নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক অপিনিয়ন, হাইপোথিসিস এবং পোস্টমর্টেমঃ ব্লগ কি তার কার্যকারীতা হারিয়ে ফেলেছে? ফেললে কেন? আশাবাদী হওয়ার মত কোন যৌক্তিক কারন আছে কি?

০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২



ফেসবুকে সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগারদের নিয়ে একটা গ্রুপ আছে। সে গ্রুপে কাল একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। পোস্টটা ছিল,

বুদ্ধিবৃত্তিক নানা রকম চর্চার জন্য একসময় ব্লগ খুব জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ছিল। নতুন প্রজন্মের অনেক কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীই ব্লগ থেকে এসেই পরে মূলধারার মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়াও নানা রকমের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা, ক্রিটিক্যাল অ্যানালাইসিস করে অথরিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার এক চমৎকার মাধ্যমও ছিল ব্লগ। আবার অন্য দিকে কারো পারসোনাল স্কিল দেখানো বা মন খুলে আড্ডা দেওয়ার মত ব্যাপারও ছিল। আমার ধারনা বৈচিত্র্য এবং নানা মতের মানুষের ভাবনা চিন্তার যে দ্বন্দ্ব তাই ব্লগকে এদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার এক প্রাণ কেন্দ্রে পরিনত করেছিল। যাইহোক, ব্লগ এখন ঠিক সে জায়গায় নেই। অনেক ব্লগই বন্ধ হয়ে গেছে। সামু বেঁচে আছে ধুকে ধুকে। অনেকেই তার কারন হিসাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তার নানা রকম ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। যেমন,

১। ব্লগের পতনের কারন নাস্তিক আস্তিক বিতর্ক।
২। ব্লগের পতনের কারন ফেসবুকের মত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
৩। দলবাজি, সিন্ডিকেটবাজি ইত্যাদি।
৪। ডিজিটাল আইন কিংবা শাসকগোষ্ঠীর ফেসিস্ট আচরন।
৫। মোডারেটরদের পারসোনাল এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা কিংবা পলিটিক্স।

এমন অনেক কারনের কথাই বলে থাকেন অনেকে। এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত জানতে চাচ্ছি। ব্লগের পতনের কারন কি বলে মনে করেন? ব্লগ নিয়ে কি আপনারা আশাবাদী? নাকি মনে করছেন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় ব্লগ আর আগের মত শক্তিশালী অবস্থানে কখনো যেতে পারবেনা?


পোস্টে বেশ কয়েকজন ব্লগার খুব স্পষ্ট ভাবে তাদের মতামত জানিয়েছেন। সেসব মতামতের ভিত্তিতে একটা সারসংক্ষেপ করলে যা দাড়ায় তা হচ্ছে,

প্রসঙ্গঃ নাস্তিক আস্তিক বিতর্ক

২০১৩ সালে শাহবাগ মুভমেন্টের পর একটা প্রোপাগান্ডা পাবলিক সেন্টিমেন্টে মোটামুটি ঝড় তুলে। তা হচ্ছে ব্লাগার মাত্রই নাস্তিক। এবং ব্লগে মূলত ব্লগাররা ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে। এই ইস্যু নিয়ে ব্লগগুলো একধরনের সংকটের ভেতর পরে যায়। শুরু হয় গোয়েন্দা নজরদারি। ধর পাকড়। খুন। নেমে আসে আইনের খড়গ। ফলে কোন ব্লগেই আর স্বতঃস্ফূর্ত ডিবেটের সুযোগ ছিলনা। এই বিতর্ককে ব্লগগুলোর পতনের অন্যতম কারন বলা হয়ে থাকে।

এ প্রসঙ্গে একজন ব্লগার বলেন, নাস্তিক আস্তিক বিষয়ক প্রতিক্রিয়ার একটা খেসারত সামুকে দিতে হয়েছে। কারন হিসেবে তিনি বলেছেন, এ বিতর্কের নামে সামুতে আসলে পারসোনাল ব্র্যান্ডিং হয়েছে। অর্থ্যাৎ আলোচনা বিতর্কের উদ্দেশ্য যতটা ইস্যুভিত্তিক বা জানা কিংবা বোঝাপড়ার জন্য হয়েছে তার চেয়ে বেশী হয়েছে নিজের পারসোনাল এজেন্ডা পূরনের জন্য। অর্থ্যাৎ এখানে কনটেন্ট গৌণ ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি মুক্তমনা ব্লগের কনটেন্টের সাথে সামুর কনটেন্টেরও একটা তুলনা করেন।

এ প্রসঙ্গে আরেকজন বলেন পারসোনাল মার্কেটিংয়ের জন্য সামু সবসময়ই একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম ছিল। তাই সে উদ্দেশ্যে ভিন্ন মত পথের মানুষ এখানে ভীড় জমাত।

এখানে প্রশ্ন হচ্ছে নাস্তিক আস্তিক বিতর্কে মুক্তমনার কনটেন্ট অনেক সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু সামুর চেয়ে ব্লগ হিসাবে তারাই বেশী সাফার করেছে। ব্লগাররা গ্রেপ্তার হয়েছে। খুন হয়েছে। এ বিষয়ে সামুর রক্ষণশীল আচরন বা অথরিটিকে মেনে নেওয়ার নীতি কি সামুকে সারভাইভ করতে সাহায্য করেছে?

উত্তরে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্লগাররা বলেন সামু সব দিক থেকে এডজাস্ট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই এডজাস্ট করতে গিয়ে সামু হয়তো টিকে যেতে পেরেছে কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জায়গায় পিছিয়ে পরেছে।

প্রসঙ্গঃ দলবাজি, সিন্ডিকেটবাজি

ব্লগের পতনের কারন হিসাবে ব্লগে দলবাজি সিন্ডিকেটবাজির চর্চার কথা প্রায়ই অনেকে বলে থাকেন। এ প্রসঙ্গে একজন ব্লগার বলেছেন দল বা সিন্ডিকেট খারাপ না, যদি সেটা কোন সুনির্দিষ্ট ইস্যুভিত্তিক বা আইডিওলজিক্যাল হয়। আবার কেউ বলেছেন এসব সিন্ডেকেটবাজির নামে চলে চর দখল টাইপ খেলা। ফলে পীর আর মুরিদরা মিলে ব্লগে যেসব কনটেন্ট প্রসব করে তা দিনশেষে আগাছায় পরিনত হয়। এই আগাছা ছাফ করতে পারেনা বলেই ব্লগ সংকটের মুখে পরেছে?

এ প্রসঙ্গে নিয়ে আলোচনা করতে করতেই ব্লগ মোডারেটরদের প্রসঙ্গ খুব স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসে।

প্রসঙ্গঃ মোডারেটর

সামুর ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে কয়েকজন ব্লগার বলেন সামু নিজ প্রয়োজনেই সবসময় দলবাজি সিন্ডিকেটবাজিকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছে। তারা নিজেদের প্রয়োজনে কাউকে নায়ক বানিয়েছে আবার ভিলেন বানিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটাই গেম অব থ্রোনসের মত। এবং সব ক্যাচালের সাথেই তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। একজন সরাসরি বলেন মডুদের তেল দেওয়া, সিন্ডিকেটের নামে গং বানানো, কনটেন্টের চেয়ে ফেস ভ্যালুকে গুরুত্ব দেওয়া এসব পারষ্পরিক সম্পর্কযুক্ত ব্যাপার ব্লগে। ফলে মান কমে গেছে।

মোডারেটর প্রসঙ্গে আরো একটি বিষয় উঠে এসেছে। তা হচ্ছে ব্লগের উপর মোডারেটরের পারসোনাল চাওয়া পাওয়া কিংবা দক্ষতার কোন প্রভাব পরে কিনা? ধরা যাক একজন মোডারেটর কবিতা বুঝেনা। বা গল্প বুঝেনা। তার দক্ষতা নিবন্ধে। এখন সে মোডারেটর সাহিত্য বিষয়ক কনটেন্টগুলোকে কিভাবে জাজ করবে? বিষয়টি একজনের পক্ষে সম্ভবও না। কারন একজন মানুষ একসাথে সবকিছুতে দক্ষ হতে পারেনা। যেমন একটা পত্রিকার অর্তনীতির পাতা, খেলার পাতা, সাহিত্যের পাতা সব একজনই সম্পাদনা করলে ফলাফলও ভালো হবেনা। ব্লগে তাই হয়েছে।

প্রসঙ্গঃ ফেসবুক, ইউটিউব সহ অন্যান্য মিডিয়ার জনপ্রিয়তা

ব্লগের জনপ্রিয়তা কমার পেছনে অনেক সময়ই অনন্যা মিডিয়ার শক্তিশালী অবস্থানের কথা বলা হয়। যেমন সব কিছুই খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। যা কিছু পরিবর্তনের সাথে এ্যাডাপ্ট করতে পারছেনা তাই পিছিয়ে পরছে। ব্লগের সে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন, উদাহরন হিসাবে বলা হয়েছে ব্লগারদের নিয়ে ফেসবুকে লাইভ প্রোগ্রাম করা যাচ্ছে। কিন্তু ব্লগ থেকে তা করার কোন অপশন নেই। সুতরাং প্রযুক্তির দিক থেকে ব্লগ অন্য মিডিয়ার সাথে পাল্লা দিতে পারছেনা। এবং প্রযুক্তির সাথে সাথে মানুষের রুচিরও পরিবর্তন ঘটেছে দ্রুত।

প্রসঙ্গঃ ডিজিটাইল আইন, শাসকগোষ্ঠীর দমন পীড়ন এবং ফ্যাসিস্ট মনোভাব

ডিজিটাল আইনের নামে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ব্লগকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। এক মন্ত্রীর দাপটে দীর্ঘসময় সামু বন্ধ ছিল। বেড়েছে সরকারের নজরদারি। হস্তক্ষেপ। তবে শাসকগোষ্ঠীর ফ্যাসিস্ট আচরনকে পাল্টা চ্যালেন্জ করতে ব্যর্থ হয়েছে ব্লগ। কেউ কেউ বলেছেন সামু উল্টো আপোষের কৌশল নিয়েছে। ফলে মেরুদন্ড হারিয়ে ধুকে ধুকে বেঁচে আছে।

প্রসঙ্গঃ বাজেট

এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট। ফেসবুক, ইউটিউবের মত মিডিয়ার সাথে পাল্লা দিতে হলে বাজেট দরকার। সে বাজেট কোথা থেকে আসবে? মেইনটেইনেন্স খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কোন বিকল্প পথও ব্লগ খুঁজে পায়নি বলেই মনে হয়।

যাইহোক, আলোচনা এখানেই শেষ করছি। আপনারা খোলাখুলি আপনাদের মতামত জানাতে পারেন। ব্লগ নিয়ে কি আপনারা আশাবাদী? প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্লগের জনপ্রিয়তা এবং কার্যকারীতা কমার কারন কি বলে মনে করেন? ব্লগকে ঠিক আপনারা কেমন প্ল্যাটফর্ম হিসাবে দেখতে চান?

মন্তব্য ২৫২ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (২৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: ব্লগ তার জনপ্রিয়তা হারানোর প্রধান কারণই আমার কাছে ফেসবুকের জনপ্রিয়তাটাকেই মনে হয় । একটা সময়ে সামু সহ অন্যান্য আরও ব্লগে যারা লিখতেন তারা কিন্তু এখনও লিখে যাচ্ছে ফেসবুকে । বলা যায় এখনকার সব ফেসবুকে হাাজার কমেন্ট লাইক পাওয়া পরিচিত সব ফেসবুকারই আগে সামুতে লিখতেন । তাদের লেখা তো বন্ধ হয় নি কেবল মাধ্যম বদলেছে । এই মাধ্যম বদলানোর পেছনেও কারণ আছে অনেক ।
সামুতে লিখতে গেলে কিছু মডারেশন আর নিয়ম রয়েছে । চাইলেই যা ইচ্ছে করা যায় না । অন্যান্য ব্লগের ব্যাপারেও তাই । কিন্তু ফেসবুকে একজন লিখতে গেলে প্রায় স্বাধীনই বলা যায় । যে কাউকে যা ইচ্ছে বলা যায় । ব্যাপারটা অনেক টা আগে সবাই সামুর আন্ডারে চাকরি করতো এখন সবাই স্বাধীন ব্যবসায় নেমেছে । সেখানে সবাই বাঘ । সবাই রাজা । আবার অনেকে খোলা মাঠে ব্যবসা করার চেয়ে নিজের বাড়িতে ব্যবসা করতে বেশি পছন্দ করেন । তাই সামু থেকে ফেসবুকই বেশি ভাল ।
ফেসবুক এখন একদম ফ্রিতে ব্যবহার করা যায় । এমন কি ডাটা চার্জও লাগে না । তাই লেখা বেশি মানুষের কাছে পৌছানোর সুযোগ রয়েছে । ব্লগে তা নেই । এই কথাটা বললাম কারন আমার নিজের একটা ফেসবুক পেইজ রয়েছে । আমি আগে সব গল্প কেবল এই ব্লগে দিয়ে পেইজে লিংক শেয়ার করতাম । সেখানে অনেকই আমাকে ইনবক্সে করে জানায় যে তারা ফ্রি বেসিসে ফেসবুক চালায় । ব্লগে গল্প দিলে তারা সেইটা পড়তে পারে না । এখন আমি ব্লগের সাথে সাথে পেইজেও পোস্ট করি গল্প । এমন কি, এমন অনেক গল্প আছে যেগুলো আমি সামুতে পোস্ট করি নি অথচ ফেসবুকে পোস্ট করেছি । আমার পাঠক সেখানে বেশি । এটাও একটা কারণ বলে মনে হয় ।

সামু ছাড়ার আরেকটা কারন হচ্ছে মডারেশন । সামুর মডারেশন কখনই পক্ষপাতহীন ছিল না । এখনও নেই । অন্তত আমার নিজ অভিজ্ঞতা থেকেই আমি এই কথা বলতে পারি । কোন নির্দিষ্ট গ্রুপকে হয়তো একটু ছাড় দিয়েছে অথচ অন্য কারো ক্ষেত্রে হয়েছে কঠোর । এই কারণেও অনেকে ছেড়ে গেছে ব্লগ ।
আরেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমার কাছে মনে হয় যে ফেসবুকে যেমন ভাবে প্রাইভেসি মেইনটেইন করে নিজের পাঠক ঠিক করে দেওয়া যায় ব্লগে সেই সুযোগ নেই । আর এখন এই আইসিটির কঠিন মারপ্যাচের সময় কেউ কি আর নিজের জীবন কে বিপন্ন করতে চায় !

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০৯

জেন রসি বলেছেন: এটা অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ কারন। তাছাড়া মানুষ তার লেখালেখির উপর সেন্সরশিপ আরোপ করার ব্যাপারটা মানসিক ভাবে নিতেও পারেনা। আবার সমালোচনাও খুব কম মানুষই যৌক্তিক ভাবে মোকাবেলা করতে পারে। তাছাড়া ফেসবুকে মানুষ নিজেই নিজের মডু। অর্থাৎ তার লেখার কনটেন্ট কি হবে এটা সে নিজেই ঠিক করার স্বাধীনতা রাখে। সেখানে বাকস্বাধীনতা চর্চার স্পেসটা ব্লগের চেয়ে বেশী। কারন সব ব্লগেরই কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকে। ব্লগে সমমনাদের মধ্যে একটা গ্রুপ বা সিন্ডিকেট স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে যায়। ফলে গ্রুপে গ্রুপে ক্যাচালও লেগে যায়। এবং এই ক্যাচালে মডুদের পক্ষে নিরপেক্ষ থাকাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে। ফেসবুকে যেহেতু এই ঝামেলা তুলনামূলক কম তাই সেখানে ক্যাচালেও বাড়তি সুবিধা। আর প্রযুক্তির ব্যাপারত আছেই। সেখানে ব্লগ পাল্লা দিয়ে আর উঠতে পারবেনা বলেই মনে হয়।

তবে যারা কিছুটা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করে তাদের জন্য আজাইরা পাবলিক সেন্টিমেন্ট একটা বিরক্তির ব্যাপার। এই বিরক্তিটা ফেসবুকে ফেস করার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এই জন্য অনেকেই ব্লগেই লিখতে চান।

আপনি যা বলেছেন সেই আলোকেই কিছু ব্যাপার পয়েন্ট আউট করার চেষ্টা করলাম।

তবে আশাবাদী হওয়ার কারন নেই বলছেন?

২| ০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সবকিছুই যখন নতুন আসে তখন ধীরে ধীরে নিজ অবস্থান জানন দিয়ে ভাল পরিনতির দিকে যায়। উত্থান এর পর পতনতো একদিন আসবেই।

সবচেয়ে বড় কথা সময়ের সাথে সময়ের দাবী মিটানোর ক্ষমতা থাকতে হবে অন্যথায় পিছনে পড়ে যেতে হবে।

ব্যক্তিগতভাবে ফেবুর থেকে সামুই আমার কাছে ব্যাটার। আমার মত অনেকেই ফেবুতে ঢু মারে ঠিকই তবে বেশি সময় দেয় সামুতে।

পয়েন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আরও অনেক কারণ আছে। তবে ব্লগ তার আবেদন ততটা হাড়ায়নি যতটা সংঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২২

জেন রসি বলেছেন: সবকিছুই যখন নতুন আসে তখন ধীরে ধীরে নিজ অবস্থান জানন দিয়ে ভাল পরিনতির দিকে যায়। উত্থান এর পর পতনতো একদিন আসবেই।

হ্যাঁ। পরিবর্তন হবেই।

পয়েন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আরও অনেক কারণ আছে। তবে ব্লগ তার আবেদন ততটা হাড়ায়নি যতটা সংঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

কারনগুলো বললে ভালো হত। আপনি আশাবাদী। কেন আশাবাদী সেটা বললে বুঝতে কিছুটা সুবিধা হত।

৩| ০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: *আমার ওপরের কমেন্টটি মুছে দিন প্লিজ। বেশ কিছু বানান ভুল করছি


প্রতিটা পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ তারপরও সবসময়ই এখানে ভালো লেখক আসে যায়। মোডারেটর এখানে গুরুত্বপূর্ণ। দেখা গেলো লাইভে দেখানো হয় অনেক বড় নারী বাদী আবার ম্যারিটাল রেপকে হালাল করার পোস্টে তার কিউট একটা লাইক দেয়া বেশ ভালো হিপোক্রেসির মধ্যে পড়ে। এর ফলে সিন্ডিকেট বাজী বেশ লাই পায়। অবশ্য এরকম আগেও ছিলো

একসময় জামাতীরা লজ্জায় বলতো আমরা কোনো দল করি না। এখন যদি তারা বলে এবি ( কি নতুন নাম যেনো দিছে চোরের দল) তাহলে তার সাত খুন মাফ। এটা অনেক টা এমন যে জামাত থেকে বিএনপি বা লীগে মাইগ্রেট করলেই জমজমের পানি দিয়ে গোসল করা আরকি। তার ওপর লাদেন ভক্ত আছে আছে শিশুকামীদের দল এবং তারা এখন গেট টুগেদার করে।

কারন হতে পারে সামু চাইছে তার ওপর যে নাস্তিকতার কলঙ্ক সেটা যেনো ধুয়ে যায় অথবা সরকার যেহেতু জঙ্গিদের সাথে সহবাস করছে এবং এরকম বিলুপ্তপ্রায় জঙ্গিদের সবরকম সহায়তা দিয়ে বংশবিস্তার বা পুনর্বাসন করছে সেখানে সামুর সে সামর্থ নাই যে তার বিপরীতে যায়।

এখন আসলেই একটা কঠিন সময় চলছে। আমাদের মন্ত্রী মিনিস্টার বিদেশে কুকাম করে ধরা খায়, আমাদের ছেলেরা ইতালীতে নিজের সন্তান স্ত্রীর ওপর অনার কিলিং বা অন্য যেকোনো কারনেই হোক জবেহ করে বা এসাইলাম রিজেক্ট হবার কারনে গাড়িতে আগুন দেয় লুকিয়ে লুকিয়ে সেসময় এরকম মাথা নোয়াবে অনেকেই।

কিছু দিন আগে চোর নাসিম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের পাহাড়সম দুর্নীতির কারনে ১১ জনকে অপরাধীর মতো জেলে ভরলো। তাদের জন্য রাস্তায় নেমেছিলো দুএকজন মানুষ। আবার বনিক বার্তা নামের পত্রিকার সম্পাদক সেও নাকি ফেরার। পত্রিকাটা বাংলাদেশের ফাইনান্সিয়াল সেক্টরে যে রাঘব বোয়ালদের দুর্নীতি সেটা নিয়ে লিখতো।

এখন যখন দেখি জঙ্গি মোল্লা ও নিও রাজাকারদের মুখে হাসিনার বন্দনা তখন সামুর এমন মাথা নোয়ানোটা স্বাভাবিক। এখানে তাকে আসলে দোষ দিয়েই বা লাভ কি। যে দেশের যেমন জনগন সে দেশের তেমন সরকার পায়।

সামু যদি আগের মতো মুক্ত চিন্তার জায়গা হতো তাহলে শামুকের হয়তো জোর করে খাসি করে দিতো। সেখানে নিজ থেকে খাসি হওয়াটা স্বাভাবিক।

ফেসবুকে সে সমস্যা কম। দেশের বাইরে থাকা মানুষ হাত খুলে লেখতো পারে। দেশের ভেতরে থাকা মানুষেরও এখন কোরোনা কালীন বেশ ভালোই সুযোগ হয়েছে হাত খুলে লেখার কারন ফেসবুক এখন নানা কারনে চাপে সঙ্কটে বেশ ছাড় দিছে। আগে সামু ছিলো হাট এখন ফেসবুক হয়েছে হাজারো হাটের সুপারমার্কেট।

বাংলাদেশ প্রতিদিন বড় হলে বিডিনিউজ হয়- এ কথাটা এখন সামুর জন্য প্রযোজ্য। তা তারা লোক দেখানোর জন্য হাটে ময়দানে লাইভে যত কথাই বলুক বা পেখম লাগিয়ে ঘুরুক....

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৫

জেন রসি বলেছেন: প্রতিটা পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ তারপরও সবসময়ই এখানে ভালো লেখক আসে যায়। মোডারেটর এখানে গুরুত্বপূর্ণ। দেখা গেলো লাইভে দেখানো হয় অনেক বড় নারী বাদী আবার ম্যারিটাল রেপকে হালাল করার পোস্টে তার কিউট একটা লাইক দেয়া বেশ ভালো হিপোক্রেসির মধ্যে পড়ে। এর ফলে সিন্ডিকেট বাজী বেশ লাই পায়। অবশ্য এরকম আগেও ছিলো

এই হিপোক্রেসির মনস্তাত্ত্বিক কারন কি বলে মনে করেন? ধরেন দুজন ব্লগার একজন আরেকজনের মতামত মানতে পারলনা। কিন্তু তারা সামাজিক কারনেই সেটা চেপে যায় বলে মনে করেন? অর্থাৎ ভাবনা চিন্তা প্রকাশের চাইতেও প্রথাগত আদব কায়দার যে কালচারাল চর্চা আমাদের দেশে চালু আছে তা ব্লগেও চলে?

কারন হতে পারে সামু চাইছে তার ওপর যে নাস্তিকতার কলঙ্ক সেটা যেনো ধুয়ে যায় অথবা সরকার যেহেতু জঙ্গিদের সাথে সহবাস করছে এবং এরকম বিলুপ্তপ্রায় জঙ্গিদের সবরকম সহায়তা দিয়ে বংশবিস্তার বা পুনর্বাসন করছে সেখানে সামুর সে সামর্থ নাই যে তার বিপরীতে যায়।

এটা কি সামুর সারভাইভাল পলিসি? যদি তাই হয়, অর্থাৎ সরকারের সাথে যদি আপোষ করেই চলতে হয় তবে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা, অথরিটিটির চোখ রাঙ্গানিকে অগ্রাহ্য করে সামজিক বা কালচারাল আন্দোলন গড়ে তুলে আর সামুর পক্ষে সম্ভব হবেনা বলেইত মনে হচ্ছে?

৪| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ রসি ভাই ব্লগ নিয়ে ভাবার জন্য এবং ব্লগ সম্পর্কিত পোষ্ট দেয়ার জন্য।
ব্লগের বেহাল অবস্থা নিয়ে নানা সময় নানা কিছু ভাবতাম।ঠিক করেছিলাম ভাবনাগুলো জড়ো করে একসময় একটা পোষ্ট দিব।ফেসবুকে সামুর গ্রুপে আপনার স্ট্যাটাস টা দেখে নিজের ভাবনাগুলো শেয়ার করার সুযোগ হল। এ বিষয়ে নিজেদের মতামতগুলো প্রকাশ করলে হয়ত এ থেকে ব্লগ কর্তৃপক্ষ বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের কোন উপায়ের সন্ধান পেলেও পেতে পারেন- এ প্রত্যাশা রাখতে পারি।
একটু পরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করছি।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫১

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। আপনার এবং কয়েকজন ব্লগারের বিশ্লেষণ থেকেই এই পোস্ট। আপনার ভাবনাগুলো শেয়ার করেন। তর্ক বিতর্ক হোক। গঠনমূলক কোন সিনথিসের দেখা আমরা পেতেও পারি।

৫| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি,




ব্লগ হিসেবে সামুর কার্যকরীতা মনে হয় কমে গেছে, ২ নম্বর কারন বাদে আপনি যা যা বলেছেন সে সবগুলোর মিথস্ক্রিয়ার কারনে।
সামু এখন আর বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার শ্লেটখানি নয়!

আমার তো মনে হয় ফেসবুক, ব্লগের প্রতিদ্বন্ধি নয় খুব একটা। ফেসবুকে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার প্রয়োজন নেই তেমন ভাবে। যা খুশি তাই-ই লেখা যায় ইচ্ছেমতো। ব্লগে সে ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখতে হয়, যৌক্তিক ও ত্বাত্ত্বিক আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। সেটা অনেকেরই আয়ত্বে নেই বলে ফেসবুকের বারোয়ারী মন্ডপে ঢোলে দু'টো চাটি মেরে নিজেকে জানান দেয়া সহজ হয়।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২০

জেন রসি বলেছেন: আমার তো মনে হয় ফেসবুক, ব্লগের প্রতিদ্বন্ধি নয় খুব একটা। ফেসবুকে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার প্রয়োজন নেই তেমন ভাবে। যা খুশি তাই-ই লেখা যায় ইচ্ছেমতো। ব্লগে সে ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখতে হয়, যৌক্তিক ও ত্বাত্ত্বিক আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। সেটা অনেকেরই আয়ত্বে নেই বলে ফেসবুকের বারোয়ারী মন্ডপে ঢোলে দু'টো চাটি মেরে নিজেকে জানান দেয়া সহজ হয়

তবে কেউ যদি চায় সেক্ষেত্রে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করার সুযোগ ফেসবুকেও রয়েছে। এবং অনেকেই করছেন। যৌক্তিক ও তাত্ত্বিক আলোচনার একটা ব্যাপার হচ্ছে তা সবাইকে সন্তুষ্ট করে করা সম্ভব না। আর আরো সূক্ষ অর্থে এসব আলোচনার অন্যতম উদ্দেশ্যও হচ্ছে প্রথাগত অনেক বিশ্বাস বা চর্চাকে আঘাত করা। সে কালচার কি ব্লগ কখনো গড়ে তুলতে চেয়েছে? নাকি ডিজকারেজ করেছে? আপনার মতামত থেকেই প্রশ্নটা চলে আসল।

৬| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগের অবস্থা আমি খারাপ দেখছি না। ব্লগ ঠিকই আছে।

তবে ব্লগার কম বা কমে যাচ্ছে তার কারন মানুষের ব্যস্ততা। চাকরি বাকরি, ঘর সংসার ইত্যাদি কারনে ব্লগারের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
তবে বহু ব্লগার রাগ অভিমান করে ব্লগ থেকে বিদায় নিয়েছে।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৪

জেন রসি বলেছেন: ব্লগের অবস্থা আমি খারাপ দেখছি না। ব্লগ ঠিকই আছে।

আল ইজ ওয়েল?

তবে ব্লগার কম বা কমে যাচ্ছে তার কারন মানুষের ব্যস্ততা। চাকরি বাকরি, ঘর সংসার ইত্যাদি কারনে ব্লগারের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

তাত সবসময়ই ছিল। তবে এখন সমস্যা কিসে?

তবে বহু ব্লগার রাগ অভিমান করে ব্লগ থেকে বিদায় নিয়েছে।

রাগ অভিমানের কারন কি বলে আপনার মনে হয়?


৭| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেসবুকে মাথা ছাড়া বুদ্ধিজীবী বেশী। বগ্লে সেই রকম না। বর্তমানে মানুষ জীবন জীবিকা নিয়ে অস্থির অবস্থায় আছে তাই উপস্থিতি কম। তথ্যবহুল লেখা

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৭

জেন রসি বলেছেন: ফেসবুকে মাথা ছাড়া বুদ্ধিজীবী বেশী

যেমন?

বর্তমানে মানুষ জীবন জীবিকা নিয়ে অস্থির অবস্থায় আছে তাই উপস্থিতি কম।

তাত মানুষ সবসময়ই থাকে। এখন সমস্যা হচ্ছে কিসে?

৮| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ১/ মাঝখানে ব্লগ কর্তৃপক্ষ একটা প্রকাশনী খোলার বিষয়ে পোস্ট দিয়েছিল । সেটা হলে বাজেট কিছুটা বাড়ত । যদিও সেই পোস্ট আর চোখে পরে না ।

২/ দলবাজি সবজায়গায় আছে ,থাকবে । প্রশাসককে সবসময় নিরপক্ষ থাকতে হয় ।

৩/ আইনের ভিতর থেকে আইনের সাথে লড়াই করতে হবে।

৪/ ফুটবলে অনেক প্লেয়ার জাতীয় দলে খেলার সময় ইনজুরিকে পাশ কাটিয়ে খেলে যাতে ক্লাবের কোন সমস্যা না হয় । আমাদের হয়েছে সেই দশা ।

৫/ নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে আপনি বৃহৎ অংশের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না । ব্লগের গ্রুপটার কথা ধরুন । অত্থচ ফেসবুকভিত্তিক লেখালেখির বেশিরভাগ গ্রুপ ওপেন । এছাড়া বই নিয়ে আলোচনা হয় এমন গ্রুপও ওপেন ।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৬

জেন রসি বলেছেন: দলবাজি সবজায়গায় আছে ,থাকবে । প্রশাসককে সবসময় নিরপক্ষ থাকতে হয় ।

নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব? নাকি চেক অ্যান্ড ব্যাল্যান্স বেশী ইফেক্টিভ?

নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে আপনি বৃহৎ অংশের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না । ব্লগের গ্রুপটার কথা ধরুন । অত্থচ ফেসবুকভিত্তিক লেখালেখির বেশিরভাগ গ্রুপ ওপেন । এছাড়া বই নিয়ে আলোচনা হয় এমন গ্রুপও ওপেন ।

নোটেড।

৯| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৪

সুপারডুপার বলেছেন:



এই ব্লগে পোস্ট নির্বাচিততে আসতে কি কি ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয় তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার না।

ধর্মের ভ্রান্ত বিশ্বাসের তীব্র সমালোচনা করলেই কি নাস্তিক হয়? আস্তিক -নাস্তিকের কথা যেটি বললেন, এতে আসলে ধর্মানুভূতির লোকেরা ধর্মের সমালোচকদের সবাইকেই নাস্তিক নাম দিয়ে কালার করে বড় করে নিজেদের ফায়দা লুটার চেষ্টা করে।

৯০% মুসলিমের দেশে ব্লগের জনপ্রিয়তা বাড়ানো তো সহজ! মুক্ত চিন্তাধারীদের ঝেটিয়ে বিদায় করে দিয়ে, ভ্রান্ত বিশ্বাসী জামায়াত, হেফাজত ও ধর্মানুভূতির ব্লগারদের রাখলেই হলো! মানে ব্লগকে ওয়াজ মাহফিল বানালেই হইলো !

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৯

জেন রসি বলেছেন: এই ব্লগে পোস্ট নির্বাচিততে আসতে কি কি ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয় তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার না।

যতদূর জানি মোডারেটরের পছন্দেই তা হয়। এখানে আসলে একজনের পক্ষে সেভাবে মনিটর করাও সম্ভব না। তাছাড়া একজন মানুষের পক্ষে সব রকম কনটেন্ট জাজ করাও পসিবল না বলেই মনে হয়।

ধর্মের ভ্রান্ত বিশ্বাসের তীব্র সমালোচনা করলেই কি নাস্তিক হয়? আস্তিক -নাস্তিকের কথা যেটি বললেন, এতে আসলে ধর্মানুভূতির লোকেরা ধর্মের সমালোচকদের সবাইকেই নাস্তিক নাম দিয়ে কালার করে বড় করে নিজেদের ফায়দা লুটার চেষ্টা করে।

এ ব্যাপারে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় উৎসাহ না দিয়ে সামু পাবলিক সেন্টিমেন্টকে গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে করেন?


১০| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলায় ব্লগিং'এর শুরু ছিল ঐতিহাসিক ঘটনা; বাংগালীরা বলতে চান, লিখতে চান, ব্লগ সেই সুযোগ করে দেয়; শুরুতে কেহ ব্লগিং জানতো না, যে যেভাবে যতটুকু জানতো সেটা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। সময়ের সাথে ব্লগিং একটা আকার ধারণ করে, যার সাথে অনেক তাল মিলাতে পারেননি, তারা এখন সেইসবুকে আছেন।

প্রশ্নফাঁস জেনারেশনও ঝাপিয়ে পড়েছিলো, অনেকে ডুবে গেছে; ওরা এখনো আসে, দেখে, চলে যায়। বাংলা ব্লগ বাংলাদেশের প্রতিবিম্ব।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫২

জেন রসি বলেছেন: সময়ের সাথে ব্লগিং একটা আকার ধারণ করে, যার সাথে অনেক তাল মিলাতে পারেননি, তারা এখন সেইসবুকে আছেন।

কেন পারেনি? ধরেন আপনাকে নিয়ে কেউ কেউ বলে আপনি কনটেন্ট না বুঝেই সমালোচনা করেন বা বিদ্রুপ মন্তব্য করেন। আবার সেই আপনাকে নিয়েই অশালীন অযৌক্তিক আক্রমণাত্মক পোস্ট দেওয়া হয় ব্লগে। এখন দুটো ঘটনারই আউটকাম কি? এখানে ইস্যু কাজ করে নাকি ইগো? এবং ব্লগের পরিবেশের উপর তার কেমন প্রভাব পরতে পারে বলে মনে করেন?

১১| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনের প্রশ্ন গুলোর উত্তর একবারেই দেই।

সামুর নির্বাচিত পাতা অবশ্যই তেমন পোস্ট থাকার জায়গা হবার কথা। কিন্তু কিছুদিন আগে দেখলাম ফরহাদ মাজ হারের লেখা একজন হুবহু কপি করে যাচ্ছে এবং সেটা নির্বাচিত পাতায় যাচ্ছে। এমন না যে ফরহাদ মাজ হারের এই লেখাটি ঐ ব্লগার ব্লগে ছাপাতে অনুমতি নিয়েছেন কি না অথবা যে পত্রিকাতে ছাপানো হয়েছে সেখানে তিনি হয়তো কাজ করেন এমন না। আমি কপিরাইটের দিকে যাবো না, কারন ব্লগে বিনা অনুমতিতে অনেকেই র‌্যান্ডম মেয়েদের ছবি ব্যব হার করছেন অনুমতি ছাড়াই।

সমস্যা হলো এটার দ্বারা কি উৎসাহিত করা হয়? কপি পেস্টের লেখাটা তো কোনো অনুবাদ বা সাহিত্যের পর্যায়ে পড়ে না।

অনেক বছর আগে সামু একটা ক্ষতিকর প্রাকটিস চালু করল সেটা হলো সংকলন পোস্ট। এখানে মানুষ পোস্ট দিবে মানুষের পোস্ট গুলোর শিরোনামে সেসব পোস্টের হাইপারলিংক। জানা আপা নিজে বললেন এটা এসব পোস্ট উৎসাহিত এজন্য করা হচ্ছে যাতে সামুর লেখাগুলো আরো বড় পরিসরে ছড়াতে পারে। কিন্তু সে জন্য প্রিয় পোস্টের কুয়েরী আছে, এরকম অনেক ট্যাব করা যেতো যেটা শুধু কোয়েরীর ব্যাপার। পুরো ঐ বছর জুড়েই এটার বিরুদ্ধে কথা হলো এবং দেখা গেলো ভালো লেকার সংখ্যাও কমলো। কারন যখন মানুষ দেখলো কস্ট করে ৮-১০ ঘন্টা ব্যায় করে ভালো লেখা লেখার চাইতে আধা ঘন্টার মধ্যে পার্যোনাল নোটপ্যাডে কপি করা পোস্ট এখানে একটু সাজালেই হয়ে যাচ্ছে।

শাহবাগ আন্দোলনের সময় ডিজিএফআই এমনকি বর্তমানে জেল খাটা সরকারের পাচাটা কুকুর সুশান্তর আমার ব্লগ সামুর কাছে বিভিন্ন ব্লগারের ইনফো জানার জন্য চাপ দিতো। সামু সেটা রুখলো সেসবের ইনফো প্রকাশ করে যেটা ফেসবুকও করে। এর ফলে নিজেদের স্বরূপ খুলে যাবার কারনেই হোক এড়ানো গেছে।

সমস্যা হলো বাংলাদেশের মতো কুশিক্ষা ও জঙ্গিবাদে জর্জড়িত ঘনবসতিতে যখন বুদ্ধিমান অলিগার্কি চেপে বসে তখন ফ্যাসিবাদ দূরে থাকে না। পলিটিক্যাল সায়েন্সের মতো এটা একটা রাস্ট্রকে খুব দ্রুত ব্যার্থ রাস্ট্রে পরিনত করে এবং হচ্ছেও তাই। সেখানে এই ক্ষমতাধর অপশক্তি গুলোর (সরকার, জঙ্গী, বিদেশী চাপ ইত্যাদি) সামু খুব ক্ষুদ্র একটা প্লাটফর্ম। যে ব্লগের হাত ধরে সুশান্ত ক্যামিকেল আলি ওরফে হাসিব, চোর, আইজুর মত মানুষগুলো একটা জায়গা করে নিতে পেরেছে তাদের অনেকেই সামুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আঘাত করেছে। যদিও তাদের এই বিশ্বাসঘাতকতার পেছনে তাদের আদর্শিক ব্যাপারটা বেশী ছিলো না ব্যাক্তিস্বার্থ সেটা আসলেই তর্ক সাপেক্ষ: আসল কথা সামুর ক্ষতি করার জন্য সামুর ব্লগাররাই অনেক কিছু করেছে।

আইরিন কৌশিক বিডিনিউজের খালেদী মিলে ব্লগ নিয়ন্ত্রনের কাজে হাত দিয়েছিলো আমি বলবো বর্তমানে যে কালো ৫৭ ধারার ডিজিটাল আইন যার ফলে এখন সামুরই গলা টিপে ধরা হচ্ছে, ফেসবুকে লিখলেই ধরে নিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয় তখনকার সেই অনলাইন সেফটি তৈরী সরকারের রূপরেখা সেটা এখানকার ব্লগাররাই কাজ করেছে। আমি অবশ্য এটাও শুনেছি এখানে এই ব্লগের জানা আপাও জড়িত ছিলো, কিন্তু উনি ঐ নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে কতটুকু কাজ করেছেন সেটা অবশ্য জানা হয়নি।

বলা যায় বর্তমানে সরকারের হাতে থাকা ডিজিটাল আইনের মরনাস্ত্র তার উৎপত্তি কিন্তু এই ব্লগের জনপ্রিয় ব্লগারদের হাতেই হয়েছে।

এখন সেই ফোস্কাগেড়োতে সবাই আটকে আছে।


যদিও এই কাহিনী গুলো নিয়ে সবাই এদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছে কিনা জানি না

তো এই ফোস্কাগেড়ো থেকে মুক্তি পাবার উপায় অতিদ্রুত কোনো সম্ভাবনা দেখি না। কারন লীগ নামলেই বা জন গন কাকে নির্বাচিত করবে? জঙ্গিদের?

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩২

জেন রসি বলেছেন: লেখা একজন হুবহু কপি করে যাচ্ছে এবং সেটা নির্বাচিত পাতায় যাচ্ছে। এমন না যে ফরহাদ মাজ হারের এই লেখাটি ঐ ব্লগার ব্লগে ছাপাতে অনুমতি নিয়েছেন কি না অথবা যে পত্রিকাতে ছাপানো হয়েছে সেখানে তিনি হয়তো কাজ করেন এমন না। আমি কপিরাইটের দিকে যাবো না, কারন ব্লগে বিনা অনুমতিতে অনেকেই র‌্যান্ডম মেয়েদের ছবি ব্যব হার করছেন অনুমতি ছাড়াই।

সামু ব্লগের কনটেন্টে বৈচিত্র্য আছে। এখানে কেউ কবিতা লিখে, কেউ গল্প, কেউ প্রবন্ধ বা ফিচার, বা অভিজ্ঞতার কথা। সামু হতে পারে যে কারোর জন্য ডায়েরির মত। এখন ধরেন মডু গল্প বুঝে, বা কবিতা বুঝে বা সে প্রবন্ধে দক্ষ। কিন্তু সবকিছু জাজ করার ক্ষমতা তার নেই। দেখা গেল ধর্ম নিয়ে তার দুর্বলতা আছে। কিংবা সে ধর্মবিদ্বেষী। এখন সে একজনকেই যদি সব জাজ করতে দেওয়া হয় তবে নির্বাচিত পাতায় কি আসতে পারে অনুমান করাই যাচ্ছে।

সমস্যা হলো বাংলাদেশের মতো কুশিক্ষা ও জঙ্গিবাদে জর্জড়িত ঘনবসতিতে যখন বুদ্ধিমান অলিগার্কি চেপে বসে তখন ফ্যাসিবাদ দূরে থাকে না। পলিটিক্যাল সায়েন্সের মতো এটা একটা রাস্ট্রকে খুব দ্রুত ব্যার্থ রাস্ট্রে পরিনত করে এবং হচ্ছেও তাই। সেখানে এই ক্ষমতাধর অপশক্তি গুলোর (সরকার, জঙ্গী, বিদেশী চাপ ইত্যাদি) সামু খুব ক্ষুদ্র একটা প্লাটফর্ম। যে ব্লগের হাত ধরে সুশান্ত ক্যামিকেল আলি ওরফে হাসিব, চোর, আইজুর মত মানুষগুলো একটা জায়গা করে নিতে পেরেছে তাদের অনেকেই সামুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আঘাত করেছে। যদিও তাদের এই বিশ্বাসঘাতকতার পেছনে তাদের আদর্শিক ব্যাপারটা বেশী ছিলো না ব্যাক্তিস্বার্থ সেটা আসলেই তর্ক সাপেক্ষ: আসল কথা সামুর ক্ষতি করার জন্য সামুর ব্লগাররাই অনেক কিছু করেছে।

হ্যাঁ। চর্চাতেই গলদ ছিল। সামুকে যে যার ইচ্ছামত ইউটিলাইজ করতে চেয়েছে। সেটা খারাপ কিছুনা। কিন্তু কালচারাল মুভমেন্ট, পুরাতনকে ভেঙ্গে নতুন কিছু করার একটা সুযোগও ছিল। এবং সব রকম ক্যাচালে, কাউকে নায়ক, কাউকে ভিলেন বানানোর খেলায় ব্লগের মডুদের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ইন্ধনের কথাও অনেকে বলেছেন। কিন্তু লং টার্মে তা ব্লগের জন্য কতটুকু সুফল বয়ে এনেছে। বরং ক্ষতিই হয়েছে। যেমনটা আপনি বললেন।

আইরিন কৌশিক বিডিনিউজের খালেদী মিলে ব্লগ নিয়ন্ত্রনের কাজে হাত দিয়েছিলো আমি বলবো বর্তমানে যে কালো ৫৭ ধারার ডিজিটাল আইন যার ফলে এখন সামুরই গলা টিপে ধরা হচ্ছে, ফেসবুকে লিখলেই ধরে নিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয় তখনকার সেই অনলাইন সেফটি তৈরী সরকারের রূপরেখা সেটা এখানকার ব্লগাররাই কাজ করেছে। আমি অবশ্য এটাও শুনেছি এখানে এই ব্লগের জানা আপাও জড়িত ছিলো, কিন্তু উনি ঐ নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে কতটুকু কাজ করেছেন সেটা অবশ্য জানা হয়নি।

এ বিষয়ে বলার মত তথ্য ঠিক আমার কাছে নেই। তবে সবকিছুর সঠিক বিশ্লেষণের দরকার আছে। কোথায় কিভাবে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কে কলকাঠি নেড়েছে, তার কি প্রভাব কোথায় কতটুকু পরেছে তার অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে বলেই মনে করি।

১২| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অপু তানভীর ভাইয়ের কমেন্টে বেশ গুরুত্বপুর্ণ ্দুটি পয়েন্ট উঠে এসেছে।
ফেসবুক ও ব্লগের তুলনামূলক সুবিধা এবং মডারেশন।
ব্লগের শুরু থেকেই দেখা গেছে,মডারেটরদের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক টানাটানিতে একেক গ্রুপ বের হয়ে একেকটা ব্লগ বানিয়েছে।
এটা নিয়ে একটা চাপা ক্ষোভ সবসময় ব্লগারদের মনে কাজ করেছে,বিশেষ করে যারা ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে পোষ্ট লিখত।
ফলে যখন তারা ফেসবুকে সুযোগ পেয়েছে,কাজে লাগিয়েছে।

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৮

জেন রসি বলেছেন: সামু ব্লগের কনটেন্টে বৈচিত্র্য আছে। এখানে কেউ কবিতা লিখে, কেউ গল্প, কেউ প্রবন্ধ বা ফিচার, বা অভিজ্ঞতার কথা। সামু হতে পারে যে কারোর জন্য ডায়েরির মত। এখন ধরেন মডু গল্প বুঝে, বা কবিতা বুঝে বা সে প্রবন্ধে দক্ষ। কিন্তু সবকিছু জাজ করার ক্ষমতা তার নেই। দেখা গেল ধর্ম নিয়ে তার দুর্বলতা আছে। কিংবা সে ধর্মবিদ্বেষী। এখন সে একজনকেই যদি সব জাজ করতে দেওয়া হয় তবেে কিন্তু সে এক দিকেই হেলে পরবে। এবং যেমনটা বলা হয় সব ক্যাচালের সাথে ব্লগ অথরিটির একটা কানেকশন থাকে সে হিসাবে চাপা ক্ষোভ বা অভিমান ক্রিয়েট করে ব্লগ থেকে সরিয়ে দেওয়াকে কি কোন গেম প্ল্যান হিসাবে মনে করেন?

১৩| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সামুর নির্বাচিত পাতা অবশ্যই তেমন পোস্ট থাকার জায়গা হবার কথা। কিন্তু কিছুদিন আগে দেখলাম ফরহাদ মাজ হারের লেখা একজন হুবহু কপি করে যাচ্ছে এবং সেটা নির্বাচিত পাতায় যাচ্ছে।
-বাহ,চমৎকার অবস্থা দেখছি। আমার মনে হয় পোষ্টটা বৃহস্পতিবার শুক্রবারে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার শুক্রবারের চক্করে নাকি অনেক কিছুই সহজে ঢুকে পড়ে।

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৯

জেন রসি বলেছেন: কেউ কবিতা লিখে, কেউ গল্প, কেউ প্রবন্ধ বা ফিচার, বা অভিজ্ঞতার কথা। সামু হতে পারে যে কারোর জন্য ডায়েরির মত। এখন ধরেন মডু গল্প বুঝে, বা কবিতা বুঝে বা সে প্রবন্ধে দক্ষ। কিন্তু সবকিছু জাজ করার ক্ষমতা তার নেই। দেখা গেল ধর্ম নিয়ে তার দুর্বলতা আছে। কিংবা সে ধর্মবিদ্বেষী। এখন সে একজনকেই যদি সব জাজ করতে দেওয়া হয় তবে নির্বাচিত পাতায় কি আসতে পারে অনুমান করাই যাচ্ছে।

১৪| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমার তো মনে হয় ফেসবুক, ব্লগের প্রতিদ্বন্ধি নয় খুব একটা। ফেসবুকে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার প্রয়োজন নেই তেমন ভাবে। যা খুশি তাই-ই লেখা যায় ইচ্ছেমতো। ব্লগে সে ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখতে হয়, যৌক্তিক ও ত্বাত্ত্বিক আলোচনার প্রয়োজন পড়ে। সেটা অনেকেরই আয়ত্বে নেই বলে ফেসবুকের বারোয়ারী মন্ডপে ঢোলে দু'টো চাটি মেরে নিজেকে জানান দেয়া সহজ হয়।
-জি এস ভাইয়ের আলোচনার সাথে আমিও কিছু যোগ করতে চাই।
ফেসবুক ব্লগ সবই লেখার মাধ্যম।ব্লগও নানা ধরণের আছে।সব মাধ্যমেই হাল্কা ভারী লেখা আছে। বর্তমানে ফেসবুকে সবই বেশি বেশি।লেখা বেশি,হাল্কা ভারী দুটাই বেশি।ব্লগে কি সবাই বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করে?না।যৌক্তিক ও ত্বাত্ত্বিক আলোচনা এসব নির্ভর করে কন্টেন্টের উপর।কন্টেন্ট পলকা,খেলো, জোলো হলে সেখানে নিশ্চয়ই সেখানে যৌক্তিক ও ত্বাত্ত্বিক আলোচনার সুযোগ নেই।যদি ব্লগ বলতে স্পেসিফিক সামুর কথাও বুঝিয়ে থাকেন এখানেও ত প্রচুর অখাদ্য পোষ্ট আছে এসব আবার ৩০০০,৪০০০ বার পঠিত ও হয়েছে।
কেউ কেউ বলেন,ব্লগে এক বা দুই লাইনের পোষ্ট দেয়ার সুযোগ নেই।ফলে এখানে শ্যালো মাইন্ডের কারো টিকে থাকা সম্ভব নয়।
ব্লগে হয়ত এক দুই লাইনের পোষ্ট কেউ করে না এখন, বা দেখতে শোভন দেখায় না মনে করা হয়।
এখন ধরুন ইমতিয়াজ মাহমুদ ব্লগে এসে দুই লাইনের কবিতার পোষ্ট লিখল।ফেসবুকেও লিখল।
তুলনা করলে -এই দুই লাইনের কবিতার উপস্থাপনা কোথায় সবচেয়ে বেশি নান্দনিক হবে বলে মনে হয়- ফেসবুকে না ব্লগে?
দুই লাইনের কবিতাকে খেলো হিসেবে ব্লগে ট্রিট করার সম্ভাবনা আছে কিনা?
দুই লাইনের কবিতার উপর যৌক্তিক, ত্বাত্ত্বিক, দার্শনিক আলোচনার সম্ভাবনা থাকলে সেটা সামু বা এই ধরণের কমিউনিটি ব্লগে
হবার সম্ভাবনা আছে কিনা? নাকি ভাল,সুন্দর কবিতা এগুলোর উপর দিয়ে যাবে?
ভাবার আছে বোধ হয়।
আবার ধরেন ব্লগে কেউ বিশ লাইনের আবল তাবোল কিছু লিখে ব্লগের বারোয়ারী মন্ডপে ঢোলে চাটি মেরে নিজেকে জানান দিল।
আবার ধরেন ফেসবুকে কেউ দুই লাইনের আবল তাবোল কিছু লিখে ফেবুর বারোয়ারী মন্ডপে ঢোলে দুটো চাটি মেরে নিজেকে জানান দিল।
কোনটা বেশি অপচয়?
কোনটা বেশি তুলনামূলক প্রসংশনীয়?

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৩

জেন রসি বলেছেন: দারুন বলেছেন।

ধরা যাক, গালিবের শায়েরি কিংবা বিখ্যাত হাইকুগুলো যদি ব্লগে প্রকাশ পেত তবে তার কনটেন্ট কিভাবে জাজ করা হত? কনটেন্ট জাজ করা কিংবা বোঝাপড়ার বিষয়টা আপেক্ষিক। এই বিষয়টা কখনোই ব্লগ যথাযথ ভাবে ডিল করতে পেরেছে বলে মনে করেন কি? না পারলে তার সীমাবদ্ধতা কোথায়?

১৫| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪

নতুন বলেছেন: ব্লগে যেই রকমের আলোচনা হওয়া উচিত সেই আমাদের মাঝে অনেকেরই মনে হয় সেই রকমের সমালোচনা হজমের মতন ক্ষমতা নেই তাই ক্যাচাল বাধে অনেক।

অনেকে এখন ব্লগে সমালোচনার বিপরিতে আইন আদালত দেখায়, অনেকে ব্লগ বন্ধের কথাও বলে।

ফেসবুকে মানুষ এক রকমের আসক্ত এবং ফেসবুক এপস দিয়ে মোবাইলেই ব্যবহার করা যায়। সামু মোবাইলে ব্যবহার করে মজা নেই। কমেন্ট করা যায় না। মানুষ এখন মোবাইলে সময় বেশি কাটায়।

ব্লগে নতুন প্রযন্মের কাছে পরিচতির কোন উদ্দোগ নেই। ব্লগের বাজেট ভালো থাকলে ব্লগ ভালো ভালো অনুস্ঠানের সাথে থাকতো এবং তাতে পরিচিত বাড়তো এবং

ব্লগকে বাচিয়ে রাখতে হলে এটাকে স্বনিভর ব্যবসাতে পরিনত করতে হবে। লাভ ছাড়া নিজের পকেট থেকে ব্লগ চলতে পারেনা।

আমি অনলাইন সপিং একটা ভালো জিনিস হতে পারে। একই অভিঙ্গতা দিয়ে অনলাইন সপিং এবং সামুর সাইট চলতে পারে।

সামুতে ভালো মানুষ আছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রন্তের মানুষ আছে। তাই অনলাইন সপিং পোরটাল করতে পারলে আশা করি সামু ভালো করতে পারবে। মানুষের আস্থা পারে খুব দ্রুত।

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩২

জেন রসি বলেছেন: ব্লগে যেই রকমের আলোচনা হওয়া উচিত সেই আমাদের মাঝে অনেকেরই মনে হয় সেই রকমের সমালোচনা হজমের মতন ক্ষমতা নেই তাই ক্যাচাল বাধে অনেক।

তার কারন কি বলে মনে করেন? অন্ধবিশ্বাস, ভ্রান্ত ধারনা, ইগো, যুক্তির চেয়ে চাপিয়ে দেওয়ার মনোভাব?

অনেকে এখন ব্লগে সমালোচনার বিপরিতে আইন আদালত দেখায়, অনেকে ব্লগ বন্ধের কথাও বলে।

এই কালচারের বিরুদ্ধে পাল্টা কালচার বিনির্মাণ করতে ব্লগ কেন সফল হয়নি?

