নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একদিন, কিছু মুহূর্তের যোগফল, একজন মানুষ এবং......

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০




দেয়ালে হাঁটতে থাকা একটা টিকটিকির দিকে তাকিয়ে আছে রনক। টিকটিকিটা পোকা শিকারের মতলবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার একটা উদ্দেশ্য আছে। পোকাগুলোও টিকটিকির কবল থেকে মুক্ত হয়ে বাঁচার চেষ্টা করবে। কিন্তু তাদের মধ্যে সবাই বাঁচতে পারবেনা। এটা হচ্ছে একধরনের খেলা। মানুষকেও এমন খেলায় অংশ নিতে হয়। একজন অদৃষ্টবাদীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানুষকে বুঝার চেষ্টা করলে মনে হয় সব মানুষই কোন একটা এক্সটার্নাল ফোর্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই ফোর্সটাও আসলে মানুষের একটা কালেক্টিভ বিশ্বাস ছাড়া আর কিছুই না। এই কালেক্টিভ বিশ্বাসটাকেই আসলে সমাজ, কালচার কিংবা ধর্ম বলা যেতে পারে যা মানুষ নিজেরাই নিজেদের উপর আরোপ করে। মানুষ আসলে নিজেরাই নিজেদের সৃষ্টি করা গল্পের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। গল্পটাই তখন সেই এক্সটার্নাল ফোর্সের মত কাজ করতে থাকে যা মানুষকে একটা নির্দিষ্ট ডেসটিনি কিংবা প্যাটার্নের দিকে ধাবিত করতে থাকে। রনক ভাবছে।

এমন সময়, এমন সব একান্ত দার্শনিক ভাবনার সময় রনক দেখে তার সামনে মীরা দাঁড়িয়ে আছে। পায়েসের বাটি নিয়ে। মীরার খোলা ভেজা চুলে, সিঁথিতে দেওয়া বড় করে সিঁদুড়ের ফোটায় এবং লাল শাড়িতে তাকে ঠিক দেবীর মত লাগছে। রনক মীরার চোখের দিকে তাকায়। তার চোখে হাসি লেগে আছে।সে একজন সুখি মানুষ। অথচ সকালে মেয়েটার চীৎকার এবং কান্নার শব্দ শুনেছিল রনক। জানতে পেরেছিল তার স্বামী তাকে মেরেছে। প্রায়ই নাকি মারে। একবার নাকি মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলেছিল। যদিও সকালের ঘটনার কোন ছাপ তার চেহারায় প্রতিফলিত হচ্ছেনা। মীরা চলে যায়। পায়েস খেতে খেতে রনক অবনীর কথা ভাবে। ভালোবাসা, টাকা পয়সা, সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা কোন কিছুরই অভাব ছিলনা মেয়েটার। তবুও সে সুখি হতে পারেনি। আত্মহত্যা করেছিল এক পূর্ণিমার রাতে।

প্রতিবছর যত মানুষ যুদ্ধে নিহত হয়, তার চেয়ে অনেক বেশী মানুষ মরে আত্মহত্যা করে। ব্যাপারটা এমন না যে মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় আত্মহত্যা করছে। বরং দেখা গেছে যারা আর্থিক কষ্টে থাকে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কম। এই আত্মহত্যা করার পেছনের কারন আসলে আনহ্যাপিনেস। আধুনিক সভ্যতা, বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা মানুষের হাতে অনেকগুলো অপশন তুলে দিয়েছে। একই সাথে যখন অনেক কিছু করার অপশন থাকে তখন মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে যায়। অনেকগুলো পথের মধ্যে একটা পথ তাকে বেছে নিতে হয়। যখন সে একটা পথ দিয়ে হেঁটে যায় তখন একই সাথে অন্য পথগুলোর প্রতি সে একধরনের আকর্ষণ অনুভব করে। তার মধ্যে সৃষ্টি হয় ডিলেমা। অনুশোচনা। যারা শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে পরে তারা আত্মহত্যাকেই মুক্তির একমাত্র পথ মনে করে।

এই প্রসঙ্গে গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে প্রচলিত একটা গল্পের কথা মনে পরে গেল রনকের। যদিও সেটা সত্য না মিথ্যা তা জানা এখন আর সম্ভব না। তবে গল্পটার একটা তাৎপর্য্য আছে।তার জন্মের পর জ্যোতিষীরা বলেছিল এই ছেলেকে আটকে রাখা যাবেনা। তাই তারা রাজাকে পরামর্শ দিয়েছিল সিদ্ধার্থের সব ইচ্ছা যেন পূরণ করা হয়। সে যেন কখনো অসুখি ফিল না করে। রাজা তাই করেছিলেন। কিন্তু আসলে পরামর্শটা ভুল ছিল। কারন সুখি হওয়ার কনসেপ্টের কোন সীমা নেই। মানুষ যখন কোন জিনিস পেয়ে যায় তখন একই সাথে সে তার চাওয়াটাও হারিয়ে ফেলে। এমন করে বুদ্ধের আর চাওয়ার কিংবা পাওয়ার কিছু ছিলনা। তাই সে নিজেও একটা ডিলেমার মধ্যে পরে গিয়েছিল। সে ডিলেমা থেকে বাঁচতে সে নিজের মত করে একটা পথ খুঁজে বের করেছিল। কারন সে থেমে না গিয়ে অনুসন্ধান করেছিল।

