নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিমগ্ন ধ্যানে জেগে থাকার গল্প।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩




ভেজা সকাল। ঠাণ্ডা মুড। শরীরে এবং মনে উত্তাপ নেই। এক কাপ চায়ের তৃষ্ণা আছে। ঘুম ঘুম আলস্য আছে। নূর দুটো সিঙ্গারার অর্ডার দেয়। তারপর, কিছুক্ষন অপেক্ষা! দু একটা ভাবনা খুব হালকা ভাবে একে অপরের সাথে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। করুক। নূর হাই তোলে। অদূরে কোথাও কুকুর ডেকে যাচ্ছে। ডাকুক। দুটো সিঙ্গারা, একটি পেঁয়াজ এবং একটি মরিচ-চলে আসে নূরের কাছে। নূর মরিচে কামড় বসায়। তারপর সিঙ্গারায়! নূর ভেজা সকালটা ঠাণ্ডা মুডে ভোগ করতে শুরু করে। ভোগ থেকে উপভোগ।

দ্বিতীয় সিঙ্গারায় মুখ দেওয়ার আগেই সেটা একজন পাগলের হাতে চলে যায়! হঠাৎ করেই হোটেল ঘরে একজন পাগল ঢুকে যায়! পাগলের চেহারার সাথে কবির সুমনের একটা গানের বেশ মিল খুঁজে পায় নূর! তবে সে ভাবনা তার মাথায় খুব বেশিক্ষণ থাকেনা। কারন তার আরামদায়ক আলস্যে, উপভোগে ভয় প্রবেশ করে! পাগলটা তার সামনে এসে একটা সিঙ্গারা হাতে তুলে নেয়! তার বদলে তার প্লেটে একটা জং ধরা পেরেক রাখে! কি অদ্ভুত বিনিময়!

পাগলটা খাচ্ছে। খাক! নূর চলে যায়। অন্যকোথাও!

2
তুবা ভাবছে। নূরকে নিয়ে। কাল রাতেও ভেবেছিল। ভাবতে ভাবতে একটা শিহরন তার মাঝে খেলা করতে শুরু করেছিল। নূরের ঠোঁটের স্পর্শ সে তার শরীরে অনুভব করছিল। এমনটা তুবার আগেও হয়েছে। অনেকবার। তবে সে ভাবনায় কিংবা অনুভবে নূর ছিলনা। কেউ কেউ ছিল। তারা এখন আর তুবাকে আকর্ষণ করেনা। নূর করে।

আজ নূরের সাথে দেখা হবে। সন্ধ্যায়। আজিমপুর কবরস্থানের চায়ের দোকানগুলোতে নূর বসে থাকে। চা খায়! একের পর এক সিগারেট টানতে থাকে। আর মানুষ দেখে। আজ তুবাও তার সাথে বসে থাকবে। চা খাবে। সিগারেট টানবে আর মানুষ দেখবে। সেখানে নাকি এক পাগলা সাধু বসে থাকে। ফুটপাতে। তার চোখের দিকে তাকালে কবরের শূন্যতা অনুভব করা যায়। নূরের চোখের দিকে তাকালেও কেমন যেন একটা নেশা হয় তুবার। মনে হয় ডুবে যাবে। আজ নূরকে স্পর্শ করবে তুবা। কখনো করেনি। নূরের মাঝে এমন এক নির্লিপ্ততা আছে যা তুবাকে নূরের খুব কাছে যেতে দেয়নি।

