীরা মোটামুটি ধর্মএর প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে , সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে , কিন্তু সাধারণ ভাবে মুসলিমরা যেন ১৪০০ বছর আগের দিকে পিছিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত।" পশ্চিমা বিশ্বের পাওয়ার হাউজগুলোর মাস্টারমাইন্ড" দের দোষ দেয়া তাদের এক সাধারণ প্রবণতা। আবার বলছি ইসলাম ধর্ম এতে সবথেকে বড় রোল প্লে করছে। আধুনিক জীবনে ধর্মের প্রভাব যতদিন না মুসলমানরা কমাতে পারবে বা কম করার চেষ্টা করবে ততদিন তাদের অবস্থার জন্যে একে /তাকে দোষ দেয়া অব্যাহত থাকবে। একটা কথা মনে রাখবেন , আপনি যদি ব্যবহার হতে না চান , তাহলে কেউ আপনাকে ব্যবহার করতে পারে না। এটা ব্যাক্তি বিশেষের জন্যে যেমন সত্যি , দেশের ক্ষেত্রেও তাই।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২

জেন রসি বলেছেন: আপনার কিছু লেখা আমি পড়েছি। আমার ভালো লেগেছে।

বর্তমান সময়ে ভারতে একটা সাম্প্রদায়িক সরকার ক্ষমতায় আছে। তাদের অতীত কর্মকান্ড বলে ধর্মের নামে তারা অবলীলায় ম্যাসিভ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তবে সাম্প্রদায়িক ডগমা দিয়ে এই পুঁজিবাদী সমাজে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারেনা। কর্পোরেট হাউজ এবং ব্যুরোক্রেটিকদের সমর্থন লাগে। অর্থাৎ সরকারের আড়ালে কাজ করে বিভিন্ন শ্যাডো সরকার। ক্ষেত্র বিশেষে এসব শ্যাডো সরকার মূল সরকারের চেয়েও ক্ষমতাবান হয়। আপনি আপনার দেশেই পর্যবেক্ষন করলে দেখবেন তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজেদের ক্ষমতার বলয়কে আরো শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক ভাবে আরো নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া এবং সবকিছু কেন্দ্রিভূত করে জনগনকে আরো বেশী নির্ভরশীল এবং অসহায় করে ফেলা। তবে এসব কাজ তারা সরাসরি করেনা। তার জন্য জনগনকে জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ এসব কনসেপ্ট দ্বারা প্রভাবিত করা হয়। খুব সুকৌশলেই সেটা করা হয়। আমাদের দেশেও এমনটা হয়। কিন্তু আমরা যারা সাধারন মানুষ তাদের পক্ষে নিজেদের সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করা সহজ। কিন্তু ভারতের পলিসি মেকারদের, শ্যাডো সরকারগুলোকে এদেশে ইনভলবড হতে দেওয়া মানে খাল কেটে কুমিড় আনা। একটা উদাহরন দেই। আপনাদের দেশে একটা প্রকল্প বাতিল হয়। আমাদের দেশে এখন সেটা হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। লাভ কিন্তু ভারতীয় কোম্পানির হচ্ছে। ক্ষতিটা হচ্ছে আমাদের পরিবেশের। এমন অনেক উদাহরন আছে। তাই ভারতের পলিসি মেকারদের বিশ্বাস করা হবে ভুল সিদ্ধান্ত। একাত্তর এবং বর্তমান সময় অনেকটাই আলাদা।

মুসলিমদের ব্যাপারে যা বলেছেন তার সাথে সহমত। তাদের নিয়ে গবেষনা করেই তাদেরকে দাবার গুটি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের নিয়ে খেলা হচ্ছে এটা সত্য। তবে তারা সে সুযোগ দিচ্ছে বলেই মাস্টারমাইন্ডরা খেলাটা খেলতে পারছে।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

সুমন কর বলেছেন: এ পোস্টে কিছু বলতে পারলাম না.............(আশা করি, বুঝতে পেরেছেন)

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৫

জেন রসি বলেছেন: বুঝতে পারছি। আমাকে প্রতিদিন প্রিয় মানুষরা বলে যেন কিছু না লেখি। কিন্তু সাপ্রেসড থাকতে ভালো লাগেনা। ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১০

কালীদাস বলেছেন: হুজুগে বাংগালি, আর কি বলব /:) মার্চ মাসে লাস্ট যখন এসেছিলাম ব্লগে কি একটা পারপাস বেশ কয়েকজনকে দেখছিলাম বিচারের জন্য সৌদির দ্বারস্হ হওয়ার জন্য লাফালাফি করছে। আমরা জাতীয়তাবাদ, সার্বভৌমত্ব এবং আত্মসম্মান জিনিষগুলো কি সেটাই রিয়ালাইজ করা শিখলাম না আজও।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

জেন রসি বলেছেন: আসলে জাতীয়তাবাদ, সার্বভৌমত্ব এবং আত্মসন্মান টার্মগুলো সাধারন মানুষদের জন্য খুব জটিল হয়ে গেছে। সব দেশের অসহায় নির্যিতিত মানুষগুলো একইরকম। হোক সে প্যালেস্টাইন কিংবা কাশ্মীরদের নির্যাতিত নিরীহ মুসলমান কিংবা আমাদের দেশের নির্যাতিত হিন্দু। সাধারন মানুষ নিরাপদ জীবন চায়। কিন্তু ঐ জাতীয়তাবাদ, ধর্ম, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের নামে সব দেশেই এক দল মানুষ খেলে যাচ্ছে। তারা আবার ক্ষমতার জন্য একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। সাফার করছে আমজনতা।

যদি এমন হত যে ভারত হস্তক্ষেপ করলে সমস্যার সুন্দর সমাধান হয়ে যেত তবে সেটা চাইতে কোন প্রোব ছিলনা। যেমনটা আমাদের জাতীয় নেতারা একাত্তরে চেয়েছিলেন। বাট এখন ভারতকে বিশ্বাস করার কোনই যুক্তি নেই। কেন নেই সেটা পোস্টেই বলেছি।

আমার পর্যবেক্ষনই ঠিক তা বলবনা। তবে এসব নিয়ে আমার স্টাডি যা বলে তাই শেয়ার করলাম। ধারনার পরিবর্তন হলে সেটাও অকপটে শেয়ার করব। পর্যবেক্ষণ করার সময় মন খোলা রাখার চেষ্টা করি।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:

"মুসলিম স্কলারদের নতুন ভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে। "

-সুন্দর টার্ম, "মুসলিম স্কলার", আল্লামা, মৌলানা, মুফতি আরো এটা সেটা; এদের পড়ালেখা ও শিক্ষা ভুলের চর্চা ও বেকুবীর চর্চা।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৭

জেন রসি বলেছেন: আমার আপনার কাছে সেটা ভুল বিদ্যা। কিন্তু অনেকের কাছে সেটা বিশ্বাস। অন্ধ বিশ্বাস। এই বিশ্বাসের সুযোগটাই নেওয়া হচ্ছে। আমি কিংবা আপনি যদি কিছু বলতে যাই ওদের ভালোর জন্যই ওরা সেই অন্ধ বিশ্বাসের কারনেই আমাদের গলা কেটে হত্যা করবে। অনেক সুফিবাদী স্কলার আছে যারা কিন্তু মানবতার শিক্ষা দেয়। তেমন প্রোগ্রেসিভ এবং প্রোঅ্যাকটিভ স্কলারের কথা বলেছি।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

-সুন্দর টার্ম, "মুসলিম স্কলার", আল্লামা, মৌলানা, মুফতি, মৌলভী; এরা সময় নস্ট করে টাইটেল পায়!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৪

জেন রসি বলেছেন: বাট এমন মানুষ আমাদের দেশে অনেক আছে। এবং তাদের অন্ধ বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাদের ম্যানুপুলেট করা হচ্ছে। গালি দিলে সমস্যার সমাধান হবেনা। আমি মনে করি আমাদের দেশের মডারেট মুসলিমদের আরো বেশি সক্রিয় এবং প্রোগ্রেসিভ হওয়া উচিৎ। তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্যই সেটা তাদের করা উচিৎ।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টের লিখকের সাথে সহমত । এ সমস্ত কর্মকান্ডের সুফলটা যাবে ভারতের ঘরে , তাই যারা এ করমটি করে তারা ভেবে দেখতে পারে । উস্কানীদাতা ও রণক্ষেতএ ঝাপিয়ে পরা লোকজন একই যোগসুত্রে গাথা প্রমানীত হবে ক্রমে ক্রমে যেমনটি হয়েছে আই এস আর তালেবানে। সকলেরই অনুভুতিতে আসা উচিত আসলে লাভের অংকটা যাবে কার ঘরে ।
ধন্যবাদ ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

জেন রসি বলেছেন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামে হাস্যকর প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তারা দেশটাকেই ধ্বংস করে ফেলছে। মডারেট মুসলিমদের নিরব সম্মতিও এসবের জন্য দায়ী।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