ব্লগকে বাচিয়ে রাখতে হলে এটাকে স্বনিভর ব্যবসাতে পরিনত করতে হবে। লাভ ছাড়া নিজের পকেট থেকে ব্লগ চলতে পারেনা।

যৌক্তিক। সেক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো কি কি? তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

সামুতে ভালো মানুষ আছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রন্তের মানুষ আছে। তাই অনলাইন সপিং পোরটাল করতে পারলে আশা করি সামু ভালো করতে পারবে। মানুষের আস্থা পারে খুব দ্রুত।

প্রস্তাব করে দেখতে পারেন।

১৬| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ ব্লগটাকে আমি এখনো বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার উপযোগী বলে মনে করি। এখানে যেমন উন্নত সাহিত্যমানের পোস্ট (গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি, তবে প্রবন্ধের সংখ্যাটা নেহায়েত নগণ্য) চোখে পড়ে, তেমনি স্পষ্ট ধারণা নিয়ে লেখা অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব রাজনীতির গতি প্রকৃতি নিয়ে কিছু কিছু উন্নত মানের আলোচনাও মাঝে মাঝে দেখা যায়। বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু উৎকৃষ্ট লেখাও মাঝে মাঝে আসে। হয়তো আগের অবস্থানে নেই, যে সময়টা আমি ব্লগে আসার আগেই গত হয়েছে, তবে কিছু কিছু পুরনো পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি ব্লগটা বছর দশেক আগে কতটা প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর ছিল। লেখার মানও অধিকতর উন্নত ছিল।

ব্লগারদের নাস্তিক-আস্তিক যুদ্ধংদেহী মনোভাব বেশীরভাগ সময়েই একজন শিক্ষিত লোকের কাছ থেকে যেটুকু ন্যূনতম ভব্যতা ও শিষ্টাচার কাঙ্খিত, সে সীমারেখার নিম্নে চলে যায়। যে কেউ নাস্তিক হতেই পারেন, এটা তার ব্যক্তি স্বাধীনতা। কিন্তু যারা ধর্মে বিশ্বাসী, তাদের ধর্ম প্রবর্তকদের কিংবা তাদের বিশ্বাস মতে স্রষ্টাকে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগালি করলে কিংবা চরম অবমাননাকর মন্তব্য করলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লগে একটা নোংরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একইভাবে, ব্লগটাকে ধর্ম প্রচারের একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করাটাও সমীচীন নয়। অনেক সময় দেখা গেছে, কিছু প্রচারধর্মী পোস্টের কারণে অবাঞ্ছিত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ফেইসবুক কে আমি এ ব্লগের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না। দুটোর ফ্লেভার দু'রকম, পাঠক প্রকৃতিও দু'রকম।

এ ব্লগটাকে এখনো আমি পতিত বলে মনে করি না, যদিও এর চলমান গতিধারা বিভিন্ন কারণে শ্লথ ও বিঘ্নিত হয়েছে।
ব্লগ নিয়ে আমি অবশ্যই আশাবাদী। হয়তো আগের অবস্থানে পুনরায় উত্তরণ সহজ হবে না, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট মান এ ব্লগ ধরে রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

নির্বাচিত পাতায় কার পোস্ট গেল বা না গেল, আমার মনে হয়না এ নিয়ে খুব বেশী কেউ মাথা ঘামায়। যিনি এ নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন, আশাকরি তিনি বেশ ভালভাবেই বুঝেন যে এখানে ন্যায়ের মানদন্ড ধরে না রাখতে পারলে পাঠকের কাছে তার নিজের বিবেক-বিবেচনা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে নানা মুনির নানা মত সব সময়েই থাকবে। নির্বাচকের এটা কর্তব্য, এ নিয়ে মতপার্থক্য যতটা কমিয়ে রাখা যায়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা।

ব্লগাররা গত ৫টি বছর ধরে একটা বড় সমস্যায় ভুগছেন, সেটা হচ্ছে নোটিফিকেশন না পাওয়া। যোগ্য আইটি এক্সপার্টদের সাথে আলোচনা করে এ সমস্যাটির আশু সমাধান করা উচিত, এতে ব্লগারদের মধ্যে ইন্টারএ্যাকশন বেড়ে যাবে, এবং তা বাড়লে ব্লগ গতি পাবে।

অরুচিকর এবং অশ্লীল ফ্লাডিং এর ব্যাপারে মডারেটরদেরকে আরো তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। এই জঘন্য কারণে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে অনেকে ব্লগ ছেড়ে চলে গেছেন। নতুন নিক নেয়ার অনতঃ সাত দিন পর মন্তব্য করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

এখানে আরও অনেক মন্তব্য আসবে, সেটাই স্বাভাবিক। সবাই পরমতসহিষ্ণু থেকে পারস্পরিক মর্যাদার প্রতি সম্মান রেখে বিতর্কে অবতীর্ণ হবেন, এটাই একান্তভাবে কাম্য। আলোচনার সূত্রপাত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১০ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মতামত রাখার জন্য।

এখানে যেমন উন্নত সাহিত্যমানের পোস্ট (গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি, তবে প্রবন্ধের সংখ্যাটা নেহায়েত নগণ্য) চোখে পড়ে, তেমনি স্পষ্ট ধারণা নিয়ে লেখা অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব রাজনীতির গতি প্রকৃতি নিয়ে কিছু কিছু উন্নত মানের আলোচনাও মাঝে মাঝে দেখা যায়।

হ্যাঁ। কেউ কেউ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কেউ আসছে। কেউ যাচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এসব পোস্টের প্রভাব অনেক কমে গেছে আগের তুলনায়। সামু এমন প্লাটফর্ম ছিল যেখানে মানুষ একসময় আগ্রহ নিয়ে আসত। পড়ত। এখান থেকে গড়ে উঠত সামাজিক, কালচারাল, পলিটিকাল নানা মুভমেন্ট। অর্থাৎ চিন্তা ভাবনা, সাহিত্য, মুভি, রাজনীতিসহ নানা কিছু নিয়ে যে আলোচনা সমালোচনার একটা চর্চা ছিল ব্লগে তা প্রচলিত জীর্ণ ধ্যান ধারনাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করত। নতুন কিছু করার একটা সুযোগ ছিল। সেখান থেকে ব্লগ কেন প্রগতির দিকে না গিয়ে বরং ধ্বংসের দিকে গেল তারও একটা অনুসন্ধান আমাদের করা উচিৎ বলে মনে করি।

ব্লগারদের নাস্তিক-আস্তিক যুদ্ধংদেহী মনোভাব বেশীরভাগ সময়েই একজন শিক্ষিত লোকের কাছ থেকে যেটুকু ন্যূনতম ভব্যতা ও শিষ্টাচার কাঙ্খিত, সে সীমারেখার নিম্নে চলে যায়। যে কেউ নাস্তিক হতেই পারেন, এটা তার ব্যক্তি স্বাধীনতা। কিন্তু যারা ধর্মে বিশ্বাসী, তাদের ধর্ম প্রবর্তকদের কিংবা তাদের বিশ্বাস মতে স্রষ্টাকে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগালি করলে কিংবা চরম অবমাননাকর মন্তব্য করলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লগে একটা নোংরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একইভাবে, ব্লগটাকে ধর্ম প্রচারের একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করাটাও সমীচীন নয়। অনেক সময় দেখা গেছে, কিছু প্রচারধর্মী পোস্টের কারণে অবাঞ্ছিত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

গালাগালি, অযৌক্তিক আক্রমন এসব শুধু ধর্মনা, যেকোন ইস্যুতেই হতে পারে। এবং হয়েছেও। সেটা অবশ্যই খারাপ চর্চা। বিশ্বাস করার অধিকার যেমন মানুষের আছে, সে বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অধিকারও তেমন মানুষের আছে। সভ্যতা কিন্তু এক বিশ্বাসে একজায়গায় থেমে থাকেনি। এবং সব দেশের কালচারাল, সাহিত্য মুভমেন্টেই দেখবে অতীতের বিশ্বাস বা চর্চাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে নতুন কিছু একটা করতে চেয়েছে। আর এভাবেই দ্বন্দ্বের মাঝ দিয়েই একটা পরিবর্তন এসেছে। ব্লগগুলো এদেশে ক্ষুদ্র পরিসরে তেমন একটা স্পেস হয়ে দাড়িয়েছিল। কিন্তু তা তার সেই জায়গাটা ধরে রাখতে পারেনি। আমাদের সবারই ভুল ত্রুটি আছে। কিন্তু আত্মসমালোচনার মত সাহস না থাকলে সত্যের অনুসন্ধানও আমরা করতে পারবনা।

নির্বাচিত পাতায় কার পোস্ট গেল বা না গেল, আমার মনে হয়না এ নিয়ে খুব বেশী কেউ মাথা ঘামায়। যিনি এ নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন, আশাকরি তিনি বেশ ভালভাবেই বুঝেন যে এখানে ন্যায়ের মানদন্ড ধরে না রাখতে পারলে পাঠকের কাছে তার নিজের বিবেক-বিবেচনা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে নানা মুনির নানা মত সব সময়েই থাকবে। নির্বাচকের এটা কর্তব্য, এ নিয়ে মতপার্থক্য যতটা কমিয়ে রাখা যায়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা।

আমার ধারনা এটা নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামায় কিন্তু বলতে চায়না। কিন্তু সেটাও মূল সমস্যা নয়। নির্বাচিত পাতা বলে যেহেতু একটা অপশন আছে সেখানে নির্বাচিত লেখা যাবে এটাই স্বাভাবিক? এখন ধরেন এই নির্বাচনের কাজটা একজনই করছে। তার পক্ষেত সব কনটেন্ট বুঝে নির্বাচন করা যৌক্তিক ভাবেই একটা অসম্ভব কাজ। যে অর্থনীতি পাতা চালায় তাকে দিয়েত আপনি খেলার পাতা চালাতে পারবেন না। মূল সমস্যাটা এখানেই।

১৭| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ১ নং পয়েন্টের জবাবে -
নাস্তিক আস্তিক বিষয়ক প্রতিক্রিয়ার খেসারত সামুকে দিতে হয়েছে বলে মনে করি।আম ব্লগাররা অহেতুক এসব কচকচানিতে বিরক্ত ছিল।আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব আলোচনা রিয়েলাইজেশনের জন্য হয়না-তর্কের আড়ালে নিজের পারসোনাল ব্রান্ডিং প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য থাকে মুখ্য।তবে সামু এটার স্বল্পমেয়াদী সুফলও পেয়েছে।হিট বেড়েছে।
শাহবাগ আন্দোলন না হলে হয়ত ব্লগের এই ইস্যুতে সরকারের এরকম ফোকাস পাওয়া যেত না।

১০ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

জেন রসি বলেছেন: আম ব্লগারদের সেন্টিমেন্ট মাথায় রেখে ব্লগিং করার যে কালচার সে সম্পর্কে কিছু বলুন। কারন যে কোন কিছু নিয়েই আপনি যখন গভীর অনুসন্ধান বা উপ্লব্ধির জায়গায় যাবেন অনেক কিছুকেই আপনার প্রশ্নবিদ্ধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে গড়পড়তা সেন্টিমেন্টে্র মানুষ আঘাত পাবে। আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি এ ব্যাপারে।

১৮| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৬

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!! :|
ভাবছি!!!
এই পোস্টটা স্টিকি করলে ভালোই দোষ গুন বিচার করেও যদি ভালো কিছু ফলাফল বের হয়ে আসতো তো ভালোই হত!!

কিন্তু মডুভাইয়া কি সেটা করবে!!!

চিন্তার পড়লাম!!! :| :| :|

আচ্ছা আরও চিন্তা করে আসছি ....

১০ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

জেন রসি বলেছেন: না। মডু ভাইয়া তা করবে না। কারন আমার ধারনা মডু ভাইয়া ভাবছে অসময়ে একি উৎপাত? ওদের জ্ঞান দাও প্রভু, ওদের ক্ষমা কর।( কাল্পনিক ভার্শন)। B-)

১৯| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৯

শায়মা বলেছেন:

প্রসঙ্গঃ নাস্তিক আস্তিক বিতর্ক

২০১৩ সালে শাহবাগ মুভমেন্টের পর একটা প্রোপাগান্ডা পাবলিক সেন্টিমেন্টে মোটামুটি ঝড় তুলে। তা হচ্ছে ব্লাগার মাত্রই নাস্তিক। এবং ব্লগে মূলত ব্লগাররা ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে। এই ইস্যু নিয়ে ব্লগগুলো একধরনের সংকটের ভেতর পরে যায়। শুরু হয় গোয়েন্দা নজরদারি। ধর পাকড়। খুন। নেমে আসে আইনের খড়গ। ফলে কোন ব্লগেই আর স্বতঃস্ফূর্ত ডিবেটের সুযোগ ছিলনা। এই বিতর্ককে ব্লগগুলোর পতনের অন্যতম কারন বলা হয়ে থাকে। <<<<<<<


এইরকমটা আমারও মনে হয়েছে। নাস্তিক আস্তিক ইস্যু নিয়ে যখনই ধর পাকড় শুরু হলো তার পরপরই হঠাৎ অনেকেই যেন ব্লগ থেকে গায়েব হয়ে গেলো তারা নাস্তিক হোক বা না হোক। তবুও হুজুগে মেতে গেলো। যেন ব্লগার মানেই নাস্তিক আর সেই ভয়ে নাস্তিক না হয়েও পলায়ন! শুনেছি একটা ভাইয়া ছিলো তাকে তার বাসা ছাড়তে হয়েছিলো ফ্যামিলির চাপে কারণ সে আরেক ব্লগারের সাথে বাস করতো! আমি যখন সে ঘটনা শুনি তখন আমার আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেছিলো। এমনই হয় নাকি!
যাইহোক ব্লগে আমি গালিবাজীর চুড়ান্ত দেখেছি কিন্তু এই ভয়টা যখন শুরু হলো তখন স্বতঃস্ফূর্ত ডিবেটের সুযোগ ছিল না তা না কিন্তু সেই ভয়ানক বিতার্কিকেরা কই যে সব হাওয়া হয়ে গেলো। তখন থেকে পতন শুরু কিনা তা বলা যায় না তবে কিছু মিইয়ে গেলো।

তবে পতন কি এখনও হয়েছে? মনে হয় না.... কোনো কিছুই একই রকম থাকেনা সারাজীবন। সময়ের সাথে সাথে হয় উত্থান নয় পতন নয় নম নম করে চলে। সেই নম নম করে চলাটাও দেখেছি আমরা। তবে এখন নম নম করে না চললেও সেই আগের মিনিংফুল ব্লগিং এর চর্চা মনে হয় খুব কমই হচ্ছে এখন। একেবারেই নেই তা বলা যাবেনা।

এই যে তুমি হঠাৎ অনেকগুলো মিনিংফুল মিনিং ওয়ালা পোস্ট নিয়ে উদয় হলে..... কাজেই পতন এখনও হয়নি। তবে সত্যিকারের নিরপেক্ষ ব্লগ বা ব্লগ মডারেশন দেখতে হলে আমরা দেখবো মডু ভাইয়া এই পোস্ট স্টিকি করে দিয়েছে আলোচনা, সমালোচনা এবং তর্ক বিতর্কে অংশগ্রহনের জন্য..... :P

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

জেন রসি বলেছেন: এইরকমটা আমারও মনে হয়েছে। নাস্তিক আস্তিক ইস্যু নিয়ে যখনই ধর পাকড় শুরু হলো তার পরপরই হঠাৎ অনেকেই যেন ব্লগ থেকে গায়েব হয়ে গেলো তারা নাস্তিক হোক বা না হোক। তবুও হুজুগে মেতে গেলো। যেন ব্লগার মানেই নাস্তিক আর সেই ভয়ে নাস্তিক না হয়েও পলায়ন! শুনেছি একটা ভাইয়া ছিলো তাকে তার বাসা ছাড়তে হয়েছিলো ফ্যামিলির চাপে কারণ সে আরেক ব্লগারের সাথে বাস করতো! আমি যখন সে ঘটনা শুনি তখন আমার আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেছিলো। এমনই হয় নাকি!
যাইহোক ব্লগে আমি গালিবাজীর চুড়ান্ত দেখেছি কিন্তু এই ভয়টা যখন শুরু হলো তখন স্বতঃস্ফূর্ত ডিবেটের সুযোগ ছিল না তা না কিন্তু সেই ভয়ানক বিতার্কিকেরা কই যে সব হাওয়া হয়ে গেলো। তখন থেকে পতন শুরু কিনা তা বলা যায় না তবে কিছু মিইয়ে গেলো।


বিষয়টা হয়তো এমন ছিল পাবলিক সেন্টিমেন্টকে উন্নত করতে না পেরে ব্লগ নিজেই অবনতির দিকে গিয়েছে। গালিবাজি একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছিল মনে হয়। অর্থাৎ গালি দিতে পারা মানে আমি স্মার্ট, আধুনিক এই টাইপ কিছু। এবং ইস্যুর চাইতেও পার্সোনাল অ্যাটাক একধরনের সংকীর্ণতার জন্ম দিয়েছিল বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জায়গাগুলোতে।

২০| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৮

শায়মা বলেছেন: উদাসীভাইয়ার কমেন্ট পড়ে মনে পড়ে গেলো সেই সংকলিত পোস্ট সমূহের কথা!
চারিদিকে শুধু সংকলন আর সংকলন - গল্প সংকলন, কবিতা সংকলন, প্রিয় পোস্ট সংকলন, নতুনদের পোস্ট সংকলন, পুরানোদের পোস্ট সংকলন, সিনেমা সংকলন, সংকলনের সংকলন, সংকলনের সংকলনের সংকলন :P হা হা হা হা

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

জেন রসি বলেছেন: লাইব্রেরীর ভেতর লাইব্রেরী? ;)

ফান অ্যাপার্ট, সংকলন পোস্ট বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জায়গায় কোন প্রতিবন্ধকটা সৃষ্টি করেছিল বলে মনে করেন? করলে কেন? অথবা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা কমে গিয়েছিল বলেই সংকলন পোস্ট হত এমনটা মনে করেন?

২১| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: একসময় সামু র‍্যাংকিং এ প্রথম আলোর চাইতে ঢের এগিয়ে ছিল।
এখন প্রথম আলোর আলেক্সা র‍্যাংকিং ৩৫৪
সামুর ৬০২৯৬
রোর বাংলা ৩৭৭৮৫
এই মুহুর্তে ৪৪ জন ব্লগার
১৪৭ জন ভিজিটর
তবু দশ বছরের ছেলেটা যখন বলে ভাল আছি , ঠিক আছি তখন বলতে ইচ্ছে হয় - আমি ত মকাননীয় টুট টুট হয়ে গেলাম। B-)

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

জেন রসি বলেছেন: এ জন্যই সক্রেটিস বলেছিলেন, নিজেকে জান। ;)

২২| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কেউ কবিতা লিখে, কেউ গল্প, কেউ প্রবন্ধ বা ফিচার, বা অভিজ্ঞতার কথা। সামু হতে পারে যে কারোর জন্য ডায়েরির মত। এখন ধরেন মডু গল্প বুঝে, বা কবিতা বুঝে বা সে প্রবন্ধে দক্ষ। কিন্তু সবকিছু জাজ করার ক্ষমতা তার নেই। দেখা গেল ধর্ম নিয়ে তার দুর্বলতা আছে। কিংবা সে ধর্মবিদ্বেষী। এখন সে একজনকেই যদি সব জাজ করতে দেওয়া হয় তবে নির্বাচিত পাতায় কি আসতে পারে অনুমান করাই যাচ্ছে।
- একজনে যদি সব করে থাকে তাইলে স্যার অনন্ত জলিলের নাম নেয়া ছাড়া উপায় দেখতেছি না।কারণ তিনিই নাকি সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন।
বিপরীতে যদি ব্লুপ আইসক্রিম খাওয়া যায় তাইলে সম্ভবকে অসম্ভব করা যায়।
এখন কে কোনটা চয়েজ করবে তাই বিবেচ্য।

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

জেন রসি বলেছেন: বেসম্ভব কাজকারবার মনে হইতেছে। ;)

২৩| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: তবে যারা কিছুটা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করে তাদের জন্য আজাইরা পাবলিক সেন্টিমেন্ট একটা বিরক্তির ব্যাপার। এই বিরক্তিটা ফেসবুকে ফেস করার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এই জন্য অনেকেই ব্লগেই লিখতে চান।
- এ বিষয়ে একটু বলতে চাই রসি ভাই।
আজাইরা পাবলিক সেন্টিমেন্ট এড়ানোর জন্য ফেবু ব্লগের চাইতে বেটার অপশন।ফেবুতে পোষ্ট কাস্টমাইজড করা যায়।চাইলে পোসট ফ্রেন্ড পাব্লিক কাস্টমাইজড করতে পারেন। দুরত্ব বজায় রাখার জন্য পেজ আছে, গ্রুপ আছে।
বন্ধু নির্বাচন আপনার হাতে।ব্লক অপশন ত আছেই।

বিপরীতে ব্লগের শুধু ব্লক অপশন।ব্লগীয় সংস্কৃতিতে ব্লক কে খারাপ বা সে মোরালি পরাজিত এই অর্থে ভাবা হয়।ধরা হয় সে আসলে তর্কে পারতেছেনা তাই ব্লক দিল।ওজন্য দেখা যাইত কেউ কাউকে ব্লক দিলে সেটা নিয়ে পোস্ট আসত।
এজন্য অনেক সজ্জন ব্লগার কষ্ট সত্বেও মাল্টির যন্ত্রণা পোহায়।তাকে কথার জালে আটকানোর চেষ্টা চালায়।
এতে অনেক সময় নষ্ট হয়।এই স্ট্যামিনা সবার থাকেও না।ফলে এখানে অনেকে কথা বাড়ায় না।লজিক নিজের পকেটে ঢুকিয়ে রাখে।
ফেবুতেও যে ব্লক নিয়ে পোষ্ট আসে না তা না। তবে ফেবুতে এটা সচরাচর ইগোজনিত ব্যাপার বলে ধরা হয়।স্বাভাবিক প্র্যাকটিস ভাবা হয়।অর্থাৎ বিষয়টাকে ক্যাজুয়েলি নেয়া হয়।
ব্লগে যেটা হয়ে উঠে না।
এই সাংস্কৃতিক পার্থক্য ফেবুকে অধিকতর সুবিধা দেয়।

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। ফেসবুকে একনায়ক হওয়ার স্কোপ বেশী। তবে ব্লগে গণতন্ত্র কিছুটা মেনে চলতে হয়। তবে পাবলিক সেন্টিমেন্ট অনেক ভাবেই বিরক্ত করতে পারে। যেমন ঘোমটা পরেন নাই কেন, নামায পড়েন এই জাতীয় সাজেশন টাইপ উৎপাত ব্লগে কম।

২৪| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আলোচনা, সমালোচনায় ভালোই মুখরিত হচ্ছে পোস্টটি। একটা পয়েন্ট এড করি - ব্লগারদের তেল বাণিজ্য! বিশ্বাসের জায়গায় অটল না থেকে ব্লগারদের তেলতেলে কমেন্ট কমেন্ট খেলাও হয়ত কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ইস্যু ভিত্তিক আলোচনায় না গিয়ে তেল ঢেলে কতদূর যাওয়া যায়। সংকলন পোস্ট নিয়ে কথা এসেছে। এই সংকলন পোস্ট নিয়ে শুরু থেকেই কিছু ব্লগার তাদের নেতিবাচক মতামত দিয়েছেন। যারা শুরু থেকে তাদের অনেস্ট মতামত ব্যক্ত করেছেন তাদের সম্মান করি। কিন্তু যারা সংকলন পোস্টে তেলের ড্রাম নিয়ে কমেন্ট করত - ওয়াও ভাইয়া , ওয়াও। তারা যখন আবার সংকলন নিয়ে এখন অন্য কথা বলে তখন হাসি পায়। আবার অনেকেই নিজের মাল্টিকে প্রোমোট করতে নিজেই ব্লগার প্রোমোট সংকলন করেছে তারাও ফান করতে চায়!

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জেন রসি বলেছেন: কেউ যদি পরে বুঝতে পারে সেটা ভুল পদক্ষেপ ছিল বা বিষয়টাতে সমর্থন বা উৎসাহ দেওয়ায় বরং লাভের চাইতে ক্ষতি হয়েছে বেশী এবং সেটা বলেও তবে সে জাজমেন্টকে কিভাবে দেখবেন? সংকলন পোস্ট কি ভালো পদক্ষেপ ছিল বলে মনে করেন? করলে কেন ?

২৫| ১০ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি মন্তব্যে লিখেছিলাম, " সময়ের সাথে ব্লগিং একটা আকার ধারণ করে, যার সাথে অনেক তাল মিলাতে পারেননি, তারা এখন সেইসবুকে আছেন।

লেখক বলেছেন, "কেন পারেনি? ধরেন আপনাকে নিয়ে কেউ কেউ বলে আপনি কনটেন্ট না বুঝেই সমালোচনা করেন বা বিদ্রুপ মন্তব্য করেন। "

-ব্লগের আলোচনায়, একজন মানুষের পুরো ব্যক্তিত্ব, ভাবনা, ধারণা, বিশ্বাস সবকিছু বেরিয়ে আসে; এবং অনেকের বেলায়, ইহা ব্লগিং'এর জন্য যথেষ্ঠ নয়।

আমি ব্লগারের লেখা ও তাঁর প্রোফাইলকে মনে রেখে আলোচনা করি; অনেকে চায় যে, শুধু পোষ্টের উপর কথা বলতে; আসলে, পোষ্ট হলো মানুষের ভাবনা, ধারণা, বিশ্বাস ও জ্ঞানের মিলিত প্রকাশ।

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

জেন রসি বলেছেন: -ব্লগের আলোচনায়, একজন মানুষের পুরো ব্যক্তিত্ব, ভাবনা, ধারণা, বিশ্বাস সবকিছু বেরিয়ে আসে; এবং অনেকের বেলায়, ইহা ব্লগিং'এর জন্য যথেষ্ঠ নয়।

আপনি বলছেন, আপনার যেকোন একটি ইস্যু ভিত্তিক পোস্ট পড়লে আপনার পুরো ব্যক্তিত্ব, ভাবনা, ধারণা, বিশ্বাস সবকিছু বেরিয়ে আসবে? নাকি কোন সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আপনি কি ভাবছেন তা জানা যাবে? বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে ভেবে দেখতে পারেন।

২৬| ১০ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার দুই নং পয়েন্ট নিয়ে কিছু বলি। অবশ্যই ফেবু,ইউটিউব এগুলার তুলনায় ব্লগ অনেক পিছিয়ে পরেছে।
পারসোনাল ব্র্যান্ডিং এর জন্য সামুর মত কমিউনিটি টাইপ ব্লগ এখন বেহুদা অপশন আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়/।
প্রমোশনের খাতিরে লাগালে লাগালাম নাহলে নাই এই টাইপ।ব্লগে একাউন্ট না থাকলেও কোন সমস্যা নাই।দেখবেন, অনেকে ফেসবুকে পোস্ট লিখে সেটা ব্লগে শেয়ার করে।ব্লগ থেকে ফেবুতে যায় না।
আগে যারা পার্সোনাল ব্রান্ডিং এর জন্য আসত তারা যখন বেটার অপশন ফেবু পেয়ে গেছে, ওতে সুইচ করেছে। উপরে অপু তানভীর ভাইও ফেবুর আরো কয়েকটি এডভান্টেজ তুলে ধরেছেন,যা ব্লগ দিতে পারছে না।
এর পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দিক দিয়েসামু ব্লগ নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে সময়ে সময়ে।এটি মোবাইল ইউজার ফ্রেন্ডলি না ।দ্রুত সমস্যা সমাধানের কোন পদক্ষেপ তাদের নিতে দেখা যায় না।অনেক ব্লগে আপনি ফেসবুক থেকে কমেন্ট দিতে পারেন, সামুতে এই সুবিধা নেই।অথচ এটা থাকলে কিন্তু এনগেজ আরো বাড়ত।
যেখানে জনসমাগম বেশি,মানুষ সেখানেই যাবে।ফেবু এ বিষয়ে এখনকার সময়ে সেরা,তাই মানুষ ওখানে।যেদিন আরেক প্ল্যাটফর্ম ফেবুকে টক্কর দিতে পারবে মানুষ ওখানে সুইচ করবে।
মডু নিজেই দেখেন ব্লগ জমাবার জন্য টপিকভিত্তিক আলোচনা করছে ফেবুতে।লাইভ করছে কই?ফেবুতে। সেইম আলোচনা যদি কেউ ফেসবুকে প্রাণবন্তভাবে করতে পারে সে কেন ব্লগে আসার তাগিদ বোধ করবে?আজকে ধরেন ব্লগেও লাইভ করা যায়, ফেবুতেও লাইভ করা যায়।মানুষ ফেবুর বদলে ব্লগকে কোন জায়গায় কেন অগ্রাধিকার দেবে তা নিয়ে পরিস্কার চিন্তাভাবনা থাকতে হবে।মানুষ ত একাধিক জায়গায় গিয়ে একই ডিসকাস করবে না,যে কোন এক জায়গায় তার প্রাইম টাইমটা দিবে।ব্লগ মানুষের সেই প্রাইম টাইমটা ক্যাচ করতে পারবে কিনা,পারলে কি উপায়ে পারবে তা নিয়ে ভাবতে হবে।
সামুর এমন কোন ইউনিক ফিচার বা অপশন থাকতে হবে যার আকর্ষণে মানুষ এখানে জড়ো হবে। সেটা কি হবে তা নিয়ে সামুকেই ভাবতে হবে,যদি সারভাইভ করতে চায়।

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

জেন রসি বলেছেন: নোটেড।

২৭| ১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
" সময়ের সাথে ব্লগিং একটা আকার ধারণ করে, যার সাথে অনেক তাল মিলাতে পারেননি, তারা এখন সেইসবুকে আছেন। ব্যাখ্যা দেন একটু ।

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

জেন রসি বলেছেন: -ব্লগারের লেখা যদি জনপ্রিয়তা না পেয়ে থাকে, ব্লগার ক্রমেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। ব্লগে যাদের লেখা জনপ্রিয়তা পায়নি, তাদের অনেকেই ফেইসবুকে ভালো করছেন।- চাঁদগাজী

২৮| ১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ব্লগিং করাই ছেড়ে দিবো। অনেক সহ্য করেছি। আর না। এমন কোনো অপরাধ করি নাই যে আমাকে এত দিন জেনারেল করে রাখবে।
এর মধ্যে ইসিয়াক ভাইকেও জেনারেল করা হয়েছে? উনার অন্যায় কি? সে আমাকে নিয়ে পোষ্ট করেছে?
আমার সহ্যের বাধ ভেঙ্গে গেছে। আর না।

আমি সামু থেকে বিদায় নিবো।

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

জেন রসি বলেছেন: আপনি পূর্বের মন্তব্যে বলেছিলেন সব কিছু ঠিক আছে। এখন বলছেন রাগে সামু থেকে বিদায় নেবেন। অর্থাৎ কিছু একটা আপনার কাছে আর ঠিক মনে হচ্ছেনা। আপনাকে জেনারেল করা হয়েছে তাই?

আপনি কি ভাবছেন আপনাকে অন্যায় ভাবে ক্ষমতার বলে জেনারেল করা হয়েছে? মনে হলে একটু বিস্তারিত জানান।

২৯| ১০ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


@মাহমুদ০০৭ ,
আপনি বলেছেন, বলেছেন, " চাঁদগাজী ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: সময়ের সাথে ব্লগিং একটা আকার ধারণ করে, যার সাথে অনেক তাল মিলাতে পারেননি, তারা এখন সেইসবুকে আছেন। ব্যাখ্যা দেন একটু । "

-ব্লগারের লেখা যদি জনপ্রিয়তা না পেয়ে থাকে, ব্লগার ক্রমেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। ব্লগে যাদের লেখা জনপ্রিয়তা পায়নি, তাদের অনেকেই ফেইসবুকে ভালো করছেন।

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

জেন রসি বলেছেন: ব্লগারের লেখা যদি জনপ্রিয়তা না পেয়ে থাকে, ব্লগার ক্রমেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। ব্লগে যাদের লেখা জনপ্রিয়তা পায়নি, তাদের অনেকেই ফেইসবুকে ভালো করছেন।

কারন কি বলে মনে করেন? পাঠকের রুচি?

৩০| ১০ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: যারাই ব্লগিং ছেড়ে গেছে কোনো না কোনো কারন আছে।
ধরেই আমিই যদি ব্লগিং ছেড়ে দেই, এমনি এমনি তো আর ছেড়ে দিবো না। কারন থাকবে। কারন আছে। সেই কারন খোজার চেষ্টা কেউ করে না।

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

জেন রসি বলেছেন: সে কারন খোঁজার চেষ্টাই আমরা করছি।

আপনার কিছু বলার থাকলে খোলাখুলি বলে ফেলতে পারেন।

৩১| ১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্ম একান্ত ভাবে যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার ।
আমার মনে হয় না ধর্মের ব্যাপারটা এখানে প্রাধান্য পেয়েছে ।

আমি নিজে যেটা অনুভব করি তাতে আমার মনে হয়েছে ফেসবুক ইউটিউব এ জাতীয় সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক একটা বড় ভূমিকা রেখেছে ।

এমন একটা সময় ছিল যখন ফেসবুকে বাংলা তো দূরের কথা ইংরেজি ও খুব বেশি লেখা যেত না । এখন ফেসবুক সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে । ফেসবুকে এখন ইচ্ছামত বাংলা লেখা যায়। ইংরেজি লেখা যায়। যে কোন ভাষা লেখা যায় এবং ফেসবুকে মডারেশন ব্যাপারটা জটিল না । বলতে গেলে যা খুশি তাই লেখা যায়। বাংলা ব্লগে এটা সম্ভব না । সেই কারণে অনেক মানুষই ব্লগ ছেড়ে ফেসবুক ভিত্তিক লেখালেখিতে মেতে উঠেছেন।

১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

জেন রসি বলেছেন: এমন একটা সময় ছিল যখন ফেসবুকে বাংলা তো দূরের কথা ইংরেজি ও খুব বেশি লেখা যেত না । এখন ফেসবুক সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে । ফেসবুকে এখন ইচ্ছামত বাংলা লেখা যায়। ইংরেজি লেখা যায়। যে কোন ভাষা লেখা যায় এবং ফেসবুকে মডারেশন ব্যাপারটা জটিল না । বলতে গেলে যা খুশি তাই লেখা যায়। বাংলা ব্লগে এটা সম্ভব না । সেই কারণে অনেক মানুষই ব্লগ ছেড়ে ফেসবুক ভিত্তিক লেখালেখিতে মেতে উঠেছেন।

নোটেড। তবে ব্লগের আর সম্ভাবনা নেই বলছেন? আপনি কি ব্লগ নিয়ে আশাবাদী?

৩২| ১০ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: লাইব্রেরীর ভেতর লাইব্রেরী? ;)

ফান অ্যাপার্ট, সংকলন পোস্ট বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জায়গায় কোন প্রতিবন্ধকটা সৃষ্টি করেছিল বলে মনে করেন? করলে কেন? অথবা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা কমে গিয়েছিল বলেই সংকলন পোস্ট হত এমনটা মনে করেন?

ওকে বলছি.....
সংকলন পোস্ট বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জায়গায় কোন প্রতিবন্ধকটা সৃষ্টি করেছিল বলে মনে করেন?

মনেও করি আবার মনেও করি না.... হা হা যেন ধরি মাছ না ছুঁই পানি। এমনটাও ভেবোনা। আসলেও মনেও করি আবার মনেও করি না।


কেনো করি?

সংকলন পোস্ট তখনই বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জায়গা হবে যখন সংকলন পোস্টে মান সন্মত লেখা স্থান পাবার জন্য মানুষকে বুদ্ধির চর্চা করতে হবে।মানুষকে লেখা নিয়ে ভাবতে হবে সে একটা সামান্য ছোট্ট ছড়াও যদি হয় হোক। কিন্তু সেই সংকলন পোস্টগুলো ছিলো দুনিয়ায় যত পোস্ট আছে সব পোস্টের সংকলন।

সেটা করার কারণ ছিলো কিছু। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। সে সময় প্রচুর ব্লগার ছিলো। কিন্তু আজ যারা বিশেষ বিশেষ ভাবে বিভিন্ন জায়গায় স্থান পেয়েছেন তারা চলে গিয়েছিলো কিন্তু ব্লগারের তাই বলে কোনো কমতি ছিলো না। ঠিক তেমনই কমেন্ট চালাচালি হত অসংখ্য অসংখ্য। এখন দেখো সংকলনে যদি সবার লেখা স্থান দিয়ে দেওয়া যেত তো দুদিনের একজন ব্লগারও কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা না করেই দুদিনে পরিচিতি পেয়ে যেত এবং এক একজন বুদ্ধিহীন লেখা লিখেও এই পোস্টে অংশ পেয়ে ভীষন খুশি হয়ে যেত।

সেটা সে সময়ের এক কালচার ছিলো। সংকলন সংকলনের সংকলন এবং সংকলনের সংকলনের সংকলন। আর দেখো যুগে যুগে ফ্যাশন বদলায় বদলায় মানুষ। এক সময় নয় বছরের বালিকা বিয়ে করাও দোষের ছিলো না এখন সেটা করলে হাস্যকর হবে। সেই হিসাবে সেই সংকলন দেখে সংকলন মানুষেরাও মনে হয় আজ হাসবে।

কাজেই আজ যারা হাসছি বা হাসবো তারাও এক সময় সেই সংকলনে গা ভাসিয়েছিলো। এখন যেমন কেউ কারো পোস্ট তেমন পড়ে না, কমেন্টও নাই, হাসাহাসি বা আলোচনা বা সমালোনাও নাই তখন যেন কমেন্ট না করাটাই অপরাধ ছিলো। সেটাও সে যুগের কালচার ছিলো।

যাইহোক কাজেই সেইসব সংকলন ছিলো হাস্যকর যে করতো এবং যারা স্থান পেতও!

কিন্তু আমি সে সময় কারো কারো কাছে শুনেছি এই সংকলনেরর মানে কি? তারা মানে আরও অভিজ্ঞরাই বলেছে ব্লগ ডুবছে সংকলন চাঙ্গা রাখা।

অথবা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা কমে গিয়েছিল বলেই সংকলন পোস্ট হত এমনটা মনে করেন?

আমার নিজের কাছে মনে হয় যারা ব্লগ নিয়ে তখনও ভাবতো সেই গ্রুপটা বা সিন্ডিকেটের একটা ভালো উদ্দেশ্য ছিলো সংকলন করে ব্লগারদের লেখালিখির অভ্যাস বাড়ানো বা ব্লগটাকে জাগিয়ে রাখার।

কিন্তু অন্তসার শূন্য কিছু নিয়ে থলি ভরাতে গেলে দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো প্রবাদ সার্থক হয়ে যায়।






১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪১

জেন রসি বলেছেন: মনেও করি আবার মনেও করি না.... হা হা যেন ধরি মাছ না ছুঁই পানি। এমনটাও ভেবোনা। আসলেও মনেও করি আবার মনেও করি না।

ভাবছিনা। আপনি পানি থেকে মাছ উঠিয়ে সে মাছ ভেজে খেয়ে ফেলতে পারেন বলেই আমার বিশ্বাস..... হা হা হা:P

বিষয়টা খুব চমৎকার ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। সময়ের সাথে সাথে কালচার বদলায়। মানুষের চর্চাও বদলায়। রুচিও বদলায়। ভালো লাগা খারাপ লাগাতেও পরিবর্তন আসে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে এ পরিবর্তনটা খুব দ্রুত হচ্ছে। সামুও তার বাইরে নয়। এবং এ কারনেই অতীতকে জাজ করতে হলে খোলা মন নিয়েই তা করতে হয়। একসময় যা ঠিক মনে হয়েছে পরে তার যৌক্তিক বিশ্লেষণ করে একধরনের আত্মসমালোচনার মধ্যে দিয়ে গেলে বরং তাই গঠনমূলক কিছু হয়ে উঠে।

৩৩| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একটা তথ্য একটু সংশোধন করে দিচ্ছি। আপনি যেখানে এই পোষ্টটি প্রথমে দিয়েছিলেন, সেটাই সামহোয়্যারইন ব্লগের স্বীকৃতি বা অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ। অন্য কোন যদি গ্রুপ থাকে, তাহলে তা ব্লগারদের একান্তই নিজস্ব গ্রুপ হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্লগার ছাড়া সেই গ্রুপে আমরা সাধারনত কাউকে যুক্ত করি না।

সামহোয়্যারইন ব্লগের অফিসিয়াল গ্রুপের লিংক।

একজন ব্লগার ব্লগার হিসেবে আপনার কাছে আমার একটি প্রশ্ন আছে। আপনি নতুন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন যা ইতিপূর্বে কেউ করে নি কিংবা করলেও হয়ত আমার চোখে পড়ে নি। প্রশ্নটি হচ্ছে - মোডারেটরদের পারসোনাল এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা কিংবা পলিটিক্স। মডারেটরদের কি ধরনের পারসোনাল এজেন্ডা থাকতে পারে? বা পলেটিক্স থাকতে পারে?

এই বিষয়টি শেষে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আপনি সিন্ডিকেটের কথা বলেছেন। আপনার পর্যবেক্ষন অনুযায়ী, আরো বলেছেন ব্লগ নিজেদের প্রয়োজনে কাউকে নায়ক বানিয়েছে আবার ভিলেন বানিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়েছে। শেখার বা জানার প্রেক্ষাপট থেকে এমন দুই একজনের নাম বা পরিচয় জানতে চাইছি।

তারপর বললেন, একজ মোডারেটর কবিতা বুঝেনা। বা গল্প বুঝেনা। তার দক্ষতা নিবন্ধে। এখন সে মোডারেটর সাহিত্য বিষয়ক কনটেন্টগুলোকে কিভাবে জাজ করবে? বিষয়টি একজনের পক্ষে সম্ভবও না। কারন একজন মানুষ একসাথে সবকিছুতে দক্ষ হতে পারেনা। কিন্তু এইগুলো তো ভিন্ন প্রসঙ্গ। আমার মনে হয় যারা ব্লগ নিয়ন্ত্রন করেন, তারা নির্দিষ্ট একটি মানদন্ডের ভিত্তিতে সঞ্চালক নিয়োগ করে থাকেন। আর ভালো মন্দ তো খুবই ব্যক্তিগত বিষয়। আমি এই সব বিষয়ে একমত প্রকাশ করেও বুঝতে পারছি না মডারেটদের পারসোনাল এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা কিংবা পলিটিক্স এর বিষয়টা।

আশা করছি, প্রিয় রসি ভাই আপনি বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন।

অগ্রিম ধন্যবাদ রইল।



১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১১

জেন রসি বলেছেন: আপনি যেখানে এই পোষ্টটি প্রথমে দিয়েছিলেন, সেটাই সামহোয়্যারইন ব্লগের স্বীকৃতি বা অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ। অন্য কোন যদি গ্রুপ থাকে, তাহলে তা ব্লগারদের একান্তই নিজস্ব গ্রুপ হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্লগার ছাড়া সেই গ্রুপে আমরা সাধারনত কাউকে যুক্ত করি না।

আমি সামহোয়্যারইন ব্লগের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপেই পোস্টটি দিয়েছিলাম। অন্য কোন গ্রুপে দেইনি। পোস্টে আমি ব্লগারদের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখেছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকজন ব্লগার খুব খোলামেলা ভাবেই তাদের মত প্রকাশ করে। তাই ব্লগে তাদের সে মতামতের ভিত্তিতেই আমি এই পোস্ট দিয়েছি। যেন ব্লগাররাও আলোচনায় অংশগ্রহন করতে পারে। আমি ব্লগারদের মতামত থেকে তাদের প্রশ্ন করেছিলাম।তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে তারা যা মনে করেন তা নিয়েই মূলত এই পোস্ট। তাই পোস্টের শিরোনামে হাইপোথিসিসের উল্লেখও আছে। অর্থাৎ আলোচনার মাধ্যমেই, একজন আরেকজনের যুক্তি খণ্ডন করেই সত্যের কাছাকাছি যাওয়া।

মোডারেটরদের পারসোনাল এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা কিংবা পলিটিক্স। মডারেটরদের কি ধরনের পারসোনাল এজেন্ডা থাকতে পারে? বা পলেটিক্স থাকতে পারে?

আমি প্রশ্নটি রেখেছিলাম। কারন ব্লগের পতনের কারন হিসাবে অনেকেই এমনটা বলে থাকেন। প্রশ্নের বেশ কিছু উত্তরও এসেছে। যার সারমর্ম পোস্টেই দিয়েছি হাইপোথিসিস হিসাবে। যার সত্য মিথ্যা আলোচনার মধ্যে দিয়েই উঠে আসবে। বা আসছে। প্রথমত আমি স্পষ্ট ভাবেই পোষ্টে বলেছি এসব ব্লগারদের ভাবনা চিন্তা, পর্যবেক্ষণ থেকেই এসেছে। এখানে আমি আমার পারসোনাল মতামত চাপিয়ে দিয়েছি বিষয়টা এমন নয়।

আলোচনা করতে করতেই দেখা গেছে মোডারেটর বা মোডারেশন নিয়ে অনেকের ভেতর একটা ক্ষোভ আছে। আমি জানি কাজটা সহজ নয়। কিন্তু আমি বুঝতে চেয়েছি কেন আসলে সমস্যাটা হচ্ছে। আমার পর্যবেক্ষণ থেকে মনে হয়েছে একজনের পক্ষে সবকিছু জাজ করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এবং করতে গেলেই ভুল ত্রুটিও হবে। সে পর্যবেক্ষণ থেকেই এটা বলা।

সব বিষয়ে একমত প্রকাশ করেও বুঝতে পারছি না মডারেটদের পারসোনাল এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা কিংবা পলিটিক্স এর বিষয়টা।

আশা করছি, প্রিয় রসি ভাই আপনি বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন।


এটা আমার প্রশ্ন ছিল। সে প্রশ্নের উত্তর বেশ কয়েকজন ব্লগার দিয়েছন। আমি আশা করব তারা ব্লগে এসে তাদের যুক্তি খণ্ডন করে যাবেন। এবং এই পোস্টেও দুএকজন এ বিয়য়ে মন্তব্য করেছেন। আশা করছি তারাও আপনার প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিবে।

আমি চেয়েছিলাম একটা আলোচনা হোক। যদিও বিষয়গুলো স্পর্শকাতর তবুও সন্দেহ, দ্বিধা কেটে যাক। সে জন্যই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার অবতারণা।

আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কাভা ভাই।

৩৪| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: আপনার লেখার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য দিতে গিয়ে আস্ত একটা লেখা লিখে ফেললাম, সময় থাকলে ঘুরে আসার আমন্ত্রন থাকল সামু ব্লগে কেন আসে না আগের মত লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা লিখতে উদ্দীপ্ত করায়।

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার লেখাটি অবশ্যই পড়ব।

৩৫| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৪

শায়মা বলেছেন: ১৮. ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৬২

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!! :|
ভাবছি!!!
এই পোস্টটা স্টিকি করলে ভালোই দোষ গুন বিচার করেও যদি ভালো কিছু ফলাফল বের হয়ে আসতো তো ভালোই হত!!

কিন্তু মডুভাইয়া কি সেটা করবে!!!

চিন্তার পড়লাম!!! :| :| :|

আচ্ছা আরও চিন্তা করে আসছি ....
১০ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯০

লেখক বলেছেন: না। মডু ভাইয়া তা করবে না। কারন আমার ধারনা মডু ভাইয়া ভাবছে অসময়ে একি উৎপাত? ওদের জ্ঞান দাও প্রভু, ওদের ক্ষমা কর।( কাল্পনিক ভার্শন)। B-)



দেখছো আমার চিন্তা ঠিকই ছিলো তোমার চিন্তা ভুল ছিলো ভাইয়ু!!!

মডু ভাইয়া নিজেই জ্ঞানার্জনের জন্য সবাইকে আলোচনা করার সুযোগ দিলো এবং জানতে চাইলো আসলেও মানুষের ভাষ্য কি!!!


আমার আরও কিছু ভাষ্য আছে আমি আছি এই পোস্টে তোমার গুরু গম্ভীর আলোচনায় ফান গম্ভীর মুডে অংশ নেবার জন্য। এখ এক করে আসছি ভাবতে ও বলতে এরপর কমেন্টেও আলোচনার কিছু দেখতে পাচ্ছি যা তোমার সাথেও মিলছে না সেটা জানাবো! :)



১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০০

জেন রসি বলেছেন: ওটা কাল্পনিক ভার্শন ছিল। ;)

মডু ভাইয়া নিজেই জ্ঞানার্জনের জন্য সবাইকে আলোচনা করার সুযোগ দিলো এবং জানতে চাইলো আসলেও মানুষের ভাষ্য কি!!!

আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বিষয়গুলো নিয়ে। কাভা ভাইকে ধন্যবাদ।

আমার আরও কিছু ভাষ্য আছে আমি আছি এই পোস্টে তোমার গুরু গম্ভীর আলোচনায় ফান গম্ভীর মুডে অংশ নেবার জন্য। এখ এক করে আসছি ভাবতে ও বলতে এরপর কমেন্টেও আলোচনার কিছু দেখতে পাচ্ছি যা তোমার সাথেও মিলছে না সেটা জানাবো! :)

অবশ্যই। সহমতের চেয়ে দ্বিমত অধিক সম্ভাবনার পথকে বিকশিত করে।

৩৬| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:


ব্লগ তার কার্যকারিতা হারাচ্ছে কেননা ব্লগে এখন আর এই ধরণের পোস্ট নিয়মিত আছে না বলে ;)

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আশা করছি বিষয়গুলি নিয়ে মতামত রাখবেন।

৩৭| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ফেসবুকে ইউজার বেশী। ফেসবুক বেশী জনপ্রিয় । লাইক ও ও মন্তব্য বেশী পায়। লেখালিখির পাশাপাশি চ্যাট, বন্ধুত্ব, প্রেম করা যায়। ইমোশান শেয়ার করা যায়। এটা আসলে মূল কারণ।

অন্য যে কারণ গুলো আপনি তুলে ধরেছেন এগুলোর জন্য ব্লগার ব্লগ ছেড়ে যাবেনা।

আর একজন ব্লগার খুব সহজে ফেসবুকার হতে পারে কিন্তু একজন ফেসবুকার সহজে ব্লগার হতে পারেনা। ব্লগারদের ক্লাস এবং স্ট্যান্ডার্ড টাই আলাদা। একজন সাধারণ ফেসবুকার এর চেয়ে একজন ব্লগারের পোস্ট ও কমেন্ট অনেক অনেক গুণগত মাণসম্পন্ন এবং এক্সট্রাঅরডিনারি ।

এখানেই ব্লগের শ্রেষ্টত্ব।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৭

জেন রসি বলেছেন: ব্লগারদের ক্লাস এবং স্ট্যান্ডার্ড টাই আলাদা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তবে এই ক্লাস এবং স্ট্যান্ডার্ড ছেড়ে ব্লগাররা ফেসবুকে যাচ্ছে কেন? জনপ্রিয়তা, লাইক কমেন্ট পাওয়া, চ্যাট, বন্ধুত্ব, প্রেম করার জন্য? যেহেতু আপনি বলেছেন এটাই একমাত্র কারন? দুটো ব্যাপার বিপরীতমুখী হয়ে গেলনা?

৩৮| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই, অনেক দিন পরে পোস্ট দেওয়ার জন্যে। আশা করি, ভালো আছে।

আপনার সাথে কিছু ব্যাপারে দ্বিমত পোষন করছি-

১। ব্লগের পতনের কারন নাস্তিক আস্তিক বিতর্ক।

বিতর্ক সে কোন প্ল্যাটফর্মেই হতে পারে। এ নিয়ে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি বা ল্যাগিং বন্ধ হবে না। টিভি চ্যানেলগুলোতে বিতর্ক চরম পর্যায়ে গেলেও, অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। বরং, বেড়েছে।

তাহলে, সামুতে বিতর্ক হলে তা জনপ্রিয়তা পাবে না কেন!!! আমি মনে করি, এই ধরণের বিতর্কে সামুই দেশের মিডিয়াগুলোকে পথ দেখিয়েছে।

২। ব্লগের পতনের কারন ফেসবুকের মত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মতো সামু'রও কম্পিটিটর থাকতে পারে। তবে, ফেসবুকের কারণে ব্লগে 'পতন' হয়েছে এটা বলা যাবে না। বরং, বলতে হবে, ফেসবুকের কারণে যারা ব্লগ মিডিয়া ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁরা উচ্চাশা নিয়েই সেখানে লিখছেন।

৩। দলবাজি, সিন্ডিকেটবাজি ইত্যাদি।

দলবাজি, সিন্ডিকেটবাজি করে কেউ টিকতে পারেননি। যারা সাময়িক লাভের আশায় এমন করেছেন, তাঁদের কেউই এখন আর নেই। যখন মোহ ভঙ্গ হয়েছে, তাঁরা ব্লগ রেখে ফেসবুকে চলে গিয়েছেন।

৪। ডিজিটাল আইন কিংবা শাসকগোষ্ঠীর ফেসিস্ট আচরন।

এটা একটা কারণ হতে পারে। ভয় পেয়ে অনেক ব্লগার দূরে চলে গিয়েছেন। কিন্তু, নিজেদের অতীতকে তো কেউ ভুলতে পারে না!

৫। মোডারেটরদের পারসোনাল এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা কিংবা পলিটিক্স।

আপনার মতো পুরোনো ব্লগারকে এভাবে দায়সারা ভাবে বললে কি চলবে!!! আপনি কিন্তু কোন প্রমাণ দেননি!

সর্বোপরি, শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৫

জেন রসি বলেছেন: অনেকদিন পর পোস্ট দেইনি। এই পোস্ট দেওয়ার আগের দিনও পোস্ট দিয়েছিলাম।

বিতর্ক খারাপ না ভালো সেটা নিয়ে মূলত এই পোস্ট না। ব্লগের পতন কেন হয়েছে এবং ব্লগ কেন আগের মত উঠে দাঁড়াতে পারছেনা তার অনুসন্ধান নিয়েই মূলত এই পোস্ট। আস্তিক নাস্তিক বিতর্কের প্রভাব ব্লগে কেমন পরেছে, কেন পরেছে সেখানে কার কি ভূমিকা ছিল সে পয়েন্টটাই মূলত তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মতো সামু'রও কম্পিটিটর থাকতে পারে। তবে, ফেসবুকের কারণে ব্লগে 'পতন' হয়েছে এটা বলা যাবে না। বরং, বলতে হবে, ফেসবুকের কারণে যারা ব্লগ মিডিয়া ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁরা উচ্চাশা নিয়েই সেখানে লিখছেন।

তাতে কার ক্ষতি হয়েছে? ব্লগেরই হয়েছে? নয় কি?

দলবাজি, সিন্ডিকেটবাজি করে কেউ টিকতে পারেননি। যারা সাময়িক লাভের আশায় এমন করেছেন, তাঁদের কেউই এখন আর নেই। যখন মোহ ভঙ্গ হয়েছে, তাঁরা ব্লগ রেখে ফেসবুকে চলে গিয়েছেন।

একই প্রশ্ন। কার ক্ষতি হয়েছে? ব্লগেরই হয়েছে? নয় কি?

আপনার মতো পুরোনো ব্লগারকে এভাবে দায়সারা ভাবে বললে কি চলবে!!! আপনি কিন্তু কোন প্রমাণ দেননি!

সর্বোপরি, শুভেচ্ছা নিরন্তর।


নতুন ব্লগার, পুরানো ব্লগার এখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়। আমি প্রশ্ন রেখেছি। সেটা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। তাছাড়া মোডারেশনের নানা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অভিযোগ সবসময়ই থাকে। তার সমাধানের জন্যই খোলাখুলি আলোচনার প্রয়োজন।

আপনাকেও শুভেচ্ছা।

৩৯| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: প্রথম কথা ব্লগ নিয়ে আলোচনা ব্লগেই চাই। ধন্যবাদ।
দুনিয়ার কোন কিছুর যৌবন আসলে চিরস্থায়ী নয়, ব্লগের বিষয়টা এমনি। তবে এখনো সামু টিকে আছে এটাই আমার কাছে বিস্ময় লাগে।
ভালবাসায় সামু টিকে থাকুক, এখন এটাই চাওয়া।
শুভেচ্ছা।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩০

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। পরিবর্তন খুব ন্যাচারাল ব্যাপার।

আপনাকেও শুভেচ্ছা।

৪০| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নোটেড। তবে ব্লগের আর সম্ভাবনা নেই বলছেন? আপনি কি ব্লগ নিয়ে আশাবাদী?


ব্লগ হারিয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় পত্রিকাই তো আর টিকে থাকতে পারছে না।কারণ পরিচালনার খরচ আছে।

সামহোয়ার ইন ব্লগ চালাতেও খরচ লাগে। এক সময় খরচ চালাতে না পারলে এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।

আমার নিজের ধারণা এই ব্লগের আয়ের খুব একটা উৎস নেই। আর পাঠক যে খুব বেশী তাও না।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৬

জেন রসি বলেছেন: নোটেড।

৪১| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমাদের প্রতিটি মানুষের স্বতন্ত্র বিচার, বিবেচনা, মতামত ও দর্শন রয়েছে। ফলে যে কোন সিদ্ধান্তই সব সময় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং ব্যক্তিগতভাবেই তার ভালো মন্দ নির্ধারিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই ব্লগারদের মডারেটর বা মডারেশনের উপর ক্ষোভ থাকা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। আপনি যেমন অন্যের মতামত তুলে ধরেছেন, তেমনি নিজস্ব ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে তাই আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম - মডারেটদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা কি হতে পারে বা পলেটিক্স কি হতে পারে।

এনিওয়ে, আপনার পোষ্টে অনেকেই সিন্ডিকেট কি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বা আলোচনা করেছেন। এই পোষ্টে চোখ রাখলেই আশা করি নতুন পুরানো সকলেই সিন্ডিকেট কি বা সিন্ডিকেট কিভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে জানতে পারবে।

ব্লগ নিয়ে সকলেই সকলের চিন্তাভাবনা তুলে ধরছেন, এটা আনন্দের বিষয়। আরো আনন্দের বিষয়, এই সুযোগে হয়ত অনেক পুরানো মুখকে দেখা যাবে, যাদেরকে হয়ত গত কয়েক বছরে ব্লগে প্রকাশ্যে দেখা যায় নি। পুরানো ব্লগারদের সাথে নতুন ব্লগারদের এই মিথস্ক্রিয়াকে স্বাগতম জানাই।

আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
গ্রুপের ব্যাপারে আমি যা বলেছি আপনি হয়ত বুঝেন নি। আপনি লিখেছেন ফেসবুকে সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগারদের একটা গ্রুপ আছে। গ্রুপ তো অনেকগুলো আছেন আপনি অফিসিয়াল গ্রুপেই পোষ্ট দিয়েছেন, সেটাই আমি বুঝাতে চেয়েছি।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৪

জেন রসি বলেছেন: আমাদের প্রতিটি মানুষের স্বতন্ত্র বিচার, বিবেচনা, মতামত ও দর্শন রয়েছে। ফলে যে কোন সিদ্ধান্তই সব সময় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং ব্যক্তিগতভাবেই তার ভালো মন্দ নির্ধারিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই ব্লগারদের মডারেটর বা মডারেশনের উপর ক্ষোভ থাকা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। আপনি যেমন অন্যের মতামত তুলে ধরেছেন, তেমনি নিজস্ব ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে তাই আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম - মডারেটদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা কি হতে পারে বা পলেটিক্স কি হতে পারে।

ঠিক এমনটাই আমি বলতে চেয়েছি। এবং আপনি আপানার অভিজ্ঞতা থেকেই এটা উপলব্ধি করেছেন বলেই মনে হয়। এবং ভেবে দেখেন এই বিষয়টি কিন্তু ব্লগে নানা সময়ে নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি করেছে। মোডারেশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবং এই প্রশ্ন উঠাটাও কিন্তু যৌক্তিক। এই বিষয়ে ভাবতে গিয়ে আমারো মনে হয়েছে একজন মানুষের পক্ষে সব লেখা জাজ করে নির্বাচন করাটা প্রায় অসম্ভব। এবং এই প্রশ্নও আসে এটা যদি সমস্যা হয় তবে তার সমাধান কি? বা ব্লগ নীতি নির্ধারকদের এ বিষয়ে কোন ভাবনা চিন্তা আছে কিনা?

মোডারেটরদের পারসোনাল এজেন্ডা বা পলিটিক্স বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে অনেক ব্লগারই অনেক সময় বলে থাকেন। তাই সরাসরি প্রশ্ন করেছি। কিছু উত্তরও এসেছে। যা দেখেছেন বলে মনে হয়। আমার ধারনা বিষয়গুলো নিয়ে ফিসফাস করা বা কান কথার চেয়ে সরাসরি আলোচনাই ভালো।

আর আমরা কেউ সমালোচনার বাইরে নই। আমাদের সবারই সীমাবদ্ধতা আছে। এবং যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমেই আমরা তা কাটাতে পারি।

আপনি আলোচনায় অংশগ্রহন করেছেন। আমি ভেবেছিলাম করবেন না। দেখুন এই ভাবনাটাও কিন্তু আমার সীমাবদ্ধতা। আলোচনায় এসে যা আপনি ভেঙ্গে দিয়েছেন। এভাবে ভালো কিছু হতেও পারে।

৪২| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: লেখালেখি করি প্রায় ৩০ বছর কিন্ত ব্লগে ৩ বছর। ব্লগ মুক্তবুদ্ধি চর্চার জায়গা শুনেই এখানে লিখতে এসেছিলোম। আশা করেছিলাম,এখানে অনেককে পাবো যাদের সাথে জ্ঞান-চর্চা করা যাবে।
কিন্ত এখানে এসে দেখি এখানে প্রকৃত লেখকরা যতোটা সক্রিয়,তারচেয়ে হাজারগুণ বেশী নক্রিয় কিছু ব্লগার নামের লোক,যাদের মধ্যে ন্যুতম ভদ্রতাজ্ঞান পর্যন্ত নাই। এরা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলে প্রচার করে, দেশে দেশে এ্যামেরিকার আগ্রাসন,গণহত্যা আর লুটপাটকে নির্লজ্জের মতো সমর্থন করে।
এরা এখানে সবসময় মূল লেখার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে সবসময় লেখকদের ব্যাক্তিগতভাবে আক্রমণ করে।
এদের মধ্যে চাদগাজী,নতুন,উদসী,সুপার,মিরর ডল, সুপার-ডুপার প্রধান।
শেষটাকে তো ব্লকই করে দিয়েছি ।
তবে অভদ্র আচরণের দিকে এখন ১ নম্বরে আছে উদাসী। সে তারচেয়ে বয়সে,শিক্ষায় এবং লেখালেখির দিক দিয়ে অনেক প্রবীণ হওয়ার পরও চরম অভদ্রের মতো আমাকে তুমি সম্বোধন করছে।
এ অভদ্রতার মাধ্যমে সে পুরো ব্লগেরই অসন্মান করছে কারণ বাইরের লোকরাও এখানে পড়তে এসে দেখছে যে এখানে অবাধে অশোভন আচরণ করা যায় এবং করলে কেনো শাস্তিও হয় না। আমার লেখাগুলিতে তার মন্তব্য পড়ে দেখেন তার ভদ্রতা ও রুচির মান কোন স্তরে।
ব্লগে মানসম্মত করতে হলে এখানে যোগ্য ব্যাক্তিদের নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব দিতে হবে,যাদের রাজনীতি-অর্থনীতি-ইতিহাস-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-চলচ্চিত্র এবং দেশর আইন সম্পর্কেও যথেষ্ট জ্ঞান আছে এবং যারা বড়দের সন্মান দিতে এবং তাদের সন্মান রক্ষা করতে জানে, যেসব গুণাবলী বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারীদের নাই।

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

জেন রসি বলেছেন: এ্যামেরিকার আগ্রাসন,গণহত্যা আর লুটপাটকে নির্লজ্জের মতো সমর্থন করে।
এরা এখানে সবসময় মূল লেখার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে সবসময় লেখকদের ব্যাক্তিগতভাবে আক্রমণ করে।
এদের মধ্যে চাদগাজী,নতুন,উদসী,সুপার,মিরর ডল, সুপার-ডুপার প্রধান


আপনি সুনির্দিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এখানে আমার মতামত হচ্ছে লিখতে গেলে আপনার ভাবনা চিন্তাকেও পাল্টা প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে। সেক্ষেত্রে তার যৌক্তিক জবাব আপনাকেই দিতে হবে। ব্লগের বিশেষত্বটাই এমন। হয়তো কেউ ঠাণ্ডা মেজাজে তা করে, কেউ খুব স্পষ্টবাদী কিংবা আক্রমণাত্মক। কিন্তু দিনশেষে যে যা ভাবছে তাকে পাল্টা যুক্তি দিয়েই মোকাবেলা করতে হয়। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জায়গায় আবেগ, অন্ধবিশ্বাস এসব অর্থহীন। আর যখন কেউ কিছু লিখছে তখন কে মুরুব্বি কে না এটা খুব মুখ্য ব্যাপার না। কে কি বলছে, কে লিখছে, সে লেখার পেছনে তার তার জানা শোনা বা জ্ঞানের কোন সীমাবদ্ধতা আছে কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সীমাবদ্ধতা আমাদের সবারই রয়েছে। আমরা কেউই সব জানিনা। তবে খোলা মনে আলোচনা, সমালোচনা, ডিবেট করলে সে স্কোপটা বেড়ে যায়। এভাবেও ভেবে দেখতে পারেন।

ব্লগে মানসম্মত করতে হলে এখানে যোগ্য ব্যাক্তিদের নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব দিতে হবে,যাদের রাজনীতি-অর্থনীতি-ইতিহাস-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-চলচ্চিত্র এবং দেশর আইন সম্পর্কেও যথেষ্ট জ্ঞান আছে এবং যারা বড়দের সন্মান দিতে এবং তাদের সন্মান রক্ষা করতে জানে, যেসব গুণাবলী বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারীদের নাই।

একমত। তবে এটাও ভেবে দেখতে হবে যে, বড়দের প্রতি সন্মান থাকবে কিন্তু তার মানে এই না যে তাদের কোন লেখা, ভাবনা চিন্তার সমালোচনা করা যাবেনা কিংবা তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবেনা।

৪৩| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপাতত পোষ্ট দেখে যাচ্ছি ব্যস্ত আছি। গুরুগম্ভীর মন্তব্য করব না!

