নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ তৃষ্ণা

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২১




শিকার


কদম আলীর মাথা ঘুরাচ্ছে। ঘাড়ে হাত বুলাচ্ছে সে। তবে তাতে ঘাড়ে ব্যথা কমছে না। বরং আরো বেড়ে যাচ্ছে। বমি আসছে কদম আলীর। কদম আলী প্রচণ্ড রাগ নিয়ে জ্বলন্ত সূর্যটাকে গালি দেয়। সূর্য তাতে নির্লিপ্তই থাকে। মানুষের মামা বাড়ির আবদার শোনার সময় নেই সূর্যের। সে তার মত করেই শহরের বুকে আগুন ঢালতে থাকে। সে উত্তাপে পুড়তে থাকে কংক্রিটের শহর। পুড়তে থাকে কদম আলীর শরীর। রক্তচাপ বাড়তে থাকে। সেটারও একটা সীমা আছে। সীমা অতিক্রম করলেই মারা যাবে সে। যদিও কদম এতসব বুঝে না। সে বুঝে তার খারাপ লাগছে। সে বুঝে যেভাবেই হোক তাকে বেঁচে থাকতে হবে। যদি বেঁচে থাকে তবে রাতে নিজের খুপরিতে ফিরতে পারবে। ভাত খেয়ে যদি শক্তি থাকে তবে বউয়ের শরীরে ডুব দেবে সে। যদিও আগের মত আর ভালো লাগে না তার। তবুও এ মধ্যবয়সেও কয়েক মিনিটের সে সময়টাকেই তার খুব জীবন্ত মনে হয়। ভাবতেই মনে জোড় পায় কদম। তীব্র রোদকে উপেক্ষা করে সে বিড়ি ধরায়।

বিড়ি যখন অর্ধেক পুড়ে নিঃশেষ হওয়ার অপেক্ষায়, তখন কদম একটা ক্ষেপ পেয়ে যায়। গন্তব্য টিএসসি। বিড়ি ফেলে দেবে কিনা এটা নিয়ে তার দ্বিধা হয়। মেয়ে যাত্রী হলেই কদমের মধ্যে এ দ্বিধা কাজ করে। তবে কদমের মাথায় আজ বিদ্রোহের ভূত চেপেছে। সে বিড়ি না ফেলেই রিক্সার প্যাডেলে চাপ দেয়। আজিমপুর কবরস্তান থেকে টিএসসি যেতে বেশী সময় লাগবেনা। কিন্তু এ পথটাকেই আজ তার কাছে খুব দীর্ঘ মনে হয়। এটাই তার জীবনের লড়াই। এই একটার পর একটা ক্ষেপ। সব মিলে সফল হলে সে তার এক রুমের খুপরিতে ফিরে যেতে পারে। মনে খুব আনন্দ বা দুঃখ এসে ভর করলে মন্টুদের গাঁজার আসরে মাঝে মাঝে দম নিতে যায়। নাহয় মরার মত ঘুমায়। কদম আলীর সারাদিনের যে লড়াই তার পুরুস্কার হচ্ছে ভাত, নারী, গাঁজা এবং ঘুম। সে রিক্সা নিয়ে যখন পলাশীর মোড় ক্রস করছে তখন বুঝতে পারে তার রিক্সায় বসে থাকা মেয়েটা কাঁদছে। কেন কাঁদছে সেটা জানার কোন আগ্রহ হয়না কদমের। প্রতিদিন অনেক মানুষ তার রিক্সায় ওঠে। সে সময়টায় ওদের যাপিত জীবনের কিছু গল্পের আভাস পায় কদম। ওদের কথায়, চোখে মুখে লেগে থাকা উচ্ছাস কিংবা ক্লান্তিতে লেগে থাকে সে গল্প। সে গল্পগুলোর কোন শব্দ নেই। ভাষা নেই। ব্যাকরণ নেই।

তবে মাঝেমাঝে তার রিক্সায় বসে থাকা মানুষগুলো এক অদ্ভুত উপায়ে কদমকে স্পর্শ করে। তখন তাদের রাগ, ভালোবাসা, ভয়, শিহরন এসব কিছু সময়ের জন্য কদমকে আঘাত করে। আক্রান্ত করে। যেমন একবার একলোক ফোনে তার ছেলেকে নিয়ে কথা বলছিল। ছেলেটা বখাটে হয়ে গেছে। সেটা নিয়ে মানুষটার কণ্ঠে যে হতাশা, আতংক এবং ভয় ছিল তা কদম অনুভব করতে পেরেছিল। তার নিজের ছেলের কথা মনে হচ্ছিল। চুরির অপরাধে ছেলেটাকে মেরেই ফেলত। কদম সেবার নেতাদের হাত পা ধরে ছেলেটাকে বাঁচিয়েছিল।
মাঝেমাঝে তার রিক্সায় বসে থাকা প্রেমিক প্রেমিকারা কদমকে অন্য রকম এক সুখ দেয়। যখন কোন ছেলে মেয়ের শরীরে হাত দেয়, কদম সেটা বুঝতে পারে। তখন তার মনে হয় এই হাতটা আসলে তার নিজেরই হাত। এটা এমন এক সুখ যা সখিনার মাঝেও সে খুঁজে পায়না। এমন নানা ধরনের সুখ এবং অসুখ নিয়েই কদম আলী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রিক্সা চালিয়ে যায়।

কদম আলীর তীব্র একটা ইচ্ছা আছে। এই ইচ্ছাটা সে খুব সযতনে নিজের মাঝে লুকিয়ে রেখেছে। একদিন সে তার সেই গোপন ইচ্ছেটা পূরণ করবে। এমন ভাবনা কদমকে খুব শিহরিত করে!


কদম তীব্র অবিশ্বাস নিয়ে তার রিক্সার সিটের দিকে তাকিয়ে আছে। সেখানে একটি মেয়ে বসে থাকার কথা। যে মেয়েটিকে সে আজিমপুর থেকে নিয়ে এসেছে। সে মেয়েটির কান্নার আওয়াজ শুনেছে। অথচ এখন কেউ নেই। চারপাশে তাকিয়ে সে কোথাও মেয়েটিকে দেখতে পেলনা। কদম গামছা দিয়ে ঘাম মুছে। তার খুব বাড়ি ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে। খুব ভয় পেয়েছে সে। সে বুঝে গেছে, এসব ভালো লক্ষন না। সে সম্ভবত পাগল হয়ে যাচ্ছে। তবে তার রিক্সায় বসে থাকা মেয়েটাকে এখন সে চিনতে পেরেছে। অনেকদিন পর তাকে দেখল কদম। মেয়েটা আবার ফিরে এসেছে। যার নাম কদম কখনোই জানতে চায়নি, অথবা মেয়েটি তাকে জানতে দেয়নি।

ব্ল্যাক ম্যাজিক


নীলক্ষেত মোড়ে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা অনেক কঠিন কাজ। মোবারকের অনেক রাগ লাগছে। সে জানে রেগে গেলেই সে কিছু ভুল করে ফেলবে। একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসাবে দরকার হলে রিক্সাচালকের গায়ে হাত তোলার নিয়ম আছে এ দেশে। সেটা কোন অপরাধ না। কিন্তু যতবার মোবারক কাউকে শারীরিক ভাবে আঘাত করেছে ততবার তার মধ্যে অপরাধবোধের জন্ম হয়েছে। কিন্তু তারপরও সে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা। আজো তার কয়েকজনকে খুব পিটাতে ইচ্ছা করছে। সিগনালের তোয়াক্কা না করেই এরা রিক্সা চালাচ্ছে।

তবে আজ মোবারক যে করেই হোক সবাইকে মাফ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছেলের জন্মদিনে কেউ তাকে অভিশাপ দিক এটা সে চায়না। চোখের পলকেই ছেলেটা বড় হয়ে গেল। ছেলের কথা ভাবতেই মোবারকের রাগ এবং বিরক্ত ভাবটা অনেকটাই কমে যায়। একজন রিক্সাচালককে থামিয়ে দিয়ে সে প্রশ্রয়ের হাসি দেয়।


