নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ভাইরাস, রাজনীতি এবং ধর্মীয় ব্লা ব্লা.......

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৯



করোনা সংকট নিয়ে অবশ্যই সরকারের এবং উপদেষ্টাদের অ্যানালাইসিস, পরিকল্পনা, এবং কৌশল আছে। তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা এবং কোন পরিস্থিতি কখন হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে তার হিসাব নিকাশ আছে। যদিও সেসব বরাবরের মতই গোপনীয়। আমরা সেসব তথ্য জানতে পারবনা। তবে তাদের পদক্ষেপগুলো বিশ্লেষণ করে তাদের কৌশল সম্পর্কে ধারনা করা যেতে পারে। এখন পর্যন্ত সরকারের পদক্ষেপগুলো দেখে মনে হচ্ছে,

১. করোনা সংকট নিয়ে তারা উদাসীন ছিল কিংবা ধরে নিয়েছিল করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে আউটব্রেক করবেনা।

২. লকডাউনের পর যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেবে তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। ফলে রিস্ক নিয়ে অপেক্ষা করে দেখেছে।

৩ .স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা তারা মেনে নিয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে তা দ্রুত সময়োপযোগী করার চেষ্টা না করে বরং মিডিয়া এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। যেন নাগরিকরা একধরনের কনফিউশনে থাকে।

৪. দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির চেয়েও প্রধানমন্ত্রীর ইগো এবং রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

৫. পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে বিদেশী এবং এনজিও সাপোর্ট পাবে সে নিশ্চয়তা আছে বলে ধরে নিয়েছে।

৬. পরিসংখ্যান মানুষের মনোজগতে অনেক ভাবেই প্রভাব ফেলে। তাই পরিসংখ্যানকে ম্যানুপুলেটও করা হয়। সরকার এটাকে একটা হাতিয়ার হিসাবেই নিয়েছে।

কমনসেন্স থেকেই এমন বেশ কিছু সিদ্ধান্তে চলে আসা যায়। তবে সরকারের শর্ট টার্ম সব কৌশল আসলে এ দেশের মানুষের জীবন নিয়ে একধরনের জুয়া খেলায় পরিণত হয়েছে। জুয়ার ফলাফল ভবিষ্যতেই জানা যাবে।

তবে একটা ভয়ংকর ভাইরাস যে কোন সময় সরকারের গদিকেও সংক্রমিত করে ফেলতে পারে। এই ইনসাইট তাদের না জানার কথা নয়!


আবার আরেকটা সমস্যাও আছে। ধরা যাক সরকার যদি বলে কাদম্বরী মরে গেছে, সরকার বিরোধীরা অবশ্যই বলবে কাদম্বরী মরে নাই। ভাইস ভার্সা।

তারপর কাদম্বরীকে মরে প্রমাণ করতে হয় সে মরেনাই অথবা সে মরে গেছে।

জার্নালিস্ট এবং গবেষকদেরও কাদম্বরীকে নিয়ে কোন আগ্রহ নাই। তারাও দেখে কোন তথ্যটা তাদের জন্য কতটুকু লাভজনক। যেহেতু সিন্ডিকেটই ইশ্বর।

তথ্য নিয়ে রাজনীতি, ম্যানুপুলেশন এবং মেন্টাল গেমের মারপ্যাঁচে কাদম্বরীদের পক্ষে আসলেই বেঁচে থাকা এবং মরে যাওয়া দুটোই কঠিন ব্যাপার।


