নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবিনশ্বর সময় বিদ্রোহ করে অ্যান্টিক্লকওয়াইজ!

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩০




সৃষ্টি নাই, ধ্বংস নাই
সময় অবিনশ্বর, অমর।
আমি থাকি অসময়ে
সময়ের অবচেতনে
যার ঘর সংসার।
আমার সাথে থাকে
জন্ম, মৃত্যু এবং বোধ!
অমার ভেতর বাস করে
আমি, তুমি এবং তোমরা
এবং আমি সেই নশ্বর ইশ্বর
যে এক মুহূর্তে সময় নিয়ে
বিলীন হতে পারি শূণ্যে।
ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায়!

কিংবা নশ্বর আমার ভেতর
অবিনশ্বর সময় বিদ্রোহ করে অ্যান্টিক্লকওয়াইজ!


তোমার মনের ভেতর
একটা কুকুর ডেকে উঠে অবিরাম
সে তোমার কাছ থেকে
তোমাকে পাহাড়া দেয়।

তোমার মনের ভেতর
ঢুকতে গেলেই কুকুরটা
আমাকে ক্ষত বিক্ষত করে
রক্তাক্ত করে বারবার।

তুমি জিদে কুকুর পিটাও
তারপর একবার কুকুরের
জন্য কাঁদ একবার আমার জন্য।

তোমার রূহের ভেতর তখন সূর্য ডুবে যায়
আমি গাঢ় অন্ধকারে পথ হারিয়ে কোথাও যাইনা।


জোৎস্না মাখানো দুপুরে
চাঁদের কাছে সব আলো দিয়ে
নির্বাসনে চলে গেছে সূর্য।

একটি চাতক তখন পুরো সমুদ্র
পান করে অমবশ্যার চাঁদ দেখবে বলে
প্রবল তৃষ্ণায় অঘোরে ঘুমাচ্ছে!

এমন দুপুরে আমি কারো ডাক শুনিনা
না কাকের, না মানুষের, না যন্ত্রের, না মন্ত্রের
এমন দুপুরে আমার কোন দিক থাকেনা
অথচ আমি চলে যাই সব দিকে!

এমন দুপুরে আমি কোথাও থাকিনা।


প্লেট ভর্তি
তৈলাক্ত, পঁচা,বাসি উন্নয়ন
চেটেপুটে খেয়ে তৃপ্তির
ঢেঁকুর তোলে বোধহীন রাষ্ট্র!
আর তার জঠর থেকে
উঠে আসা মানুষগুলো
চন্দ্রধাক্কা খেয়ে চন্দ্রাহত
হতে হতে বাজার অর্থনীতির
নামতা কষতে কষতে
ব্যাগভর্তি করে নিয়ে আসে
চেতনা, ধর্ম, পলিটিক্স, যৌনতা
ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা

তারপর অতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে
নিভে যায়! নিভে যায়!

কখনো কোথাও
কেউ কেউ জ্বলে উঠে।


পৃথিবীতে মাথা রেখে ঘুমাতে যাই
আর জেগে উঠে দেখি এক আদিম গুহায়
পৃথিবী তার সব ইতিহাস আমার মগজে
লিখে রেখে নিজের সাথে দাবা খেলছে।

অথচ চাল দিচ্ছি আমি।

পৃথিবী সংকুচিত হতে হতে যখন
তোমার অবয়ব নেয় তখন
আমি বলে উঠি চেক। অথচ দাবার
বোর্ড থেকে আমার গুটিগুলো উঠে গুহা
ছেড়ে চলে যায়।

কোথায়? কার কাছে যায় তারা?