অেসন বলেছেন: বর্তমান মুসলিম স্কলাররা মনে করছে, ৭/৮ শতাংশ হিন্দুকে এদেশ থেকে বিতারন করতে পারলে এদেশে প্রকৃত ইসলাম কায়েম হবে। আর আমাদের দেশের সরকার আপনার কথামত মোডারেট মুসলিমের দায়িত্ব পালন করছে। ব্লগার ,পুরোহিত হত্যার সময় যেমন তাদের টনক নড়ে নাই তারপর গুলশান কাণ্ডের পর দেশের সর্বনাশ করে উনাদের হুঁশ হয়েছে। তেমনি মুসলিম স্কলার বা মোডারেট মুসলিমদের ঘটনা ঘটে যাবার পর হয়ত হুঁশ হবে।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

অেসন বলেছেন: বর্তমান মুসলিম স্কলাররা মনে করছে, ৭/৮ শতাংশ হিন্দুকে এদেশ থেকে বিতারন করতে পারলে এদেশে প্রকৃত ইসলাম কায়েম হবে। আর আমাদের দেশের সরকার আপনার কথামত মোডারেট মুসলিমের দায়িত্ব পালন করছে। ব্লগার ,পুরোহিত হত্যার সময় যেমন তাদের টনক নড়ে নাই তারপর গুলশান কাণ্ডের পর দেশের সর্বনাশ করে উনাদের হুঁশ হয়েছে। তেমনি মুসলিম স্কলার বা মোডারেট মুসলিমদের ঘটনা ঘটে যাবার পর হয়ত হুঁশ হবে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

জেন রসি বলেছেন: উল্টা তারা ব্লগারদের বিরুদ্ধে কথা বলছিল। ৫৭ ধারা প্রয়োগ করছিল। এখনো তাই করে যাচ্ছে। সরকার ক্ষমতার জন্য সব পক্ষকেই খুশী রাখতে চায়। এদেশের অধিকাংশ মুসলিম যেহেতু খুব সহজেই প্রতিক্রিয়া দেখায় তাই সরকার তাদের ভয় পায়। কারন তাদের কনসার্ন হচ্ছে ক্ষমতা।

১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

জেন রসি বলেছেন: একের পর এক যখন এসব ঘটনা ঘটতে থাকে তখন তা আর শুধু দুঃখজনক থাকেনা। আরো অনেক কিছু হয়ে যায়।

১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা ছিল, মনে হয়না ভারতের প্রয়োজন আছে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

জেন রসি বলেছেন: ভারতের পলিসি মেকাররা আমাদের জন্য বিপদজনক।

১২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

মানবী বলেছেন: নিজেদের অভ্যন্তরীন সমস্যায় ভীন দেশের হস্তক্ষেপ সে দেশের জন্য শুধু অবমাননাকর নয় সে দেশের সরকারের অকার্যকারিতা আর অযোগ্যতা প্রমান করে।
ভারতে যেখানে বর্ণবাদ, নারী নির্যাতন আর সংখ্যালঘু নির্যাতনে বাংলাদেশের চেয়ে হাজার গুন বেশী সেখানে এধরনের সমস্যায় ভারতের হস্তক্ষেপ দূরের কথা তাদের পরামর্শ গ্রহন নির্বুদ্ধিতা!

২ নং মন্তব্যে বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আসলে দুনিয়া জুড়ে মুসলমানদের সমস্যা এই vicktimhood মেন্টালিটি , ধর্ম এতে সবথেকে বড় রোল প্লে করে। বিশ্বের অন্যানো ধর্মের অনুসারীরা মোটামুটি ধর্মএর প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে , সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে , কিন্তু সাধারণ ভাবে মুসলিমরা যেন ১৪০০ বছর আগের দিকে পিছিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত।" পশ্চিমা বিশ্বের পাওয়ার হাউজগুলোর মাস্টারমাইন্ড" দের দোষ দেয়া তাদের এক সাধারণ প্রবণতা। আবার বলছি ইসলাম ধর্ম এতে সবথেকে বড় রোল প্লে করছে। আধুনিক জীবনে ধর্মের প্রভাব যতদিন না মুসলমানরা কমাতে পারবে বা কম করার চেষ্টা করবে ততদিন তাদের অবস্থার জন্যে একে /তাকে দোষ দেয়া অব্যাহত থাকবে। একটা কথা মনে রাখবেন , আপনি যদি ব্যবহার হতে না চান , তাহলে কেউ আপনাকে ব্যবহার করতে পারে না। এটা ব্যাক্তি বিশেষের জন্যে যেমন সত্যি , দেশের ক্ষেত্রেও তাই।

- তাই মুসলিমরা কিভাবে ১৪০০ বছর আগে পিছিয়ে যাবার চেষ্টা করছে একটু ব্যাখ্যা করুন।

১৪০০ নয় ১৪০০০ বছর পিছিয়ে যাবার কয়েকটি উদাহরনের মাঝে রজঃ প্রাপ্তির সাথে সাথে মেয়েদের গোমুত্র পানে বাধ্য করা গণ্য করা যায়, যেটুকু জানি মুসলিমরা এধরনের মধ্যযুগীয় কোন বিশ্বাস চর্চায় লিপ্ত নয়।
সাধারন মরণশীল মানুষকে যখন তখন ঈশ্বরের বা স্রষ্টার আসনে বসিয়ে তার পূজার চর্চাও ইসলামে নেই।
ইসলামের কোন রীতি উপরোল্লিখিত প্রাচীন অণ্ধকার যুগের চর্চা তা জানতে ইচ্ছে করছে।

পরের অংশের জবাবটি ধোয়াঁটে ও অস্পষ্ট! পোস্টের লেখকের সাথে সম্পূর্ণ সহমত, এসব জঙ্গীদলের অ্পকর্মের মাঝে ১% ও ইসলাম বা কোরানের নিয়ম নেই। এরা যা করছে তা পুরোপুরি ইসলাম বিরুদ্ধ তারপরও শুধু ইসলামের একটি ব্যানার ধরে সেই ধর্মটিকে অবমাননা আর অ্পবাদ দেবার চেষ্টায় তারা সফল। এদের দ্বারা মগজধোলাই হচ্ছে, পত্রপত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতেই জানা যায় এই মগজধোলাইয়ের পিছনেও ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। এরা অতীতে মোটেও ধার্মিক ছিলোনা, হঠাৎ করে কোন এক শক্তি বলে এরা ঈমানদার মুসলিম হবার আশায় সন্ত্রাসের পথে যাবার মতো ইসলাম বিরোধি কাজ আক্রে ধরে।
আর যে লেখক যে সন্ত্রাসী দলের কথা বলেছেন তাদের ৯৮% ভিকটিক হলো মুসলিম। এদের কাছে বন্দীদশা থেকে ভারতীয় হিন্দুরা নিরাপদে দেশে ফিরে যায় অনায়াসে তবে আজ অবধি কোন মুসলিম বন্দী এদের কাছ থেকে জীবিত ফিরেনি।আর এই বাস্তবতা কিভাবে ইসলামের প্রতি বিশ্বাসের ফল হতে পারে?
শুধু অনর্থক অভিযোগ করেছেন, কোন প্রমান বা যুক্তি স্থাপন করেননি।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জেন রসি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

জেন রসি বলেছেন: অন্য দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপার নিয়ে নাক আমরাও গলাই। কাশ্মীর নিয়ে গলাই। প্যালেস্টাইন নিয়ে গলাই। পার্শ্ববর্তী দেশের মানুষরাও আমাদের দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে নাক গলাতেই পারে। নাক গলানোটা সমস্যা না। মানুষের অধিকার রাষ্ট্র কিংবা ধর্মের গন্ডীতে সীমাবদ্ধ নয়।

সমস্যাটা অন্য জায়গায়। ভারতের পলিসি মেকাররা বিশ্বাসযোগ্য না। কেন সেটা পোস্টে অল্প কথায় বলেছি।

মানুষ ছাড়া ধর্মের আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই। ধর্ম হচ্ছে মানুষের একটা কালেক্টিভ বিশ্বাস। একটা সময় চার্চের অত্যাচারে বিজ্ঞানীরা গবেষনা করতে পারতনা। হিন্দুদের কোন কুপ্রথা নিয়ে কেউ কথা বলতে পারতনা। এখন পারে। এখন একটা ভিন্চি কোড লেখা হলেও সে বই বেস্ট সেলার হয়। সুনীল যখন বলে সরস্বতীর মূর্তি দেখে সে সেনস্যুয়ালি শিহরিত হয়েছিল তখন হিন্দুরা তাকে ভারত থেকে নির্বাসিত করে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়নি। আমি হিন্দু ধর্মের অনেক সমালোচনা করেছি। তার জন্য কেউ আমাকে গলা কাটার হুমকি দেয়নি। এটাই হচ্ছে সময়ের সাথে আপগ্রেড হওয়া যা মুসলিমরা পারেনি। এটাকেই বলে অতীতে থেকে যাওয়ার প্রবনতা যা ব্লগার বাবুরাম বলেছেন। আপনি মূত্র খাওয়ার উদাহরন দিয়েছেন। সেটার তীব্র সমালোচনা সেখানকার মানুষরাই করছে। প্রবীর ঘোষকে চিনেন। নোয়াম চমস্কিকে চিনেন। ধর্মের তীব্র সমালোচনা করার জন্য তাদেরকে জেলে যেতে হয়না। তাদের উপর আক্রমন হয়না। কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন। এবার মুসলিম দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন। সমালোচনা মানেই তাদের অনুভূতিতে আঘাত। আক্রমন। চাপাতি। নির্বাসনে পাঠানো। মাথার দাম ঠিক করা। অন্য ধর্মেও এমন উগ্রতা আছে। বাট সেটা অনেক কমে এসেছে। এবং মুসলিমদের বিশ্বাস এমন একটা পর্যায়ে রয়ে গেছে যে সেটা নিয়ে মাস্টারমাইন্ডরা খুব সহজেই খেলতে পারে। আপনি যদি আপনার ধর্মকে মহৎ প্রমান করতে চান তবে আপনার কর্ম দিয়েই সেটা প্রমান করতে হবে। তাই বলেছি মুসলিম স্কলারদের নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে।