তুবার শরীরে এবং মনে কেমন যেন একটা ঝড় হচ্ছে। খুব গোপনে। সব লন্ডভণ্ড করে দিচ্ছে। লুবা থাকলে ঠিকই বুঝে যেত! লুবা! তুবার দুবছরের বড় বোন। আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তুবার সব মনে পড়ে যায়! তুবার লুবাকে মনে পড়ে যায়! ভুলে থাকতে চেয়েছিল। তবু লুবা বারবার ফিরে আসে। কার নেশায় সেদিন লুবাও ঘর ছেড়েছিল। তবে ওরা লুবাকে ছাড়েনি। ওরা কয়েকজন মিলে লুবাকে মেরেই ফেলেছিল। নূর হাত ইশারায় তুবাকে ডাকে! লুবা এসে বারবার সতর্ক করে। তুবা তার ভেতরে প্রবল তৃষ্ণা এবং অবিশ্বাসের আগুন নিয়ে বসে থাকে! একা! প্রবল শীতের ভেতর।


সিগারেট জ্বলছে। নূরের হাতে। ছেলেটাকে ওরা মেরেই ফেলল। না মারলেও পারত। ছেলেটা বিশ্বাস করত ঈশ্বর মৃত। সেও এখন মৃত। নূরের কাছে। সবার কাছে। তবে ওরা বেঁচে আছে। ঈশ্বরের স্মৃতি যাদের মগজে খুনের নেশা তৈরি করেছে। আরো অনেককেই তারা মেরে ফেলেছে। মেরে ফেলবে। নূর একবার মিছিলে গিয়েছিল। কয়েকজনের সাথে। প্রতিবাদ করেছিল। স্লোগান দিয়েছিল। কিন্তু কেউ শুনেনি তাদের কথা। কেন শুনবে? শুনতে বাধ্য না করা হলে কেউ কথা শুনে না! কেউ কথা রাখেনা। নূর এখন কোথাও যায়না। কিছু বলেনা। শুধু মানুষ দেখে। মানুষের গল্প পড়ে। এটাও একরকম ধ্যান। বেঁচে থাকতে ধ্যানমগ্ন হতে হয়। প্রতিটা মানুষই গভীর ধ্যানে মগ্ন।

সিগারেটে শেষ টান দেয় নূর। তারপর ফেলে দেয়। তার ভাবনাগুলোকেও যদি এভাবে টান দিয়ে ফেলে দেওয়া যেত! বেশ হত! আজ রাস্তায় মানুষ কম। শৈত্য প্রবাহ। পুরো শহর যেন শীতে কাঁপছে। নূরও কাঁপছে। আগুনের পাশে বসে থাকতে পারলে ভালো হত। সূর্য আজ পরাজিত। শীতের কাছে। আজ আগুন দরকার। উষ্ণতা দরকার! আজ তুবা আসবে। সন্ধ্যায়। তুবা কী আগুন নাকি জল? তুবার চোখে যখন আগুন ঝরে, নূর তখন জল হয়ে যায়!


লুবা ওকে বিশ্বাস করেছিল। ছেলেটাকে তুবাও চিনত। লুবা ওকে ভালোবেসেছিল। সেসব দিনগুলোতে লুবাকে দেখে ঈর্ষা হত। তুবার। কেমন একটা ঘোরের জগত লুবাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সে জগতের ভেতরটা তুবাকে খুব আকর্ষণ করত। কিন্তু সে ধরতে গেলেই মিলিয়ে যেত! ছেলেটা লুবাকে মেরে ফেলেছিল। একা মারেনি। ওরা কয়েকজন মিলে লুবার সে ঘোরের জগতটাকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল! যেন লুবা একটা খেলনা ছিল। তাদের কাছে। ভেঙ্গেচুরে ওরা কি এমন সুখ পেয়েছিল। তাদের এমন কি অসুখ ছিল! ঈশ্বর মানুষকে কেন এমন অসুখ দিয়ে পাঠালেন! তুবা অনেকবার জানতে চেয়েছে। ঈশ্বরের কাছে। উত্তর পায়নি। কেউ দেয়নি। নূর বলেছিল ওর কাছে কিছু জানতে চেও না। ও জন্ম থেকেই মৃত!