ধর্মীয় বিশ্বাস এবং করোনা ভাইরাস

ধরা যাক একজন ব্যক্তি ১০ তলা উঁচু ছাদ থেকে লাফ দিল। লাফ দেওয়ার সময় সে মন্ত্র পড়ে লাফ দিক বা সূরা পড়ে লাফ দিক কিংবা আল্লাহ, ইশ্বর, গড কিংবা জিউসের নাম নিতে নিতে লাফ দিক তাতে ফলাফলের কোন তারতম্য ঘটবে না। সে উড়বে না। শূন্যে ভেসেও থাকবেনা। নীচে পড়ে যাবে। কারন অভিকর্ষ বলের তার বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে কিছুই যায় আসেনা। তা যেমন ঠিক সেভাবেই কাজ করে যাবে। বুদ্ধিবৃত্তিক বিবর্তনের পর থেকে ধীরে ধীরে মানুষ এমন অনেক প্রাকৃতিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে জেনেছে। আবার অনেক কিছু এখনো জানার বাইরে। তবে বিবর্তন এখনো থেমে যায়নি। আর মানুষ এসব নিয়ম কানুন জানতে পেরেছে বলেই সে এমন অনেক কিছু করতে পেরেছে যা অন্য কোন প্রাণীর পক্ষে সম্ভব হয়নি।

এবং ঠিক এই বুদ্ধিবৃত্তিক বিবর্তনের কারনেই মানুষ কল্পনা করতেও শিখেছে। গল্প বানাতে শিখেছে। সে কাল্পনিক ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করে এবং বিশ্বাস রেখেই সৃষ্টি হয়েছে সমাজ, ধর্ম, কালচার, রাষ্ট্র, দর্শন, মতবাদ ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে যতই মানুষ প্রকৃতি, মহাবিশ্ব এবং নিজ সম্পর্কে জানছে ততই তার বিশ্বাস, কল্পনার জগত, গল্প বানানোর ক্ষমতা এসবও পরিবর্তিত হচ্ছে। যেমন এসময় বাইবেল লেখা হলে সেখানে অবশ্যই বলা হত পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। সূর্য নয়।

যাইহোক, অভিকর্ষ বলের মত করোনা ভাইরাসও সে যা ঠিক তাই। একজন মানুষের বিশ্বাস, অবিশ্বাস, গল্প, কাল্পনিক ব্যাখ্যা দিয়ে করোনা ভাইরাসের কিছুই যায় আসেনা। আপনি ১০০ জন মিলে নামাজ পড়ুন বা সংকীর্তন করুন কিংবা মিছিল করুন সেখানে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি থাকলে আপনিও সংক্রমিত হতে পারেন। করোনা কিভাবে ছড়ায়, কিভাবে মানবদেহে কাজ করে, তা কতটা ক্ষতিকর এবং কিভাবে করোনা প্রতিরোধ করা যায় সেসব সম্পর্কে গবেষনা করেই কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এবং সেসব তথ্য জানা গেছে করোনা ঠিক যা সেভাবেই তাকে জানা এবং বুঝার মধ্যে দিয়ে। সুতরাং আপনি আল্লাহর গজব বলেন বা না বলেন, কোন মন্ত্র দিনে কয়বার পাঠ করলেন বা না করলেন তা ফলাফলে কোন ইমপ্যাক্ট ফেলবেনা।

হ্যা। ফলাফলে না ফেললেও তা মনকে শান্ত করতে পারে। স্ট্রেস রিলিজ করতে পারে। তবে সেটা অবশ্যই ব্যক্তিগত চর্চায় সীমাবদ্ধ রাখাই উচিৎ। কারন করোনা কোনটা মন্দির, কোনটা মসজিদ, কোনটা ইহুদি রাষ্ট্র, কোনটা মুসলিম রাষ্ট্র, কিংবা কে পাপী আর কে সাধু এসব বুঝতে পারেনা। সে বুদ্ধিবৃত্তিক বিবর্তন তার হয়নি।

সুতরাং.........