অনেক পথের মধ্যে নিজের একটা পথ খুঁজে পাওয়াটাই আসলে জীবনের মজা। অনেক গল্পের মাঝে নিজের একটা গল্প ক্রিয়েট করতে পারাটাই আসল খেলা। যাপিত জীবন একই সাথে সুন্দর এবং অসুন্দর। অসুন্দরকে নির্মোহ ভাবে বিশ্লেষণ করে নিজের মত করে কোন সুন্দর গল্প বিনির্মাণ করাটাই হিউম্যান স্পিরিট।

রনক কি তার মত করে কোন পথ খুঁজে পেয়েছে। নাকি তার অনুসন্ধান এখনো চলছে। অথবা সে থেমে আছে, থেমে গেছে।

রনক কোন পলিটিক্যাল ইজম, দর্শন বা ধর্মীয় মতবাদকে পরম সত্য এবং একমাত্র সমাধান হিসাবে মনে করতে পারেনা। যখনই কোন কিছু দ্বারা সে প্রভাবিত হ্য়, তখনই সে প্রভাবিত হওয়াটাকে সে প্রশ্নবিদ্ধ করতে থাকে। একসময় প্রভাবটা আর থাকেনা। আবার সে বাতিলও করে দেয়না। মানুষ দরকার মত ইজম নিয়ন্ত্রন করবে এই লাইনটাই রনকের কাছে যৌক্তিক। ইজম মানুষকে নিয়ন্ত্রন করবে এই ভাবনার প্যাটার্ন থেকে রনক অনেক আগেই বের হয়ে এসেছে। সে ক্ষেত্রবিশেষে শান্তির পক্ষে। আবার দরকার হলে যুদ্ধেরও পক্ষে(যখন প্রতিপক্ষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সব পথ বন্ধ করে দেয়)। সে ধর্মের তীব্র সমালোচনা করে। আবার মাঝেমাঝে ধর্ম থেকে সমাধানের পথও খুঁজে। সে কম্যুনিজম বা পুঁজিবাদ বা নৈরাজ্যবাদ কোনটাকেই একমাত্র সমাধান বা পারফেক্ট সিস্টেম বলে মনে করেনা। কখন কোনটা কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা আসলে সুনির্দিষ্ট সমস্যার উপর নির্ভর করে। রনক আসলে কোন দিকদিয়েই বিশ্বাসী মানুষ না। মাঝেমঝে নিহিলিজম তার ভেত্র একটা অ্যাবসার্ড অস্তিত্বের জন্ম দেয়। তখন সে আত্মিক শুন্যতার উত্তাল সমুদ্রে একবার ডুবে, একবার ভাসে। মাঝেমাঝে সারভাইভ করে একটা আত্মদর্শন নিয়ে ফিরে আসে। মাঝেমাঝে ডুবে যায়।

ধূপের গন্ধ পাচ্ছে রনক। বাজির শব্দ। উলুধ্বনি। আযানের সুরও ভেসে আসছে। ঝিঝি পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে। তারপরও গভীর এক নির্জনতা ঘিরে আছে চারপাশ। হঠাৎ করে রনকের মনে পরে যায় আজ লক্ষী পুজো। সোশিওপ্যাথের মুখোশ পরে বসে থাকার কিছু সুবিধা আছে। মাঝেমাঝে কোলাহলেও নির্জনতা উপভোগ করা যায়।

রনকের মত আরেকজন আছে। সেও ডুবে আছে নির্জনতায়। একা। উৎসব তাকে স্পর্শ করছেনা। তাকে বারবার এসে বলে যাওয়া হচ্ছে দাদু আজ লক্ষী পুজো। বাবা আজ লক্ষী পুজো। কাকা, জ্যাঠা আজ পুজো। সে গুরুজন। সবাই এসে তার পা ছুঁয়ে প্রণাম করছে। সে নির্লিপ্ত ভাবে তাকিয়ে আছে।


চাঁদ উঠেছে। জোৎস্নার স্পর্শে টের পাচ্ছে রনক। ফেলে রাখা চায়ের কাপে পিপড়াদের উৎসব চলছে। চাঁদের দিকে তাকায়নি রনক। মুখোমুখি বসে থাকা বুড়োটার ঘোলাটে চোখের দিকে তাকিয়ে আছে সে। বুড়োটার দু আঙ্গুলের ফাকে জোনাকি পোকার মত সিগারেট জ্বলছে। হাতটা কাঁপছে।তার নিঃসঙ্গ, অসহায় ঘোলাটে দৃষ্টিতে এক ইতিহাস লেখা আছে। পুঁজিবাদের কাছে সামন্তবাদের পরাজয়ের ইতিহাস।