সময়ের অভাবে একটি পয়েন্টে শুধু মন্তব্য রাখলাম।
"আগে কত ভাল ছিল! ব্লগ আগে ভাল ছিল!"

ব্লগিং শুরু করেছি ১০ বছর হয়ে গেল, তখনও দেখতাম মাঝে মধ্যে অনেকে ওহ আহ করত, আগে কত ভাল ছিল, ভাল ব্লগার ছিল ইত্যাদি নিয়ে! আমার মনে হয় এটা সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার, মানুষ হিসেবে আমরা নস্টালজিক, পুরনো দিন আমাদের নস্টালজিক করে!! আমি ব্লগিং এর শুরুতে অনিয়মিত ব্লগিং করতাম এখনো তাই করি, তাই আমার সবসময় ব্লগের প্রতি একই মমতা আছে সব সময়ের একটিভ ব্লগারদের ভাল লাগে!

নতুন কোন ব্লগার যখন ব্লগিং করে তখন ব্লগিং এর শুরুতে যাদের পায় তাদের বেশী আপন মনে করে। একটা সময় অনেকে জীবন জীবিকার তাগিদে ব্লগ থেকে সরে যায় তখন যারা থেকে যায় ব্লগে তারা এক ধরণের শুন্যতা অনুভব করে! সেই শুন্যতা থেকেই বেরিয়ে আসে ওহ আহ ধ্বনি, আর বলে আগে কত ভাল ছিল!! তবে ব্লগকে প্রতিধন্দিতা করতে হচ্ছে অন্য মাধ্যমের সাথে, আগেও ভাল ব্লগার ছিল এখনো আছে, ভবিষ্যতেও আসবে। ব্লগ জৌলুস ফিরে পাবে।

এখন ব্লগাররাও কিন্তু ভাল করছে, যেমন হেভি-ওয়েট ব্লগার শায়মা, ভার্সেটাইল ব্লগার শের শায়রি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক চাদ্গাজী সাহেব, পরিশ্রমী ব্লগার রাজীব নূর, চির সবুজ ব্লগার নূরু সাহেব, ব্লগার কল্পদ্রুম, ব্লগার ভূয়া মফিজ থেকে শুরু করে অনেক ব্লগার। লিস্ট অনেক বড়!! এই লিষ্টে আপনিও আছেন!







১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

জেন রসি বলেছেন: ব্লগিং শুরু করেছি ১০ বছর হয়ে গেল, তখনও দেখতাম মাঝে মধ্যে অনেকে ওহ আহ করত, আগে কত ভাল ছিল, ভাল ব্লগার ছিল ইত্যাদি নিয়ে! আমার মনে হয় এটা সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার, মানুষ হিসেবে আমরা নস্টালজিক, পুরনো দিন আমাদের নস্টালজিক করে!! আমি ব্লগিং এর শুরুতে অনিয়মিত ব্লগিং করতাম এখনো তাই করি, তাই আমার সবসময় ব্লগের প্রতি একই মমতা আছে সব সময়ের একটিভ ব্লগারদের ভাল লাগে!

আগে ব্লগ ভালো ছিল। এখন নেই। পোস্টটা ঠিক এই বিষয় নিয়ে পারসোনাল আবেগ থেকে লেখা হয়নি। বরং কিছু ফ্যাক্ট তুলে ধরা হয়েছে। ব্লগ তার কার্যকারিতা হারাচ্ছে এটা স্পষ্ট। এই ফ্যাক্টকে ফোকাস করেই কেন হারাচ্ছে, ব্লগাররা কি ভাবছে, সমাধানের কোন পথ আছে কিনা এসব নিয়ে আলোচনার জন্যই মূলত এই পোস্ট। অনুসন্ধানও বলতে পারেন।

এখন ব্লগাররাও কিন্তু ভাল করছে, যেমন হেভি-ওয়েট ব্লগার শায়মা, ভার্সেটাইল ব্লগার শের শায়রি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক চাদ্গাজী সাহেব, পরিশ্রমী ব্লগার রাজীব নূর, চির সবুজ ব্লগার নূরু সাহেব, ব্লগার কল্পদ্রুম, ব্লগার ভূয়া মফিজ থেকে শুরু করে অনেক ব্লগার। লিস্ট অনেক বড়!! এই লিষ্টে আপনিও আছেন!

এখানে কে হেভি-ওয়েট কিংবা কে না তা মুখ্য ব্যাপার না। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় ব্লগ কোথায় কতটুকু প্রভাব রাখতে পারছে, আমরা করটুকু সমৃদ্ধ হতে পারছি এবং করতে পারছি সেটাই মুখ্য। এবং যে জায়গা থেকে ব্লগ তার কার্যকারিতা হারাচ্ছে কিনা এটাই ভেবে দেখার বিষয়।


৪৪| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শত রকমের ফুল বিকশিত হোক

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

জেন রসি বলেছেন: হোক। :)

৪৫| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই
ধন্যবাদ জবাব দেয়ার জন্য।
আপনি কি এমনটাই বুঝাতে চাচ্ছেন যে- যাদের লেখা ব্লগে জনপ্রিয় হয়নি তাদের লেখা ফেসবুকে গিয়ে জনপ্রিয় হয়েছে? যদি হ্যা হয়ে থাকে তাহলে এর কারণ কি বলে মনে হয়?
ধন্যবাদ ।

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

জেন রসি বলেছেন: আপনি কি এমনটাই বুঝাতে চাচ্ছেন যে- যাদের লেখা ব্লগে জনপ্রিয় হয়নি তাদের লেখা ফেসবুকে গিয়ে জনপ্রিয় হয়েছে? যদি হ্যা হয়ে থাকে তাহলে এর কারণ কি বলে মনে হয়?
ধন্যবাদ ।[/sb

আশা করছি ব্লগার চাঁদগাজী এ বিষয়ে তার মতামত জানাবেন।

৪৬| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৯

শায়মা বলেছেন: ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪১০

লেখক বলেছেন: মনেও করি আবার মনেও করি না.... হা হা যেন ধরি মাছ না ছুঁই পানি। এমনটাও ভেবোনা। আসলেও মনেও করি আবার মনেও করি না।

ভাবছিনা। আপনি পানি থেকে মাছ উঠিয়ে সে মাছ ভেজে খেয়ে ফেলতে পারেন বলেই আমার বিশ্বাস..... হা হা হা:P


হা হা পানি থেকে মাছ উঠাতে পারি... ভাঁজতেও পারি কিন্তু কাঁটতে পারিনা তবে না কেঁটেই কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারবো চাইলেই.... :P

বিষয়টা খুব চমৎকার ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। সময়ের সাথে সাথে কালচার বদলায়। মানুষের চর্চাও বদলায়। রুচিও বদলায়। ভালো লাগা খারাপ লাগাতেও পরিবর্তন আসে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে এ পরিবর্তনটা খুব দ্রুত হচ্ছে। সামুও তার বাইরে নয়। এবং এ কারনেই অতীতকে জাজ করতে হলে খোলা মন নিয়েই তা করতে হয়। একসময় যা ঠিক মনে হয়েছে পরে তার যৌক্তিক বিশ্লেষণ করে একধরনের আত্মসমালোচনার মধ্যে দিয়ে গেলে বরং তাই গঠনমূলক কিছু হয়ে উঠে। <<<<<< ঠিক ঠিক অতীবও ঠিক। আমিও এটাই বলতে চেয়েছিলাম তবে একটা জিনিস অপরিবর্তিত দেখেছি। আজও তার কোনো পরিবর্তন হলো না। কেউ কেউ এক কলম লেখার বেলায় নাই, কোনো ভালো পোস্টে নাই, কোনো গঠনমূলক চিন্তা ভাবনাতেও নাই শুধু মাঝে মাঝেই লাফ দিয়ে বলে ওঠে দেখেছি হাও মাউ খাউ কেচালের গন্ধ পাও ধরে ধরে বিলাও.....

ব্লগে বিলাও, ফোনে বিলাও, ফেসবুকে বিলাও .... বিলাও বিলাও বিলাও ...... হা হা হা

এটা অবশ্য ব্লগ পতনের কারণ না নিশ্চয় ..... তবে এটা কি সেটা নিয়েও ভাবতে হবে!!!
ভাবতে ভাবতে ভাবুক হয়ে যাচ্ছি ...... :P

সব কিছুর পরে ইহা এক আনন্দময় পরিভ্রমন...... :)

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২০

জেন রসি বলেছেন: ব্লগে বিলাও, ফোনে বিলাও, ফেসবুকে বিলাও .... বিলাও বিলাও বিলাও ...... হা হা হা

এটা অবশ্য ব্লগ পতনের কারণ না নিশ্চয় ..... তবে এটা কি সেটা নিয়েও ভাবতে হবে!!!
ভাবতে ভাবতে ভাবুক হয়ে যাচ্ছি ...... :P

সব কিছুর পরে ইহা এক আনন্দময় পরিভ্রমন...... :)


ভাবুন। লিখুন। এবং এ বিষয়ে আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

৪৭| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুন্দর সময়োপযোগী লেখা
অনেক সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে।
সমাধানের পথও বাতলে দেওয়া হয়েছে।
আশা করি সকল সমস্যা কেটে যাবে।
তবে সবাইকে সহনশীল হতে হবে।
ফান করুন, মজা করুন তবে খেয়াল রাখতে
হবে কেউ যেন কারো কথায় আহত না হন।
বয়স্কদের সম্মান করতে না পারলে ছোটরা
ভালোবাসা আসা করতে পারে কি?
আর উস্কানিদাতারা একটু সমঝে চলুন!
আপনাদের উস্কানিতে অনেকেরই
অপুরণীয় ক্ষতির কারণ হয়।

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

জেন রসি বলেছেন: আপনার সাথে একমত। তবে এটাও মনে রাখতে হবে সন্মান করা মানে এই না যে সমালোচনা করা যাবেনা। কিংবা প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবেনা। তেমনটা হলে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার পথটাই সংকীর্ণ হয়ে যায়।

৪৮| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সামু অনেকদিন সরকারের নির্দেশে অনেকদিন বন্ধ ছিলো। এ সময় ব্লগ কতৃপক্ষ কি প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলো, কতটুকু প্রশাসনিক বা দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করা লেগেছে নাকি শুধু অফ অন হয়েছে আমরা যারা নিক খুলে ব্লগ লিখি আমার ধারণা তাদের অধিকাংশই সে ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না। তবে একটা ব্যাপার বলা যায় আর কিছু না হোক ব্যাপারটি মানসিক চাপ তো অবশ্যই।

একদিকের চাপ সামলাতে গেলে আরেকদিকের কাজের সক্ষমতা কিছু সময়ের জন্য কমে যায় এটা স্বাভাবিক। এটা বললাম কারণ ফেসবুক আর ব্লগে এই পোস্ট দেখে আমার মনে হয়েছে মূল প্রশ্নটা উঠেছে মডারেশন প্যানেলের সক্ষমতা নিয়ে। সাথে অন্যান্য কিছু প্রশ্ন এসেছে। (বোঝায় ভুল হলে আমি অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি)

ব্লগে যারা লিখতে আসেন তারা সবাই যার যার একটা দৃষ্টিভঙ্গি মতাদর্শ লেখনির সক্ষমতা ইত্যাদি নিয়েই আসে। একক ব্লগার যেমন সব্যসাচী নয় তেমনি ২/৪ জন মডারেটর এত এত লেখনির ধারা অনুপাতে সব্যসাচী চিন্তার নয়। সমস্যা হলো সামু ব্লগের সকল ব্লগার মিলে সব্যসাচী। এখানে কবিতা গল্প বিজ্ঞান ধর্ম রাজনীতি সব ধরনের লেখা নিয়মিত আসে। এখন প্রশ্ন হলো মডারেশন কি সব্যসাচী চিন্তার কিনা? যদি না হয় তাহলে কেন নয়? করা সম্ভব কিনা? সম্ভব করতে পারলে সুবিধা কি? সম্ভব না করতে পারলে অসুবিধা কি? ইত্যাদি..

পোস্ট মডারেশন ব্লগে পোস্ট পাবলিশ হওয়ার উপর মডারেশনের কোন হাত নেই। কিন্তু যখন নির্বাচিত পাতা নামের একটি অপশন আছে তখন মূলত মডারেশন প্যানেলের নামে অভিযোগ করার সুযোগ তৈরি হয়। অভিযোগটি কি নির্বাচিত পাতা নিয়ে নাকি অন্য কিছুতে বুঝতে পারছি না। আরেকটি কারণ হতে পারে ব্লগাররা মডারেশন প্যানেলকে একই সাথে কম্যুনিটির সঞ্চালক হিসেবে দেখতে চায়। সেক্ষেত্রে সঞ্চালক হিসেবে বর্তমান মডারেশন প্যানেলের ত্রুটি আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরেক অভিযোগ সিন্ডিকেটিং। ঐতিহাসিক অভিযোগ! ব্যক্তিগতভাবে আমার ধারণা ইস্যুভিত্তিক হলে সিন্ডিকেটিং খারাপ না। তবে সিন্ডিকেটিং এ সংখ্যাগুরুর বা দলবাজীর একটা ব্যাপার আসে, বলা যায় আমরা বাংলা ভাষাভাষীরা এটাকে একটা ঐতিহ্যে পরিণত করেছি! ব্লগ পড়াকালীন আমার পর্যবেক্ষণ বলি, ব্লগ আড্ডা কখনও ব্লগ পিকনিক (১/২ বার) এইব হতো এখনও হয় যা খুব স্বাভাবিক এবং ব্লগার ইন্টারেকশনের ভালো প্রক্রিয়া। আমরা যারা এনোনিমাস ছিলাম তারা ছিলাম দর্শক। তখন নিক করার পর সেফ/জেনারেল হতে মাসের পর মাস লাগতো। তখন অনেক আইডি দেখা যেতো কিছুক্ষণ আগে খোলা হয়েছে কিন্তু প্রথম পাতায় পোস্ট! তার মুভমেন্ট দেখে অনুমান করার চেষ্টা করতাম মডারেশন প্যানেল কোন ব্লকে আছে। এসব নিয়ে অভিযোগ করার পোস্ট খুঁজলে আর্কাইভে পাওয়া যাবে। এটা দোষের সেটি হয়তো বলা যাবে না কারণ সিন্ডিকেটিং করে ব্লগ দখল বা সামহোয়্যারইন নামে অন্য ওয়েব সাইট কম্যুনিটি ধ্বংস করে নতুন কম্যুনিটি তৈরিএ চেষ্টা এসব দেখার মত তিক্ত অভিজ্ঞতা সামুর আছে।

শেষ কথা হলো দূর থেকে আমরা সমস্যার খণ্ডাংশ দেখতে পাই, একটি দুটি সমস্যার মাল্টি ইন্টারফেস থাকতে পারে যা ব্লগ কতৃপক্ষই সবচাইতে ভালো বুঝবেন এবং সাধ্যের ভেতর সবচাইতে ভালো সমাধানটি বের করতে পারবেন। যেহেতু প্লাটফর্মটির প্রতি ভালোবাসা আছে প্রাপ্তি আছে তাই সবার মতো প্রত্যাশা করবো ব্লগটি আরো ভালো থাকুক, অনিচ্ছাকৃত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ব্লগ যাতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

জেন রসি বলেছেন: একদিকের চাপ সামলাতে গেলে আরেকদিকের কাজের সক্ষমতা কিছু সময়ের জন্য কমে যায় এটা স্বাভাবিক। এটা বললাম কারণ ফেসবুক আর ব্লগে এই পোস্ট দেখে আমার মনে হয়েছে মূল প্রশ্নটা উঠেছে মডারেশন প্যানেলের সক্ষমতা নিয়ে। সাথে অন্যান্য কিছু প্রশ্ন এসেছে। (বোঝায় ভুল হলে আমি অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি)

মতামত জানতে চাওয়ার পর থেকে কেউ কেউ মডারেশন প্যানেলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবং খুব তীব্র ভাবেই তুলেছেন। তাই বিষয়টি আলোচনায় আসা উচিৎ। এবং এসছে। এবং মডারেশন প্যানেল নিয়ে ঘুরে ফিরে যে প্রশ্নগুলোই বারবার আসছে তা পয়েন্ট আউট করার চেষ্টা করেছি। এসব পয়েন্টে ফোকাস রাখলে আলোচনায় সুবিধা হবে বলে মনে করি।

১। কাভা ভাই বলেছেন "আমাদের মডারেশন টিম খুবই ছোট। আমাদের সীমিত লোকবল নিয়ে কাজ করতে হয়" ঠিক কতজনের প্যানেল সেটা এবং সে দায়িত্ব পালনে তাদের কে কি কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলতে হয়?

২। পোস্ট সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে ঠিক কি ধরনের নীতিমালা মেনে চলা হয়? এবং পোস্ট সিলেক্ট করার দায়িত্ব কয়জনের উপর থাকে?

৩। বিভিন্ন টাইপ কনটেন্ট(গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি ইত্তাদি) সিলেক্ট করার মত দক্ষতা মডারেশন প্যানেলের আছে কিনা? এবং তা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা ফেস করছে কিনা?

৪। যদি ব্লগাররা মনে করে থাকেন যে এই কনটেন্ট সিলেক্টে মডারেশন প্যানেলের দুর্বলতা রয়েছে তবে ঠিক কিভাবে সেটার সমাধান হবে?

আমার ধারনা এই বিষয়গুলো ক্লিয়ার হলেই একটা জায়গায় আসা যাবে।

যেহেতু প্লাটফর্মটির প্রতি ভালোবাসা আছে প্রাপ্তি আছে তাই সবার মতো প্রত্যাশা করবো ব্লগটি আরো ভালো থাকুক, অনিচ্ছাকৃত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ব্লগ যাতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

অনিচ্ছাকৃত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনার কোন পর্যবেক্ষণ আছে? বা মনে হয়েছে এই এই সিদ্ধান্তগুলো ভুল ছিল? আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি এ বিষয়ে।


৪৯| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৮

মেটালক্সাইড বলেছেন:
ব্লগে আমার আয়ুষ্কাল মাত্র ৭ মাসের। সিনিয়র রথী মহারথীরা খুব গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এই ব্লগে আমাদের জাতিস্বত্তার নির্যাস পাওয়া যায় তাই ফেসবুক থেকেও এই ব্লগটা আমার কাছে খুব প্রিয়।

সহজলভ্যতা ও পরিবর্তন - বর্তমান সময়ে এ শব্দ দুটোর কার্যকারিতা সামু ব্লগের জন্য খুব জরুরী বিষয় বলে মনে করি।

অতীতের দিকে যদি তাকায় শুরুতে আমরা ফেসবুক ব্যবহার করেছি ইয়াহু ব্রাউজারে। পরিবর্তনের ধারায় নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ফেসবুক নিজেকে পরিবর্তন করেছে অনেকবার, করেও যাচ্ছে।
এখানে সামু ব্লগের জন্য পরীক্ষণীয় হচ্ছে সময়ের সাথে সামু নিজেকে কতটা যুগোপযোগী করতে পেরেছে। প্লাটফর্ম, টেকনিক্যাল ইনোভেশন, মেইন্টেনেন্স প্রধানত এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ফেসবুকের মত একই প্লাটফর্ম টুইটার কেন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সহজলভ্যতার দিকে অতিরিক্ত মনোযোগী হয়ে পড়ায় ফেসবুক তার ভিত্তি উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলে। মানুষের মধ্যে মানবিক, সামাজিক ও মৌলিক যোগাযোগের ভাষা কনটেন্ট হিসেবে
প্রকাশ করার যে সুবিধা ফেসবুক দিয়েছে তার গুণগতমান বজায় রাখার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এটি।।
এই জায়গায় টুইটার তার জনপ্রিয়তার ধাপসিড়ি পেয়ে যায়।
সামু ব্লগের জন্য গুগগতমান বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এখন মাত্র সময়ের দাবি।

সামুর প্রারম্ভিক কাল ও বর্তমান - ব্লগারদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে যা ব্লগে তাদের স্মৃতিচারণে স্পষ্ট হয়ে ঊঠে। প্রবীণকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয় নবীনের জন্য। সামু নির্দিষ্ট নির্বাচিত ও জনপ্রিয় ব্লগারদের জন্য নয় সমস্ত বাংলা ভাষার মানুষের জন্য।
ব্লগে লেখক ও পাঠকের ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরী।

সাম্প্রতিককালে নিয়ন্ত্রক সংস্থার খড়গ ঝুলছে ফেসবুকের উপর টুইটারও সেই পথের পথিক হতে যাচ্ছে। রাজনীতি থেকে তারা দূরে থাকতে চাইলেও রাজনীতি ও সুবিধাবাদীরা তাদের ছেড়ে দিচ্ছে না। তারাও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাবে।
সামু ব্লগ কি এই শিক্ষায় চলতে পারে না?

গুণগতমান প্রশ্নে বিতর্কের মাপকাঠি - গতবছর লাইভ ভায়োলেন্স ভিডিওর কারণে ফেসবুক নিজের উপর কঠিন শেকল লাগিয়ে দেয়। তেমনি যেসব মূল বিষয়ের জন্য সামু বিতর্কিত হচ্ছে কেন সামু নিজের অস্তিত্বের জন্য সেই কন্টেন্ট বা দায়ী ব্যক্তিবিশেষের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে না।

ফেসবুকের আধিক্য সামুর অস্তিত্ব যদি বিপন্ন করে তাহলে ফেসবুককে হোয়াটওয়াস করে সামুকে নিজের স্বতন্ত্রভাব টিকিয়ে রাখতে হবে।

মোবাইল,ট্যাব, ব্রাউজার ও অন্যান্য ভার্চুয়াল জগতের ভিতর সামুকে এক বিন্দুর মত চলার মত পরিবর্তিত হতে হবে।
যেমন আমরা গুগল, ফেসবুক, টুইটারকে দেখি খুব সহজভাবে সবকিছু থেকে ব্যবহার করতে।

এককভাবে কোন নির্দিষ্ট কোন কারণকে দায়ী হিসেবে দেখার পক্ষপাতী নয় আমি সামু ব্লগের কার্যকারীতা কমে যাওয়ার জন্য।

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

জেন রসি বলেছেন: সামু ব্লগের কার্যকারীতা কমে যাওয়ার জন্য একক ভাবে কোন নির্দিষ্ট কারনকে দায়ী করা যৌক্তিকও হবেনা। এখানে আসলে অনেকগুলো কারনের মিথস্ক্রিয়া ঘটেছে। এবং কনসিকয়েন্স বলেও একটা ব্যাপারও আছে। অর্থাৎ একটা পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত আরেকটাকে প্রভাবিত করেছে। পাবলিক অপিনিয়নের স্পেস গুলোতে এমনিতেই শাসকগোষ্ঠী বা বিভিন্ন গোষ্ঠীর একধরনের নজরদারি থাকে। তারা নিজেরদের প্রয়োজনে তা ইউটিলাইজ করতে চায়। এবং তাদের এই মনোভাব বা চর্চার বিরুদ্ধে পাল্টা কালচার গড়ে তুলতে পারাও একটা চ্যালেন্জ। যার উপর আসলে ভবিষ্যতের অনেক কিছুই নির্ভর করে।

৫০| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ব্লগ সম্পর্কিত পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য।আশা করছি পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের মতামতগুলো প্রকাশ করলে হয়ত এ থেকে ব্লগ কর্তৃপক্ষ বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের কোন উপায়ের সন্ধান পেলেও পেতে পারেন।কারণ অনেক কিছুই অনেকের কাছে পরিস্কার থাকেনা।গঠনমূলক মিথস্ক্রিয়া আমাদের এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে।যেমন ধরুণ-
আমরা হয়ত অনেকেই জানিনা বর্তমানে মডারেশন প্যানেল বা এ জাতীয় কোন টিম সামুর পোষ্টসমুহ নির্বাচনের কাজ করছে নাকি একজন ব্যক্তির কাধে এ দায়িত্ব বর্তেছে।যদি কর্তৃপক্ষ একজনের স্কন্ধেই এ গুরুভার অর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিবেচনার বিষয় কি ছিল এক্ষেত্রে তা আমব্লগারদের জানার উপায় আছে কিনা বা ব্লগ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমব্লগারদের কোন প্রকার ডিস্ক্লেইমার দিতে ইচ্ছে পোষণ করেন কিনা বা দিতে নৈতিকভাবে বাধ্য কিনা?দিলে কেন বা না দিলেই বা কেন?
বা ধরুন- কোনকিছুতে দক্ষ হতে না পারা একজন মানুষ সবকিছুতে নুন্যতম দক্ষতার প্রয়োজন এমন কোনকিছুতে ইনভলভ করাকে আমরা কিভাবে বিবেচনা করতে পারি বা একে ভিন্ন প্রসঙ্গ হিসেবে দেখার সুযোগ আছে কিনা বা ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিজে একে ভিন্ন প্রসঙ্গ হিসেবে দেখে কিনা ? সামুর শুরু হতে কি এককভাবে কেউ দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা কিংবা তাদের সাথে কোন মডারেশন টিম কাজ করেছে কিনা পোষ্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে?যদি কোন প্যানেল এ ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে কিন্তু কখনো কোন কারণে স্রেফ একজনকে কোন প্যানেল ছাড়া কাজ করতে হয়েছে এরকম কোন পরিস্থিতির উদ্ভব সামুতে হয়েছে কিনা?হলে হবার কারণ এবং সিঙ্গেল বা মডারেশন প্যানেলের সিলেকশনের ক্ষেত্রে সামু কর্তৃপক্ষ এর নির্দিষ্ট একটি বা একাধিক(থেকে থাকলে) মানদন্ড এর ভিত্তি কি ছিল তা আম ব্লগারদের জানার সুযোগ আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে কেন এটা রাখা আছে কিংবা না থাকলে কেন নেই তার কোন ভ্যালিড রিজন সামু কর্তৃপক্ষ এর নিকট আছে কিনা? রিজন থাকা বা না থাকা উভয় ক্ষেত্রে ব্লগ কর্তৃপক্ষ তা আমব্লগারদের জানাতে প্রয়োজন বোধ করে কিনা?পোষ্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা দায়িত্বশীল থাকেন তাদের নাম আমব্লগাররা জানতে পারে কিনা?
মডারেশন প্যানেল বা মডারেটরের কার্যক্রমের কোন ইয়ারলি বা হাফ ইয়ারলি পারফরমেন্স রিভিউ ব্লগ কর্তৃপক্ষ করে কিনা?করলে পারফরমেন্স যাচাইয়ের ক্রাইটেরিয়া হিসেবে কি কি টুলস ব্যবহার করা হয়? এগুলা সাধারণ ব্লগারদের জানার সুযোগ আছে কিনা? কেউ জানতে চাইলে সামু কর্তৃপক্ষ তা জানানোর প্রয়োজন বোধ করেন কিনা? ধরুণ কোন ব্লগারের নির্দিষ্ট কোন মডারেটর বা প্যানেলের প্রতি কোন অভিযোগ আছে।সে তার অভিযোগটি সরাসরি সামুর মূল কর্তৃপক্ষকে জানানোর কোন উপায় আছে কিনা( সংশ্লিষ্ট প্যানেল বা মডারেটরকে না জানিয়ে)? যদি এ ধরণের কোন ব্যবস্থা না থেকে থাকে তাহলে কেন নেই তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে কিনা?
মডারেশন নিয়ে কারো ক্ষোভ থাকবে কারো প্রশংসা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।মডারেশন নিয়ে একেকজনের মূল্যায়ন তাই একেকরকম হতে বাধ্য।আমার প্রশ্ন,- সামুর মডারেটর বা মডারেশন প্যানেলের সদস্যদের নিজেদের মধ্যে পারফরমেন্স এপ্রেইজালের কোন ব্যবস্থা আছে কিনা?না থাকলে তারা এটা করার প্রতি কেন প্রয়োজনবোধ করেন নি তা জানার সুযোগ আছে কিনা? ওভারওল যারাই দায়িত্ব পালন করেছেন তারা নিজেদের সফল বা ব্যর্থ বা অন্য কিছু কি মনে করেন?
আশা করছি ক্লিয়ার আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর স্বার্থে বিষয়গুলোকে বিবেচনায় আনা হবে।
সামু কর্তৃপক্ষকে অগ্রিম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখছি।

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

জেন রসি বলেছেন: ৫৩, ৫৭, এবং ৬৯ নং মন্তব্যে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

৫১| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৫

নিশাচর১/১০০ বলেছেন: ব্লগের প্রাঞ্জলতার প্রধান শর্তই হচ্ছে ইউজার আর কন্টেন্টের প্রাচুর্যতা। মতামত, সৃজনশীলতা প্রকাশের মাধ্যম আগের থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছে, কিন্তু প্রত্যেকটি মাধ্যমকেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পরিশ্রম করতে হচ্ছে, নিত্য-নতুন ফিচার যুক্ত করতে হচ্ছে, ডাইনামিক হতে হচ্ছে। সামুও এর বাইরে নয়, সামুকেও সময়ের সাথে পরিবর্তন করতে হবে। সামুর অ্যাপ নিয়মিত আপডেট করা, নোটিফিকেশন সিস্টেমের আপডেট করা এমনই কিছু জরুরীভিত্তিতে প্রয়োজন।
সামগ্রিক বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার যে দৈনতা তার ফলশ্রুতিতে ব্লগার কমে যাচ্ছে, লেখা কমে যাচ্ছে, লেখার বিষয়বস্তু, গুণগতমাণ ম্লান হচ্ছে। নতুন নতুন ব্লগারের আগমন না ঘটলে, শুধু পুরনো ব্লগার দিয়ে কোন ব্লগ চলতে পারে না।
ব্লগকে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধিন রাখার অভিলাষ দুঃখজনক তবে টিকে থাকতে হলে এ ব্যাপারে কৌশলী হওয়ার বিকল্প নেই।
সর্বোপরি অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা লাগবে সর্বাগ্রে, ব্লগ চালাতে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান না হলে ব্লগ চলবে কিভাবে?

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

জেন রসি বলেছেন: কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। পরিবর্তন আসবেই। এবং তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তা অনেক বেশী হচ্ছে। সুতরাং সময়ের সাথে আপডেট থাকা বা অ্যাডাপ্ট করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ।

৫২| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৮

শায়মা বলেছেন:
সামুর রক্ষণশীল আচরন বা অথরিটিকে মেনে নেওয়ার নীতি কি সামুকে সারভাইভ করতে সাহায্য করেছে? উত্তরে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্লগাররা বলেন সামু সব দিক থেকে এডজাস্ট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই এডজাস্ট করতে গিয়ে সামু হয়তো টিকে যেতে পেরেছে কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জায়গায় পিছিয়ে পরেছে।

হয়ত করেছে। সারভাইবাল স্কিল কিন্তু খারাপ না বরং সেটাই করা উচিৎ। নইলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরে বসে থাকাটা কি ঠিক হবে? যে কোনো ভাবেই টিকে থাকার ক্ষমতাও কিন্তু বিশেষ গুন। কিন্তু টিকে থাকতে গিয়ে অনেক সময় অনেক কিছুই হয়ত হজম করে নিতে হয়। নিজের স্বত্তা বিসর্জিত হয়। অনেক গুানবলীও হারাতে হয়। হয়তো তাই হয়েছে। কিন্তু কেনো এই টিকে থাকার লড়াই সেটা জানিনা। আমাদের লেখার জায়গাটা, ভালোাবাসার জায়গাটা ধরে রাখার জন্য নাকি বাংলা ভাষার চর্চার জন্য, নাকি মুক্ত মত প্রকাশের জন্য ( তাইলে অবশ্য টিকে থাকার লড়াই এ একটু প্রবলেম হয়ে যাবে :P ) নাকি নিজের বিজনেস টাইপ কিছু আছে আমি এসব জানিনা বা জানতেও চাইনি কখনও। আর তাই যদি হয় বুদ্ধিবৃত্তিক ঠিক না সাহস ভিত্তিক চর্চার ব্যঘাৎ ঘটবেই। তাতে ব্লগ ও ব্লগার সবার উপরেই হয়ত খড়গ নেমে আসত বা আসবে.......

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

জেন রসি বলেছেন: সারভাইবাল স্কিল খারাপ না। তবে কিভাবে কোন উদ্দেশ্য থেকে কেন তা করা হচ্ছে বা তার চেষ্টা করা হচ্ছে সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে।মূল ব্যাপার পরিবর্তন আসবেই। এবং তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তা অনেক বেশী হচ্ছে। সুতরাং সময়ের সাথে আপডেট থাকা বা অ্যাডাপ্ট করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই মূলত সারভাইবাল।

৫৩| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
@মাহমুদ০০৭
মাহমুদ ভাই, আপনি নিশ্চয় জানেন আমাদের মডারেশন টিম খুবই ছোট। আমাদের সীমিত লোকবল নিয়ে কাজ করতে হয়। এটা একদম নতুন কোন তথ্য নয়, এটা বেশ পুরানো একটি তথ্য যা প্রায়ই ব্লগে বিভিন্ন সময় বলা হয়ে থাকে। হতে পারে আপনি দীর্ঘদিন পর ব্লগে আসায় ব্লগ সম্পর্কিত সাধারন তথ্যগুলো ভুলে গেছেন। তাই হয়ত আবার জানতে চাইছেন। আপনার জানার সুবিধার্থে বলছি, অতীতে একটা সময় দায়িত্বশীল অল্প কয়েকজন ব্লগারকে সম্পূর্ন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিনা পারিশ্রমিকে পোষ্ট নির্বাচনের মত একটা ছোট্ট দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে আরো কিছু দায়িত্বশীল ব্লগারকে সাময়িকভাবে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছিলো।

২০১৩ সাল পরবর্তী সময়ে সামহোয়্যারইন ব্লগের উপর বেশ ঝড় আসে। সেই সময় কয়েকবার ব্লগ সাইটটি হ্যাক করার চেষ্টা করা হয় এবং ব্লগে বট এটার্ক চালানো হয়। মুলত এই ঘটনা সহ অন্যান্য আরো বেশ কিছু সমস্যার কারনে সিলেক্টর সুবিধাটি বাতিল করা হয়।

ব্লগে যে কেউ জবাবদিহীতার উর্দ্ধে নয়। আপনি যে কারো বিরুদ্ধে যে কোন সময়ে অভিযোগ জানাতে পারেন। ব্লগ টিম সম্পর্কে কোন অভিযোগ জানাতে [email protected] অথবা [email protected] এই ঠিকানায় জানাতে পারেন। আমার বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ জানাতে এই দুটো ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে পারেন। আমরা স্বচ্ছ জবাবদিহীতায় বিশ্বাস করি, তাই যে কারো বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ আপনি এই দুটো ইমেইলের মাধ্যমেই করতে পারেন।

আপনি বলেছেন কোন মডারেটরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরাসরি সামুর মূল কর্তৃপক্ষকে জানানোর কোন উপায় আছে কিনা( সংশ্লিষ্ট প্যানেল বা মডারেটরকে না জানিয়ে)?
হ্যাঁ, আপনি ঐ দুটো ইমেইলের মাধ্যমেই জানাতে পারেন। সাধারনত সন্ত্রাসী বা বড় ধরনের অপরাধীদের ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে পরিচয় গোপন করতে দেখা যায়। আশা করি ব্লগ টিমের কোন সদস্যকে কেউ বড় ধরনের কোন সন্ত্রাসী কিংবা অপরাধী হিসেবে দেখেন না। তাই যাদের সৎ সাহস থাকবে, তারা সরাসরি সবাইকে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ করবে। যে অভিযোগ প্রকাশ্যে করা যায় না, সেই অভিযোগে ঝামেলা থাকে। সবচেয়ে বড় কথা সামহোয়্যারইন ব্লগ একটা নির্দিষ্ট যোগ্যতার ভিত্তিতে তার কর্মীদের বাছাই করে এবং সেইভাবে তার কর্মীদের মুল্যায়নও করে। যেহেতু এখানে জবাবদিহীতার বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়, সেহেতু যে কোন অভিযোগ তা প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে তা কর্মীদের সাথে যাচাই বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আমরা একটি নির্দিষ্ট ছকে কাজ করি। অতীতের চাইতে বর্তমানে ব্লগ টিম বা মডারেশন টিমের সাথে সাধারন ব্লগারদের যোগাযোগ সবচাইতে বেশি। যে কোন প্রশ্ন, সমালোচনা, আলোচনার দ্বার সর্বোচ্চ উন্মুক্ত। আমরা সৌভাগ্যবান যে, মডারেশন টিমের যে কোন ভুল বা ত্রুটির ব্যাপারে তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়, ফলে তাৎক্ষনিকভাবে নিজেদের মুল্যায়নের সুযোগও আমরা পাই। ব্লগারদের যে কোন পরামর্শ আমরা সবসময় বিবেচনায় রাখি।

আশা করি আপনি উত্তর পেয়েছেন।

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০০

জেন রসি বলেছেন: আপনার ৬৯ নং মন্তব্যে এ প্রসঙ্গে আলোচনা করব।

৫৪| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমরা একটু এভাবে ভাবি। একসময় আমরা দেশীয় চিনি খেতাম। পদ্মার পাড়ে সারে সারে কুসুর চাষ হতো চিনিকলের জন্য। স্বাধীনতার পর চিনিকল গুলো ঋন দিয়ে সেসব ফসল ফলানোর জন্য কৃষকদের সাহায্য করতো। একসময় কাচাটাকার লোভে কৃষকেরা সেগুলো বাজারে বিক্রি করা শুরু করলো, কেউ কেউ বানানো শুরু করলো চোলাই। এদিকে চিনি কলের দুর্নীতি এবং ভারতের সস্তা চিনির স্রোতে চিনিকল গুলো পাকি আমলের জৌলুস হারাতে থাকে। সামরিক সরকার আসার পর দেশ যখন পুরোপুরি দান নির্ভর হয়ে যায় তখন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে সীমাহীন দুর্নীতি এই চিনিকলগুলোকে দ্রুত লোকসানের ডুবিয়ে দেয়। সরকার অনেক বার বন্ধ পা সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় রাজনীতি এবং আমলার চুরির জন্য শিল্পসংস্থার কোনো কার্যক্রমই সফল হয়নি। আসল কোপটা মারেন মুহিত সাহেব। তার ভাষায় ভারতের চিনি যদি ২৬ টাকা কেজিতে খেতে পারি দেশের ৩২ টাকা কেজি চিনি দিয়ে করবো কি! বন্ধ করো।

সামুর ব্যাপারটা নিয়ে যদি এভাবে ভাবা যেতো যে ফেসবুক হলে বাইরের পন্য এবং সামু দেশীয় (মালিক বিদেশী হলেও এটা দেশেই তৈরী এবং এর প্লাটফর্ম দেশীয় প্রোগ্রামার ইমরান লাভলু এরা বানাইছে) পন্য। সেক্ষেত্রে এরকম ব্রান্ডিং করা যেতো। অনেক দেশীয় পন্য বাংলাদেশে বানানো হয় যেগুলো টেকসই নয় এবং মানেও ভালো নয় অথচ সরকার প্রতি বছর কোটি টাকা খরচ করে কেনে। যদিও এর সবই দুর্নীতি। এখানে একটা স্কোপ ছিলো এবং সেটার জন্য প্রয়োজন ছিলো শুধু আইটি ব্যাবসার লাইসেন্স। যেহেতু ডাটা মাইনিং এই শ্রেনীতে পড়ে সেহেতু এই দিকটা খেয়াল করলে হয়তো সরকারী অনেক কাজে সহযোগী হতে পারতো পিপিপি এর আন্ডারে। যেটা গ্রামীন ফোন সহ অনেকেই করে। এটুআই যদিও হাসিনার পোলার বদৌলতে কাজ করে যাচ্ছে তারপরও সামু বাংলাকে বদলদাবা করে অন্তত বাংলাদেশী পন্য বলে একটা কাজ করতে পারতো। এখন অবশ্য সে সময়টা চলে গেছে।

আরেকটা প্রধান সমস্যা দেশীয় যেসব ধনকুবের আছে তারা দুটো টাকা কামালে বাইরে ইনভেস্ট করে। যদিও সামুর কাজটা অনেক ডাটা নিয়ে কাজ তারা এসব দেশীয় পরিষেবার মাধমে কিছু করতে পারতো। এরকম আরো কিছু স্কোপ ছিলো। কিন্তু যখন সময় ছিলো তখন সামু ছিলো নিস্পৃহ। পরে যখন হুঁশ হলো দুটাকার গুগল এড আর বিভিন্ন কোম্পানীর স্পন্সরের এড দিয়ে কাজ শুরু করলো। তবে এটাও করা যেতো যদি নগর সাংবাদিকতাকে বিডিনিউজের আগে তারা শুরু করতো। সমস্যা হলো এই বুদ্ধির আরিলের হলেও আইরিন সেটা দিয়েই বিডিনিউজের ব্লগ চালু করেছে।

তাহলে সামু এটা কেন আগে করেনি?

কেন নিজের আইডিয়া অন্য কেউ করলো সামু সেটা চেয়ে দেখলো এটা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত ছিলো সবার। যদিও বিডিনিউজ ব্লগে পাঠক কম কিন্তু আইরিনের নগর সাংবাদিকতার ব্রান্ডিং এর বদৌলতে তাদের কিছু মান সম্পন্ন জার্নালিজম চোখে পড়ে। যেহেতু এদেরকে সরকারের নিয়ম মানতেই হচ্ছে তাহলে বিডিনিউজের এই ট্রেন্ডটা চালু করলে সামুকে আজ এসব মৌলবাদী জঙ্গিদের সাথে সহবাস বা গেটটুগেদারে তাদের পা টিপতে হতো না। সেখানে ভালো কিছু লোকাল সাংবাদিক পার্ট টাইমে ভালো পোস্ট পেতো যেগুলো হয়তো মেইনস্ট্রিমে দেয়ার সাহস পেতো না।

রিস্ক এখানে দুটো থাকতো.. হয় ইস্টিশনের মতো ভাগ্যবরন(দেশে ব্লক হবার কারনে এখন আর সাহসী রাজনৈতিক দুর্নীতির পোস্ট দেখা যায় না, যা দেখা যায় প্রবাসীদের সেই নাস্তিকতা বা মুক্তমনা চর্চা, তারপরও সেখানে লেখার মান ভালো) অথবা সাংবাদিকদের আলাদা একটা জায়গা তৈরী করতে পারতো। আর এরকম এখন ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয় কারন ফেসবুক সেই সুবিধাটা সবার জন্য দিতে পেরেছে।অবশ্য অনেকে বলতে পারেন এখানে তো সাংবাদিকরাও আছেন। তা আছেন, যেমন এনটিভিতে কাজ করেন নুরু সাহেব যিনি কিনা লাদেন ভক্ত এবং সারাদিন কার জন্ম দিন কার মৃত্যু দিন তার পোস্ট দেন। মানুষ চাইলেই উইকিপিডিয়াতে দুটো টোকা দিয়ে বের করতে পারে সেখানে এরকম পোস্ট পড়ার জন্য ব্লগে আসবে কেন যেখানে কিনা মানুষ পুরোপুরি ইনফো পাবে না বা রেফারেন্স বিহীন থাকবে।

ডেনমার্কের ভোডাফোনে কর্মরত একজন নিশ্চুপ কি যেনো নাম ওনার, তার পোস্ট গুলোতে যথেস্ট তথ্য থাকে। আরেকজন মোস্তফা কামাল যেকিনা কানাডার ইউনির লেকচারার তার ঘূর্নিঝড় সম্পর্কিত পোস্ট বেশ ভালো।

সামু এটা ব্রান্ডিং বলতে শুধু ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছে কিন্তু তাদের ফেসবুক পেজে কত জন আছে? এখানে সামুর প্রতিদ্বন্ধি ফেসবুক যার আছে অনেক মেধাবী পোলাপান। অথচ ফেসবুক যখন চালু হইছিলো প্রথম কয়েকবছর কোনো এড বা প্রোডাক্টিভ কোনো কাজই করেনি। টাকার টানে মাথা নস্ট যোগাড় তখন মনে গুগল থেকে একটা বড় ইনভেস্ট হয়। আস্তে আস্তে তারা ওঠে এখন এই পর্যায়ে।

আমাদের সামুতে দেশীয় কেউ কি ইনভেস্ট করেছে? সেটার জন্য সামু চেস্টা করেছিলো হয়তো কিন্তু সেটা কেনো ফলপ্রসূ হলো না সেটা নিয়ে কি ভেবেছে? সামুর প্রোগ্রামার ছিলো খুবই মেধাবী কারন ডাটা মাইনিং এ যে মেধা প্রয়োজন সেটা দিয়ে সামুকে সেভাবে রিপ্রেজেন্ট করা যেতো।

এখনো যতদূর জানি জানা আপা নিজের পকেটের টাকা দিয়ে এটা চালায়। মডুদের বেতন থেকে শুরু করে সবকিছু।

দেশীয় এমন একটা প্রতিষ্ঠান এসব কারনে যখন ধ্বস নামে তখন হতাশাই লাগে।

অবশ্য এই হতাশার চেয়েও আরো অনেক হতাশা আছে। বুয়েটের একটা ছেলে আমেরিকা থেকে ফিরে বুয়েটকে একটা অফার দেয় যে পুরো আইসি বানানোর ল্যাব সে বানিয়ে দেবে। বুয়েট দেখানো সচিবালয়। সচিবালয়ে সে কুকুরের মতো ঘুরলো। অনেক নাছোড়বান্দা। পরে যখন একজন উচ্চপর্যায়ের আমলা উল্টো বলে বসলে ঘুষ দিলে তার নামে ল্যাব করে দেবে সে আর ঐ অপমানে বাংলাদেশে আর ফিরে আসেনি।

বুয়েটে এই ঘটনাটা ৯০-০০ ব্যাচের প্রতিটা পোলাপান জানতো। আমরাও জানতাম। দেশ সেই খারাপ পয়েন্ট থেকে কতদূর আগাইছে? সেই চিনিকল গুলো ভারতের সাথে না পেরে বন্ধ হবার পর আর কি খুলেছে? আপনারা কি এখন চিনি কেনার আগে দেখেন কোন দেশের চিনি?

সবার দোষ আছে, সামুকে একলা ঠাপ দেয়ার কথাগুলো তাই অর্থহীন। যদিও অনেক দেরী হয়ে গেছে এসবের জন্য

১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। বিষয়টি এভাবেও ভাবা যায়। আসলে অনেকভাবেই ভাবা যায়। সামু ব্লগের কার্যকারীতা কমে যাওয়ার জন্য একক ভাবে কোন নির্দিষ্ট কারনকে দায়ী করা যৌক্তিকও হবেনা। এখানে আসলে অনেকগুলো কারনের মিথস্ক্রিয়া ঘটেছে। এবং কনসিকয়েন্স বলেও একটা ব্যাপারও আছে। অর্থাৎ একটা পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত আরেকটাকে প্রভাবিত করেছে। পাবলিক অপিনিয়নের স্পেস গুলোতে এমনিতেই শাসকগোষ্ঠী বা বিভিন্ন গোষ্ঠীর একধরনের নজরদারি থাকে। তারা নিজেরদের প্রয়োজনে তা ইউটিলাইজ করতে চায়। এবং তাদের এই মনোভাব বা চর্চার বিরুদ্ধে পাল্টা কালচার গড়ে তুলতে পারাও একটা চ্যালেন্জ। যার উপর আসলে ভবিষ্যতের অনেক কিছুই নির্ভর করে।

ব্লগার নতুন ভাই বাজেট নিয়ে একটা সাজেশন দিয়েছেন।

বিডিনিউজ প্রসঙ্গ আপনার আলোচনায় বারবার এনেছেন। তাদের কোন সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা ছিল বলে মনে করেন? যদিও কিছু ব্যাপারে আপনার মন্তব্যেই আলোকপাত করেছেন। তবে বিষয়টা সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার কাট ধারনা পেলে ভালো হত। জানা আপার প্রসঙ্গও তুলেছিলেন। আমার মনে হয় সময়ের প্রয়োজনে এসব বিষয় নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারনা পাওয়ার দরকার আছে। ভবিষ্যতের জন্যই।

৫৫| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এই পোস্টে মন্তব্য করার মতো কিছু নেই। এই পোস্টে আসলেই মন্তব্য করার মতো বেসিক কিছু নেই। তারপরও যখন দেখছি ব্লগের এডমিনকে কোনো না কোনো ভাবে জড়ানো হচ্ছে তখন মন্তব্য করতে বাধ্য হচ্ছি।

ব্লগ মডারেটর/এডমিন হচ্ছেন একটি প্রতিষ্ঠানের এইচআর ডিপার্টমেন্টের মতো আপনারা হয়তো জানেন এইচআর ডিপার্টমেন্টের নাম ছিলো এডিমন, এক সময়ে নাম ছিলো পারসোন্যাল ডিপার্টমেন্ট। আর এডমিন একমাত্র জবাবদিহি করে এমপ্লয়ারের কাছে। কখনো কোনো কালে কোনো এম্প্লয়ীর কাছে না। আপনারা ভাগ্যবান ব্লগার আপনারা এডমিন থেকে জবাবদিহি নিয়েছেন তাও বেসিক বিহীন একটি লেখা থেকে।

*বেসিক বিহীনের একটি মাত্র নমুনা দিচ্ছি। ব্লগে তর্ক বিতর্ক হওয়ার জন্য ভুল পোস্ট প্রয়োজন পরে। এখন কেউ ভুল তথ্য সংক্রান্ত পোস্ট ভুলেও দেন না। ভুল পোস্ট হলে সেখানে ভুল ধরার জন্য সকল ব্লগার ঝাপিয়ে পরেন। - প্রমাণিত।

যারা ব্লগিং করেন তাদের কাছে সামহোয়্যারইন ব্লগ জনপ্রিয়। এছাড়া মানুষ টিভি পত্রিকায় “ব্লগ আর ব্লগার” নামটি শুনেছেন কিন্তু সামহোয়্যারইন ব্লগ নামও শুনেনি ১৭ কোটি মানুষ! আপনারা ব্লগার রা হয়তো ভাবছেন ব্লগ দেশের দৈনিক পত্রিকার মতো জনপ্রিয়, দেশের কোনায় কোনায় মানুষ চেনেন - ভুল। কেউ চেনেন না। রোহিঙ্গা সমস্যার ব্লগ প্রিন্ট করে যখন কক্সবাজার প্রশাসনে দিয়েছি তারা আশ্চর্য একি এসব কি?

ফেসবুক টুইটার মূর্খ লোক থেকে শুরু করে চা পানের দোকানদারের কাছেও পরিচিত তার অর্থ এই নয় তারা ব্লগ চিনবেন। কেউ যদি বলেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের চারটি করে ফেসবুক আইডি আছে - আমি বিস্বাস করবো।

যাক সেসব। যিনি পোস্ট দিয়েছেন তিনি প্রতিটি মন্তব্যে উত্তর যা দিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে তিনি ব্লগ সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানেন। হয়তো জানতে পারেন - হয়তো!

আমার প্রশ্ন: -
সামহোয়্যারইন ব্লগে ২০১৯ এর ব্লকে কোথায় ছিলেন?
এখন পর্যন্ত সামহোয়্যারইন ব্লগে কতোজন ব্লগার উপহার দিতে পেরেছেন?
আবারো বলছি আপনি নিজে এখন পর্যন্ত কতোজন ব্লগার তৈরি করতে পেরেছেন?
আপনার কাছে শুনে ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে কতোজন ব্লগিং করছেন?
তারা কোন লেভেলে ব্লগিং করছেন?

সর্বশেষে বলতে চাই, কাজের কথা বলা অনেক সহজ কিন্তু কাজ করা অবস্যই কঠিন। আর ব্লগ এডমিন কাল্পনিক ভালোবাসা কাজের মানুষ। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি ব্লগ এডমিনকে মাখন দিচ্ছি - ভুল। তাকে মাখন দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই তার মাখনে এলার্জি আছে। আর আমি সঠিক কথা বলতে পছন্দ করি।

আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর না দিতে পারলে আমার মন্তব্যর উত্তর না দিলেও চলবে।
শুভেচ্ছা রইলো সবার প্রতি।


১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

জেন রসি বলেছেন: আপনি বলেছেন আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর না দিতে পারলে আমার মন্তব্যর উত্তর না দিলেও চলবে।

বুঝতেই পারছি আপনি কোন বিশেষ কারনে আবেগপ্রবণ হয়ে গেছেন। তার ছাপ আপনার পুরো মন্তব্য জুড়েই আছে। আপনি কনটেন্ট না বুঝেই আপনার আবেগের জায়গা থেকে কিছু প্রশ্ন করে ফেলেছেন। মন্তব্য করার মত বেসিক কিছু নেই বলেছেন।
তারপরও মন্তব্য করেছেন। রাগ, ক্ষোভ, আবেগ থেকেই করেছেন হয়তো। সে রাগ, ক্ষোভ আবেগের জায়গাটা বুঝেছি বলেই আমিও জবাব দিচ্ছি আপনি না দিলেও চলবে বলার পরও। ;)

বলেছেন বেসিকবিহীন পোস্ট। কেন বেসিকবিহীন তা বললেই বরং আপনার সাথে আলোচনা করতে সুবিধা হত। এবং পোস্টে কোথায় সমস্যা বলে মনে করছেন তা আমি এবং অন্যান্য ব্লগাররাও বুঝতে পারত।

ব্লগ মডারেটর/এডমিন হচ্ছেন একটি প্রতিষ্ঠানের এইচআর ডিপার্টমেন্টের মতো আপনারা হয়তো জানেন এইচআর ডিপার্টমেন্টের নাম ছিলো এডিমন, এক সময়ে নাম ছিলো পারসোন্যাল ডিপার্টমেন্ট। আর এডমিন একমাত্র জবাবদিহি করে এমপ্লয়ারের কাছে। কখনো কোনো কালে কোনো এম্প্লয়ীর কাছে না। আপনারা ভাগ্যবান ব্লগার আপনারা এডমিন থেকে জবাবদিহি নিয়েছেন তাও বেসিক বিহীন একটি লেখা থেকে।

তার মানে বলছেন ব্লগ একটা অফিসের মত যেখানে কোন জবাবদিহিতার ব্যাপার নেই। অর্থাৎ এখানে ইচ্ছা করলে এডমিন জবাব দেবেনা আর দিলেও সেটা আম ব্লগারদের ভাগ্য? বটে! অথচ যেখানে কাভা ভাই বারবার বলে যাচ্ছেন জবাবদিহিতার ব্যাপারে তারা সবসময় সচেতন। আপনার এই স্টেটমেন্টত সরাসরি তাদের বিরুদ্ধেই যায় দেখছি। মন্তব্য করার আগে ভেবে দেখেছেন কি যার কথা বলতে এসেছেন তার স্টেটমেন্টকেই আপনি প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন? ;)

সুতরাং দেখুন ব্লগের মডারেটরদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার অপশন ব্লগেই আছে। যেমন উদাহরন হিসাবে বলি ব্লগার রাজীব নূরকে জেনারেল করায় আপনি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এখন আমি যদি আপনার পোস্টে গিয়ে বলি কাভা ভাই কাজের মানুষ। তিনি ভুল করেন না? আপনি কেন তাকে টেনে এনেছেন? সে মন্তব্য কি প্রাসঙ্গিক হত? যদি না হয় তবে আপনার মন্তব্যটা আর পোস্টটা আরো কয়েকবার পড়ে দেখুন।

যাক সেসব। যিনি পোস্ট দিয়েছেন তিনি প্রতিটি মন্তব্যে উত্তর যা দিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে তিনি ব্লগ সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানেন। হয়তো জানতে পারেন - হয়তো!

এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার অর্থ আপনি ভাবছেন আপনি আমার চেয়েও ভালো জানেন। তা জানলে আমাদের জানান। বোঝাপড়ার জন্যইত এই পোস্ট। নাকি?

আমার কাছে কিছু প্রশ্ন রেখেছেন। তার জবাব হচ্ছে আমি একজন আম ব্লগার। ব্লগের পেইড এমপ্লয়ি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ নই। এবং আমার মত আম ব্লগারদের নিয়েই এই ব্লগ। এবং আমার কাছে কোথাও সমস্যা মনে হলে এডমিনকে প্রশ্ন করার, জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার অধিকার আমি রাখি। সব ব্লগারই রাখেন। তা করার জন্য আপনার প্রশ্নগুলোর যে কোন উত্তরই কোন পার্থক্য ক্রিয়েট করেনা। আমার কথায় রাগ হলে এডমিন কাভা ভাইকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন। তিনিও এ বিষয়ে একই কথা বলবেন। ;)

অবশ্য আপনি যদি মনে করেন জবাবদিহিতার দরকার নাই। প্রশ্ন তোলা যাবেনা। অথরিটিকে মেনে চলতে হবে তারা যাই করুক বা বলুক তবে এই পোস্ট আসলেই আপনার জন্য না। পারলে কিছু সময়ের জন্য অন্ধ আবেগ ছেড়ে যুক্তিতে আসুন। এসে প্রমান করুন এই পোস্টের সমস্যা কোথায় কোথায়? বা বেসিক বলতেই বা আপনি কি বুঝে থাকেন?

যাইহোক, আপনার মন্তব্যে দেখি অনেকেই লাইক দিয়েছে। তারা হয়ত সরাসরি এসে মনের কথা বলতে পারছেনা। ধরে নিচ্ছি তারাও আপনার সাথে একমত। তাই তাদের প্রতিও এই একই উত্তর।

ধন্যবাদ। আবার আসবেন। :)

৫৬| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নাকি মনে করছেন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় ব্লগ আর আগের মত শক্তিশালী
অবস্থানে কখনো যেতে পারবেনা?

..........................................................................................
শাহাবাগ ঘটনা থেকে ব্লগ নিয়ে একটা ভীতি কাজ করত, মাঝে মাঝে
ঢুঁ মেরে বুজতে চেষ্টা করতাম কিভাবে এর ব্যবহার করব, এমনকি
সদস্য হবার পরও নিয়মিত হতে সময় নিলো ।
এরপর অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম যে, বাংলা লেখার বা চর্চার প্লাটফরম বলা হলেও
এখানে অশালীন ঝড় উঠে, তীব্র ভাষায় একজন অপরজনকে আক্রমন করে,
অত্যন্ত সতর্কভাবে পর্যবেক্ষন করে দেখলাম কিছু কিছু লেখকের লেখা, অতিদ্রুত
নির্বাচিত পাতায় শোভা পায়, ঐদিনেরই গুরুত্বপূর্ণ লেখা নির্বাচিত পাতায় নেই ।
এধরনের ছোট ছোট অনেক কারন আছে যা দ্বারা, অনেক কোমলমতি লেখক নীরবে সরে পড়েন ।
..........................................................................................................................
মাঝে মাঝে যখন ব্লগের পাতায় কুরুক্ষেত্র চলতে থাকে, তখন ভাবি, এমন দিন কি আসবে,
আমি নির্ভয়ে বলতে পারব যে, আমি একজন ব্লগার ও সম্মানিত ব্লগার লেখক !???