একটা সিরিয়াল আছে। ভিন্চিস ডেমন। যেখানে দেখানো হয়েছে পোপ ভিলেন এবং সমকামী। আমাদের দেশেও সিরিজটা খুব জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের দেশে যদি একজন ইমামকে নিয়ে তেমন কিছু বানানো হত তবে কি হত? উত্তরটা আপনি জানেন। এটাই পার্থক্য।

১৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @মানবী
তাই মুসলিমরা কিভাবে ১৪০০ বছর আগে পিছিয়ে যাবার চেষ্টা করছে একটু ব্যাখ্যা করুন।
১৪০০ নয় ১৪০০০ বছর পিছিয়ে যাবার কয়েকটি উদাহরনের মাঝে রজঃ প্রাপ্তির সাথে সাথে মেয়েদের গোমুত্র পানে বাধ্য করা গণ্য করা যায়, যেটুকু জানি মুসলিমরা এধরনের মধ্যযুগীয় কোন বিশ্বাস চর্চায় লিপ্ত নয়।
সাধারন মরণশীল মানুষকে যখন তখন ঈশ্বরের বা স্রষ্টার আসনে বসিয়ে তার পূজার চর্চাও ইসলামে নেই।


আপনি যদি আমাকে কোন ধর্মের অনুসারী ভেবে ওপরের কমেন্ট গুলো করে থাকেন ,তাহলে ভুল করছেন , ধর্ম-টর্ম আমি বহুকাল আগেই জলাঞ্জলি দিয়েছি। ধর্ম --যেকোন ধর্মই আমার কাছে : "a medieval form of unreason "

ইসলামের কোন রীতি উপরোল্লিখিত প্রাচীন অণ্ধকার যুগের চর্চা তা জানতে ইচ্ছে করছে।
সমস্ত ধর্মের রীতিনীতি , আই রিপিট সমস্ত ধর্মের রীতিনীতি শুধু মধ্যযুগের নয়, প্রাচীন অণ্ধকার যুগের চর্চা করে। "কয়েকটি উদাহরনের মাঝে রজঃ প্রাপ্তির সাথে সাথে মেয়েদের গোমুত্র পানে বাধ্য করা গণ্য করা যায়" -- "সাধারন মরণশীল মানুষকে যখন তখন ঈশ্বরের বা স্রষ্টার আসনে বসিয়ে তার পূজার চর্চাও"...... আপনার এই কমেন্টগুলো আমার আগের লেখা লাইনটাকেই সাপোর্ট করে। আপনি বলবেন--- এগুলো আমার ধর্ম করে না , অন্যের ধর্ম করে। মুসলমানদের এই holier than thau attitude ......ভন্ডামি টা এখানে করেন।

এখন আসুন আপনার প্রশ্নের উত্তরে :"ইসলামের কোন রীতি উপরোল্লিখিত প্রাচীন অণ্ধকার যুগের চর্চা তা জানতে ইচ্ছে করছে। "

সাধারন মরণশীল মানুষকে যখন তখন ঈশ্বরের বা স্রষ্টার আসনে বসিয়ে তার পূজার চর্চাও ইসলামে নেই।
নিশ্চয়ই নেই ----ইসলামে শুধু আছে সাধারন মরণশীল এক মানুষকে আল্লাহর নবী বানিয়ে, ১৪০০ বছর আগের আরবদের কালচার ফলো করা। গো মূত্র পান হারাম কিন্তু উঁট মূত্রপান হালাল....আপনি হয়তো করেননা কিন্তু ইসলামের জন্মস্থল সৌদি আরবে এটা প্রচলিত ,ইহুদী -খৃস্টানদের আবিষ্কার করা নেট সার্চ করলে জানতে পারবেন।

হাশরের মাঠে আল্লা আপনাদের লাইন দিয়ে করাবেন , রক্ত মাংশের নবীজি আল্লার পাশে বসে থাকবেন ......
মরনের পর জান্নাতে ৭২ হুরী সম্ভোগ ------এই সব ননসেন্স এ বিশ্বাস করা নিশ্চয়ই ঈমানের অঙ্গ এবং এই সবই আধুনিক যুগের চর্চা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০১

জেন রসি বলেছেন: একটা ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে যখন আরেকটা ধর্মীয় বিশ্বাসকে ডিফাইন করা হয় বা তার সমালোচনা করা হয়, সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই কোন যুক্তি থাকেনা। যেটা থাকে সেটা হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস। এই অন্ধবিশ্বাস থেকেই মুসলিমদের মনে হয় মূর্তি পূজা খারাপ আবার হিন্দুদের মনে হয় গরুর মাংস খাওয়া খারাপ। এগুলো হচ্ছে পরিবার এবং সমাজ থেকে পাওয়া ডগমা। এক সময় পুরোহিতরা তর্ক করত একটা সুঁইয়ের ছিদ্র দিয়ে কত হাজার দেবতা যাওয়া আসা করতে পারে। দুই ধর্মের শ্রেষ্ঠত্য নিয়ে তর্কটাও অনেকটা ঐরকম।

আমিও প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে বিশ্বাস করিনা। আমার কাছে ধর্ম হচ্ছে কালচার কিংবা লোকপ্রথা। তাই ঈদ, পূজা এসব কালচারাল উৎসব হিসাবেই উপভোগ করি।

যাইহোক আমার এই পোস্টে দুটো স্পষ্ট পয়েন্ট ছিল। একটা হচ্ছে ভারতের শাসকগোষ্ঠি এবং কর্পোরেট হাউজগুলোকে বিশ্বাস না করা। আরেকটা হচ্ছে মুসলিমদের আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোকে কেন নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে যাচাই বাছাই করা প্রয়োজন সেটা বলা।





১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @জেন রসি , আমি আপনার পোস্টে আগে যে কমেন্ট করেছিলাম :
"বিশ্বের অন্যানো ধর্মের অনুসারীরা মোটামুটি ধর্মএর প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে , সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে , কিন্তু সাধারণ ভাবে মুসলিমরা যেন ১৪০০ বছর আগের দিকে পিছিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত।"
আপনি আমার থেকেও এটা ভালোভাবে উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন : একটা সময় চার্চের অত্যাচারে বিজ্ঞানীরা গবেষনা করতে পারতনা। হিন্দুদের কোন কুপ্রথা নিয়ে কেউ কথা বলতে পারতনা। এখন পারে। এখন একটা ভিন্চি কোড লেখা হলেও সে বই বেস্ট সেলার হয়। সুনীল যখন বলে সরস্বতীর মূর্তি দেখে সে সেনস্যুয়ালি শিহরিত হয়েছিল তখন হিন্দুরা তাকে ভারত থেকে নির্বাসিত করে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়নি। আমি হিন্দু ধর্মের অনেক সমালোচনা করেছি। তার জন্য কেউ আমাকে গলা কাটার হুমকি দেয়নি। এটাই হচ্ছে সময়ের সাথে আপগ্রেড হওয়া যা মুসলিমরা পারেনি। এটাকেই বলে অতীতে থেকে যাওয়ার প্রবনতা যা ব্লগার বাবুরাম বলেছেন। আপনি মূত্র খাওয়ার উদাহরন দিয়েছেন। সেটার তীব্র সমালোচনা সেখানকার মানুষরাই করছে। প্রবীর ঘোষকে চিনেন। নোয়াম চমস্কিকে চিনেন। ধর্মের তীব্র সমালোচনা করার জন্য তাদেরকে জেলে যেতে হয়না। তাদের উপর আক্রমন হয়না। কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন। এবার মুসলিম দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন। সমালোচনা মানেই তাদের অনুভূতিতে আঘাত। আক্রমন। চাপাতি। নির্বাসনে পাঠানো। মাথার দাম ঠিক করা। অন্য ধর্মেও এমন উগ্রতা আছে। বাট সেটা অনেক কমে এসেছে। এবং মুসলিমদের বিশ্বাস এমন একটা পর্যায়ে রয়ে গেছে যে সেটা নিয়ে মাস্টারমাইন্ডরা খুব সহজেই খেলতে পারে। আপনি যদি আপনার ধর্মকে মহৎ প্রমান করতে চান তবে আপনার কর্ম দিয়েই সেটা প্রমান করতে হবে। তাই বলেছি মুসলিম স্কলারদের নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাদের দেশে কিছু রাজ্যে উগ্র হিন্দুনেতাদের দাপট দেখা যাচ্ছে। গরু খাওয়ার অপরাধে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। একটা সাম্প্রদায়িক সরকার ক্ষমতায়। আপনারা ব্যাপারগুলোকে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন?

১৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২১

মানবী বলেছেন: বাবুরাম সাপুড়ে১, ধন্যবাদ আপনার জবাবের জন্য।

"আপনি যদি আমাকে কোন ধর্মের অনুসারী ভেবে ওপরের কমেন্ট গুলো করে থাকেন ,তাহলে ভুল করছেন , ধর্ম-টর্ম আমি বহুকাল আগেই জলাঞ্জলি দিয়েছি। ধর্ম --যেকোন ধর্মই আমার কাছে : "a medieval form of unreason "


- আপনি কোন ধর্মের তা বিবেচনা করে নয়, আপনি যে দেশের নাগরিক সেখানে এমন চর্চা নিয়মিত হবার পরও কিভাবে ইসলামকে ১৪০০ বছর পিছিয়ে যাবার চেষ্টায় লিপ্ত বলেছিলেন তা স্পষ্ট করতেই এমন মন্তব্য ছিলো।

" আপনার এই কমেন্টগুলো আমার আগের লেখা লাইনটাকেই সাপোর্ট করে। আপনি বলবেন--- এগুলো আমার ধর্ম করে না , অন্যের ধর্ম করে। মুসলমানদের এই holier than thau attitude ......ভন্ডামি টা এখানে করেন।"

- শুধু মুসলিম নয়, প্রতিটি ধর্মের মানুষ নিজেদের অন্য ধর্মের চেয়ে বেশি সঠিক মনে করে বলেই সেই ধর্ম বিশ‌্বাসে বিশ্বাসী হয়ে থাকে। আর আমার মন্তব্য কোন ভাবেই আপনার বক্তব্যের সমর্থন নয়। আপনি সরাসরি আমার ধর্মকে প্রাচীন এবং ১৪০০ বছর পিছিয়ে যাবার চেষ্টায় লিপ্ত বলেছেন এবং তা কোন উদাহরন না রেখেই। আমি আপনাকে ১৪০০ নয় ১৪০০০ বছর পিছিয়ে যাবার চর্চার কয়েকটি উদাহরন দিয়েছি মাত্র, আর উদাহরন এমন কালচারের দিয়েছি যেখানে আপনি বাস করেন। ঐ যে বলেনা, "কাঁচের ঘরে বাস করে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়তে নেই" তাই বুঝাতে।
কে কি ধর্ম মানছে তা ভুলে কে কি প্রাচীন চর্চায় লিপ্ত সেটা দেখুন
কিশোরী মেয়েকে কুকুরের সাথে বিয়ে দেয়া, একদল মানুষকে নিম্নবর্ণ ঘোষণা করে তাঁদের পশুর চেয়েও হীণ বিবেচনা করা, মানবেতর জীবনে বাধ্য করা শুধু উপাসানলয়ে প্রবেশাধিকার না দেয়া- দেবদেবী তুষ্ট করার লক্ষ্যে নিষ্পাপ শিশুকে জবাই করে হত্যা করা.... কোন দেশ, কোন সংস্কৃতির অংশ?
আপনি সেই সংস্কৃতির একজন হয়ে ইসলামকে ব্যাক ডেটেড বলছেন তাই বিষয়টি স্পষ্ট করা মাত্র!

"সাধারন মরণশীল মানুষকে যখন তখন ঈশ্বরের বা স্রষ্টার আসনে বসিয়ে তার পূজার চর্চাও ইসলামে নেই।
নিশ্চয়ই নেই ----ইসলামে শুধু আছে সাধারন মরণশীল এক মানুষকে আল্লাহর নবী বানিয়ে, ১৪০০ বছর আগের আরবদের কালচার ফলো করা। গো মূত্র পান হারাম কিন্তু উঁট মূত্রপান হালাল....আপনি হয়তো করেননা কিন্তু ইসলামের জন্মস্থল সৌদি আরবে এটা প্রচলিত ,ইহুদী -খৃস্টানদের আবিষ্কার করা নেট সার্চ করলে জানতে পারবেন।

হাশরের মাঠে আল্লা আপনাদের লাইন দিয়ে করাবেন , রক্ত মাংশের নবীজি আল্লার পাশে বসে থাকবেন ......
মরনের পর জান্নাতে ৭২ হুরী সম্ভোগ ------এই সব ননসেন্স এ বিশ্বাস করা নিশ্চয়ই ঈমানের অঙ্গ এবং এই সবই আধুনিক যুগের চর্চা।"

- অত্যন্ত হাস্যকর বক্তব্য।
প্রথমত সৌদি আরবে উট মুত্র পান করানোর ঘটনা নেটে সার্চ করে তারাই খুঁজবে যাদের সৌদি কালচার সম্পর্কে জানতে নেটের সাহায্যের প্রয়োজন, আমার তেমন অবস্থা নয়। আর আপনাকে হলপ করে বলতে পারি উট মুত্রপান ইসলাম ধর্মের কোন অংশ নয়, কোন ভাবেই। হাশরের দিন কি ঘটবে তা জানতে কুরআন পড়ুন, নেটের গসিপ ঘেঁটে আর যাই হোক কোন ধর্ম সম্পর্কে জানা যায়না।

আর, অবশ্যই হযরত মুহম্মদ(সঃ) একজন মরণশীল মানুষ ছিলেন। নিজেই মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছিলেন আমি একজন মরণশীল মানষ মাত্র, আমার মৃত্যুর আমার কোন ক্ষমতা নেই। আর তাই সৌদি আরবে অত্যন্ত কড়াভাবে তাঁর কবর পাহারা দেয়া হয় যেনো কেউ তাঁকে ঈশ্বর ভেবে তাঁর কবর পুজায় লিপ্ত না হয়।

সৃষ্টি কর্তা আর একজন মেসেন্জার বা বার্তা বাহকের মাঝের পার্থক্য আপনার বোধগম্য নয় জেনে হতাশ হলাম মাত্র।

আবারও বলছি উট মুত্র পান নিঃসন্দেহে গোমুত্র পানের মতোই ননসেন্স, আমি আপনার সাথে একমত তবে ইসলাম বা ঈমান সম্পর্কে যে আপনি পুরোপুরি অজ্ঞ তা আপনার জবাবের শেষ লাইনটি নির্মম ভাবে প্রমান করে।

ভালো থাকুন। কুরআন বা ইসলাম জানতে কুরআন সম্পূর্ণ পড়ুন, আংশিক পড়ে সত্য অণুধাবন সম্ভব নয়।


০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

জেন রসি বলেছেন: আপনার কিছু ব্যাপার ধরতে ভুল হয়ে যাচ্ছে। আপনি আর্গুমেন্টটাই ধরতে পারেননি। ব্লগার বাবুরাম হিন্দুধর্মের প্রথাগুলোকেও ননসেন্স বলেছে। তিনি তার দেশে থেকেও সেটা বলতে পারছে। তার উপর কিন্তু হিন্দুরা হামলা করছেনা। মমতা বলেছে গরু খাওয়া ধর্মবিরোধী কাজনা। তার কিন্তু খুব একটা সমস্যা হয়না। মুসলিম দেশ গুলোতে মুসলিম ধর্ম নিয়ে এমন বললে কি প্রতিক্রিয়া হয় আপনি জানেন। জেল হয়। নাহয় চাপাতির ভয়। কুরআন হাদিসের সব বানী এযুগে অচল। আপনি বিশ্বাসী হলে পালন করুন। নো প্রোব। একজন মানুষ যদি বিশ্বাস করে গরুর মূত্র, উটের মূত্র পান করে সেটায় তার অধিকার আছে। কিন্তু তার অধিকার নাই অন্যের উপর তার ধর্ম কিংবা বিশ্বাস আরোপ করে দেওয়ার। কোন ধর্মই সমালোচনার উর্ধ্বে না। আপনার ইসলামকে সত্য মনে হয়েছে। আপনি চর্চা করুন কিংবা প্রচার করুন। যার মিথ্যা মনে হয়েছে সে সেটা প্রচার করবে যুক্তি দিয়ে। তর্ক বিতর্ক চলুক। কিন্তু কেন জেল জুলুম এবং চাপাতি। মানুষের বাড়িঘরে হামলা? এসব মুসলিম দেশেই বেশী হচ্ছে। সেটাই ছিল আলোচনার বিষয়। আপনি যদি এসব ইস্যু এভয়েড করে টিপিক্যাল মোডারেটদের মত বলে যান ইসলাম সেরা ধর্ম, শান্তির ধর্ম তবে কেউ শুনবে না। এই আধুনিক যুগে গায়ের জোড়ে ধর্ম বাঁচানো যায়না। এটা যতদিন পর্যন্ত মুসলিমরা বুঝবেনা ততদিন পর্যন্ত তারা নিজেরাই নিজেদের ধর্মকে ধ্বংস করতে থাকবে। যারা সুযোগ নেওয়ার তারা সুযোগ নেবে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৬