বুড়োকে একা রেখে রনক পুকুরে মাছ ধরা দেখতে আসে। চারপাশে জোছনার প্লাবন।কেউ ব্যবসায় নিমগ্ন। কেউ শ্রমে। রনক চুপচাপ বসে আছে। বসে বসে মানুষ দেখে সে। অথবা প্রকৃতি।

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

শায়মা বলেছেন: মিঃ রনক! আর তারপর কি গল্পটা লিখিলেন মানে প্রকৃতি দেখিতে দেখিতে! :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

জেন রসি বলেছেন: সে মুহূর্তের গল্প মুহূর্তের ভেতর লুকায়িত আছে। ;)

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুরুটা টিকটিকির শিকার দিয়ে আর শেষটা মাছ ধরা । শুরু যেমন তেমন তবে শেষ টা ভাল হয়েছে ।
মাছ ধরতে আমার খুব ভালো লাগে। মাছতো ব্যাপক অর্থ ব্যবহৃত হয়।

মাছু তুমি সুন্দর
তোমার জন্য আন্দর( মানে আদর) :P

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

জেন রসি বলেছেন: শুনেছি মাছ ধরার সময় আশে পাশে ভুত প্রেতরা ঘুরে বেরায়। সুতরাং মাছ ধরতে সাবধান! কখন নিজেই আবার শিকার হ্য়ে যান! ;)

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"এই প্রসঙ্গে গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে প্রচলিত একটা গল্পের কথা মনে পরে গেল রনকের। যদিও সেটা সত্য না মিথ্যা তা জানা এখন আর সম্ভব না। তবে গল্পটার একটা তাৎপর্য্য আছে।তার জন্মের পর জ্যোতিষীরা বলেছিল এই ছেলেকে আটকে রাখা যাবেনা। তাই তারা রাজাকে পরামর্শ দিয়েছিল সিদ্ধার্থের সব ইচ্ছা যেন পূরণ করা হয়। "

-এসব জ্যোতিষী ইত্যাদির গল্প নিশ্চয় উনাকে অতি-মানব করার গল্ল সংগ্রহের মাঝে একটিই হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এসব মিথ। এটাকে রূপক হিসাবে নেওয়া যেতে পারে।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভালো লাগলো।


ভালো থাকুন সবসময় সবখানে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও ভালো থাকুন সবসময়। :)

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন বলেছেন। আমি নাকি দারুন সুদর্শণ । মাছরা আ্মাকে তাড়া করলে সমস্যা । আমার ভয়েসও নাকি মৎস শিকারী।কি যে করি। আগে জানতাম চোখ ।চোখ নত করলাম। এখন দেখি কথা বলাও বন্ধ করতে হবে।করলাম B-)

বুদ্ধ থেমে গেলে তার দর্শন কিন্তু ফুস মানে ফুসকা হয়ে যেত। :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

জেন রসি বলেছেন: এতক্ষণে বুঝলাম। আপনি নিজেই শিকারি। আবার নিজেই মাছ। নিজেই নিজেকে শিকার করেন! আবার নিজেই পালান! ;)

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি গেলাম পেছন পেছন মাছ চলে আসতে পারে। :P

আমি ধ্যানমগ্ন হলাম ভিক্ষুর মতন । :(

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

জেন রসি বলেছেন: আপনি নিজেই যেহেতু মাছ এবং নিজেই নিজেকে শিকার করেন সেহেতু ধ্যানমগ্ন হয়েও লাভ আছে কিনা সন্দেহ আছে। দেখা যাবে ধ্যানের ভেতরও আপনি নিজেকে নিজে ভাজি করে খেয়ে ফেলছেন! ;)

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

করুণাধারা বলেছেন: অনেককিছু একসাথে মিলিয়ে একটা ঘুঁটা।

টিকটিকি, যুদ্ধ, আত্মহত্যা, মীরা, অবনী, গৌতম বুদ্ধ,ধর্ম, দর্শন, পুঁজিবাদ, ইতিহাস, সামন্তবাদ, বুড়ো, উলুধ্বনি, আজান, সিগারেট - - - -

হারে রে রে রে রে আমায় ছেড়ে দেড়ে দেড়ে!!!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জেন রসি বলেছেন: জগত সংসারটাই একটা ঘুঁটার ফল। তাই তাকে বুঝতে গেলে ঘুঁটা দেওয়া ছাড়া খুব একটা উপায় নাই!

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শায়মা বলেছেন: মুহুর্তের ভেতর মুহুর্ত!!!!!!! তার ভেতরেও মুহুর্ত!!!!!!!! B:-)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

জেন রসি বলেছেন: তার ভেতরেও আছে। মন এবং মহাবিশ্ব। বড়ই রহস্যময়!

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:


বিবিধ্মুখী ভাবনা, অনুভব । তবে আমি এতো কিছু নিয়ে ভাবি না । ক্ষণজন্মা জীবন নিয়ে এতো ভাবতে গেলে মৃত্যুর কথা মনে পড়ে । তাই না ভেবে স্থির হয়ে থাকি, ছুটে চলা মানুষদের দেখি । অতঃপর আমিও কিছুক্ষণ ছুটি !


শেষ প্যার একটা উৎকৃষ্ট অণুগল্প হতে পারে । বুড়োকে বাদ দিয়ে, রনক দিয়ে শুরু করে !