১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

জেন রসি বলেছেন: ব্লগ নিয়ে আপনার পার্সোনাল অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। মূলত দুটো পয়েন্টের কথা উল্লেখ করেছেন যা আপনার কাছে ব্লগের জন্য ক্ষতিকর চর্চা বলে মনে হয়েছে।

১। অশালীন এবং তীব্র ভাষায় একে অপরকে আক্রমন করা এবং

২। নির্বাচিত পাতা বিষয়ক সমস্যা।

নোটেড।

৫৭| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪২

জেন রসি বলেছেন: @মাহমুদ ভাই এবং কাভা ভাই,

আপনাদের প্রশ্ন এবং উত্তর পড়লাম। আমার মনে হয় কিছু সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট এখানে ঘুরে ফিরে বারবার এসেছে। এসব পয়েন্টে ফোকাস রাখলে আলোচনায় সুবিধা হবে বলে মনে করি।

১। কাভা ভাই বলেছেন "আমাদের মডারেশন টিম খুবই ছোট। আমাদের সীমিত লোকবল নিয়ে কাজ করতে হয়" ঠিক কতজনের প্যানেল সেটা এবং সে দায়িত্ব পালনে তাদের কে কি কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলতে হয়?

২। পোস্ট সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে ঠিক কি ধরনের নীতিমালা মেনে চলা হয়? এবং পোস্ট সিলেক্ট করার দায়িত্ব কয়জনের উপর থাকে?

৩। বিভিন্ন টাইপ কনটেন্ট(গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি ইত্তাদি) সিলেক্ট করার মত দক্ষতা মডারেশন প্যানেলের আছে কিনা? এবং তা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা ফেস করছে কিনা?

৪। যদি ব্লগাররা মনে করে থাকেন যে এই কনটেন্ট সিলেক্টে মডারেশন প্যানেলের দুর্বলতা রয়েছে তবে ঠিক কিভাবে সেটার সমাধান হবে?

আমার ধারনা এই বিষয়গুলো ক্লিয়ার হলেই একটা জায়গায় আসা যাবে।

মাহমুদ ভাই এবং কাভা ভাই, এ বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

৫৮| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৩

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: ফেসবুকে বিস্তর ব্যবহার একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ব্লগের পিক টাইমে ফেসবুকের এতো ফিচার, এতো গ্রুপ ছিলো না। ওটা স্রেফ একটা যোগাযোগ মাধ্যম ছিলো, এখন ফেসবুক সবচেয়ে বড় ডিজিটাল প্লাটফর্ম। এক ফেসবুকেই যা খুশি তা, সত্য-মিথ্যার বাছ বিচার না করেই সব লেখা যায়, শেয়ার করা যায়। তো মানুষ খামোখা কষ্ট করে ব্লগিং কেন করবে?


প্রযু্ক্তিগত ব্যাপারটাও আসে। মোবাইল ফ্রেন্ডলি উপযুক্ত একটা এপস দরকার। এখন হাতের মুঠোয় সব দরকার। প্রযুক্তিগত দিক থেকে নতুন আঙ্গিকে ব্লগের চিন্তা করা উচিত।


ব্যক্তিগতভাব আমি মনে করি নতুন জেনারেশনের সাথে ব্লগিংয়ের একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ব্লগিং ব্যাপারটা নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। আবার ভালো সময় আসবে, সবকিছুই তো একটা ট্রান্সিকশনের মধ্য দিয়ে যায়।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২১

জেন রসি বলেছেন: এক ফেসবুকেই যা খুশি তা, সত্য-মিথ্যার বাছ বিচার না করেই সব লেখা যায়, শেয়ার করা যায়। তো মানুষ খামোখা কষ্ট করে ব্লগিং কেন করবে?

ব্লগেও যে এই চর্চা হয়না তেমন নয়। বেশ কিছু ব্লগার অভিযোগ করেছেন কপি পেস্ট পোস্ট হাইলাইট করা হয়। অথচ ভালো পোস্ট হারিয়ে যায়।

প্রযু্ক্তিগত ব্যাপারটাও আসে। মোবাইল ফ্রেন্ডলি উপযুক্ত একটা এপস দরকার। এখন হাতের মুঠোয় সব দরকার। প্রযুক্তিগত দিক থেকে নতুন আঙ্গিকে ব্লগের চিন্তা করা উচিত।

হ্যাঁ। পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে হলে আপডেেটেড হওয়ার বিকল্প নেই।

ব্যক্তিগতভাব আমি মনে করি নতুন জেনারেশনের সাথে ব্লগিংয়ের একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

ভালো পয়েন্ট।

৫৯| ১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দেখে গেলাম, কিছু কিছু বিষয় বুজে গেলাম ।
আমি বলতে গেলে সামুতে একজন নবীন ব্লগার ।
অন্যদিকে ফেসবুকেও বিচরণ একেবারেই কম থাকায়
বিষয়টির উপর যথাযোগ্য মতামত দেয়া বেশ কঠিন বটে ।
তবে ব্লগ, ব্লগার ও মডারেটরদের বিষয়ে উত্থাপিত কিছু প্রশ্ন
এবং সে প্রেক্ষিতে আন্যান্য গুণী ব্লগারদের মুল্যবান মন্তব্য এবং
মন্তব্যগুলির উপর লেখকের প্রতিমন্তব্য ও তার উপর অনেক গুণী ও
জেষ্ঠ ব্লগারদের পাল্টাপাল্টি মন্তব্য, প্রতি মন্তব্য গুলি খুবই উপভোগ্য
ঠেকেছে। এখানে একটি বিষয় ভাল লেগেছে , মন্তব্যকারী সকলেই পোষ্টের
বিষয়বস্তুর উপরে তাঁদের মন্তব্য ও আলোচনা কেন্দ্রীভুত রেখেছেন, যা ইদানিং
অনেক পোষ্টেই অনুপস্থিত দেখা যায়।পোষ্টে উত্থাপিত গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্নাবলীকে ঘিরে
গড়ে তোলা হাইপোথেসিসের এর ভিত্তিতে আবর্তীত মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্যগুলির উপর
পোষ্ট লেখকের কাছ হতে একটি সুন্দর মুল্যবান সিনথিসিস দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
মুল্যবান আলোচনা সমৃদ্ধ পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল







শিক্ষনীয় বিষয় গুলি ধারন করে নিয়ে গেলাম ।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৮

জেন রসি বলেছেন: আমি মনে করি আপনার মূল্যবান মতামত এক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন। ব্লগের সমস্যা গুলো কাটাতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে আপনার মতামত জানাবেন আশা করছি। এবং আপনি ঠিক ব্লগকে কিভাবে দেখতে চান?

ধন্যবাদ আলী ভাই।

৬০| ১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:১২

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর দিকে নজর দিক সামু। প্লে স্টোর এ যে অ্যাপ টি আছে সেটা একেবারে জঘন্য, ব্যবহারের অযোগ্য। মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে ব্লগ জনপ্রিয় করে তুলতে মোবাইল অ্যাপ সদর্থক ভূমিকা রাখতে পারে।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৬

জেন রসি বলেছেন: ভালো সাজেশন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬১| ১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ২০১০ থেকে তো দেখলাম কত ব্লগ এলো গেলো আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সামু ব্লগ এখনো টিকে আছে, জনপ্রিয়তাও আছে বেশ। অনেকেই কেবল ব্লগের অবস্থা ভালো নয় বলেন অথচ নিজেরা পোস্ট দেন না। মন্তব্য করেন না। তবুও ব্লগ চলছে তার নিজস্ব গতিতে। পোস্টও নেহায়েত কম হচ্ছে না । এবং ভালো পোস্টও আসে।

#ঠাকুর মাহমুদ ভাইয়ার মন্তব্য ভালো লেগেছে

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ছবি আপা আপনার মতামত দেওয়ার জন্য। ব্লগ চলা আর ঠিক যেভাবে চলছে বা যেভাবে চলা উচিৎ এই ব্যাপারগুলোর মধ্যে পার্থক্য আছে। আর তা নিয়েই মূলত আলোচনা চলছে।

৬২| ১১ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ব্লগে পক্ষপাতিত আছে কি না তা আমার জানা নেই, যদি থেকে থাকে তবে সেটা ভাঙ্গা উচিত। কারণ এটা ব্লগের উপর চরম ক্ষতি ডেকে আনে। মডারেশনদের আরো ভালো পারফর্মেন্স দেখাতে হবে, শুধু পক্ষপাতিত করলে চলবে না।

ব্লগ বাচিয়ে রাখতে হলে প্রত্যেক ব্লগারদের সাথে স্বদয় ব্যবহার করা উচিত ব্লগ কতৃপক্ষের, বা ব্লগের দায়ত্বে যারা আছেন তাদের। যদি কোন ব্লগার কে না জানিয়ে, না শুনিয়ে ভ্যান করে দিলো, জেনারেল করে রাখ হয় তা কমিয়ে আনা উচিত। কেউ যদি কোন সাধারণ অন্যায় করে তবে তাকে প্রথমতো কমেন্টে বা তার মেইলে বলে কয়ে বুঝাতে হবে, যে এই জায়গাটায় তার ভুল হয়েছে এটা ঠিক করেন বা আর কখনো করবে না। এটা ভালো ভাবে বললেই হয়, তাহলে কোন ব্লগার মনে হয়না যে সে এটা নিয়ে বার্গেডিং করবে। কারণ এখানে সবাই ভদ্র।

আর নির্বাচিত পোষ্ট নিয়ে আমি একটা কথা বলবে সেটা হলো, মডারেশনদের অনুভুতিটা কোন দিকে ঘুরে সেটা আমার জানা নেই। আমি অনেক দেখেছি ভালো ভালো পোস্টগুলো নির্বাচিত পোষ্টে যায় না তার থেকে নিম্নমানের পোষ্ট নির্বাচিত পোষ্টে স্থান পায়। এগুলো ব্লগ কতৃপক্ষের দেখা উচিত।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫০

জেন রসি বলেছেন: আর নির্বাচিত পোষ্ট নিয়ে আমি একটা কথা বলবে সেটা হলো, মডারেশনদের অনুভুতিটা কোন দিকে ঘুরে সেটা আমার জানা নেই। আমি অনেক দেখেছি ভালো ভালো পোস্টগুলো নির্বাচিত পোষ্টে যায় না তার থেকে নিম্নমানের পোষ্ট নির্বাচিত পোষ্টে স্থান পায়। এগুলো ব্লগ কতৃপক্ষের দেখা উচিত।

বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ধারনা পাওয়ার জন্য মডারেশন প্যানেলের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছে। আশা করছি উত্তর দেবেন।

৬৩| ১১ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এই পোস্টটি ব্লগের বর্তমান অবস্থানকে মূল্যায়ন এবং চলমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তোরণের পথে দিকনির্দেশক হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। এমন একটি পোস্ট দেয়ায় আন্তরিক মোবারকবাদ আপনাকে।

পোস্টটি স্টিকি করে এডমিন যথার্থ দায়িত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা।

একটা সময় ব্লগের প্রতি অনেকের মত আমারও অনিহা ছিল। সেটা ছিল মূলতঃ ব্লগ সম্পর্কে তখন সঠিক ধারণা না থাকার ফলে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এই ভুল ধারণাটা অনেকের ভেতরে এখনও আছে। এখনও অনেকেই মনে করেন, ব্লগ মানে নাস্তিকতা। ব্লগ বলতেই বিভ্রান্তির বেড়াজাল। এই ভুল ধারণার দেয়াল অপসারণে এগিয়ে আসার দায়িত্বও আমাদেরই।

অন্যান্য বাংলা ব্লগের অবস্থা যা-ই হোক, সামুকে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার উপযোগী বলে এখনো মনে করি। সাহিত্যমান সমৃদ্ধ কিছু পোস্ট যেমন- কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি এখনও এখানে বেশ ভালোই আসে। ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে মানসম্মত কিছু লেখাও দৃষ্টি আকর্ষন করে। একইসাথে বর্তমান জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভূ- রাজনীতি বিষয়ক, ভ্রমন সংক্রান্ত কিছু লেখা এখানে নিয়মিতই আমরা পেয়ে থাকি। এর পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু উৎকৃষ্ট লেখাও প্রায়ই আসে- যা ব্লগ বৈচিত্র্যকেই তুলে ধরে।

আমরা জানি, সামহোয়্যারইনব্লগকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য, ব্যবহারকারীদের কাছে ব্লগটিকে জনপ্রিয় করে তোলার সাথে সাথে অধিক মানুষের কাছে সহজে ব্যবহার উপযোগী করার লক্ষ্যে একটি মোবাইল এ্যাপ ইতোপূর্বে তৈরি করা হয়েছে। এই এ্যাপটিকে আরও আপডেট করা গেলে, প্রয়োজনীয় সব নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে এটিকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে পারলে এটি এক্ষেত্রে আশাব্যাঞ্জক ভূমিকা রাখতে পারে।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মতামত রাখার জন্য। ব্লগ মানেই নাস্তিকতা নয়। আবার ব্লগ মানে এটাও না যে যৌক্তিক ভাবে কোন প্রচলিত বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবেনা। আসলে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জন্য ঠিক যেমন পরিবেশ দরকার তা ব্লগে আছে কিনা, বা না থাকলে কেন নেই, কি করা উচিৎ এসব নিয়েই মুলত আলোচনা চলছে।

এই এ্যাপটিকে আরও আপডেট করা গেলে, প্রয়োজনীয় সব নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে এটিকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে পারলে এটি এক্ষেত্রে আশাব্যাঞ্জক ভূমিকা রাখতে পারে।

ভালো সাজেশন।

৬৪| ১১ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ব্লগে যেই রকমের আলোচনা হওয়া উচিত সেই আমাদের মাঝে অনেকেরই মনে হয় সেই রকমের সমালোচনা হজমের মতন ক্ষমতা নেই তাই ক্যাচাল বাধে অনেক।
তার কারন কি বলে মনে করেন? অন্ধবিশ্বাস, ভ্রান্ত ধারনা, ইগো, যুক্তির চেয়ে চাপিয়ে দেওয়ার মনোভাব?
অনেকে এখন ব্লগে সমালোচনার বিপরিতে আইন আদালত দেখায়, অনেকে ব্লগ বন্ধের কথাও বলে।
এই কালচারের বিরুদ্ধে পাল্টা কালচার বিনির্মাণ করতে ব্লগ কেন সফল হয়নি?
ব্লগকে বাচিয়ে রাখতে হলে এটাকে স্বনিভর ব্যবসাতে পরিনত করতে হবে। লাভ ছাড়া নিজের পকেট থেকে ব্লগ চলতে পারেনা।
যৌক্তিক। সেক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো কি কি? তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
সামুতে ভালো মানুষ আছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রন্তের মানুষ আছে। তাই অনলাইন সপিং পোরটাল করতে পারলে আশা করি সামু ভালো করতে পারবে। মানুষের আস্থা পারে খুব দ্রুত।
প্রস্তাব করে দেখতে পারেন।


ফেসবুক বিলিওন ডলার ব্যবসা তাই তার প্রসারের জন্য বিরাট বিনিওগ আছে।

প্রধান বিষয় ব্লগে আয় বাড়ানোর চেস্টা। ব্লগে যদি আয় বাড়ে তবে এর প্রসারের জন্যও কাজ হবে। নতুন আইডিয়া আসবে, বাস্তবায়ন হবে।


আর মডারেসন, ক্যাচাল, আস্তিক,নাস্তিক এই গুলি থাকবেই এবং এই সমস্যা নিয়েই চলতে হবে। পরিবত`ন আসবে।

তবে ১ নং সমস্যা এবং এখনই যেই জিনিস নিয়ে ব্লগের কাজ করা দরকার সেটা হলো ব্লগের আয়ের উতস।

নতুবা ব্লগ বন্ধ হয়ে যাবে খুব শিগ্রহী।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২১

জেন রসি বলেছেন: নোটেড। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬৫| ১১ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ও মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য। অনেক কিছুই উঠে এসেছে এগুলোতে।

তবে আমার মনে হয় লেখাটির শিরোনামেই একটি ভ্রান্তি রয়েছে। বলা হয়েছে "ব্লগ কি তার কার্যকারীতা হারিয়ে ফেলেছে?" আমি মনে করি এখানে সুনির্দিষ্টভাবে লেখা উচিত ছিল 'সাম...ইন ব্লগ কি তার...'। কারণ দুনিয়ার তাবৎ ব্লগই তার কার্যকারিতা হারায় নি।

এখন পরের প্রশ্ন ছিল, 'ফেললে কেন?' এই প্রশ্নের এক কথায় উত্তর হতে পারে, 'সামু সময়ের সাথে সাথে নিজেকে অভিযোজন (adaptation) করতে না পারার ব্যর্থতায় এর জন্য দায়ী...'।

এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে অতীতে। সেদিকে না যাই...। তবে সংক্ষেপে বলা যায়, সামু যখন প্রথম ভার্চুয়াল পর্দা উন্মোচন করে তখন তা ছিল রীতিমত একটি অগ্নুৎপাত, বিশেষ করে জানতে চাওয়া ও জানাতে চাওয়া তরুন জেনারেশনের কাছে। কারণ তখনকার বিবেচনায় সেই অগ্নুৎপাতের লাভার গেট-আপ, মেক-আপ, ঔজ্জল্য সকলকে বিমোহিত করলেও, লাভার সেই চকচকে ভাব ধরে রাখতে অগ্নুৎপাতের ধারাকে চলমান রাখার জন্য ভেতর থেকে যে পুশ দরকার ছিল তা না থাকায়--সময়ে সেই লাভা যে ছাইয়ে রূপান্তরিত হবে সেটা বলাই বাহুল্য।

বলা হয়েছে, 'আশাবাদী হওয়ার মত কোন যৌক্তিক কারন আছে কি?' আমি বলব, অবশ্যই আশাবাদী হওয়ায় যায়। আমি বিশ্বাস করি ২৮ কোটি বাঙালির জন্য এরকম একটি প্লাটফরম ভীষণ ভীষণ দরকার। যারা কোরা, রেডিট ইত্যাদিতে বিচরণ করেন তারা নিশ্চয় বুঝবেন এ ব্যাপারটা। ব্লগ কখনও ফেসবুক, ইউটিউবের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। এর আলাদা একটি স্বত্ত্বা রয়েছে, আলাদা একটি কাঠামো রয়েছে, আলাদা একটি প্রাণ রয়েছে। এখন কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত, যে-কোনো প্রাণকে জীবিত রাখতে হলে যে ধরনের নিউট্রিশনের দরকার হয়, তা উনারা সঠিকভাবে দিচ্ছেন কিনা কিংবা দেওয়ার সদিচ্ছা রয়েছে কিনা কিংবা অন্য কোনো লুপহোলের কারনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন কিনা...অথবা সময়ের সাথে খাদ্য তালিকায় খাবারের সংযোজন-বিযোজন করছেন কিনা। করে থাকলে তা যথেস্ট কিনা...। এগুলো নিয়ে ভাবলে ব্লগ নিয়ে আশাবাদী হওয়ায় যায়।


১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩১

জেন রসি বলেছেন: তবে আমার মনে হয় লেখাটির শিরোনামেই একটি ভ্রান্তি রয়েছে। বলা হয়েছে "ব্লগ কি তার কার্যকারীতা হারিয়ে ফেলেছে?" আমি মনে করি এখানে সুনির্দিষ্টভাবে লেখা উচিত ছিল 'সাম...ইন ব্লগ কি তার...'। কারণ দুনিয়ার তাবৎ ব্লগই তার কার্যকারিতা হারায় নি।

আসলে ব্লগ বলতে বাংলাদেশের কম্যুনিটি ব্লগ গুলোকেই বুঝিয়েছি। যেহেতু সামুতেই পোস্ট দিয়েছি তাই নির্দিষ্ট করে কিছু বলিনি। তাছাড়া আলোচনায় অন্যান্য ব্লগের প্রেক্ষাপটও উঠে এসেছে।

এখন পরের প্রশ্ন ছিল, 'ফেললে কেন?' এই প্রশ্নের এক কথায় উত্তর হতে পারে, 'সামু সময়ের সাথে সাথে নিজেকে অভিযোজন (adaptation) করতে না পারার ব্যর্থতায় এর জন্য দায়ী...'।

সামু ব্লগের কার্যকারীতা কমে যাওয়ার জন্য একক ভাবে কোন নির্দিষ্ট কারনকে দায়ী করা যৌক্তিকও হবেনা। এখানে আসলে অনেকগুলো কারনের মিথস্ক্রিয়া ঘটেছে। এবং কনসিকয়েন্স বলেও একটা ব্যাপারও আছে। অর্থাৎ একটা পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত আরেকটাকে প্রভাবিত করেছে। পাবলিক অপিনিয়নের স্পেস গুলোতে এমনিতেই শাসকগোষ্ঠী বা বিভিন্ন গোষ্ঠীর একধরনের নজরদারি থাকে। তারা নিজেরদের প্রয়োজনে তা ইউটিলাইজ করতে চায়। এবং তাদের এই মনোভাব বা চর্চার বিরুদ্ধে পাল্টা কালচার গড়ে তুলতে পারাও একটা চ্যালেন্জ। যার উপর আসলে ভবিষ্যতের অনেক কিছুই নির্ভর করে। তাছাড়া পরিবর্তন আসবেই। এবং তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তা অনেক বেশী হচ্ছে। সুতরাং সময়ের সাথে আপডেট থাকা বা অ্যাডাপ্ট করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই মূলত সারভাইবাল।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬৬| ১১ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৩

মুজিব রহমান বলেছেন: সমস্যার আরো কিছু কারণঃ
১। ব্লগ একদম ফ্রেন্ডলি নয়। এতে একটি মন্তব্য করতে এবং মন্তব্যের জবাব দিতে অনেক সময় লেগে যায়। পোস্ট করাও সহজ নয়। ফেসবুকের সাথে তুলনা আসবেই। ওখানে এগুলো খুবই সহজ।
২। ব্লগারকে ব্যান করা হয় প্রায়শই। যেসকল কারণে সামুতে ব্লক খেতে হয় সেসব পোস্ট অনায়াসেই ফেসবুকে করা যায়। মানে সামু অনেক রক্ষণশীল এবং মত প্রকাশের সুযোগ কম।
৩। এখানে সবাই বন্ধু। ফেসবুকে আমি চাইলেই নির্ধারিত বন্ধুদের মধ্যেই কাটানো যায়। এখানে পরিচিত ও ঘণিষ্ঠ হওয়ার সুযোগও কম বলে মনে হয়।
৪। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে, মাঝখানে অনেকদিন বন্ধ থাকা। এতে এখনো অনেকেই জানে না যে, সামু খোলা হয়েছে।

* নাস্তিক আস্তিকের দ্বন্দ্ব এখান থেকে ফেসবুকে অনেক বেশি। ফেসবুকে বহু পেইজেই ধর্মবিরোধী ভয়াবহ পোস্ট দেয়া হয়। আবার আস্তিকরাও নিজেদের বলয় তৈরি করে নেয়। তারাও ধর্মের পক্ষে পোস্ট দিতে থাকে।
* সামু আমার কয়েকটি আইডি খেয়ে ফেলেছে। বহুবার ব্যান করেছে, কয়েকটি চীরতরে। বিস্ময়কর যে একই রকম পোস্ট দেয়ার পরেও ফেসবুুক আমাকে মাত্র দুদিন আটকে আমার এনআইডি চেয়েছিল। এনআইডি দেয়ার পর আমাকে মুক্ত করে দেয়। আমার মতো নিরাপদ ব্লগারকেও কম হয়রাণি করেনে সামু।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩৬

জেন রসি বলেছেন: মানে সামু অনেক রক্ষণশীল এবং মত প্রকাশের সুযোগ কম।

অর্থাৎ বলছেন কনটেন্ট প্রকাশের ব্যাপারে সামু রক্ষণশীল।

নোটেড। মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬৭| ১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: পোস্ট পড়লাম, নিচের মন্তব্যগুলিও পড়লাম। কাজের কারণে সময় নেই। না হলে আলোচনায় অংশ নিতাম। তবে পোস্টের ৫টি সূচিত অংশের সাথে একমত হলেও বিস্তৃত আলোচনার দাবী রাখে। পরে সময় করে আসব। :)

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩৭

জেন রসি বলেছেন: আচ্ছা। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬৮| ১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

শাহাদাত নিরব বলেছেন: ব্লগ সম্পর্কে অবগত ছিলাম না
এক বন্ধুর প্রচেষ্টায় ব্লগ সম্পর্কে জানলাম ছিনলাম।
এর পুর্বে শুধু লেখা গুলো দেখেছি এই ব্লগ সেই ব্লগ থেকে।
তারপর সামহোয়্যার ব্লগে আসি অনেকদিন ধরে শুধু দেখেই গেছি এখানে কে কেমন আচরণ করে কেমন করে সবাই কমেন্ট করে, কি কি বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়।
২/৩ মাস দেখার পরে একটা আইডি ক্রিয়েট করলাম মাঝে মাঝে কিছু কমেন্ট করতাম।
তবে চাঁদগাজী ভাইয়ের লেখা বেশি পড়তাম এবং কমেন্টও খুব করতাম।
এক সময় নিজে কয়েক লাইন লেখার চেষ্টা করি যদিও আমি লেখার যোগ্য ছিলাম না শুধুই পাঠক হিসেবেই যোগ্য ছিলাম তবুও চেষ্টা করলাম কেননা আমরা জাতি হিসেবে জ্ঞানের চেয়ে অধিক বেশি প্রকাশ করি।
আফসোস তখন প্রথম পাতায় আসতো না লেখাগুলো (সেফ হইনি) তাই তেমন একটা প্রেরণা পেতাম না এই ভাবে ৫/৬ মাস পর সেফ হই, প্রথম পাতায় লেখার অনুমতি পাই। নিজেকে নিয়ে অনেক প্রাউড ফিল করতাম যে আমি সামহোয়্যার এর মত ব্লগে প্রথম পাতায় লিখার অনুমতি পেয়েছি।(সব চেয়ে বড় বাংলা ব্লগ)
কিন্তু সেটা বেশিদিন টেকেনি কতৃপক্ষ থেকে পোষ্ট ব্লক খেয়ে বসে আছি।
একটা ফেইক আইডিও খুলেছি কিছুই পোষ্ট করার আগে ৯ দিনের মাথায় সেফও হয়েছি। তখন মাথায় আসলো রিয়েল আইডি দিয়ে পোষ্ট করার ৫/৬ মাস পর সেফ হয়েছি অথচ ফেইক আইডি টি ৯ দিনের মাথায় সেফ তখন আস্তে আস্তে ব্লগ এর উপর কেমন একটা ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে। সেই ক্ষোভে আজও আমি জর্জরিত।
অনেক মেইল করেছি কতৃপক্ষের কাছে যে,
যদি ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে প্লিজ ক্ষমা করে দিবেন এবং আমাকে জানিয়ে দিলে ভবিষ্যতে এমন ভুল গুলো করবো না এই শর্তে আমার ব্লক টি শেষ বারের মত খুলে দিন। কিন্তু সেই ক্ষমা টা পেলাম না।
কিন্তু সামুর প্রতি ভালোবাসা টা রয়েই গেছে তাই মাঝে মাঝে এসে ডু দিয়ে যাই ।
ফেইক আইডি টি সেফ আছে কিন্তু তার থেকে পোষ্ট করার সাহস পাইনি।


আরেকটা বিষয় দেখলাম সামহোয়্যারে সরকার সমালোচিত পোষ্ট (৪ নং ডিজিটাল আইন বা শাসক গোষ্টির ফ্যাসিষ্ট আচরণ) এটা একজন ইউজার কে যথার্থ মর্মাহত করে।

আশা করবো অন্তত এই জায়গাটায় মানুষের টুটনি টা ছেপে না ধরে সকল কে বাক স্বাধীনতা দেওয়া হোক।

জয় হোক সামহোয়্যার ব্লগের
-ধন্যবাদ

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪০

জেন রসি বলেছেন: মোডারেশনের এসব ভুল ত্রুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৬৯| ১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
@জন রেসি ভাইঃ

বিভিন্ন মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের জবাব থেকে আমি যা বুঝতে পারছি তা হচ্ছে, আপনিসহ সমমনা অন্য ব্লগারবৃন্দ মুল জিজ্ঞাসা বা সমস্যার বিষয়টি হচ্ছে মডারেশন প্যানেল এবং পোষ্ট নির্বাচনের বিষয়টি। বাকি সমস্যাগুলো কিছুটা ঐচ্ছিক। (বোঝায় ভুল হলে আমি অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি)

১। আপনি জানতে চেয়েছেন – ঠিক কতজনের প্যানেল?
আমি মনে করি, এই বিষয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে অর্থাৎ আমাদের তরফ থেকে যতটুকু বলার ছিলো, ততটুকু বলে দিয়েছি। আবারও বলছি – আমরা আমাদের কাজের তুলনায় বেশ সীমিত লোকবল নিয়ে কাজ করছি। আমাদের টিম খুবই ছোট।

আপনি বলেছেন, দায়িত্ব পালনে মডারেশন টিমকে কি কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলতে হয়?

- অবশ্যই। সবাইকে একটি নির্দিষ্ট কোড অব কনডাক্ট মেনে কাজ করতে হয়। ফলে মন চাইলাম কাউকে ব্যান করে দিলাম বা কারো পোষ্ট সিলেক্ট করলাম না এমন কখনই নয়। এখানে সবাই প্রফেশনাল, ব্যক্তিগত বিবেচনায় কোন কিছু করার সুযোগ নেই।
কথা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, অতীতে যখন সিলেক্টর প্রথা ছিলো তখন দেখা গেছে বেশ কয়েকজন স্বেচ্চাসেবী ব্লগার তাদের উপর আরোপিত কাজ করতে গিয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পারেন নি। নিজের দর্শনের কুরুচিপূর্ন রাজনৈতিক পোষ্ট নির্বাচন করা থেকে ব্যক্তিগত রেষারেষির কারনে পোষ্ট নির্বাচন না করা বা সু সম্পর্কের কারনে পোষ্ট নির্বাচিত করার মত ঘটনাও পরবর্তীতে ব্লগ টিমের অনুসন্ধানে বের হয়েছে। ফলে, এই প্রথাটি বাতিল করা হয়েছে। এতে হয়ত অনেকেই মনক্ষুন হয়েছেন, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদীহিতা নিশ্চিত করার জন্যই এটা করা হয়েছে।

ফলে আশা করি বুঝতে পারছেন যে আমরা নীতিমালা ও জবাবদিহীতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে থাকি।

২। পোস্ট সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে ঠিক কি ধরনের নীতিমালা মেনে চলা হয়? এবং পোস্ট সিলেক্ট করার দায়িত্ব কয়জনের উপর থাকে?
- অবশ্যই পোষ্ট সিলেকশনের কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে যার আলোকে ব্লগ টিম পোষ্ট নির্বাচন করে থাকে। লেখার মৌলিকত্ব, বিষয়ের বৈচিত্রতা, লেখনীর স্বকীয়তা বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ইত্যাদি বেশ কিছু মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে পোষ্ট নির্বাচিত হওয়া থাকে।

৩। বিভিন্ন টাইপ কনটেন্ট(গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি ইত্তাদি) সিলেক্ট করার মত দক্ষতা মডারেশন প্যানেলের আছে কিনা? এবং তা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা ফেস করছে কিনা?
- ব্লগে যে ধরনের কন্টেন্ট বা লেখাগুলো প্রকাশিত হয় সেটার একটা বড় অংশ প্রায় ৯০ ভাগই লিখেন অপেশাদার ও শখের লেখকরা। ফলে এই ধরনের লেখাকে মুল্যায়ন করার মত নুন্যতম যোগ্য ব্যক্তিই মডারেশন টিমের অংশ হয়ে কাজ করেন। বাকি ১০ % কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই অর্জিত হয়।

কন্টেন্ট সিলেক্ট করা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা অনুভব করছে না। তবে মাঝে মাঝে নতুন লেখকদের উৎসাহ দেয়ার জন্য কিছু পোষ্ট হয়ত নির্বাচিত করা হয়। আবার অনেক সময় একজন লেখক লিখতে লিখতে নিজেকে যে পর্যায়ে নিয়ে যান, পরবর্তীতে কোন সময়ে তিনি যদি নুন্যতম তার মানকে ধরে রাখতে না পারেন, সেই ক্ষেত্রে তার লেখাটি নির্বাচিত পাতায় না যেতে পারে।

এই সব নিয়ে মাঝে মাঝে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেন, জানতে চান। কোন কারনে জবাব দিতে দেরী হলে তাঁরা মডারেশন প্যানেলের দুর্বলতা, দক্ষতার অভাব ইত্যাদি বলে অভিযোগ করেন। ব্লগারদের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিতে নেই। কিছু অভিযোগে চুপ থাকা ভালো, এতে ব্লগার হিসেবে নিজস্ব পর্যবেক্ষন শক্তির উপর আস্থা উক্ত ব্লগারের বৃদ্ধি পায়।

৪। যদি ব্লগাররা মনে করে থাকেন যে এই কনটেন্ট সিলেক্টে মডারেশন প্যানেলের দুর্বলতা রয়েছে তবে ঠিক কিভাবে সেটার সমাধান হবে?
যাদের কন্টেন্ট সিলেকশনে আপত্তি বা অভিযোগ আছে, তারা মডারেশন টিমের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে তাদের ব্যাখ্যা জানতে চাইবেন। তারা যদি গ্রহনযোগ্য ব্যাখা দিতে পারে এবং সমস্যাটির সমাধান করতে পারে, তাহলে তো আর ঝামেলা নেই।

শুভ ব্লগিং!! :)

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১১

জেন রসি বলেছেন: বিভিন্ন মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের জবাব থেকে আমি যা বুঝতে পারছি তা হচ্ছে, আপনিসহ সমমনা অন্য ব্লগারবৃন্দ মুল জিজ্ঞাসা বা সমস্যার বিষয়টি হচ্ছে মডারেশন প্যানেল এবং পোষ্ট নির্বাচনের বিষয়টি। বাকি সমস্যাগুলো কিছুটা ঐচ্ছিক। (বোঝায় ভুল হলে আমি অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি)

বোঝায় ভুল হয়েছে। তাই আপনার অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ মেনে নিচ্ছি। :P মূল জিজ্ঞাসা মূল পোস্টে যা ছিল তাই। মূল জিজ্ঞাসা ছিল কেন হয়েছে? কিভাবে হয়েছে? কি করলে হবে না? সে না হওয়াটা কি সম্ভব? মূলত এসব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই মডারেশন প্যানেল এবং পোষ্ট নির্বাচন জনিত সমস্যার কথা উঠে এসেছে। তীব্র ভাবেই উঠে এসেছে। তবে সমান ভাবে অন্য সব পয়েন্ট নিয়েও কিন্তু গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আপনি মোডারেটর তাই প্রশ্ন গুলো আপনার উদ্দেশ্যেই চলে গেছে। প্রশ্ন গুলো মূলত মডু কাল্পনিক ভালোবাসাকে করা হয়েছে। সহব্লগার জাদিদ ভাইকে নয়। :P এবং এখানে পারসোনাল মতামত চাপিয়ে দেওয়ার মত ব্যাপারও ঘটেনি। দেখেন অনেকেই এই পোস্টে নির্বাচিত পাতায় পোস্ট সিলেকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সমস্যা যেহেতু আছে সমাধানের চেষ্টাও করার প্রয়োজনীয়তাও তবে আছে। সে চেষ্টা থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। আবার আপনি বলছেন, কন্টেন্ট সিলেক্ট করা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা অনুভব করছে না। অর্থাৎ আপনি ভাবছেন সব ঠিক আছে। এবং আরো বলেছেন বিষয়টি নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে ওপেনলি আলোচনার কোন সুযোগ ব্লগে রয়েছে কিনা? যেখানে সবাই তার প্রশ্নগুলো বা অভিযোগ গুলো জানাতে পারবে। কারন আপনি ভাবছেন মডারেশন প্যানেল ঠিক মত কাজ করছে। আবার অনেকেই ভাবছে ভুল ত্রুটি হচ্ছে। তাহলে এই দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কে থাকবে? যথাযথ কর্তৃপক্ষ? তবে এ বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণে ব্লগে সবাই মিলে আলোচনায় না বসার কোন বিকল্প দেখছি না।

৭০| ১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

শায়মা বলেছেন: প্রসঙ্গঃ দলবাজি, সিন্ডিকেটবাজি

ব্লগের পতনের কারন হিসাবে ব্লগে দলবাজি সিন্ডিকেটবাজির চর্চার কথা প্রায়ই অনেকে বলে থাকেন। এ প্রসঙ্গে একজন ব্লগার বলেছেন দল বা সিন্ডিকেট খারাপ না, যদি সেটা কোন সুনির্দিষ্ট ইস্যুভিত্তিক বা আইডিওলজিক্যাল হয়। আবার কেউ বলেছেন এসব সিন্ডেকেটবাজির নামে চলে চর দখল টাইপ খেলা। ফলে পীর আর মুরিদরা মিলে ব্লগে যেসব কনটেন্ট প্রসব করে তা দিনশেষে আগাছায় পরিনত হয়। এই আগাছা ছাফ করতে পারেনা বলেই ব্লগ সংকটের মুখে পরেছে?


দলবাজি সিন্ডিকেটবাজির উদাহরনটা ঠিক যুৎসই হলো না মনে হয় ভাইয়া। প্রথম প্রথম যখন ব্লগে লিখতে শুরু করি এই সব দল টল দেখার সময় ছিলো না। আমি ছিলাম আপনার মাঝে আপনি হারা আপনো সৌরভে সারা..... নিজের মনে লিখতাম কেউ পড়লো কি পড়লো না তার ধারও ধারতাম না। নিজে লিখে নিজের লেখা দেখে নিজেই খুশি। এই ব্লগ চেনালো সারা পৃথিবীর মত ব্লগেও দলবাজি হয়। এই অচেনা অজানা মানুষগুলো যাদের চেহারাও চিনিনা। তখন ফেসবুকও ছিলো না যে ছবি দেখেও কারো আদল জেনে নেবো। সেই নিকগুলো নিকগুলোতে নাকি দল।

আজ বলতে বাঁধা নেই তখন শুনেছিলাম কৌশিকভাইয়ার গং, স্বপ্নজয় ভাইয়ার গং, আরিফ জেবতিক ভাইয়াদের দল বা দল এমন টাইপ কিছু মিছু! তা গং মং হোক আর দল বলই হোক আমার কি যায় আসে। ব্লগ দিবস দেখলাম কৌশিক ভাইয়ার উপস্থাপনা, গমগমে গলা! আমি মুগ্ধ! বাপরে এই ভাইয়াটা এত সুন্দর করে কথা বলে! মনজুরুল ভাইয়া কালপুরুষ ভাইয়া, সাঁজি আপুনি এদের দলবল বুঝতাম না আমি কিন্তু বুঝতাম ব্লগের মাথা টাথা কিছু হিসাবেই। কিন্তু অবাক করে সকলের স্নেহধন্যাই হয়েছিলাম আমি।

আমি আবার ভালোমানুষ ছিলাম তখন। এখন বলতে গেলে নিজের দিকেই তাকিয়ে বলবো আমাকে ভালো থাকতে দিলি নারে হা হা হা :P হ্যাঁ ব্লগের দলই আমাকে চেনালো আমাকে সর্বদল থাকাই শ্রেয়। কিন্তু সেই শ্রেয় থাকাও কি কম কথা! সর্বদল থাকা কি আর এতই সহজ !! সে কত কিছু কত ঘটনা। কম তো দেখলাম না। তবে আজ যেই বুদ্ধি বৃত্তিক চর্চার পতন বলে চিল্লাচিল্লি হচ্ছে তখন পোস্টগুলো বেশিভাগই ছিলো রাজনৈতিক আলোচনা, তর্কাতর্কি ঝগড়াঝাটি, এমনকি গালিবাজিও! এখন তো ব্লগে গালিবাজরা বিদায় নিয়েছে। আমার কাছে রাজনৈতিক পোস্ট সেসব কঠিন ছিলো বা অযথা এত কঠিন বিষয়ে মাথা ঘামাবার দরকারও ছিলোনা । আমি আজীবন রাজনীতিতে উদাসী মানুষই মনে হয়। তবে সত্যি বলতে যা কিছু শেখা এই ব্লগের কল্যানেই। তার আগের জীবনে রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আমার কাছে মূল্যবান আর কিছুই ছিলো না। কাজেই সেসব রাজনৈতিক লেখা, তর্কাতর্কি বা গালিবাজিও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা বটে। সেখান থেকেও অনেক কিছুই কুড়িয়ে পাওয়া হয়েছে আমার।

এরপর হঠাৎ এই দলবাজী অন্য রকম দলবাজীতে রুপান্তরীত হলো। তখন সেই সংকলন পোস্ট দল! :P আবারও বলতে হচ্ছে তখন থেকেই ব্লগ পতন পতন শুনছি। ভালো ব্লগাররা নাকি চলে যাচ্ছে শুনছি। সংকলন পোস্ট দলের আগে ব্লগে এক বিশাল যুদ্ধ হয়েছিলো। তখনই শোনা সিন্ডিকেট সিন্ডিকেট! বাপরে এ আবার কি! ব্লগেও সিন্ডিকেট! আমি নিজে অনেক অনেকদিন ব্লগে রয়েছি। আমার পরিচিতের সংখ্যা এখানে কম নয়। এই ব্লগ আমার কাছে আমার আনন্দের এক স্থানও বটে। আমি নিজে সুখী থাকতে পছন্দ করি অন্যকেও রাখতে পছন্দ করি। এই নিয়েও অনেকেই আমাকে হা হা হিহি সিন্ডিকেট বা দলবাজী বলেছে। সেটা শুনেও আমার অবশ্য হা হা হি হি অবস্থা। যাইহোক আমার কাছে ফেসবুককে অন্তসারশুণ্য মনে হয় যেখানে এখনও ব্লগে আমি একটা আর্টিকেল লিখে শান্তি পাই আমার পরিচিত নিকে বা অপরিচিত বেনিকে যা ফেসবুকে আমার ইচ্ছাও করে না। তবে অন্তসারশূন্য পোস্টের আগাছা পরিষ্কার করতে পারেনা বলেই পতন এটা মনে হয় ঠিক হলো না। আগাছা কেনো পরিষ্কার করা যাবে না?

মান সন্মত পোস্ট যদি এখন সকলের দাবী হয় তবে একটা নীতিমালার প্রয়োজন হবে। কিছু মানদন্ড নির্ধারণ করে শুধু সেসব ফুলফিল হলেই পোস্ট প্রকাশিত হবে। তার জন্য আবারও চাই সেসব পড়ে প্রকাশিত হবার যোগ্য কিনা দেখবার যোগ্য লোক। নাইলে ব্লগারদের কাছে আবারও জবাবদিহির পাল্লায় তাকেই পড়তে হবে। কে এই দায় নেবে বলো? কার এত সময় আর সাহস আছে? কাজেই প্রশ্ন এবং উত্তর আবারও অমীমাংসিত রয়ে যাবে......

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৪৫

জেন রসি বলেছেন: আপনার সাথে সামু নিয়ে আলোচনা করা মানে অনেকটাই সামুর ইতিহাস পাঠ করে ফেলা। এই মন্তব্যেও মনে হলো যেন সে ইতিহাসেরই সারসংক্ষেপ। যাইহোক, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় সিন্ডিকেট থাকবেই। সব কালচারাল মুভমেন্ট, সাহিত্যিক আন্দোলন এসবও সিন্ডিকেট করেই হয়েছে। এক সিন্ডিকেট আরেক সিন্ডিকেটকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বাতিল করেছে। এক স্কুলের সাথে আরেক স্কুলের আদর্শিক দ্বন্দ্ব। বিজ্ঞানীদের মধ্যেও তা আছে। সুতরাং ব্লগে সিন্ডিকেট হয়েছে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আবার মিলেনি বলে কেউ এক সিন্ডিকেট থেকে বের হয়ে নতুন সিন্ডিকেট খুলেছে। স্বাভাবিক। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় সিন্ডিকেট থাকবেই। সিন্ডিকেট মানেই খারাপ কিছুনা। ভালো খারাপের ব্যাপারটা আসে কনসিকয়েন্স থেকে। নিয়ত থেকে। এবং কর্ম থেকে। বাজারে চাঁদাবাজী করার সিন্ডিকেটও আছে। আবার মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সিন্ডিকেটও আছে। আপনার হা হা হিহি সিন্ডিকেট যদি গল্প, কবিতা, ছড়ায়, আড্ডায় আনন্দ পাওয়া এবং দেওয়ার সিন্ডিকেট হয়ে থাকে তাত খারাপ কিছু নয়। আমি নিজেও সে সিন্ডিকেটের একজন আনন্দিত সদস্য ছিলাম।:P এখন অবশ্য ব্লগে গ্যাপ পরে গেছে। তাই দেখতে হবে সিন্ডিকেটের মূল উদ্দেশ্য কি? চর্চা কি? তার প্রভাব কেমন? এসব আরকি।

মান সম্মত পোস্ট বিষয়ক জটিলতা নিয়ে পরে লিখছি।

৭১| ১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: কাভা ভাই বলেছেন: অবশ্যই পোষ্ট সিলেকশনের কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে যার আলোকে ব্লগ টিম পোষ্ট নির্বাচন করে থাকে। লেখার মৌলিকত্ব, বিষয়ের বৈচিত্রতা, লেখনীর স্বকীয়তা বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ইত্যাদি বেশ কিছু মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে পোষ্ট নির্বাচিত হওয়া থাকে।
ব্লগে যে ধরনের কন্টেন্ট বা লেখাগুলো প্রকাশিত হয় সেটার একটা বড় অংশ প্রায় ৯০ ভাগই লিখেন অপেশাদার ও শখের লেখকরা। ফলে এই ধরনের লেখাকে মুল্যায়ন করার মত নুন্যতম যোগ্য ব্যক্তিই মডারেশন টিমের অংশ হয়ে কাজ করেন। বাকি ১০ % কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই অর্জিত হয়।
কন্টেন্ট সিলেক্ট করা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা অনুভব করছে না। তবে মাঝে মাঝে নতুন লেখকদের উৎসাহ দেয়ার জন্য কিছু পোষ্ট হয়ত নির্বাচিত করা হয়। আবার অনেক সময় একজন লেখক লিখতে লিখতে নিজেকে যে পর্যায়ে নিয়ে যান, পরবর্তীতে কোন সময়ে তিনি যদি নুন্যতম তার মানকে ধরে রাখতে না পারেন, সেই ক্ষেত্রে তার লেখাটি নির্বাচিত পাতায় না যেতে পারে।
-- উপরের লেখার উপর ভিত্তি করে... সাম্প্রতিক সময়ের এই ( এক, দুই, তিন ) তিনটি পোস্ট নির্বাচিত পাতায় না যাওয়ার কারণটা যদি ব্যাখ্যা করতেন তাহলে উপকৃত হতুম। এতে হয়ত নিজেকে আরো ঝালিয়ে নিয়ে লেখার মৌলিকত্ব, বিষয়ের বৈচিত্রতা, লেখনীর স্বকীয়তা বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য লেখা লিখতে পারতুম যাতে তা নির্বাচিত পাতায় যায়। কারণ দীর্ঘ সময় চিন্তা-ভাবনা করে একটি লেখা লিখে সেটা যদি গার্বেজের মতো প্রথম পাতা থেকে কিছুক্ষণের মধ্যে হারিয়ে যায়, সেটা যিনি লিখেন তার জন্য বেদনাদায়ক বটে! (অবশ্য লেখক যদি মহামানব হয় তাহলে ভিন্ন কথা)।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৫০

জেন রসি বলেছেন: কন্টেন্ট সিলেক্ট করা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা অনুভব করছে না। অর্থাৎ তারা ভাবছে সব ঠিক আছে। এবং বলেছেন বিষয়টি নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে ওপেনলি আলোচনার কোন সুযোগ ব্লগে রয়েছে কিনা? যেখানে সবাই তার প্রশ্নগুলো বা অভিযোগ গুলো জানাতে পারবে। কারন মোডারেটর ভাবছে মডারেশন প্যানেল ঠিক মত কাজ করছে। আবার অনেকেই ভাবছে ভুল ত্রুটি হচ্ছে। তাহলে এই দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কে থাকবে? যথাযথ কর্তৃপক্ষ? তবে এ বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণে ব্লগে সবাই মিলে আলোচনায় না বসার কোন বিকল্প দেখছি না।

৭২| ১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন:
আমার মন্তব্যের উত্তরে লেখক বলেছেন-
অনিচ্ছাকৃত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনার কোন পর্যবেক্ষণ আছে? বা মনে হয়েছে এই এই সিদ্ধান্তগুলো ভুল ছিল?

আমি একটি সম্ভাবনার কথা বলতে পারি। ফেসবুক মেসেঞ্জার এসবের ব্যবহার বাড়াতে ব্লগের বাইরেও ব্লগারদের নিয়মিত যোগাযোগ আলোচনা বেড়েছে। আমার মনে হয়েছে ব্লগ কতৃপক্ষও চায় মডারেশন প্যানেল সামাজিক মাধ্যমে ব্লগারদের সাথে নিয়মিত ইন্টারেক্ট করুক। আগে অতটা ছিলোনা, কিন্তু এটাকে আমরা সময়ের দাবী বলতে পারি। কিন্তু যেহেতু নির্বাচিত পাতা ইত্যাদি কিছু বিষয়ে মডারেশন প্যানেলের কিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে তারা কতটুকু নির্মোহ থাকতে পারছে নাকি মডারেশন প্যানেল কেন্দ্রিক আলাদা কোন এলিট(!) গ্রুপ তৈরি হচ্ছে কিনা সেটি দেখার কোন তদারকি আছে কিনা জানিনা। তবে সম্ভাবনাটি উড়িয়ে দেয়ার মতো বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না।

যেহেতু আমার মন্তব্যের প্রত্যুত্যরে ৪ টি প্রশ্ন করেছেন, তা নিয়ে দুটি কথা বলি। যদিও এর প্রকৃত ও সঠিক উত্তর কতৃপক্ষই সবচে ভালো জানেন। একটি ছোট বিশেষায়িত পোর্টালে অল্প বিস্তর কাজ করার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

একটি প্রতিষ্ঠানের বহুমুখী কাজ থাকে। ক্রিয়েটিভ কাজ যেমন থাকে দাপ্তরিক ও অন্যান্য কাজও থাকে। আমরা যারা ব্লগ পড়ি তাদের কাছে প্রধান ভিজুয়াল ইন্টারফেস হচ্ছে কি লেখা আসছে এবং তা কোথায় যাচ্ছে? শুধু এই একটি দিক দেখে সমস্যা বিবেচনা করা অন্ধের হস্তি দর্শনের মত হতে হবে। কারণ কতৃপক্ষই সবচে ভালো জানেন তার কি কি প্রয়োজন। প্রফেশনাল প্ল্যাটফর্মে সামগ্রিক দিক বিবেচনা করেই কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়। সক্ষমতা যাচাই না করে করে নিনশ্চয় নিয়োগ দেয়া হয় না।

তবে হ্যাঁ, যদি আপনি একটা রেস্তোরা চালাতে চান কিন্তু রান্না পারেন না এটা কোন বড় সমস্যা না, যদি খাবারের স্বাদ বোঝার সক্ষমতা থাকে। ব্লগ প্ল্যাটফর্মে লেখালেখিটাই যেখানে আসল সেখানে লেখার স্বাদ বোঝার সক্ষমতা না থাকে তাহলে তাহলে দীর্ঘমেয়াদে ব্লগ তার কাস্টমার অর্থাৎ ব্লগার ভিজিটর হারাতে থাকবে।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৫৬

জেন রসি বলেছেন: কন্টেন্ট সিলেক্ট করা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা অনুভব করছে না। অর্থাৎ তারা ভাবছে সব ঠিক আছে। এবং বলেছেন বিষয়টি নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে ওপেনলি আলোচনার কোন সুযোগ ব্লগে রয়েছে কিনা? যেখানে সবাই তার প্রশ্নগুলো বা অভিযোগ গুলো জানাতে পারবে। কারন মোডারেটর ভাবছে মডারেশন প্যানেল ঠিক মত কাজ করছে। আবার অনেকেই ভাবছে ভুল ত্রুটি হচ্ছে। তাহলে এই দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কে থাকবে? যথাযথ কর্তৃপক্ষ? তবে এ বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণে ব্লগে সবাই মিলে আলোচনায় না বসার কোন বিকল্প দেখছি না।

এ বিষয়ে আপনার মতামত জানাতে পারেন। কিংবা বিষয়টি সমাধানে আপনার কোন প্রস্তাব আছে কি?

৭৩| ১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

chondrobhuk বলেছেন: নাস্তিক্যবাদীদের রান্নাবান্না

১২ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:০৬

জেন রসি বলেছেন: রান্নাবান্না শেষ? খেয়েছেন? স্বাদ কেমন? ;)

৭৪| ১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: পৃথিবীতে এমন একটি বিষয় দেখান যার উত্থান পতন নেই? যে সুন্দরীকে সকালে পরী মনে হয় বিকেল কেনো জানি মনে হয়, সে কোন এক মানবী ৷ সৃষ্টির শুরু থেকে কত সম্রাজ্যের পতন কিংবা উত্থান হয়েছে ৷ অতিকায় হস্তি হারিয়ে গেলেও তেলপোকা তুচ্ছ হলেও টিকে আছে ৷
.
অনেক কিছু হারিয়ে যাবে ৷ গৌরব ভেঙ্গে চুরমার হবে ৷ এটা একটা প্রকৃতির খেলা ৷ যে খেলায় টিকিয়া থাকা ই চরম স্বার্থকতা ৷ আজকে দেখেন করোনাকালের পৃথিবী ৷
.
তাসের ঘরের মতো শত কোটি টাকার মালিক মানুষটিও নিঃশ্বাস সংকটে ভুগছে ৷ এমন ক্রান্তিকালে কেউ কেউ মানসিক শক্তির বলেও টিকিয়া আছে ৷ এখন টিকে যাওয়া ই জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা ৷ যেদিন সামুতে এসেছিলাম সেদিনও কোন এক ব্লগার অভিমানে চলে যাচ্ছে পোস্ট দিয়েছিলো ৷ দেখেন বেপারাটা, একজন আনকোরা অনভিজ্ঞ ব্লগার ব্লগে সেইফ ব্লগার হওয়ার জন্য যুদ্ধ করছে অন্যজন অভিমানে চলে যাচ্ছে ৷ এমন দৃশ্য থাকবেই ৷ যেতে নাহি দিবো হায় ৷ তবুও চলে যায় ৷ যেতে হয় মে বি ৷
.
যার থাকার সে থেকে যাবে ৷ কেউ কেউ কখনো যেতে পারবে না ৷ মায়ার অফিম খেয়ে ভূত হয়ে পরে থাকবে ৷ অনেক মেধাবীরা তো দেশ ছেড়ে চিরকাল ই বিদেশ থাকে তবুও কেউ কেউ ফিরে আসে ৷ আমার সাথে মাত্র ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে একজন স্টিভ দা আছে ৷ প্রায় জন্ম থেকেই সে আমেরিকায় বড় হয়েছে ৷ সব ছিলো তার ৷ এখনো আছে ৷ কিন্তু ছেড়ে চলে এসেছে দেশে ৷ এখানে সে তার জীবন খুঁজে পেয়েছে ৷
.
ইপিজিডের মোড়ে হুদাই দাঁড়িয়ে থাকতে নাকি তার মজা লাগে ৷ কেনো লাগে জানে না ৷ আমরাও মে বি তেমনি হতে চাই ৷ লিখতে না পারলেও ব্লগে হুদাই এসে ঢু মারতে ভালো লাগে ৷ কেমন লাগে তা জানিনা ৷ আমি যখন ব্লগে আসি আমার মামা তা শুনার পর আমার সাথে কথা বলতো না, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বন্ধু ব্লগার শুনার পর দূরত্ব বজায় রাখতো ৷ ব্লগ ছুঁয়ে বলছি ৷ যতভাবে সম্ভব ব্লগার পরিচয়টাকে লুকিয়ে রাখতাম ৷
.
জবের সুবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকালের বাসে অফিস যায় ৷ সেখানে এক সিনিয়র ভাই, প্রায় সময় বলে 'আবদুর রব শরীফ' কেমন আছো? আমি তাকে এতো করে জিজ্ঞেস করতাম আমার পুরো নাম কিভাবে জানেন? বলতো না ৷
.
কয়েক বছর পর তার সাথে বাস বাদে রিক্সায় চড়া ৷ সে আমাকে বললো 'ব্লগের একটা পূর্ণমিলনী হচ্ছে, তুমি রেজিঃ না করলে আমার টোকেনটা নিতে পারো, আমার জরুরি মিটিং পরে গেছে' এমন কিছু বলার পর আমি থ্, সে ও সিনিয়র ব্লগার ৷ সেদিন ই জানলাম ৷ তার কাছ থেকে ই জানলাম ব্লগের অনেক চমকপ্রদ তথ্য ৷ এখনো বলেনি তার নিক্ নেইম কি ৷
.
ভদ্রলোক অসম্ভব জ্যান্টেলম্যান ৷ সে ও ব্লগিং করে বেপারটা আমার জন্য সত্যি অনুপ্রেরণার ছিলো এবং আশ্চর্যেরও ৷
.
ব্লগ ছেড়ে যাওয়া আর এভাবে ব্লগকে ভালবেসে পরিচয় গোপন করে রাখা দুটো আলাদা জিনিস ৷ ব্লগ থেকে শিখছি প্রতিনিয়ত ৷ সমালোচনাগুলো যেনো জীবনের পাথেয় ৷ তবুও কিছু ব্লগারদের খুব মিস্ করি ৷
.
নোমান নমি নামে একজন ব্লগার ছিলো, মাঝে মাঝে তার লেখা খোঁজ করি এখনো ৷ জানি না, নতুন কিছু পাইনা কেনো ৷ পরে তার ফেসবুক আইডিতে গিয়ে পড়ে আসি ৷
.
মাঝে মাঝে ব্লগে ঢুকতে পারিনা ৷ ফেসবুক গ্রুপে গিয়ে দেখি মডু সাহেব কোন নোটিশ ঝুলিয়েছে কি না ৷ পরে আশ্বস্ত হয় ৷ আবার ব্লগ সচল হলে সবাই ফিরে আসে ৷
.
একদিন দেখলাম মোবাইলের ক্রোমে কোন ভাবে ঢুকতে পারছি না, পরে সেটের জেনারেল সফট দিয়ে ট্রাই করলাম ৷ এরপরে অনেক সফট ট্রাই করতে করেত হুট করে আবিষ্কার করলাম ওপেরা মিনি দিয়ে ব্লগে ঢুকা যাচ্ছে ৷ খুশিতে লাফিয়ে উঠলাম ৷ ব্লগে ফিরে যেতে পেরে ভালো লাগেছে খুব ৷ এভাবে বারবার ফিরে আসবো ৷ কেউ থাকুক কিংবা না থাকুক, আমরা থাকছি স্যার ৷ আমাদের কোন রাগ অভিমান নেই ৷ নিজের আনাড়ি লেখাগুলো লিখতে থাকবো ৷ চেষ্টা করতে থাকবো উন্নতি করার ৷

১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

জেন রসি বলেছেন: পৃথিবীতে এমন একটি বিষয় দেখান যার উত্থান পতন নেই? যে সুন্দরীকে সকালে পরী মনে হয় বিকেল কেনো জানি মনে হয়, সে কোন এক মানবী ৷ সৃষ্টির শুরু থেকে কত সম্রাজ্যের পতন কিংবা উত্থান হয়েছে ৷ অতিকায় হস্তি হারিয়ে গেলেও তেলপোকা তুচ্ছ হলেও টিকে আছে ৷

ঠিক বলেছেন। পরিবর্তন হবেই। তাছাড়া সামু ব্লগের কার্যকারীতা কমে যাওয়ার জন্য একক ভাবে কোন নির্দিষ্ট কারনকে দায়ী করা যৌক্তিকও হবেনা। এখানে আসলে অনেকগুলো কারনের মিথস্ক্রিয়া ঘটেছে। এবং কনসিকয়েন্স বলেও একটা ব্যাপারও আছে। অর্থাৎ একটা পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত আরেকটাকে প্রভাবিত করেছে। পাবলিক অপিনিয়নের স্পেস গুলোতে এমনিতেই শাসকগোষ্ঠী বা বিভিন্ন গোষ্ঠীর একধরনের নজরদারি থাকে। তারা নিজেরদের প্রয়োজনে তা ইউটিলাইজ করতে চায়। এবং তাদের এই মনোভাব বা চর্চার বিরুদ্ধে পাল্টা কালচার গড়ে তুলতে পারাও একটা চ্যালেন্জ। যার উপর আসলে ভবিষ্যতের অনেক কিছুই নির্ভর করে। তাছাড়া পরিবর্তন আসবেই। এবং তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তা অনেক বেশী হচ্ছে। সুতরাং সময়ের সাথে আপডেট থাকা বা অ্যাডাপ্ট করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই মূলত সারভাইবাল।

ধন্যবাদ আপনাকে।


৭৫| ১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

গাওসেল এ. রাসেল বলেছেন: আমি মূলত পাঠক ছিলাম ব্লগে। মনযোগী ও নিয়মিত পাঠক অবশ্যই। জ্ঞানের ও বিবিধ চিন্তাধারার দরজা খুলে যেতো আমার, এখানে এলে।

ক্ষুদ্র জ্ঞানে বলি, সামু ব্লগ আমার কাছে এখন উইন্ডোজ ২০০০ মনে হয়। হ্যা, এতটাই ব্যাকডেটেড লাগে এখন আমার।

পড়ে গভীরে হারিয়ে যাই, এমন পোস্ট প্রায় চোখেই পড়েনা আর।

তো আমি কেনো আসবো ব্লগে?