কদম আলী একদৃষ্টিতে ট্রাফিক সার্জেন্ট মোবারকের দিকে তাকিয়ে আছে। তার মধ্যে এক অন্যরকম শিহরন খেলা করছে। তার রিক্সায় একজন মেয়ে বসে আছে। মেয়েটি এখন পায়ের উপর পা তুলে সিগারেট টানছে। কিন্তু কদম জানে মেয়েটিকে অন্য কেউ দেখছেনা। মেয়েটা সবার কাছে অদৃশ্য।শুধু কদম তাকে দেখতে পায়। তার সাথে কদম কথাও বলতে পারে। মেয়েটা মাঝেমাঝেই কদমের রিক্সায় করে ঘুরে বেরায়। কদমের সাথে কথা বলে। কদমের সবকিছু মেয়েটা জানে। তার ভেতরের গোপন ইচ্ছাগুলো যা কখোনও কারো পক্ষে জানা সম্ভব না তাও জানে মেয়েটা। যেমন এখন কদমের একটা কাজ করতে ইচ্ছে করছে। এই ইচ্ছেটা সে অনেক দিন থেকেই নিজের ভেতরে খুব সযতনে লালন পালন করেছে। কিন্তু সে জানত সেটা পূরণ করা তার পক্ষে সম্ভবনা। মেয়েটা তাকে বুঝিয়েছে সেটা করে ফেলাটা আসলে খুব কঠিন কোন কাজনা। এবং এই কাজ করার পর কদম যে শান্তি পাবে সে বোধের জন্ম এ ভুবনে না, অন্যকোথাও।
অনেক বছর আগের এক দুপুরের কথা মনে পড়ে যায় কদমের। কুমিল্লার কান্দিরপারে সখিনা এবং তার শিশুপুত্রকে সিটে বসিয়ে সে রিক্সা চালাচ্ছিল। ভুল করে সে সিগন্যাল না মেনে রিক্সা চালিয়ে ফেলেছিল। তখন একজন ট্রাফিক পুলিশ তার দিকে তেড়ে আসে। চুলির মুঠি ধরে সে লাঠি দিয়ে কদমকে পিটাতে শুরু করে। কদমের বউ এবং শিশুপুত্রের কান্নার আওয়াজ এখনো তার কানে বাজে। সেদিন কদম শারীরিক ভাবে খুব কমই আহত হয়েছিল। কিন্তু অপমান এবং লজ্জায় তার মরে যেতে ইচ্ছে করছিল। নিজের বউ এবং পুত্রের সামনে তাকে অপমানিত হতে হয়েছে। সে নিজের কাছেই নিজে খুব ছোট হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই কদম একটা ভাবনা ভেবে খুব আরাম পায়। কিন্তু বাস্তবে সেটা করার মত সাহস কদমের ছিলনা। এই মেয়েটা তাকে সে সাহস দিয়েছে। এখন কদমের আর কোন ভয় নেই। দ্বিধা নেই। সে মোবারকের দিকে যেতে থাকে। মোবারক কি তাকে চিনতে পারবে? মনে হয়না। তবে না চিনাই ভালো। সে কিছুই বুঝতে পারবেনা। সব কিছু খুব দ্রুত ঘটে যাবে। মোবারক খুব বিস্মিত হবে। এতে করে খেলাটা আরো জমবে।

কদম খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে মোবারকের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। আজ তার বউ আর ছেলেটাকে নিয়ে আসতে পারলে খুব ভালো হত। তারা আজ অন্য রকম এক কদমকে দেখতে পেত। কদম খুব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তার গামছার ভেতর থেকে চকচক করা ছুরিটা বের করে। তারপর একের পর এক মোবারকের বুকে এবং পেটে ছুরি চালাতে থাকে। যখন চারপাশের মানুষ কদমকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল তখন সে শেষবারের মত তার রিক্সায় বসা মেয়েটার দিকে তাকায়। মেয়েটা চিৎকার দিয়ে কাঁদছে! মনে হচ্ছে খুব ভয় পাচ্ছে। চারপাশের মানুষ মেয়েটাকে সাহায্য করার জন্য ছুটে এসেছে। তবে কি সবাই তাকে দেখছে? কেন সে কদমকে মিথ্যা বলেছিল? কে এই মেয়ে?

কনফেশন

আমি একজন সিরিয়াল কিলার। যদিও কখনো কোন মানুষকে নিজ হাতে খুন করিনি। আমি যা করি তা হচ্ছে, আমার ক্ষমতা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করি। এবং সবসময় কনফেস করি। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে কেউ সেটা বিশ্বাস করেনা। সবাই ভাবে আমি মানসিক রোগী। নিজের তৈরি ফ্যান্টাসিতে বাস করি। আর যারা সন্দেহ করে, তারাও প্রকাশ্যে কিছু বলেনা। কারন আমার বাবা অনেক ক্ষমতাবান একজন মানুষ। যাইহোক, আপনি এ দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। আপনার সাথে আমার জমবে। কথাগুলো আফ্রোদিতি খুব সহজ ভাবেই বলল। তার মধ্যে কোন জড়তা নেই। অস্পষ্টতা নেই। সে হাসিমুখে ডক্টর বেলায়েত হোসেনের দিকে তাকিয়ে আছে। তার হাসিটাও খুব আন্তরিক।

তুমি বলেছ তোমার একটা বিশেষ ক্ষমতা আছে। যে ক্ষমতা নিয়ে তুমি এক্সপেরিমেন্ট কর। আরো বলেছ তুমি একজন সিরিয়াল কিলার এবং নিজ হাতে কোন মানুষ হত্যা করনি। তার মানে ধরে নিচ্ছি তুমি অন্য কাউকে দিয়ে হত্যা করাও। এবং সেটা করাতে পারাটাই তোমার ক্ষমতা। যা তুমি অনেকবার কনফেস করেছ। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি কেন বিশ্বাস করব? যদি করি তাহলে আমার কি করা উচিৎ? দুটো অপশন আছে। তোমাকে আমি পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারি। অথবা তোমাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করতে পারি। তবে তোমার মুখের কথায় আমি বিশ্বাস করবনা। তোমাকে প্রমান করতে হবে। বেলায়েত হোসেনের কথাগুলো আফ্রোদিতির ভালো লেগেছে। তার কাছে মানুষটাকে বেশ আনপ্রেডিক্টেবল মনে হচ্ছে।

আমি সেটা প্রমান করব। তবে আপনি যখন সেটা বুঝতে পারবেন, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যাবে। কারন আমি এরপরের এক্সপেরিমেন্টটা আপনাকে নিয়ে করব। অর্থাৎ আপনাকে দিয়ে একজনকে খুন করাব। অবশ্যই এমন একজনকে যাকে আপনি মন থেকেই খুন করতে চান। আফ্রোদিতি বেশ স্বাভাবিক ভাবেই বেলায়েত হোসেনকে কথাগুলো বলল।

আফ্রোদিতির কথা শুনে বেলায়েত হোসেনের মনে হচ্ছে তার সামনে একটা বাচ্চা মেয়ে বসে আছে যে এখনো রুপকথার জগতেই বাস করে। মেয়েটার প্রতি বেলায়েত হোসেনের মায়া হচ্ছে।

অনুসন্ধান

আফ্রোদিতির ছবি দেখে কদম চমকে ওঠে। সে ধরেই নিয়েছিল মেয়েটি কোন খারাপ আত্মা! সে কদমের উপর ভর করেছিল। কিন্তু বেলায়েত হোসেন নামক এক ডাক্তার, জেলে তার সাথে দেখা করতে এসেছে। সে কদমকে বলেছে সে আফ্রোদিতিকে চিনে। সে আফ্রোদিতির ছবিও কদমকে দেখিয়েছে। ডাক্তার মেয়েটা সম্পর্কে জানতে চায়। কিন্তু কদম স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারেনা। কারন মেয়েটা রিক্সায় উঠে তার সাথে কথা বলতে শুরু করত। কখনও একদম চুপ থাকত। কিন্তু যতক্ষণ সে রিক্সায় বসে থাকত, কদম একটা ঘোরের মধ্যে থাকত। তার ভাবনা চিন্তা কিছুই তার নিয়ন্ত্রনে থাকতনা। সে নিজ থেকে কিছু বলতও না। মেয়েটাই মাঝেমাঝে তাকে প্রশ্ন করত। যেমন একদিন সে হঠাৎ করে প্রশ্ন করেছিল, তোমার যাকে খুন করতে ইচ্ছে করে তাকে কেন বাঁচিয়ে রেখেছ? কদম চমকে উঠেছিল। সে একজনকে খুন করতে চায়, এই মেয়ে সেটা কিভাবে জানে! কদমের তখন মনে হচ্ছিল এই মেয়ে তার ভেতরের সব ইছাগুলো কোন এক অলৌকিক উপায়ে জেনে যাচ্ছে। তার লুকানোর কিছু নেই। সে মেয়েটাকে তার গোপন ইচ্ছার কথা বলে। তারপর থেকেই কদমের ইচ্ছাটা তীব্র হতে থাকে। মেয়েটার প্রতিটা কথা সে ইচ্ছার আগুনে ঘি ঢালতে শুরু করে!

