নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

থটস

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৬





১৮৪৬ সালে মার্কস এবং এঙ্গেলস মিলে “The German Ideology” নামে একটা বইয়ের পান্ডুলিপি লিখেছিলেন। কিন্তু বইটা প্রকাশিত হয় ১৯৩২ সালে। এই বইতে তারা শুধু ভাববাদকেই না ফয়েরবাখের বস্তুবাদী দর্শনকেও চ্যালেন্জ করেছিলেন। যাইহোক এই বইয়ে তারা যা বলতে চেয়েছেন তা হচ্ছে,

১. দর্শন এবং চেতনা তা ভাববাদীই হোক বা বস্তুবাদী তা যদি প্রয়োগ করা না যায় এবং সে প্রয়োগ যদি পরিবর্তন না ঘটায় তবে সে দর্শন কিংবা চেতনার কোন মূল্য নেই। অর্থ্যাৎ ফল আসতে হবে।

২. মানুষকে বুঝতে হবে প্রকৃতি, সমাজ, তার কর্ম, তার স্বাধীনতা, পরাধীনতা এবং সবকিছুর সাথে তার যে দ্বান্দ্বিক অবস্থান তার আলোকে। অর্থ্যাৎ একটা সমাজে মানুষ যেভাবে সক্রিয় থাকে তার আলোকে। সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে বিমূর্ত মানুষ হিসাবে মানুষকে বুঝলে তার কোন প্র্যাকটিক্যাল আউটকাম থাকবেনা।

৩. ব্যাখা করে কোন লাভ নাই যদি সে ব্যাখ্যার আলোকে পরিবর্তন না করা যায়।

যাইহোক ১৮৪৬ সালের লেখা। আজ ২০২০ সালে এসে মনে হচ্ছে এই যে প্রয়োগ আর রেজাল্ট অরিয়েন্টেড চিন্তা ভাবনা এবং কর্মের কথা মার্কস এবং এঙ্গেলস বলেছেন তা তাদের ফলোয়ার কম্যুনিস্টদের চাইতে বরং শত্রুপক্ষ ক্যাপিটালিস্টরাই বেশী মেনে চলেছে।
সারকথা হচ্ছে মগজে যতই উন্নত চেতনা, বিশ্বাস, ডগমা থাকুকনা কেন তা চর্চা করে পরিবর্তন না ঘটাতে পারলে তা দিনশেষে অন্তঃসারশূন্য কিছু একটাটেই পরিনত হয়। এ দেশের বামরাও তেমন কিছু একটাতে পরিনত হয়েছেন।




জর্জীয় আগামবেন একজন ইতালীয় দার্শনিক এবং মনোঃসমীক্ষক। তার একটা লেখা নিয়ে দার্শনিক এবং বিশ্লেষকদের মধ্যে বেশ আলোচনা সমালোচনা চলছে। আগামবেন তার সে লেখায় যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হচ্ছে,

১ কতৃত্বপরায়ন সরকার “কভিড-১৯” কে উছিলা বানিয়ে মানুষকে আরো বেশী নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।

২ মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে এবং

৩ মানুষের মাঝে সামাজিক দুরুত্ব চর্চার মাধ্যমে মানবিক বোধ কমে যাচ্ছে।

এই লেখার যৌক্তিক পাল্টা জবাব অনেকেই দিয়েছেন। এবং তারা বলতে চেয়েছেন এই মুহূর্তে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখাটাই বরং মানবিক আচরণ এবং জরুরি অবস্থা জারি করার বিকল্পও নেই।

এই আলোচনা সমালোচনা থেকে একটা জিনিস আবারো স্পষ্ট যে যেকোন মতবাদ বা মডেল কেন্দ্রীক বিশ্লেষনের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। সে সীমাবদ্ধতাটা তাত্ত্বিক ভাবে বুঝতে পারা না গেলেও প্রয়োগে খুব প্রকট হয়ে উঠে। যেমন একজন ক্যাপিটালিস্ট যদি মানুষকে ইতিহাসের আলোকে ব্যাখ্যা করে সে বলবে মানুষ স্বার্থপর এবং প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে সে টিকে থাকে। মার্কসবাদী বলবে সবটাই শ্রেণী সংগ্রাম। লিবারেল বাম বা অ্যানার্কিস্টরা বলবে পারষ্পরিক সহযোগীতার মধ্যে দিয়ে কমিউনিটি গড়ে তোলার কথা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এসব পর্যবেক্ষণের সবগুলোই সত্য। আর এই কারনেই যে কোন একটা পর্যবেক্ষণ থেকে মডেল বানিয়ে অ্যাপ্লাই করলে তা যেভাবে কাজ করার কথা সেভাবে আর কাজ করেনা।