সনাতনী ধ্যান ধারণা থেকে বেড়িয়ে এসে অনেক অনেক আধুনিক লুক, গ্রাফিক্স ও লেখক-পাঠক ইন্টারেকশন, আরোও অনেক কিছু- যা আমি ব্যাখ্যাও করতে পারবো না, বাড়াতে পারলেই সামুর পূনঃজ্জীবন সম্ভব।

আর একটা কথা, যে হারিয়ে যাওয়ার- যাক না। ধরে রাখার কি এত দরকার?

সবশেষে, সামুর জন্য শুভকামনা।

১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

জেন রসি বলেছেন: তো আমি কেনো আসবো ব্লগে?

আসার কোনই কারন নেই। যা আপনাকে আকর্ষণ করেনা সেখানে আপনি কেন আসবেন? আমার এই পোস্টটা মূলত হা হুতাশ করার জন্য না। কিছু ফ্যাক্ট তুলে ধরে কিছু ফ্যাক্ট জানার আগ্রহ থেকেই এই পোস্ট। মুখস্থ কথায়, আজাইরা সেন্টিমেন্টে প্রতারিত হচ্ছি কিনা সেটাও জানতে হবে।

সনাতনী ধ্যান ধারণা থেকে বেড়িয়ে এসে অনেক অনেক আধুনিক লুক, গ্রাফিক্স ও লেখক-পাঠক ইন্টারেকশন, আরোও অনেক কিছু- যা আমি ব্যাখ্যাও করতে পারবো না, বাড়াতে পারলেই সামুর পূনঃজ্জীবন সম্ভব।

আপডেটেড হতেই হবে। কোন বিকল্প নেই।

ধন্যবাদ প্রিয় রাসেল ভাই।

৭৬| ১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ব্লগ নিয়ে ব্লগের মালিকপক্ষের পরিকল্পনা কি সেটা জানা প্রয়োজন । এইসব কথা কয়েকবছর ধরে শোনা যাচ্ছে , লোকবল সংকট অর্থ সংকট টেকনিক্যাল সংকট ।

১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

জেন রসি বলেছেন: ব্লগ নিয়ে ব্লগের মালিকপক্ষের পরিকল্পনা কি সেটা জানা প্রয়োজন

অবশ্যই জানা প্রয়োজন। এবং আম ব্লগার হিসাবে তা জানার অধিকার আমাদের আছে।

৭৭| ১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ব্লগ আমার অতি প্রিয় যায়গা। আমি কোন দামী মানুষ নয় যে আমার মতামত এখানে স্পষ্ট কোন ভূমিকা রাখবে। যখন থেকে ব্লগিং করছি তখন থেকে এখন পর্যন্ত নিজেকে একজন সত্যিকারের ব্লগার হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারিনি বলেই নিজের সম্পর্কে তেমন উন্নত ধারণা গড়ে উঠেনি। যখন নিজের পক্ষ থেকে নিজেই দূর্বল তখন সবলদের সংস্পর্শে যাওয়া ছাড়া যখন টিকে থাকা দায় হয় তখন করণীয় ঠিক করতে হিমশিম খেতে হয়।
আপনার প্রতিটি পয়েন্ট ঠিক কিনা বিচার করার ক্ষমতা নেই তবে এ সত্য যে রাজনীতি একটি অপচিন্তার নাম যা আমাদের মুক্ত চিন্তাকে ব্যাহত করেছে।

১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

জেন রসি বলেছেন: কে দামী কে দামী নয়, কে জনপ্রিয় কে জনপ্রিয় নয় এসব মুখ্য ব্যাপার না। কে কি বলছে, কেন বলছে, কিভাবে বলছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

৭৮| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: @ কাল্পনিক ভালবাসা ভাই,
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কাভা ভাই অথোরিটির পক্ষ হয়ে উত্তর দেবার জন্য।ভাসা ভাসা বা শোনা কথায় অনেক সত্যি মিথ্যে থাকতে পারে।এক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের মন্তব্য থেকে আমব্লগাররা সঠিক বিষয়টি জানতে পারে।আপনার উত্তরে সাধারণের কাছে কিছু বিষয় পরিস্কার হয়েছে।
২০১৩ সাল পরবর্তী সময়ে সামহোয়্যারইন ব্লগের উপর বেশ ঝড় আসে। সেই সময় কয়েকবার ব্লগ সাইটটি হ্যাক করার চেষ্টা করা হয় এবং ব্লগে বট এটার্ক চালানো হয়। মুলত এই ঘটনা সহ অন্যান্য আরো বেশ কিছু সমস্যার কারনে সিলেক্টর সুবিধাটি বাতিল করা হয়।
আপনার এ মন্তব্য থেকে ধরে নিচ্ছি ২০১৩ সলের পর থেকে ব্লগের উদ্ভূত পরিস্থিতির কোন এক সময় হতে আপনি হয়ত একা দায়িত্ব পালন করছেন।সেক্ষেত্রে পুর্বের প্রশ্নসমূহ বলবত থাকছে।আলোচনার সুবিধার্থে আমি পুনরায় তা পয়েন্ট আকারে উপস্থাপন করছি সামু কর্তৃপক্ষ বরাবরে যার উত্তর আপনি বা দায়িত্বরত যে কেউ দিতে পারবেন।
১) যে নির্দিষ্ট একটি মানদন্ডের ভিত্তিতে একজন মডারেটর নির্বাচিত হয় তা কি কি? তা কি ব্লগারদের কাছে পরিস্কার?এ বিষয়ে পরিস্কার কোন চিত্র সাধারণ ব্লগারদের কাছে না থাকলে তাদের পক্ষে একজন মডারেটর সফল কি ব্যর্থ তা পলিসি অনুযায়ী বলা কি সম্ভব?যে নির্দিষ্ট একটি মানদন্ডের ভিত্তিতে একজন মডারেটর নির্বাচিত হয় তা না জানলে কোন ব্লগারের পক্ষে কি কোন মডারেটর তা যথাযথভাবে অনুসরণ করছে কিনা তা বলা সম্ভব?
উদাহরণ হিসেবে নির্বাচিত পাতাকে ধরি।ধরুণ পোষ্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে পলিসি বা ওয়ার্কিং গাইড লাইন আছে তা আমব্লগারদের কাছে স্পষ্ট থাকলে মডারেটর তা অনুসরণ করে চলছে কিনা সহজেই বুঝতে পারত।এ বিষয়ে জেন রসি ভাই সংক্ষেপে যে পয়েন্টগুলিতে আলোকপাত করছেন এবং আপনি এর উত্তর দিয়েছেন।
ক। ঠিক কতজনের প্যানেল? আপনি উত্তরে বলেছেন- আমরা আমাদের কাজের তুলনায় বেশ সীমিত লোকবল নিয়ে কাজ করছি। আমাদের টিম খুবই ছোট।
তারমানে আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন এখানে ঘাটতি আছে,সংকট আছে।সুবিচার করা যাচ্ছে না।এটা কি আপদকালীন পরিস্থিতি নাকি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত? যদি আপদকালীন পরিস্থিতি হয় তাহলে কয় বছর করে এই আপদকালীন পরিস্থিতি চলছে?
যদি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়,তাহলে কি আমরা ধরে নেব এই সংকট থেকে উত্তোরণের কোন ইচ্ছে কর্তৃপক্ষের নেই? সেক্ষেত্রে ব্লগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা আসলেই কি আশাবাদী হতে পারি?কাজের তুলনায় খুবই ছোট টিম নিয়ে কার্যক্রম চালানোর
অন্তর্নিহিত কারণ কি?
অতীতে যখন সিলেক্টর প্রথা ছিলো তখন দেখা গেছে বেশ কয়েকজন স্বেচ্চাসেবী ব্লগার তাদের উপর আরোপিত কাজ করতে গিয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পারেন নি। নিজের দর্শনের কুরুচিপূর্ন রাজনৈতিক পোষ্ট নির্বাচন করা থেকে ব্যক্তিগত রেষারেষির কারনে পোষ্ট নির্বাচন না করা বা সুসম্পর্কের কারনে পোষ্ট নির্বাচিত করার মত ঘটনাও পরবর্তীতে ব্লগ টিমের অনুসন্ধানে বের হয়েছে। ফলে, এই প্রথাটি বাতিল করা হয়েছে।এতে হয়ত অনেকেই মনক্ষুন হয়েছেন, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদীহিতা নিশ্চিত করার জন্যই এটা করা হয়েছে।
একই ধরণের সমস্যা হতে আপনি বা আপনারা মুক্ত আছেন বলে কি মনে করেন?

খ। পোস্ট সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে ঠিক কি ধরনের নীতিমালা মেনে চলা হয়? এবং পোস্ট সিলেক্ট করার দায়িত্ব কয়জনের উপর থাকে?
আপনি পোষ্ট সিলেকশনের কিছু নীতিমালার উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন - লেখার মৌলিকত্ব, বিষয়ের বৈচিত্রতা, লেখনীর স্বকীয়তা বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ইত্যাদির কথা।
উদাসী স্বপ্ন ভাই নির্বাচিত পাতার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এর দিকে ইঙ্গিত করেছেন।ফরহাদ মজহারের কপি করা লেখা নির্বাচিত পাতায় যাচ্ছে।এ ধরণের লেখা মৌলিকত্ব বা অন্য কোন ধরণের মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্বাচিত পাতায় স্থান পায় তা জানতে পারলে বাধিত থাকব।৭১ নং কমেন্টে আখেনাটেন ভাইয়ের তিনটি পোস্ট নির্বাচিত পাতায় না যাওয়ার কারণটা কি? বা নির্বাচিত পাতায় যায়নি এমন আরো কিছু মানসম্মত পোষ্ট কেউ হাজির করলে তার ব্যাখ্যা কি হবে?

প্রথম প্রশ্নে যেমন কয়জনের টিম তা আমরা জানতে পারিনি তেমনি এ প্রশ্নেও লেখা কয়জন সিলেক্ট করেন তা আমরা জানতে পারিনি।লেখনীর স্বকীয়তা বলতে আপনারা কি মিন করছেন? নির্বাচিত পাতায় যাদের লেখা যায় তারা সবাই কি লেখনীয় স্বকীয়তার অধিকারী?

গ। বিভিন্ন টাইপ কনটেন্ট(গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি ইত্তাদি) সিলেক্ট করার মত দক্ষতা মডারেশন প্যানেলের আছে কিনা? এবং তা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা ফেস করছে কিনা?
আপনি বলেছেন- - ব্লগে যে ধরনের কন্টেন্ট বা লেখাগুলো প্রকাশিত হয় সেটার একটা বড় অংশ প্রায় ৯০ ভাগই লিখেন অপেশাদার ও শখের লেখকরা। ফলে এই ধরনের লেখাকে মুল্যায়ন করার মত নুন্যতম যোগ্য ব্যক্তিই মডারেশন টিমের অংশ হয়ে কাজ করেন। বাকি ১০ % কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই অর্জিত হয়।

কিন্তু আপনার প্রথম পয়েন্টে আপনি বলেছেন কাজের তুলনায় খুবই ছোট টিম।সেক্ষেত্রে আপনার প্রথম পয়েন্ট কি আপনার এই কথাটাকে ইনভ্যালিড করে দিচ্ছেনা?
শখের ও অপেশাদার লেখকের এ ধরণের লেখা-কোন ধরণের লেখা?তারা মানসম্মত লিখেন না তাই বোঝাতে চাচ্ছেন?আপনাদের কাছে লেখার মান বিবেচ্য নাকি লেখকের প্রকৃতি(পেশাদার,অপেশাদার) বিবেচ্য।যে অন্তর্নিহিত নাক ছিটকানো ভাব
লক্ষ্য করা গেল,তাতে ভাল মানের লেখকদের আপনারা অসম্মান করলেন বলে মনে হয়না?
আপনি বলেছেন- আপনাদের টিম প্রফেশনাল।জানতে চাই- লেখা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কি আপ্নারা প্রফেশনাল?
কোন ধরণের লেখকদের প্রফেশনাল ও কোন ধরণের লেখকদের আপ্নারা বা আপনি অপেশাদার মনে করেন?
আপনার ভাষ্যমতে,এখানের ১০% লেখক পেশাদার।তাদের লেখা যাচাই,এডিটিং করার মত ক্যাপাসিটি আপনার বা আপনাদের টিমের রয়েছে বলে মনে করেন? নাকি তাদের নাম দেখে নির্বাচিত পাতায় নেয়া হয়?
আপনি বলেছেন - একজন লেখক লিখতে লিখতে নিজেকে যে পর্যায়ে নিয়ে যান,পরবর্তীতে কোন সময়ে তিনি যদি নুন্যতম তার মানকে ধরে রাখতে না পারেন, সেই ক্ষেত্রে তার লেখাটি নির্বাচিত পাতায় না যেতে পারে।
এখন ধরুন কোন লেখক তার যে উচু মান,সে মানের নুন্যতম তার মানকে ধরে রাখতে পারল না(আপনার কথানুযায়ী),কিন্তু তার লেখার মান নির্বাচিত পাতায় যাদের লেখা যায় তাদের চেয়ে ঢের উচু,সেক্ষেত্রে কি আপনারা উক্ত লেখক ও ব্লগের পাঠককে তুলনামুলক ভাল লেখা পাঠের অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত করলেন না? আপনাদের এই নিজস্ব মানদন্ড ও বা কতটুকু যৌক্তিক?
উদাহণ হিসেবে হাসান মাহবুব ভাইয়ের লেখার কথাই ধরি।উনার কম বা হাল্কা(উনার মান অনুযায়ী) স্ট্যান্ডার্ডের লেখা ও কি ব্লগের অনেক লেখকের হাই স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় উচু নয়? যদি আপনারা এই মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে পোস্ট নির্বাচিত করে থাকেন এতদিন,আপনাদের কি মনে হয়না আপনারা একটি ভুল ও অযৌক্তিক নিক্তিতে অনেক অনেক ভাল পোষ্টের উপর অবিচার করে গেছেন?
এছাড়াও যারা লেখা বাছাই করছে তারা কতটুকু মেধাবী ও ধী শক্তি সম্পন্ন তা আমরা কিভাবে বুঝব যদি কারা কারা সিলেকশনের সাথে জড়িত তা আমরা জানতে না পারি? পৃথিবীর কোথাও এটা হয় না।যারা সংকলক ও সম্পাদনা করেন তাদের নাম জানিয়ে দেয়া হয়।
ধরুণ,আল মাহমুদের কবিতার পর্যায়ের কোন লেখার বিচারক যদি হয় পরিবেশ বন্ধুর মত কেউ সেক্ষেত্রে ওই ধাচের মডারেশনের উপর আস্থা রাখা- ছাগল দিয়ে হাল চাষ করা প্রবাদটির উপর বিশ্বাস রাখার মত নয়?
লেখা কি আপনি একাই সিলেক্ট করেন নাকি এর সাথে আরো জড়িত আছেন? যদি আরো থেকে থাকেন তারা কারা? একটি ভালো মানের লেখা নির্বাচিত করার জন্য পর্যাপ্ত সৃজনশীল ও মননশীল ক্ষমতা তাদের আছে কিনা তা আমরা কিভাবে বুঝব? তারা কি ইতিপূর্বে তাদের ক্রিয়েটিভির স্বাক্ষর রেখেছেন কোথাও?
যদি আপনি একাই সব লেখা সিলেক্ট করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার কি ধারণা আপনি সব বিষয়ের সব্যসাচী এবং নুন্যতম পর্যায়ের ধীমান ব্যক্তি? আপনি কি সত্যিই নিশ্চিত আপনি সব ভাল লেখার উপর সুবিচার করতে পারেন? ব্লগের লেখা নির্বাচনের পেছনে আপনি প্রতিদিন কয় ঘন্টা সময় দেন এবং এভারেজে প্রতিদিন কয়টা পোস্ট পড়েন? ব্লগে প্রতিদিন কয়টা পোষ্ট আসে? যদি একাধিক ব্যক্তি এই কাজের সাথে জড়িত থাকেন তারা প্রতিদিন কয় ঘন্টা পড়েন,কয়টা পোষ্ট পড়েন তা আশা করি জানাবেন।তাদের নাম ধাম সহ অবশ্যই। এবং যে সময়টুকু আপনি বা আপ্নারা ব্লগের জন্য দেন তা ব্লগের জন্য যথেষ্ট কিনা মনে করেন? যদি না হয়,আপনি বা আপনাদের ব্যক্তিগত অপারগতা যদি থেকে থাকে,সেক্ষেত্রে আপনি বা আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন বলে মনে হয়?উত্তর না হলে করণীয় কি আসলে? সামু কর্তৃপক্ষ এর ভাবনা কি এ বিষয়ে?ব্যর্থতার দায় নিয়ে দায়িত্ব পালন করার কি অর্থ থাকতে পারে?
আপনি বলেছেন-কিছু অভিযোগে চুপ থাকা ভালো। কোন কোন অভিযোগে চুপ থাকা ভাল না নিয়ে কি সামু ব্লগের কোন গাইডলাইন আছে? যদি থেকে থাকে আশা করি প্রকাশ করবেন।


ঘ। যদি ব্লগাররা মনে করে থাকেন যে এই কনটেন্ট সিলেক্টে মডারেশন প্যানেলের দুর্বলতা রয়েছে তবে ঠিক কিভাবে সেটার সমাধান হবে?
আপনি বলেছেন - যাদের কন্টেন্ট সিলেকশনে আপত্তি বা অভিযোগ আছে, তারা মডারেশন টিমের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে তাদের ব্যাখ্যা জানতে চাইবেন। তারা যদি গ্রহনযোগ্য ব্যাখা দিতে পারে এবং সমস্যাটির সমাধান করতে পারে, তাহলে তো আর ঝামেলা নেই।
যদি কোন গ্রহনযোগ্য ব্যাখা এবং সমস্যাটির সমাধান মডারেশন টিম দিতে না পারে,নিরুত্তর থাকে, এড়িয়ে যায় কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্লগারকে বরং কৌশলে হ্যারেজম্যান্ট করার পদক্ষেপ নেয় মডারেশন টিম তাহলে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্লগারের পরবর্তী ব্লগীয় স্টেপ কি হবে?
সামুতে অভিযোগ জানানোর প্রচলিত পদ্ধতি কি তা আশা করি আপনার মন্তব্যে সবার কাছে পরিস্কার হয়েছে।এজন্য ধন্যবাদ।এটা নিয়ে কিছু কথা আছে যা পরবর্তী কমেন্টে বলছি।
শুভকামনা প্রিয় কাভা ভাই।

১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

জেন রসি বলেছেন: কাভা ভাই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সে উত্তর পড়ে আমার মনে হয়েছে কিছু ব্যাপার অফিসিয়াল পলিসির কারনেই আম ব্লগারদের সাথে তিনি শেয়ার করতে পারবেন না। তবে আমি মনে করি স্বচ্ছতার জন্য সে তথ্যগুলো জানার অধিকার আমাদের আছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত জানাবেন আশা করি।

৭৯| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি পুরো পোস্ট সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্যর্থতা নিয়ে দাবি তুলেছেন - সামহোয়্যারইন ব্লগের সফলতার জন্য কি প্রয়োজন তা বলেন নি। আপনার লেখা হিব্রু ভাষায় তো না যে কনটেন্ট বোঝার জন্য মিশরে যেতে হবে! ধরে নিচ্ছি আপনি ব্লগের সফলতার জন্য যা প্রয়োজন তা জানেন না। আর যা জানেন তা হচ্ছে অতীত। অতীতে এমন করলে ভালো হতো, অতীতে তেমন করলে ভালো হতো এগুলো সমাধান নয়। সমাধান হচ্ছে ব্লগ ভবিষ্যতে কিসে ভালো করবে তার একটি সঠিক নকশা প্রণয়ন করা।
আর এটি হচ্ছে সঠিক চিন্তা ভাবনা।


আপনি যে মন্তব্য করেছেন এগুলো ছেলেমানুষি মন্তব্য। আপনি রেগে আছেন - আপনি আবেগ তারিত হয়ে আছেন, আপনার ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। - আপনার সাথে আমার পারসোনাল শত্রুতা আছে? - ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে চিনি, জানি? - না। তাহলে কোন কারণে আপনার সাথে আবেগ দেখাবো আর রাগ করবো, কারণ কি? - আমি ব্যবসায়ী মানুষ আবেগ দিয়ে ব্যবসা হয় না। সামহোয়্যরইন ব্লগ কিভাবে লাভবান হবে তার প্রপোজাল তৈরি করে উপস্থাপন করুন, আশা করি সামহোয়্যারইন ব্লগ আপনাকে নিরাশ করবেন না।

আপনি হয়তো আমার মন্তব্য বুঝতে পারেন নি। - অসম্ভব কিছু না। সবার কথা সবাই বুঝবেন এটি জরুরী নয়। কাল্পনিক ভালোবাসা জবাবদিহি করেন সামহোয়্যারইন ব্লগের কর্তৃপক্ষের কাছে। আপনার আামার কাছে তিনি জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। তারপরও তিনি জবাবদিহি করছেন এটি তার বদন্যতা। বাংলাদেশে ব্লগ একমাত্র সামহোয়্যরাইন ব্লগ না আরো ব্লগ আছে যেখানে এডমিনের মন্তব্যর “ম” ও দেখা যায় না। তাহলে কি আপনার ভাষয়া ধরে নিবো তারা ব্লগ মেইনটেইন করছেন না? প্রথম আলো ব্লগে কে কোথায় ব্যন হয়েছেন তার জবাবদিহি দিয়েছে প্রথমআলো - কখনো না, যাকে ব্যন করেছে তাকেও না। - প্রথমআলোর ব্লগিং কি আন প্রফেশনাল ছিলো? প্রথমআলো ব্লগ বন্ধ হয়েছে কারণ তাদের এই অপশন প্রয়োজন নেই।

আবারো রাগের প্রশ্ন! - না ভাই রাগ করছি না। রাগের বিষয় না। দুঃখের বিষয়ও না। আপনি ব্লগে কতোজন ব্লগার উপহার দিয়েছেন এই উত্তরটি যদি না থাকে তাহলে আপনি নিরবে নিভৃতে ব্লগিং করেছেন সামহোয়্যারইন ব্লগের জন্য আপনার অনুদান যদি নাইবা থাকে তাহলে আর অভিযোগ কেনো? আপনার পরিচিতদের মাঝে ব্লগ সম্পর্কে বলুন, তাদেরকেও বলুন ব্লগে লিখতে - আমার ধারনা আপনার অভিযোগ কমে আসবে। প্রশ্ন করেছিলাম কতোজন ব্লগার উপহার দিয়েছেন - উত্তর ছিলো আপনি একজন আম ব্লগার। এখন ব্লগের জন্য কি করতে পারবেন তা জানার জন্য আগ্রহ বোধ করছি।

মডারেটর টিমে কতো জন? - সংখ্যা জেনে কি করবেন? আমার জানামতে ব্লগে মাত্র দুজন ব্লগার মডারেটর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আজ আপনি সহ তিন জন! আপনি ব্লগিং করুন আমাদের বেশী বেশী লেখা উপহার দিন। আমরা সাধারন ব্লগার আপনাদের লেখা পড়ার জন্যই ব্লগে আসি।

বেসিক বিহীন পোস্ট : - ব্লগাররা কি আইনের উর্ধ্বে? ডিজিটাল আইনের আওতায় সামহোয়্যারইন ব্লগ কি ইনের উর্ধ্বে? আপনি আমি বাকস্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছ তা লিখে চলে যাবো আর রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাটি নিবেন ব্লগ। ব্লগ কেনো এটি করতে যাবে? এগুলো ছেলেমানুষি প্রশ্ন নয়কি? আইন কঠোর হতে হবে মিডিয়া বলে যা ইচ্ছা তা প্রকাশ করতে পারে না। এখন সে সামহোয়্যারইন ব্লগ হোক আর দেশের শীর্ষস্থানীয় কোনো পত্রিকা - কি আসে যায়। ব্লগিং করলেই বাকস্বাধীনতার নামে দেশের সম্পর্কে যা ইচ্ছা তা বলা যায় না। রাস্ট্রের প্রতি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ব্লগিং করাতে কোনো সম্মান নেই। ব্লগিং করা কোনো উদ্যত আচরণ নয়। এমন কোথাও নিয়ম আছে ব্লগারদের উদ্যত হতে হবে। আইন ভঙ্গকারী হতে হবে? ব্লগ লক ছিলো এটি অন্যায় হয়েছে কিনা তা অনেক ভাবনার বিষয়, কিন্তু ব্লগাররা যে ভালো কাজ করেনি এটি নিশ্চিত। কিন্তু এর দায়ভার সামহোয়্যারইন ব্লগের নিতে হয়েছে। - আপনি তখন ব্লগে অনুপস্থিত ছিলেন।

*সামহোয়্যারইন ব্লগ একটি প্রতিষ্ঠান। এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইন মেনে তাদের চলতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক লাইসেন্স নিয়ে তারা কাজ করছেন। এটি “চলো কক্সবাজার ঘুরে আসি” - ফেসবুক গ্রুপ নয়।

সর্বশেষে রাগ অভিমান দুঃখ ক্ষোভ ভুলে ব্লগের জন্য একটি প্রপোজাল তৈরি করুন যাতে ব্লগ লাভবান হয়। রাগ ক্ষোভ আবেগ দুঃখ আপনার পোস্টের সাথে মিলছে না। তাছাড়া কেনো জানি মনে হচ্ছে আবেগ শব্দটি আপনার মুদ্রাদোষ! - অথবা আপনি খুবই আবেগী মানুষ। তাই পুরো মন্তব্যে আবেগ আবেগ করে আবেগ ঘন হয়েছেন।

আপনি যা লিখেছেন এবং প্রতিমন্তব্য করছেন তা চচ্ছে আপনার ভাষায় চিরন্তন সত্য। আর চিরন্তন সত্য নিয়ে বিতর্ক চলে না। - আপনি সঠিক। এই পোস্টে এখানেই শেষ আবার হয়তো কোনো দিন দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে।

আশা করি কখনো একটি আবেগের পোস্ট দিবেন - তখন না হয় বেশী বেশী করে আবেগ প্রকাশ করে যাবো।

পুনশ্চ: - ব্লগের জন্য ভালো একটি প্রপোজাল চাই যাতে ব্লগ লাভবান হয়, আর আপনার পরিচিত যারা ভালো লিখেন তাদের কাছে সামহোয়্যারইন ব্লগ সম্পর্কে বলুন।

- সমাপ্ত -

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য। কারন আবেগ ঝেড়ে ফেলে এবার কিছুটা ট্র্যাকে আসার চেষ্টা করেছেন বলেই মনে হয়। ;)

আপনি পুরো পোস্ট সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্যর্থতা নিয়ে দাবি তুলেছেন - সামহোয়্যারইন ব্লগের সফলতার জন্য কি প্রয়োজন তা বলেন নি। আপনার লেখা হিব্রু ভাষায় তো না যে কনটেন্ট বোঝার জন্য মিশরে যেতে হবে! ধরে নিচ্ছি আপনি ব্লগের সফলতার জন্য যা প্রয়োজন তা জানেন না। আর যা জানেন তা হচ্ছে অতীত। অতীতে এমন করলে ভালো হতো, অতীতে তেমন করলে ভালো হতো এগুলো সমাধান নয়। সমাধান হচ্ছে ব্লগ ভবিষ্যতে কিসে ভালো করবে তার একটি সঠিক নকশা প্রণয়ন করা।
আর এটি হচ্ছে সঠিক চিন্তা ভাবনা।


এই জন্যই বলেছি আপনি কনটেন্ট, মন্তব্য প্রতিমন্তব্য থেকে খুব বেশী কিছু একটা বুঝে উঠতে পারেননি। ভাষা বাংলা হলেও আপনি মিশরেই চলে গেছেন। তাও এই মন্তব্যে ব্যাখ্যা করার চেষ্টার করেছেন কিছুটা। সেটাকে ইমপ্রুভমেন্ট হিসাবেই ধরে নিচ্ছি।
একজন মানুষ অসুস্থ হলে আগে রোগ নির্ণয় করতে হয়। রোগের কারন খুঁজে বের করতে হয়। তারপর পথ্য দিতে হয়। একমাত্র হাতুড়ি ডাক্তাররাই সেসবের ধার না ধেরে পথ্য দিয়ে ফেলে। এই পোস্টে আলোচনার মধ্যে দিয়ে সে সমস্যাগুলোই খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপর সমাধান। আলোচনা করতে করতেই সমাধানের ব্যাপারও কিছু ব্লগারের মন্তব্যে চলেও এসেছে। এবং ধীরে ধীরে আলোচনা সেদিকেই যাচ্ছে। এই মন্তব্য বরং আপনার হাতুড়ি ডাক্তার টাইপ উপলব্ধি প্রমানই দিয়েছে। তা আপনার যতটুকু বুঝার ক্ষমতা ততটুকুইত বুঝবেন। যদিও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই আপনাকে সাধুবাদ।;)

আপনি যে মন্তব্য করেছেন এগুলো ছেলেমানুষি মন্তব্য। আপনি রেগে আছেন - আপনি আবেগ তারিত হয়ে আছেন, আপনার ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। - আপনার সাথে আমার পারসোনাল শত্রুতা আছে? - ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে চিনি, জানি? - না। তাহলে কোন কারণে আপনার সাথে আবেগ দেখাবো আর রাগ করবো, কারণ কি? - আমি ব্যবসায়ী মানুষ আবেগ দিয়ে ব্যবসা হয় না। সামহোয়্যরইন ব্লগ কিভাবে লাভবান হবে তার প্রপোজাল তৈরি করে উপস্থাপন করুন, আশা করি সামহোয়্যারইন ব্লগ আপনাকে নিরাশ করবেন না।

আমি নাহয় ছেলেমানুষী মন্তব্য করেছি। কিন্তু আপনিত তার ব্যাখ্যাই দিতে পারেননি। পূর্বের মন্তব্যে মোডু কেন জবাবদিহিতা দিতে বাধ্যনা তার সাফাই গাইতে এসে স্বয়ং মডুর ষ্টেটমেন্টকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। এ জন্যই বলেছি অতি আবেগে মন্তব্য না করে একটু ভাবুন চিন্তা করুন। আপনি ব্যবসায়ী মানুষ নকি পুলিস নাকি অন্য কিছু তা দিয়ে আমার কি আসে যায়? বা তা এখানে মুখ্য ব্যাপারও নয়। ব্লগে আপনাকে আমি জাজ করব আপনার লেখা দিয়ে। যে মন্তব্য করেছেন সে মন্তব্যের আলোকেই বলেছি আপনি আবেগে মন্তব্য করে ফেলছেন। কে বলেছি তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাও দিয়েছি।

আপনি হয়তো আমার মন্তব্য বুঝতে পারেন নি। - অসম্ভব কিছু না। সবার কথা সবাই বুঝবেন এটি জরুরী নয়। কাল্পনিক ভালোবাসা জবাবদিহি করেন সামহোয়্যারইন ব্লগের কর্তৃপক্ষের কাছে। আপনার আামার কাছে তিনি জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। তারপরও তিনি জবাবদিহি করছেন এটি তার বদন্যতা। বাংলাদেশে ব্লগ একমাত্র সামহোয়্যরাইন ব্লগ না আরো ব্লগ আছে যেখানে এডমিনের মন্তব্যর “ম” ও দেখা যায় না। তাহলে কি আপনার ভাষয়া ধরে নিবো তারা ব্লগ মেইনটেইন করছেন না? প্রথম আলো ব্লগে কে কোথায় ব্যন হয়েছেন তার জবাবদিহি দিয়েছে প্রথমআলো - কখনো না, যাকে ব্যন করেছে তাকেও না। - প্রথমআলোর ব্লগিং কি আন প্রফেশনাল ছিলো? প্রথমআলো ব্লগ বন্ধ হয়েছে কারণ তাদের এই অপশন প্রয়োজন নেই।

আপনার মন্তব্য বুঝেছি বলেইত আমি আপনাকে দেখিয়ে দিলাম যে মোডুর কথার সাথে আপনার কথা কনট্রাস্ট করে। কাভা ভাই নিজে যেখানে বারবার বলছে তিনি জবাবদিহিতার ব্যাপারে স্বচ্ছ থাকার চেষ্টা করেন এবং এ ব্যাপারে তারা কোন ছাড় দেয়না। আর আপনি বলছেন তিনি বাধ্যনা। বা আসলেও তার বদন্যতা। দেখুন আপনি হয়ত ভাবতে পারেন আপনি সামুতে ব্লগিং না করে চাকরি করছেন যেখানে এডমিনকে প্রশ্ন করা যাবেনা। কিন্তু আপনার মত এই সামন্তবাদি দাস সুলভ মনোভাব নিয়ে ব্লগিং করতে আমি বা অন্যান্য ব্লগাররা কেন বাধ্য? আমি এখন সামুতে ব্লগিং করছি। প্রথম আলোতে না। প্রথম আলো একটা খারাপ চর্চা করলে বলেছে তা সামুতেও হবে? এটা আপনার ডিফেন্স মেকানিজম? হা হা হা......

আবারো রাগের প্রশ্ন! - না ভাই রাগ করছি না। রাগের বিষয় না। দুঃখের বিষয়ও না। আপনি ব্লগে কতোজন ব্লগার উপহার দিয়েছেন এই উত্তরটি যদি না থাকে তাহলে আপনি নিরবে নিভৃতে ব্লগিং করেছেন সামহোয়্যারইন ব্লগের জন্য আপনার অনুদান যদি নাইবা থাকে তাহলে আর অভিযোগ কেনো? আপনার পরিচিতদের মাঝে ব্লগ সম্পর্কে বলুন, তাদেরকেও বলুন ব্লগে লিখতে - আমার ধারনা আপনার অভিযোগ কমে আসবে। প্রশ্ন করেছিলাম কতোজন ব্লগার উপহার দিয়েছেন - উত্তর ছিলো আপনি একজন আম ব্লগার। এখন ব্লগের জন্য কি করতে পারবেন তা জানার জন্য আগ্রহ বোধ করছি

দেখুন এই যে পোস্ট দিলাম। মন্তব্য প্রতিমন্তব্য চলছে। তার পেছনে যে সময়টা আমার যাচ্ছে তার উপযোগিতা কি? সামু আমাকে টাকা দেবে? নিরাপত্তা দেবে? চা বিস্কুট দেবে? তবে কেন করছি? কেন সময় দিচ্ছি? কেন সমস্যা নিয়ে ভাবছি? কেন মনে হচ্ছে একটা সমাধানের দরকার? ভাবতে থাকুন। আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনার ইমপ্রুভমেন্টও হচ্ছে ধীরে ধীরে। ;)

বেসিক বিহীন পোস্ট : - ব্লগাররা কি আইনের উর্ধ্বে? ডিজিটাল আইনের আওতায় সামহোয়্যারইন ব্লগ কি ইনের উর্ধ্বে? আপনি আমি বাকস্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছ তা লিখে চলে যাবো আর রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাটি নিবেন ব্লগ। ব্লগ কেনো এটি করতে যাবে? এগুলো ছেলেমানুষি প্রশ্ন নয়কি? আইন কঠোর হতে হবে মিডিয়া বলে যা ইচ্ছা তা প্রকাশ করতে পারে না। এখন সে সামহোয়্যারইন ব্লগ হোক আর দেশের শীর্ষস্থানীয় কোনো পত্রিকা - কি আসে যায়। ব্লগিং করলেই বাকস্বাধীনতার নামে দেশের সম্পর্কে যা ইচ্ছা তা বলা যায় না। রাস্ট্রের প্রতি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ব্লগিং করাতে কোনো সম্মান নেই। ব্লগিং করা কোনো উদ্যত আচরণ নয়। এমন কোথাও নিয়ম আছে ব্লগারদের উদ্যত হতে হবে। আইন ভঙ্গকারী হতে হবে? ব্লগ লক ছিলো এটি অন্যায় হয়েছে কিনা তা অনেক ভাবনার বিষয়, কিন্তু ব্লগাররা যে ভালো কাজ করেনি এটি নিশ্চিত। কিন্তু এর দায়ভার সামহোয়্যারইন ব্লগের নিতে হয়েছে। - আপনি তখন ব্লগে অনুপস্থিত ছিলেন।

বেসিকবিহীন পোস্ট আপনি ভাবতেই পারেন। তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যে ব্যাখ্যা দিলেন তাতে হাসলাম। দেখুন মশায় ব্লগ একটা বিকল্প মিডিয়া। আর যাইহোক আমলাতান্ত্রিক পারপাজ সার্ভ করা ব্লগের কাজ হতে পারেনা। আর এসব জানার জন্যইত এই পোস্ট। আপনিত দেখছি ৫৭ ধারার কড়া সমর্থক। আপনিত দেখছি ব্লগের মত বিকল্প মিডিয়ার জন্য খুবই বিপদজনক। :P ব্লগের স্পিরিট ৫৭ ধারার সাথে কনট্রাস্ট করে এটা বুঝেন? আশা করি ভালোই বুঝেন। :)

সর্বশেষে রাগ অভিমান দুঃখ ক্ষোভ ভুলে ব্লগের জন্য একটি প্রপোজাল তৈরি করুন যাতে ব্লগ লাভবান হয়। রাগ ক্ষোভ আবেগ দুঃখ আপনার পোস্টের সাথে মিলছে না। তাছাড়া কেনো জানি মনে হচ্ছে আবেগ শব্দটি আপনার মুদ্রাদোষ! - অথবা আপনি খুবই আবেগী মানুষ। তাই পুরো মন্তব্যে আবেগ আবেগ করে আবেগ ঘন হয়েছেন।

সে উদ্দেশ্য থেকেই এই পোস্ট জনাব। তবে আপনি যেভাবে হাতুড়ি ডাক্তারের মত কাজটা করার জন্য সাজেস্ট করেছেন তেমনটা আমার উদ্দেশ্য নয় বলেই ব্লগারদের মতামত জানতে চাওয়া। আর আবেগ শব্দটা শুধু আপনার বেলাতেই প্রয়োগ করা হয়েছে। কেন করা হয়েছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। খেয়াল করেন নি বোধ হয়। ;)

আপনি যা লিখেছেন এবং প্রতিমন্তব্য করছেন তা চচ্ছে আপনার ভাষায় চিরন্তন সত্য। আর চিরন্তন সত্য নিয়ে বিতর্ক চলে না। - আপনি সঠিক। এই পোস্টে এখানেই শেষ আবার হয়তো কোনো দিন দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে।

তাই যদি ভাবতাম তবেত আর আলোচনা, সমালোচনা, ডিবেটেই যেতাম না। আপনার সাজেশন মত হাতুড়ী ডাক্তারের মতই কিছু একটা বলে ফেলতাম। হ্যাঁ আপনি চাইলে আমার পোস্ট, আপনার পোস্ট বা যে কোন পোস্টে আপনার সাথে আলোচনা, সমালোচনা, ডিবেট, আড্ডা কোন কিছু দিতেই আমার আপত্তি নেই।

যাইহোক, ধন্যবাদ। আবার আসবেন। :)

৮০| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কমেন্ট সংশোধন
আপনি বলেছেন-কিছু অভিযোগে চুপ থাকা ভালো। কোন কোন অভিযোগে চুপ থাকা ভাল তা নিয়ে কি সামু ব্লগের কোন গাইডলাইন আছে? যদি থেকে থাকে আশা করি প্রকাশ করবেন।
- ভুলে ওখানে তা এর জায়গায় না পরে গিয়েছিল।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৮

জেন রসি বলেছেন: আচ্ছা। ;)

৮১| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: নানান কারনে ব্লগ জনপ্রিয়তায় ধ্বস পড়েছে।

সবচেয়ে বড় কারন, বাংগালীরা চরিত্রগত ভাবে ঝগড়াঝাটি দলবাজি পরচর্চা প্রিয় এক আজিব জাতি। এরা একসাথে থাকার মত নয়। ব্লগ সাইটগুলোতে একসাথে মিলে মিশে ব্লগিং করাটা বাংগালীর প্রকৃতি বিরূদ্ধ।

দ্বিতীয় কারন, ফেসবুক এবং অন্যান্য মিডিয়ার টেকনিক্যাল সুবিধা বেশি।

তৃতীর কারন, ব্লগ সাইট গুলোর মডারেটররাও তো বাংগালী। এরাও বিভিন্ন সময় অপেশাদারী আচরন প্রশ্রয় দিয়েছে। ব্লগ সাইটে লিখতে গিয়ে হেনস্থা হবার ভয়ে অনেক কিছু লিখতে ভয় পেতাম, যা অন্যত্র হয় না।

এছাড়া সামহোয়ার বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত হয়, সেই সীমাবদ্ধতা তো রয়েছেই। যে কোন সময়ে সরকার একে বন্ধ করে দিতে পারে। যার ফলে সরকারের সমালোচনামূলক লেখা এখানে খুবই সীমাবদ্ধ। অন্যত্র সরকার চেষ্টা করেও পারছে না। বহু ফেসবুকারকে জেল কারাদন্ড দেয়া হচ্ছে কিন্তু কিছুতেই সফল হয় নি কারন ফেসবুকারদের বড় অংশ দেশের বাইরে। পাসপোর্ট বাতিলের হুমকিকেও তারা গায়ে মাখছে না।

এই চারটিই মূল কারন বলে আমার ধারনা।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৫

জেন রসি বলেছেন: এছাড়া সামহোয়ার বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত হয়, সেই সীমাবদ্ধতা তো রয়েছেই। যে কোন সময়ে সরকার একে বন্ধ করে দিতে পারে। যার ফলে সরকারের সমালোচনামূলক লেখা এখানে খুবই সীমাবদ্ধ। অন্যত্র সরকার চেষ্টা করেও পারছে না। বহু ফেসবুকারকে জেল কারাদন্ড দেয়া হচ্ছে কিন্তু কিছুতেই সফল হয় নি কারন ফেসবুকারদের বড় অংশ দেশের বাইরে। পাসপোর্ট বাতিলের হুমকিকেও তারা গায়ে মাখছে না।

পাবলিক অপিনিয়নের স্পেস গুলোতে এমনিতেই শাসকগোষ্ঠী বা বিভিন্ন গোষ্ঠীর একধরনের নজরদারি থাকে। তারা নিজেরদের প্রয়োজনে তা ইউটিলাইজ করতে চায়। এবং তাদের এই মনোভাব বা চর্চার বিরুদ্ধে পাল্টা কালচার গড়ে তুলতে পারাও একটা চ্যালেন্জ। যার উপর আসলে ভবিষ্যতের অনেক কিছুই নির্ভর করে। তাছাড়া পরিবর্তন আসবেই। এবং তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তা অনেক বেশী হচ্ছে। সুতরাং সময়ের সাথে আপডেট থাকা বা অ্যাডাপ্ট করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই মূলত সারভাইবাল।

৮২| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @আখেনাটেনঃ
সাম্প্রতিক সময়ে আমার পছন্দের ব্লগারদের মধ্যে অন্যতম। ব্লগার রিভিউ মানে সাম্প্রতিক সময়ের সেরা ব্লগারদের নিয়ে একটি পোষ্টে সবার আগে আপনার আছে। ফলে আপনার লেখার মান নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। আপনার তিনটি চমৎকার লেখা নির্বাচিত পাতায় স্থান পায় নি দেখে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কষ্ট করে লেখা কোন পোষ্ট যদি অল্প সময়ে প্রথম পাতা থেকে হারিয়ে যায় তাহলে খারাপ লাগতেই পারে - আমি এর সাথে একমত।

এই বিষয়ে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি অনুসন্ধান করে দেখলাম, ( এই কারনগুলো কোনটাই দায় এড়ানো জন্য নয়, বরং আমাদের ভুলটা কোথায় বা কিভাবে হয়েছে সেটা সম্পর্কে জানানোর জন্য উল্লেখ্য করা) আপনার তিনটি লেখার মধ্যে দুইটি লেখা একটি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রকাশিত হয়েছে আরেকটি ঈদের ছুটিতে প্রকাশিত হয়েছে। সাধারনত সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিনগুলোতে মডারেশন টিমের সদস্যরা অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম সক্রিয় থাকে, তাই কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। পরবর্তীতে সাপ্তাহের প্রথম দিনে ছুটির দিনের পোষ্টগুলো পুনরায় যাচাই করা হয়। এর পাশাপাশিও অনেক সময় আমাদের নিজেদের ভুলের কারনে বা কারিগরী ত্রুটির কারনে পোষ্ট সিলেক্ট হয় না। এই বিষয়ে আমাদেরকে জানালে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করি। আশা করি, আপনার অনির্বাচিত পোষ্টের তুলনায় নির্বাচিত পোষ্টের সংখ্যাই বেশি।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৭

জেন রসি বলেছেন: ১১১ নং মন্তব্যে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

৮৩| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: @ঠাকুর মাহমুদ,

আপনি লিখেছেন, "মডারেটর জবাবদিহি করেন সামহোয়্যারইন ব্লগের কর্তৃপক্ষের কাছে। আপনার আামার কাছে তিনি জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। তারপরও তিনি জবাবদিহি করছেন এটি তার বদন্যতা। "

জবাবদিহিতা থাকলে সবার কাছে জবাবদিহি করতে হবে, যদিও প্রাইভেট কোন প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা অনেক কম। জবাবদিহিতা কোন বদান্যতা নয়, বরং পেশাদারিত্ব। কিছুদিন আগে বিদ্যানন্দ নিয়ে যখন বিতর্ক উঠেছিল তখন বিদ্যানন্দ বলেছিল "বিদ্যানন্দ নামটি মুসলমানের দেয়া। এখানকার ৮০ ভাগ সদস্য মুসলিম।" ইত্যাদি ইত্যাদি। এই কথাগুলো কিছুটা বিরক্তিকর কৈফিয়তের মত শোনায়, কিন্তু তাদের জবাবদিহি মূলক মানসিকতার প্রশংসা করতেই হয়।

আপনি লিখেছেন, "প্রথমআলোর ব্লগিং কি আন প্রফেশনাল ছিলো?"

চূড়ান্ত রকমের আনপ্রফেশনাল। খুব সাদামাটা লেখাই তো প্রথম পাতায় যেত না। ফুল পাখি ইত্যাদি কিসিমের লেখা ব্যতিরেকে যে কোন চ্যালেন্জ্ঞিং লেখা প্রথমেই সেন্সর করা হত।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২০

জেন রসি বলেছেন: "মডারেটর জবাবদিহি করেন সামহোয়্যারইন ব্লগের কর্তৃপক্ষের কাছে। আপনার আামার কাছে তিনি জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। তারপরও তিনি জবাবদিহি করছেন এটি তার বদন্যতা। "

তিনি হয়ত ব্লগকে অফিস ভাবছেন। আর নিজেকে হুকুমমানা কর্মচারী।

৮৪| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বেশ কয়েকটি মন্তব্যের রিপ্লাইএ একটা কথা এসেছে যার মোদ্দা রূপ সবকিছু জাজ করার ক্ষমতা মডুর নেই। কথাটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি। জাজ শব্দটা যখন এসেছে তখন আমরা মডুকে একজন জজ হিসেবেই কল্পনা করি। একজন জজ কি হাজার রকমের,হাজার বিষয়ের মামলা জাজ করার ক্ষমতা রাখেন না?
সামুতে সব কিছু মডু একাই জাজ করছেন বিষয়টা এমন নাও হতে পারে। দ্বিধায় পড়লে নিশ্চয় অভিজ্ঞজনের মতামত নেয়ার কোন বিষয় এতে থাকতে পারে।

২ নং মন্তব্যের অংশ- ব্লগ তার আবেদন ততটা হারায়নি যতটা সংঙ্কা প্রকাশ করা হয়। কথাটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়েছে। আবার অনেকে মন্তব্যে ব্লগের পতনের কারন এখান 'পতন' জাতীয় শব্দ আমার কাছে জথার্থ মনে হয়নি। ব্লগে লেখক,পাঠক কম,অনেক ভাল লেখক চলে গেছে এসবের অর্থ এই নয় যে ব্লগের অবস্থা খারাপ বা ব্লগের পতন হয়েছে।
ব্লগে লেখক,পাঠক কম,অনেক ভাল লেখক চলে যাওয়া এসব সমস্যা শুরু হয়েছে সামুকে পর্ন সাইটের ট্যাগ লাগিয়ে ব্লক করার কারনে।
সে সময় বা এখনো স্বাভাবিক উপায়ে সামুতে ঢুকা যায়না। ফলে পাঠক লেখক,মন্তব্যকারী কম।
ব্লকের আগে একজন ভাল লেখকের লেখা পঠিত হত ১৪৬৪ বার,মন্তব্য ২৭৪ টি, এখন দেখা যাচ্ছে একই লেখকের লেখা ১২৬ বার পঠিত,মন্তব্য ৭ টি।(জাস্ট উদাহরণ) এতে লেখক যথেষ্ট হতাশ হন।
আবার ফেসবুকে কিন্তু তার পাঠক আগের মতই আছে। তাই অনেকে ব্লগের প্রতি অমনোযোগী হয়ে ফেবুতে মনোযোগী হয়েছেন।

এক মন্তব্যে চাঁ দ্গাজী ভাই বলেছেন, ওই ভাল লেখকরা সামুকে একদম ছেড়ে চলে যায়নি, তারা এখনো মাঝে মাঝে উকি দিয়ে যান। পাঠক, লেখকের সংখ্যা বাড়লে এরা আবারো সামুতে মনোযোগী হবেন।
সামুতে ঢুকার ব্যাপারে সব রকমের বাঁধা দূর হলে তিন মাসের মধ্যে সামু তার আগের রুপে ফিরবে।

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ ব্লগটাকে আমি এখনো বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার উপযোগী বলে মনে করি। আমিও মনে করি।

৫৪ নং মন্তব্যে উদাসী স্বপ্ন বলেছেন- অনেকে বলতে পারেন এখানে তো সাংবাদিকরাও আছেন। তা আছেন, যেমন এনটিভিতে কাজ করেন নুরু সাহেব যিনি কিনা লাদেন ভক্ত এবং সারাদিন কার জন্ম দিন কার মৃত্যু দিন তার পোস্ট দেন। মানুষ চাইলেই উইকিপিডিয়াতে দুটো টোকা দিয়ে বের করতে পারে সেখানে এরকম পোস্ট পড়ার জন্য ব্লগে আসবে কেন ? আসলে নুরু সাহেব বুদ্ধিমান হলে বুঝতে পারতেন গড়ে ১২/১৩ বার পঠিত উনার এ ধরনের পোস্ট কন্টিনিউ করা উচিত কিনা?
তাছাড়া জন্ম,মৃত্তুদিনের পোস্ট গুলোতে তিনি সার্বজনিন হতে পারেন নি । অনেক অগা বগার জন্ম,মৃত্যুতে উনার পোস্ট এলেও একজন সাবেক রাস্ট্রপতির জন্্‌মৃত্যুতে উনার কোন পোস্ট চোখে পড়েনা। উনার এই সংকির্নমনা অনেক পাঠক পছন্দ করছেন না।
সামুর উচিত সকল ধরনের গার্বেজ টাইপ পোস্টকে নিরুৎসাহিত করা।



১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩১

জেন রসি বলেছেন: বেশ কয়েকটি মন্তব্যের রিপ্লাইএ একটা কথা এসেছে যার মোদ্দা রূপ সবকিছু জাজ করার ক্ষমতা মডুর নেই। কথাটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি। জাজ শব্দটা যখন এসেছে তখন আমরা মডুকে একজন জজ হিসেবেই কল্পনা করি। একজন জজ কি হাজার রকমের,হাজার বিষয়ের মামলা জাজ করার ক্ষমতা রাখেন না?
সামুতে সব কিছু মডু একাই জাজ করছেন বিষয়টা এমন নাও হতে পারে। দ্বিধায় পড়লে নিশ্চয় অভিজ্ঞজনের মতামত নেয়ার কোন বিষয় এতে থাকতে পারে।


একজন জজ কে জাজ করার ক্ষমতাও আমরা রাখি। আর রাখি বলেই অনেক রায়ের বিরুদ্ধে মানুষ অভিযোগও তুলে। তাছাড়া জজদের ভুল ত্রুটি নিয়েও অনেক প্রশ্নও উঠে। সুতরাং জজ হলেই কেউ সব ঠিকঠাক মত জাজ করবে এমন কোন কথা নেই। বিষয়টা এমন নাও হতে পারে আবার হতেও পারে। তার স্পষ্ট উত্তর পাওয়ার জন্যই কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছে।

কে চলে গেছে আর কে আছে এটা মুখ্য ব্যাপার নয়। ব্লগের রেঙ্কিং দিনেদিনে কমছে। ব্লগার কমছে। পাঠক কমছে। ব্লগ থেকে সামাজিক আন্দোলন তেমন ভাবে আর গড়েও উঠছেনা। এসবই পরিসংখ্যান। সুতরাং ব্লগের অবস্থা ভালো এমন আবেগ নির্ভর বিশ্বাসের আসলে কোন যৌক্তিক ব্যাকআপ নেই।

সামুর উচিত সকল ধরনের গার্বেজ টাইপ পোস্টকে নিরুৎসাহিত করা।

তার মানে করা হচ্ছেনা। আবার আপনিই কিন্তু শুরুতে বলেছেন জজের একার পক্ষেই সব সম্ভব।

ধন্যবাদ লিটন ভাই।

৮৫| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: লেখক বলেছেন: ব্লগারদের ক্লাস এবং স্ট্যান্ডার্ড টাই আলাদা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তবে এই ক্লাস এবং স্ট্যান্ডার্ড ছেড়ে ব্লগাররা ফেসবুকে যাচ্ছে কেন? জনপ্রিয়তা, লাইক কমেন্ট পাওয়া, চ্যাট, বন্ধুত্ব, প্রেম করার জন্য? যেহেতু আপনি বলেছেন এটাই একমাত্র কারন? দুটো ব্যাপার বিপরীতমুখী হয়ে গেলনা

আমি ব্লগার এবং ফেসবুকার এর মধ্যে প্রার্থক্য নির্ণয় করার চেষ্টা করেছি।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৬

জেন রসি বলেছেন: আবার এটাও বলেছেন ব্লগাররা ফেসবুকে চলে যাচ্ছে। তা আমার প্রশ্ন ছিল এই ব্লগাররা কেন জাত আর স্ট্যান্ডার্ড ছেড়ে ফেসবুকে যাচ্ছে। মানুষত জাতেই থাকতে চায় নাকি?

৮৬| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জাদিদ ভাই,
আমি আপনাকে প্রশ্ন করেছি-আপনি বলেছেন কোন মডারেটরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরাসরি সামুর মূল কর্তৃপক্ষকে জানানোর কোন উপায় আছে কিনা( সংশ্লিষ্ট প্যানেল বা মডারেটরকে না জানিয়ে)?