পাজল

বেলায়েত হোসেন তার চেম্বারে বসে আছেন। তিনি স্মোকিং ছেড়ে দিয়েছেন বেশ কয়েক বছর হয়েছে। কিন্তু মাঝেমাঝে তার খুব স্মোক করতে ইচ্ছে করে। যেমন এখন করছে। কারন তিনি আফ্রোদিতিকে নিয়ে ভাবছেন। এই মেয়েটা কোন এক বিশেষ উপায়ে তার শিকারকে সম্মোহিত করে ফেলতে পারে। যেমন কদম তার শিকার ছিল। কিন্তু এভাবে সম্মোহিত করার ব্যাপারটা অনেকটাই প্যারা সাইকোলজির সাথে সম্পর্কিত। আর এখানেই বেলায়েত হোসেনের ভয় হচ্ছে। বেলায়েত হোসেনের যুক্তিবাদী মন কিংবা একাডেমিক চর্চা, কোনটাই এই প্যারা সাইকোলজির ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেনা। তাছাড়া কদমের সাথে কথা বলার পর তিনি বুঝেছেন যে, আফ্রোদিতি আসলেই সিরিয়াল কিলার। তবে সে খুনটা নিজ হাতে করেনা। অন্য কাউকে সম্মোহিত করে ফেলে সে। তবে এখানে একটা কমন প্যাটার্ন আছে। যেমন কদম তাকেই খুন করেছে যাকে সে খুন করতে চেয়েছে। এখান থেকে একটা হাইপোথিসিস দাড়া করায় বেলায়েত হোসেন। আফ্রোদিতি কোন এক বিশেষ উপায়ে মানুষের ভেতরের তীব্র ইচ্ছেগুলোকে নিয়ে খেলতে পারে।

মেয়েটা বিপদজনক। তার নেক্সট টার্গেট বেলায়েত হোসেন। সে জানেনা বেলায়েত হোসেনের ভেতরের ইচ্ছাগুলো কি। তবে মেয়েটা আশা করছে বেলায়েত হোসেন নিজেই সেটা তাকে বলে দেবে। তারপরই সে তার সম্মোহিত করার খেলাটা শুরু করবে। অর্থাৎ আফ্রোদিতি আসলে জানেনা তিনি কাকে খুন করতে চান। এটা থেকেই বুঝে ফেলা যায় তার কোন অলৌকিক ক্ষমতা নেই। আফ্রোদিতি যেটা করে সেটা হচ্ছে একটা রহস্যময় আবহ সৃষ্টি করে। তারপর তার শিকারকে একটা ঘোরের মধ্যে নিয়ে যায়। শিকার তখন তার গোপন ইচ্ছেটা তাকে বলে দেয়। তখন আফ্রোদিতি সে ইচ্ছাটা বাস্তবায়িত করার জন্য শিকারকে প্রভাবিত করতে থাকে। বেলায়েত হোসেনের মুখে হাসির আভাস দেখা যায়। এখন আর আফ্রোদিতির ব্যাপারটা তার কাছে প্যারা সাইকোলজি মনে হচ্ছেনা। এখন তিনি জানেন তাকে কি করতে হবে!

ট্রিটমেন্ট

তুমি মাঝেমাঝে ধূমপান কর। কদমের কাছে আমি শুনেছি। ইচ্ছে করলে এখন আরাম করে সিগারেটে কয়েকটা টান দিতে পার! যদিও আমি ধূমপান ছেড়ে দিয়েছি। তবে আমার কাছে সবসময় এক প্যাকেট সিগারেট থাকে। বেলায়েত হোসেনকে একই সাথে শান্ত এবং উৎফুল্ল মনে হচ্ছে। আফ্রোদিতি এই লোকটাকে বুঝার চেষ্টা করছে। পারছেনা। তার রাগ লাগছে।

আমি তোমার সমস্যাটার একটা সমাধান খুঁজে পেয়েছি। তোমার অতীত সম্পর্কে আমি খোঁজ খবর নিয়েছি। আসলে আমার দুটো ব্যাপার বুঝার দরকার ছিল। তুমি কিভাবে মানুষকে সম্মোহিত কর এবং কেন কর? কেন কর সেটার একটা ব্যাখ্যা এখন আমার কাছে আছে।
তোমার যখন ১২ বছর বয়স তখন তোমার মা রহস্যজনক ভাবে মারা যায়। অনেকেরই ধারনা ছিল সেটা হত্যাকাণ্ড। তোমার বাবাই আসলে তোমার মাকে হত্যা করেছে। কিছুদিন মিডিয়াতে সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করেছে। কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই সবাই চুপ হয়ে গেছে। তোমার বাবা এদেশের প্রভাবশালী একজন ব্যবসায়ি। মন্ত্রি এমপিরা তার কথায় উঠে বসে। তার পক্ষে সেসব ধামাচাপা দেওয়াটা কোন কঠিন ব্যাপার ছিলনা।

কিন্তু তোমার অবচেতন মনে সে ঘটনা তীব্র প্রভাব ফেলে। তুমি প্রতিশোধ নিতে চাও। অর্থাৎ তোমার বাবাকে হত্যা করতে চাও। এই ইচ্ছেটা তোমার ভেতর তীব্র হতে থাকে। কিন্তু তুমি তা পারনা। তাই তুমি যেটা কর সেটা হচ্ছে, অন্য মানুষের মনের গহিন থেকে হত্যার ইচ্ছেটাকে টেনে বের করে নিয়ে আস। ইচ্ছেটাকে বাস্তবে পরিনত করার জন্য তুমি তোমার শিকারকে প্রভাবিত কর। যেমন কদম আলীকে করেছ। কদম যখন ট্রাফিক পুলিশ মোবারককে হত্যা করেছিল, তুমি তখন সেখানে ছিলে। তোমার মনে হচ্ছিল আসলে তুমি তোমার বাবাকে হত্যা করেছ। এটাই তোমার অবসেশন। তুমি অন্যকে দিয়ে আসলে বারবার নিজের ইচ্ছেটাকেই পূরণ করতে চাও। এবং তুমি সেটা করতে পার। কারন মানুষকে প্রভাবিত বা সম্মোহিত করার একটা বিরল ক্ষমতা তোমার মাঝে আছে। এমন ক্ষমতা রাজনীতিবিদ, ধর্মপ্রচারক কিংবা অনেক লেখকের মাঝেই আছে। তারা তাদের কথা দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। তুমিও পার। তবে তুমি যে শান্তির জন্য এমনটা কর তা সাময়িক। যেমন কদম যখন মোবারককে হত্যা করে তখন তোমার মাঝে ক্ষণিকের আনন্দ হয়। কিন্তু তারপর আবার তোমার মধ্যে যন্ত্রণা হতে থাকে।

তবে এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই উপায় আছে। তোমার ভেতরের যে ইচ্ছাটা তুমি এতদিন ধরে লালন পালন করে আসছ তার মুখোমুখি হতে হবে তোমাকে। সেটাকে বাস্তবায়িত করতে হবে! এছাড়া তোমার মুক্তির অন্য কোন পথ আমার জানা নেই।
আফ্রোদিতি কাঁদছে। তাকে খুব অসহায় লাগছে। বেলায়েত হোসেনের খুব ইচ্ছে করছে মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে। কিন্তু তিনি তা করলেন না। বরং তার দেয়ালে ঝুলানো মোনালিসার ছবির দিকে তাকিয়ে থাকলেন। মোনালিসার হাসির মাঝেও রহস্য আছে!