তা জানার আগেই পৃথিবীতে মাথা
রেখে আমি ঘুমাতে যাই।

জেগে উঠে দেখব? তোমাকে


করোটির ভেতর পৌরাণিক অভিশাপ!ঘোর উল্টা পথে হেঁটে আবার যেখানে ফিরে আসে সেখানে এক জন্মান্ধ বৃক্ষ দাঁড়িয়ে থাকে। ছায়াহীন। তার ডালে বসে রোদ পোহায় এমন সব পাখি যাদের কোন বৈজ্ঞানিক নাম নেই। ঘোর ফিরে আসলে আমিও মাঝেমাঝে ফিরে আসি। পাখির ডানায় চড়ে কিছুটা উড়ি এদিক ওদিক। পাখিগুলো ডালে গিয়ে বসলে জন্মান্ধ বৃক্ষ তার চোখগুলো আমাকে দিয়ে দেয়। চোখগুলো পকেটে রেখে উল্টা পথে যেখানে যাই সেখানে সাপের ঠোঁটে চুমু খাওয়া যায়!

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১-৬, সবগুলোই চমৎকার! +

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৮

আহত মেঘফুল বলেছেন: ৪ নাম্বারটা ঠিকাছে ভাই, আমার পছন্দ

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫০

জেন রসি বলেছেন: আচ্ছা। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি,




সৃষ্টি না থাকলে ধ্বংসও যে থাকেনা এটা যেমন সত্য তেমনি সত্য বাসি উন্নয়নে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে রাষ্ট্রেরও বোধহীন হয়ে যাওয়া! আর তাতেই আমাদের রূহের ভেতরে নির্বাসনে চলে যায় সূর্য্যটা । আর তখনই করোটির ভেতর থাকা পৌরাণিক কুকুরের ডাক শুনে সংকুচিত হতে থাকা পৃথিবীতে জন্মান্ধ বৃক্ষের মতোই অন্ধকার আগলে ঘুমিয়ে পড়ি আমরা।

এক একটা খন্ড যেন বোধের এক একটা কষ্টিপাথর।

(২ নম্বরের শেষ লাইনের "গাড়"টাকে " গাঢ়" করে দিন। )

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৭

জেন রসি বলেছেন: যেমনটা জীবনানন্দ দাশের উপলব্ধি করেছিলেন

"আলো-অন্ধকারে যাই—মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, কোন্ এক বোধ কাজ করে;
স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়—ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়;
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে,
সব কাজ তুচ্ছ হয়—পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা—প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়"

কিংবা চার্লস বুকস্কির ভাষায়,

"there's a bluebird in my heart that
wants to get out
but I'm too clever, I only let him out
at night sometimes
when everybody's asleep.
I say, I know that you're there,
so don't be
sad.
then I put him back,
but he's singing a little"

চমৎকার মন্তব্যে ভালো লাগা জী এস ভাই।

"গাড়" কে "গাঢ়" করে দিয়েছি।

শুভকামনা।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিপাটি লেখা ।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: জেন রসি,
তিন নাম্বার চমতকার । এর শুরুটা কেন যেন দেশের ক্রান্তিকালের কথা মনে করিয়ে দিলো ।
জোৎস্না মাখানো দুপুরে
চাঁদের কাছে সব আলো দিয়ে
নির্বাসনে চলে গেছে সূর্য।

সরকারের নির্লিপ্ত মৌনতায় বেঁচে থাকবার সুখ, আশাগুলো দেশে এই ভয়াল করোনায় লুকিয়ে গেছে দেখেই কি আপনার কবিতা দেশকে মনে করালো না কি কে জানে । কবিতায় ভালো লাগা ।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

জেন রসি বলেছেন: পাঠক তার মত করে কবিতাকে বিনির্মাণ করলে লেখকের ভাবনা জগতও প্রসারিত হয়। মন্তব্যে ভালো লাগা।

শুভকামনা।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ভালো লেগেছে। আপনার কবিতায় হঠাৎ দু' একটা আরবি শব্দের প্রয়োগ পুরো খেলাটাই পাল্টে দেয়। মজা লাগে।
বড় মাপের কবিদের কবিতায় কবিদের নিজেদের খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের বানী হয়ে ওঠে প্রফেসির মত। সার্বজনীন। ব্যাপারটা নিয়ে খানিকটা চিন্তাভাবনা করে দেখতে পারেন।