হ্যাঁ, আপনি ঐ দুটো ইমেইলের মাধ্যমেই জানাতে পারেন। সাধারনত সন্ত্রাসী বা বড় ধরনের অপরাধীদের ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে পরিচয় গোপন করতে দেখা যায়। আশা করি ব্লগ টিমের কোন সদস্যকে কেউ বড় ধরনের কোন সন্ত্রাসী কিংবা অপরাধী হিসেবে দেখেন না। তাই যাদের সৎ সাহস থাকবে, তারা সরাসরি সবাইকে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ করবে। যে অভিযোগ প্রকাশ্যে করা যায় না, সেই অভিযোগে ঝামেলা থাকে।
আপনার উত্তর দেয়ার ধরণটা খেয়াল করেন জাদিদ ভাই। আপনি জাস্ট উত্তরটা বলে দিলেই পারতেন, কিন্তু।
শব্দবিজ্ঞানীরা বলেন,শব্দের তাতপর্য একেকজনের বা জাতির অভিজ্ঞতা বা সৃতির সংকেত।
যেমন ধরেন,৭১।আমাদের কাছে কেউ ৭১ শব্দটি উচ্চারণ করলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণে আসে। শুধু সংখ্যা হিসেবে তা আমাদের কাছে প্রেজেন্ট করবে না ।কিন্তু ধরেন অন্য জাতির কাছে ৭১ সংখ্যা।
তেমনি আমার প্রশ্নের উত্তরে আপনার মাথায় সন্ত্রাসী বা বড় ধরনের অপরাধী এই শব্দগুলি মাথায় এসেছে।আপনি হয়ত ফজরের নামাজের সময় চোর আর ইমাম সাহেবের গল্পটার কথা জানেন। যে গল্পে চোর ইমামরে ফজরের নামাজের সময় পুকুর পারে দেখে ভাবে ইমাম সাহেব বোধ হয় চুরি করতে নামছে।ইমাম উল্টোটা ভাবে।
আপনার অভিজ্ঞতাটা কি তা আমরা জানিনা।এভাবে ভাবার মনস্তত্বটা জানালে বাধিত হব।
এই বিষয়টাতে আপনার দুটা অভিমত পাওয়া গেল।
যে অভিযোগ প্রকাশ্যে করা যায় না, সেই অভিযোগে ঝামেলা থাকে।
এখন ধরেন আমি আপনার নামে জানা আপার কাছে অভিযোগ করব,মেইলে। আপনাকে না জানিয়ে,আপনার নামে।
এটাকে প্রকাশ্য নাকি গোপনীয় অভিযোগ হিসেবে ধরা হবে? এই অভিযোগটা কি '' ঝামেলা'' হিসেবে ট্রিট করবেন আপনি?যদি জানতে পারেন? কেন ব্যাখ্যা দিবেন।
জানা আপা কি হিসেবে ট্রিট করবে বলে মনে হয় আপনার? এ সম্পর্কে আপনার অভিমত জানতে চাই।
ব্লগে প্রকাশ্যে অভিযোগ করার পদ্ধতিটা কি, যদি মেইলে অভিযোগ গোপনীয় পদ্ধতি হয়ে থাকে?
আর যদি মেইলে অভিযোগ করার পদ্ধতিটা প্রকাশ্য পদ্ধতি হয়ে থাকে,তাহলে গোপনীয় পদ্ধতি কি?
আপনি বললেন- সামহোয়্যারইন ব্লগ যে কোন অভিযোগ তা প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে তা কর্মীদের সাথে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়।
গোপনে যে অভিযোগ আসে তা আপনার উল্লেখিত ''ঝামেলা থাকে/ আছে হিসেবে ট্রিট করে কিনা সামহোয়্যারইন ব্লগ?
আপনি বললেন- সৎ সাহস থাকবে, তারা সরাসরি সবাইকে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ করবে।
ব্লগে কিভাবে অভিযোগ জানালে তা সৎ সাহসের সাথে অভিযোগ জানানো হিসেবে ট্রিট করা হবে? এই সৎ সাহস পদ্ধতি কি সামুর অফিসিয়ালী স্বীকৃত পদ্ধতি কিনা?
আপনার আগে শরত দা, কৌশিক দা, মঞ্জুরুল ভাই মডু ছিল।
আমার প্রশ্নের উত্তর তারা কিভাবে দিতেন বলে মনে হয় আপনার? শরত দার সাথে ত আপনার যোগাযোগ আছে দেখেছি।উনাকে জিজ্ঞেস করে উনি কি উত্তর দিয়েছেন তা আমাকে জানালে বাধিত হব।
বাকিদের সাথে যোগাযোগ থাকলে তাদের কেও জিজ্ঞেস করে আমাকে জানানোর অনুরোধ রইল। সহব্লগার হিসেবে এটুকূ কষ্ট করতে আপনাকে অনুরোধ করতেই পারি।হ্যা,সাথে জানা আপাকেও।

দেখুন,জাদিদ ভাই আপনি মডুর বাইরেও একজন ব্লগার। আমাদের সবার একজন প্রিয় ব্লগার। আপনার হয় দুইটা সত্ত্বা। যথা- ১) ব্লগার সত্ত্বা। ২)মডারেটর সত্ত্বা ।
আপনার আগেও মডু ছিল,আপনি আজকে মডু।কাল হয়ত নাও থাকতে পারেন।কিন্তু যতদিন ব্লগ থাকবে,ব্লগার ও থাকবে।কোনকিছু পারসোনালি (যদি নিয়ে থাকেন) না নিলেই খুশী হব।প্রশ্ন করছি কর্তৃপক্ষকে,ব্লগার আপনাকে না।
আপনার বদলে দায়িত্বশীল অন্য কেউ হলেও সেইম ব্যাপার কাজ করত।এইসব প্রশ্ন উথাপন নতুন কোন বিষয়ও না।আগেও হয়েছে,ব্লগ যতদিন থাকবে ততদিনই হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাংলা ব্লগের মডারেটর হিসেবে ইতিহাস আপনাকেও মনে রাখবে।
এই বাংলার জমিনে ২৮ কোটি বাংলাভাষাভাষীদের নয়নের মণি আমাদের সবার প্রিয় সবার গর্ব এই সামু ব্লগ যে কোন মুল্যে টিকে থাকুক,আবার আগের মত প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরে উঠুক তার নীল সাদা জমীন এটা আমাদের সবার চাওয়া।
এর জন্য যা যা করা সম্ভব নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাই যেন তা করতে প্রয়াসী হয়,এই কামনাই হোক সবার।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তমরূপে বুঝার তৌফিক দান করুক।
আমিন।
ভালবাসা রইল।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৭

জেন রসি বলেছেন: এই বিষয়ক আলোচনা এখনো চলছে।

৮৭| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৯

মুহা. নাজিম উদ্দীন বলেছেন: সময় উপযোগী টপিকস নিয়ে আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। পোস্টটিও পড়লাম আবার অনেক মন্তব্যও পড়লাম। আমার নিজস্ব কোনো মতামত দিচ্ছি না, তবে এটা ঠিক আজ থেকে ৯/১০ বছর আগে এই ব্লগে এসে যে মজা পেতাম, যা শিখতাম তার ছিঁটেফোঁটাও এখন পাই না। তখনকার সেই ব্লগাররাও মনে হয় এখন অনেকে নেই। এখনকার সামহোয়ারইনব্লগ কেবল গুটিকয়েক ব্লগারের কাছেই বন্দী বলে মনে হয়।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৯

জেন রসি বলেছেন: এখন আগের তুলনায় গুটিকয়েক ব্লগারই ব্লগে আসেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৮৮| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: লেখা, ভাবনা চিন্তার সমালোচনা করা আর অশোভন ভাষায় মানহানি এক জিনিস না।
তাহলে আর পৃথিবীর কোনো দেশেই আইন বলে কিছূ থাকতো না।
প্রত্যেকের আচরণ ও ভাষা থেকে তার পারিবারিক শিক্ষার বহি:প্রকাশ ঘটে।
মুক্তমনা মানে ভদ্রতা বা শিষ্টাচারজ্ঞানহীন হওয়া না।
দেশের মানহানি ও সাইবার অপরাধ দমন আইনগুলি পড়ে দেখলে সবার ধারণা হবে যে কতোটা বলা যায় আর কতোটা বলা যায় না।
নীচ স্তরের লোকদের স্বভাবই সবসময় ব্যাক্তিগত আক্রমণ করে কথা বলা,যেটা এখানকার অনেকেই করছে।
কারণ ব্লগে লিখলেই কেউ তার রুচি বা মানসিকতার স্তরকে উন্নত করতে পারে না।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪০

জেন রসি বলেছেন: নোটেড।

৮৯| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মান সন্মত পোস্ট যদি এখন সকলের দাবী হয় তবে একটা নীতিমালার প্রয়োজন হবে। কিছু মানদন্ড নির্ধারণ করে শুধু সেসব ফুলফিল হলেই পোস্ট প্রকাশিত হবে। তার জন্য আবারও চাই সেসব পড়ে প্রকাশিত হবার যোগ্য কিনা দেখবার যোগ্য লোক। নাইলে ব্লগারদের কাছে আবারও জবাবদিহির পাল্লায় তাকেই পড়তে হবে। কে এই দায় নেবে বলো? কার এত সময় আর সাহস আছে? কাজেই প্রশ্ন এবং উত্তর আবারও অমীমাংসিত রয়ে যাবে......িমাংসি
অমীমাংসিত কেন থেকে যায় শায়মা আপু?
- মীমাংসিত করতে চাইলে কি করণীয় আছে বলে মনে হয় ব্লগের?

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪১

জেন রসি বলেছেন: মিসির আলীর অমীমাংসিত রহস্য পড়তে হবে বলে মনে হচ্ছে। হা হা হা

৯০| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিডিনিউজ প্রসঙ্গ আপনার আলোচনায় বারবার এনেছেন। তাদের কোন সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা ছিল বলে মনে করেন? যদিও কিছু ব্যাপারে আপনার মন্তব্যেই আলোকপাত করেছেন। তবে বিষয়টা সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার কাট ধারনা পেলে ভালো হত। জানা আপার প্রসঙ্গও তুলেছিলেন। আমার মনে হয় সময়ের প্রয়োজনে এসব বিষয় নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারনা পাওয়ার দরকার আছে। ভবিষ্যতের জন্যই।

কারন এই যে ডিজিটাল আইন তার সুত্রপাত ওখান থেকেই। তত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কারগুলো বাংলাদেশে একটা আলোড়ন সৃস্টি করেছিলো এবং সেই ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য হাসিনা এসে বেশ কিছু ভালো কনসেপ্ট দেয় যার একটা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ আরেকটা পাওয়ার সেক্টর। এ কারনে সরকারের প্রথম টার্মের কয়েক বছরে মিডিয়া জগতে হিউজ ইনভেস্ট হয় এই কারনে যেহেতু পাওয়ার সেক্টর সবল হবার পথে সেহেতু বাংলাদেশে হিউজ ইনভেস্ট আসবে। তখন দেশের স্থানীয় মাল্টিন্যাশনাল কোন্পানী থেকে বার বার বলা হতো পাওয়ার সেক্টর উন্নত হলে তারা নিজেরাও ইনভেস্ট করবে। সেই প্রথম দিকের গোল্ডরাশে প্রথম অনলাইন নিউজের লাইসেন্সিং নেয় বেবি মওদুদ। বলতে পারেন হাসিনা তাকে উপহারই দিয়েছিলেন। বেবি মওদুদের বিডিনিউজ টা পুরো চালাতো তৌহিদ খালিদি। তখন ব্লগ গুলো একটা শক্তিশালী উদীয়মান বিকল্প মিডিয়া হবার কারনে ক্ষমতা বা যে কারনেই হোক একটা নীতি নির্ধারনীর ধুয়া তুলে এই নীতিমালা প্রনয়নের ঘোষনা দেয়।

আর তার ফল হিসেবে প্রথম স্টেপ ছিলো আইরিনের ক্যামিকেল আলীর আইপি ফাঁস। একজন মডারেটর কখনোই কোনো ইউজারের ব্যাক্তিগত ঠিকানা প্রকাশ করতে পারেন না। আইরিন বিজিনিউজের মডু হবার কারনে সেখানে পোস্ট না করে করেছিলো এখানে। সেখানে আইরিন সিম্প্যাথি পায় কারন এটিমের চুড়ান্ত বুলীং, সাইবার হ্যারেজের শিকার ছিলো সে। তখনকার ব্লগীং এ যারা জড়িত ছিলো তারা বেশীর ভাগই জানতো ব্লগ সহ অনলাইনের ওপর নীতিমান তৈরী করা হচ্ছে সেটা ব্লগের ভালোর জন্যই। এর সাথে কৌশিকও জড়িত ছিলো।

সমস্যা হলো ব্যাপার গুলো অফিসিয়ালি কেউ ঘোষনা দেয়নি। সবই ছিলো কানাঘুষা বা তাদের বিভিন্ন লেখালেখিতে পরোক্ষ ইঙ্গিত। সেক্ষেত্রে এদের এসব ব্যাপার গুলো কেউ বই লিখেছে কিনা জানি না। ব্লগ নিতে বাজারে অনেকেই বই লিখেছেন। একরামুল হক শামীম, মন্জুরুল হক সহ অনেকেই। এগুলো পড়লে জানতে পারবো আসলে তারা এই ব্যাপারটা নিয়ে লিখেছেন কিনা। কিন্তু ডিজিটাল আইনের যে শুরুটা এখান থেকেই হয়েছিলো। খসড়া দেয়ার পর তৌহিদ খালিদি বেশ কিছু দিন যুক্ত থাকলেও ব্লগাররা আর যুক্ত থাকেনি। এরপর শাহবাগ আন্দোলন এবং সরকার যখন বুদ্ধিমান হলো তখন ডিজিটাল আইনটি নিজের মনের মতো করে বানিয়ে উল্টো সবাইকে ফাসালো।

এখন দেশে গিয়ে এ ব্যাপারে কিছু বই সংগ্রহ থেকে শুরু করে এই যে এসব ব্লগার আছে তাদের সাথে মুখামুখি বসার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু মায়ের মৃত্যুর সময় এ সব নিয়ে দৌড়াতে সময় পাইনি। এখন এরপর দেশে গেলে আমার অন্য প্রজেক্ট আছে, তাই এই পুরোনো বিষয় নিয়ে দৌড়াবার ইচ্ছা নাই।

তবে আমার মনে হয় জানা আপা অনেক কিছু জানেন। লাস্ট বার তার সাথে অনেক কথা হয়েছিলো কিন্তু এটা নিয়ে কথা বলতে দিয়েও বলা হয়নি। হতে পারে তিনি এসব পাবলিক প্লেসে কথা বলাটা সাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না। তবে ব্লগে এখনো কৌশিক ভাই লগইন থাকেন। শরত দাও থাকেন। আপনারা এদের চেপে ধরতে পারেন।

দেখেন কিছু বলে কিনা।

তবে তৎকালীন সময়ের প্রায় সবাই ব্লগে এটা নিয়ে সোচ্চার ছিলো। এমনকি ফেসবুকেও।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের বর্তমানের ডিজিটাল কালো আইন এই তৌহিদ খালিদি গংদের হাতে শুরু হইছে।

অবশ্য সেই তৌহিদ ভাইকেও লীগ দুদকে টানতে ছাড়ে নাই।

তখনকার অনেক ব্লগারই এখনো ব্লগীং করছেন। তারা কেন মুখে কুলুপ আসছেন বুঝতে পারছি না। জানের ভয়ে নাকি!!

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৭

জেন রসি বলেছেন: ব্লগ মূলত ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত এক বিকল্প মিডিয়া। ব্লগের সিটিজেন জার্নালিজমে তাই কোন প্রতিষ্ঠান, বা বিজনেসম্যানদের পারপাজ সার্ভ করার চাইতেও সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টাটা বেশী থাকে। আর এই জন্যই শাসকগোষ্ঠী ব্লগগুলোর মত বিকল্প মিডিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে।

৯১| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: @উদাসী স্বপ্ন আপনি তো অনেক কিছু জানেন । গণজাগরণ মঞ্চের আগে আওয়ামী লীগের ব্লগ সম্পর্ক মিনিমাম কোন ধারনা ছিল না । যদি থাকতো তাহলে থাবা রাজীবের হত্যার পর তোফায়েল আহমেদ রাজীবকে ২য় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে ঘোষণা দিতেন না ।
বিডি নিউজের অবস্থা তো করুন । এদের ব্লগের ভিউয়ার অনেক কম এখন ।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫০

জেন রসি বলেছেন: গণজাগরণ মঞ্চের আগে আওয়ামী লীগের ব্লগ সম্পর্ক মিনিমাম কোন ধারনা ছিল না ।

আমার ধারনা খুব ভালো ভাবেই ছিল। তবে সব দিকে তাদের নজরদারি তুলনামূলক কম থাকতে পারে তাদের। শাহবাগের মুভমেন্টের পর যা বেড়েছে।

৯২| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: @ডার্কম্যান

ভাই বিডিনিউজের ব্যাবসা যে কি, সেইটা যদি বুঝতেন তাইলে বিডিব্লগে হিস্যু করতেও যাইতেন না। যদিও এত কিছু বললাম দেখে আইরিন কোশিকদা শরত ভাই জানাফা আবার মাইন্ড করে কিনা আমার ওপর কে জানে। এমনেই আমার মুখ পাতলা তার ওপর কলঙ্ক/স্ক্যান্ডালের শেষ নাই।

বললাম এই জন্য যে এই যে মরার ডিজিটাল আইন এইটার প্রভাব কার ওপর পড়ে নাই কন তো!!! সহ্য করতে পারি নাই তাই বইলা দিলাম।

এখন মুরুব্বীরা আমারে কেমন ঠুয়া দেবে সেইটা তাদের ওপর ছাইড়া দিলাম। এমনেই শালার জেনারেল বানায় রাখছে তার ওপর আমার মুখে এখন আর কোনো ফিল্টার নাই।

আয় আইজকা!!

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫১

জেন রসি বলেছেন: এই কমেন্ট দিয়েই আপনি জেনারেল পদবী হারিয়ে সেফ হয়ে গেলেন। হা হা হা

৯৩| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
@মাহমুদ০০৭

আপনি বলেছেন, আমার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আপনি ধরে নিতে চান মডারেশন টিমে আমি একাই কাজ করছি।
এই ক্ষেত্রে আমার বক্তব্য - যদি কেউ কোন বিষয়ে ধারনা করে কোন সিদ্ধান্তে আসতে চান, সেটা একান্তই তার নিজের ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাড়তি কিছু বলার সুযোগ নেই। তবে এটা অনস্বীকার্য যে, ব্যক্তিগত যে কোন ধারনার দায়ভার নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সমমনা ব্যক্তিদের জন্যই প্রযোজ্য।

আপনি জানতে চেয়েছেন, কোন মানদন্ডের ভিত্তিতে একজন মডারেটর নির্বাচিত হয়? তা কি ব্লগারদের কাছে পরিষ্কার কিনা? এ বিষয়ে পরিস্কার কোন চিত্র সাধারণ ব্লগারদের কাছে না থাকলে তাদের পক্ষে একজন মডারেটর সফল কি ব্যর্থ তা পলিসি অনুযায়ী বলা কি সম্ভব? যে নির্দিষ্ট একটি মানদন্ডের ভিত্তিতে একজন মডারেটর নির্বাচিত হয় তা না জানলে কোন ব্লগারের পক্ষে কি কোন মডারেটর তা যথাযথভাবে অনুসরণ করছে কিনা তা বলা সম্ভব?

প্রথমত, আমি খুবই বিনয়ের সাথে জানাতে চাই, একজন মডারেটর সফল কি ব্যর্থ সেটা যাচাই করা ব্লগারদের কাজ নয়, এটা প্রতিষ্ঠানের কাজ, এটা প্রতিষ্ঠান নির্ধারন করবে। এখানে ব্লগারদের কোন ভুমিকা নেই। ব্লগাররা যা করতে পারেন – ব্লগ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে মডারেটরকে প্রশ্ন করার অধিকার রাখেন, জবাবদিহীতা চাইতে পারেন। একজন মডারেট সাধারন ব্লগারদের কিভাবে নিয়ন্ত্রন করেন, ব্লগের পরিবেশ নিয়ন্ত্রন করেন এবং সর্বপরি কিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক পলিসি বা বেস্ট পারপাস সার্ভ করেন, সেটা লক্ষ্য রাখা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কাজ। এই সবের ভিত্তিতেই একজন মডারেট তার দায়িত্ব পালনে সফল না ব্যর্থ তা বুঝা যায়। তাছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে কেউ কোন দায়িত্বে কর্মরত থাকে, তখন বুঝা যায় প্রতিষ্ঠান যার উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করেছে তার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের কোন আপত্তি নেই। এটাই সহজ এবং সরল হিসাব।

কোন ব্লগার হয়ত কোন মডারেটরকে পছন্দ না করতেই পারেন, তার কার্যকালাপে খুশি না হতে পারেন, এই নিয়ে তিনি উম্মা বা ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেন, অভিযোগ করতে পারেন। ব্লগের শীর্ষ কর্তৃপক্ষ আপনার অভিযোগ অবশ্যই বিবেচনা করে দেখবে। অনেকে আবার ব্যক্তিগত কারনেও অপছন্দ করতে পারেন, সেটা তিনি অবশ্যই করতে পারেন। সেটাও বিবেচনা করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের – কোন ব্যক্তি বা ব্লগার বিশেষের নয়।

এখন আপনি এই বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারেন অথবা আগের পয়েন্টে যা উল্লেখ্য করলাম, নিজের মত করে ভেবে নিজেই একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারেন। এটা সম্পূর্ন আপনার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।

২। কাজের তুলনায় কম লোক বলতে যা বুঝানো হয়েছে তা হচ্ছে –
সারা পৃথিবী থেকে ব্লগাররা এখানে নিজেদের পছন্দসই সময়ে লেখা প্রকাশ করেন। ফলে রাত দিনের পার্থক্যের কারনে অনেক সময় আমরা তাৎক্ষনিক মডারেশন বা ব্লগারদের কোন জিজ্ঞাসা সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়। এখন যদি এখানে প্রতিষ্ঠান কাউকে নিয়োগ দিতো তাহলে ব্লগারদের সাহায্য করতে আমাদের আরো কিছুটা সুবিধা হতো। যেহেতু পারছি না, তাই আমাদের টিম চেষ্টা করে যতটা সম্ভব এই বিষয়টি খেয়াল রেখে কাজ করতে। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্লগ টিম প্রায় ২৪ ঘন্টাই ব্লগ মনিটর কার্যকর রাখে। এছাড়া যেহেতু ব্লগের নিজস্ব কোন আয়ের সোর্স নেই, তাই যতখানি লোকবল নিয়ে স্বাভাবিক ও স্মুথভাবে কাজ চালানো যায় সেটাই ব্লগ অথোরিটি করছে। ছোট টিম, সীমিত লোকবল বলতে এটাই বুঝানো হয়েছে।

অতীতে যখন সিলেক্টর প্রথা ছিলো তখন দেখা গেছে বেশ কয়েকজন স্বেচ্চাসেবী ব্লগার তাদের উপর আরোপিত কাজ করতে গিয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পারেন নি। নিজের দর্শনের কুরুচিপূর্ন রাজনৈতিক পোষ্ট নির্বাচন করা থেকে ব্যক্তিগত রেষারেষির কারনে পোষ্ট নির্বাচন না করা বা সুসম্পর্কের কারনে পোষ্ট নির্বাচিত করার মত ঘটনাও পরবর্তীতে ব্লগ টিমের অনুসন্ধানে বের হয়েছে। ফলে, এই প্রথাটি বাতিল করা হয়েছে।এতে হয়ত অনেকেই মনক্ষুন হয়েছেন, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদীহিতা নিশ্চিত করার জন্যই এটা করা হয়েছে। একই ধরণের সমস্যা হতে আপনি বা আপনারা মুক্ত আছেন বলে কি মনে করেন?

হ্যা, দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, এই বিষয় থেকে আমরা মুক্ত। অন্তত আমি নিজের ব্যাপারে শতভাগ আস্থা রেখে বলতে পারি। আপনার সুবিধার জন্য জানাই- আমি ব্যক্তিগত ভাবে একজন ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ। কিন্তু আলোচনার সুবিধার্থে আমি এমন অনেক পোষ্ট অনুমোদন করি যেখানে ভয়াবহভাবে ধর্মের সমালোচনা করা হয়েছে। ব্লগে কারো সাথে আমার ব্যক্তি শত্রুতা নেই। ফলে কারো পোষ্ট নির্বাচিত না করার কোন কারন নেই।

খ। পোস্ট সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে ঠিক কি ধরনের নীতিমালা মেনে চলা হয়? এবং পোস্ট সিলেক্ট করার দায়িত্ব কয়জনের উপর থাকে? আপনি পোষ্ট সিলেকশনের কিছু নীতিমালার উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন - লেখার মৌলিকত্ব, বিষয়ের বৈচিত্রতা, লেখনীর স্বকীয়তা বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ইত্যাদির কথা। উদাসী স্বপ্ন ভাই নির্বাচিত পাতার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এর দিকে ইঙ্গিত করেছেন।ফরহাদ মজহারের কপি করা লেখা নির্বাচিত পাতায় যাচ্ছে।এ ধরণের লেখা মৌলিকত্ব বা অন্য কোন ধরণের মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্বাচিত পাতায় স্থান পায় তা জানতে পারলে বাধিত থাকব।৭১ নং কমেন্টে আখেনাটেন ভাইয়ের তিনটি পোস্ট নির্বাচিত পাতায় না যাওয়ার কারণটা কি? বা নির্বাচিত পাতায় যায়নি এমন আরো কিছু মানসম্মত পোষ্ট কেউ হাজির করলে তার ব্যাখ্যা কি হবে?


প্রথমত সার্বিক ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করছি। অনেক সময় কিছু হিউম্যান এরর হতে পারে। যার কারনে এই ত্রুটিগুলো হয়। এই ত্রুটিগুলো যখনই আমাদের নজরে আসে, তখনই দ্রুততার সাথে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করি। ব্লগার আখনাটেনকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, মাঝে মাঝে কিছু ভুল হয়ে যায়, হতে পারে, এটা স্বাভাবিক। তবে দেখতে হবে আমরা ভুল সংশোধনে আন্তরিক কি না এবং এই বিষয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। এখন ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করবে তিনি কিভাবে কাউকে বিচার করবেন। আপনি হয়ত ভাবতে পারেন, যেহেতু কবি ফরহাদ মাজহারের কপি পেষ্ট করা কবিতা আমি নির্বাচিত করেছি, তাই আমি এই কাজের জন্য অযোগ্য। এই ক্ষেত্রে আমার যা করনীয়, আপনার বিবেচনা বা বিচারবোধকে সম্মান জানিয়ে নিজেকে আরো সচেতন করা, ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা করা অথবা নিতান্তই ব্যর্থ হলে আপনার কাছে ত্রুটিহীন মানুষের খোঁজে সাহায্য চাওয়া।

প্রথম প্রশ্নে যেমন কয়জনের টিম তা আমরা জানতে পারিনি তেমনি এ প্রশ্নেও লেখা কয়জন সিলেক্ট করেন তা আমরা জানতে পারিনি।লেখনীর স্বকীয়তা বলতে আপনারা কি মিন করছেন? নির্বাচিত পাতায় যাদের লেখা যায় তারা সবাই কি লেখনীয় স্বকীয়তার অধিকারী?

আমি মনে করি, ব্লগ সংক্রান্ত যেটুকু তথ্য আপনার বা ব্লগারদের জানা উচিত, তার সবটাই ইতিমধ্যে আমরা জানিয়েছি। লেখা কিভাবে নির্বাচিত করা হয় সেই নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। আপনি যদি মনে করে থাকেন বিভিন্ন বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা সিলেক্টর থাকা প্রয়োজন, সেটা সুন্দর প্রস্থাব হলেও, নানা বিধ কারনে তা বাস্তবায়ন যোগ্য নয়। তাছাড়া সিলেক্টর রেখেও যে খুব ভালো কাজ হয়েছে তা বলা যায় না। কেন সেটা ফিউশন ফাইভের “একটি বা দুটি রামছাগল এই মুহূর্তে 'নির্বাচিত পোস্ট' সিলেক্ট কর্তেছে” ... পোষ্টটি খুঁজে কমেন্ট সহ পড়লেই নির্বাচিত পাতা নিয়ে সব কিছু বুঝতে পারবেন।

গ। বিভিন্ন টাইপ কনটেন্ট(গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি ইত্তাদি) সিলেক্ট করার মত দক্ষতা মডারেশন প্যানেলের আছে কিনা? এবং তা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা ফেস করছে কিনা? আপনি বলেছেন- - ব্লগে যে ধরনের কন্টেন্ট বা লেখাগুলো প্রকাশিত হয় সেটার একটা বড় অংশ প্রায় ৯০ ভাগই লিখেন অপেশাদার ও শখের লেখকরা। ফলে এই ধরনের লেখাকে মুল্যায়ন করার মত নুন্যতম যোগ্য ব্যক্তিই মডারেশন টিমের অংশ হয়ে কাজ করেন। বাকি ১০ % কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই অর্জিত হয়। কিন্তু আপনার প্রথম পয়েন্টে আপনি বলেছেন কাজের তুলনায় খুবই ছোট টিম।সেক্ষেত্রে আপনার প্রথম পয়েন্ট কি আপনার এই কথাটাকে ইনভ্যালিড করে দিচ্ছেনা?

ইনভ্যালিড কিভাবে করলো সেটা তো বুঝতে পারলাম না? আপনি জানতে চেয়েছেন বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট নির্বাচন করার জন্য আমাদের দক্ষ মডারেশন প্যানেল রয়েছে কিনা? আমি বললাম হ্যাঁ আছে। টিম ছোট হওয়া মানে অদক্ষ? মানে আপনি ধরেই নিয়েছে এখানে সব অদক্ষ বা যোগ্যতাহীন লোক কাজ করছে। অবশ্য প্রতিটি মেধাবীই কারো না কারো কাছে মেধাহীন।

দেখুন লেখক তৈরী করা ব্লগের একটা অলিখিত কাজ। যারা ভালো লিখেন তাদেরকে মুল্যায়ন করা, তাদেরকে সকলের সামনে তুলে ধরা এই সব কাজ ব্লগ তথা ব্লগের মডারেশন করে থাকে। ফলে একটা সময় একজন নতুন লেখক নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ পায়, সমালোচনার ভিত্তিতে নিজেকে সংশোধন করতে পারে। নিজেকে প্রকাশ করতে পেশাদার লেখক হিসেবে। যেমন ধরুন আপনি একসময় ব্লগে নতুন ছিলেন, আপনার পাঠক কম ছিলো, আপনার লেখার আগ্রহ কম ছিলো। পরে আপনার পাঠক বেড়েছে, প্রত্যাশা বেড়েছে ফলে আপনার লেখার মান বেড়েছে। আপনি বই প্রকাশ করেছেন।

আপনার মন্তব্যের বাকি অংশগুলো এখানে আর কোট করলাম না। একবারে উত্তর দিলাম।

আপনার মন্তব্যের নতুন কিছু নেই। ঘুরে ফিরে আবার সেই নির্বাচিত পাতা, কারা করেন, কি যোগ্যতা, কত বই পড়ে, আর অনেক প্রশ্ন! মাহমুদ ভাই, আপনাকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানাতে চাই - সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি বলা হয়েছে। আমি সোজাভাবে ব্যাখ্যা করেছি, আপনিও সোজাভাবে দেখুন।

আপনি বলেছেন - একজন লেখক লিখতে লিখতে নিজেকে যে পর্যায়ে নিয়ে যান,পরবর্তীতে কোন সময়ে তিনি যদি নুন্যতম তার মানকে ধরে রাখতে না পারেন, সেই ক্ষেত্রে তার লেখাটি নির্বাচিত পাতায় না যেতে পারে।

আপনি অনেক কিছু ধরতে বলছেন, এইভাবে ধরাধরি করতে থাকলে কথা শেষ হবে না। যেহেতু আমরা একটি লিখিত আলোচনায় আছি, সেখানে আলোচনা বা অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হলেই ভালো হয়। অনেক সময় অনেক ভালো ব্লগার বা ভালো লেখক অল্প দুই চার লাইনের কিছু লেখা লিখেন বা শুধু গানের লিংক শেয়ার করেন। এই সব ক্ষেত্রের মডারেশন টিমের কাছে মানসম্মত না হলে ঐ পোষ্ট নির্বাচিত পাতায় যাবে না। যদি ব্লগারদের ভালো লাগে, সেটা ব্লগারদের নিজ নিজ রুচির বিষয়। সবার রুচি এক হবে না। এটাই স্বাভাবিক। একজন মডারেটর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। ব্লগের নীতিমালা বজায় রাখার জন্য নিজ পছন্দের বিরুদ্ধ হলেও কাজ করতে হয়।

যেমন ধরুন আমার ব্যক্তিগত বিবেচনায় আপনার সবগুলো মন্তব্য প্রায় একই যেখানে কয়েকটি সাধারন বোধগম্য বিষয় নিয়ে অহেতুক প্যাচানো হচ্ছে যা নিয়ে ইতিপূর্বে যথেষ্ট পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে এবং বিষয়গুলো এমন নয় যে নতুন। যা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এই ধরনের আলোচনা ঢাকা থেকে চট্রগ্রামগামী কোন লোকাল ট্রেনে করলে সময় খুব ভালো কাটবে। কিন্তু ব্লগে একই কথা বার বার বলা একঘেয়েমি। তথাপি আমাকে এই সবের উত্তর দিতে হচ্ছে, আমার ব্যক্তিগত বিবেচনায় কি মনে হচ্ছে না হচ্ছে সেটা ভিন্ন হলেও দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে যথা সম্ভব ধৈর্যের সাথে আমি কাজ করে যাচ্ছি।

আমরা পেশাদার কিনা জানতে চেয়েছিলেন? আশা করি আপনি জবাব পেয়েছেন। এরপরও যদি জবাব না পান, তাহলে জানাবেন।

বিষয়টা খুবই সহজ। আমরা চেষ্টা করি, পরিপার্শ্বিক অবস্থা ও সেন্স অব জাজমেন্ট থেকে একটা লেখাকে বিচার করতে। আমাদের চেষ্টা থাকে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার। দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মত ব্লগ সকাল ৮ টায় খুলে বিকাল ৫ টায় বন্ধ হয় না। ব্লগের কার্যক্রম ২৪ ঘন্টাব্যাপী চলে। শুধু মাত্র অফিসিয়াল কিছু কার্যক্রম একটা সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলে। আশা করি আপনি উত্তর পেয়েছেন।

যেহেতু ব্লগাররা মডারেট নির্বাচন করেন না, এটা করেন ব্লগ অথরিটি, তাই কে সফল বা ব্যর্থ এটা তারাই ঠিক করবে। এটা আপনার কাজ নয়। আপনি অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে বিচার করতে পারেন। এখন আপনার বিচারই যে সকলের বিচার তা কি নিশ্চত হবার উপায় আছে?

কিছু অভিযোগে চুপ থাকা মানে হচ্ছে – হ্যাঁ। আপনি সঠিক। আপনি চালিয়ে যান এই ধারনা ব্লগারকে দিয়ে তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা। কথাটি আসলে কিছুটা মজা করে বলেছি। আশা করি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

ব্লগ সংক্রান্ত যে কোন সমস্যায় ব্লগারা মডারেশনকে জানাবেন। মডারেশন চেষ্টা করবে তা সমাধান করার। সমস্যার উপর ভিত্তি করে সমাধান নির্ভর করে।

আপনার মত ধরে নিলাম আপনার বাকি মন্তব্য বা সামনে যা হয়ত বলবেন তার কুসুম হচ্ছে – “আপনাকে মডারেট হিসেবে আমার এবং আমাদের বেশ কয়েকজন ব্লগারের পছন্দ না। আপনি একজন ব্যর্থ মডারেটর, পোস্ট নির্বাচন করতে পারেন না এবং বাকি অন্যান্য অভিযোগ।
সেই ক্ষেত্রে অহেতুক কথা চালাচলির চাইতে কাজের কথায় আসা উত্তম। আপনি এটা আপনার বা সমমনা যারা এমনটি ভাবছেন তাদের সকলের পক্ষ থেকে লিখে ফিডব্যাক এ সরাসরি মেইল করতে পারেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে প্রয়োজনী অনুসন্ধান শেষে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রিয় মাহমুদ ভাই, মডারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে আমি সব কিছু জানিয়েছি। এর বাইরে কিছু জানানোর নেই। সবচেয়ে বড় কথা, আমি মুল বিষয়টি ধরতে পেরে সেই সম্পর্কে বলে দিয়েছি- কিভাবে অভিযোগ জানাবেন। ফলে এই বিষয়ে আমার আর কোন বক্তব্য নেই। সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ রাত্রি।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৮

জেন রসি বলেছেন: চলুক।

৯৪| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বুঝলাম না, এমন কি কইলাম আমারে সেফ করলো এরা?

আমারে জেনারেল আরো কয়েকদিন রাখলে কি অসুধিবা হইতো??


আমি এই সেইফ চাই না। ফিরায়া নেও প্লিজ
!!! :D =p~

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৯

জেন রসি বলেছেন: জেনারেল পদবী ছেড়ে কে আর সেফ হতে চায়? আপনার পদবী কেড়ে নেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। =p~

৯৫| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
মাহমুদ০০৭ ভাই, আমি কোন কিছু ব্যক্তিগতভাবে নেই নি। ব্যক্তিগতভাবে নিলে আমি এত কথা বলতাম না। ব্যক্তিগতভাবে হয়ত আপনি নিয়েছেন, তাই আপনি আমাকে জাদিদ বলে সম্ভোধন করেছেন। হা হা হা। কারন ব্যক্তিগতভাবেই আপনি আমাকে এটা বলেই ডাকেন। আমি আমার স্বভাব সুলভভাবে জবাব দিয়েছি।

আপনি শব্দ বিজ্ঞানের কথা টেনে এনেছেন। এটা কি ভাই? এই বিষয়ে আমার পড়াশোনা তো দূরে কথা এই প্রথম শুনলাম। ফলে কোণ শব্দের কি অপ বা সঠিক ব্যাখ্যা সেটা আপনি যেভাবে বুঝবেন সেইভাবে আমি বুঝব না। তাই এই জাতীয় শব্দে যদি কোণ সমস্যা হয় তাহলে তা বাদ দিয়ে যেটুকুতে শব্দ বিজ্ঞান সংক্রান্ত কোন জটিলতা নেই, সেইটুকু পড়ুন। ব্যাস ল্যাটা চুকে গেলো। হুজুর আর চোরের গল্প দুইটা ভাইসভার্সা শিক্ষা আছে। যাইহোক, আপনি জটিল ভাবে দেখছেন বলেই আপনি জটিল অনুভব করছেন। সহজ ভাবে দেখুন, যেমনটা আপনি, তাহলেই সহজ বোধ করবেন।

আমার নামে যে কোন অভিযোগকে অবশ্যই আমি উটকো বিপদ হিসেবে দেখব। জানতে চাইব কার এত সাহস আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, ঘাড়ে কয়টা মাথা। তারপর জানা আপা বকা দিলে ভ্যা করে কেঁদে দিবো। এর পর বাসায় ফেরা। ব্যস! লাইজ ইজ ইজি। জীবনটা সুন্দর।

আমি তো মনে করি, যে কোন অভিযোগ প্রকাশ্যে করাই ভালো। এতে অভিযোগের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত আর কি।

ব্লগে আপনি আমার থেকে সিনিয়র বা অনেক কিছুই জানেন। আমি এই সব কিছুই জানি না। আমি দৌড় শরৎ দা পর্যন্ত, বড়জোর কৌশিক ভাই এর বেশি না। সেই হিসাবে ভাই আপনি তো ব্লগের সব কিছু জানেন। সেই হিসাবে শুধু শুধু আমারে প্রশ্ন করে প্যারা দিচ্ছেন। অনেক সময় মানুষ দায়িত্বে না থেকেও ভালোবাসার জন্য অনেক কিছু জানে। আপনিও সেই রকম। আর ভাই, আমি যেমন এবং যেখানে যেভাবে প্রয়োজন মনে করব - ঠিক সেভাবেই আমাকে জিজ্ঞেস করা প্রশ্নের জবাব দিবো। এটাই তো স্বাভাবিক।

যাইহোক, আমার কোন শব্দ এ বিজ্ঞান জনিত কারনে আহত হলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। হাহাহ।
শুভরাত্রি।


১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৭

জেন রসি বলেছেন: আমার নামে যে কোন অভিযোগকে অবশ্যই আমি উটকো বিপদ হিসেবে দেখব। জানতে চাইব কার এত সাহস আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, ঘাড়ে কয়টা মাথা। তারপর জানা আপা বকা দিলে ভ্যা করে কেঁদে দিবো। এর পর বাসায় ফেরা। ব্যস! লাইজ ইজ ইজি। জীবনটা সুন্দর।

কাঁদার পরকি মন শান্ত হয়? নাকি ঘাড় থেকে মাথা ফেলে দিতে ইচ্ছা হয়?

আমি তো মনে করি, যে কোন অভিযোগ প্রকাশ্যে করাই ভালো। এতে অভিযোগের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত আর কি।

সহমত।

শব্দবিজ্ঞান! আপনারত দেখছি জাঁকা লাকা দেরিদার দিকে চলে যাচ্ছেন। পরে আবার বুঝার জন্য সলিমুল্লাহকে না ডেকে আনতে হয়! :P

৯৬| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
@উদাসী স্বপ্নঃ যখন কোন ব্লগারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ জমা হয় তখন তার একটি করে পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। পয়েন্ট বৃদ্ধি পেতে পেতে একটা নির্দিষ্ট লেভেল পারলে তিনি সেফ ব্লগার স্ট্যাটাস হারান। আর এই পয়েন্টগুলো একটা নির্দিষ্ট ক্রমে কমতে থাকে। কাকতালীয় ভাবে আপনার পয়েন্ট একদম নিচে নেমে আসায় আজকেই আপনি সেফ হয়েছেন।

বেস্ট অফ লাক! শুভ ব্লগিং। :)

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০০

জেন রসি বলেছেন: কার কত পয়েন্ট জানার কোন অপশন নেই? ;)

৯৭| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জন রেসি ভাইঃ
কন্টেন্ট সিলেক্ট করা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা অনুভব করছে না।
এই কথাটির অর্থ হচ্ছে কন্টেন্ট বুঝে বা বিশ্লেষন করতে মডারেশন প্যানেলের কোন সমস্যা হচ্ছে না। কারন এটা কমিউনিটি ব্লগ। এখানে মোস্তফা কামাল পলাশ ভাইয়ের মত একজন বিশেষজ্ঞও যেমন লিখেন তেমনি শখের বসেও অনেকে লিখছেন। এখানে মুল চ্যালেঞ্জ নতুন লেখকদের নিয়ে। তাদের গাইড করা, তাদের প্রমোট করা ইত্যাদি। এই নতুন পুরাতনের যুথবদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে মডারেশন প্যানেলের কোন সমস্যা নেই।

সমস্যা হয় অন্য জায়গায়। মাঝে মাঝে কিছু পোষ্ট ভুলে নির্বাচিত হয় না, নজর দেয়া হয় না। ধরুন ভাইয়া আপনার মোট পোষ্ট সংখ্যা ২০ টি। ২০ টি পোষ্টের মধ্যে আপনার ১৪ টি পোষ্ট নির্বাচিত হয়েছে, বাকি ছয়টি পোষ্টের মধ্যে দুইটি নির্বাচিত হয় নি, কোন ভুলের কারনে আর বাকি চারটি নির্বাচিত হবার মত কন্টেন্ট মনে করেন নি মডারেশন টিম। এখন আপনি কিন্তু আমাকে ১৪ টি পোষ্টে নির্বাচিত করার জন্য ধন্যবাদ জানাবেন না। আপনি বলবেন না- হ্যাঁ অধিকাংশ সময়ে আপনি সঠিকভাবে কাজ করেছেন। আপনি বরং ঐ ৪ টি পোষ্ট নিয়ে কথা বলবেন, বিশেষ করে ২ টি পোষ্ট যা নির্বাচিত হয় নি।

এটা দোষের কিছু না। কষ্ট করে যে কোন লেখা পোষ্ট নির্বাচিত হওয়ার আশা একজন ব্লগার করতেই পারে। তাই অভিযোগ, অভিমান ইত্যাদি। এমন কিছু হলে - আমরা সাথে সাথে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করি। এছাড়া তো কিছু করনীয় নেই।

আপনি ব্লগার হিসেবে যে কোন সময়ে যে কোন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন। অভিযোগ তো করা হয় যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য। ফলে আপনার বা আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত - সমস্যার গ্রহনযোগ্য সমাধান নিয়ে। এটা করতে পারলে তো আর কোন কথা থাকে না।



১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৯

জেন রসি বলেছেন: আমার পোস্ট যদি বিশটা হয় তবে সেই বিশটা পোস্টই নির্বাচিত পাতায় যেতে হবে। একটা কম হলেও আপনি খারাপ এবং অদক্ষ মডু। B-)

আসলে নির্বাচিত পোস্ট এবং অনির্বাচিত পোস্টের ভেতর একটা তুলনামূলক কম্পেয়ার করলেই কিন্তু অনেক সময় কিছু ব্যাপার বুঝে ফেলা যায়। ধরুন ব্লগারের নাম ভুলে যদি মাঝেমাঝে দুজায়গার এমন দুটি পোস্ট নিয়ে কম্পেয়ার করা হয় তখন খুব স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের কিছু ত্রুটি চোখে পড়ে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় একই কোয়ালিটির জুতা সুপারমার্কেটে বিক্রি হয় ৩০০০ টাকায়, ফুটপাতে মূলামুলি করলে হয় ৫০০।

এই আরকি।

৯৮| ১২ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ব্লগারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হলে পয়েন্ট বৃদ্ধি হয় । অভিযোগ কে করে ??? কত পয়েন্ট হলে সেফ ব্লগার স্ট্যাটাস হারাতে হয় সেই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকা উচিত ।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১০

জেন রসি বলেছেন: আবার জিগায়! স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই। ;)

৯৯| ১২ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩০

জাফরুল মবীন বলেছেন: বর্তমানে ধৈর্য্য ও জ্ঞানপিপাসা দুটোই প্রকটভাবে নিম্নমুখি।টেকনিক, টেম্পারমেন্ট, দক্ষতা বৃদ্ধি ও আভিজাত্যের জন্য টেস্ট ম্যাচ বিশেষায়িত। কিন্তু টি-টুয়েন্টির জোয়ারে আজ টেস্ট ম্যাচ অপাংক্তেয়।আমার কাছে ব্লগকে সেরকম টেস্ট ম্যাচ ফিল্ড মনে হয়।সময়ের নিয়তিতে টেস্ট ফিল্ডে টি-টুয়েন্টি খেলা বেশি চলছে ।অভিজ্ঞ ও জাত টেস্ট প্লেয়ারেরা হয়ত বিরক্ত কিংবা অপাংক্তেয় ভেবে খেলা থেকে অবসরে চলে যাওয়াকেই স্বস্তিদায়ক মনে করেছেন এবং করছেন।এ বিষয়ে প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গিকেই সম্মান জানাই।এটা সময়ের চাহিদা।নিম্ন আয়ের দেশ থেকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাচ্ছি।এসময় সমাজে যে বিশৃংখলা দেখা যায় তাই দেখা যাচ্ছে।যেহেতু ব্লগ কর্তৃপক্ষ ব্লগ বন্ধ করার কোন অভিপ্রায় দেখাননি সুতরাং ব্লগ চলতে থাকবে ইং শায়া আল্লাহ।মাঝে মাঝে অবসরে যাওয়া বিখ্যাত টেস্ট প্লেয়ারেরা ব্লগ ফিল্ডে এসে অসাধারণ কিছু কারিশমা দেখিয়ে বলবে 'তোমরা কিছুই জানো না, আমাদের সময়টা ছিলো স্বর্ণযুগ!'।আর ফিল্ড মাতিয়ে রাখা লক্ষী ছানাপোনারা কেউ কেউ বিস্ময়ে সে কথা অনুভবের চেষ্টা করবে।আবার কেউ কেউ হয়ত খেদোক্তিতে বলবে 'আইছে পন্ডিত একটা!' ব্লগীয় জীবনের এই চক্রকে স্বাভাবিক হিসাবেই দেখছি।এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত।আমি স্বল্প জ্ঞানী মানুষ; আমার ভাবনা ভুলও হতে পারে।ব্লগ মাতিয়ে রাখুক ব্লগবাজরা এ শুভকামনা রইলো সবার জন্য।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৬

জেন রসি বলেছেন: আমি স্বল্প জ্ঞানী মানুষ; আমার ভাবনা ভুলও হতে পারে।ব্লগ মাতিয়ে রাখুক ব্লগবাজরা এ শুভকামনা রইলো সবার জন্য

এটা কি বিনয় নাকি সত্য? যদি সত্য হয় তবে বলব" আইছে পণ্ডিত একটা" আর যদি বিনয় হয় তবে বলব ব্লগ মাতিয়ে রাখুক ব্লগবাজরা। আপনার কাছ থেকেও ব্লগ সমৃদ্ধ হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে আশা রাখছি জাফরুল ভাই।

১০০| ১২ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



পুরোনো বিষয় নিয়ে নতুন করে আলোচনা জমে উঠেছে। সুলেখক জেন রসিকে অভিনন্দন!

পোস্টের চেয়ে মন্তব্য বড় - ভাইলোকেরা এই মন্তব্যগুলো নিয়ে আলাদা পোস্ট দিলে ভালো হতো না?
তাহলে কিছু পোস্ট বাড়তো এবং জাতি আবারও স্টার ব্লগারদেরকে প্রথম পৃষ্ঠায় দেখতে পেতো?

বলছিলাম যে, 'বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার' একটি বাংলা প্রবাদ। অবধারিতভাবে এটি বাঙালি সমাজের একান্ত নিজের ঐতিহ্য। এরকম সমাজে এতো লম্বা লম্বা বিতর্ক কি সত্যিই কোন পরিবর্তন আনে?
সামু ছিলো এবং এখনও আছে। আগের মতো এখনও লেখা যায়।
'সবই' তো আগের মতো আছে। সবই! - আর কী চাই?


করোনাকালে সবার বাড়ি থাকা উপভোগ্য হয়ে উঠুক।
সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৫

জেন রসি বলেছেন: সুলেখক বলায় বিশেষভাবে আনন্দিত হলাম। B-)

পোস্টের চেয়ে মন্তব্য বড় - ভাইলোকেরা এই মন্তব্যগুলো নিয়ে আলাদা পোস্ট দিলে ভালো হতো না?
তাহলে কিছু পোস্ট বাড়তো এবং জাতি আবারও স্টার ব্লগারদেরকে প্রথম পৃষ্ঠায় দেখতে পেতো?


পোস্ট যদি বালু হয়, তবে মন্তব্যগুলো হচ্ছে সূর্য।
তবে এখানে বালুর চেয়ে সূর্যই বেশী গরম আছে। ;)

কিছু পোস্ট আসবে বলে আশা করছি।

বলছিলাম যে, 'বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার' একটি বাংলা প্রবাদ। অবধারিতভাবে এটি বাঙালি সমাজের একান্ত নিজের ঐতিহ্য। এরকম সমাজে এতো লম্বা লম্বা বিতর্ক কি সত্যিই কোন পরিবর্তন আনে?

লম্বা মানুষের মত লম্বা বিতর্কের বুদ্ধিও হাঁটুতে চলে যায় নাকি এমন প্রশ্নের উত্তর আসলে আমার জানা নেই। :P

ধন্যবাদ মইনুল ভাই। আপনার জন্যও শুভকামনা।

১০১| ১২ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একেকটা কমেন্ট একেকটা পোস্টের সমান। এই লকডাউন পিরিয়ডে যাদের কাজকাম নাই তারা এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। আমি কিছু কিছু পড়েছি। প্লিজ কিছু মনে করবেন না কেউ, এখন ঘুরে-ফিরে একই আলোচনা চলে আসছে। এত দীর্ঘ আলোচনা থেকে সারাংশ বের করে সেই অনুযায়ী গঠনমূলক কিছু যদি করতে পারেন ব্লগ কর্তৃপক্ষ, তাহলেই ভালো।

আমার এতসব কমেন্টের মধ্যে যে কমেন্টটি ভালো লেগেছে, তা ফেইসবুক থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে নীচে দিলাম।


আমিও ১২ বছর ধরে ব্লগে আছি। সেই জন্মলগ্ন থেকেই এ ধরনের আলোচনা দেখে আসছি। আলোচনা খারাপ না, ক্যাচালও খারাপ না, অনেকটা চানাচুরের মতোই, তবে, সেই ক্যাচাল থেকে যদি নতুন কিছু উঠে আসে, সেটা খুব ভালো।

ব্লগের টেকনিক্যাল কিছু লিমিটেশন আছে, যেমন মোবাইল দিয়ে চালানো যায় না, ইত্যাদি। এটা অ্যাকসেপ্ট করে নিয়েছি। অথোরিটি এটা ঠিক করতে পারলে ভালো, না ঠিক করতে পারলে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন, এটা আশা করতে থাকবো।

এর বাইরে, ব্লগ নিয়ে অনেকের মধ্যে যে হতাশা আছে, আমি তার ১৮০ ডিগ্রি উলটো দিকে। ব্লগ এখন জমজমাট। আলোচনা তুঙ্গে। এ ব্লগে কত ব্রিলিয়ান্ট ব্লগার আছেন, এ পোস্টের কমেন্ট, রিপ্লাই ও পালটা কমেন্টগুলো থেকেই তা আন্দাজ করা যায়। ব্লগ আগের মতো নাই, ভালো পোস্ট আসে না, ইত্যাদি আলোচনা খুবই হাস্যকর লাগে আমার কাছে।

আমার নিজের কমেন্টও বড়ো হয়ে যাচ্ছে। বড়ো কমেন্ট ঝুলে যায়, তাই ক্ষান্ত হচ্ছি, যা বলার এখানে ১৬ নাম্বার কমেন্টে অলরেডি বলে ফেলেছি

শুভেচ্ছা জেন রসি ভাই।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৪১

জেন রসি বলেছেন: একেকটা কমেন্ট একেকটা পোস্টের সমান। এই লকডাউন পিরিয়ডে যাদের কাজকাম নাই তারা এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। আমি কিছু কিছু পড়েছি। প্লিজ কিছু মনে করবেন না কেউ, এখন ঘুরে-ফিরে একই আলোচনা চলে আসছে। এত দীর্ঘ আলোচনা থেকে সারাংশ বের করে সেই অনুযায়ী গঠনমূলক কিছু যদি করতে পারেন ব্লগ কর্তৃপক্ষ, তাহলেই ভালো

হ্যাঁ।এই পোস্ট দেওয়ার পর থেকে বাকি সব কাম কাজ লাটে উঠে গেছে। ;) সারাংশ বের করাটাই মূল উদ্দেশ্য।বাকিটা ব্লগ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।

আমার এতসব কমেন্টের মধ্যে যে কমেন্টটি ভালো লেগেছে, তা ফেইসবুক থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে নীচে দিলাম।

ব্লগার গোফরান তার ভাষ্য মতে জাত আর স্ট্যান্ডার্ড ছেড়ে ঠিক ফেসবুকে চলে গেল কেন ঠিক বুঝলাম না। :P

এর বাইরে, ব্লগ নিয়ে অনেকের মধ্যে যে হতাশা আছে, আমি তার ১৮০ ডিগ্রি উলটো দিকে। ব্লগ এখন জমজমাট। আলোচনা তুঙ্গে। এ ব্লগে কত ব্রিলিয়ান্ট ব্লগার আছেন, এ পোস্টের কমেন্ট, রিপ্লাই ও পালটা কমেন্টগুলো থেকেই তা আন্দাজ করা যায়। ব্লগ আগের মতো নাই, ভালো পোস্ট আসে না, ইত্যাদি আলোচনা খুবই হাস্যকর লাগে আমার কাছে।

কিছুটা দ্বিমত পোষণ করেই বলছি কিছু ফ্যাক্ট এবং তথ্য কিন্তু ভিন্ন কথাই বলে।

ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই। শুভেচ্ছা।

১০২| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২১

শায়মা বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
@মাহমুদ০০৭
মাহমুদ ভাই, আপনি নিশ্চয় জানেন আমাদের মডারেশন টিম খুবই ছোট। আমাদের সীমিত লোকবল নিয়ে কাজ করতে হয়। এটা একদম নতুন কোন তথ্য নয়, এটা বেশ পুরানো একটি তথ্য যা প্রায়ই ব্লগে বিভিন্ন সময় বলা হয়ে থাকে। হতে পারে আপনি দীর্ঘদিন পর ব্লগে আসায় ব্লগ সম্পর্কিত সাধারন তথ্যগুলো ভুলে গেছেন। তাই হয়ত আবার জানতে চাইছেন।


মডুভাইয়া বলেছেন "মডারেশন টিম খুবই ছোট"। এটাই আসল প্রবলেম আমার মনে হয়? কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে, কেনো ছোট? এই টিম চাইলেই অনেক বড় না হলেও একটু হলেও তো করা যেত। অবৈতনিক এবং স্বেচ্ছাসেবী মডারেটর থাকতে পারতো এবং অতীতে তা ছিলোও। আমি খুব ভালো করেই সেটা জানি।


কাভা ভাইয়া বলেছেন,
আপনার জানার সুবিধার্থে বলছি, অতীতে একটা সময় দায়িত্বশীল অল্প কয়েকজন ব্লগারকে সম্পূর্ন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিনা পারিশ্রমিকে পোষ্ট নির্বাচনের মত একটা ছোট্ট দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে আরো কিছু দায়িত্বশীল ব্লগারকে সাময়িকভাবে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছিলো।২০১৩ সাল পরবর্তী সময়ে সামহোয়্যারইন ব্লগের উপর বেশ ঝড় আসে। সেই সময় কয়েকবার ব্লগ সাইটটি হ্যাক করার চেষ্টা করা হয় এবং ব্লগে বট এটার্ক চালানো হয়। মুলত এই ঘটনা সহ অন্যান্য আরো বেশ কিছু সমস্যার কারনে সিলেক্টর সুবিধাটি বাতিল করা হয়।


কাভা ভাইয়া মডারেটর হবার পর এই দায়িত্বশীল ব্লগারেরা যারা এই কাজে যুক্ত হয়েছিলো তারা কারা কারা আমিও একটু হলেও জানি। তবে ভাইয়ার ভাষ্যে আজ বুঝলাম সেই দায়িত্বশীল ব্লগারেরা খুবই অদায়িত্বশীল আচরণ করেছিলো। ভাইয়া সেটা জানেন এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষও জানেন। তবে সেই দায়িত্বশীল ব্লগার সিলেক্টরদেরকে যারা সিলেক্ট করেছিলো সেটাও আরেক অদায়ীত্বশীলতার মধ্যে পড়ে। এই দায়ীত্বশীল ব্লগারেরা তার আগেও ছিলো। ঐ অদায়ীত্বশীল ব্লগার সিলেক্টর আসার পরে অদায়িত্বশীলতা কাকে বলে তা যখন কর্তৃপক্ষ জানতে ও বুঝতে পারেন তখন তাদেরকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।

তারপর এই ছোট মডারেশন টিম আরও ছোট হয়ে আসে। এইখানে কাভা ভাইয়া ছাড়া আর কোনো দায়িত্বশীল সিলেক্টর বর্তমানে নেই বলেই আমার মনে হয়। কেনো মনে হয় আমি সেটা বলছি।

প্রথম প্রথম যখন নির্বাচিত পাতার আবির্ভাব ঘটে আমার মত একজনএডিকটেড ব্লগারের সেটা নিয়ে স্বভাবতই এক্সাইটেড হয়ে পড়বার কথা ছিলো এবং আমিও ছিলাম ঠিক তেমনই। আমার লেখা নির্বাচিততে না গেলেই আমি এইখানে সেইখানে সেই ক্ষোভ প্রকাশ করতাম। বা পুষে রাখতাম। তবুও সেই মডু ভাইয়ার মতে অদায়িত্বশীল ব্লগারেরা নিয়মিত অদায়িত্বশীল আচরন করলেও পোস্টগুলো নিয়মিত এট লিস্ট দেখতো, আপডেট করতো মাঝে মাঝে পারশিয়ালটিও করত হয়ত। সেটা বোঝা যেত নিয়মিত আপডেট দেখলেই আবার মাঝে মাঝে আমার লেখা না দেখলেও :P । নিয়মিত সেই আপডেটে আমার লেখা না দেখলে আমার রাগ লাগতো। তখন আমি বড়ই স্বৈরাচারী ছিলাম।

কিন্তু কথায় আছে অল্প শোকে কাতর আর অধিক শোকে পাথর। এরপর দিনে দিনে নির্বাচিত পাতা নিয়ে যেই শোক দেখলাম তাতে আমি অধিক শোকে পাথর হয়ে গেলাম।
দিনের পর দিন আপডেট নেই কোনো। হঠাৎ কাভাভাইয়া মানে মডু ভাইয়াকে ব্লগার লিস্টে দেখি তারপরপরই ধড়মড় করে প্রথম দুই পাতা থেকে কয়েকটি পোস্ট ধপাধপ নির্বাচিত পাতাতে পড়তে থাকে। তা আউল হোক আর ফাউল হোক আর ভুল ভাল হোক বা নকল পোস্টের কপি পেস্ট হোক। সেটা দেখে অধিক শোকে পাথর হতে হতে আমি পাথরের স্টাচু হয়ে গেছি। :)

এই কারণেই বুদ্ধিমতী আমি (আমি বলি না লোকে বলে) বুঝে নিলাম মডু ভাইয়া এবং সিলেক্টর ওয়ান এন্ড অনলী আমার প্রিয় কাভা ভাইয়া। আমি তাতে একটুও রাগ করিনি। কারণ বুঝেছি ভাইয়া বিজি থাকেন। ভেবেছি নিশ্চয় ব্লগের এই পোস্ট সিলেকশন থেকেও কঠিন কঠিন কাজ থাকে তার, কাজেই সেই সব কাজ থেকে ইজি হলেই ভাইয়া এই সিলেক্টিং এর কাজটা দেখতে সময় পান। এরপর কি হলো ?আমার মনে উদয় হলো ( মনে হয় অনেকের মনেই উদয় হয়েছিলো এই পোস্টের প্রবর্তক জিনি ভাইয়া, মাহমুদভাইয়া এমন কেউ কেউ ছাড়া) দূর এই নির্বাচিত পাতা যখন অনঢ় অটল বটবৃক্ষ হয়ে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকে এবং ভাইয়া ইজি হলেই ধড়মড় করে ঝড়ে আম পড়ার মত কয়েকটা পোস্ট ধপাধপ পড়ে আবার অনঢ় অটল অশত্থ বৃক্ষ হয়ে থাকে। তখন আমি এই নির্বাচিত পাতা দেখার বা বুঝার বা তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করার ইচ্ছাটাকেই হারিয়ে ফেললাম!!!