জেন রসি বলেছেন: কুরআন হাদিসের সব বানী এযুগে অচল লাইটার ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে। তাই ব্যাখ্যা করছি। যারা সেটা মনে করে তাদের যুক্তি আছে। যারা সেটাকেই একমাত্র সত্য মনে করে সেটা তাদের বিশ্বাস। সমস্যা হচ্ছে পৃথিবীতে এটাই একমাত্র ধর্ম বা বিশ্বাসনা। আবার অবিশ্বাসীদেরও বিভিন্ন রকম যুক্তি আছে। সুতরাং সমালোচনা হবেই। প্রশ্নবিদ্ধও করা হবে। সেটার জবাব শারিরীক আক্রমন করে দেওয়া মানে নিজেরাই নিজেদের ধর্মকে বর্বর প্রমান করা।

সুতরাং আপনারা যারা ইসলামকে মহৎ প্রমান করতে চান তারা নাস্তিক আর অন্যদের বিরোধীতা করার আগে নিজ ধর্ম পালনকারীদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালান।

১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @জেন রসি
আপনাদের দেশে কিছু রাজ্যে উগ্র হিন্দুনেতাদের দাপট দেখা যাচ্ছে। গরু খাওয়ার অপরাধে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। একটা সাম্প্রদায়িক সরকার ক্ষমতায়। আপনারা ব্যাপারগুলোকে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন?
আমি দুই ভাবে করি :
১) ধর্ম ( যেকোন ধর্ম -হিন্দু ,মুসলিম ...)থাকলে উগ্রতা থাকবে, বিষবৃক্ষ মাঝে মাঝে সুশীতল হাওয়া দিতে পারে কিন্তু বিষফল যে সবসময় দেবেই সেটা নিশ্চিত। ধর্মকে নির্মূল করা হয়তো সম্ভব নয় , কিন্তু মানব জীবনে ধর্মের প্রভাব অন্তত ৫০% কম হওয়া দরকার।
২) "আপনাদের দেশে কিছু রাজ্যে উগ্র হিন্দুনেতাদের ....." এদেরকে উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী নেতা বললে বেশি যুক্তিযুক্ত হবে। যেকারণে এখন আমেরিকায় ট্রাম্পের মতো ইডিয়ট মুসলিম বিদ্বেষি নেতা জনপ্রিয়তা পায় ঠিক একই কারণে ভারতের কিছু উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী নেতা /দল /সংগঠন দাপট দেখাচ্ছে। মোদী, ট্রাম্প, পুটিন --এদের জনপ্রিয়তা, উপচে পরা ন্যাশনালিজম , অটোমেশন , ব্রেক্সিট , ইসলামোফোবিয়া , দেশে দেশে প্রোটেকশনিজম --সবই এক সুতোয় বাঁধা। এখন প্রশ্ন উঠবে অটোমেশনএর সাথে ন্যাশনালিজম বৃদ্ধি পাওয়ার কী সম্পর্ক। এসব লিখতে গেলে মহাভারত হবে , পরে সময় -সুযোগ পেলে চেষ্টা করবো।

@মানবী
শুধু মুসলিম নয়, প্রতিটি ধর্মের মানুষ নিজেদের অন্য ধর্মের চেয়ে বেশি সঠিক মনে করে বলেই সেই ধর্ম বিশ‌্বাসে বিশ্বাসী হয়ে থাকে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন , এবং সমস্যাটা এখানেই। এই মানসিকতাই মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে , সুপিরিরিটি কমপ্লেক্স তৈরি করে , ১)সাধারন মরণশীল মানুষকে যখন তখন ঈশ্বরের বা স্রষ্টার আসনে বসিয়ে তার পূজার চর্চাও ইসলামে নেই-----এটা আপনার কাছে কুসংস্কার কিন্তু ২)হাশরের মাঠে আল্লাহ মুসলমান দেরকে বসিয়ে দুনিয়াদারির হিসাবকিতাব নেবেন , ঈমানদার মুসলিম পুরুষদের ৭২ হুরী সম্ভোগ করতে দেবেন এই সবে বিশ্বাস করা ঈমানের অঙ্গ। আমার মতো অধার্মিকের কাছে
এই দুটোই ননসেন্স এবং "medieval form of unreason" .

আর উদাহরন এমন কালচারের দিয়েছি যেখানে আপনি বাস করেন। ঐ যে বলেনা, "কাঁচের ঘরে বাস করে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়তে নেই" তাই বুঝাতে।
কে কি ধর্ম মানছে তা ভুলে কে কি প্রাচীন চর্চায় লিপ্ত সেটা দেখুন
কিশোরী মেয়েকে কুকুরের সাথে বিয়ে দেয়া, একদল মানুষকে নিম্নবর্ণ ঘোষণা করে তাঁদের পশুর চেয়েও হীণ বিবেচনা করা, মানবেতর জীবনে বাধ্য করা শুধু উপাসানলয়ে প্রবেশাধিকার না দেয়া- দেবদেবী তুষ্ট করার লক্ষ্যে নিষ্পাপ শিশুকে জবাই করে হত্যা করা.... কোন দেশ, কোন সংস্কৃতির অংশ?
আপনি সেই সংস্কৃতির একজন হয়ে ইসলামকে ব্যাক ডেটেড বলছেন তাই বিষয়টি স্পষ্ট করা মাত্র!


কিশোরী মেয়েকে কুকুরের সাথে বিয়ে দেয়া............নিম্নবর্ণ ঘোষণা করে তাঁদের পশুর চেয়েও হীণ বিবেচনা করা......দেবদেবী তুষ্ট করার লক্ষ্যে নিষ্পাপ শিশুকে জবাই করে হত্যা করা --- এগুলো আমারদেশে হয় --আপনি মাত্র তিনটে উদাহরন দিয়েছেন , আমি আরো ৩০ টা দিতে পারি , এবং এসবের জন্য একজন ভারতীয় হিসাবে ,একজন মানুষ হিসাবে ---আই হ্যাং মাই হেড ইন শেম। ঘটনা হচ্ছে এগুলোকে স্বীকার না করলে , এগুলোর জন্য লজ্জিত না হলে ,এগুলোকে "medieval form of unreason" না বললে ,এ গুলোকে fiercely attack না করলে এর থেকে পরিত্রান নেই। অসংখ্য মানুষ এগুলোর প্রতিবাদ করছেন , লেখা -লেখি চালিয়ে যাচ্ছেন ,এগুলোর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন , কিন্তু কেউ প্রতিবাদকারীদের কল্লা কাটতে আসছে না , দেশ থেকে বিতাড়িত করছে না।

সৃষ্টি কর্তা আর একজন মেসেন্জার বা বার্তা বাহকের মাঝের পার্থক্য আপনার বোধগম্য নয় জেনে হতাশ হলাম মাত্র।
নিশ্চয়ই হতাশ হবেন। একজন মানুষের শরীরের হৃৎযন্ত্র ,কিডনি , লাংস ইত্যাদি কিভাবে কাজ করবে তা জানানোর জন্য আল্লাহকে (তাঁকে অন্যনামে ডাকলে আবার শিরক হয়ে যাবে ) কোন বার্তা -বাহক পাঠাতে হয় না ,কিন্তু ঈমানের জন্য আসমানী -কিতাব পাঠাতে হয় ---এই সব ননসেন্স এ বিশ্বাস না করলে , বিশ্বাসীরা শুধু হতাশই হয় না , লক্ষ লক্ষ বিশ্বাসী আল্লাহর বাস্তে কল্লা কেটে নিতে তৈরি হয়ে যায়। সৌদি আরবের জনসংখ্যা মাত্র তিনকোটি কিন্তু সারা দুনিয়ায় সবথেকে বেশী কল্লা কাটিং হয় ইসলামের পুণ্যভূমিতে , সরকারী ভাবে ,বছরে প্রায় ৯০০-১০০০ --এর অন্যতম প্রধান কারণ ব্ল্যাসফেমি।