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


২ নং: লক-ডাউন:

লক-ডাউনের পর সমস্যা হবে না:

এখন যদি সরকার ১ মাসের জন্য লক-ডাউন করে; শতকরা ৬০ ভাগ মানুষের ১ মাস চলার মতো খাবার ঘরেই আছে; বাকীদের জন্য দরকারী চাউল, আটা ও সামান্য মুরগী, ডিম, দেয়ার মতো সরকারের সার্থ আছে, গোডাউনে খাবার আছে; সরকারের হাতে ক্যাশ কম থাকলে, সরকার বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, ভারত ও জাপান থেকে ঋন পাবে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৪

জেন রসি বলেছেন: সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির মাঝে আছে শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে দৈনন্দিন উপার্জনের উপর ভিত্তি করে যাদের চলতে হয়। অর্থনৈতিক ধাক্কাটা এদের উপর দিয়েই যাবে বেশী। স্বাস্থ্য ঝুঁকিত আছেই।



২| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: কোন বিদেশী সংস্থা বা উন্নত দেশ এই সময়ে অর্থ সাহায্য পাঠালে সব গায়েব হয়ে যাবে। একটা টাকাও জনগনেের জন্য্ খরচ হবে না।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৭

জেন রসি বলেছেন: সব না হলেও একটা অংশ গায়েব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাত আছেই।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির মাঝে আছে শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে দৈনন্দিন উপার্জনের উপর ভিত্তি করে যাদের চলতে হয়। অর্থনৈতিক ধাক্কাটা এদের উপর দিয়েই যাবে বেশী। স্বাস্থ্য ঝুঁকিত আছেই। "

-সেটা আমেরিকায়ও হচ্ছে; ১ সপ্তাহে ২৫ লাখের চাকুরী গেছে; এয়ার লাইনস, টুরিজম, রেষ্টুরেন্ট, বার, ষ্ট্রিট-ভেন্ডর মিলে ১ কোটী মানুষ আগামী ১/২ মাসে চাকুরী হারাবে।

মানুষের যেই প্রস্তুতি আছে, এখনই ১ মাসের জন্য শহর, উপশহর, হাটবাজার লক-ডাউন করার উপযুক্ত সময়। গরীবদের জন্য এলাকার খাদ্যগুদাম ও দোকান থেকে খাদ্য দেয়া সম্ভব; দোকানীর টাকা শোধ করবে টিএনও।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১১

জেন রসি বলেছেন: লকডাউন অনেক আগেই করা উচিৎ ছিল। সরকার কেন করেনি সেটাই আসলে বুঝার চেষ্টা করেছি।

আপনাদের ওখানে এখন পরিস্থিতি কেমন। সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৭

আকন বিডি বলেছেন: ডাটা অন্য কথা বলে
view this link

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০১

জেন রসি বলেছেন: রিপোর্টটা পড়লাম। করোনা ছোঁয়াচে না এমন কোন ডেটা তথ্য পেলাম না। অন্য কথা বলতে ঠিক কি বুঝিয়েছেন তাও স্পষ্ট বুঝিনি।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৪

সোহানী বলেছেন: অনেকদিন পর আসলেন চমৎকার কিছু নিয়ে। আমাদের যা অবস্থা কাদম্বিনী ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচিঁ অবস্থায় থাকবে দু'পক্ষের টানাটানিতে।

সরকার চাইলেই তেমন কিছু করতেই পারে এ অসহায় মানুষগুলোর জন্য কিন্তু করবে কি???

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৯

জেন রসি বলেছেন: আমাদের অবস্থা অনেকটা জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘের মত।

সরকার তাদের ভাবমূর্তি ধরে রাখার ব্যাপারটাকে যতটা ক্রাইসিস মনে করছে করোনাকে ততটা করেছে বলে মনে হয়নি। তাদের উদাসীনতা কিংবা "দেখা যাক কি হয়" টাইপ একটা মনোভাব মানুষকে আরো ঝুঁকির মাঝে ফেলে দিয়েছে।

সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " লকডাউন অনেক আগেই করা উচিৎ ছিল। সরকার কেন করেনি সেটাই আসলে বুঝার চেষ্টা করেছি। "