যেমন আগামবেনের পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে। কতৃত্বপরায়ণ সরকার যেকোন পরিস্থিতিতে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। তবে সেটা ভালোর জন্যও হতে পারে আবার খারাপ উদ্দেশ্যও হতে পারে। নির্ভর করে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কোনটা দরকার?
অন্যদিকে মাস পিপল তাদের জীবনের দায়িত্ব নিতে কতটা প্রস্তুত? নাকি তারা চায় রাষ্ট্র পরিচালকরা দায়িত্ব নিক? তারা প্রজা হতে চায় বলেইত কেউ রাজার ভূমিকায় আছে। এই প্রজা হতে চাওয়ার মধ্যেও একধরনের দায়িত্বকে এভয়েড করার মানসিকতা আছে।
হাইপোথিসিস আর প্রয়োগ ভিন্ন জিনিস। কারন মানুষের আবেগ এবং প্রবৃত্তি বহুমুখী। একমুখী নয়। বুদ্ধিবৃত্তিক বিবর্তনের অভিশাপও বলা যেতে পারে এটাকে।



বিশ্বায়ন হয়েছে মূলত মুক্ত বাজার অর্থনীতির প্রয়োজনে। এবং বাজার অর্থনীতির ইঁদুর দৌড়ে কিছু রাষ্ট্র হয়েছে রাজা । কিছু রাষ্ট্র নিয়েছে দালালের ভূমিকা। কিছু রাষ্ট্র হয়েছে প্রজা।

বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসাবে পরনির্ভরশীল। এবং এ রাষ্ট্র যারাই পরিচালনা করতে এসেছে তাদের লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্র পরিচালনার নামে বিপুল ক্ষমতা এবং অর্থ সম্পদ ব্যাক্তি এবং দলীয় স্বার্থে কেন্দ্রীভূত করে ফেলা। এবং এটা সম্ভব হয়েছে চেক অ্যান্ড ব্যালান্স না থাকার কারনে। চেক অ্যান্ড ব্যালান্স করবে যে নাগরিকরা তারাই জবাবদিহিতা আদায়ের চাইতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির চর্চা করে গেছে দীর্ঘ সময়। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালকরা পরিণত হয়েছে রাষ্ট্র মালিকে। এবং জনগণ পরিণত হয়েছে প্রজায়। গনতন্ত্রের নামে আমাদের দেশে এক প্রকার রাজতন্ত্রই চলেছে। রাজায় রাজায় এবং তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর লড়াই চলেছে। কোন চেক অ্যান্ড ব্যালান্স নাই। জবাবদিহিতা নাই।

স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টাত নিয়তেই ছিলনা।



এই মুহুর্তে করোনা ক্রাইসিস সামাল দেওয়ার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা সরকারের কাছে নেই। সুতরাং তাদের হাতে অপশন একটাই ছিল। তা হচ্ছে কইয়ের তেলে কই ভাজা। আর সেই ভাজার ফলাফল হচ্ছে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ। ৯ শতাংশ হারে সুদ। ব্যাংকের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিল্প খাতকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা। অনেকেই এই প্রণোদনা প্যাকেজের সমালোচনা করছে যার যার জায়গা থেকে। তবে মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সবার উপর শিল্পপতিরা সত্য। তারা সারভাইভ করলে শ্রমিকদের সারভাইভ করার একটা সম্ভাবনা আছে। আর সরকারের স্বার্থত আছেই। আর যারা দূর্বল তাদের নিয়ে ভাবার অপশন এখন সরকারের নাই। ইচ্ছাও নাই। সে প্রেশারও খুব একটা আছে বলে মনে হয়না। তাছাড়া সুদের অর্ধেক তারা দেবে। অর্ধেক দেবে লোনগ্রহীতা। সরকারের জায়গা থেকে সরকার প্র্যাগমেটিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা প্রেশার ক্রিয়েট করতে পেরেছে এবং যাদের সারভাইভ না করলে বিপদ তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছে সরকার। ;)

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২২

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: কিছু বলার নাই ভাই । সবই সিস্টেম । =p~

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪০

জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সবই সিস্টেম =p~

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


থটস'এর তো শেষ নেই, আপনি কোনটা বলতে চেয়েছেন: বাংলাদেশের প্যাকেজ নিয়ে, পশ্মের দেশগুলো নিয়ে, বাংলাদেশের বামদের নিয়ে? পোষ্ট শেষে কোনটাই পরিস্কার হয়নি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৯

জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। থটস এর শেষ নেই।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: এযুগে এসব অচল।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪০

জেন রসি বলেছেন: অচল। কোন সব?