পরিশেষে

আফ্রোদিতিকে নিয়ে বেলায়েত হোসেন একটা জুয়া খেলেছেন। সে খেলায় তিনি জিতেছেন নাকি হেরেছেন তা তিনি জানেননা। তবে আফ্রোদিতি তার বাবাকে হত্যা করেছে এবং নিজেই পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। সেটা নিয়ে এখন মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে।
আফ্রোদিতি তার জন্য একটা মেসেজ রেখে গেছে।

স্যার,
"আমি খুব করে চাচ্ছিলাম, আমাকে কেউ কনভিন্স করুক। সম্মোহিত করুক। আমি যেমনটা আমার শিকারদেরকে করেছি। আমি আসলে এবার নিজেই শিকার হতে চাচ্ছিলাম। আমি জানতাম একমাত্র আপনার পক্ষেই আমাকে সম্মোহিত করা সম্ভব। তার কারন হচ্ছে আপনি নিজেও আমার বাবাকে হত্যা করার গোপন ইচ্ছেটা অনেকদিন থেকে আপনার ভেতর লালন করে আসছেন! আমার মায়ের সাথে আপনার সম্পর্কের কথাটা আমি জানি। আর আপনাদের এই সম্পর্কের কারনেই আমার বাবা আমার মাকে হত্যা করে!

আমাকে সাহায্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! আপনাকে দেওয়ার মত আমার তেমন কিছু নেই। তবে আপনাকে হত্যা করতে চায় এমন একজনের সাথে আমি বেশ কিছু সময় কাটিয়েছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তার সাথে আপনার দেখা হবে। যে মুহূর্তে তার সাথে আপনার দেখা হবে, ধরে নেবেন আপনার উপহার আপনি পেয়ে গেছেন!"

বেলায়েত হোসেন অনেক বছর পর নিয়ম ভঙ্গ করে একটা সিগারেট ধরালেন!









মন্তব্য ৯৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৯৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথম পাঠেই ভাল লাগল । আবার হাতে সময় নিয়ে আসব ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ এম এ আলী ভাই। অনেক দিন পর গল্প পোস্ট দিয়ে আপনাকে পেলাম। ভালো লাগছে। :)

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

পুলহ বলেছেন: আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বলে- আপনার লেখার একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে। ভাগ ভাগ করে আপনি গল্পে কিছু চরিত্র এবং ঘটনার অবতারণা করেন, অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত মনে না হলেও গল্প এগুনোর সাথে সাথে তাদের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক ক্লিয়ার হতে থাকে। একদম শেষে গিয়ে আপনার গল্পগুলোতে অপ্রত্যাশিত একটা ট্যুইস্ট থাকে... এ গল্পটাও সেরকম ফর্মুলা মেনেই এগিয়েছে অনেকটা....
অনেক দিন বাদে গল্প দিলেন সম্ভবত। শুভকামনা থাকবে আপনার জন্য রসি ভাই।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৫

জেন রসি বলেছেন: আসলে অনেকগুলো ছোট ছোট গল্প মিলেই একটা বড় গল্প হয়। ব্লগে প্রকাশিত আমার গল্পগুলো আসলে গল্পের আইডিয়া। আইডিয়াগুলোকেই একটা গল্পের কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ করে ব্লগে রেখে দেই।

হ্যা.....বেশ কিছুদিন পর ব্লগে গল্প দিলাম। আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হলাম। :)

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

শায়মা বলেছেন: নায়িকার নামটা আফ্রোদিতির দিয়ে প্রেমের দেবীর অসন্মান করলে জিনিভাইয়া!!!!!!!!! :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৭

জেন রসি বলেছেন: আফ্রোদিতি শুধু প্রেমের দেবী ছিলেন না। তিনি অত্যন্ত প্রতিশোধপরায়নও ছিলেন। :P

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২১

শায়মা বলেছেন: গেলাসের খালি অর্ধেকটাই দেখলা!!!!!!

ছি ছি তুমি দেখছি পুরাই নেগাটিভ নাম্বার ওয়ান!!!!!! :-P

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৮

জেন রসি বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহা..........

নাহ! আমি পুরোটাই দেখেছি! আপনি অর্ধেকটা দেখেছেন। ;) তাই শুধু আফ্রোদিতির প্রেমের মিথ গুলোই পড়েছেন এক চোখ দিয়ে! আরেক চোখ বন্ধ ছিল! :P

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩২

শায়মা বলেছেন: X((
X((
X((

আচ্ছা সামুতে ঐ গাড়ি চাপা দেওয়া ইমোটা নাই কেনো!!!!!!!!!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

জেন রসি বলেছেন: খাইছে!

আবার গাড়ি চাপা কেন!?

এখন ড্রোন হামলার যুগ! ;)

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪০

শায়মা বলেছেন: তাইলে একটা ড্রোনের ইমো বানায় আনো তো! :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

জেন রসি বলেছেন: আমি মধ্যপ্রাচ্যের মাথামোটা শাসক না! :P

তাই খাল কেটে কুমির আনি না! ;)

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

শায়মা বলেছেন: কুমির!!!!!!!!!

এখানেও কুমির!!!!!!!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

জেন রসি বলেছেন: সবকিছুই কোন না কোন ভাবে ইন্টারকানেক্টেড! কখন কি চলে আসে! ;)

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০১

সুমন কর বলেছেন: পরিপূর্ণ সুন্দর গল্প। শেষের ট্যুইস্টটাও দারুণ। +।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার উপস্থিতি মানেই বিশেষ কিছু। :)

৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

কালীদাস বলেছেন: ভাল লাগল। অনুসন্ধানের চাপ্টারটা থেকে আসলেই ঘোরের মধ্যে বাকি লেখাটা শেষ করলাম। চমৎকার।
এই টাইপের গোছানো একটা লেখা লিখতে অনেক চিন্তা এবং সময়ের প্রয়োজন হয়। আপনার কতক্ষণ/কয়দিন লেগেছে?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৮

জেন রসি বলেছেন: কুমিল্লায় এক রিক্সাচালক ট্রাফিক পুলিসকে ছুরি মেরে হত্যা করে। এটা সত্য ঘটনা। এই ঘটনাটা মাথায় রেখে গল্প লিখতে বসেছিলাম। কদম আলীর অংশটুকো লিখে কিছুদিন অপেক্ষা করেছি। তারপর মাঝখানে দুজন বাম রাজনীতি করা ছেলেকে কদমের রিক্সায় উঠিয়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম গল্পকে শ্রেণী সংগ্রাম টাইপ কোন মেটাফোরে ফেলে দেব! কিন্তু লিখতে বোর লাগছিল। তাই সে দুজনকে রিক্সা থেকে নামিয়ে আফ্রোদিতি নামক এক সিরিয়াল কিলারকে রিক্সায় বসিয়ে দিলাম। তারপর গল্প লিখে আমিও মজা পেয়েছি।

ধন্যবাদ আপনাকে। শুভরাত্রি। :)

১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



টুকরো টুকরো কাপড় থেকে নিজ চেস্টায় নকসী-কাঁথা সেলাতে বসবো?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

জেন রসি বলেছেন: আপনি কি করবেন সেটা আমি কিভাবে বলব? সেটা আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে!