-সরকারের, বা ব্যুরোক্রেটদের মাঝে মাঝে কোন একজনকে আপনি চেনেন, যাকে বুদ্ধিমান ও দায়িত্বশীল বলে মনে হয়েছে?
নিউইয়র্কের অবস্হা খুবই খারাপ, এখানে ৬টা এয়ারপোর্ট ও এরা ব্যবসায়ী, সকাল বিকেল চীন, ইউরোপ যায়; ফলে, সংক্রমণ হয়েছে খুবই বেশী।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৬

জেন রসি বলেছেন: প্রশ্ন হচ্ছে তারা আসলেই কি চায়? কেন চায়? এবং কিভাবে চায়?

হ্যাঁ। সঠিক সময়ে ওরাও লকডাউন করতে পারেনি।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি,





ক্রমিক নম্বর দিয়ে আপনার মনে হওয়া কথার সূত্র ধরেই বলি ---------
দু-দু’টো মাস শুধু বকর বকর করা হয়েছে। সমগ্র সরকারের নয়, ঘটনা থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারী বিভাগের ব্যক্তি বিশেষের ফায়দা লোটার পরিকল্পনা, এ্যানালিসিস, কৌশল অবশ্যই ছিলো। সময়টা সুবর্ণ সুযোগের তা হলো ফাঁকা কথা বলে এই মহাদূর্যোগ কালে সরকারের সুনজরে পড়ে ফায়দা হাসিল করা। এ জন্যেই আসল কাজটির কোনও ভিত্তি ঠিক না করেই তারা দু’টি মাস বকর বকর করে সরকার প্রধানকে সন্তুষ্ট রেখেছেন যাতে তিনি ভাবেন তার সরকার করোনা প্রতিরোধে সর্বোচ্য অবস্থায় প্রস্তুত রয়েছে এবং এই মহতী কাজে তিনি তাদের পিঠ চাপড়ে দেন ।
অথচ প্রায়োরিটি দিয়ে সব কলকব্জা সুচারু ভাবে সমন্বিত করেই তবে বকবক করা উচিত ছিলো। তা যে হয়নি এটা পরিষ্কার দায়িত্বপ্রাপ্তদেরই বয়ানে। দু’মাস হয়ে গেলো এখনও শুনতে হচ্ছে - এটা করা হবে, ওটা করা হবে, এই পরিকল্পনা নেয়া হবে, ঐ পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত শুনিনি -এটা করা হয়েছে, ওটা করা হয়েছে। আমি শুনিনি আপনার কেউ শুনেছেন কিনা জানিনে।
তেমন প্রস্তুতি যদি দু’মাসের শুরু থেকেই সত্যিকার ভাবে নেয়া হতো তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য কেন বলবে আমরা অরক্ষিত ? আমাদের প্রস্তুতিতে তারা সন্তুষ্ট নয় কেন ?

পরীক্ষার জন্যে কীট নেই। কেন নেই ? এখন কেন তা আনতে হচ্ছে ? দু’মাস ধরে সংশ্লিষ্টরা কি করেছেন তা হলে? প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুত রাখার কাজটি শুরু হয়েছে মাত্র ২/৩ দিন আগে। শুরুতেই এই অতি প্রয়োজনীয় বিষয়টিতে কেন নজর দেয়া হয়নি ? স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট নেই। আনা হবে। “হবে” কেন ? “হয়েছে” নয় কেন ? করোনা প্রতিরোধে মাস্ক,স্যানিটাইজারের কাঁচামাল সহ জরুরী জিনিষ আমদানীতে দু’মাস পরে আজকে কেন তা শুল্ক মুক্ত করা হলো ? এই জিনিষগুলি যে অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে এই আক্কেলটুকুও কি সংশ্লিষ্টদের হয়নি? পদে পদে দেখা যাওয়া এমন সব অপদার্থদের হাতে কি আমরা আসলেই সুরক্ষিত?