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৩

ইফতি সৌরভ বলেছেন: সরকারের জায়গা থেকে সরকার Pragmatic সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এর যথাযথ ব্যবহার নিয়ে সরকারের নিজের মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে! আম-জনতা নিজের দোষ স্বীকার না করে সবসময় চায় তা অন্য কারোর উপর চাপিয়ে গালাগালি করে কাজ শেষ করা আর এমতাবস্থায় বিভিন্ন তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশে শাসক শ্রেণী রাজার ভূমিকা নিয়ে স্বনির্ভর দেশ গড়ার বদলে নিজেরাই স্বনির্ভর হয়ে যায়। এখন সমাজে একটা জিনিস লক্ষণীয়: আদতে অকল্যাণকর/অমানবিক/অবৈধ কর্মগুলোও বৈধ হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র পজিটিভ বহুল প্রচারের মাধ্যমে। এ ব্যাপারটি যে দল/গোষ্ঠী বুঝে প্রয়োগ করতে পারে, তারা কিন্তু সফল! আপনার লেখার শুরু এবং সমাপ্তিতে আপনি যেভাবে ধাপে ধাপে সব একবিন্দুতে মিল করেছেন তা ভালো লেগেছে ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৯

জেন রসি বলেছেন: চেক অ্যান্ড ব্যালান্স থাকাটা প্রয়োজনীয়। শাসক শ্রেণী দেখে কারা কিভাবে প্রেশার ক্রিয়েট করতে পারছে। আমাদের দেশে সরকারকে সেভাবে জবাবদিহিতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়না। এবং গুরত্তপূর্ণ ইস্যু গুলোতে মাস পিপলদের মধ্যে ঐক্য নেই। বরং দলীয় লেজুড়বৃত্তির একটা চর্চা আছে।

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: জেন রসি,

মার্কস এবং এঙ্গেলস “The German Ideology”-তে যেভাবে বলেছেন সেটা সত্যি । ফলাফলটা আনতে না পারলে সব উদ্যোগ, সব তত্ত্বই ব্যর্থ । আমার এটাও মনে হয় যে মানুষের প্রাকৃতিক বা বিল্ট ইন স্বভাবের সাথে যে তত্ত্ব স্ববিরোধী হবে সেই তত্ত্ব তাত্ত্বিকভাবে যতই সাউন্ড হোক বা মহৎ শোনাক না কেন সেটা সফল হবে না । মার্কসের দ্যা ক্যাপিটাল- এ প্রপোজ করা শুনতে খুবই সুন্দর "সর্বহারাদের গণতন্ত্র" বা সমাজতান্ত্রও তাই প্রয়োগিক তত্ত্ব হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে (আমার কাছে এখনো দ্যা ক্যাপিটাল আছে আমি আমেরিকায় আসার পরে আমার প্রোগ্রামের রিকোয়ারমেন্ট হিসেবে খুব মনোযোগ দিয়ে এই বই পড়েছি)। মোটিভেশনের থিওরীগুলো অনুযায়ী মানুষ সব সময় আগে নিজের টিকে থাকা তার পর নিজের নিরাপত্তা, সামাজিক দায়িত্ব, তার ইগো, আত্মিক উন্নয়নের কথা ভাবে । এগুলো সমাজতন্ত্র ঠিকভাবে এড্ড্রেস করতে পারেনি। উন্নয়নের জন্য একটা মানুষের স্বভাবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ তত্ত্ব দরকার যেটা মনে হয় এই ক্যাপিটালিজম আর সমাজতন্ত্রের রশি টানাটানিতে পূর্ণাঙ্গ ভাবে কখনো মেইন স্ট্রিম আলোচনায় আসতে পারেনি ।একটা কম্প্রোমাইজ দরকার এই দুই তত্ত্বের মধ্যে । মধ্যম কিছু একটা

আর বেনোভোলেন্ট অটোক্রেটিক লিডারশিপ থিয়োরীর কথাতো আমরা জানি । মাঝে মাঝে ইমার্জেন্সির সময় সমাজের অসংখ্য মানুষের ইচ্ছে কে স্ট্রিমলাইন করার জন্য অটোক্রেটিক লিডারশিপ কাজে দেয় ইতিহাসতো তাই বলে । চিয়াংকাইশেক, লি কুয়ানের মতো আর্মি ম্যান দিয়ে তাই আধুনিক সময়েও উন্নত রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন সম্ভব হয়েছে । জর্জীয় আগামবেনেই ভাবনাটা সত্যি কিন্তু শর্ট রানে এটা এখন করতেই হবে । আনফরচুনেটলি বিজ্ঞান করোনার ব্যাপারে এখন খানিকটা অটোক্রেটিক রুলারদের স্টাইলকেই এডভোকেসি করছে ! লক ডাউনের চেয়ে ভালো কোনো ব্যবস্থা আর নেই এই ভ্যাকসিনহীন সময়ে করোনার আক্রমণ থেকে মানুষকে বাচাতে ।

করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার যা করছে সেটার ফল কতটুকু আসবে সেটাই এখন আশংকার । শিল্পপতিদের দখলে দেশের সরকার, রাজনীতি আর অর্থনীতি । তারা তাদের বাঁচাতে পলিসি করেছে । কিন্তু এই ইকুয়েশনের একটা ছোট কিন্তু খুব ইম্প্যাক্টফুল ফ্যাক্টর বা স্টেকহোল্ডার হলো সাধারণ মানুষ -মানে ধরেন বলা যায় গার্মেন্টের শ্রমিকরা । এই যে এদের ডেকে এনে সারা দেশ জুড়ে করোনার মতো একটা ভয়াল ঘাতককে ছড়িয়ে দেবার ব্যবস্থা করা হলো এর ফলাফল খুবই সুদূরপ্রসারী হয়ে যেতে পারে । এই গার্মেন্টস শিল্পের একটা বড় অংশ যদি করোনা ইনফেক্টেড হয়ে কাজের অনুপযোগী হয়ে যায় তাহলে দ্রুত তাদের রিপ্লেসমেন্ট করা অসম্ভব হয়ে যেতে পারে(ট্রেইন্ড স্টাফদের কথা মাথায় রেখে বললাম কথাটা )। সেটা গার্মেন্টস শিল্পের জন্য একটা অশনিসংকেত হয়ে যাবে । এদের কাঁধে রেখে তাকে করা বন্দুক তখন ঘুরেও যেতে পারে (আর্থিক ক্ষতি অর্থে বলছি শ্রমিকরা বিপ্লব করবে বা পারবে সেটা আমি ভুলেও বলছি না)। আমাদের দেশের সরকার আর রাজনীতিবিদদের লোভ লালসার কাছে আমাদের ভবিষ্যৎ জিম্মি না মনে হয় পুরো ধ্বংসই হয়ে গেলো এবার ।

চমৎকার একটা লেখা পড়লাম সেটা বলতেই হবে ।ব্লগে এই বিষয়ে থিয়োরি আর বাস্তবের মিশালে এই রকম চমৎকার লেখা অনেক দিন পড়ি না । ধন্যবাদ নিন ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

জেন রসি বলেছেন: প্রতিটি মানুষকেই একটা সামাজিক, কালচারাল এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতার ভেতর বাস করতে হয়। এই বাস্তবতা ঠিক প্রকৃতির আইনের মতনা। যেমন ধরা যাক অভিকর্ষ বল বা পৃথিবীর সূর্যের চারপাশে ঘুরার মত ব্যাপারগুলোকে আমরা নিজেদের মত পরিবর্তন করে ফেলতে পারবনা। কিন্তু সামাজিক, কালচারাল এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে আমরা নিজেরদের প্রয়োজনে পরিবর্তন করে ফেলার ক্ষমতা রাখি। আর সেসব কারনেই নানা তত্ত্ব, হাইপোথিসিস, দর্শন। এবং যাপিত জীবনের নানা রকম সমস্যার মোকাবেলা করতে গিয়েই আমরা সেসবের ভেতর দিয়ে যাই। অর্থাৎ আমাদের ঠিক কি সমস্যা ফেস করতে হচ্ছে এবং তার সমাধানের জন্য আমাদের কি করা উচিৎ? কিন্তু মানুসের একটা স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে সে কিছু একটাকে প্রকৃতির আইনের মতই বিশ্বাস করতে চায়। যে বিশ্বাস তাকে সব সমস্যা থেকে মুক্ত করে দেবে। ফলে কোন তত্ত্ব বা হাইপোথিসিস সমাজ বাস্তবতায় কাজ না করলেও সে তা আর ফেলে দিতে পারেনা। যেমন উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে ধর্মীয় বিশ্বাস কিংবা রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস। মানুষের এই প্রবনতাটা বিপদজনক। যেমন দেখেন জর্জীয় আগামবেনের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই হয়েছে।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে মানুষের মাঝে এমন কিছু প্রবৃত্তি আছে যা বিপরীতমুখী। মানুষ ভালোবাসে। আবার ঘৃণাও করে। সে যেমন স্বার্থপর। আবার অপরের জন্য সে নিজের জীবনকে বিপন্নও করে ফেলতে পারে। তাই যে কোন এক প্রবৃত্তির কথা মাথা রেখে তা প্রয়োগ করতে গেলে পাল্টা কিছু একটাও চলে আসে।