শুভরাত্রি। :)

১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: গল্পটা পড়ে বহুদিনের পুরনো অনুভূতি যেন ফেরত পেলাম। আপনার শেষ কয়েকটা গল্পে একই ব্যাপার ঘুরেফিরে আসছিল। এইটাতে সেটা হয়নাই দেখে দারুণ অানন্দ লাগছে! :)

চাঁদগাজী বলেছেন:


টুকরো টুকরো কাপড় থেকে নিজ চেস্টায় নকসী-কাঁথা সেলাতে বসবো?


এত্থেকে ধারণা করলাম উনার কাছে অবিচ্ছিন্ন মনে হয়নি!!!! পুরোটা মন নিয়ে পড়তে বসলে মোটেও কিন্তু সেরকম মনে হবে না।


আফ্রোদিতির নামটা দেয়াতে শায়মা'পুর খারাপ লাগছে! :D কিন্তু আমার কাছে যুৎসই-ই মনে হচ্ছে! B-))

তবে, নেক্সট একটা রোমান্টিক থ্রিলার আপনার কাছ থেকে চাই! :P





০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২১

জেন রসি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। আমার শেষ কয়েকটা গল্পে একই ব্যাপার ঘুরে ফিরে আসছিল। রাজনীতি এবং ধর্ম। শুধু গল্প না, অন্যান্য লেখার বিষয়বস্তুও সেটা ছিল। :P তার অবশ্য একটা কারন আছে। আমি সেসব নিয়ে স্টাডি করছিলাম। কিছু ব্যাপার বুঝতে চাচ্ছিলাম। আমার লেখাতেও কিছু ভাবনা উঠে এসেছে।

এ গল্পটা পড়ে আনন্দ পেয়েছেন জেনে আমিও আনন্দ পেলাম। :) আপনি যেহেতু বলেছেন, রোমান্টিক থ্রিলার লেখার চেষ্টা করা যেতে পারে! :P

শায়মা আপু আফ্রোদিতির ভক্ত এটা আমি জানতাম না! ;)

১২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




এই গল্পটা এবং আপনার এর আগের গল্পগুলো পড়ে মনে হয়েছিলো টুকরা-টাকরা করে ভেঙে ভেঙে গল্প লেখাটা আপনার একটা অবসেশান হয়ে দাঁড়িয়েছে , সেটাই মন্তব্যে লিখবো । ওমা... দেখি যে, আমার আগেই ব্লগার " পুলহ " তেমন কিছু বলে ফেলেছেন । তার মানে এই , আপনার গল্পের মতোই আমাদের মন্তব্যের ইচ্ছেগুলোও কারো না কারো মাঝে সংক্রমিত হচ্ছে । আমরা সন্মোহিত হয়ে পড়ছি একে অন্যের দ্বারা আমাদের অজান্তেই। আপনি বেলায়েত হোসেনের মতো এইকরম আমাদেরকে নিয়েও অন্যরকম একটা জুয়া খেলা খেলতে পারেন ................ B:-/

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

জেন রসি বলেছেন: আমি আসলে আমার নিজের মত করে গল্প বলার একটা ধরন তৈরি করতে চেয়েছিলাম। শুরুটা সাবকনসাসলি হতে পারে! যেমন আমি বাস্তবেও চারপাশের বিচ্ছিন্ন গল্পগুলোকে কোরিলেট করতে পছন্দ করি। তাই গল্প বলা বা লেখার সময়ও সে ব্যাপারটা চলে আসে। পুলহ ভাই খুব চমৎকার একজন অবজার্ভার।

আর একটা ব্যাপার হচ্ছে আমার মাথায় কোন আইডিয়া আসলে সেটাকে গল্পের মত করে লিখে রাখি ব্লগে।

ব্লগে আমরা সবাই একে অপরের দ্বারা কোন না কোন ভাবে সম্মোহিত। :)

ধন্যবাদ জী এস ভাই। আপনার মন্তব্যে আমি সবসময় অনুপ্রানিত হই।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: গল্প পড়লাম। অনেক সময় ব্যয় হয়েছে কিন্তু পড়ার মত টান ছিল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: পুরো গল্পটা পড়লাম এবং আপনার লেখার প্রতি সম্মোহিত হয়ে গেলাম!:)

শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বুঝতেই পারিনি ঘটনা কোন দিকে মেরা নেবে!


লাইক!:)

প্লাস!:)

প্রিয়তে!:)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

জেন রসি বলেছেন: হা হা অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। :)


১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার গল্প। গতকাল অর্ধেকটা পড়েছিলাম। আজ শেষ করলাম। আপনার গল্পের একটা ব্যতিক্রমী প্যাটার্ন গড়ে উঠছে বলে মনে হয়েছে। টুকরো টুকরো ছবি জোড়া দিয়ে একটা পূর্নায়বব গল্পের ফ্রেম খাড়া করেছেন। ভালো লাগলো পড়ে।

ধন্যবাদ ভাই জেন রসি।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই। এক গল্প থেকে আরেক গল্পে চলে যাওয়ার একটা মজা আছে। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। :)


১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: অত্যন্ত সারল্য বিদ্যমান। ভাল লেগেছে। গল্পটা আফ্রোদিতি কি দিয়ে বলালে মনে হয় আরেকটু জমতে পারতো। (নিজস্ব মতামত)।
টুইস্ট মোটামুটি ধরতে পেরেসিলাম যে এরকম একটা কিছু হতে যাচ্ছে। এতে আপনার অপরাগ হওয়ার কিছু নাই! ;) আফ্রোদিতি আমার পরিচিত কিনা! :-P

শুভ কামনা।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

জেন রসি বলেছেন: হাহা আপনি গল্পের ডার্ক ভারসন পছন্দ করেন। আমি অবশ্য আলো আঁধারের মিক্সচার বেশী লাইক করি।

আফ্রোদিতির মুখ দিয়ে গল্প বলালে সেই আমাকে নিয়ন্ত্রন করা শুরু করত! তাই সে রিক্স নেইনি। :`>

ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)


১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্প পাঠে একটু নিরব চিন্তার প্রয়োজন হয়েছে কোথা থেকে কোথায় যাব শেষটা কি হবে, আকাঙ্খাইতো গল্প। ভাল লাগল ভাই।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা। :)

১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

নীলপরি বলেছেন: আবারো আরেকটা অনবদ্য কাহিনী পড়লাম । খুব ভালো লাগলো ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা। :)

১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

জুন বলেছেন: আপনার টুকরো গল্পে অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো জেন রসি।
+

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু। শুভকামনা রইলো।

২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কিছু মজা নেন। এই দেখেনঃ-

https://www.youtube.com/watch?v=7OcldMG932o
মজার

https://www.youtube.com/watch?v=lO_OLwLpG7g
এটা ডিফরেন্ট কিন্তু সাংঘাতিক!!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৩

জেন রসি বলেছেন: সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ট্রাম্পকে নিয়ে অনেক রকম কন্সপিরেসি থিয়োরি টাইপ ডকুমেন্টারি তৈরি করা হচ্ছে। কোথাও দেখানো হচ্ছে সে উগ্র খ্রিস্টান। আবার কোথাও কোথাও ব্যাখ্যা করা হচ্ছে সে শয়তানের প্রতিনিধি! খুব ফানি!

২১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ট্রাম্পকে যে যার মত করে ভাববে! যাক, আপনার গল্পের প্রাসংগিতা ভঙ্গ করে অলরেডি একটা অন্যায় করে ফেলেছি! ;) ;)

আর করতে চাচ্ছি না। :P

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৩

জেন রসি বলেছেন: আমার গল্প গল্পের জায়গায় আছে। আপনি মন্তব্যের ঘরে এসে ভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতেই পারেন। এতে আমি কোন সমস্যা বা অন্যায় দেখিনা। পোস্টের বিষয়ের বাইরে কথা বলা যাবেনা এমন কোন কথা নেই। আমরা আসলে ব্লগে বিভিন্ন রকমের গল্প বলতে এবং শুনতে আসি। সো অন্তত আমার যেকোন পোস্টে যেকোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। নো প্রোব।


২২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্লগের এই গতির কারণে আসলে ব্লগিং করার মুরোদই কমে যায়। মাঝে মাঝেই খুব ইচ্ছে হয়- বগল বাজিয়ে বলগাতে!!!!!!! কিন্তু এই বাঁধার কারণে পারি না। তা না হলে (কটমট ইমো হবে) দেখিয়ে দিতাম ব্লগিং কারে কয়! B-))

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৭

জেন রসি বলেছেন: ব্লগের গতি বেড়েছে। আগের মত স্লো না। আপনি ব্লগিং কারে কয় দেখিয়ে দিলে ব্লগ আরো সমৃদ্ধ হবে। আমরাও হব। কারন আপনি ভালো কনটেন্ট লিখতে পারেন। :)


২৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হ্যাঁ, এই কারণেই তো এই মেসেজটা এসেছে-

Hi,

Somewhereinblog (http://www.Somewhereinblog.net) is back UP (HTTP 200 - OK) (It was down for 2 hours, 0 minutes and 42 seconds).