আর মানুষ যখন ইচ্ছা হারায় তখন সে হয় হতাশায় ভুগে না হয় ড্যাম কেয়ার হয়ে যায়। আমি এমনইতেই মনে হয় একটু ড্যাম কেয়ার ছিলাম পরে একেবারেই ড্যাম কেয়ার হয়ে ঐ পাতা আর আজকাল দেখিওনা । কেনো দেখবো বলো? দিনের পর দিন গিয়ে যদি দেখি সেই সাত দিন আগের পোস্টের নট নড়ন চড়ন তখন শুধু শুধু আমার মূল্যবান সময় নষ্টের কি কারণ!!! :(

এই পোস্ট স্টিকি হবার পরে ঠিকই পোস্ট ধড়মড় করে না পড়ে ঠিক ঠিক আপডেট হচ্ছে কারণ মডুভাইয়াকে এখন ২৪ আওয়ারস ব্লগার লিস্টে দেখা যাচ্ছে। ভেরী গুড ভাইয়ামনি!! :) :) :) আবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।


ভাইয়া বলেছেন দুইটা ইমেইলের কথা সেখানে ইমেইল করে মানুষজন তার কমপ্লেইন জানাতে পারেন। অবশ্যই পারেন কিন্তু তার আগে কি এইসব সমস্যাগুলো নিয়ে ভেবে দেখা যায় না?


যাইহোক একটা কমেন্টে ভাইয়া বলেছেন আখেনাটেনভাইয়া বা আরও এমন কারো কারো পোস্ট নির্বাচক ভাইয়ার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে কারণ তা ছুটির দিনে বা ঈদের দিনে লেখা হয়েছিলো। ব্লগ ফ্লাডিং এর দিনেও একই উত্তর থাকে ভাইয়ার। কাজেই এইখানে আমার একটা স্যলুশন আছে।

যারা যারা নির্বাচিত পাতাতে যেতে চাও তারা প্লিজ নেভার রাইট এনিথিং অন ফ্রাইডে এন্ড সাটারডে। :) :) :)

আর যারা যারা ফ্লাড করতে চায় তারা তো ভাইয়ার থেকে জেনেই গেলে ভাইয়া এই সব দিনে একেবারেই থাকেন না কাজেই তারা এখন কি করবা বুঝে নাও আমি খারাপ কাজে উৎসাহিত করতে পারবোনা বাবা। :(

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৭

জেন রসি বলেছেন: মডুভাইয়া বলেছেন "মডারেশন টিম খুবই ছোট"। এটাই আসল প্রবলেম আমার মনে হয়? কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে, কেনো ছোট? এই টিম চাইলেই অনেক বড় না হলেও একটু হলেও তো করা যেত। অবৈতনিক এবং স্বেচ্ছাসেবী মডারেটর থাকতে পারতো এবং অতীতে তা ছিলোও। আমি খুব ভালো করেই সেটা জানি।

ছোট গাড়ির পেছনে লেখা থাকে, আমি ছোট আমাকে মারবেন না। মোডারেশন প্যানেলও এমন একটা ব্যানার করতে পারে। আমরা ছোট, আমাদের বিরুদ্ধে কমকম অভিযোগ তুলুন। :P

কাভা ভাইয়া মডারেটর হবার পর এই দায়িত্বশীল ব্লগারেরা যারা এই কাজে যুক্ত হয়েছিলো তারা কারা কারা আমিও একটু হলেও জানি। তবে ভাইয়ার ভাষ্যে আজ বুঝলাম সেই দায়িত্বশীল ব্লগারেরা খুবই অদায়িত্বশীল আচরণ করেছিলো। ভাইয়া সেটা জানেন এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষও জানেন। তবে সেই দায়িত্বশীল ব্লগার সিলেক্টরদেরকে যারা সিলেক্ট করেছিলো সেটাও আরেক অদায়ীত্বশীলতার মধ্যে পড়ে। এই দায়ীত্বশীল ব্লগারেরা তার আগেও ছিলো। ঐ অদায়ীত্বশীল ব্লগার সিলেক্টর আসার পরে অদায়িত্বশীলতা কাকে বলে তা যখন কর্তৃপক্ষ জানতে ও বুঝতে পারেন তখন তাদেরকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।


ওরা কারা? ওরা কি করেছিল? লঘুপাপে গুরুদণ্ড হয়েছিল নাকি গুরু পাপে লঘুদণ্ড হয়েছিল? জাতি আজ জানতে চায়। :P

আর মানুষ যখন ইচ্ছা হারায় তখন সে হয় হতাশায় ভুগে না হয় ড্যাম কেয়ার হয়ে যায়। আমি এমনইতেই মনে হয় একটু ড্যাম কেয়ার ছিলাম পরে একেবারেই ড্যাম কেয়ার হয়ে ঐ পাতা আর আজকাল দেখিওনা । কেনো দেখবো বলো? দিনের পর দিন গিয়ে যদি দেখি সেই সাত দিন আগের পোস্টের নট নড়ন চড়ন তখন শুধু শুধু আমার মূল্যবান সময় নষ্টের কি কারণ!!! :(

অনাচার। অনিয়ম। ;) তবে আমি ঠিক হতাশও নই। আবার ড্যাম কেয়ারও নই এ ব্যাপারে। আমার উদ্দেশ্য ছিল কিছু বিষয় নিয়ে কে কি ভাবছে তা জানা। সেখান থেকে যদি ভালো গঠনমূলক কিছু দাড়ায় ক্ষতি কি?

যারা যারা নির্বাচিত পাতাতে যেতে চাও তারা প্লিজ নেভার রাইট এনিথিং অন ফ্রাইডে এন্ড সাটারডে

অথবা সব লেখা শুক্র শনিবারেই লেখা হোক। ব্লগাররা দুদিন লিখবে। মডুরা পাঁচদিন ধরে তা নির্বাচিত করবেন। :P

১০৩| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

আমি সাজিদ বলেছেন: অনেক শ্রদ্ধেয় ব্লগাররা মন্তব্য করলেন। উদাসী ভাই, মাহমুদ ভাই আর শায়মা আপার মতামতের সাথে আমি কিছুটা একমত৷ সোনাবীজ ভাই উনার বারো বছরের ব্লগ জীবনে এই ধরনের পোস্ট অনেকগুলোই দেখেছেন বললেন, কমেন্টটা অল্প কথায় অনেক কিছু বুঝিয়ে দিলো। জেন রেসি ভাইকে ধন্যবাদ এই বিষয়টির অবতারণা করার জন্য। কয়েকদিন ধরে সবার মতামত পড়ে যাচ্ছি।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৯

জেন রসি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১০৪| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৭

শায়মা বলেছেন:

প্রসঙ্গঃ মোডারেটর

সামুর ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে কয়েকজন ব্লগার বলেন সামু নিজ প্রয়োজনেই সবসময় দলবাজি সিন্ডিকেটবাজিকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছে। তারা নিজেদের প্রয়োজনে কাউকে নায়ক বানিয়েছে আবার ভিলেন বানিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটাই গেম অব থ্রোনসের মত। এবং সব ক্যাচালের সাথেই তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। একজন সরাসরি বলেন মডুদের তেল দেওয়া, সিন্ডিকেটের নামে গং বানানো, কনটেন্টের চেয়ে ফেস ভ্যালুকে গুরুত্ব দেওয়া এসব পারষ্পরিক সম্পর্কযুক্ত ব্যাপার ব্লগে। ফলে মান কমে গেছে।



এই প্রসঙ্গে আমার খুব ভালো অবজার্ভেশন নাই। কারণ প্রত্যক্ষভাবে আমি যেহেতু দেখিনি কাজেই তলে তলে ইন্ধন থাকলেও ডোন্টো কেয়ার বা মাথা ব্যাথা নেই। :) কিন্তু একটা জিনিস আমাকে স্বীকার করতেই হবে। নিক সংক্রান্ত বা আজে বাজে কমেন্ট বা আমার নিক নিয়ে বাজে নিক বানিয়ে আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টায় তৎক্ষনাৎ মডারেশন না দেখতে পেলেও অভিযোগ করা মাত্রই পজিটিভ ফল পেয়েছি। কাজেই মডারেশন আমার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আমাকে সব সময় সাহায্যই করেছে এবং আমিও ইমেইলের মাধ্যমেই গেছি। আর অভিযোগ আর একশনের মধ্যবর্তী সময়টুকু আমার অভিযোগের সত্যতা যাচাইএর সময় বলেই আমি ধরে নিয়েছি। আরও কড়া মডারেশন থাকলে হয়ত আমার অভিযোগের আগেই তা তাদের চোখে পড়ে যেত। সেটা হয়নি কিন্তু মডু ভাইয়ার ভাষায় মডারেশন টিম ছোট বিধায় এট লিস্ট অভিযোগের পরেও শুভ ফল পেয়ে আমি খুশি। অন্যান্যদের তা হয় কিনা বা সঠিক প্রক্রিয়ায় তারা যায় কিনা জানা নেই।

মোডারেটর প্রসঙ্গে আরো একটি বিষয় উঠে এসেছে। তা হচ্ছে ব্লগের উপর মোডারেটরের পারসোনাল চাওয়া পাওয়া কিংবা দক্ষতার কোন প্রভাব পরে কিনা? ধরা যাক একজন মোডারেটর কবিতা বুঝেনা। বা গল্প বুঝেনা। তার দক্ষতা নিবন্ধে। এখন সে মোডারেটর সাহিত্য বিষয়ক কনটেন্টগুলোকে কিভাবে জাজ করবে? বিষয়টি একজনের পক্ষে সম্ভবও না। কারন একজন মানুষ একসাথে সবকিছুতে দক্ষ হতে পারেনা। যেমন একটা পত্রিকার অর্তনীতির পাতা, খেলার পাতা, সাহিত্যের পাতা সব একজনই সম্পাদনা করলে ফলাফলও ভালো হবেনা। ব্লগে তাই হয়েছে।

হ্যাঁ এটা সত্য একজন সব কিছু একা বুঝবে না বা ধরে নিলাম একজনই মোটামুটি সব বুঝে তবুও তার পক্ষে একা ২৪ আওয়ারস এসব যাচাই বাছাই সম্ভব না। কাজেই একেক বিষয়ে এক এক জন দক্ষ সিলেক্টর থাকার প্রয়োজন এবং সেই নির্বাচক শুধু নির্বাচিত পাতাতেই না দরকারে সাধারণ পাতাতেই পোস্টটিকে ডিলিট করে দেবেন এবং তার কারণ জানাবেন দায়সারা গোছে না অন্তত ৩টি কারণ উল্লেখ করে যাতে কেউ ভুল করলেও পরবর্তীতে লেখার সময় সেই সব বিষয়গুলি ভেবে একজন উন্নত লেখকে পরিনত হবার সুযোগ পান। এই বিষয়ে কিছু ট্যাকটিসও সিলেক্টরকে জানতে হবে বা তাকেই শেখাতে হবে যেন লেখক তাকে স্বৈরাচারী বা উন্নাসিক না মনে করেন বরং একজন হেল্পফুল বন্ধুই ভাবেন। যা তাকে লেখার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে এবং এতে তার ব্যাক্তিগত ও সামাজিক উন্নতি হবে।

এক এক বিষয়ে এক এক জন সিলেক্টর হলে এক জনের উপরে চাপ কমে যায় এবং কাজটাও আনন্দময় হয়ে ওঠে। এবং একই সাথে সুন্দরভাবে সময় বন্টন করা যায়। যেমন আজ যদি একজন কবিতা সিলেক্টর থাকতো যে শুধু কবিতাগুলি সিলেক্ট করবে এবং কিছু কিছু চেকলিস্ট করবে।
১) কবিতাটা কপিপেস্ট কিনা ( যা এক ক্লিকেই বুঝা যায় গুগুল দুনিয়ায়)
২) আপত্তিকর কন্টেন্ট আছে কিনা ( তারও কিছু লিস্ট থাকতে পারে)
৩) বানান ও বাক্য ভুল কিনা ইত্যাদি এবং ইতাদি

তাহলে আমার মনে হয় আজ এই কপিপেস্ট কবিতার নির্বাচিত পাতায় স্থান আর মডুভাইয়া কবিতা বুঝে না অভিযোগ উঠতো না।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ২:০৮

জেন রসি বলেছেন: অভিযোগ করে অনেকেই পজিটিভ ফল পেয়েছেন। কোন সন্দেহ নেই এ ব্যাপারে। এখানে এ বিষয়ে আলোচনাটা হচ্ছে মূলত মোডারেশন প্যানেলকে কিভাবে আরো কার্যকারী করা যায় সে উদ্দেশ্য নিয়েই। আপনি যেমন সাজেশন দিলেন,

এক এক বিষয়ে এক এক জন সিলেক্টর হলে এক জনের উপরে চাপ কমে যায় এবং কাজটাও আনন্দময় হয়ে ওঠে। এবং একই সাথে সুন্দরভাবে সময় বন্টন করা যায়। যেমন আজ যদি একজন কবিতা সিলেক্টর থাকতো যে শুধু কবিতাগুলি সিলেক্ট করবে এবং কিছু কিছু চেকলিস্ট করবে।
১) কবিতাটা কপিপেস্ট কিনা ( যা এক ক্লিকেই বুঝা যায় গুগুল দুনিয়ায়)
২) আপত্তিকর কন্টেন্ট আছে কিনা ( তারও কিছু লিস্ট থাকতে পারে)
৩) বানান ও বাক্য ভুল কিনা ইত্যাদি এবং ইতাদি


ব্লগ অথরিটি ভেবে দেখতে পারে।

১০৫| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শায়মা আপা বলেছেন-
মডুভাইয়া কবিতা বুঝে না অভিযোগ উঠতো না।
আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মডুভাইয়া(মণি কি বলব ? ) নিজেও কবি। B-)
মডু ভাইয়ার আগে ত সুমন কর ভাই দেখি সব ফাস করে দিয়েছেন :-P

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২৭

জেন রসি বলেছেন: গোপন তথ্য ফাঁসের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ;)

১০৬| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

শায়মা বলেছেন: মাহমুদভাইয়া স্যরি!!!! :( বুঝে না মানে ভালো করে পড়ে না হবে মানে ভালো করে না পড়ে নির্বাচিত পাতায় দিয়ে দিয়েছে অভিযোগ করছো সেটা বলতে চেয়েছিলাম!! :) আর মনি বলবা না সেটা আমি বলবো শুধু!! X(

যাইহোক। ছুটির দিনে মডুভাইয়ারা থাকে না জেনেই দুষ্ট গরুরা ছুটে আসে। তাই নির্বাচিত পোস্টের জন্য লেখার আশা করে কেউ লিখলে সেটা যেমন কায্যকরী হবে না ঠিক তেমনি দুষ্টুভাইয়ারা মানে কুৎসিত মনের মানুষেরাও এখন ঢাক পিটিয়ে এ কথা বলায় পাগল হয়ে গিয়ে এখন নিশ্চিন্তে সাঁকো নাড়াতে নাড়াতে ভেঙ্গে ফেলার উপক্রম করেছে।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩১

জেন রসি বলেছেন: আর মনি বলবা না সেটা আমি বলবো শুধু!! X(

মনা বলা যাবে? :P

পরে গান লিখতে হবে আশা ছিল, পোস্টও ছিল। আজ আশা নেই, পোস্টও নেই। অথচ নির্বাচিত পাতা আছে। ;)

১০৭| ১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

মিরোরডডল বলেছেন: এতো দেখছি বিশাল আয়োজন । সামুতে আমি এতোটাই নতুন যে এ লেখা সম্পর্কে আমার কিছুই বলার নেই কিন্তু জানার আছে অনেক । পোষ্ট পড়লাম, সবার মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য পড়লাম । অনেক কিছু জানলাম । সামনে আরও জানবো হয়তোবা ।

আমি এখানে আসি অবসরে কিছু পড়ার জন্য । এর মাঝে আই মেট সো ম্যানি গুড সোল হিয়ার । ফ্রেন্ডলি এন্ড ডিসেন্ট পিপল যাদের সাথে কিছুটা ভালো সময় পার করি । অনেক সময় গ্লুমি ফীল করছি , ওকে সামুতে ঘুরে আসি, কিছু ফান পোষ্ট পড়লাম প্রিয় মুখদের সাথে দুটো কথা, দেন আই ফীল বেটার । বটম লাইন ইজ, আই লাইক দিজ প্লেস ।

জেসি আই ওয়ান্ট টু সে আ ম্যাসিভ থ্যাংকস টু ইউ ।
অনেক এফোর্ট দিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন ।
ভালো থাকবেন ।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৫৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ব্লগিং উপভোগ করুন। শুভ ব্লগিং।

জেন রসির শর্ট ভারশন জেসি? হা হা হা

১০৮| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রিয় মডু ভাই B-)
আপনি বলেছেন, আমার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আপনি ধরে নিতে চান মডারেশন টিমে আমি একাই কাজ করছি।
এই ক্ষেত্রে আমার বক্তব্য - যদি কেউ কোন বিষয়ে ধারনা করে কোন সিদ্ধান্তে আসতে চান, সেটা একান্তই তার নিজের ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাড়তি কিছু বলার সুযোগ নেই। তবে এটা অনস্বীকার্য যে, ব্যক্তিগত যে কোন ধারনার দায়ভার নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সমমনা ব্যক্তিদের জন্যই প্রযোজ্য।
উত্তর না পাইলে ধরে নেয়া ছাড়া উপায় কি?
মনে করি- সংখ্যাটি -x হাহাহ।
ভাই,এত লম্বা চওড়া ফর্দ না লিখে বলে দিলেই কিন্তু পারতেন।আমি ত ভাই সামুতে কে ট্যাকনিক্যাল কাজ করে,কে ঝাড়ু দেয়,কে বাজার কইরা দেয় এসব জানতে চাই নাই।
পোস্ট নির্বাচন কে বা কারা করে?কয়জন এবং তাদের নাম।সম্পাদক ও সংকলকের নাম পাঠক জানে না এইসব কোথাও হয় না।

ব্যক্তিগত যে কোন ধারনার দায়ভার নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সমমনা ব্যক্তিদের জন্যই প্রযোজ্য।- ব্যাখ্যা চাই। তারপর আলাপ শুরু হবে।
কোন মানদন্ডের ভিত্তিতে একজন মডারেটর নির্বাচিত হয়? তা কি ব্লগারদের কাছে পরিষ্কার কিনা? এ বিষয়ে পরিস্কার কোন চিত্র সাধারণ ব্লগারদের কাছে না থাকলে তাদের পক্ষে একজন মডারেটর সফল কি ব্যর্থ তা পলিসি অনুযায়ী বলা কি সম্ভব? যে নির্দিষ্ট একটি মানদন্ডের ভিত্তিতে একজন মডারেটর নির্বাচিত হয় তা না জানলে কোন ব্লগারের পক্ষে কি কোন মডারেটর তা যথাযথভাবে অনুসরণ করছে কিনা তা বলা সম্ভব?

আমার এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি যা বলেছেন তাতে ব্লগারদের জানতে চাওয়ার পরিসীমা কতটুকু তা পরিস্কার হয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করে প্রতিষ্ঠানকে কানা করে দিয়েছেন এরকম উদাহরণও দুনিয়ায় ভুরি ভুরি।এটাও সরল ঘটনা।
ব্লগে কারো সাথে আমার ব্যক্তি শত্রুতা নেই। ফলে কারো পোষ্ট নির্বাচিত না করার কোন কারন নেই। - কথা এইটা না। আপনার বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত লেখা,ব্যক্তি না।আপনার কথা থেকে এটা স্পষ্ট, ব্লগের যে অংশটুকু ঘিরে আপনাদের সাথে ব্লগারদের মিথস্ক্রিয়া ঘটে তা নিয়ে ব্লগাররা প্রশ্ন করতে পারবে।সে অংশটুকুর যথার্থ একটা মানদণ্ড ব্লগারদের সামনে অবশ্যই স্পষ্ট হওয়া দরকার।যেমন ধরুণ পোষ্ট নির্বাচনের জন্য কিছু মানদণ্ড,অরুচিকর পোষ্টের ফ্লাডিং চলতে থাকার কত ঘন্টার মধ্যে ব্লগে মডুকে কোন একশন নিতে দেখা না গেলে আমরা তাকে এ বিষয়ে সফল বা ব্যর্থ বলতে পারব এরকম কিছু খুচরো বিষয়ের মানদণ্ড।
আপনি বলেছেন- কাজের তুলনায় খুবই ছোট টিম। উত্তরে আমি সংকট বা ঘাটতি এবং সুবিচারের কথার বলেছি।অদক্ষতার কথা কিন্তু বলিনি। আপনি কিন্তু আবারো শব্দশেলে আমাকে আহত করে ফেললেন :D
পুরান বিষয় নতুন করে ঊঠেছে।হ্যা- কিন্তু কেন ঊঠছে,কেন বারবার ঊঠে,তা কি নিয়ে ব্লগ অথরিটির কোন ভাবনাচিন্তা আছে কিনা তা জানার জন্য এসবের অবতারণা।
আপনার মন্তব্যে বারবার উঠে এসেছে- আপনার ধারণামোতাবেক এই পোষ্টের মুল উদ্দেশ্য আপনি।ইনসিকিওর ফিল করবেন না,প্লিজ।আপনি সামুর অফিসিয়াল গ্রুপে করা কমেন্ট এবং এখানে যা যা কমেন্ট করেছি সব পড়ে দেখুন।সেসব কুসুম না ডিম
তা আরেকবার রিয়েলাইজ করুন।বিশ্বাস করুন- কাওরানবাজারে পটলের কেজি কত এ টাইপ আলোচনায় যদি আপনি নিরাপদ বোধ করতেন,তাই করতাম।
মডারেশন নিয়ে জাস্ট দুইটা কমেন্ট করেছি।তার মধ্যে একটা স্পেসিফিকলি আপনার মন্তব্যের জবাবে।শুরু থেকেই অথোরিটির বরাবরে প্রশ্ন রেখেছি। যার উত্তর প্যানালের যে কেউ দিতে পারত।অথোরিটির পক্ষ হয়ে আপনি আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে এসেছেন।
এনিওয়ে,সবকিছুর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক ধৈর্যের সাথে আপনি উত্তর দিয়েছেন। আপনার অফিসিয়াল পলিসিজনিত বাধ্যবাধকতাও অনুভব করছি।ফলে,আপনাকে আর বিরক্ত করছি না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে এই পোষ্টে ব্লগারদের আলোচিতকৃত কিছু প্রস্তা্র ও ভাবনা জড়ো করে একটি আলাদা পোষ্ট করতে যাচ্ছি। বাকিটা তাদের বিবেচনা।
আল্লাহ হাফেয।
ভালবাসা রইল।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩৬

জেন রসি বলেছেন: তা আরেকবার রিয়েলাইজ করুন।বিশ্বাস করুন- কাওরানবাজারে পটলের কেজি কত এ টাইপ আলোচনায় যদি আপনি নিরাপদ বোধ করতেন,তাই করতাম।

হা হা হা.... বাই দ্যা ওয়ে কাওরানবাজারে পটলের কেজি কত? ;)

১০৯| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৩

তাশমিন নূর বলেছেন: চমৎকার গুছানো একটা পোস্ট। আমি সার্বিক এবং সামগ্রিকভাবে কিছুই বলব না। ব্লগে আনাগোনা কমিয়ে দেয়ার আমার ব্যক্তিগত কারণ বলতে পারি। ব্লগে যখন প্রথম আসি, আমার প্রধান কনসার্ন ছিল গল্প-কবিতা পড়া। পাশাপাশি, জ্ঞানমূলক বা গবেষণামূলক লেখাগুলোয় চোখ বুলানো। আমি নিজে আইডি খোলার আগেই ব্লগ পড়তাম অল্প-বিস্তর, সেটাও খুব সহজ ছিল না। কিন্ত, কনটেন্টের আকর্ষণেই পড়তাম। চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে একটা চমৎকার ব্লগের কথা আমার এখনো মনে পড়ে। কিন্তু এক সময় মনে হলো, এরকম ইনসাইটসমৃদ্ধ লেখা খুব একটা দেখা যায় না আর। মানহীন কবিতার প্রকোপ বেড়ে গেল। ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম। ব্লগে গল্প পোস্ট করতে গিয়ে দেখলাম, দীর্ঘ গল্পে মন্তব্য কম। মানে, দীর্ঘ গল্প পড়ার লোক কমে গেছে। কিন্তু আমি তো ব্লগের জন্য আমার শব্দ সংখ্যা কম্প্রোমাইজ করব না! এভাবে নিজের লেখা পোস্ট করার আগ্রহও কমে গেল। তাছাড়া, ফেসবুকে লেখকদের সঙ্গে ইনবক্সে ভাবনা বিনিময় অনেক সহজ হলো। ফলে, সেখানে আলাপচারিতা বাড়ল। কিন্তু দীর্ঘ লেখা কি ফেযবুকেও মানুষ পড়ে? না। খুব একটা না। কিন্তু দীর্ঘ লেখা তেমন লেখাও হয় না এখন। কারণ? কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ততা। যা কিছু লেখা হচ্ছে, সেটুকুও বই প্রকাশ করব বলে ব্লগ সাম্রাজ্যে অপ্রকাশ্য রাখছি। ফলে, ব্লগের সঙ্গে যোগাযোগ শিথিল হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই একই রকম কারণ আমার মতো অনেক ব্লগারেরই আছে। তবে আমি মনে করি, কনটেন্ট মেরিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এমন অনেককেই জানি, যারা নিয়ম করে রোর বাংলার কনটেন্ট পড়ার জন্য রোর বাংলায় ঢুঁ মারেন।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪২

জেন রসি বলেছেন: যা কিছু লেখা হচ্ছে, সেটুকুও বই প্রকাশ করব বলে ব্লগ সাম্রাজ্যে অপ্রকাশ্য রাখছি।

বই প্রকাশ করুন। অপেক্ষায় থাকলাম।

ব্লগে গল্প পোস্ট করতে গিয়ে দেখলাম, দীর্ঘ গল্পে মন্তব্য কম। মানে, দীর্ঘ গল্প পড়ার লোক কমে গেছে। কিন্তু আমি তো ব্লগের জন্য আমার শব্দ সংখ্যা কম্প্রোমাইজ করব না!

তা করার কোন যৌক্তিক কারনও নেই আসলে।

আমি এমন অনেককেই জানি, যারা নিয়ম করে রোর বাংলার কনটেন্ট পড়ার জন্য রোর বাংলায় ঢুঁ মারেন

একমত।

নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১১০| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪০

নাসরীন খান বলেছেন: তাশমিন নূর যতার্থই বলেছেন। তাছাড়া

ফেসবুকে একে অপরের সাথে ঘনিস্ট বেশি। তাছাড়া এখানে ঢুকতে গেলে আলাদা ভাবে হতে হয়।
ধর্ম ভিত্তিক পোষ্ট থাকবে,তবে নাস্তিকতার বাহাদূরিতে কাউকে বাজে মন্তব্যকারীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত থাকা জরুরী।
তেমনি হিন্দু ধর্মের একজন মানুষকে কটাক্ষ করা থেকে বিরত থাকবেন।
ফেসবুক বা গ্রুপ গুলোতে এগুলো হয় না।
আপনি কোন ধর্ম মানছেন না !এটা কোন বাহাদূরি নয়। সব ধর্মকে সম্মান দিতে পারা মহানুভবতা।এরাই মুক্তমনা। ভাল না লাগলে মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে শিখুন।
সামু দীর্ঘ পথচলা সার্থক হোক।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৪

জেন রসি বলেছেন: নোটেড। ধন্যবাদ আপনাকে।

১১১| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা ভাই ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য। :D

আমি নিজেও জানি ছোট্ট একটি মোডারেশন টিম নিয়ে সুচারুভাবে বিরাট এ দ্বায়িত্ব পালন দুরুহ বটে! সেখানে আপনার প্রশংসা না করে পারা যায় না।

কিন্তু নানান ঝক্কি-ঝামেলার মাঝেও যথেস্ট পরিমাণ সময় ব্যয় করে একটি লেখা পোস্ট করে তা সঠিকভাবে মূল্যায়িত না হলে এক ধরনের হতাশা কাজ করে। লেখার আর আগ্রহ থাকে না। আর আমার একটু বেশিই হয়েছে কারণ আমার এটিই প্রথম অভিযোগ ছিল না। এর আগেও একবার আপনি দু:খ প্রকাশ করেছিলেন আমার অনেকগুলো লেখা মূল্যায়িত না হওয়ায়। একটানা অনেকগুলো লেখার ক্ষেত্রে এরকম ঘটলে সমস্যাটা কোথায় তা নির্ণয় করা সত্যিই বিভ্রান্তিকর হয়ে পড়ে। যদিও কেউই মনে করে না যে সব লেখায় নির্বাচিত হবে। তবে কিছু লেখা আছে যেগুলোর ক্ষেত্রে লেখকের এক ধরণের ভালোবাসা কাজ করে। সে লেখার সঠিক মূল্যায়ন না ঘটলে...। আপনার নিজের লেখা কমপ্লিমেন্টের সাথে যা সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে।

যাহোক, আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি সত্যিই দু:খিত। আমড়া আমড়াই তো। :P

অট: একটা গোপন কথা কই কাভা ভাই। আলেকজান্দ্রিয়া ভ্রমণের উপর ঐ লেখাটা যখন গার্বেজ হিসেবে গণ্য হল, তখন রাগে-শোকে একটি মারাত্মক স্যাটায়ার লিখলাম মডুর চন্ডি-পিন্ডি উদ্ধার করে। অবশ্যই ব্লগে পোস্টের জন্য নয়। শুধুই নিজের পড়ার জন্য। হা হা হা হা। আমি নিশ্চিত আপনি তা পড়লে কচু গাছের সাথে লটকে যেতেন। কারণ লেখাটা এতই বিধ্বংসী ছিল যে আমি নিজেই টমকে ফাঁদে ফেলে জেরি যেমন মজা লুটত সেরকম উল্টাপাল্টা গড়াগড়ি খেতাম। হা হা হা। :P :-P =p~

ভালো থাকুন কাভা ভাই।







১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৯

জেন রসি বলেছেন: গোপন কথা শুনেই আগ্রহ বেড়ে গেল। রাগে-শোকে মডুর চন্ডি-পিন্ডি উদ্ধার করে লেখা সেই মারাত্মক স্যাটায়ার পড়তে চাই। মডুর আশেপাশে যেন কোন কচু গাছ না থাকে সে ব্যাপারটা আমরা নিশ্চিত করব। আমরা আমরাইত :P

১১২| ১৩ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: জেন রসি, পৃথিবীর ইতিহাস দেখুন কি টিকে আছে আর কি টিকে নেই।

সামু ব্লগ কি তার কার্যকারীতা হারিয়ে ফেলেছে?..... এটা আমার কাছে বড় কোন প্রশ্ন নয়।
মানুষ তার প্রয়োজনে গ্রহণ করে আবার ত্যাগ করে। সামু ব্লগও এর বাইরে নয়। মানুষের আবেগ এখানে নির্দিষ্টভাবে জড়িত।

তাই ব্লগের ইতিহাসও দেখুন, যাদের যতক্ষণ প্রয়োজন, ব্লগে ছিল এখন নাই। আর যাদের প্রয়োজন আছে তারা এখনও ব্লগে আছে। যারা চলে গিয়েছে বা আসে না তারা মনে করছে এখানে তাদের আর মনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। আর বাংলাদেশের মানুষের মেধা, যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থান কোন লেভেলে সেটা মাথায় রাখতে হবে।

কোন কিছু একই ধারাবাহিকতায় দিনের পর দিন চলতে পারে না।
আমরা শুধু ভাল কাজ করে যেতে পারে।

আমি মনে করি ব্লগকর্তৃপক্ষ যদি এই ব্লগটি বন্ধ না করে দেয় তো এই ব্লগ কোন দিন বন্ধ হবে না, যেভাবেই হোক এটি চলবে। কখনো জোয়ারে কখনো ভাটায়।

যাহোক, আপনি আপনার লেখনী এখানে পোস্ট করবেন বলে আশারাখি।
শুভকামনা।

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৮

জেন রসি বলেছেন: জেন রসি, পৃথিবীর ইতিহাস দেখুন কি টিকে আছে আর কি টিকে নেই।

পৃথিবীর ইতিহাস পরিবর্তনের ইতিহাস। যা কিছুর সৃষ্টি আছে, ধ্বংসও আছে। দেখবেন যখন কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় বিকাশের একটা পর্যায়ে তা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠে। তারপর একটা পর্যায়ে সেখান থেকে দুর্বল হতে হতে ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষের নানামুখী লড়াইটা হয় মূলত এই টিকিয়ে রাখা এবং নতুন কিছু করার এক প্যারাডক্সিক্যাল মনোভাব থেকে।

সামুর যেমন ব্লগারদের প্রয়োজন ছিল তেমন ব্লগারদেরও সামুর প্রয়োজন ছিল বা আছে। এই পোস্ট হা হুতাশ করা টাইপ কিছু না। আগে ভালো ছিল। এখন খারাপ। এমন কিছুও না। ব্লগ যে তার জনপ্রিয়তা, কার্যকারিতা হারাচ্ছে তা কিছু ফ্যাক্ট এবং পরিসংখ্যানই বলে দেয়। এবং সে পরিবর্তনটা বিকাশের দিকে না গিয়ে ধ্বংসের দিকেই যাচ্ছে। তাই এখানে আমার আগ্রহের জায়গা হচ্ছে, বিকাশের পথে সামুর আসার আর কোন সম্ভাবনা আছে কিনা? সে উদ্দেশ্য থেকেই মূলত এই আলোচনার আয়োজন।

আমি মনে করি ব্লগকর্তৃপক্ষ যদি এই ব্লগটি বন্ধ না করে দেয় তো এই ব্লগ কোন দিন বন্ধ হবে না, যেভাবেই হোক এটি চলবে। কখনো জোয়ারে কখনো ভাটায়।

চলতে দিলে সবকিছুই চলবে। কিন্তু কিভাবে চলছে বা কিভাবে চলা উচিৎ তা নিয়ে মানুষ চলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেইত পরিবর্তন আসে।

ধন্যবাদ, বিজন দা।



১১৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কমেন্টে করা প্রশ্নগুলোকে সাজিয়েও সাথে আরো দুয়েকটা প্রশ্ন এড করে পুনরায় প্রশ্নগুলোকে এখানে উপস্থাপন করলাম।
১)দুই লাইনের উন্নতমানের কবিতা বা হাইকু কবিতা- যার উপর যৌক্তিক, ত্বাত্ত্বিক ও দার্শনিক আলোচনার সম্ভাবনা আছে,তা সামুতে নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা আছে কিনা?
২) পোষ্ট নির্বাচনের ভার একজনের কাধে নাকি একাধিকজন এর সাথে জড়িত? কয়জন, নাম।
৩)যদি একজন পোষ্ট নির্বাচনের কাজ করে থাকেন সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষ এর বিবেচনার বিষয় কি ছিল? তা আমব্লগারদের জানার উপায় আছে কিনা? ব্লগ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমব্লগারদের কোন প্রকার ডিসক্লেইমার ইতিপুর্বে
দিয়েছেন কিনা? না দিলে থাকলে দেয়ার ইচ্ছে আছে কিনা? না দিয়ে থাকলে কেন দেয়ার প্রয়োজনবোধ করেন নি?
৪) কেবলমাত্র একজন লোক পোষ্ট নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন - সামুতে এ ধরণের ঘটনার ইতিহাস আছে কিনা? থাকলে তা কোন পরিস্থিতির কারণে? জানতে চাইলে সামু কর্তৃপক্ষ তার উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে পারবে কিনা?
৫)মডারেটর নির্বাচনের ক্ষেত্রে সামু কর্তৃপক্ষ এর নির্ণীত মানদন্ড কি কি?সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে মানদণ্ডে পরিবর্তন এসেছে কিনা? বর্তমানে গৃহীত মানদণ্ড কি? তা কি ব্লগের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মানানসই?কেউ গৃহীত মানদন্ডের যথার্থ উপযুক্ততা সম্পর্কে জানতে চাইলে সামু কর্তৃপক্ষ তার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম কিনা?
৬)মডারেশন প্যানেল বা মডারেটরের কার্যক্রমের কোন ইয়ারলি বা হাফ ইয়ারলি পারফরমেন্স রিভিউ ব্লগ কর্তৃপক্ষ করে কিনা?
৭) পোস্ট সিলেকশনের নীতিমালা কি? বিভিন্ন ধরণের কনটেন্ট(গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি ইত্তাদি) নির্বাচন করার মত দক্ষতা ও সক্ষমতা বর্তমান প্যানেলের আছে কিনা? এ বিষয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা অনুভব করছে কিনা?যদি সমস্যা থেকে থাকে তা সমাধানের জন্য ব্লগ অথোরিটি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা বা নেয়ার কথা ভাবছে কিনা? ভাবলে সেই পদক্ষেপগুলো কি কি ?
৮) পোষ্ট নির্বাচক প্যানেলের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়োজন থাকলে তা করা হবে কিনা?
৯) নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার মত কোন পোস্ট ব্লগে প্রকাশ করার কয় ঘন্টার মধ্যে নির্বাচিত পাতায় না গেলে ঐ পোষ্টের ব্যাপারে মডারেটরদের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে?
১০) সামু ব্লগে কেউ রেজিস্ট্রেশন করার পর তার কন্ট্যাক্ট নাম্বারে ফোন করে তাকে যাচাই করা হয় কিনা?
১১)বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বিরতিতে অশ্লীল কন্টেন্ট ফ্লাডিং এর ঘটনা ঘটছে।এর ফুলপ্রুফ সমাধানে সামু অথোরিটি পৌছাতে পেরেছে কিনা?সাপ্তাহিক ছুটি বা বন্ধের দিনে এ ধরণের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে বেশি। যদি ওই সময়ে মডারেটররা মনিটর করা বা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে ওই সময়টায় সাইট ডাউন বা অফ করে রাখা বা অন্য যে কোন প্রতিরক্ষামুলক পরিকল্পনা সামু ব্লগের আছে কিনা?
১২)সামু কর্তৃপক্ষ নিজস্ব আয়বর্ধক প্রকল্পের কথা ভাবছে কিনা?
১৩) সামুর ফেসবুক অফিসিয়াল গ্রুপে ব্লগে পোষ্ট করা লেখা দেয়া যায়। এ ব্যাপারটায় অথোরিটির অফিসিয়াল মতামত কি? গ্রুপ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
১৪) ভাল কন্টেন্ট পাবার জন্য সামুর বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে কিনা?
১৫) প্রতিদিন গড়ে কত পোষ্ট আসে এখন সামুতে?মডারেটররা গড়ে প্রতিদিন কয়টা পোস্ট পড়ার সুযোগ পান?

১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

জেন রসি বলেছেন: সাজিয়ে সুস্পষ্টভাবে প্রশ্নগুলো উপস্থাপন করায় আপনাকে ধন্যবাদ।

১১৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জাদিদ ভাই, (৯৫ নং মন্তব্যের জবাবে)
নাম ধরে সম্বোধন করেছি যাতে ব্যক্তিগত দফার অফিসিয়াল রফা না হয়ে যায়,হাহহা B-)সব কথা মডুকে নয়,কিছু কথা সহব্লগারকে বলতে হয়। ;)
না ভাই, আবারো বলছি কিছু মনে করিনি।বরং এভাবে বলায় ভাল লাগা আছে।আগামীতেও যা মনে হয়,সরাসরি বলে দেবেন।আমাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলার কোন দরকার হবে না আপনার।আপনাকেও আমার ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলার কোন দরকার হবে না কখনো।আপনার আগে যারা ছিল,তাদেরকেও বলার দরকার হয় নাই।ভবিষ্যতে নতুন কেউ আসলে তার বেলায়ও হবেনা।

এখানে ওখানে ''সব ঠিক আছে'' প্রবক্তারা কিন্তু আড়ালে অন্য কিছু বলে।সবার মনের কথা এখানে প্রকাশ পেলে আণবিক বোমা ফাটত।কিন্তু এরা নিজেরা বা এদের মা মরে গেলেও কিছু বলতে পারবে না,মাননীয় বলতে বলতে মূর্ছা যাবে।কারণ,দেশটা সোনার বাংলা। ''সব ঠিক আছে'' ''আপনে ভাই ঠিক'' ওয়ালাদের একটু অফলাইন এক্টিভিটি যাচাই করার চেষ্টা কইরেন।নিজেই অনেক কিছু টের পাবেন বা পেয়েছেনও হয়ত।যা হোক- আপনাকে পছন্দ করি বলেই কথাগুলো বললাম।অপ্রাসঙ্গিক মনে হলে ইগ্নোর করবেন এবং কষ্ট নেবেন না,প্লিজ।
সামুতে প্রচুর সময় বিনিয়োগ করেছি।সেরা কিছু লেখা ও লেখককে পড়তে পেরে যেমন আনন্দিত হয়েছি তেমনি নানাসময়ে গালাগালি,কাটাকাটি, মাল্টিবাজি,নিরীহ মানুষকে হ্যারেজমেন্টসহ নানা কদর্যময় মুহূর্ত দেখে বিস্মিত,ক্রুদ্ধ,বিরক্ত,মর্মাহত হয়েছি।
সামুর পর্দায় চটি ঝুলতে দেখে মুখে আর কোন রা বের হচ্ছিল না।অনেক নোংরা কদর্য কীটকে বছরের পর বছর এখানে ব্লগিং করতে দেখা গেছে।বাংলা ব্লগ ত আরো ছিল,এখানের মত ময়লার সুনামি কোথাও হয়নি।সময়ে সময়ে আজাইরা ক্যাচালহাটের আরেক নাম সামু।আপনি আমাকে একবার ট্যাগ করে সামুর ভাল লেখার নমুনা দেখাইছিলেন।এখানে কখন কোনসময় কি ভাল লেখা আসছে,জানি ভাই।
যাই হোক,যে কয়টা উত্তর দিতে পারবেন দিবেন বাকিটা উনারা দিবে।ব্লগ নিয়া তাদের ফিউচার প্ল্যানিং কি তা জানার আগ্রহ আছে। সামু বিষয়ে সবার আইডিয়া ও ভাবনা যোগ করে একটা পোষ্ট দিয়ে এই বিষয়ক ভাবনার পাট চুকে দেব।দ্যাটস অল।
সামু ঘুরে দাঁড়াতে পারবে আশাটা এখনো মরে নাই। তবে-
তাইরে নাইরে নাই
আয় মেলায় যাই নাকি
রহিম্যা কামায়
সহিম্যা খায়
লাল মোহইন্যা ঘোড়া দৌড়ায়।
কোনটা ভাল কবিতা?

জানার পাঠ মুড়াবে
কৌতূহল ফুরাবে।
ভাল থাকবেন ভাই।





১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১১

জেন রসি বলেছেন: এখানে ওখানে ''সব ঠিক আছে'' প্রবক্তারা কিন্তু আড়ালে অন্য কিছু বলে।সবার মনের কথা এখানে প্রকাশ পেলে আণবিক বোমা ফাটত।কিন্তু এরা নিজেরা বা এদের মা মরে গেলেও কিছু বলতে পারবে না,মাননীয় বলতে বলতে মূর্ছা যাবে।কারণ,দেশটা সোনার বাংলা। ''সব ঠিক আছে'' ''আপনে ভাই ঠিক'' ওয়ালাদের একটু অফলাইন এক্টিভিটি যাচাই করার চেষ্টা কইরেন।নিজেই অনেক কিছু টের পাবেন বা পেয়েছেনও হয়ত।যা হোক- আপনাকে পছন্দ করি বলেই কথাগুলো বললাম।অপ্রাসঙ্গিক মনে হলে ইগ্নোর করবেন এবং কষ্ট নেবেন না,প্লিজ।

এই প্রবণতা আমিও লক্ষ্য করেছি। সম্ভবত তারা মাওবাদী। ;) তবে যেহেতু বাংলার দামাল সুশীল যোদ্ধা তারা তাই গেরিলা পদ্ধতিতে এদিক ওদিক দু একটা ককটেল মেরে এসে সংবাদ সম্মেলনে বলে দেবে সব বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র। এও এক বিনোদন বটে। ;)

১১৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেকেই ভাবছে ভুল ত্রুটি হচ্ছে। তাহলে এই দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কে থাকবে? যথাযথ কর্তৃপক্ষ? তবে এ বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণে ব্লগে সবাই মিলে আলোচনায় না বসার কোন বিকল্প দেখছি না।

এ বিষয়ে আপনার মতামত জানাতে পারেন। কিংবা বিষয়টি সমাধানে আপনার কোন প্রস্তাব আছে কি?


অনেকদিন পর ব্লগের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পোস্ট আবার সে পোস্ট কয়দিন ধরে স্টিকি। এর অর্থ দাঁড়ায় কতৃপক্ষ নিজেও জিনিষটা পর্যবেক্ষণ করছে এবং চাইছে প্রসঙ্গগুলো নিয়ে আলোচনা হোক। তাছাড়া কতৃপক্ষ নিশ্চই নিজেরাও ব্লগ সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগ কমুনিটিতে আরো বেশি একটিভ। অতএব সংগতি অসংগতিগুলো তাদের চোখে পড়েনা এমনটা নিশ্চই না। পোস্ট এসেছে ভয়েস রেইজ হয়েছে, পোস্ট স্টিকি হয়েছে, অনেক মতামত সমস্যা সম্ভাবনা অনেকদিন পর আলাপ হচ্ছে।

কতৃপক্ষ নিশ্চই সার্বিক দিক ও ব্লগের সক্ষমতা ইত্যাদি বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন প্রয়োজনে প্যানেলের বিচ্যুতি সংস্কার পরিবর্তন পরিবর্ধন পরিমার্জন করবেন এমনটা আশা আমরা করতেই পারি।

অফটপিক- আপ্নে কতৃপক্ষের অংশগ্রহনের কথা বলতেছেন আর এইদিকে আমার তো উল্টা ঘোরতর সন্দেহ হইতেছে বেশ অনেকদিন ধইরা জইমা থাকা বিষয়গুলা নিয়া হঠাৎ সিরিয়াস আলোচনা শুরুর পিছনে কতৃপক্ষের নিজেরই লম্বা মোটা দৃশ্য অদৃশ্য সাদাকালো হাত আছে কিনা, সন্দেহডা কইলাম লজিক্যালি একেবারে বাতিল করা যায় না :P

যাহোক অফটপিকটা মজা করে বললাম। কিন্তু কতৃপক্ষ দেখছে আলোচনা শুনছে আলোচনা চলুক চাচ্ছে এটা তো পরিষ্কার।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩১

জেন রসি বলেছেন: কতৃপক্ষ নিশ্চই সার্বিক দিক ও ব্লগের সক্ষমতা ইত্যাদি বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন প্রয়োজনে প্যানেলের বিচ্যুতি সংস্কার পরিবর্তন পরিবর্ধন পরিমার্জন করবেন এমনটা আশা আমরা করতেই পারি।

এমনটা আশা করছি বলেইত এই আয়োজন।

অফটপিক- আপ্নে কতৃপক্ষের অংশগ্রহনের কথা বলতেছেন আর এইদিকে আমার তো উল্টা ঘোরতর সন্দেহ হইতেছে বেশ অনেকদিন ধইরা জইমা থাকা বিষয়গুলা নিয়া হঠাৎ সিরিয়াস আলোচনা শুরুর পিছনে কতৃপক্ষের নিজেরই লম্বা মোটা দৃশ্য অদৃশ্য সাদাকালো হাত আছে কিনা, সন্দেহডা কইলাম লজিক্যালি একেবারে বাতিল করা যায় না :P

অফটপিক-পুরোই মাননীয় স্পিকার হয়ে গেলাম। B:-)

অনটপিকঃ আপনার কোন সুনির্দিষ্ট সাজেশন থাকলে পয়েন্ট আকারে বলতে পারেন।

১১৬| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
@মাহমুদ০০৭

মাহমুদ ভাই আপনি বলেছেন আমি ইনসিউর ফিল করছি। এবং আরো বলেছেন, কাওরান বাজারে পটলের কেজি কত এ টাইপ আলোচনায় যদি আমি নিরাপদ বোধ করতেন তাহলে তাই করতেন।

ব্যাপারটিকে আপনি কোন প্রেক্ষাপট থেকে বলেছেন বা শব্দ বিজ্ঞানের ভাষায় এইগুলো কেমন শোনাচ্ছে ইত্যাদি প্রশ্ন করা থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিরত থাকলাম। পাশাপাশি, মডারেশনের প্রেক্ষাপট থেকেও আমি এই মন্তব্যে কোন জবাব বা সরাসরি কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা থেকে বিরত থাকলাম। অনেক কিছু বলার থাকলেও আমি এই বিষয়ে আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। শুধু এইটুকু বলতে পারি – আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার মুল্যায়নের জন্য। আপনার সহমর্মীতার জন্য।

যাইহোক, এই পোষ্টে যতগুলো মন্তব্য এসেছে তার একটা বড় অংশ জুড়ে মডারেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই হিসাবে আমি বলেছি – এই পোষ্টের মুল বিষয় হচ্ছে মডারেশন বা মডারেটর। ব্যক্তি হিসেবে এখানে আমি নিজের কথা বলি নি।

আপনার প্রশ্নগুলো যৌক্তিক না অযৌক্তিক আমি সেই বিবেচনায় না গিয়ে চেষ্টা করেছি, আমার প্রেক্ষাপট থেকে আপনি সহ সকল ব্লগারদের প্রশ্নের জবাব দিতে। অথচ চাইলেই খুব সহজেই এই সব প্রশ্নের দায় এড়ানো যেত। কিন্তু আগেই বলেছি, ব্লগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাকে জানালে আমি নীতিমালার মধ্যে থেকে যা যা জবাব দেয়া যায়, তার সবই দিবো এবং আমি তা করেছিও।

আমি মনে করি, আমার মন্তব্যগুলোতে জানার জন্য যথেষ্ঠ উপাদান ছিলো, এর বাইরে আর তেমন কিছু ব্লগারদের জানার নেই বলেই আমার বিশ্বাস। তারপরও আপনি জানতে চেয়েছেন, আমিও চেষ্টা করেছি।

যদিও মাঝে মাঝে মনে হয়েছে শুধুমাত্র আলোচনা বৃদ্ধির জন্য, অহেতুক কথার মার প্যাচে কিছু প্রশ্নই ঘুরে ফিরে করা হচ্ছে। যেমন আলোচ্য এই পোষ্টের শিরোনামে পাবলিক অপিনিয়ন শব্দটি আছে। আমি যদি আপনার ধাচে প্রশ্ন করতাম তাহলে কিছু প্রশ্ন হয়ত এমন হতো – এই পোষ্টে পাবলিক অপিনিয়ন কেন লিখেছেন? সামু কি ব্লগার বাদে সাধারন পাবলিকদেরও অপিনিয়ন নিচ্ছে? অপিনিয়ন নেয়ার ব্যাপারে কি কোন নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে? বা ধরুন কোন সাধারন মানুষ যদি সামুর ব্যাপারে বা মডারেশনের ব্যাপারে কোন অপিনিয়ন দিতে চায় সেই ব্যাপারে সামু অথরিটির বক্তব্য কি? নীতিমালা কি?

যাইহোক, এই পোষ্টে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্লগার যে সকল প্রশ্ন করেছেন, আমি তার একটি তালিকা প্রস্তুত করেছি। এতে আমার উত্তর দিতে সুবিধা হবে। আলোচক জন রেসি ভাই পোষ্টে যে প্রশ্নগুলো দিয়ে আলোচনার সুত্রপাত করেছেন তা হচ্ছেঃ

১। ব্লগের পতনের কারন নাস্তিক আস্তিক বিতর্ক।

- আমি ঠিক জানি না, এই ব্যাপারে আমার দ্বিধা আছে। তবে আমার পর্যবেক্ষনে মানুষ বিতর্ক ভালোবাসে, আস্তিক নাস্তিক ক্যাচাল একটি জনপ্রিয় এবং বিনোদন মুলক ক্যাচাল। এখান থেকে বুদ্ধিমানদের জন্য নির্দশন থাকে। তবে ক্যাচালের নামে হেইট স্পীচ, অশালীন ও নোংরা ভাষায় ব্যক্তি আক্রমন, অনলাইনের বিতর্ককে অফলাইনে নিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অপচেষ্টা, রাজনীতি ইত্যাদির প্রভাব পড়েছে এই জনপ্রিয় ক্যাচালে।

২। ব্লগের পতনের কারন ফেসবুকের মত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।

আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্লগের সাথে ব্লগকে তুলনা করতে পারি, ব্লগের সাথে ফেসবুককে তুলনা করাটা ঠিক হবে বলে মনে হয় না। আমরা তুলনা করতে পারি মিডিয়ামের সাথে, হাফিংটন পোস্টের সাথে। আপনি দেখেন সেখানে কিভাবে পোষ্ট হচ্ছে, তাদের ইন্টারফেসগুলো কেমন, ইত্যাদি।

আগে মানুষ ব্লগে আসত বাংলা ভাষায় বিনোদন নেয়ার জন্য। সেটা গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ক্যাচাল যা নিয়েই হোক না কেন। ব্লগে বড় একটা অংশ আসত লেখার সাহস নেয়ার জন্য, এখানে অনেকেই আছেন যারা লিখতে লিখতে লেখকও হয়েছেন। ব্লগ না থাকলে আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতেই পারত না তাদের সৃজনশীলতা সম্পর্কে, তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে। ব্লগের যারা লিখতেন তাদেরকে পাঠকরা একসময় আলাদা চোখে দেখতেন, ফেসবুক আসার পর যখন এখানে বাংলা লেখা শুরু হলো, তখন এখানে প্রচুর মানুষ তাদের মনের ভাব প্রকাশ শুরু করলেন। একটা সাইটে থেকেই আপনি অন্যকে দেখতে পাচ্ছেন, তাদের দৈনন্দিন কার্যকালাপ সম্পর্কে অবহিত হচ্ছেন, টুকটাক আলোচনা হচ্ছে, নাগরিক সাংবাদিকতাও ঘটছে ফলে অন্য একটা সাইটে যাওয়া অনেক মানুষের কাছে একটি বাড়তি পরিশ্রম বলে মনে হয়েছে। যেহেতু আমরা কিছুটা অলস প্রকৃতির জাতি, সেহেতু কষ্ট করে অন্য একটা সাইটের এত রক্ষনশীলতা ও সমস্যা মাথায় কেউ সহজে আসতে চাইবে না, এটাই স্বাভাবিক। কোন দিন ফেসবুকে বাংলায় লেখার সুবিধা কমিয়ে দেয়া হলে, বা স্ট্যাটাস অপশনটি তুলে নেয়া হলে, মানুষ আবার মত প্রকাশের জন্য বিকল্প কোন মাধ্যম খুঁজবে।
তবে ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিনিয়ত যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করছে এবং অন্যান্য সুবিধা যোগ করছে, তার ধারেকাছে ব্লগ যেতে পারছে না। ফলে কিছুটা প্রভাব হয়ত পড়তেও পারে।

৩। দলবাজি, সিন্ডিকেটবাজি ইত্যাদি।

এটা ব্লগের বহু আগের সমস্যা। কেউ দলবাজি ব্যবহার করেছে ব্লগে নিজ নিজ পছন্দের রেজিমের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে। ব্লগের মত একটা সৃজনশীল বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার জায়গায় এই ধরনের অপকর্ম এটাই প্রমান করে বাতির নিচেই সবচেয়ে বেশি অন্ধকার থাকে। কোন ভালো কাজে যখন আদর্শগত কারনে আপনি দলবন্ধ অবস্থান নেন তখন সেখানে খারাপ কিছু হয় না। কিন্তু কেউ যদি ঐ আদর্শের সবাইকে নিজের মত করে পরিচালিত করতে চায়, সেটা সমস্যার। এই ধরনের সিন্ডিকেটবাজী দ্বারা ব্লগের মুলত কোন ক্ষতি হয় নাই ফেসবুক স্টাইলের কিছু মন্তব্য কমে যাওয়া ছাড়া।

৪। ডিজিটাল আইন কিংবা শাসকগোষ্ঠীর ফেসিস্ট আচরন।
এটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার এবং বর্তমান সময়ে এই সমস্যাটি সবচেয়ে প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোন স্বাধীন কথা বলার মঞ্চে। সামহোয়্যারইন ব্লগের সুত্রপাতই হয়েছিলো মানুষের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু অনেক সময় ডিজিটাল আইনের অপব্যাখ্যায় শাসকদের মধ্যে দুর্নীতিবাজ অংশের চাপে ব্লগ বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একটা সময় ব্লগে স্বাধীন মত প্রকাশ তথা বুদ্ধিভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক বিপ্লব, মুক্তচিন্তা ইত্যাদির নামে যে ভয়াবহ অশালীন চর্চা শুরু হয়েছিলো সেটার খেসারত দিতে হয়েছে পরবর্তীতে ব্লগারদের। কেউ প্রাণ হারিয়েছেন, কেউ বা ব্লগার পরিচয় দিয়ে দ্বিধা করছেন। মুলত সেই সময় ব্লগে একটা হঠাৎ শূন্যতা দেখা দেয়।
আপনি হয়ত বলতে পারেন মুক্ত চিন্তা বা মানুষের প্রচলিত বিশ্বাসের উপর কি প্রশ্ন করা যাবে না? অবশ্যই যাবে। কেন নয়? মানুষের প্রচলিত ধ্যান ধারনা ভাঙ্গার চেষ্টা কোন অপরাধ নয়, বরং এটাই স্বাভাবিক। সময়ের সাথে সাথে মানুষের প্রচলিত বিশ্বাসের উপর প্রশ্ন করতে পারে, আলোচনা করতে পারে। কিন্তু যারা এই কাজটি করবেন, তাদের ‘সব জানা’ মনোভাব, আত্ম অহংকার, অন্যকে হেয় করার প্রবনতা, ইত্যাদি যেমন এই প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তেমনি – একটা পক্ষকে সুযোগ করে দিয়েছে বাকস্বাধীনতা বিরোধী ডিজিটাল কালো আইন প্রণয়নে। তার একটা বড় প্রভাব ব্লগে পড়েছে

৫। মোডারেটরদের পারসোনাল এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা কিংবা পলিটিক্স।
এই বিষয়ে আমার সত্যি জানা নেই। আমি ঠিক জানি না মডারেটদের এখানে পারসোনাল এজেন্ডা কি হতে পারে? এই বিষয়ে কেউ আরো বিস্তারিত জানালে আমি বুঝতে পারতাম। কারন একজন মডারেটর হিসেবে ব্লগে আমার কাছে পারসোনাল এজেন্ডা বলে কিছু নেই। আমার রাজনৈতিক বিশ্বাস আমার কাছে, আমার ধর্ম বিশ্বাস আমার কাছে। হ্যাঁ, যেহেতু আমাদের সামহোয়্যাইন ব্লগ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধীতাকারী বা রাজাকারদের বিচারের বিরুদ্ধে সবসময় স্বোচ্চার, সেহেতু ঐ শ্রেনী বা মনোভাবের কারো জায়গা এখানে হয় না। এটা যদি পলেটিক্স হয়, তাহলে আমি এটা দোষে দুষ্ট!