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

জেন রসি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে বরং আমার মনে হয়েছে আপনি অনেক কিছু নিয়েই ভাবনা চিন্তা করেন। মৃত্যু এমন এক বাস্তবতা যাকে ভুলে থাকা সম্ভব না। দেখা, থামা, ছুটে চলা-সব মিলেই মানুষের যাপিত জীবন!

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খুব ভাল লাগলো ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। :)

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই ছোট্ট একটা জীবনে কত কিছুর সাক্ষীই না হতে হয় আমাদের...

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
এবার গল্প সেলিম ভাই বিশ্লেষণ করেছে। :)



সব মিলেয়ে গল্প মন্দ বলতে পারলাম না। :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১০

জেন রসি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: যতোটা গল্প তার চে' অধিক অবজার্ভেশন মনে হইলো। শেষের অংশটা আমায় বেশি টানছে।

মূলত আমি আনন্দ নিয়ে গল্প পড়ি। এবং তার উপাদান খুঁজি। লজিক্যাল ক্লেফট খোঁজা অন্তত গল্পে খোঁজা আমার কাজ নয়।
সেইখান থেকে মন্তব্য করলাম।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪২

জেন রসি বলেছেন: মানুষের অনেক রকম গল্পই থাকে। সে গল্প আবার অনেক রকম ভাবে বলাও যায়। তবে গল্পের ভেতর অবজার্ভেশন, প্রবন্ধ টাইপ ভাবনা চিন্তা ঢুকিয়ে দেওয়ার এক্সপেরিমেন্টও এখন হচ্ছে।

আর আমি যা লেখি তাকে বড়জোড় ড্রাফট বলা যেতে পারে। তা কখনো গল্প, কবিতা বা প্রবন্ধ হয়ে উঠেনা।

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

কাবিল বলেছেন: মাঝেমাঝে কোলাহলেও নির্জনতা উপভোগ করা যায়।
ঠিক বলেছেন।

ভাল লাগল,
ভাল থাকুন সব সময়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল ভাই। শুভকামনা।

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

নীলপরি বলেছেন: যে মুহূর্তগুলো এঁকেছেন ,তার প্রতিটাই খুব চেনা-জানা । আর তার মধ্যেই কতো গল্প লুকিয়ে আছে । উপস্থাপনার স্টাইলটা খুব ইউনিক । যেটা খুব ভালো লাগে । +++++++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩১

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। মুহূর্তগুলোর পরতে পরতে গল্প লুকানো থাকে। লুকানো থাকে ইতিহাস এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। অনেক ধন্যবাদ নীলপরি আপু। শুভকামনা।

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

বিলুনী বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে
একদিন, কিছু মুহূর্তের যোগফল, একজন মানুষ এবং......
আমার জীবনের কিছু কথার সাথে মিলে গিয়েছে ।
ধন্যবাদ ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বহু কিছুর মিশ্রণ একসাথে।
পড়তে ভালো লেগেছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: টিকটিকিটার সাথে বেশ মিল খুজে পাচ্ছি নিজের।। শিকারী হয়েও মাঝে মাঝে নিজের অঙ্গ (লেজ) ত্যাগ করেও নিজেকে বাচাতে হয়!!
আর ইজম তো তৈরী আমাদের নিয়েই।। সেটা যদি একজন মানুষকে নিয়ন্ত্রন করে, তাহলে মানুষের মনুষত্য কি আহত হয় না?? এযেন নিজের কাছেই নিজের আত্মসমর্পন!!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

জেন রসি বলেছেন: আমরা সবাই শিকারি। আবার সবাই সবাই শিকার।

আমরা মানুষেরাই ইজমের সৃষ্টিকর্তা। আবার আমরাই পূজারি।

আশা করি ভালো আছেন।

১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৩৮

কালীদাস বলেছেন: গল্পটাতে এলোমেলো চিন্তার প্রতিচ্ছবি দেখলাম মনে হল।

পুঁজিবাদের কাছে সামন্তবাদের পরাজয়ের ইতিহাস।

ইউনিয়নের অনলবর্ষী বক্তারা মনে হয় লাইনটা দেখে নাই :P

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

জেন রসি বলেছেন: একজন মানুষ। সে যখন নিজের ভেতর থেকে বের হয়ে আউটসাইডার হয়ে যায় এবং নিজের ভবনা চিন্তাগুলোকে অবজার্ভ করতে থাকে, দর্শকের মত তখন গতানুগতিক রিদম ব্রেক ফেল করে।

মানব সভ্যতার ইতিহাস, শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস। সর্বহারার হারানোর কিছু নেই। জয় করবার আছে অনেক কিছু। কমরেড, ভেঙে ফেল যত আছে ব্যারিকেড! সাম্রাজ্যবাদীদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের জবাব দেবে আমাদের লাল বাহিনী। ওইইই......মুক্তি আসে কোন পথে? সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে......দুনিয়ার মজদুর এক হও, লড়াই কর........