আশা করি সরকার প্রধান করোনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকলের জবাবদিহি ১০০% নিশ্চিত করে সমস্ত ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে আরও কঠোর হবেন, এবং হবেন সত্যিকার অর্থেই কারন একমাত্র তিনিই আছেন যিনি প্রয়োজনে কঠিন থেকে কঠিনতর হতে পারেন।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৮

জেন রসি বলেছেন: আপনার সাথে এ্কমত জী এস ভাই।

করোনা গ্লোবাল ক্রাইসিস। এটা সরকার জানত। এবং তা বাংলাদেশের মত দেশে কতটা সংকট হয়ে দেখা দিতে পারে তাও তারা জানে।

“ This is no longer only a global health crisis, it is also a major labor market and economic crisis that is having a huge impact on people,” said ILO Director-General Guy Ryder”

এই কনসিকয়েন্স গুলো আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল। এবং দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা এসব নিয়ে পর্যালোচনা, পরিকল্পনাও করেছে। তবে আমাদের দেশে দুর্নীতি কেমন হতে পারে সেটাও সবার জানা। সেক্ষেত্রে সরকারের উচ্চমহল কিংবা সে একজনকে নিয়েও সিনিক হতে হচ্ছে। কারন তারা যদি করোনাকেই মূল ক্রাইসিস ভাবত তবে সংশ্লিষ্টদের কথায় নিশ্চিত হয়ে বসে না থেকে মনিটরিংও করত। মুজিব বর্ষ নিয়ে যেমনটা করা হয়েছে। তাই আজ যখন সংকটের মুহূর্তে দেখছি আমরা যে কোন প্রস্তুতিই নেওয়া হয়নি তখন মনে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আছে সরকার আসলেই কি চাচ্ছে? ভাবমূর্তি ক্রাইসিস না করোনা ক্রাইসিস? আগে থেকেই হার মেনে নিয়ে হার স্বীকার না করার প্রোপাগান্ডা? নাকি সব ফেলে মিডিয়া এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণের কৌশল?

জী এস ভাই, সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

৮| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: যদি কোনো কারণে ইরানে কেউ করোনা আক্রান্ত না হতো তাহলে মোল্লাদের কেমন পোয়াবারো হতো একবার ভেবে দেখুন।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৫

জেন রসি বলেছেন: পোয়াবারো হওয়ার জন্য এরা অতি সহজেই হাতি আকাশে উড়িয়ে দিতে পারে।

সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৯

আকন বিডি বলেছেন: তিন জনের এক জনের কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৫

জেন রসি বলেছেন: সেক্ষেত্রেও আরো অনেক বেশি সতর্ক হওয়া এবং লক ডাউনের কোন বিকল্প নেই।

সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

১০| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুজিব বর্ষ,ভোট সব মিলে নেতারা ভালোই দিন কাটাছে। মোল্লারা আছে সূত্র আর থানকুচি নিয়ে। মিরপুরের ওই লোকের ছেলেরা আইইসিডিআর বলার পর রক্ত পরীক্ষা করেনি। গ্রামের দিনমজুর ,রিক্সা চালক না খেয়ে মরবে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৭

জেন রসি বলেছেন: একটা ভয়াবহ সংকট নিয়ে আসলেই জুয়া খেলা হয়েছে। এবং হচ্ছে।

সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

১১| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: করোনায় সবাই মরে যাবে? এতটা সহজ না।
ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ
৩৭০০ যাত্রী এক মাসের মত সমুদ্র যাত্রা
মাত্র ৩৭৮ জনের লক্ষণ ধরা পরে, মাত্র ২জন মারা যায়। শেষ ১৫ দিন যাত্রিরা জাহাজে মাথা ঠুকলেও এরপরও পৃথিবীর কোন বন্দরে ভিড়তে দেয়া হয় নি।
এরপরও জাহাজে সংক্রমনের হার অতটা বিপদজনক হয় নি।
বাংলাদেশেও রিসেন্ট যে বৃদ্ধ মসজিদে সেজদায় নিঃস্বাস নেয়ার মাধ্যমে সংক্রামিত হয়ে মারা গেল, ওনার পরিবারেরও কেউ আক্রান্ত হয় নি।
ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজের ৩৬৯৮ জন যাত্রি দু হপ্তা জাহাজ কোয়ারেন্টিন করে সবাই বাসায় ফিরেছে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৫