যাইহোক, যে সমস্যার জন্য যা করলে বেটার ফল আসবে সেটাই মুলত মানুষের করা উচিৎ। তবে এখানে আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে উদ্দেশ্য। যেমন শাসক গোষ্ঠী এবং আমজনতার উদ্দেশ্য এক নয়। আমজনতা যদি বুঝতে না পারে কিসে তার ভালো এবং কিসে তার অমঙ্গল এবং সে বোঝাপড়া থেকে শাসকগোষ্ঠীকে প্রেশারাইজড করতে না পারে তবে কাজ হবেনা। শিল্পপতিরা তাদের প্রয়োজনে সরকারকে প্রেশারাইজড করতে পেরেছে। আমজনতা পারেনি। আর এই না পারার কনসিকয়েন্সও তাদের ভোগ করতে হচ্ছে এবং হবে।

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য প্রথম দরকার একটা গণতান্ত্রিক জনগনেরদল।উন্নয়নের জন্য সঠিক পরিকল্পনা।বাস্তবায়নের জন্য ডায়নামিক লিডারশিপ।যতদিন না হবে ততদিন এই তরবর তরবর করেই চলতে হবে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জেন রসি বলেছেন: এবং সেটা জনগণকেই আদায় করে নিতে হবে তাদের ভালোর জন্য।

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৪৬

সোহানী বলেছেন: জেন ভাই, সবই ঠিক আছে কিন্তু সমস্যা আমরা এমন এক দেশে বাস করি যার নীতি/কথা/পলিসি/আদর্শ সকালে একরমক আবার বিকেলে আরে রকম। খোদ সরকারের প্রধান উপদেষ্টাই জানে না কি করা উচিত, কি করছি, বা কি করবো। কারো সাথে কারো কোন কোর্ডিনেশান নাই। তারউপর নেত্রীকে তেল দেবার একটা প্রতিযোগিতা। আর এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা কে যে কার পিছনে বাঁশ দেয় সেটা ও একটা দেখার বিষয়। যার কারনে কেউই মৈালিক সিদ্ধান্ত দিতে ভয় পায়। কারন দূর্মুখের অভাব নেই দেশে।

তারপরও, দেশ আমেরিকা ইউরোপের মতো দেশ নয়। নুন আনতে ফান্তা ফুরোয়। যে প্রণোদনা বলুক বা যাই বলুক তার সঠিক পরিকল্পনা যেমন দরকার তেমনি দরকার কিছু নিলোর্ভী মানুষ তা বাস্তবায়নের জন্য। কারন ভাগের কম্বলটা কতটুকু ছাড় দিবে, সেটা ও একটা বড় প্রশ্ন।

অনেকদিন পর আপনার লিখা পড়ে ভালো লাগছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

জেন রসি বলেছেন: এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টারা কি কেন কিভাবে চায়? তারা কিন্তু সবার আগে ভাববে নিজেদের সারভাইভালের কথা। এবং দেখবে কারা কিভাবে প্রেশার ক্রিয়েট করছে এবং কাকে কতটা কিভাবে দিয়ে সামাল দেওয়া যায়। জনগনের জন্য তারা ততটুকোই করবে যতটুকো তারা আদায় করে নিতে পারে বা তার জন্য প্রোপার চাপ দিতে পারে।

৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫৫

পলাতক মুর্গ বলেছেন:

:( :( :(

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

জেন রসি বলেছেন: হুমমমম.......

৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ১।
সমাজতাত্ত্বিক য়ুরগেন হেবারমাসের পাবলিক স্ফিয়ার বা জনপরিসর তত্ত্বকে তাত্ত্বিক পরিসরে দেখলে দেখা যাবে - রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যন্ত্রের বাইরে দাঁড়িয়ে জনসাধারণ যখন রাষ্ট্রের মুক্তাঙ্গন সমূহে মিলিত হয়, আলাপচারিতায় নিমগ্ন হয়, রাষ্ট্রীয় বিবিধ সিদ্ধান্তের ভালোমন্দ নিয়ে তর্কে প্রবৃত্ত হয়, তখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠে এক একটি লোক সংগঠন। তার কিছু হয় সামাজিক, কিছু সাংস্কৃতিক, কিছু রাজনৈতিক, কিছু ধর্মীয়। হেবারমাসের মতে পাবলিক স্ফিয়ার যত শক্তিশালী হবে , রাষ্ট্রের গণতন্ত্র ততটাই শক্তিশালী হবে। হেবারমাসের সাথে ফুঁকোর গঠনগত সময়ে (যখন ফুঁকো ফুঁকো হয়ে উঠছেন) সাক্ষাৎ হয়, এবং তরুণ ফুঁকো হেবারমাসের চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, এমনটাই তার শেষজীবনের এল এইচ মারটিনকে লন্ডনে এক কনফারেন্সের সময় দেয়া সাক্ষাৎকারে ফুঁকো বলেছিলেন।