কুরআন বা ইসলাম জানতে কুরআন সম্পূর্ণ পড়ুন, আংশিক পড়ে সত্য অণুধাবন সম্ভব নয়।

হ্যাঁ কুরআন পড়েছি। গীতাও পড়েছি । আরবী বা সংস্কৃতে নয় , কারণ এই ভাষা জানিনা , ইংরেজি এবং বাংলায় পড়েছি , এবং পড়ে আমার এই সত্য অণুধাবন হয়েছে :
এই ধর্ম গ্রন্থ গুলোর বেশিরভাগ অংশই ব্যক্তিবিশেষ বা তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বর্ণনা , কতজন স্ত্রী বা সঙ্গিনী অথবা বিভিন্ন যুদ্ধ , হত্যা , গোত্রে গোত্রে লড়াই , ব্যক্তি বিশেষের হামবড়াই , আমিই শ্রেষ্ঠ , আমিই ঈশ্বরের প্রতিনিধি ইত্যাদি নিয়ে। কাহিনী গুলো একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ। গীতার প্রেক্ষাপট ভারতের কিছু অংশে ঠিক যেমন কোরানের ঘটনাগুলো বর্তমান সৌদি আরবের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ। নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়ার থেকে হিংসার বর্ণনা এবং নিজ নিজ গোত্রের /ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করা ধর্ম গ্রন্থগুলোর প্রধান উপজীব্য। সাইড ডিশ হিসাবে কিছু ফিলোসফিক্যাল কথাবার্তা এবং হ্যান করলে স্বর্গ /জান্নাত এবং ত্যান করলে নরক /দোজখ ইত্যাদির লোভ এবং ভয়/ভীতি প্রদর্শন।

যাইহোক অনেক কথা লিখে ফেললাম। কিন্তু আসল আপনার grudge দূর হলনা , কারণ আমি লিখেছিলাম :বিশ্বের অন্যানো ধর্মের অনুসারীরা মোটামুটি ধর্মএর প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে , সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে , কিন্তু সাধারণ ভাবে মুসলিমরা যেন ১৪০০ বছর আগের দিকে পিছিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত।

এটা কেন লিখলাম এটা ব্যাখ্যা করতে আসুন ভারত -বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে একটু আন্তর্জার্তিক হই --- ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচের দিকে নজর দেই।
ইউরোপের দেশ গুলোর ইতিহাস যদি পড়েন তাহলে দেখবেন ,পৃথিবীতে সবথেকে বেশি হানা হানি , মারামারি এই ইউরোপিয়ান খ্রীষ্টানরা করেছে , এবং নিজেদের মধ্যে করেছে , জার্মান ,ফ্রান্স ,ইংল্যান্ড ,পোল্যান্ড শত শত বছর ধরে একে অন্যের সাথে কুকুরের মতো মারামারি ,কামড়াকামড়ি করেছে , মরা -বাঁচার যুদ্ধ করেছে ,এর ততদিন সেটা করেছে যত দিন এদের জীবনে চার্চের প্রভাব ছিল প্রশ্নাতীত । সেটা ছিল মোটামুটি -দ্বিতীয়বিশ্ব যুদ্ধ পর্যন্ত। কিন্তু তার পরের দশক গুলোতে আমরা কি দেখলাম ? শত শত বছর ধরে যুদ্ধ করা ইউরোপিয়ান দেশগুলো বর্ডারলেস ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তৈরি করলো, ধর্মকে ব্যাকসিট দিলো , আজ ইউরোপ পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে শান্তিপূর্ণ জায়গা।

এবার মধপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ গুলোর দিকে চোখ ফেরান , দেশ গুলিকে ইসলাম তার যাঁতাকল দিয়ে পিষছে , প্রায় ৩০-৪০ টা মুসলিম দেশ , জনসংখ্যার প্রায় ৯৯% ই মুসলিম , কোন দেশে গণতন্ত্র নেই , ইরান সৌদিকে দেখতে পারে না , সৌদি সিরিয়াকে দেখতে পারে না ,সৌদি গ্রান্ড মুফতি ইরানের মুসলমানদের কাফের বলে। আগের কোন এক লাইনে আমি লিখে ছিলাম সৌদি তে সবথেকে বেশি কল্লা কাটিং হয় , তা সেটা কাদের জানেন ?? ইরানিদের।

একটু আগে আমি কুরআন আর গীতার ব্যাপারে লিখলাম। গীতার বিরুদ্ধে আমার অনুধাবন যদি আমি হিন্দুপ্রধান ভারতে বলি বা লিখি তাহলে আমি নিশ্চিত কোনো হিন্দু আমার কল্লা কাটতে আসবে না কিন্তু কুরআনএর বিরুদ্ধেলিখলে কোনো মুসলিম প্রধান দেশে কি হবে সেটা আপনি আমার থেকে ভালো জানেন।

সুতরাং আমার আগের কমেন্ট : বিশ্বের অন্যানো ধর্মের অনুসারীরা মোটামুটি ধর্মএর প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে , সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে , কিন্তু সাধারণ ভাবে মুসলিমরা যেন ১৪০০ বছর আগের দিকে পিছিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত----- পড়ে কিছুটা কি grudge দূর হয়েছে?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

জেন রসি বলেছেন: আসলে ধর্ম, রাষ্ট্র, মতবাদ আইনকানুন সবকিছুই মানুষের কল্পনা। সেসব কল্পনাকে তারা নিজেদের জীবনে অ্যাপ্লাই করেছে। কখনেো নিজেদের স্বার্থে, কখনো নিজ গোষ্ঠীর স্বার্থে অথবা কখনো গনমানুষের স্বার্থে। ভিন্ন ভিন্ন পারসেপশন থেকে তৈরি হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন জাতি ধর্ম বর্ণ। সবই মানুষের সৃষ্টি করা গল্প। চার্চ থেকে মুক্ত হওয়াটাই ছিল এনলাইটম্যান্টের গল্প। এখন চার্চের বদলে অথরিটি হচ্ছে রাষ্ট্র, কর্পোরেট হাইজগুলো। অর্থাৎ গল্পটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে। মানুষের প্রয়োজনেই হয়েছে। আবার হবে। মুসলিমরা যতই কুরআনকে একমাত্র সত্য মনে করুক দিনশেষে তাদেরকে সেই ব্যাংক, পশ্চিমা মিডিয়া এবং শিক্ষার জন্য বিধর্মী পশ্চিমাদের কাছেই আশ্রয় নিতে হয়। একটা ধর্ম কিংবা মতবাদের তখনই পরাজয় হয় যখন সেটা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে সারভাইভ করতে চায়। সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্যান্য সব ধর্মের মত ইসলামও বাতিল। তাই মুসলিমরাই এখন শরিয়া আইনের চেয়ে রাষ্ট্রের আইনে বিশ্বাস করে।

তারপরও বর্তমান বিশ্বে ধর্ম খুব সক্রিয়। সেটা মানুষের চর্চায় নয়। সেটা এখন রাজনীতিবিদ এবং মাস্টারমাইন্ডদের খেলার জিনিস হয়ে গেছে। তাদের প্রয়োজনেই তারা ধর্মকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। ইসরায়েল আমেরিকা চাচ্ছে মুসলিমরা ধর্মের নামে হানাহানি করুক। কারন তারা জানে এভাবেই মুসলিম দেশগুলোর সবকিছু তারা দখল করে ফেলতে পারবে। এবং তারা রিসার্চ করেই এসব করছে। কারন তারা জানে মুসলিমদের মগজে যে বিশ্বাসের ভাইরাসটা আছে তাকে অনেক সহজে ম্যানুপুলেট করা যায়। কেউ একজন ভিডিও গেম খেলার মত এক দুলাইন লিখে দিলেই ওরা পাশের বাসার ভাইকে গলা কেটে দিবে।

মুসলিমদের ধর্ম দিয়েই তাদের সিরিয়াল কিলার বানানো হচ্ছে। তাদের বিশ্বাস দূর্বল বলেই সহজে সেটা করা যাচ্ছে। জায়নিস্টদের চাল সারাজীবন গবেষনা করা বামরাই ঠিক মত বুঝে উঠতে পারেনা। আর অন্ধ বিশ্বাসীরাত জালে আটকা পরবেই।

ইউরোপ আমেরিকার মানুষ অনেক ভালো আছে চার্চের বলয় থেকে বের হয়ে। কিন্তু তাদের মাস্টারমাইন্ডরা আমাদের ভালো থাকতে দিচ্ছেনা। দোষটা আসলে আমাদেরই। কারন আমরাও ওদের ফাঁদে বারবার পা দিচ্ছি।

১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

মানবী বলেছেন: "একদম ঠিক কথা বলেছেন , এবং সমস্যাটা এখানেই। এই মানসিকতাই মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে , সুপিরিরিটি কমপ্লেক্স তৈরি করে"

-আপনি বুঝতেই পারছেননা কি পরিমান স্ববিরোধী এক বক্তব্য রেখেছেন। বিশ্বাসীরা তাঁদের নিজ নিজ ধর্মকে সঠিকতর মনে করায় সুপিরিয়রিটি কম্প্লেক্স চলে আসে, আর অ্পনি অথবা অবিশ্বাসীরা যারা নিজ অবিশ্বাসকে সবচেয়ে সঠিক মনে করছেন? :-) এটাও একই রকম সুপিরিয়রিটি কম্প্লেক্স- শুধু পার্থক্য বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের!