নূরকে নিয়েও খুব ভয় হয় তুবার। যাদের কাছে ঈশ্বর মৃত, তাদের সব মেরে ফেলা হচ্ছে। এদেশে। নূরকে বলেছিল সে। এসব বলনা কাউকে। কোথাও কিছু লেখার দরকার নেই। তোমাকে ওরা মেরে ফেলবে। নূর হেসে বলেছিল, তুমিত মারনি। ঈশ্বর তোমারও খুব প্রিয়! খুব রাগ লেগেছিল তুবার। মায়াও জন্ম নিচ্ছিল। নূরের প্রতি। এলোমেলো চুল। খোঁচাখোঁচা দাড়ি! চোখের নিচে কালি! সারা চেহারায় অযত্নের ছাপ! তুবার খুব মায়া হয়! তুবার অতলে কোথাও ভালোবাসার জন্ম হয়! মনে কিসের যেন হাহাকার! শরীরে তৃষ্ণা! লুবার সে ঘোরের জগতটা এখন তুবার ভেতর। তবে ভয় এবং অবিশ্বাস তুবাকে পাখা মেলে উড়তে দেয়না। নূর কেন তার সব ভয় এবং অবিশ্বাস দূর করে তাকে কাছে টেনে নেয়না? তুবার কান্না পাচ্ছে খুব! সেদিন ঈশ্বর নির্লিপ্ত ছিল। আজ নূরও নির্লিপ্ত!


নূর অপেক্ষা করছে। তুবার জন্য। শীতের ঠাণ্ডা বাতাস যেন অস্থিমজ্জায় কামড় বসাচ্ছে। এমন দিনে মানুষ ঘরে থাকে। চায়ের দোকানে যারা বসে আছে তারা কেউ আড্ডার মুডে নেই। সবার মাঝেই ঘরে ফিরে যাবার তাড়া। এমন দিনে ঘর মানেই আরাম। উষ্ণতার চাদর! নূরেরও ঘর আছে। তবে ঘরে ফেরার তাড়া নেই। সন্ধ্যা নামি নামি করছে। অল্প কিছুক্ষনের মাঝেই নেমে যাবে। তুবাও চলে আসবে। কিছু সময় পরেই। কেন আসবে তুবা? নূরের কাছে কেন আসে তুবা?

তুবাও একটা গল্পের মত! নূর তুবাকে শোনে। পড়ে। তুবার শব্দগুলো মাঝে মাঝে নূরকে কোথায় যেন নিয়ে যায়। এমন এক জগতে, যেখান থেকে আর ফিরে আসতে ইচ্ছে করেনা। কিসের যেন মায়া! বন্ধন! নূরকে আবদ্ধ করে ফেলে। একটা ঘোরের মাঝে। মনে হয় এখান থেকে আর কোনদিন মুক্তি পাবেনা নূর। দেখা হবেনা অন্যভুবন। নূরের খুব দেখার সখ! বুঝার ইচ্ছে। মানুষের মন থকে শুরু করে মহাবিশ্বের ছুটে চলা-সব! বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলে আর হয়না মানুষের! নূর জানে। সে দেখেছে। রবার্ট ফ্রস্টের কবিতার চারটা লাইন নূরের খুব প্রিয়।
The woods are lovely, dark and deep,
But I have promises to keep,
And miles to go before I sleep,
And miles to go before I sleep.

নূর সিগারেট ধরায়। তুবা আসছে। আসুক।


তুবা এবং নূর বসে আছে। মুখোমুখি। দেয়ালের ওপাশেই কবরস্তান। মানুষগুলো কী এক পরম নির্লিপ্ততায় ঘুমিয়ে আছে।
"আমার ঈশ্বর আমাকে উত্তর দিয়েছেন।“ নূরের চোখে চোখ রাখে তুবা!
“ঈশ্বর মৃত। তার ব্যাপারে কোন আগ্রহ নেই আমার।“ নূরের চোখে নির্লিপ্ততা!
“আমি আজ আত্মসমর্পণ করতে এসেছি। আমার সব বিশ্বাস এবং ভালোবাসা নিয়ে। আমি আমার ঈশ্বরকে ভালোবাসি। তোমাকেও। হয় আমাকে মেরে ফেল! ভেঙ্গে ফেলে দাও! নাহয় আমাকে আবার জন্ম দাও। তোমার অনুভবে। তোমার স্পর্শে। ভালোবাসায়!” তুবার গলা একটুও কাঁপেনা। কোথাও কোন অস্পষ্টতা নেই। দ্বিধা নেই। ভয় নেই!