ইউনিয়নের বক্তৃতা দিয়ে দিলাম! চলবে? :P

২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৫৪

নীহার দত্ত বলেছেন: রনক একজন দার্শনিক হয়ে যাচ্ছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

জেন রসি বলেছেন: দর্শন তার ভেতর জন্ম নিচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:২৩

সোহানী বলেছেন: অনেক পথের মধ্যে নিজের একটা পথ খুঁজে পাওয়াটাই আসলে জীবনের মজা। অনেক গল্পের মাঝে নিজের একটা গল্প ক্রিয়েট করতে পারাটাই আসল খেলা। যাপিত জীবন একই সাথে সুন্দর এবং অসুন্দর। অসুন্দরকে নির্মোহ ভাবে বিশ্লেষণ করে নিজের মত করে কোন সুন্দর গল্প বিনির্মাণ করাটাই হিউম্যান স্পিরিট। .......

অসাধারন বললেও ভুল হবে। পুরো লিখাটিতে ঠিক যেন নিজের মনের কথাটাই খুজেঁ পেলাম।

সে ধর্মের তীব্র সমালোচনা করে। আবার মাঝেমাঝে ধর্ম থেকে সমাধানের পথও খুঁজে। সে কম্যুনিজম বা পুঁজিবাদ বা নৈরাজ্যবাদ কোনটাকেই একমাত্র সমাধান বা পারফেক্ট সিস্টেম বলে মনে করেনা। কখন কোনটা কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা আসলে সুনির্দিষ্ট সমস্যার উপর নির্ভর করে।....

একদম ঠিক। সুনির্দিষ্ট সমস্যার উপর নির্ভর করে কখন কোনটা ইউজ হবে... ধর্ম বা কম্যুনিজম বা পুঁজিবাদ বা নৈরাজ্যবাদ। শুধু একদিকে তাকিয়ে থাকা মানে গোড়ামীঁ।

+++++++++++++++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

জেন রসি বলেছেন: প্রতিটা মানুষই আলাদা। আবার এক। মানুষ খুব গভীর ভাবে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন। আবার সম্পর্কযুক্ত। মনের কথাগুলো তাই মাঝেমাঝে এক হয়ে যায়। গল্পগুলো হয় খুব পরিচিত।

আমরা মানুষেরাই ইজমের সৃষ্টিকর্তা। আবার আমরাই পূজারি। নিজেরাই গল্প বানাই। আবার নিজেরাই অন্ধবিশ্বাসী হই।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

পার্থ তালুকদার বলেছেন: উৎসবের আমেজ মাঝে মাঝে মনকে স্পর্শ করতে পারে না। তাই মনে সুখ থাকতে হ্য়।

লেখার ধরন ভাল লাগলো রসি ভাই ।
শুভকামনা জানবেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

জেন রসি বলেছেন: কারন উৎসবের জন্মও মানুষের মনে।

অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

তপোবণ বলেছেন: ভালো লেগেছে। মানুষের জীবন থেকে নেয়া টুকরো টুকরো সব স্ন্যাপ স্যুটের সুন্দর বর্ননা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেকদিন পর পড়লাম আপনাকে ।
ভালোলেগেছে ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

জেন রসি বলেছেন: আনন্দিত হলাম। :)

আপনার জন্য চা।

২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: রনক কি জিনি ভাইয়ের মাউথ পিস????

আমার কিন্তু তাই মনে হচ্ছে!:)


পোস্টে প্লাস++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

জেন রসি বলেছেন: জিনি ভাইয়ের মাউথ পিস না ঠিক! এই ক্ষেত্রে জিনি ভাইয়ের ভাবনা চিন্তার একটা প্যাটার্ন হইতে পারে। ;)

ধন্যবাদ বিলিয়ার ভাই।

২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্রিয় গল্পকারদের মধ্যে আপনি একজন। গল্প হয়ে ওঠে না, এইটা বিনয়। গল্পটা এক্সপেরিমেন্টাল, ঠিকাছে, তবে তার মধ্যেও কিন্তু আপনি নিজের জাত চিনাইছেন। কোথাও থামতে হয়নি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

জেন রসি বলেছেন: বিনয় না। সচেতনতা বলতে পারেন। মানে নিজের কাজকারবার সম্পর্কে সচেতন থাকা। লেখালেখির ব্যাপারে আমি এখনো কাঁচা। আরো বছরখানিক ক্রমাগত লিখে গেলে হয়তো কিছু একটা হতে পারে। তবে প্রিয় গল্পকার বলায় উৎসাহ পেয়েছি। :)

২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: গল্পে “পুঁজিবাদ” ‍সুস্পষ্ট
ভালো লাগলো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

জেন রসি বলেছেন: পুঁজিবাদী কাঠামো। ছাপ থাকবেই!

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্ঞানের আপেক্ষিকতায় ভাবনারা বদলায়। কোটি মানুষের কোটি ভাবনা তাই কোটি রকম!
বাহ্য আর অন্ত:জ্ঞানের বহুমাত্রিকতায় ভবনার ডালপালা বহুমূখি!