হেবারমাসের এই পাবলিক স্ফিয়ারের সবচে প্রকৃষ্ট উদাহরণ, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে - আমাদের টং দোকান, বা রেস্টুরেন্ট গুলোর সান্ধ্যকালীন আড্ডা , বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির টিএসসিতে ছাত্র - ছাত্রীরা যে আড্ডায় প্রবৃত্ত হয় তা, শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে নাট্যকর্মীদের আড্ডা, মসজিদে - মন্দিরে - গির্জায় ধার্মিকদের সংঘবদ্ধ হওয়া।

এ সবই তো নিষেধ। হেবারমাসের তত্ত্ব অনুযায়ী বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নাই।

২।
উবিনিগের আমন্ত্রণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে একবার পোস্ট কলোনিয়াল লিটারেচারের ত্রিমূর্তির অন্যতম, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক এসেছিলেন। সেমিনারে আন্তোনিয়ো গ্রামসির হেজিমনি সংক্রান্ত দু' চারটে কথা বলা মাত্রই বঙ্গবীর সলিমুল্লাহ খান সাহেব তাকে থামিয়ে দিয়ে বোঝানো শুরু করেন যে - স্পিভাকের গ্রামসি পাঠ ভুল কিভাবে।

স্পিভাক বেশ কিছুক্ষণ ধৈর্য ধরে চুপ থেকে জাস্ট এক লাইনে ইংরেজিতে সলিমুল্লাহ সাহেবকে যে উত্তর দেন, তার বাংলা অনুবাদ করলে এমন শোনাবে -

'আমি তত্ত্ব পড়ার জন্যেই কেবল পড়ি না, সামাজিক সমস্যাবলীর উত্তর খোঁজার জন্যে তত্ত্ব নির্মাণ ও বিনির্মাণ করি। কেবল পণ্ডিতি ফোলানর জন্যে যে তত্ত্ব - আমি তার মুখে ঝাঁটা মারি।'

৩।
তত্ত্বের প্রয়োজনটা আসলেই ঐ জায়গায়। সামাজিক সমস্যার সমাধান। কমনসেন্স যেমন এটা বলছে যে - এখন করোনা মোকাবেলায় ঘরে থাকা প্রয়োজন। এখন আগামবেন, বা হেবারমাস, যেই আমাকে গণতন্ত্রের ধুঁয়া তুলে আবার রাস্তায় বেরিয়ে আসতে প্রলুব্ধ করুন না কেন, আমার কমনসেন্সিক্যাল রেসপন্স হবে - 'ঝাঁটা মারি তোমার থিওরির মুখে।'

শুভেচ্ছা জানবেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২০

জেন রসি বলেছেন: হেমারবাসের পাবলিক স্ফিয়ার তত্ত্ব অনলাইন যুগে আরো বহুমাত্রিক রুপ ধারন করেছে। যেহেতু মিডিয়া সরকার বা শিল্পপতিদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। তবে মানুষ টং দোকানেই হোক বা ছবির হাটে কিংবা ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন তাদের ভাবনা চিন্তাকে অ্যাকটিভিজমে রুপান্তরিত করতে পারে তখনই মূলত এই তত্ত্ব কাজ করে। যেমন আমাদের দেশের শাহবাগের মুভমেন্ট। তাই পাবলিক স্ফিয়ারকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা চেষ্টাও সেভাবে থাকে। সে চেষ্টা এখন করোনা ক্রাইসিসের মুহূর্তেও কিন্তু সরকার করে যাচ্ছে। তাদের ন্যারেটিভের বাইরে কেউ কিছু বলতে চাইলেই তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এটা একটা দিক। আবার এটাও সত্য এই পাবলিক স্ফিয়ার থেকেই নানা রকম মিথ্যা তথ্য, গুজব বা ভ্রান্ত বিশ্বাস বা আদর্শ দ্বারাও মানুষ প্রভাবিত হতে পারে এবং অ্যাকটিভিজম চালাতে পারে। তেমনটাও হচ্ছে।

তত্ত্বকে পরিস্থিতির ভেতর ফেলে যাচাই বাছাই করে প্রয়োগ বা প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারাটা জরুরি। যেমন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক সলিমুল্লাহ সাহেবকে বলেছিলেন যে "আমি তত্ত্ব পড়ার জন্যেই কেবল পড়ি না, সামাজিক সমস্যাবলীর উত্তর খোঁজার জন্যে তত্ত্ব নির্মাণ ও বিনির্মাণ করি। কেবল পণ্ডিতি ফোলানর জন্যে যে তত্ত্ব - আমি তার মুখে ঝাঁটা মারি।"