এখনো যে কবিতা লিখছেন , এটাও অবাক লাগে। ২০১৫ - ১৬ র পর আমার কবিতা লেখার দক্ষতা আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছে। কবির মত করে ভাবার, পৃথিবীর দিকে তাকানোর জন্যে যে অবসর, নিদেনপক্ষে মানসিক ফুসরত লাগে , তা আর পাচ্ছি না বলে। কবি তো প্রথমে মাথায় কবি, তারপর খাতায়। আশেপাশে যা কিছু কবিতার নামে দেখি, বেশীর ভাগই ছড়া, বা সর্বোচ্চ 'কবিতা লেখার প্রচেষ্টা' বলা চলে। কবিতা পত্রিকায় ছাপাতে হলে অনেক ক্ষেত্রেই সাহিত্য সম্পাদকের মুরিদী গ্রহণ করতে হয়, আর অনলাইনে কবিতার নামে চলে লাইকের রাজনীতি। যার কবিতায় যত বেশী লাইক, সে তত বড় কবি।

জীবনানন্দ দাস এ সময়ে জন্ম নিলে আরও আগে ট্রামের নীচে ঝাঁপ দিতেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

জেন রসি বলেছেন: কবিতা আমি লিখতে চাইনা ঠিক। কবিতা লেখার জন্য নিজেকে যোগ্য মানুষ মনে করিনা। তবুও মাঝেমাঝে লিখে ফেলি। তাছাড়া ২০১৭-২০১৯ আমি একধরনের ক্রাইসিসের মধ্যে ছিলাম। দার্শনিক ভাষায় যাকে অস্তিত্তের সংকট বলতে পারেন। কোন কিছুতেই কোন অর্থ খুঁজে পাচ্ছিলামনা। সবকিছুই মিনিংলেস এবং কাম্যুর ভাষায় অ্যাবসার্ড মনে হচ্ছিল। ফলে এই সময়টায় আমার ভেতর এমন এক অন্তঃসারশূন্য ব্যাপার কাজ করছিল যে ঠিক কোথাও সেভাবে আমার ডেভেলপমেন্ট হয়নি। সুতরাং লেখালেখি বলুন, জব বলুন, রিলেশনশিপ বলুন সবকিছুই একটা আনস্ট্যাবল জায়গায় চলে যায়। যাইহোক সে কাম্যুর ভাষাতেই বলতে গেলে সমাধান হিসাবে অ্যাবসার্ডিটিকে আমি মেনে নিয়েছি। এবং আমার সাইকোলজিস্ট হিসাবে গৌতম বৌদ্ধ সবসময়ই থাকেন।

বড় মাপের কবিদের কবিতায় কবিদের নিজেদের খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের বানী হয়ে ওঠে প্রফেসির মত। সার্বজনীন। ব্যাপারটা নিয়ে খানিকটা চিন্তাভাবনা করে দেখতে পারেন

নিজেকে যে একেবারেই খুঁজে পাওয়া যায়না এমনটা আমি মনে করিনা। বরং মনে হয় তাদের ইগোর সাথে অল্টার ইগোর দ্বন্দ্ব থেকে যে সিনথেসিসের জন্ম হয় সেটাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রফেসির মত বা সার্বজনীন হয়ে উঠে।

এ দেশে লেখক হতে গেলে স্টোয়িক হতে হবে প্রথমে। নাহয় ট্রামের নিচে ঝাপ দেওয়ার মত একটা প্রবণতা চলে আসবেই।

মন্তব্যে ভালোলাগা। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ভাষা সূন্দর।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০৩

ডার্ক ইথান বলেছেন: সবগুলোই চমৎকার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.