তুবার চোখে জল। তুবার চোখে আগুন। নূর ডুবে যাচ্ছে। পুড়ে যাচ্ছে! সে ঈশ্বরের মত মৃত না! সে জীবিত। সে মানুষ! সে ভালোবাসার জন্য সব কিছু অগ্রাহ্য করতে পারে! নূর পরম মমতায় তুবাকে নিজের বুকের মাঝে ধরে থাকে। তুবা কেঁদেই যাচ্ছে! কেঁদেই যাচ্ছে!

কিছু মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। থাকুক!


শীতের ভেতর কেঁপে ওঠে জীবন্ত মানুষের ঘুম! কয়েকটি মশার শিকারি সঙ্গিতে জেগে ওঠে মস্তিস্কের রঙ্গমঞ্চে ঘটে চলা একটি অদ্ভুত স্বপ্নের অসমাপ্ত অবয়ব। লোকটির ঘুম ভাঙে। স্বপ্ন ভাঙে। কিন্তু শীত কমেনা। শরীরের কাঁপুনি কমেনা। সে উষ্ণতার জন্য চারপাশে তাকায়! উষ্ণতা পায়না। তার ডান পাশে কয়েকজন মানুষ টঙ্গে বসে চা সিগারেট পান করছে। বামপাশে দুজন বৃদ্ধা একজন আরেকজনকে ধরে দুলছে! আর উচ্চস্বরে গান গাচ্ছে।যদিও তা অনেকটা প্রলাপের মতই শোনাচ্ছে। ফুটপাতে বসে থাকা, শুয়ে থাকা, প্রলাপ বকা মানুষগুলো সব প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে!চন্দ্ররাতে নেমে আসা মায়াবী জোছনার প্লাবন শহরের বুকে এক অপার্থিব দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে। যদিও সে মায়াবী জোছনার প্লাবন, অপার্থিব দৃশ্য কিছুই তাদের উষ্ণতা দেয়না।


ছবিঃ Salvador Dalí









মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

শেয়াল বলেছেন: এইরাম লিখবার সখ আছিলো আমারও । কুনদিন যেপারুম 8-|

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

জেন রসি বলেছেন: হুক্কাহুয়া বইলা হুক্কায় টান দেন! কিছু একটা হয়ে যাবে! ;)

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মেঘের মতো, ছিলো, ভেসে চলে গেছে, এখন নেই

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জেন রসি বলেছেন: যা যায়, তা যাক! যতক্ষণ থাকে ততক্ষন থাকাটাই জীবন!

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

শেয়াল বলেছেন: খেকজ =p~

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

জেন রসি বলেছেন: হুক্কাহুয়া =p~

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পরম শূন্যতার আতংকে ভীত আত্মা
জড়িয়ে থাকে বস্তু, মিছে ভরসা ভেবে
বস্তু নিজেও সে পরম শূন্যতারই অংশ
অথৈ সাগরে ভাসা খড়কুটোর মতোই!

এসো অপদার্থ হই। সেই পরমের স্বাদ পেতে
বস্তুর মোহ খাঁচায় থেকে স্বাধীনতা নেই!
স্বাধীনতা ভ্রম: খাঁচাই সত্য- হা হা হা
অট্টহাসি পাগলের! না বুঝে নিত্য এড়িয়েই গেলে!