জেন রসি বলেছেন: সবাই মরে যাবে বিষয়টা তেমন না। ডেটা বলে বৃদ্ধদের ঝুঁকি অনেক বেশী। তাছাড়া আমাদের দেশ ঘনবসতির দেশ। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা এখানে প্রবল। এবং সেক্ষেত্রে মৃত্যুর হারও বাড়তে থাকবে। এবং এক শ্রেণীর মানুষ খুবই আনপ্রটেক্টেড অবস্থায় আছে। এই সংকটকে তাই হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই।

সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লক্ষণ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজের ৭১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়, যদিও ৩৩৪ জনের কোনো লক্ষণ ছিল না। এই তথ্য জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে।

Coronavirus (COVID-19) patients on Diamond Princess Japan 2020

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

জেন রসি বলেছেন: আচ্ছা।

সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সারা পৃথিবী এক কথা বলছে, ওয়াজী হুজুররা বলছেন অন্য কথা।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

জেন রসি বলেছেন: যা বলছে তা দলবল নিয়ে পালন না করাটাই বিপদ।

১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: অনেকদিন পরে ব্লগে ফিরলেন!!!
সরকারের উর্ধতন মন্ত্রীরা যে সুন্দর সুন্দর লাইনগুলি এই দঃসময়ে জাতীকে উপহার দিয়েছে সেইগুলি বললেন না?

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

জেন রসি বলেছেন: তাত আমরা সবাই দেখছি, শুনছি এবং........

সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: করোনার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরী ফান্ড গঠন করা হোক।

এর আগেই এ রকম উদ্যোগে সাড়া পাওয়া গেছে।

দুনিয়ার ধনী লোকরা আগায়া আসতেছেন। আমরারগুলা তো দেখি লড়েচড়ে না।

কার কার কাছে কীসের টাকা কত আছে- রাষ্ট্র জানে।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

জেন রসি বলেছেন: লুটপাটের ধান্দাতেও আছে কেউ কেউ।

১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

জাহিদ হাসান বলেছেন: ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগের মসজিদ থেকে করোনার সংক্রমণ হয়েছে। দুইজন মারা গেছে। আরও কতজন এই ভাইরাস বহন করছে কেউ জানে না। আগেই বলেছিলাম যে সতর্ক হোন। এখন টোলারবাগ লক ডাউন, মসজিদও বন্ধ। ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাস।

ঢাকায় গণপরিবহনসহ সকল প্রকার গাড়ি এখনই বন্ধ করা হোক। নাহলে পুরো দেশে এই ভাইরাস দাবানলের মত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। সবাই ঘরে থাকুন। ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকুন।

আমরা খুবই বিপদের মধ্যে আছি।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

জেন রসি বলেছেন: যা করতে হবে আসলে তাই করা দরকার।

সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্ত ৩৩ মৃত্যু ৩ ।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

জেন রসি বলেছেন: এটাও সঠিক তথ্য নয়।

১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: অনেক দিন পর পেলাম।

পোষ্ট পড়ে শুধু আক্ষেপ করা ছাড়া কি বা করবো!

সাবধানে থাকবেন।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৬

জেন রসি বলেছেন: আমাদেরকেও নিজেদের অবস্থান থেকে যতটা সম্ভব দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। এবং কোঅপারেটিভ হতে হবে।

আপনিও সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.