"সৃষ্টি কর্তা আর একজন মেসেন্জার বা বার্তা বাহকের মাঝের পার্থক্য আপনার বোধগম্য নয় জেনে হতাশ হলাম মাত্র।
নিশ্চয়ই হতাশ হবেন। একজন মানুষের শরীরের হৃৎযন্ত্র ,কিডনি , লাংস ইত্যাদি কিভাবে কাজ করবে তা জানানোর জন্য আল্লাহকে (তাঁকে অন্যনামে ডাকলে আবার শিরক হয়ে যাবে ) কোন বার্তা -বাহক পাঠাতে হয় না ,কিন্তু ঈমানের জন্য আসমানী -কিতাব পাঠাতে হয় --

-আবারও অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করেছেন। মানুষকে ঈশ্বর হিসেবে পূজো করার রীতির জবাবে আপনি মুসিলমদের হযরত মুহম্মদ(সঃ) এর উদাহরন টেনেছিলেন যা নিতান্ত অজ্ঞতাপ্রসূত তা প্রমান করতে আমার বক্তব্য ছিলো। আবারও বলছি মুসলিমরা হযরত মুহম্মদ(সঃ) কে একজন নবী, মেসেন্জার/বার্তাবাহক হিসেবে বিশ্বাস করে সৃষ্টি কর্তা বা ঈশ্বর হিসেবে নয়। আপনি নিজের ভুল স্বীকার করার সৎ সাহসটা দেখাননি। দ্বিতীয়তঃ ভালো ভাবে আমার মন্তব্যটি আবারও পড়ে দেখুন, আমি রাম, কৃষ্ণ, সরস্বতি, দূর্গা বা কালি নিয়ে নয় বরং বলেছি আশ্রম বাপু, মাইকেল রাম রহিম, রাধে মা'র মতো লোকদের কথা!!!

"আরো ৩০ টা দিতে পারি , এবং এসবের জন্য একজন ভারতীয় হিসাবে ,একজন মানুষ হিসাবে ---আই হ্যাং মাই হেড ইন শেম। ঘটনা হচ্ছে এগুলোকে স্বীকার না করলে , এগুলোর জন্য লজ্জিত না হলে ,এগুলোকে "medieval form of unreason" না বললে ,এ গুলোকে fiercely attack না করলে এর থেকে পরিত্রান নেই। অসংখ্য মানুষ এগুলোর প্রতিবাদ করছেন , লেখা -লেখি চালিয়ে যাচ্ছেন ,এগুলোর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন , কিন্তু কেউ প্রতিবাদকারীদের কল্লা কাটতে আসছে না , দেশ থেকে বিতাড়িত করছে না।"

-তাই, আপনার দেশে কল্লা কাটতে আসছেনা, বিতাড়িত করছেনা? এধরনের জবাব একটু বেশীই হাস্যকর হয়ে গেলোনা?

প্রফেসর কালবুর্গির নাম শুনেছেন? মূর্তিপূজার অসাড়তা নিয়ে কথা বলায় তাঁকে হত্যা করেছিলো ভারতের হিন্দু জঙ্গীবাদিরা! আখলাকের সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র গরুর গোশত খেয়েছে এই সন্দেহে তাঁকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। ২০১৫ সালের অক্টোবরে হিমাচল প্রদেশে হত্যা করা হয় নোমানকে, সে গরু ব্যবসায়ি ছিলো। গরু খেয়েছে এমন অভিযোগ এনে সন্ত্রাসীরা তো বুক ফুলিয়ে প্রতি নিয়ত ধর্ষন করছে মেয়েদের, আর সরকারী দল তাদের প্রত্যক্ষ মদদ দিচ্ছে। আর এই পোস্টটি যে ঘটনা নিয়ে লেখা, হুবুহু একই কারনে ২০১৪ সালে পুনের প্রযুক্তিবিদ মোহসিন মোহাম্মদ সাদিক শেখ কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। লক্ষ্য করুন আমরা সেকারনে সকল ভারতবাসীকে বা হিন্দুদের হত্যাকারী বা ধর্ষক বলছিনা।

ইদানীং ছাড়া বাংলাদেশের ৪৫ বছরের ইতিহাসে কবে শুনেছেন এমন চাপাতি নিয়ে ছুটে আসার কথা? আর এমন ঘটনাটি ঘটছে ঠিক সেকুলার হিসেবে দাবীদার এমন সরকারের সময়, সুতরাং বাংলাদেশ অথবা ভারত, এসব যে কতোখানি ধর্ম বিশ্বাস থেকে আর কতোখানি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত তা অণুধাবনে মগজে খুব বেশী ধূসর পদার্থের প্রয়োজন পড়েনা!
পার্থক্য শুধু এটা আমাদের বিশ্বাস, আমাদের সংস্কৃতি আমাদের এটা অনুধাবনে সক্ষম করেছে যে গুটি কয়েক সন্ত্রাসীর কারনে পুরো জাতি বা ধর্মকে দায়ি করা অন্যায় নির্বুদ্ধিতা ও অযৌক্তিক। স্পষ্টত আপনার ভাবনা আমাদের মতো নয়।

আমাদের দেশেও এধরনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে লেখালেখি প্রতিবাদ হচ্ছে, তাঁদেরও কেউ হত্যা করতে আসছেনা। এই কম্যুনিটি ব্লগে প্রায় দুহাজারের অধিক মানুষ এক এক সময় বিচরন করে, এখানে একজনকেও কখনও দেখেছেন এধরনের নির্মমতা সমর্থন করছে? ভারতের সন্ত্রাসের কালোথাবা বাংলাদেশে হানা দিয়েছে এটা দুঃখজনক ও আশঙ্কাজনক। এর যথাশীঘ্র প্রতিরোধ ও নির্মুল প্রয়োজন!

"এই সব ননসেন্স এ বিশ্বাস না করলে , বিশ্বাসীরা শুধু হতাশই হয় না , লক্ষ লক্ষ বিশ্বাসী আল্লাহর বাস্তে কল্লা কেটে নিতে তৈরি হয়ে যায়। সৌদি আরবের জনসংখ্যা মাত্র তিনকোটি কিন্তু সারা দুনিয়ায় সবথেকে বেশী কল্লা কাটিং হয় ইসলামের পুণ্যভূমিতে , সরকারী ভাবে ,বছরে প্রায় ৯০০-১০০০ --এর অন্যতম প্রধান কারণ ব্ল্যাসফেমি।"

- নিতান্ত অবুঝের মতো মন্তব্য হলো..... সৌদিআরব আমার দেশ নয় তারপরও সাধারন জ্ঞান থেকে জানি, আপনার আমার দেশে প্রানদন্ড দেয়া হয় ফাঁসিকাস্টে ঝুলিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রে লিথ্যাল ইনজেকশনের মাধ্যমে আর সৌদি আরবে আপনার ভাষায় কল্লাকেটে..... তাহলে তাদের সংখ্যাটা বেশী হওয়াটাই স্বাভাবিক নয়কি? তারউপর হত্যাকান্ড, মাদক পাচারের মতো জঘন্য সব অপরাধের জন্য তাঁদের বেঁধে দেয়া শাস্তি মৃত্যুদন্ড আর যেটুকে শুনেছি এই দন্ড কার্যকর করতে তারা আমাদের মতো যুগ যুগ সময় না নিয়ে সল্প সময়ের অতি দ্রুত শাস্তি কার্যকর করে যা উন্নত বিশ্বের মানুষেরা ঘৃন্য আসামীদের জন্য কামনা করে।

" নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়ার থেকে হিংসার বর্ণনা এবং নিজ নিজ গোত্রের /ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করা ধর্ম গ্রন্থগুলোর প্রধান উপজীব্য। সাইড ডিশ হিসাবে কিছু ফিলোসফিক্যাল কথাবার্তা এবং হ্যান করলে স্বর্গ /জান্নাত এবং ত্যান করলে নরক /দোজখ ইত্যাদির লোভ এবং ভয়/ভীতি প্রদর্শন।"

-হয়তো আপনি নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে পাঠ করেছেন বলেই এমনটা মনে হয়েছে। বিশ্বাসী বা সম্পূর্ণ আনবায়াজড মানসিকতা নিয়ে পড়লে তাঁদের কাছে মনে হয় সুন্দর উপদেশ, নৈতিকতা আর জীবনাচার শিক্ষা দেবার খাতিরেই উদাহরন স্বরূপ যুদ্ধ বিগ্রহ আর হানাহানির ঘটনার বর্ণনা এসেছে।

"গীতার বিরুদ্ধে আমার অনুধাবন যদি আমি হিন্দুপ্রধান ভারতে বলি বা লিখি তাহলে আমি নিশ্চিত কোনো হিন্দু আমার কল্লা কাটতে আসবে না কিন্তু কুরআনএর বিরুদ্ধেলিখলে কোনো মুসলিম প্রধান দেশে কি হবে সেটা আপনি আমার থেকে ভালো জানেন। "
-
ভালো জানি বলেই বলছি একটি মুসলিম প্রধান দেশে আজন্ম অবিশ্বাসীদের দেখেছি, লেখা পড়েছি। তাদের সকলের কল্লা যথাস্থানে বহাল তবিয়্যতেই ছিলো এবং আছে। আর আপনার দেশেও হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে নয়, শুধুমাত্র সমালোচনা বা অপরের ধর্ম পালনের কারনে কি পরিমান কল্লাকাটা হয়েছে তার উদাহরন দিয়েছি। আপনি চাইলে আরো ডজন খানেক দিতে পারি, যদিও আসল সংখ্যাটা হাজারে হবে। আর মহারাষ্ট্রে নির্বিচারে চার্চ দখল, ভারতের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অন্চলে খ্রীস্টান যাজকদের পুড়িয়ে মারার কথা তো উল্লেখই করি নাই। তাই বলেছিলেম কাঁচের ঘরে বাস করে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়তে নেই।