এসো, সত্যকে দেখি! দেখবে? আছে সাহস?
বুকে বল? ত্যাগের দুর্দম বাসনা! ভরা জোছনায় প্রাসাদ ত্যাগের!
ওমা স্কাই ডাইভ দেবে- বিমানে বসে থেকে??
ছাড় সব প্রচলিত পুথিজ্ঞান- তৃতীয় নজর মেলো । নয় তফাৎ যাও ।

আপনার গল্প পাঠের ফল!!! ;)

গল্পে +++++

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা......

মন্তব্যে প্লাস। :)

তবে Masaoka Shiki এর ভাষায় একটা জবাব দেওয়া যেতে পারে!

Night; and once again,
the while I wait for you, cold wind
turns into rain.


I want to sleep
Swat the flies
Softly, please.


When I turned my head
That traveller I'd just passed...
Melted in the mist.

My life -
How much more of it remains?
The night is brief.


ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই। শুভকামনা রইলো।



৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: একের পর এক নতুন চরিত্রের পরিচয় করিয়ে দেয়া!!!

ভাবনার জালগুলো বিস্তৃত হতে হতে শেষে আবার এক জায়গায় গিয়ে মিশে যাওয়া! এইতো আপনার গল্পও! আজও ঠিক এরকমই একটা গল্প লিখলেন !

আপনার সৃজনশীলতাকে আমি অবশ্যই প্রণাম করি। তবে ম্যাসেজটাকে স্বীকার করে নিতে পারলাম না!

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জেন রসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিলিয়ার ভাই। :)

তবে আমি কোন ম্যাসেজ দেইনি। আমি গল্প লিখেছি বা বলতে চেয়েছি। একটা গল্প অনেক ভাবে বলা যায়। আমি আমার মত করে এভাবে বললাম আরকি!

শুভকামনা রইলো। :)

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




আরও অনেক মাইল পথ যেতে হবে তুবার কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে যাবার শেষ-অংকটুকু দেখতে । দুজন বৃদ্ধা একজন আরেকজনকে ধরে দোলার মতো ততোক্ষন না হয় নূরও তুবাকে বুকে জড়িয়ে দুলতে থাকুক মাইলের পরে মাইল সময় ধরে । তুবার চোখের কোন থেকে এঁকেবেঁকে বয়ে যাওয়া অশ্রু রেখাগুলো যতোক্ষন না ঠোটের প্রান্তে এসে শেষ হয় ।
যদিও এই অপার্থিব দৃশ্যের কিছুই প্রলাপ বকা মানুষগুলোকে উষ্ণতা দেবেনা মোটেও । তবুও তারা জেগে থাক ঘুম আসার আগ পর্যন্ত ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

জেন রসি বলেছেন: মানুষ বড় অদ্ভুত। সে ভেঙ্গে যায়! সুখ কিংবা অসুখে তলিয়ে যায়। মুহূর্তে পাল্টে ফেলে গত মুহূর্তের স্বপ্ন। মানুষ, প্রতিটা মুহূর্তেই নতুন মানুষ। তবু সে পরাজিত হয়না সহজে।

আপনার মন্তব্যটাই একটা চমৎকার গল্প হয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। ভালো থাকুন সবসময়। :)

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

শায়মা বলেছেন: ওহ জানতাম না তুমি সেই আজিমপুর কবরস্থানের নুর!!!!!!!


তুবার কথাও জানতাম না ভাইয়া!!!!!!


তবে আজ জেনে ভালো লাগলো আড় তুবাকে লুবার মত মরতে হয়নি নিশ্চয়!!!!!!!!!! :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

জেন রসি বলেছেন: আমি লেখক জেন রসি! আমি নূর হতে যাব কোন দুঃখে। নূর এবং তুবা দুজনেই আমার সৃষ্টি করা চরিত্র। তবে সব গল্পেই কিছু সত্য মেশানো থাকে। আজিমপুরে চা খাওয়ার অভ্যাস আমার ছিল। আর প্রবল শীতে ফুটপাতে বসে থাকা মানুষকেও আমি কাঁপতে দেখেছি। এই পর্যন্তই! বাকিটা গল্প!