একটা ডালে রনকের অবস্থান, তার সম-সাময়িকতাকে ফুটিয়ে তুলেছে।
জুম আউট করে বৃক্ষ দর্শনের প্রশান্তি ভিন্নতো বটেই ;)

ভাল লাগল ভাবনার ইতিউতি :)

+++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

জেন রসি বলেছেন: একজন মানুষ। সে যখন নিজের ভেতর থেকে বের হয়ে আউটসাইডার হয়ে যায় এবং নিজের ভবনা চিন্তাগুলোকে অবজার্ভ করতে থাকে দর্শকের মত তখন গতানুগতিক রিদম ব্রেক ফেল করে। সে তখন বুঝতে পারে প্রতিটা মানুষই আলাদা। আবার এক। মানুষ খুব গভীর ভাবে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন। আবার সম্পর্কযুক্ত। জ্ঞানের আপেক্ষিকতায় সে ইজমের জন্ম দেয়। অথবা পূজারি হয়। নিজেরাই গল্প বানায়। আবার নিজেরাই নিজেদের গল্পে অন্ধবিশ্বাসী হয়। অবিশ্বাসী হয়। এক হয়। আবার বিচ্ছিন্ন হয়!

সুন্দর মন্তব্য। ধন্যবাদ ভাই। :)

২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:


আপনার সেই ভিলেজ পলিটিক্সের গন্ধ পেলেও সেদিকে যান নি।
দর্শন কচিয়েছেন। ;)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

জেন রসি বলেছেন: গল্পের চরিত্রকে পলিটিশিয়ান না বানিয়ে দার্শনিক বানিয়ে দিলাম! :P আরেকদিন পলিটিশিয়ান বানিয়ে দেব! ;)

৩০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

জাহিদ অনিক বলেছেন: ২৫ ও ২৭নং মন্তব্যের সাথেও একমত

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

জেন রসি বলেছেন: আচ্ছা। :)

৩১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

রাতু০১ বলেছেন: জীবনের ঘনকালো মেঘে বর্ষাও তার রঙ বদল করে। ভাললাগা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

জেন রসি বলেছেন: খরাও হতে পারে। অতিবৃষ্টিও হতে পারে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর সমাপ্তি, গল্পে ভালো লাগা রইল।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন ভাই। শুভেচ্ছা।

৩৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি,



পোস্টের অন্তর্নিহিত বক্তব্য আর পাঠকদের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়ে মনে হলো , রনক আর জেন রসি মিলেমিশে গেছে । আবার এও মনে হয় , কেউ কেউ রনক , কেউ কেউ জেন রসিও । সবাই রনক হয়না , সবাই-ই জেন রসি হয়ে ওঠেনা ।
ভেজাল , নির্ভেজাল সব মানুষের কাছেই তার ক্রিয়াকান্ড কিছু মুহূর্তের যোগফল ছাড়া আর কিছু নয় । সে কারনেই মানুষ দরকার মত ইজম নিয়ন্ত্রন করে আবার দরকার মতো ইজম বানায়ও । সেই তুলাদন্ডে মেপে সে তার কর্মকান্ডের ফলাফলকে যৌক্তিক ধরে নিয়ে নিজে নিজেই তাতে পাশ মার্ক দিয়ে আত্মতৃপ্তি খোঁজে ।
সবকিছুকে নির্মোহ ভাবে সয়ে নিতে বা যেতে সবাই পারেনা । ধূপের গন্ধ , বাজির শব্দ, উলুধ্বনি, আযানের সুর, ঝিঝি পোকার ডাক ,গভীর নির্জনতা এসবকে একত্রে গেঁথে বেলফুলের মালা গাঁথার মানুষের যে বড় অভাব !


( বুড়োকে একা রেখে রনক পুকুরে মাছ ধরা দেখতে আসে। চারপাশে জোছনার প্লাবন।কেউ ব্যবসায় নিমগ্ন। কেউ শ্রমে। রনক চুপচাপ বসে আছে। বসে বসে মানুষ দেখে সে। অথবা প্রকৃতি।
এইখানের এমন একটা পরিবেশে চারপাশে জোছনার প্লাবনের পরেই কেউ ব্যবসায় নিমগ্ন, কেউ শ্রমে এমন ধারনা যোজনাটি খাপছাড়া মনে হয়েছে । অন্যকিছু হতে পারতো, মাছ ধরা আর চারপাশে জোছনার সাথে মিলিয়ে । )

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

জেন রসি বলেছেন: জী এস ভাই,

বরাবরের মতই চমৎকার মন্তব্য করেছেন। মানুষ ইজম বানায় নিজের মত করে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে। মানুষের খুব কর্তা হওয়ার সখ। মানুষ ইজম ভাঙ্গেও সেই কর্তা হওয়ার জন্যই। যারা কোনটাই পারেনা তারা খড়কুটোর মত কিছু একটা আঁকড়ে ধরে ভাসতে থাকে। মানুষে মানুষে তাই আজ প্রতিযোগিতার সম্পর্ক। কিন্তু এটাই একমাত্র অপশন না। সহযোগীতার সম্পর্কও হতে পারে। যদি মানুষ চায়! যদি আমরা চাই।