আরেকটি কথা, আপনার সাথে আলোচনার খাতিরে ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতন, ফ্যাসিবাদ, নারী নির্যাতন আর হত্যাযজ্ঞ যেমন উল্লেখ করেছি তেমনি ভারতের কোন ইতিবাচক দিক মন ছুঁয়ে গেলে তা সকলকে জানাতে কখনও কার্পণ্য করিনা তার একাধিক প্রমান আমার ব্লগে আছে।

grudge শব্দটার যথার্থ আপনি জানেন কিনা বা আমার নিজের অজ্ঞতা কিনা বুঝতে পারছিনা। আমি কোন আক্রমণ করিনি, পিছিয়ে যাবার কয়েকটি উদাহরন টেনে শুধু আপনারটা জানতে চেয়েছি। আমার জ্ঞানের সীমবদ্ধতা থাকতেই পারে, আপনি হয়তো উদাহরন দিতে পারবেন এমনটা ভেবেছিলাম।


আমি একটি ধর্মে বিশ্বাসী আপনি সে ধর্ম সম্পর্কে একটি অভিযোগ এনেছেন, তার প্রেক্ষিতে "মুসলিমরা কিভাবে ১৪০০ বছর পিছনে যাবার চেষ্টা করছে?" এই প্রশ্ন দিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম, পরবর্তিতে একাধিকবার মন্তব্য করেও যথাযথ উদাহন দিতে সক্ষম হননি বিধায় এখানে আলোচনা অর্থহীন। এই পোস্টে এটা আমার শেষ মন্তব্য।


ভালো থাকুন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

জেন রসি বলেছেন: “I prefer rationalism to atheism. The question of God and other objects-of-faith are outside reason and play no part in rationalism, thus you don't have to waste your time in either attacking or defending.”

― Isaac Asimov


ধর্মীয় আইন অনেক আগেই তার প্র্যাগম্যাটিক ভ্যালু হারিয়ে ফেলছে। এই জন্যই রাষ্ট্র, আদালত, আর্থ সামাজিক কাঠামোগুলো ধর্মীয় আইন দ্বারা চলেনা। আপনার প্রাত্যহিক জীবনেও আপনি অনেক কিছুই করেন যা শরিয়া মতে অন্যায়। তবুও যখন মানুষ একটা চলমান সিস্টেমের উপর ধর্মীয় বিশ্বাসের নামে কিছু চাপিয়ে দিতে চায় তখন আসলে সে অতীতকে ফিরিয়ে আনতে চায়। অতীতের নিয়মগুলোকে ফিরিয়ে আনতে চায়। সেটা নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল।

১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




মন্তব্য করার চেয়ে ভালো লাগছে এখানকার মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলো পড়তে ও বুঝতে ।

আর আপনার পোস্টের বিষয় সম্পর্কে জাস্ট এটুকু বলা , আমরা মুসলমানেরা গরু খাই তো তাই গা থাকে সবসময় গরম । মাথা হট থাকে বলে বুদ্ধি-বিবেচনা গুলিয়ে যায় । "ম্যাড-কাউ" ডিজিজ আর কি ! আরব বসন্তের কথা বলে যে দোলা এই মুসলিম জগতে দেয়া হয়েছে তার দাগ যে "গুটি বসন্ত"র মতোই দগদগে তা থেকেও আমরা বুঝতে পারছিনে - মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দখল নিয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র এবং কর্পোরেট হাউজগুলোর মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছে সেখানে খুব কৌশলে ইসলাম ধর্মকে ব্যাবহার করা হয়েছে। এটাই বুঝে উঠতে পারছিনে আমরা ঐ "ম্যাড-কাউ" ডিজিজের কারনে । মাথা ঠান্ডা রেখে মুসলমানদের ভাবতে বসতে হবে ।
সময় স্বল্পতার কারনে আর দীর্ঘ আলোচনায় যাওয়া সম্ভবপর নয় ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৬

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা.......

গোসিপে শুনতাম হিন্দুরা নিরামিষ খায় বলে তাদের বুদ্ধি কম। মুসলিমরা গরু খায় বলে মাথা গরম। ইহুদিরা শুয়োর খায় বলে তারা ইতর! আসলেই সব দোষ নিরীহ গরু কিংবা শূয়রদের উপর চাপিয়ে দিতে পারলে ভালোই হত! মোদি কিংবা ট্রাম্প যে ইসলামের জুজুর ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তার দায়ভার মুসলমানদেরও আছে। সেটা যদি তারা না বুঝে তবে ধ্বংস অনিবার্য ।

ধন্যবাদ জী এস ভাই। উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

বিজন রয় বলেছেন: দারুন।

ধর্ম-জাতি বেঁচে থাকুক। মানুষ মরে যাক।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জেন রসি বলেছেন: এটাই হচ্ছে! মানুষ মেরেই সবগুলো ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে সবাই ভাসুরের নাম নিতে ভয় পায়। জামাইয়ের চাইতেও ভাসুর তাদের কাছে প্রিয়।

২০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"আধুনিক সময়ের রাজনীতিকে অনেক ভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। তবে সেটা এমনই এক জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোন ব্যাখ্যাই স্বয়ংসম্পূর্ণ না। "

-এগুলো অংক ও লজিকের বাহিরের কথা; 'অনেক ভাবেই ব্যাখ্যা' মানে পরিস্কার কিছু নয়

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

জেন রসি বলেছেন: ব্যাখ্যা কিভাবে করবেন সেটা নির্ভর করে আপনি কি, কিভাবে, কেন চাচ্ছেন তার উপর। মডেল নির্ভর লজিক। আমি ব্যক্তিগত ভাবে টোটালারিটিয়ান কোন মতবাদে আস্থা রাখিনা।

২১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি জাতীয়তাবাদী চেতনা দ্বারা এখন আর খুব বেশি প্রভাবিত না। ধর্ম, জাতীয়তাবাদ, বিভিন্ন মতবাদ এসবকে মডেল কিংবা ডিভাইস মনে করি। গনমানুষের স্বার্থের জন্য যে মডেল যতক্ষণ কাজ করবে ততক্ষন সে মডেল ফলো করা যেতে পারে। কাজ না করলে বাদ! এসব বিষয় নিয়ে আরো লিখব। এ বিষয়ে মোটা দাগে কিছু কথা বললাম। কেউ যদি দ্বিমত পোষণ করেন যুক্তি দিয়ে আমাকে আলোকিত করেন।


কথা হচ্ছে সেটাই! আমাদের চলাফেরা, স্বাতন্ত্রবোধ, সংষ্কৃতিতে বোধের ব্যবধান রেখে কিছু করা যাবে না। সম্ভব হবে না। আমরা ধর্ম তথা আধ্যাত্মিকতার কনসেপ্টের সাথে জাতীয়তাবোধের সংঘর্ষ রেখে কিছু করতে গেলেই বিপদ হবে। এইসকল ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসের সুসমন্বয় করেই আমাদের নিজেদের চলার পথ বের করতে হবে। :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

জেন রসি বলেছেন: সে একই কথা বলতে হয় যে, কোন কিছুই পরম না। একশো বছর ধরে মেয়েরা ঘরে রান্না করেছে বলে সেটাই কালচার হয়ে যাবে এমন কোন ব্যাপার নেই। কালচার যুগের প্রয়োজনে পরিবর্তিত হয়। আর জাতীয়তাবাদী চেতনার সাথে ধর্মীয় চেতনার সংঘাত ঘটবেই!

২২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখক বলেছেন: সে একই কথা বলতে হয় যে, কোন কিছুই পরম না। একশো বছর ধরে মেয়েরা ঘরে রান্না করেছে বলে সেটাই কালচার হয়ে যাবে এমন কোন ব্যাপার নেই।

এখানে আরেকটা ব্যাপার আছে। প্রগতির দোহাই দিয়ে মেয়েদের ঘরের বাইরে বের করে আনাও কিন্তু এক প্রকার ভুল চিন্তা। আমার মতে কে অন্দরে কাজ করবে আর কে বাইরে কাজ করবে সেটা নির্ধারণ কোন আইডলজি/মতাদর্শ থেকে নির্ণয় না করে ব্যক্তির ইচ্ছা ও পছন্দকেই প্রায়োরিটি দিতে হবে। এভাবেই মানবজাতি ঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমার মনে হয়।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

জেন রসি বলেছেন: মেয়েদের ঘরের ভেতর থাকার সিদ্ধান্ত কারা চাপিয়ে দিয়েছে? ঐতিহাসিক সত্য কি বলে? প্রগতি মানে চাপিয়ে দেওয়া নিয়মের পরিবর্তন। যে নিয়ম মানুষকে মুক্ত করে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.