:-<

এখন বলেন!

আরেকটা ব্যাপার- ফেবুতে নেই কেন!!!!! :||

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৩

জেন রসি বলেছেন: আমি অবশ্য ব্লগে অ্যাকটিভ হয়েছি দুএকদিন হলো। একয়দিনে কোন সমস্যা করেনি। ;) ফেবু বোরিং( ক্ষনস্থায়ী) ! তাই ফেবু আপাতত বন্ধ আছে। বরং ব্লগের একটা আলাদা চার্ম আছে।


২৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এখন তো ঠিক আছে অবশ্যই! কিন্তু আমার এবং শায়মা আপুর পোস্ট দেবার পরই দেখলাম স্লো হয়ে গেল! ব্যাপারটা নিয়ে কেউ কিছু বলছেও না। এই মুহুর্তে ত্লগর ব্লগর লিখার ট্রাই করছি!! সেখানে দেখি এটাকে...। ;)

ফেবু আইডি আমারও বন্ধ ছিল। কিন্তু খোলা রাখতেই হলো পরিস্থিতির চাপে পড়ে! এটা আসলেই সময় নষ্টের একটা মেশিন!!


আফ্রোদিতির অবমাননা করায় শায়মাপুর রাগ কমেনি মনে হয়! =p~

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০৮

জেন রসি বলেছেন: আফ্রোদিতির সাথে শায়মা আপু আংশিক পরিচিত। তাই আংশিক সত্য জানে। ;)

২৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আশা করছি এই রিপ্লাইটা উনার চোখে পড়বে না! কারণ উনার জাদু দিয়ে আপনাকে ছাই-ভস্ম করে ফেললে সেটা খুব ভয়ানক হবে! :| ;)

আর, নেক্সট থ্রিলারটার জন্য কি কোন প্লট বের করেছেন?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

জেন রসি বলেছেন: আমি জাদু ডিকোড করে সেটা আবার জাদুকরের কাছে পাঠিয়ে দেব। কিছু কোড নতুন করেও লিখে দেব! ;)

বেশ কিছু প্লট মাথায় আছে!

২৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: টানটান উত্তেজনার গল্প।
ভালো লেগেছে এই উত্তেজনাটা। শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছেন। এটা একটা বিরাট সফলতা অপেক্ষাকৃত বড় গল্পের ক্ষেত্রে।
কয়েকটা জিনিস অবশ্য ভাবিয়েছে। যেমন সংলাপের অভাব। সংলাপের মাধ্যমে দুএকটা প্যারা পুরো বুঝিয়ে দিলে ভালো লাগত।
আফ্রোদিতির এমন ক্ষমতা কীকরে অর্জন করলো, সেটার একটা স্পষ্ট ধারনাও দিতে পারতেন।
তবে এটা ছোটগল্প। উপন্যাস নয় বলে, এতো কিছু আশা করাটা হয়তো ঠিক হচ্ছে না।
শেষ হইয়াও হইলো না শেষ, এই ট্রেন্ডটা ধরে রাখতে পেরেছেন। এটা ভালো দিক সাহিত্যের কিনা সেটা পরের ব্যাপার, আমার ভাল লেগেছে

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২০

জেন রসি বলেছেন: ব্লগে গল্প লেখার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমি সধারনত ব্লগে খুব বড় গল্প পোস্ট করিনা। গল্প ছোট রাখার চেষ্টা করি। তাই কিছু ব্যাপার পরিপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করা হয়না। ব্লগে পোস্ট করা আমার সব গল্পেই এমনটা দেখবেন। তবে একটা চেষ্টা থাকে ছোট পরিসরেই গল্পটা বলে ফেলার।

আর "শেষ হইয়াও হইলো না শেষ" এটা নিয়ে লেখক এবং পাঠকদের মাঝে বিতর্ক আছে। আমার মনে হয় সেটা আসলে নির্ভর করে গল্পের উপর।

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাকে ব্লগে খুব কম দেখা যায়। শুভকামনা।

২৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথমবার সময় অভাবে গল্পটি ততটুকু মনযোগ দিয়ে পড়তে পারিনি । তবে এবার মনযোগ দিয়ে পড়লাম ।
গল্পটির গাথুনী অপুর্ব ও সাহিত্য রসে টই টুম্বুর তা একবাক্যে বলা যায় । তবে সব কিছু ছাড়িয়ে গল্পটির
মাঝে মনে হল ফুটে উঠেছে মানুষের মন ও দেহের সুপ্ত বাসনা পুরণের জন্য একটি প্রায়োগিক গবেষনা ও তার
একটি পরিক্ষন অপুর্ব পর্ব ।

এটা আসলে এখন কোন কল্প কাহিনী নয় , এ বিষয়ে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষন । l Nishant Sharma এর লিখা একটি আর্টিকেলের মধ্যে পাওয়া Mind and its hidden potential সংক্রান্ত কিছু অংশ নীচে তুলে দেয়া হল ।

The universe is like a vast sea of energy waves & the human mind can be compared to a cosmic transceiver (transmitter & receiver) of energies. We are continuously interacting with our environment on a conscious or subconscious level on a energy basis. Within our mind we hold some special abilities which are known as ESP i.e., Extra sensory powers through like Clairvoyance, Telepathy, Remote viewing, clairaudience etc. As each of senses have a limited spectrum through which they can exchange information so if we know how to use these ESP we can gain access to hidden knowledge which is beyond the range of five senses. Some of the powers/abilities are:

Clairvoyance (clear vision) - Seeing far away scenes and places or hidden things, without using the physical eyes. Clairvoyance enables one to perceive scenes and mental images with the mind's eye.

Clairaudience (clear hearing) - Perceiving sounds or words from a distant or from other realms. Clairaudience enables one to hear words and sounds not perceived by the physical ears.

Clairempathy (clear emotion) - Sensing the attitude or emotions of another person.

Psychometry - Perceiving information about a person, place or an object, by holding in one's hands an object belonging to the person or place. In Psychometry one usually holds some small personal object such as a watch, ring, key or other personal object.

Psychokinesis - The ability to move objects through the powers of the mind.

Intuition - Perceiving an idea, knowledge or information directly. This is what is commonly called "a gut feeling". Intuition is some kind of inner knowledge and certainty about something.

Telepathy - Reading other people thoughts and sending them your thoughts.

Mental influence - An advanced kind of telepathy that allows one to influence the minds of other people.

Psychic healing - The ability to cure pains or illnesses by transferring some kind of healing energy.