চারপাশে জোছনার প্লাবন। পুকুরে মাছ ধরা হচ্ছে। মাছ ধরছে জেলেরা। পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে মাছ ব্যবসায়ীরা। জেলেরা শ্রম দিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা হিসাব নিকাশ করছে। রনক পুরো ব্যাপারটাই অবজার্ভ করছে। সে অর্থে বলা।







৩৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার গল্প পড়ার সময় অদ্ভুত শীতলতা কাজ করে। ব্যাপারগুল অটো ফোকাস-ড হয়ে যায়। অনেকেই গল্পটা পড়েছেন, নিজের মতো করে বুজেছেন।
আমিও পড়েছি, আমার মতো করে কিছু প্রতিপাদ্যও খাড়া করেছি। যদিও তার বেশিরভাগই বলা যাবে না। ;)

যাহোক, মুহুর্তগুলো যোগ করে আপনি ০ রেজাল্ট পেয়েছেন। পুঁজিবাদের হিসেব নিকাশে কিন্তু এই শুন্যের ভুমিকা একেবারেই মধ্যমণিতে। মানে ব্যালেন্স = ০ করার জন্যই পুঁজিবাদি প্রতিষ্টান দিনকে রাত, রাতকে দিনে পরিণত করছে।

আমার সমস্যা হলো, আমি রেজাল্ট হিসেবে কখনো ০, কখনও ১, কখনো -১ পেয়েছি। তবে শেষেরটা সত্যি হলে সব প্রশ্নের সমাধান হবেই সেটা নিশ্চিত। :)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

জেন রসি বলেছেন: বেশীরভাগই কেন বলা যাবেনা এইটাও একটা ভাবনার বিষয়। সুপ্ত জ্ঞানকে গুপ্ত রাখার লাইন ধরলেন নাকি? ;)

মূহুর্তগুলো যোগ করে জিরো পেয়েছি, এ ব্যাপারটা ঠিক বুঝিনি। ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়। এটা ক্লিয়ার না হলে পরের কথাগুলোও বুঝা সম্ভব না।

যাইহোক কোডিং, ডিকোডিং, বিজনেস কেমন চলছে? :)







৩৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্রিয় গল্পকার বলাটা সার্থক। ;)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

জেন রসি বলেছেন: কবির বলা বলে কথা।

৩৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

সুমন কর বলেছেন: লেখায় একটা দার্শনিক দার্শনিক ভাব আছে। ভালো লেগেছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা।

৩৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মূহুর্তগুলো যোগ করে জিরো পেয়েছি, এ ব্যাপারটা ঠিক বুঝিনি।


হাহ হাঃ হাঃ

"একজন অদৃষ্টবাদীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানুষকে বুঝার চেষ্টা করলে মনে হয় সব মানুষই কোন একটা এক্সটার্নাল ফোর্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই ফোর্সটাও আসলে মানুষের একটা কালেক্টিভ বিশ্বাস ছাড়া আর কিছুই না। এই কালেক্টিভ বিশ্বাসটাকেই আসলে সমাজ, কালচার কিংবা ধর্ম বলা যেতে পারে যা মানুষ নিজেরাই নিজেদের উপর আরোপ করে। মানুষ আসলে নিজেরাই নিজেদের সৃষ্টি করা গল্পের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। গল্পটাই তখন সেই এক্সটার্নাল ফোর্সের মত কাজ করতে থাকে যা মানুষকে একটা নির্দিষ্ট ডেসটিনি কিংবা প্যাটার্নের দিকে ধাবিত করতে থাকে। রনক ভাবছে। "

ওকে, ব্যাখ্যা করেই বলি। শুন্য মানে আমাদের জিবনের কোন উদ্দেশ্য নেই। মরে যাওয়ার পরে আর কিছু নেই, মানে শুন্য। আপনার রনকের থিওরি অনুসারে শুন্যতাই আমাদের পরিণতি। (অবশ্য সরাসরি এ কথা বলেন নি। রনক বলেছে এক্সটার্নাল ফোর্সের কোন অস্তিত্ব নেই। মানে ইশ্বর/অতিমানবিয় সত্বার অস্তিত্ব মিথ্যা। এটাকে এক্সটেন্ড করলে জিবনের কোন পরিণতি নেই এই থিওরি-ই পাওয়া যায়। ফোর্সের ধারণা কেবল-ই ভ্রম ছাড়া কিছুই না।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০০

জেন রসি বলেছেন: কোন আল্টিমেট কসমিক মিনিং নেই। তবে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মানুষ মিনিং আরোপ করে। মানুষের বেছে নেওয়া আরকি! তবে এটা কেউ কনসাসলি করে, আবার কেউ একধরনের প্রভাবের বলয়ের ভেতরে থেকে করে। এই যে আপনি অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন। নিজের উপর আরোপ করার জন্য একটা মিনিং খুঁজে পাওয়ার সচেতন চেষ্টা!