"তত্ত্বের প্রয়োজনটা আসলেই ঐ জায়গায়। সামাজিক সমস্যার সমাধান। কমনসেন্স যেমন এটা বলছে যে - এখন করোনা মোকাবেলায় ঘরে থাকা প্রয়োজন। এখন আগামবেন, বা হেবারমাস, যেই আমাকে গণতন্ত্রের ধুঁয়া তুলে আবার রাস্তায় বেরিয়ে আসতে প্রলুব্ধ করুন না কেন, আমার কমনসেন্সিক্যাল রেসপন্স হবে - 'ঝাঁটা মারি তোমার থিওরির মুখে।'"

একমত পোষণ করছি।

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২২

জেন রসি বলেছেন: ইয়েস :)

১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২১

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমার মনে হয়, আর অল্প কিছুদিন পরেই আপনি আমি দেখতে পাবো, সরকার ব্যবস্থা হয়ত থাকবে কিন্তু আসলে ঐ ব্যবস্থার কোনও প্রায়োগিক দিক থাকবে না। মানে হচ্ছে, সরকার শুধু "Statutory Body" হিসেবেই কাজ করবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের যেহেতু প্রায় সমাপ্তি হয়ে যাচ্ছে, তাই আসলে সরকারের হাচে এই বাদে আর কোনও উপায় ও থাকবে না /:)

আপনার পোস্টে আপনি অনেক কিছুই বলতে চেয়েছেন, তবে আমার মনে হয়না যে আমাদের দেশে আর সেই পুরনো আমলের ধ্যান-ধারণা চলবে। শুভেচ্ছা নেবেন আর সাবধানে থাকবেন :)

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৯

জেন রসি বলেছেন: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমাপ্তি হবেনা। সবকিছুই চলবে। কিন্তু পরিস্থিতির ভিক্তিম হবে অনেক অনেক মানুষ। সেটাকে মিনিমাইজ করার ব্যাপারে জনগণকেই তাদের প্রাপ্য আদায় করে নিতে হবে সরকারের কাছ থেকে। না পারলে সরকার কিছুই করবেনা। এটাকে একধরনের জঘন্য বাস্তবতাও বলতে পারেন।

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে সব দেশ মুক্ত বাজার অর্থনীতির মোড়ল তারা পর্যন্ত এই পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন বাঁচানোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশ একটা অরাজগতার দেশ তাই দুর্বলেরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারছে না। সরকার ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভুল করলো। প্রণোদনা ঠিক আছে কিন্তু যারা ব্যবসা বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট নয় তাদের ব্যাপারে তেমন কিছু বলা হোল না। পরিণামে সকল জীবনহানীর দায় সরকারের ঘাড়েই পরবে। আমাদের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরের অবস্থা তাই প্রমান করে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩০

জেন রসি বলেছেন: শাসক গোষ্ঠী এবং আমজনতার উদ্দেশ্য এক নয়। আমজনতা যদি বুঝতে না পারে কিসে তার ভালো এবং কিসে তার অমঙ্গল এবং সে বোঝাপড়া থেকে শাসকগোষ্ঠীকে প্রেশারাইজড করতে না পারে তবে কাজ হবেনা। শিল্পপতিরা তাদের প্রয়োজনে সরকারকে প্রেশারাইজড করতে পেরেছে। আমজনতা পারেনি। আর এই না পারার কনসিকয়েন্সও তাদের ভোগ করতে হচ্ছে এবং হবে।

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

মিরোরডডল বলেছেন: থটস দর্শন অথবা মতবাদ , যে নামেই বলিনা কেনো সেটা স্থান কাল পরিস্থিতির কারনে অনেকসময় বদলায় । একই দর্শন সব ক্ষেত্রে একইভাবে কাজ নাও করতে পারে ।
যে অ্যাকশনের কোন রিঅ্যাকশন নেই বা থাকলেও সেটা থেকে পজিটিভ রেজাল্ট নেই, তাহলে সেটা আসলেই অর্থহীন । সত্যি তাই ।
দেশের কথা কি আর বলবো, হতাশ! জাস্ট পড়লাম । ওভারল লেখাটা ভালো লেগেছে ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ।কারন জীবনের জন্যই থটস দর্শন অথবা মতবাদ। তবে এই বদলাবার প্রক্রিয়া এবং পথটাও সহজ নয়।

যে অ্যাকশনের কোন রিঅ্যাকশন নেই বা থাকলেও সেটা থেকে পজিটিভ রেজাল্ট নেই, তাহলে সেটা আসলেই অর্থহীন।

সেটাই।

১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

শিকারি মুসাফির বলেছেন: বাহ !! চিন্তাশীল লেখা । ভাল লেগেছে ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

জেন রসি বলেছেন: আচ্ছা। ধন্যবাদ।

১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে সেটা জানতে আবার এলাম।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

জেন রসি বলেছেন: আচ্ছা।

১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সংক্ষেপে বলে দেশ চালাতে যারা গুরুত্বপূর্ণ তাদের গুরুত্ব দিতে বাধ্য হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ওভাবেই চলে। জোর যার মুল্লুক তার।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

জেন রসি বলেছেন: হুমমমম.......