Auric sight - The ability to see or sense the colours of the aura, and thereby understand certain things about the moods, emotions, thoughts or health of other people. - See more at: Click This Link

এতে মনে হল শুধু গল্প কাহিনীতেই নয়, বাস্তবেও কোন কিছু করার জন্য অন্যকে দিয়েও নীজের বাসনা অনুযায়ী কাজ করানো সম্ভব ।

ধন্যবাদ এত গুঢ় তত্বমুলক একটি বিষয়কে মনোমুগ্ধকর গল্পের আকারে আমাদের সামনে উপন্থাপনের জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৮

জেন রসি বলেছেন: মন মহাবিশ্বের মতই রহস্যময়। এখনও অনেক কিছুই আনসলভড। তবে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মন নিয়ে গবেষণা মুলত ব্রেন নিয়ে গবেষণা। এখানে বায়োকেমিক্যাল অ্যালগরিদমের ব্যাপার আছে।
মিচিও কাকুর “The Future of the Mind: The Scientific Quest to Understand, Enhance, and Empower the Mind” বইটি পড়া শুরু করেছিলাম। কিছুটা বিজি আছি বলে এখনও শেষ করতে পারিনি। মন নিয়ে আগ্রহ থাকলে পড়ে দেখতে পারেন।
“In science fiction, telepaths often communicate across language barriers, since thoughts are considered to be universal. However, this might not be true. Emotions and feelings may well be nonverbal and universal, so that one could telepathically send them to anyone, but rational thinking is so closely tied to language that it is very unlikely that complex thoughts could be sent across language barriers. Words will still be sent telepathically in their original language.”
Michio kaku
একজন মানুষ যখন আরেকজন মানুষকে প্রভাবিত করে তখন সেখানে ভাষার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা থাকে। ইতিহাসে আমরা দেখেছি অনেক নেতা কিংবা ধর্ম প্রচারকের কথা শুনে মানুষ জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করে দিত। এখনও দেয়। এটাকে আপনি সম্মোহন বলতে পারেন। যেমন ধরুন একাত্তরে অনেকেরই ইচ্ছা ছিল যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার। কিন্তু যখন তারা ৭ ই মার্চের ভাষণ শুনল তাদের সে ইচ্ছাটা অনেক বেশী তীব্র হয়ে গিয়েছিল। একজন মানুষের ইচ্ছাকে আরেকজন মানুষ নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এটা অলৌকিক কোন ক্ষমতার ব্যাপার না। তবে কিভাবে সেটা হয় তা জানার জন্যই আসলে ব্রেন নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।

আপনার পোস্টের মত আপনার মন্তব্যগুলোতেও গবেষণাধর্মী মনের ছাপ রেখে যান। যা বিভিন্ন ভাবে আমাদের সমৃদ্ধ করে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি এখনও মেরুজ্যোতি নিয়ে আছি। বুঝার চেষ্টা করছি। :)

২৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে কথা বলেছেন । Michio Kaku রচিত The Future of the Mind এর উপর অনেক দিন আগে Jerome Kagan এর একটি রিভিউ পাঠ করেছিলাম । খুটি নাটি সব মনে নাই । আপনার প্রতি মন্তব্যে বিষয়গুলি আবার মনে পড়ছে । মুল বইটি পড়ার জন্য উৎসাহ বোধ করছি ।

প্রতিমন্তব্যে প্রিত হয়েছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৩

জেন রসি বলেছেন: মন নিয়ে আমার আগ্রহ আছে। তবে ফিকশনের সাথে বিজ্ঞানের খুব বেশী গ্যাপ না রাখার চেষ্টা করি। যদিও কল্পনা ভা ভাবনা থেকেও বিজ্ঞান অনুপ্রানিত হয়। যেমন ভবিষ্যতের মানুষের মন অনেক শক্তিশালী হবে। বায়োটেকনোলজি নিয়ে খুব গবেষণা হচ্ছে এখন।

২৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
গল্প পড়ে ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ ভাই । B-)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৩০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। এবং আপনার গল্পের সবচেয়ে সঠিক মূল্যায়ন চাঁদগাজী করেছেন। আপনি কেন সেটা ধরতে পারলেন না কিংবা প্রতিমন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করলেন বুঝলাম না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি চাঁদগাজী ভাইকে পছন্দ করি। আমি তার মন্তব্যে বিরক্ত হইনি। তিনি খুব চমৎকার মূল্যায়ন করেছেন। তবে তিনি যেহেতু প্রশ্ন করেছেন তাই আমিও ওনার মত মজা করে উত্তর দিতে চেয়েছিলাম। সেখানে কোন বিরক্তি ছিলনা। :)

শুভকামনা।


৩১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: টানটান উত্তেজনায় এক নিঃশ্বাসে গল্পটি পড়ে শেষ করলাম সেই সাথে কমেন্টগুলোও :D আপনার লেখার স্ট্যাইল সত্যিই দারুণ।
আফ্রোদিতি সাধারণ মানুষকে সহজেই সম্মোহন করলেও সাইকিয়াট্রিস্ট সে নিজেই সম্মোহিত হয়ে গেছে। =p~
মানুষকে সম্মোহন করার মাধ্যমে অনেক অসাধ্য সাধণ করা যায়, প্রতিটি মানুষই প্রতিনিয়ত কাউকে না কাউকে সম্মোহিত করছে এবং অন্যের দ্বারা সে নিজেও সম্মোহিত হচ্ছে আসলে পুরোটাই এক মনোস্তিত্বিক গেম আর জেন রসি ভাই এই খেলায় দারুণ এক্সপার্ট মনে হচ্ছে ;) । চালিয়ে যান আছি আপনার সাথে।

আর হ্যাঁ, যেহেতু সম্মোহন মনোবিজ্ঞানেরই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ তাই একে অস্বীকার করার উপায় নেই, কিন্তু টেলিপ‌্যাথি সাইন্স বা এ জাতীয় যত সাইন্স নামক অপ সাইন্স আছে এগুলো বিশ্বাস করার কোন করাণই নেই কারণ এগুলা মোটেও বিজ্ঞান নয় এগুলা হচ্ছে বিজ্ঞান নামক অপবিজ্ঞান Nishant Sharma এর লেখার মধ্যে এমন অপবিজ্ঞানে ভরপুর যদিও তা দেখতে অনেক জ্ঞান গর্ভ বৈজ্ঞানিক কথা বার্তা মনে হচ্ছে। আসলে কথা হচ্ছে Nishant Sharma মনোবিজ্ঞানেরই বিভিন্ন ভুল ব্যাখ্যা বা বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনের নাম করে নানা গুজামিল দিয়ে চটকদার কিছু লেখা লিখে বই বিক্রি শুরু করেছেন যা মানুষ খুব দ্রুত লুফে নেয়। দিন দিন জ্ঞান বিজ্ঞানের যত প্রসার হচ্ছে অপবিজ্ঞানও তত বিস্তার লাভ করছে। অপবিজ্ঞানীরা মূলত জ্ঞানী সাজে, কারণ জ্ঞানী সাজা অনেক সহজ,টু-পাইস কামানো যায় এবং দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া যায়। অপবিজ্ঞানীরা তাদের সূচতুর লেখনী/বক্তব্য, আকর্ষণীয় কভার পেজ, এবং নানা গোজাঁমিলের মাধ্যমে মানুষকে দারুণভাবে সম্মোহিত করে রাখে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অপবিজ্ঞানের প্রতি রয়েছে মানুষের দুর্বার আকর্ষণ। :-P

সরি ডঃ এম এ আলী ভাই, Nishant Sharma এর নিম্নের এই লেখাগুলোর উপর ভিত্তি করে উনাকে অপবিজ্ঞানীর খেতাব দিলাম আশা করি মাইন্ড করবেন না। :)
Clairvoyance (clear vision), Clairaudience (clear hearing), Clairempathy (clear emotion), Psychometry,
Psychokinesis - The ability to move objects through the powers of the mind ) =p~ , Intuition, Telepathy - Reading other people thoughts and sending them your thoughts. :P ,
Mental influence,Psychic healing,Auric sight.
শুভ রাত্রি, সরি শুভ সকাল। !:#P

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

জেন রসি বলেছেন: মহাসমন্বয় ভাই, আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। যুক্তির ধার একটুও কমেনি। আমি ভেবেছিলাম আপনি হতাশ হয়ে ধ্যান করতে চলে গিয়েছেন। ;)