৩৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ডিকোডিং-কোডিং বিজনেস ভালই চলছে। :) :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০২

জেন রসি বলেছেন: অর্থাৎ বিগ পার্টি ইজ কামিং! :)

৩৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

যূথচ্যুত বলেছেন: আপনার গল্প বা আঙ্গিক নিয়ে এই এক্সপেরিমেন্ট-গুলো খুব ভাল্লাগে আমার। বেশ উৎসাহ নিয়ে পড়ি।

এটা পড়তে গিয়ে প্রথম লাইনেই 'হাঁটতে থাকা' 'ঘুরে বেড়াচ্ছে' দুটো বানান ভুল একটু চোখে লাগছিল। পরের দিকে আরও কয়েকটা এরকম অসাবধানতা জনিত ভুল ছিল।

তবে, শেষপর্যন্ত গল্পটা পড়ে হতাশ হইনি। :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

জেন রসি বলেছেন: এক্সপেরিমেন্ট করতে আমার ভালো লাগে। ব্যাপারটা উপভোগ করি। আপনার আগ্রহ আছে জেনে ভালো লাগল।

বানান নিয়ে আমার সিরিয়াস সমস্যা আছে। এটাকে ব্যর্থতাও বলা যায়। টনক নড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। :)

৪০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৩

কালীদাস বলেছেন: হা হা, বক্তৃতা মন্দ হয় নাই।
অনেক বছর আগে একটা পোস্ট পড়েছিলাম অনলবর্ষী বাম নেতাদের বক্তৃতার উপর: বিশাল(!) গণসমাবেশে পরের বক্তা, বাদামওয়ালা, ফুচকাওয়ালা, মাইকের মালিকসহ মোট শ্রোতা আঠারোজন =p~

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

জেন রসি বলেছেন: বিদগ্ধ শ্রোতার অভাব বলা যেতে পারে! আঠারোজন মনে হয় শ্রোতা হিসাবে বিদগ্ধ ছিল! :P

৪১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: রনকের অস্থিরতা কেটে যাক। যে পর্যটনে সে নেমেছে যে উদ্দেশ্যে যাকে সে খুঁজে চলেছে তাকে পাওয়ার আগেই যেন ভ্রমণ থেমে না যায়।
এই পথিককে আমি বহু দিন ধরেই পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি। আমার মনেহয় সে শুধু প্রশ্ন করেই থেমে যায় না নিজেনিজেই জবাব খুঁজে বেড়ায়। অনুসন্ধানরত পথিকের উপর রহমত বর্ষিত হোক। অনেকেই তাকে ভালবাসি। সকলের ভালবাসা তার সাথি হোক।

যে অতি সাধারণ সে প্রশ্ন করে না, যে বোকা অথচ নিজেকে খুব বুদ্ধিমান মনে করে সে প্রশ্ন করেই থেমে যায়। আর যিনি জানেন যে তিনি কিছুই জানেন না ফলে সবসময়ই তার ভিতরে অনুসন্ধিৎসা কাজ করে এবং পথে নামে ডেসটিনিকে পাওয়ার আশায় তিনিই প্রকৃত প্রতিভাবান।
তার জয় হোক।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

জেন রসি বলেছেন: মানুষ মাত্রই পথিক। পথে থেকেই মানুষকে আবার পথের সন্ধান করতে হয়। রবার্ট ফ্রস্ট যেমনটা বলেছেন,

Two roads diverged in a yellow wood,
And sorry I could not travel both
And be one traveler, long I stood
And looked down one as far as I could
To where it bent in the undergrowth;

Then took the other, as just as fair,
And having perhaps the better claim,
Because it was grassy and wanted wear;
Though as for that the passing there
Had worn them really about the same,

And both that morning equally lay
In leaves no step had trodden black.
Oh, I kept the first for another day!
Yet knowing how way leads on to way,
I doubted if I should ever come back.

I shall be telling this with a sigh
Somewhere ages and ages hence:
Two roads diverged in a wood, and I—
I took the one less traveled by,
And that has made all the difference.

উৎসাহিত হলাম। এবং আনন্দিত হলাম। ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা। :)

৪২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৬

ফাহমিদা বারী বলেছেন: ছোট কিন্তু গভীর ভাবসম্পন্ন লেখা। পড়ে দু'বার ভাবতে হয়। সামনেও আপনার গল্পে আসার ইচ্ছেটা কাজ করবে। :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)

৪৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "একজন অদৃষ্টবাদীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানুষকে বুঝার চেষ্টা করলে মনে হয় সব মানুষই কোন একটা এক্সটার্নাল ফোর্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই ফোর্সটাও আসলে মানুষের একটা কালেক্টিভ বিশ্বাস ছাড়া আর কিছুই না। এই কালেক্টিভ বিশ্বাসটাকেই আসলে সমাজ, কালচার কিংবা ধর্ম বলা যেতে পারে যা মানুষ নিজেরাই নিজেদের উপর আরোপ করে।"
---এই সব কি লেখেন ! ধর্মানুভূতি আহত করার দায়ে আপনাকে সোপর্দ করা হবে !

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫

জেন রসি বলেছেন: এই সব পুরান কথা।নতুন বোতলে পুরানো মদ ঢুকানো আরকি! ;)

৪৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

প্রামানিক বলেছেন: শুরু এবং শেষ চমৎকার লাগল। ধন্যবাদ

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.