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি এতদিন সুইডেনের সমালোচনা করছিলাম কিন্তু কয়েকদিন আগে ট্রাম্পের একটা বক্তব্য আর আপনার পোস্ট পড়ে এখন টোটালাটারিয়ান বা অথোরোটেরিয়ান স্টেটের কনসেপ্ট থেকে সরে এসেছি। তবে এটা ঠিক হাঙ্গেরী পোল্যান্ড বুলগেরীয়ার মতো দেশে সরকার অথোরোটেরিয়ানের ভূমিকা নিচ্ছে যেটা কিনা গনতন্ত্রের জন্য হুমকি কিন্তু সংবিধানের ওপর হাত দেয়ার ঘটনা আরো ভয়ংকর।

হার্ড কম্যুনিটি বসায় সুইডেন অবশ্য তীব্র প্রতিবাদ করেছে এবং এর ফল স্বরুপ গত কয়েকদিনে তারা আইন পাশ করেছে যার ফলে তারা একটা লকডাউনের মতো কিছু করতে পারে। কিন্তু বর্তমান মানবতাবাদী বা কল্যাণমূলক দেশগুলো অর্থনৈতিক ধ্বসের কারনেই হোউক বা সম্ভাব্য সামাজিক বিপর্যয় বা অস্তিত্ববিনাশের ভয় থেকেই হোক, হার্ড কম্যুনিটি সিস্টেম বেশ কার্যকর। পূর্বাপর পোলিও রুবেলা ব্রংকাইটিস এভাবেই দূর করা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যদি কিছু বলতেই হয় তাহলে উপরে সাজিদ উল আবির যেটা বলেছে, দ্বিমত পোষন করা যেতেই পারে.. তবে একমত না হয়ে উপায় নেই। যে দেশে জঙ্গি ধর্মের কারনে শবে বরাত বা জুম্মার নামাজের মতো ফালতু কুসংস্কারাচ্ছন্ন আনুষ্ঠানিকতা। মেনে চলে সেদেশে অথোরেটেরিয়ানের দরকার আছে।

তবে পরিবর্তন যদি আনতেই হয় সেটা তত্বের মধ্যে থেকে হোক, কারন তাতে যে ফ্রেমওয়ার্ক গড়ে ওঠে তাতে ভুল হবার চান্স কম। যেমন বিজ্ঞান

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪২

জেন রসি বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে এইসব ক্ষেত্রে দুয়ে দুয়ে চার অধিকাংশ সময় মিলে না। করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যা মনে হচ্ছে(কনক্রিট প্রমান ছাড়া গাট ফিলিং)

১. করোনা হিউম্যান মেইড ভাইরাস। এক বা একাধিক গোষ্ঠী কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্বজুড়ে করোনা সংকট তৈরি করেছে।
২. গ্লোবাল পলিটিক্স, জিওপলিটিক্স, ব্যবসা বানিজ্যের দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের ফল এই করোনা সংকট। যারা জিতবে তারাই সিকান্দর।
৩. মানুষকে পুরো সূতোয় নাচানো পুতুল বানানোর এক ধ্বংসাত্বক আয়োজন। যেখানে মানুষ বুঝুক বা না বুঝুক যেমনে নাচাও তেমনি নাচি ছাড়া তার হাতে আর কোন অপশন থাকবেনা।
৪. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং এনজিও ওয়ালাদের বিশ্বাস করার কোনই কারন নেই। তারা ফুল নিয়ে আসলেও না। প্রতিষেধক নিয়ে আসলেও না। তবে অবিশ্বাস করলেও কিছু করার নেই।
৫. চমস্কি টাইপ বুদ্ধিজীবীরা যতই সত্যের অনুসন্ধান করুক এবং তা প্রকাশ করার চেষ্টা করুক বাস্তবিক অর্থে তারা সিস্টেমের গায়ে তেমন কোন আচড়ও ফেলতে পারবেনা।
৬. এ গেমে আমাদের মত দেশ হচ্ছে বলির পাঁঠা। এদেশের এলিটদের ক্ষমতা নির্ভর করে মূলত দেশের বাইরের শক্তিকে তুষ্ট করার উপর। এবং লোকাল পাতি এলিটদের ক্ষমতা নির্ভর করে এসব এলিটদের তুষ্ট করার উপর।
৭. আমরা এদেশের আম জনতারা হচ্ছি কম দামী পুতুল। আমাদের নিয়ে খেলে খুব দ্রুতই ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হবে।

১৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সাজিদ উল হক আবির নাম হবে ওনার। সরি বানানটা ঠিক ভাবে লিখতে পারিনি

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৪

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.