সাইন্স ফিকশন এবং সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে কিছু কল্পনার ব্যাপার থাকে। সেটাকে কাল্পনিক বিজ্ঞানও বলা যেতে পারে। এভাবেও বলা যেতে পারে যে লেখক বিজ্ঞানকে নিয়ে এভাবে ভেবেছেন। তবে বিজ্ঞানও মানুষের কল্পনা দ্বারা প্রভাবিত হয়। কিন্তু গবেষনার প্রমানের আগ পর্যন্ত কোন কিছুই বৈজ্ঞানিক সত্য নয়। সেটা কল্পবিজ্ঞান, ধারনা, হতে পারে। টেলিপ্যাথি কিংবা ইএসপিও তেমন। এসব এখনও কল্পবিজ্ঞান। তবে বিজ্ঞানীরা ব্রেন নিয়ে গবেষনা করে বলছে উন্নত টেকনোলজীর সাহায্যে ভবিষ্যতে মানুষ এসব ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

আর একজন মানুষ অনেক ভাবেই আরেকজন মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। এম এ আলী ভাইকে যেমন বলেছি, ভাষা সেখানে খুব গুরত্বপূর্ন একটা মাধ্যম। অনেক সময় একজন মানুষের অল্প কিছু কথা শুনেই মুগ্ধ হয়ে যাই। কারন তার বলার ধরনটা চার্মিং। আবার গল্প পড়েও মানুষ প্রভাবিত হয়। যেমন ধরুন হূমায়ুন আহমেদের হিমু পড়ে অনেকেই হিমু হতে চায়। এখন আমরা কি বলব লেখকের অলৌকিক ক্ষমতা আছে? সেটা বলবনা। আমরা বলব তিনি একজন চমৎকার গল্পকার যিনি গল্প বলে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারতেন। অনেক পলিটিক্যাল নেতা এবং ধর্মপ্রচারকদের মাঝেও এমন ক্ষমতা ছিল এবং আছে।

ধন্যবাদ মহাসমন্বয় ভাই। :)


৩২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১১

মহা সমন্বয় বলেছেন: আফ্রোদিতি সাধারণ মানুষকে সহজেই সম্মোহন করলেও সাইকিয়াট্রিস্ট সে নিজেই সম্মোহিত হয়ে গেছে।[/su

আসলে হবে- আফ্রোদিতি সাধারণ মানুষকে সহজেই সম্মোহন করলেও সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গিয়ে সে নিজেই সম্মোহিত হয়ে গেছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১২

জেন রসি বলেছেন: কারন সে নিজেই সেটা হতে চেয়েছিল। সে চেয়েছিল কেউ তাকে কনভিন্স করুক।


৩৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে দুনিয়াবী কিছু ঝামেলার কারণে ঠিকমত লেখালেখি করতে পারছি না তবে আমি মোটেও হতাশা নই, বর্তমানে আমার অবস্থান আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্ত। ইদানিং ভার্চুয়াল জগতে খুব একটা সময় দিচ্ছি না আর ভার্চুয়াল জগতের চেয়ে বাস্তব জগত থেকে অনেক বেশী কিছু শেখা যায়।
ফিরে আসব খুব শিঘ্রই। :)
শুভ কামনা থাকবে সবসময়। !:#P

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

জেন রসি বলেছেন: আপনি বই লিখে ফেলুন। আর ভার্চুয়াল জগতে অহেতুক সময় নষ্ট হয়। ফোকাস সরে যায়। তার চেয়ে কিছু শেখা বা কিছু সম্পর্কে আরো গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করা যেতে পারে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

৩৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

শায়মা বলেছেন: জিনিভাইয়া আর গেমুভাইয়া তোমরা কি বলছো আমি কিন্তু সবই দেখছি! X((

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

জেন রসি বলেছেন: আমি কিছু বলি নাই!

সব গেম ভাই আর আফ্রোদিতির দোষ! :P

আমি ভালো মানুষ! সডুকু খেলি! ;)

৩৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে সডুকু মডুকু যা খুশি তাই খেলো শুধু একজন সুমো পাঠিয়ে দিচ্ছি!

তার সাথে খেলতে বসো!!!!!!!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

জেন রসি বলেছেন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান আমেরিকাকে এই টাইপ হুমকি দিয়েছিল! কিন্তু এক পারমানবিক বোমাতেই সব শেষ! তারপর থেকে জাপানও বুঝেছে সুমো নয় সডুকু দিয়েই বিশ্বজয় করতে হবে!

কিছু বুঝলেন? ;) :P

৩৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শায়মা আপু, সুমো না পাঠিয়ে একটা এঞ্জেল পাঠিয়ে দাও জিনি ভাই এইটা সামলাতে হিমশিম খাবে! ;) ;) ;)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জেন রসি বলেছেন: নো প্রোব! এন্টি ভাইরাস আছে না? ;) ;) ;)

৩৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্যাকটেরিয়া কিন্তু ভাইরাস এর জেনেটিক কোড সেভ করে রেখে দেয়! তাই সাবধান! এন্টি ভাইরাস নিয়ে খেলা আর সাপের সাথে লুকোচুরি খেলা একই ব্যাপার!! B-))

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জেন রসি বলেছেন: আমি এন্টি ভাইরাস নিয়ে খেলব না! আমি খেলব ভাইরাস নিয়ে! এন্টিভাইরাস দিয়ে! ;)

৩৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

শায়মা বলেছেন: ওলে এন্টিভাইরাস তোমার দিকে ঘুরে যেতে পারে জিনুভাইয়ু!!!!!!!!!

হাজার হোক এঞ্জেলদের ছলকলা!!!!!!


০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০০

জেন রসি বলেছেন: ছলাকলা ডিকোড করে ফেলব! ;)

৩৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

শায়মা বলেছেন: আর গেমু এঞ্জেলরা ব্যাকটেরিয়াদের চাইতেও ভয়ানক!!!!!!
ভুই পাইসি!!!!!!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০২

জেন রসি বলেছেন: সব কিছুই কোন না কোন কিছুর জন্য ভয়ানক! ;)

৪০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প খুব ভালো লাগল।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। :)

৪১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বি ( ;( ) টাইপ এঞ্জেলসদের মধ্যে থেকে যেকোন একটা পাঠিয়ে দিলেই খেল খতম! আপুনি, ঐ টাইপ থেকে একটা পাঠিয়ে দাও, সে এন্টি ভাইরাসকে বাদর নাঁচ নাচাবে! হ্যাঁ!!!!!!!! :-B

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৮

জেন রসি বলেছেন: আমি কিন্তু এই হুমকিতে ভয় পাই নাই! এক গ্রহে মহামারি শুরু হলে অন্য গ্রহে চলে যাব! ;)

৪২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বি মানে ট্রাম্প টাইপ!! ;) ;) ;)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৪

জেন রসি বলেছেন: ট্রাম্প বাচ্চা মানুষ! ;) ;) ;)

৪৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৪

সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: অসাধারণ গল্প লিখেছেন। পড়ে খুব ভাল লাগল।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা।

৪৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ট্রাম্প কিন্তু ধড়িবাজ মানুষ! ওর আরেক রুপ দেখলে কিন্তু আমি দায়ী নই!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫২

জেন রসি বলেছেন: শুধু কি সে একাই বহুরূপী? আমরাও বহুরূপী! বাকিটা নিউটনের তৃতীয় সূত্র! ;) ;)

৪৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার লেখাগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে!! উপদেশ পরামর্শ থেকে থাকলে সাহায্য করুন

বিস্তারিত

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

জেন রসি বলেছেন: আপনার পোস্টে মন্তব্য করেছি।


৪৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারন একটি গল্প পড়লাম।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। :)


৪৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক বড় তৃষ্ণা। কিছু পড়েছি। ভালো লেগেছে। বাকিটা পড়বো বলে প্রিয়তে রাখছি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৪৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

যূথচ্যুত বলেছেন: তুখোড়! আপনি প্রায় নিখুঁত গদ্য লেখেন। জমিয়ে হিংসে করার মতো :P

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

জেন রসি বলেছেন: হাহা নিখুঁত গল্প স্বাদহীন হয়। কিছুটা খুঁত থাকা বরং ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে। :)










৪৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

যূথচ্যুত বলেছেন: এজন্যই 'প্রায়' বলা! ;)

স্বাদ অটুট থাকুক।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.