সুতরাং নো হাবিজাবি মনে করাকরি! ;)

দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে আমার গল্প যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে নূর তুবাকে পরম মমতায় ধরে রেখেছে। তারপর কি হয়েছে সেটা জানতে হলে আরেকটা গল্প লিখে ফেলতে হবে!

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৪

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে বুঝলাম !!!!!!!!! আজিমপুরের চা খাওয়া আর শীতে কাঁপা মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই.......

তবে শেষ হইয়াও হইলো না শেষ তুবা, নুর পরম মমতায় ধরে রাখলো তাহাতে তো তাহাদের শীত কমিতে পারে......শীতে কাঁপা মানুষগুলোর কি হবে? বরং কিছু কম্বল কিনে দিলেও তো উপকার হত! :(

এক কাজ করো, পরের গল্প লিখে ফেলো। কম্বল কিনতে ভুলোান যেন!

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১২

জেন রসি বলেছেন: হাহাহাহা

শীতে কাঁপা মানুষদের সাথে আমার পার্থক্য হচ্ছে আমার একটা কম্বল আছে! তবে আমার দৌড় এই পর্যন্তই! তবে যাদের দৌড়াবার ক্ষমতা আছে তারা উপরেই ওঠে! নিচে আর নামেনা। ;)

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৬

শায়মা বলেছেন: তাইলে নুরকে দিয়ে এক কাজ করাও ভুলিয়ে ভালিয়ে তুবাকে দিয়েই যত পারো লেপ কম্বল কেনাও!!!!!! :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩০

জেন রসি বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহা

সেটাই করাতে হবে মনে হচ্ছে। :P

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: যে কোন লেখায় লেখকের ব্যাখ্যা ও দৃষ্টি ভঙ্গিটাই আসল!

আমি যদিও একটা প্রচ্ছন্ন ম্যাসেজ পেয়েছিলাম তবুও আপনার প্রতি উত্তর পেয়ে ধরে নিলাম যে আমার বোঝায় ভুল হয়েছে! তাই আমি আমার অবস্থান থেকে সরে আসলাম!:)


আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো!:)

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

জেন রসি বলেছেন: একটা গল্প অনেকেই অনেক ভাবে বুঝবে। এটাই স্বাভাবিক। একজন মানুষের ভেতরেই অনেক মানুষ বাস করে! গল্পও তেমন। গল্পের ভেতরে অনেক রকম গল্প থাকে।

অনেক ধন্যবাদ বিলিয়ার ভাই। শুভকামনা রইলো। :)

১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

নীলপরি বলেছেন: প্রথম থেকে শেষ পুরোটাই অসাধারণ । বিশেষ করে ৪নং

++++

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

জেন রসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলপরি আপু।

শুভকামনা রইলো। :)

১২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: গল্পের ভেতরে আপনার ভাবনার জগতকে নিয়ে এসেছিলেন, শুরু থেকেই সেটার শুরু। শেষে নিষ্টুর বাস্তবতার পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে একটা ঝাঁকুনি টের পেলাম।
আজকাল নিজেও নির্লিপ্ত থাকতে চাই, আবার চাইও না! শীত চলে গেছে কিন্তু এই মানুষগুলোর কষ্ট ধ্রুব অবস্থানেই দাঁড়িয়ে আছে।

যাক, আছেন কেমন? :)

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

জেন রসি বলেছেন: ভাবনার অনেকগুলো প্যারালাল জগত থাকে মানুষের ভেতর। সেসব নিয়েই আসলে গল্প হয়!

আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লাস্ট সিকোয়েলের ইল্যুশন চমৎকার লাগলো। আপনার গল্প বলার স্টাইল অসাধারণ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

জেন রসি বলেছেন: আপনার প্রশংসা কিংবা সমালোচনা দুটোই আনন্দ দেয়। অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই। ভালো থাকুন সবসময়। :)

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিমটা সাধারণ, তবে প্রেজেন্টেশন স্টাইলিশ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

জেন রসি বলেছেন: সাধারন থিম চর্চার জন্য সহায়ক। ধন্যবাদ হামা ভাই। :)

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সুমন কর বলেছেন: বাক্যগুলো মোহগ্রস্ত করে দিচ্ছিল। দারুণ লাগল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৬

জুন বলেছেন: সত্যি বলতে কি বেশ কঠিন লাগলো জেন রসি ।
মন্তব্যগুলো পড়েও সব কিছু বুঝে উঠতে অক্ষম ।
এ মনে হয় আমার মগজের গ্রে ম্যাটারের অভাবই বুঝিয়ে দিল :(

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা.......

আপু আপনি ঠিকই আছেন। আমারই মগজের গ্রে ম্যাটার কম। এটা পরীক্ষিত। :P

অনেক ধন্যবাদ জুন আপু। শুভকামনা রইলো। :)

১৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

রাতু০১ বলেছেন: এত মেঘের মাঝে ও রোদ উকি দিচ্ছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)

১৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গল্পটা কযেকবার পড়লাম । আরো পড়তে হবে ।
সাথে করে প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।

ভাবনা কেমন জানি গুলিয়ে যাচ্ছে, তুবা নুবা আর নুরের বিষয়টা
মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে । আশির দশকে সেই শেষবারের মত
আজিমপুর গিয়েছিলাম চায়না বিল্ডিংএ , কেন গিয়েছিলাম
সেটাইতো মনে করতে পারছিনা , তবে মনে পড়ে সেটা কোন
এক নারী ঘটিতই ছিল । আপনার গল্পটা আরো কয়েকবার
পরে চেষ্টা করে দেখব হারানো সুত্রটা খুঁজে পাও যায কি করে।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই। কিছুটা বিজি থাকায় ব্লগে সময় দিতে পারছিনা। তাই প্রতিউত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল। ভালো থাকবেন সবসময়।

১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমিও ভালো। :)

আপনার প্রিপারেশনের ধান্ধা সার্থক হোক! ;) ঠাঁই হোক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই কামনা করছি। :) :)

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

জেন রসি বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহা :P

আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো। :)

২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা। :)

২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
গল্প ভালো লাগলো ..... ভাই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

২২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়ু.......
একটা প্রিয় কবিতা শোনো.......

হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে,
মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না
এক কে করি দুই৷

হেমের মাঝে শুই না যবে,
প্রেমের মাঝে শুই
তুই কেমন করে যাবি?
পা বাড়ালেই পায়ের ছায়া
আমাকেই তুই পাবি৷
তবুও তুই বলিস যদি যাই,
দেখবি তোর সমুখে পথ নাই৷
তখন আমি একটু ছোঁব,
হাত বাড়িয়ে জড়াব তোর
বিদায় দুটি পায়ে,
তুই উঠবি আমার নায়ে,
আমার বৈতরনী নায়ে৷
নায়ের মাঝে বসব বটে,
না-এর মাঝে শোব৷
হাত দিয়েতো ছোঁব না মুখ,
দু:খ দিয়ে ছোঁব৷
তুই কেমন করে যাবি?


:):):)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

জেন রসি বলেছেন: কে যাবে? কোথায় যাবে? কেন যাবে? তার চাইতে বসে বসে দাবা খেলা ভালো। মাঝেমাঝে চায়ের কাপে এক দু চুমক। নির্লিপ্ত চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখা। আর নিজের মাঙ্কি মাইন্ডকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা! দুঃখ অনেকটা ড্রাগের মত। যারা এটা দিতে এবং পেতে পছন্দ করে তারা এতে আসক্ত। দুঃখে তাদের নেশা হয়। আমি এই নেশায় আসক্ত না। ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.