৬। ব্লগার অপু তানভীর একটি পর্যবেক্ষন দিয়েছেন – তিনি বলেছেন সামুর মডারেশন কখনই পক্ষপাতহীন ছিল না । এটা যদি প্রশ্ন হয়, তাহলে এর উত্তর হচ্ছেঃ –
পক্ষ একটি মুদ্রার মত। যে কোন ঘটনা কারো জন্য পক্ষপাত আবার কারো জন্য পক্ষপাতহীন হতে পারে। যেমন অপু খুব চমৎকার প্রেমের গল্প লিখেন, একটা সময় যখন মোবাইলে এত সুবিধা ছিলো না, ঢাকার বাইরে কোথাও গেলে বেশ কিছু ব্লগারদের লেখা প্রিন্ট করে নিয়ে যেতাম পরে পড়ব বলে। অপু তানভীর সেই সব ব্লগারদের মধ্যে ছিলেন। পরে দেখা গেলো, একটা পর্যায়ে, উনার লেখার বৈচিত্রতা কমে যাচ্ছে, বিষয়টা এক ঘেয়ে হয়ে আচ্ছে। তখন অনেক অনেকগুলো পোষ্ট নির্বাচিত হবার মত মনে হয় নি। এখন এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে সঠিক উনার কাছে পক্ষপাত দুষ্ট মনে হতেও পারে।
ফলে সামুর মডারেশন কখনই পক্ষপাতহীন ছিল না – এটার ব্যাখ্যা আমি এইভাবেই দেখব।

৮। ব্লগার উদাসী স্বপ্ন ভাই বলেছেন, সামু চাইছে তার ওপর যে নাস্তিকতার কলঙ্ক সেটা যেনো ধুয়ে যায় - এই ধারনার ভিত্তিতে জেন রসি জানতে চেয়েছেন – এটা কি সামুর সারভাইবাল পলিসি কিনা?

না, এটাকে ব্লগের সারভাইবাল পলিসি বলা সঠিক হবে না। কারন এখন যে কোন বিশ্বাসের যৌক্তিক আলোচনাকে আমরা সমর্থন করি। সরকারের সমালোচনাকেও সমর্থন করি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সমালোচনার নামে অদ্ভুত কুৎসিত, অশ্লীল গালাগালি পোষ্ট, নোংরা ছবি যুক্ত করাকে আমরা অনুমোদন করি না। সরকারের কোন বিষয়ে কেউ যৌক্তিক ভাষায় কঠোর সমালোচনা করেছে আর সেটাকে আমরা সরিয়ে দিয়েছি এমন দাবি কেউ করতে পারবেন বলে মনে হয় না। সারা বাংলাদেশের মানুষকে যেভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে, মাঠের রাজনীতিকে যেভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে সেই সব শক্তির তুলনায় ব্লগ নিতান্তই একটি শিশু। তাই এই সব নিয়ে সরকারের প্রকৃত মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। আমরা যেটা করছি আস্তিকতা বা নাস্তিকতার নামে ঘৃনা ছড়ানোর ব্যাপারটিকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করছি। উদহারন স্বরুপ – ধর্মের যে কাউকে নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন, আলোচনা করতে পারেন, যৌক্তিক সমালোচনাও করতে পারেন। এতে আমাদের ও ধর্মের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি যৌক্তিক আলোচনায় নামে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন, অশ্লীল ভাষায় সমালোচনা ও শব্দ চয়ন করেন, তাহলে তা নীতিমালার আওতায় আসবে। ফ্রিডম অব স্পীচ, আর হেইট স্পীচ এক নয়। আমাদের সবাই বাক দায়িত্বশীলতার সাথে পরিচয় হতে হবে।

৯। ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইয়ের একটি কমেন্টের প্রেক্ষিতে ব্লগার জেন রেসি জিজ্ঞেস করেছেন যৌক্তিক ও তাত্ত্বিক আলোচনার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রথাগত অনেক বিশ্বাস বা চর্চাকে আঘাত করা। সে কালচার কি ব্লগ কখনো গড়ে তুলতে চেয়েছে? নাকি ডিজকারেজ করেছে?
প্রথমত, যৌক্তিক ও তাত্ত্বিক আলোচনার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে – অপ্রয়োজনীয় তথ্য থেকে সঠিক তথ্য বের করে আনা বা সিদ্ধান্তে পৌছানো। পাশাপাশি মানুষকে নতুন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা। সেটা বিশ্বাস হোক কিংবা অবিশ্বাস হোক। আমরা একটি সুস্থ চর্চা চাই যেখানে সকলের স্বার্থ বজায় থাকবে, যেখান থেকে মানুষ জানতে পারবে, শিখতে পারবে।

১০। ব্লগার রাজীব নুরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্লগার জেন রসি ভাই জানতে চেয়েছেন ব্লগের সংখ্যা কমে যাচ্ছে কেন? রাগ অভিমান করে বিদায় যারা নিয়েছেন তাদের রাগ বা অভিমানের কারন কি?

ব্লগারের সংখ্যা অনেকগুলো প্র্যাক্টিকাল কারনে কমে যাচ্ছে। প্রথমত, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্লগ নতুন কিছু তেমন দিতে পারছে না। ব্লগের কারিগরী ত্রুটি, পাসওয়ার্ড ও ইমেইল ভুলে যাওয়া, ব্লগার সম্পর্কে অপপ্রচার, আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, জীবন, জীবিকা ইত্যাদি অনেক কারনে অনেকেই ব্লগে আসতে পারছেন না। অন্যদিকে ৪০০০ এর উপর নতুন ব্লগার অপেক্ষা করছেন প্রথম পাতায় অনুমোদন পাবার জন্য।
আর রাগ অভিমান যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। ফলে এটা বলা সম্ভব নয় কে কেন রাগ করেছে। তবে রাগ করে বিদায় নিয়ে অনেকেই আবার ফিরে এসেছেন। যারা স্বার্থ নিয়ে চলে তাদের প্ল্যান আলাদা। তাদের কথা বাদ।

পরের কমেন্টে বাকি প্রশ্নগুলো নিয়ে আসছি। আমার সবগুলো প্রশ্ন উত্তর পড়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে সুনির্দিষ্টভাবে তা জানাবে।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্বাযবাদ কাভা ভাই। কি প্রশ্নগুলোর উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা ভাই। বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তরের অপেক্ষায়।

১১৭| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৬

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: মাফ চেয়ে নিচ্ছি শুরুতেই ।

আমার মনে হয় বাংলাদেশে ব্লগ আদতে একটা অসম্ভব ওভাররেটেড প্লাটফর্ম এখন। নাস্তিকতা- ধর্ম বিদ্বেষ এসব ইস্যুতে খুন, শাহবাগ আন্দোলন এসবে ব্লগের ভূমিকা থাকায় ব্লগ তার প্রাপ্যর থেকে বেশি গুরুত্ব পেয়ে গেছে । সরকার একে নিয়ে ভোগে অবান্তর জুজুর ভয় । আদতে এই " শুভেচ্ছা জানবেন, সহমত, ভালো লাগা রেখে গেলাম, মুগ্ধতা রেখে গেলাম, অসাধারণ পোস্ট, এই ৩৪৯ জনকে মিস করি খুব, হৃদয় ছুঁয়ে গেলো " ইত্যাদি জানানোর ওল্ড হোমের মানুষদের এই প্লাটফর্ম নিয়ে মাথা না ঘামালেও পারে । একটা ছোট্ট খুপরি ঘরে নিজেরা নিজেরা কথা বলে যাওয়ার, পালা করে একে অপরের পিঠ চাপড়ে যাওয়ার বা
নিজের মানসিক অসুস্থতা প্রমাণে আগ বাড়িয়ে খুঁচিয়ে যাওয়ার আসর ।

ব্লগে আদতে আসে কয়জন মানুষ বাংলাদেশের? শতকরা হিসেব করলে সংখ্যায় আনতে মনে হয় ১২ ডিজিটের ক্যালকুলেটর লাগবে, ৮ ডিজিটেরটায় কুলোবে না ।
যারা আসেন, লিখেন, মন্তব্য করেন - তাদের লেখা, মন্তব্যর গুরুত্ব কতটুকু? আদৌ কোন গুরুত্ব বা প্রভাব কি আছে?

আমার মনে হয় নেই ।

আমি তো সামু ব্লগে ঘুরে ফিরে ৮/১০ জন মানুষকেই দেখি সবখানে । সবখানে । উপমা দিতে চাইলে আমার জীবাণুর কথাই মাথায় আসে যা অবিশ্বাস্য গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে সবখানে । তারা কীভাবে পারছেন ২৪/৭ অকারণ, অর্থহীন লক্ষ-কোটি সংস্পর্শ রেখে চলতে জীবনের সব সময় ব্যয় করে, এ নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত এদের বাদ দিলে ব্লগ মৃতপ্রায় । আবার এদের নিয়ে ব্লগের বেঁচে থাকাও কোনদিক দিয়েই উল্লেখযোগ্য কিছু না ।

এছাড়াও আছে কিছু ছোট ছোট দল । এরা একে অপরকে তৈল মর্দন করতে করতে একেক পোস্টে দেখি ইনিয়ে বিনিয়ে শতশত কমেন্ট করে ফেলে । অতি প্রগলভ আর আদিখ্যেতার রসে টই-টম্বুর, আহ্লাদের বাক্স এসব ব্লগার আদতে ব্লগের মানকেই কমিয়ে দিয়েছেন, দিচ্ছেন ।

আমার মনে হয় বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই সময়ের অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাব বিস্তারকারী আসলে ফেসবুক আর সুপরিচিত নিউজ পোর্টালগুলোই । ব্লগ বড়জোর অবসরপ্রাপ্ত সাইড বেঞ্চের প্লেয়ার । এখানে মাঝেমাঝে ভালো লেখেন, পরিচিত এমন দুই একজনের লেখা পড়তে বা নিজে টুকটাক গদ্য-পদ্য লিখলে তা পোস্ট করে রাখতেই আসা যেতে পারে । এর বেশি কিছু এখান থেকে আশা করা বোকামিই কেবল ।

১১৮| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৪

শায়মা বলেছেন: ৮৯. ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৪০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মান সন্মত পোস্ট যদি এখন সকলের দাবী হয় তবে একটা নীতিমালার প্রয়োজন হবে। কিছু মানদন্ড নির্ধারণ করে শুধু সেসব ফুলফিল হলেই পোস্ট প্রকাশিত হবে। তার জন্য আবারও চাই সেসব পড়ে প্রকাশিত হবার যোগ্য কিনা দেখবার যোগ্য লোক। নাইলে ব্লগারদের কাছে আবারও জবাবদিহির পাল্লায় তাকেই পড়তে হবে। কে এই দায় নেবে বলো? কার এত সময় আর সাহস আছে? কাজেই প্রশ্ন এবং উত্তর আবারও অমীমাংসিত রয়ে যাবে......িমাংসি
অমীমাংসিত কেন থেকে যায় শায়মা আপু?
- মীমাংসিত করতে চাইলে কি করণীয় আছে বলে মনে হয় ব্লগের?



মীমাংসিত করতে চাইলে কিছু নীতিমালার পরিবর্তন করতে হবে। লেখা, লেখক, নির্বাচক, মডারেশন সবখানেই...

মান সন্মত পোস্ট বলে চিল্লালে চলবে না - আমি মনে করি গাইতে গাইতে গায়েনের মত লিখতে লিখতে লেখার মান বাড়ানো সম্ভব। তাই সকলকেই সুযোগ দিতে হবে তবে এক্কেবারে হাবিজাবি ভুলে ভরা বা সমাজ পরিপন্থী বা অশালীন কোনো লেখাও যেন কখনও কোনো ফাকে প্রবেশ করতে না পারে সেটা দেখবার জন্য মডারেশন কাজ করবে।

একবার পোস্ট প্রকাশিত না হলে লেখক চিন্তা করবে কেনো হলো না। এবং সেই পোস্ট না প্রকাশের কারণ মডারেশন জানাবে।

তাই প্রয়োজন নীতিমালা ও কিছু মানদন্ড নির্ধারণ।
মানদন্ডগুলির ৮০% ফুলফিল হলেই পোস্ট প্রকাশিত হবে। তার জন্য আবারও চাই সেসব পড়ে প্রকাশিত হবার যোগ্য কিনা দেখবার যোগ্য লোক।

প্রতিটা বিভাগের জন্য দরকার আলাদা নির্বাচক। একজন মানুষ যেমনই সব কিছুতে দক্ষ নয় তেমনি সময় ও সুযোগের অভাবও থাকবেই। তাই দিনের পর দিন নির্বাচিত পাতার স্থবিরতা কাটাতে প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন নির্বাচক!!!

এছাড়াও অশালীন মন্তব্য, আজে বাজে ছবি ফ্লাডিং এসব দেখবার জন্যও প্রয়োজন সতর্ক দৃষ্টি।

মানষিক নিরাপত্তা বা মেন্টাল সেইফ জোন হিসাবে এই ব্লগের জন্য এইসব উৎপাতের সাথে লড়ে চলার মত স্ট্রং মানসিকতা সবার থাকেনা।

মিসির আলীর অমীমাংসিত রহস্যের বই পড়া লাগবেনা। এত এত মাথা এই যে আজ কাজ করছে তা থেকে কিছু না কিছু বের হবারই কথা। শুধু এখন প্রয়োজন কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক মনোভাব ও সদিচ্ছা। নইলে সবই বৃথা........এবং এসবই যুগে যুগের অমীমাংসিত রহস্যই থেকে যাবে।

১১৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৬

নিমো বলেছেন: শহুরে আগন্তুক, এভাবে সত্যভাষণ দিতে হয় না, এতে ব্লগের অসন্মান করার অভিযোগে দোষী সাবস্ত্য হতে পারেন। জেন রসি , ব্লগের পানা পুকুরে উপযুক্ত সময়ে ঢিল ছুঁড়েছেন, এখন দেখার বিষয় এর ফেলে সৃষ্ট তরঙ্গ কত দূর প্রবাহিত হয় আর কতটা সময় দীর্ঘায়িত হয়। আপনিতো( শহুরে আগন্তুক ) দেখি ভুমিকম্পের মধ্যে দিয়ে রীতিমত জলোচ্ছাস তৈরি করেছেন। এতে ব্লগের কেউ কেউ ম্রিয়মান হয়ে উপরে চলে যেতে পারে।

১২০| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২১

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: আমি মনে করি, ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর সামু ব্লগকে এক পাল্লায় মাপা যাবেনা । খুব উচ্চমার্গের বা উচুমাপের ধ্যান- ধারনা সম্পন্ন লেখকগণ/পাঠকগণই শুধু সামু ব্লগে বিচরণ করে থাকেন । সামু ব্লগের বিকল্প কোন দিনই তৈরী হবেনা । বিষয়টিকে সাধারণ খাবার আর ফাস্ট ফুডের সাথে তুলনা দেয়া যেতে পারে । সাধারণ খাবার বা ফলমুল যেমন আমাদের শরীরের ইমুউনিটি বাড়ায় সেখানে ফাস্ট ফুড বা প্রসেসিং করা খাদ্য থেকে কোনদিন শরীরের ইমুউনিটি আসার কথা চিন্তাও করা যাবেনা ! সুতরাং, আশাহত হওয়ার কোন কারণ নেই, ..... জয়তু সামু ব্লগ ।

১২১| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মীমাংসিত করতে চাইলে কিছু নীতিমালার পরিবর্তন করতে হবে। লেখা, লেখক, নির্বাচক, মডারেশন সবখানেই...
মানদন্ডগুলির ৮০% ফুলফিল হলেই পোস্ট প্রকাশিত হবে। তার জন্য আবারও চাই সেসব পড়ে প্রকাশিত হবার যোগ্য কিনা দেখবার যোগ্য লোক।

প্রতিটা বিভাগের জন্য দরকার আলাদা নির্বাচক। একজন মানুষ যেমনই সব কিছুতে দক্ষ নয় তেমনি সময় ও সুযোগের অভাবও থাকবেই। তাই দিনের পর দিন নির্বাচিত পাতার স্থবিরতা কাটাতে প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন নির্বাচক!!!

এছাড়াও অশালীন মন্তব্য, আজে বাজে ছবি ফ্লাডিং এসব দেখবার জন্যও প্রয়োজন সতর্ক দৃষ্টি।

মানষিক নিরাপত্তা বা মেন্টাল সেইফ জোন হিসাবে এই ব্লগের জন্য এইসব উৎপাতের সাথে লড়ে চলার মত স্ট্রং মানসিকতা সবার থাকেনা।

একমত শায়মা আপা।
এছাড়া -আপনার আগের বলা কিছু ক্রাইটেরিয়া যেমন- কবিতাটা কপিপেস্ট কিনা ( যা এক ক্লিকেই বুঝা যায় গুগুল দুনিয়ায়)২) আপত্তিকর কন্টেন্ট আছে কিনা ( তারও কিছু লিস্ট থাকতে পারে)৩) বানান ও বাক্য ভুল কিনা ইত্যাদি ও অথোরিটি বিবেচনায় আনতে পারে।কিছু পয়েন্ট আমার মাথায় ও এসেছে। যেমন-
নির্বাচিত পোষ্ট- বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোস্টের সাধারণ কিছু ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করা যায় যার ভিত্তিতে পোস্ট নির্বাচন করা যেতে পারে।বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোস্টে সর্বনিম্ম শব্দসংখ্যাও একটি ক্রাইটেরিয়া হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।শুভেচ্ছামূলক,আড্ডা বা এধরণের হাল্কা ধাচের পোস্ট নির্বাচিত পাতায় যাবে কি যাবে না তা নিয়ে ভাবা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অভিজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে সব ধরণের পোষ্টের জন্য একটি সাধারণ গাইডলাইন তৈরি করা যেতে পারে।
কোন পোষ্ট প্রকাশের কত ঘন্টার মধ্যে তা নির্বাচিত পাতায় যেতে পারে,কত ঘন্টা পর্যন্ত তা থাকতে পারে,কোন পোষ্ট(যা নির্বাচিত পাতায় আসার মত) প্রকাশের কয় ঘন্টার মধ্যে নির্বাচিত পাতায় না গেলে সংশ্লিষ্ট ব্লগার মডারেশন বরাবর অভিযোগ জানতে পারবে তা নির্ধারণ করা।একজন লেখকের মাসে সর্বোচ্চ কয়টা পোস্ট নির্বাচনী পাতায় যেতে পারে তা নির্ধারণ করা।নতুন লেখকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মাসে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ম কয়টি পোষ্ট নির্বাচন করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করা।

প্রতিটা বিভাগের জন্য দরকার আলাদা নির্বাচক। একজন মানুষ যেমনই সব কিছুতে দক্ষ নয় তেমনি সময় ও সুযোগের অভাবও থাকবেই। তাই দিনের পর দিন নির্বাচিত পাতার স্থবিরতা কাটাতে প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন নির্বাচক!!!
- যদিও সিলেক্টর প্রথা কেন বাতিল করা হইছে এ ব্যাপারে জাদিদ ভাই হিন্টস দিছে।বিষয়টা মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলার মত।অতীতে ঝামেলা হয়েছে বলে ভবিষ্যতেও ঝামেলা হবে এমন ত কোন কথা নাই।বেশিরভাগ ব্লগারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে,বিষয়ভিত্তিক প্রজ্ঞা বা জ্ঞান আছে এমন যোগ্য ব্লগারদের নিয়ে ত প্যানেল করাই যায়।আন্তরিকতা ও ভালবাসা নিয়ে অনুরোধ করলে অনেক যোগ্য ও দক্ষ ব্লগাররা সাড়া দিবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।আর এরকম ব্লগার আমাদের প্ল্যাটফর্মে নাই এটাও ত না।মাইনুদ্দিন মাইনুল ভাই,আহমেদ জী এস ভাই,সোনাবিজ ভাই,শায়মা আপা, হাসান মাহবুব ভাই, প্রফেসর শংকু ভাই, কবি শুভ্র সরকার ভাই, দুর্জয় ভাই,জাফরুল মবীন ভাই,উদাসী স্বপ্ন ভাই, পোষ্টদাতা জেন রসি ভাই এরকম আরো অনেকেই আছেন।পরস্পরের কাছে পরস্পরের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা আন্তরিকতা থাকলে সব কাজই সুন্দরভাবে করা সম্ভব।এখনকার লেজেগোবরে অবস্থারেই যদি মডু আলহামদুলিল্লাহ কয় কিছু কইবার নাই।
মাথা কাইটা ফেলাই যদি সমাধান হয়,মডু নামক মাথারও কোন দরকার দেখিনা।ব্লগ মডারেশন ছাড়াই চলুক।নির্বাচনী পাতা বাদ দিয়ে দিক। যার যার মত সে সে লেখা আপলোড করে চলে যাবে। অথোরিটি লিখে দিবে যার যার লেখার দায় তার তার।
আমরা বাবা আব্দুস সাত্তার ।
এ বিষয়ে যেহেতু জাদিদ ভাই ফাইনাল বলেই দিয়েছে এখন এই বিষয়ে জানা আপার ভাবনা কি তা জানতে চাই।

১২২| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কাভা ভাই,
ব্যাপারটিকে আপনি কোন প্রেক্ষাপট থেকে বলেছেন বা শব্দ বিজ্ঞানের ভাষায় এইগুলো কেমন শোনাচ্ছে ইত্যাদি প্রশ্ন করা থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিরত থাকলাম। পাশাপাশি, মডারেশনের প্রেক্ষাপট থেকেও আমি এই মন্তব্যে কোন জবাব বা সরাসরি কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা থেকে বিরত থাকলাম। অনেক কিছু বলার থাকলেও আমি এই বিষয়ে আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। শুধু এইটুকু বলতে পারি – আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার মুল্যায়নের জন্য। আপনার সহমর্মীতার জন্য।
ভাই,যদি এনালাইসিস চান সমস্যা নাই করে দেয়া যাবে।ফ্রয়েড না দেরিদা না জিজেক কারটা চান বলে দিলেই হবে,হাহাহ।
কথার আরেক নাম লতা। দুজনেই হেলাল হাফিজের কবিতা জানি।সো,ফিল ফ্রি এনিটাইম।
অনেক সময় সাক্ষাতকারদাতা বলে থাকেন- নো কমেন্ট।এই সুযোগ আপ্নারো রয়েছে।প্রশ্নের জবাব আপনাকে দিতেই হবে,এমন কোন কথা নাই। যেটা পারবেন দেবেন,না পারলে বলে দেবেন- না বাবা এ আমি বলতে পারব না আব্দুলাহরে গিয়ে ধর, হাহাহা।
তখন আব্দুল্লাহর কাছে না হয় যাইতাম।
আপনার পয়েন্ট অনুসারে '
১) একমত।
২) কমেন্টে জানিয়েছি
৩) দলবাজি, সিন্ডিকেটবাজি। সামু এর দ্বারা বেনিফিটেড। ১০ টাকার শেয়ার ৫০ টাকায় ঊঠছে এই বাবদে।বলতে চাই একটা হাওয়াই বুদবুদের উপর ছিল।সামু এরে প্রমোট করছে।ধরা যাক, সামু প্রমোট করে নাই, ঝামেলার সম্ভাবনা দেখলেই টপাটপ সাইজ করে দিছে। কোয়ালিটিরে প্রাধান্য দিছে।তাইলে সামুর পজিশন কই থাকত?এটা বড়জোর সচল বা শব্দনীড় ব্লগের পজিশনে থাকত।আমরা ইমন জুবায়ের কে শ্রদ্ধা করি,ভালবাসি কিন্তু তার লেখা পড়ি না। ইমন জুবায়ের দিয়ে হিট আনা যাবে না।
এখানে লাগবে আসিফ মহিউদ্দিন (উদাহরণ হিসেবে বল্লাম). কারন এখানে ক্যাচাল আছে।সাব্জেক্ট টাও মজাদার। বিষয়টা আমাদের সংস্কৃতিতে,মনস্তত্বে।সামু জাস্ট এই বিষয়টার সচেতনভাবে এডভান্টেজ পেতে চেয়েছে। এবং সে সফল।যদি ওভারওল হিসেব করতে যান- সামুর লাভের পাল্লাই ভারী।আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এইটা একটা সফল ফর্মুলা।এখনো এপ্লাই করলে সামুকে আবার চাংগা হবে। যার সময় নাই সেও সময় বের করে ক্যাচাল দেখতে যাবে। লিংক চালাচালি হবে।
আপনার কমেন্টের জবারে বলি- লক্ষ্য উদ্দেশ্যের উপর সিন্ডিকেটকে ভাল মন্দ বলা নির্ভর করে।ধরেন কোন সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য হইল আড্ডাবাজী আর সবার উপর ছড়ি ঘুরানো।উদাহরণ হিসেবে জিসান মামুর সিন্ডিকেটের কথা বলি।
তাদের ব্যাপারে আপনার এই মন্তব্যটা ঠিক- এই ধরনের সিন্ডিকেটবাজী দ্বারা ব্লগের মুলত কোন ক্ষতি হয় নাই ফেসবুক স্টাইলের (যদি হাই হ্যালো পুত্তম পিলাস কস্কি মমিন টাইপ মন্তব্য বুঝিয়ে থাকেন) কিছু মন্তব্য কমে যাওয়া ছাড়া।
আবার ধরেন একদল দার্শনিক সাহিত্যিকের সিন্ডিকেটরে আতেল ফাতেল কইয়া সবাই ভাগায় দিল। অবশ্যই ক্ষতি হবে।

৪) হু, একমত
৫)মডারেটরদের পারসোনাল এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা কিংবা পলিটিক্স। ওই অর্থে মডারেটরদের পারসোনাল এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা টাইপ কোনকিছু সামুতে আমার চোখে পরে নাই।পলিটিক্স থাকতে পারে কিংবা ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দকে অগ্রাধিকার,স্পেস দেয়া,ট্যাকনিক্যালি সরিয়ে দেয়া কিংবা সফট পাওয়ার ব্যবহার এসব থাকতে পারে।অগ্রাধিকারের বিষয়সমূহ স্বাভাবিকভাবে হয়ে যায়। যেমন ধরেন,কোন মোডারেটর হয়ত নাগরিক সাংবাদিকতা ভাল বুঝেন।এই ধাচের পোস্ট তিনি ভাল মুল্যায়ন করতে পারবেন যেহেতু তার এ বিষয়ে দক্ষতা আছে।এইভাবে কোন একটা বিষয় অগ্রাধিকার পাইতে পারে।এইটা যে সচেতনভাবে পুশ করা তা না।তার স্কিলজনিত কারণে বিষয়টা আগায়া আসতে পারে।বিপরীতক্রমে অদক্ষতাজনিত কারণে কোন বিষয় পিছিয়ে বা উবে যাইতেও পারে।পার্সোনাল ইস্যু,থট, ফিলসফি, ইন্টারেস্ট,সারভাইবাল ইস্যু,ব্লগ প্রোমোশন বা সারভাইবাল ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে মডারেটরদের ছোটখাট পলিটিক্স লক্ষ্য করা গেছে।মানুষ যেহেতু রাজনৈতিক প্রাণি,স্বাভাবিকভাবে যে কোন প্ল্যাটফর্মে এসবের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে।
৬)উদাহরণের নামে অপুরে বেলের শরবত খাওয়ানোটা ভাল্লাগছে। ;) আপ্নে এই কামটা অতীব দক্ষতার সাথে পারেন। B-) হাফিংটন পোষ্টের লিডিয়া পলগ্রীনের এই বিষয়টা শেখার আছে। চালায়া যান। :)
৮) সময় বলে দেবে।
৯) আপনার মতামত জানলে পেরে ভাল্লাগলো।
১০) ৪০০০ এর উপর নতুন ব্লগার অপেক্ষা করছেন প্রথম পাতায় অনুমোদন পাবার জন্য।
খাইছে!মারহাবা না আলহামদুলিল্লাহ কমু।সামুর মাঠে সবার জায়গা হইব ত? ;) অপেক্ষার কারণ? সাধারণত প্রতি মাসে কতজন সামুতে রেজিস্ট্রেশন করে।
বাকিটা শোনার অপেক্ষায় রইলাম।মা আস সালাম।

১২৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ১১। ব্লগার ডার্ক ম্যানের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জেন রসি ভাই জানতে চেয়েছেন, একজন মডারেটরের কি নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব? নাকি চেক এন্ড ব্যালেন্স বেশি এফেক্টিভ?
এর উত্তর অনেকটা অপু তানভীরের প্রশ্নের উত্তরের মত। নিরপেক্ষতার চিরকালই প্রশ্নবিদ্ধ। কারন সবাই সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে চায়, বিপক্ষে কেউ চায় না। মডারেশনকে সব কিছু বিবেচনা করে সার্বিক সিদ্ধান্ত দিতে হয়। একজন মডারেটের কাজ শুধুমাত্র পোষ্ট নির্বাচন করা নয়। তাঁর আরো নানা বিধ দায়িত্ব আছে।

১২। ব্লগার সুপার ডুপার জানতে চেয়েছেন – এই ব্লগে পোষ্ট নির্বাচিত পাতায় আসতে কি কি ক্রাইটেরিয়া পূরন করতে হয়?

পোষ্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে একজন মডারেটরকে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। যেমন, লেখার মৌলিকত্ব, বিষয়ের বৈচিত্রতা, লেখনীর স্বকীয়তা বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ইত্যাদি বেশ কিছু মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে পোষ্ট নির্বাচিত হওয়া থাকে। পাশাপাশি, নতুন ব্লগারদেরকে উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক সময় পোষ্ট নির্বাচিত করার নুন্যতম যে মানদন্ড আছে তা কিছুটা সহজ করা হয়।

১৩। ব্লগার সুপার ডুপারের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জেন রেসি জানতে চেয়েছেন – বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় উৎসাহ না দিয়ে সামু পাবলিক সেন্টিমেন্টকে গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে করেন?

সামহোয়্যারইন ব্লগ একটি পোষ্ট মডারেশন ব্লগ। এখানে প্রকাশিত লেখার উপর মডারেশনের কোন হাত নেই। কোন নির্দিষ্ট ঘটনায় যে জনমত প্রকাশিত হয় তার ছায়াও ব্লগে পড়ে। ব্লগে যা প্রকাশিত হয়, নীতিমালা অনুসারে সেই সকল লেখাকে মডারেট করা হয়।

১৪। মাহমুদ ভাই মন্তব্য করেছেন মডু নিজেই দেখেন ব্লগ জমাবার জন্য টপিকভিত্তিক আলোচনা করছে ফেবুতে। লাইভ করছে কই? ফেবুতে। এটা প্রশ্ন ছিলো না, এটা ছিলো তাঁর মতামত।

এই বিষয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে – ঐ লাইভ অনুষ্ঠানটি ছিলো ঈদ উপলক্ষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা। এটা ব্লগ জমাবার চেষ্টা নয় এবং ব্লগে এই সংক্রান্ত কোন নোটিস বা পোষ্টও দেয়া হয় নি। ঐ লাইভ অনুষ্ঠানে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র সামহোয়্যারইন ব্লগের ফেসবুক গ্রুপের জন্য নির্ধারিত।

১৫। ব্লগার কুনোব্যাঙ ভাই প্রশ্ন করেছেন - মডারেশন কি সব্যসাচী চিন্তার কিনা? যদি না হয় তাহলে কেন নয়? করা সম্ভব কিনা? সম্ভব করতে পারলে সুবিধা কি? সম্ভব না করতে পারলে অসুবিধা কি?

একজন মডারেটর সব্যসাচী নন, তবে কাজের ক্ষেত্রে তাঁকে অনেক সময় অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করতে হয়, শেখার চেষ্টা করতে হয়। এতে একটা সময় তিনি অনেকগুলো বিষয়ে পুরো না হলেও অল্প জ্ঞান অর্জন করেন, যা দিয়ে একটি কমিউনিটি ব্লগে নুন্যতম কাজগুলো সম্পন্ন করা যায়। একজন শতভাগ সব্যসাচী মডারেটর নিয়োগ করতে পারলে এটা ব্লগের জন্যই ভালো হত।

১৬। জেন রসি জানতে চেয়েছেন মডারেশন প্যানেল ঠিক কতজনের এবং সে দায়িত্ব পালনে তাদের কে কি কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলতে হয়?
মডারেশন প্যানেলে একক ব্যক্তির উপর নির্ভর নয়। মডারেশনের কাজ অনেকটা জাহাজের ক্যাপ্টেনের মত। একজন জাহাজের ক্যাপ্টেন বেশ কয়েকটি বিভাগের কর্মীদের সমন্বয়ে জাহাজ পরিচালনা করেন। তেমনি আমাদের মডারেশন টিমেও বেশ কয়েকজন কাজ করেন। যেখানে মুল দায়িত্ব পালন করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মডারেটগণ। জানা আপা এই ব্লগের সম্পাদক, সঞ্চালক এবং মালিক। আমি সহ সম্পাদক এবং সঞ্চালক ও তার কর্মী। আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য একটি ছোট টিম আছে।
মডারেশনের দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ব্যক্তিগত মতামত, দর্শন, আবেগ অনুভুতি ইত্যাদি বাদ দিয়ে কাজ করতে হয়। এই সংক্রান্ত আমাদের নিজস্ব অর্থাৎ সামহোয়্যারইন ব্লগের একটি নীতিমালা আছে যা আমাদেরকে অনুসরন করতে হয়। কোন কারনে এর ব্যতয় ঘটলে জবাবদিহীতা মুখোমুখি হতে হয়।

১৭। পোস্ট সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে ঠিক কি ধরনের নীতিমালা মেনে চলা হয়? এবং পোস্ট সিলেক্ট করার দায়িত্ব কয়জনের উপর থাকে?
পোস্ট সিলেক্ট করার বিষয়ে ১২ নাম্বার প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, অনুগ্রহ করে তা দেখে নিন। পোস্ট সিলেকশনের দায়িত্ব বর্তমানে মডারেটরদের উপর ন্যস্ত।

১৮। বিভিন্ন টাইপ কন্টেন্ট গল্প কবিতা প্রবন্ধ ইত্যাদি সিলেক্ট করার মত দক্ষতা মডারেশন প্যানেলের আছে কি না? এবং তা নিয়ে মডারেশন প্যানেল কোন সমস্যা ফেস করেছে কি না?

সামহোয়্যারইন ব্লগের মত একটি কমিউনিটি ব্লগে কন্টেন্ট নির্বাচন করতে হয় খুবই সর্তকতার সাথে। এখানে দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ দুটোর সমন্বয় গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে প্রতিটি লেখার সাথে সুবিচার করার জন্য। এই ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে আমরা সফল হই তবে মাঝে মাঝে আমাদের ভুলও হয়। এই ক্ষেত্রে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আমাদের কিছু করনীয় থাকে না। তাছাড়া এইখানে নতুন ও শখের লেখকদের সংখ্যাই বেশি। তাই নতুনদের উৎসাহ দেয়ার ব্যাপারটিও এখানে লক্ষ্য রাখতে হয়।

১৯। যদি ব্লগাররা মনে করে থাকেন যে এই কনটেন্ট সিলেক্টে মডারেশন প্যানেলের দুর্বলতা রয়েছে তবে ঠিক কিভাবে সেটার সমাধান হবে?
একেকজন ব্লগারের একেক রকম মনোভাব, ফলে ভালো মন্দ, সফলতা বা ব্যর্থতার মানদন্ডও একেক রকম। দশজনের যা ভালো লাগছে না, অন্য দশ জনের সেটা হয়ত ভালো লাগে। তাই এখানে সুনির্দিষ্ট কোন সমাধান নেই। যা করনীয় তা হচ্ছে – কোন বিষয়ে কারো পর্যবেক্ষন বা মতামত থাকলে বা অভিযোগ থাকলে সরাসরি আমাদেরকে মেইল করলে আমরা একটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে ঐ অভিযোগটি অবশ্যই বিবেচনায় আনা হবে এবং অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

২০। জেন রসি প্রশ্ন করেছেন, মডারেশন প্যানেলের দুর্বলতা বা এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য সরাসরি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে খোলা মেলা আলোচনার সুযোগ আছে কি না? বিশেষ করে যারা মনে করেন মডারেশন প্যানেল সঠিকভাবে কাজ করছেন না।

যে কোন অভিযোগ করার সুযোগ অবশ্যই আছে। যারা ভাবছেন মডারেশন প্যানেল সঠিকভাবে কাজ করছে না, কিংবা মডারেট নিয়ে যাদের অভিযোগ আছে তারা সকলেই ইমেইলের মাধ্যমে এই অভিযোগ জানাতে পারেন। অভিযোগ পাঠানোর জন্য [email protected] এই ঠিকানায় নিজ নামে অথবা ছদ্মনামে মেইল করতে পারেন। এই ঠিকানায় মেইল করা আর ব্লগের মালিক পক্ষের কাছে মেইল করা একই কথা।

বাকি প্রশ্ন পরের কমেন্টে।


১২৪| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালোবাসা,
পোষ্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে একজন মডারেটরকে যে বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হয়, তার কথা বলতে গিয়ে আপনি কয়েকবার বলেছেন "বিষয়ের বৈচিত্রতা"। শুদ্ধ কথাটা হবে "বিষয়ের বৈচিত্র" অথবা "বিষয়ের বিচিত্রতা"
এ পর্যবেক্ষণটুকু ছাড়া আপনি যা বলেছেন, তার উপরে আমার কোন প্রশ্ন নেই। যেটুকু বলতে চান, তা বেশ স্পষ্ট করেই বলেছেন। এর বেশী যেটুকু বলতে চান না, সেটাও আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন এর বেশী কিছু বলা সম্ভব নয়। আমার জন্য বিশেষ করে, সেগুলো জানা ততটা জরুরীও নয়।
মন্তব্য এবং জিজ্ঞাসার ক্রমানুযায়ী উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন, এজন্য ধন্যবাদ।

১২৫| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৭

শায়মা বলেছেন: মাথা কাইটা ফেলাই যদি সমাধান হয়,মডু নামক মাথারও কোন দরকার দেখিনা।ব্লগ মডারেশন ছাড়াই চলুক।নির্বাচনী পাতা বাদ দিয়ে দিক। যার যার মত সে সে লেখা আপলোড করে চলে যাবে। অথোরিটি লিখে দিবে যার যার লেখার দায় তার তার।
আমরা বাবা আব্দুস সাত্তার ।



ভাইয়া আমার অকারণেই হাসি পায় যখন তখন। এর মাঝে তুমি আবার এসব লিখো যখন মাথা কাটা, মডু নামক মাথা, যার যার লেখার দায় তার তার।আমরা বাবা......:P তখন কি অবস্থা হবে ভেবে দেখেছো? হাসি পেলে আবার হা হা লিখতে গিয়েও ভাবতে হচ্ছে। শেষে আমার হাহা হিহি মাথাই কাটতে আসো কিনা....... :(

:P


যাইহোক,
এ বিষয়ে যেহেতু জাদিদ ভাই ফাইনাল বলেই দিয়েছে এখন এই বিষয়ে জানা আপার ভাবনা কি তা জানতে চাই।

জানা আপুনি নিশ্চয় সবই দেখছেন এবং পড়ছেন। এ বিষয়ে নিশ্চয়ই আপুনি খুব শিঘ্রী এসে যাবেন আশা করছি। :)

১২৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

শায়মা বলেছেন: খায়রুল আহসান বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালোবাসা,
পোষ্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে একজন মডারেটরকে যে বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হয়, তার কথা বলতে গিয়ে আপনি কয়েকবার বলেছেন "বিষয়ের বৈচিত্রতা"। শুদ্ধ কথাটা হবে "বিষয়ের বৈচিত্র" অথবা "বিষয়ের বিচিত্রতা"।
এ পর্যবেক্ষণটুকু ছাড়া আপনি যা বলেছেন, তার উপরে আমার কোন প্রশ্ন নেই। যেটুকু বলতে চান, তা বেশ স্পষ্ট করেই বলেছেন। এর বেশী যেটুকু বলতে চান না, সেটাও আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন এর বেশী কিছু বলা সম্ভব নয়। আমার জন্য বিশেষ করে, সেগুলো জানা ততটা জরুরীও নয়।
মন্তব্য এবং জিজ্ঞাসার ক্রমানুযায়ী উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন, এজন্য ধন্যবাদ। <<<<<<



ঠিক ঠিক ! আমারও আগে এমনি মনে হত। যে টুকু বলতে চায় ব্লগ তা বলবে যেটুকু বলতে চায় না তা ব্লগ বলবে না বা তার প্রয়োজনও পড়বে না বা পড়েও না। এমনকি আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেই আমি সেই খুশী নিয়েই থাকতাম। এবং আনন্দের সাথে দিনের পর দিন পড়ে থাকতাম এই ব্লগে।
একজন কদিন আগে একটা মজার কথা বলেছিলো, কত কুতুব এলো গেলো শায়মা ঠিকই থেকে গেলো। শায়মা আপা শেষ পর্যন্ত ব্লগ বলতে হয়তো আপনার কথাই মনে থাকবে। হা হা হা হা এই কথার প্রথমাংশ শুনে আমি হাসতে হাসতে শেষ। কিন্তু দ্বিতীয়াংশে মন একটু খারাপ হলো। কারণ শেষ পর্যন্ত ব্লগ বলতে আমাকেই তার মনে থাকবে তা খুশির কথা কিন্তু ব্লগের শেষ পর্যন্তের মাঝে একটা সুক্ষ বেদনার প্রছন্ন ইঙ্গিত আছে যেন।

যাইহোক এই কথাটা বললাম ব্লগ নিয়ে যেন এই কথাটার মাঝে এক হতাশার সূর ছিলো। আসলে ঠিক ঐভাবে থেকেছি বলেই টিকে আছি হয়তো এটা ভেবেই ব্লগ যা খুশি করুক এটা তাদের ভাবনা। নির্বাচিত পাতা আপডেট হোক বা না হোক কাউকে কিছু বলার নেই। কারণ এই নির্বাচিত পাতা নিয়েও অনেক হট্টগোল অনেকেই করেছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সত্যি বলতে গত দুদিন আগেও এমনই ভাবছিলাম।

নির্বাচিত পাতা প্রথম দিকে যাও বা আপডেট হত এখন দিনের পর দিন তা হয়না বা আমার ধারণা মডুভাইয়া ঠিক ঠাক না পড়েই প্রথম দু পাতা থেকে কয়েজটা পোস্ট বসিয়ে দিত। এই ধারনার কারণ আছে। কারণ আমি ব্লগে সময় দেই মানে লগ ইন থাকি। যেহেতু আগেই শুনেছিলাম ছুটির দিনে কেউ থাকে না। আমি আবার আমার পোস্ট সাধারনত ছুটির দিনেই লিখে থাকি বা বৃহস্পতিবারে কাজেই সেই রাত থেকেই নিশ্চয় মডু ভাইয়ার ছুটি শুরু হয় তাই কিছু মনে করিনি এবং মেনেও নিয়েছিলাম।

ঠিক এভাবেই মেনে নিয়েছিলাম নানা রকম পারিবারিক শাসন, স্কুল কলেজ বা অফিসিয়াল নিয়মনীতিগুলো। যা অন্যায় মনে হলেও কিছুই করার নেই ভেবে। আসলে সমাজ এবং পরিবার আমাদেরকে এমনই শিখিয়েছে। চুপ থাকো। এটাই রুল। আমি কর্তা বা মালিক আমার হুকুম মানতে হবে। আমি কারো জবাবদিহীর পাত্র নই। এই সব মেনে নিয়ে আমরা যারা চুপ করে থাকি তারা ভালো ...... যেমন তুমি সবার কাছে এবং আমিও । তবে আমি সবার কাছে না অনেকের কাছে। :)

তারপরও আমি কিন্তু আজ পর্যন্ত রুল ভাঙ্গিনি।
আজে বাজে শব্দে পোস্ট বা কমেন্ট লিখিনি। ( আমি তুমি বলি সবাইকে এটা অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে তাই বলে রুল বিরোধী না। ফানও করি কিন্তু সেটা অকারণে কাউকে হার্ট করার জন্য না তবে কেউ কেউ হয়ে যায় তখন আমি হয়তো কিছু রুঢ় আচরণ করেছি কিন্তু সব সময় খেয়াল রেখেছি যেন সেসব অশালীন গালাগাল না হয়ে পড়ে)
মোটামুটি সব ধরনের রুলস মেনেই চলেছি। প্রয়োজনে মেইল করেছি। অবশ্যই সাহায্য পেয়েছি। না উত্তর পেলেও কিছু মনে করিনি।
আমি টিকে থেকেছি-
দিনের পর দিন অনঢ় অটল নির্বাচিত পাতা দেখে।
দিনের পর দিন কমেন্ট ফ্লাডিং দেখে
দিনের পর দিন অশালীন মন্তব্য ( রিপোর্ট না করা পর্যন্ত) দেখে
দিনের পর দিন মানুষের কপি পেস্ট পোস্ট ও চুরির পোস্ট দেখে
দিনের পর দিন পুরোনো সব ব্লগার ঝরে পড়া দেখে( যদিও তা স্বাভাবিক প্রকৃতির নিয়ম মনে করি)
দিনের পর দিন ব্লগ নিয়ে কোনো নতুন ভাবনা বা এর উন্নয়নের চিন্তা না দেখে।

শুনেছিলাম ব্লগের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। তাই ব্লগ চলছে এমন ঢিলেঢালা নজরদারী বিহীনভাবে। তাহলে তো সেই মাহমুদভাইয়ার কথাই বলতে হয়। মডারেশনের দরকারই নেই। যে যা খুশি পোস্ট করুক।

কথা সত্যিই মনে হয়েছে আমার। আর এই পোস্ট পড়ার পরে ও সকল কমেন্ট রিপ্লাই পড়া ও বুঝতে চেষ্টা করে বুঝলাম।
পরম সত্য বলে আসলেই কিছু নেই। এই পৃথিবী পরিবর্তনশীল। নইলে যুগে যুগে এত বিপ্লব এত পরিবর্তনও হত না। তাই মনে হয়েছে আমরা যা ভাবিনি, আমরা যা বুঝিনি বা বুঝার চেষ্টাই করিনি। যেমন মা বলেছিলো সকালে উঠে গলা সাধলেই শুধু গলা ভালো হয়। সেই বিশ্বাসে আজীবন এই কষ্টকর কাজ করে গেছি। অন্য সময়ে সময় পেলে গলা সেধে ভেবেছি না ঠিক হলোনা। মায়ের কথাই ঠিক ছিলো।

কিন্তু কদিন আগে এক নিউ জেনারেশন বললো, তা কেনো হবে? যেকোনো সময় সাধলেই হবে। নিজে পরীক্ষা করে দেখেছো?

ঠিক একইভাবে আমরা যা ভাবছি বা ভেবেভেবে মেনেও নেই অন্য কেউ তার উলটো দিকও ভাবতে পারে। আর এভাবেই হয়ত পরিবর্তন সম্ভব!!!!




১২৭| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: আমার মন্তব্য কোন ভাবেই কোন প্রশ্ন ছিল না । সেটা ছিল কেবল মাত্র আমার ব্লগ জীবনের সেই শুরু থেকে মডারেটরদের আচরন পর্যবেক্ষন সাপেক্ষে ! একজনের আচরন পক্ষপাতহীন নাকি নিরোপেক্ষ সেটা অনেক ক্ষেত্রেই সে নিজে বুঝতে পারে না । সেটা আশের আর দশজন মানুষ বেশি ভাল বলতে পারে ।
যাই হোক মাননীয় মডারেটর সাহেব যখন ধরেই নিয়েছেন যে আমার লেখা আর নির্বাচিত পাতায় না যাওয়ার কারণেই আমি এমন মনভাব পেষণ করি তাহলে সেটাই সম্ভবত সঠিক । যদিও আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না যে আমার গল্প ব্যাপারটা এখানে কিভাবে এল ! হয়তো আমারই ভুল হয়েছে । মাননীয় মডারেটর সাহেব যখন বলেছেন তাহলে এটাই সঠিক হবে। :D

জনরেসি ভাই, আপনি যেটা জানতে চেয়েছে, ব্লগের অবস্থা ব্যাপারে আমি আশার আলো কম দেখতে পাচ্ছি । সেই ২০১৩/১৪ সালের পর থেকে ব্লগের অবস্থা দিনকে দিন যেমন নিচের দিকে যাচ্ছে সেটা সামনে আরও খারাপের দিকে যাবে । আগে মানুষ খুজে খুজে সামুর লেখা পড়তো । এখন সামুকে খোজার তাদের দরকার নেই । সামুতে তারা যা পেত, যার জন্য আসতো সেটা তারা এখন অন্য মাধ্যমেই পাচ্ছে, আরও সহজে !

১২৮| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @ অপু, প্লীজ ডোন্ট গেট মি রং। আমি আপনার কথা টেনেছি একটি উদহারন হিসেবে। মডু নিরপেক্ষ বা অনিরপেক্ষ কিভাবে বুঝা যায়?

আমি বহু আগে থেকেই আপনার গল্প পড়ি। আপনার লেখা প্রেমের গল্প আমার ভালো লাগে। আমার ধারনা খুব কম সময়ের মধ্যে আপনি মাথায় প্লট এনে লিখতে পারেন। এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। তবে মাঝে মাঝে অনেক সময় হয়ত কিছুটা তাড়াহুড়ায় বা সময় না নেয়ার কারনে বা অন্য যে কোন কারনেই হোক কোন একটা লেখা কিছুটা দুর্বল হতেই পারে। ফলে একজন পাঠকের দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে সেটা হয়ত আমি আপনার সেরা লেখার মধ্যে ফেলব না।

এখন আপনি কখনও কোন বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেন নি বা এই বিষয়টিকে গুরুত্বও দেন নি। কিন্তু ধরুন আপনার জায়গায় অন্য কেউ। তিনি হয়ত বললেন, কই মডারেট আমার গল্প তো সিলেক্ট করে না, তিনি অমুকের গল্প সিলেক্ট করেছেন। বা ধরুন জেন রসি ভাই একটা পোস্ট দিলো এবং ধরুন আমার গাফিলতির কারনে তা নির্বাচিত হলো না। তিনি হয়ত ভাবতে পারেন - এই রে আমি তো মডারেশন নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছি, কথা বার্তা বলেছি, সেই কারনে মডারেটর ক্ষোভের কারনে আমার পোস্ট নির্বাচিত করে নাই।

অথচ বাস্তবে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। কিন্তু ধরে নেয়া হলো - এখানে পক্ষ নেয়া হয়েছে। আমি সেইভাবে বুঝাতে চেয়েছি।
আশা করব আমার ব্যাখ্যার পর আপনার এই বিষয়ে আর কোন ভুল ধারনা নেই।

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৩৮

জেন রসি বলেছেন: বা ধরুন জেন রসি ভাই একটা পোস্ট দিলো এবং ধরুন আমার গাফিলতির কারনে তা নির্বাচিত হলো না। তিনি হয়ত ভাবতে পারেন - এই রে আমি তো মডারেশন নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছি, কথা বার্তা বলেছি, সেই কারনে মডারেটর ক্ষোভের কারনে আমার পোস্ট নির্বাচিত করে নাই।

কাভা ভাই, আমার পোস্ট নির্বাচন না করলে আমি বলব মোডু মূর্খ। :P শুধু গণতন্ত্র আর মানবতাবাদ দুইটার প্রেমে একসাথে পরে একটু বিপদে পরে গেছি। ব্রেকাআপও হচ্ছেনা। তাই হিটলার হইতে পারতেছিনা। B-)

যাইহোক, পোস্ট নির্বাচন না করেন, মাঝেমাঝে খাওয়া দাওয়ার দাওয়াত দিয়েন। আপনার সাথে বেশ কয়েকবার আড্ডা দিয়ে মজা পাইছি। আপনি গল্প জমাইতে পারেন।

১২৯| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৪১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: @জেন রসি
চামে মুরগী হালাল হয়ে গেল :P

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৪৬

জেন রসি বলেছেন: লাইনে আসুন। নাহয় তফাৎ যান। ;)

১৩০| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২০

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি বলেছিলাম যে, আমি সময় করে বিস্তৃত আলোচনা করে যাব। তখন শুধু পড়ে গিয়েছিলাম পোস্ট ও মন্তব্যগুলো।

১. ব্লগের পতনের কারণ আছে। যদি বিশেষ করে সামুর পতনের কারণ বলা হয় তাহলে বলব সাময়িকভাবে সামু বাংলাদেশে বন্ধ ছিল। আস্তিক নাস্তিক কম বেশি সব ব্লগেই ঝামেলা ছিল ও থাকবে। কম বা বেশি বলেন। হ্যাঁ একটি সময় ব্লগার মানেই নাস্তিক শোনা যেত। আমাকেও শুনতে হয়েছে। কিন্তু এতে ব্লগে ধাক্কা লাগলেও এত বড় ধাক্কা লাগেনি যতটা লেগেছিল সামুতে বাংলাদেশে ডিজিটাল খড়গের।
২. ফেবু, টিকটক, মেসেঞ্জার, টুইটার, ইউটিউব, ডিজিটাল পত্রিকার মন্তব্য- এসবের একেকটা বৈশিষ্ট্য একেকরকম। এগুলোর সাথে তুলনা দেওয়া ঠিক হবে না। সে দিক দিয়ে পিছনে থাকলেও উত্তরণের জায়গা রয়েছে। যেখানে শক্তিশালী সমকক্ষ হতে পারে। সে ব্যাপারে সামনে আলোচনা আসছি।
৩. দলবাজি, সিন্ডিকেটবাজি যা একেবারে কাম্য নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি নির্দিষ্ট দলমতকে জোড় করে প্রতিষ্ঠা করা অন্যায়। সেটা যত খারাপ বিষয় হোক না কেন। খালি চোখে মডুদের দায়ী করা যেতে পারে। যেখানে যেমন ব্লগার তেমনি মডু হবে। এটাই নিয়তি। তবে এ থেকে উত্তরণের সুযোগ রয়েছে। ব্লগে প্রায়ই ব্যক্তি আক্রমণ হয়, বাজে ভাষায় সহব্লগারকে ভর্ৎসনা করা হয়। এই ব্যাপারে রিপোর্ট করলেও বাজে মন্তব্য মুছে ফেলাতো হয় না। সিন্ডিকেটবাজি আছে ও থাকবে। উপরে যারা মন্তব্য করে এর মধ্যেই কয়েকজন আছে। তাদের পোস্টে মন্তব্য পক্ষে না আসলে মুছে ফেলা হয়, সব মন্তব্য অনুকূলে দেখে তৃপ্তির ঢেকুর উঠে হয়ত। :)
৪. ডিজিটাল আইন-বাকস্বাধীনতা ও উপরের হর্তকর্তা নিয়ে বাড়তি আলোচনার কিছু নাই। তবে ব্লগে ...কানা বা অন্ধের অভাব নাই। কষ্ট হয় এটা ভেবে যে, এরাও ব্লগার।
৫. মডু কি সাপোর্ট করে কি করে না, তা আপনি বা আমি বা আমাদের ব্লগের সহব্লগাররা ব্লগিং করার সময় ঠিকই কিছু না কিছু বুঝি। সামু বা ব্লগের people's choice অনুসরণ করা উচিত। মানুষের পছন্দকেই নির্বাচনের পাতায় ঠায় দেওয়া উচিত। ব্লগের বিষয় বিভাগ তেমন সক্রিয় নয়।
সামুর moderation বিভাগ হয়ত ঠিক পথেই আছে। মাঝে ভুলবুঝাবুঝিও আছে যা কাল্পনিক_ভালোবাসা সাহেব ১২৩. মন্তব্যে বিস্তারিত বলেছেন। তবে একে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সেই আশাতেই আছি।

মূল কথা উত্তরণের পথ কি ..... ?
হ্যাঁ সম্ভব। সামুকে ডাইনামিক হতে হবে। এই মান্ধাতা আমলের পদ্ধতিতে থাকলে হবে না। একট সময় ইউটিউব এর ব্যবহারকারীরা কম্পিউটারের ছিল, এখন ৭০% ব্যবহারকারী মোবাইল থেকে ইউটিউব ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে ইউটিউব এ্যাপেই কিন্তু সব ইউটিউব এর ভিডিও দেখা হয় না। WhatsAppও YouTube integration হয়েছে। সেখানেও শেয়ার হচ্ছে, দশর্ক হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলছি। আমি এখানে ফেবু, ইউটিউবের বিজ্ঞাপন করছি না। আমি বুঝাতে চাচ্ছি evolve নিয়ে। সময়ের সাথে সাথে সামু পিছনে পরে যাচ্ছে। সামুর লেখা সম্পাদনাটার পৃষ্ঠা ও ধরণ চাইলে আরও উন্নত করতে পারে। আরেকজনের পোস্টের মন্তব্যের সাথে আলোচনায় ঠিকমত অংশ নেওয়া যায় না। সে '@' আলাদা মন্তব্য বক্স আসলে ভাল হত। শুধু মাত্র পোস্টদাতার সাথেই আলোচনার উত্তর পাওয়ার বক্স আসে। সেখানে উন্নত করা উচিত।
সামুর নিজের এ্যাপটাই যাচ্ছে তাই। এটাকে আরো অনেক আধুনিক করতে হবে। মোটামোটি সবাই এখন উন্নত মোবাইল ব্যবহার করে। সেখানে পোস্ট ও মন্তব্য করার ব্যবস্থা করা উচিত।
সামুতে মাইনাস বাটনটাকে প্রায় মনে পরে। এটাকে ফিরিয়ে আনা উচিত। একে ঘিরে অনেক সুখের ও তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে।

বাজেট: আমার মনে আছে, অনেক আগে সামুর উন্নয়ন বা উন্নতি নিয়ে ব্লগার মতামত চাওয়া হয়েছিল। ঠিক মনে আসছে না পোস্টের বিষয় তবে এ জাতীয় কিছু হবে। সেখানে আমি ব্লগের আর্থিক ব্যাপারটাকে সহযোগীতা করার জন্য প্রিমিয়াম সদস্যের ব্যাপারটা বলেছিলাম। যেখানে মাস বা বছর ভিত্তিক অর্থের বিনিময়ে ব্লগাররা চাইলে বিজ্ঞাপনবিহীন বাড়তি কিছু সুবিধা সহ ব্লগ পেইজ পেতে পারে। যেখানে নিজের মত করে মূল পৃষ্ঠা সাজানো বা মন্তব্যে ফুটনোট ইত্যাদি বা নিজেই নিজের বিজ্ঞাপন দিতে পারে এমন কিছু প্রিমিয়াম সুবিধা বা এরকম কিছু। তখন ব্লগ কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে, তাদের সামু ছাড়াও আরও কিছু সহযোগী প্রতিষ্ঠান আছে যেখানের আয় থেকে সামু সুন্দর মতই চলে। কোন সমস্যা হচ্ছে না বা আপাতত আর্থিক সহযোগীতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখন শুনছি যে, সমস্যায় আছে! সামু চাইলে এখনও এই এরকম ব্যবস্থা করতে পারে। যেমন নতুন ফ্রি সামু রেজিস্ট্রেশন প্রোগ্রাম যেখানে পোস্ট করতে অপেক্ষা করতে হবে, মন্তব্যের সীমাবদ্ধতা থাকবে। পেইড সামু রেজিস্ট্রেশন, যেখানে ফি ১০০ টাকা। সেখানে নতুন ব্যবহারকারীর মত অপেক্ষা করত হবে প্রথম পাতায় পোস্টের জন্য। এরপর পেইড সদস্যপদ বিজ্ঞাপনবিহীন ১০০ টাকা মাসে বা বছরে ১০০০ টাকা বা ৩ বছরের জন্য ২০০০ টাকা। এরকম কিছু। তবে এটা করা যেত তখনই যখন সামু আসলেই জনপ্রিয় ছিল। এখন এতে বিনিয়োগ ছাড়া সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করা যাবে না। বিনিয়োগ করতে হবে সামুর উপস্থাপনার উন্নতিতে, যাতে মানুষ আকৃষ্ট হয়। মানুষের ব্যবহার উপযোগী হতে হবে সহজ মাধ্যমগুলোতে, যেমন মোবাইল। সামু চাইলে এখানেও রেডিও চ্যানেল বা গানের jukebox যুক্ত করতে পারে। বা তৃতীয় পার্টনার এর সাথে চুক্তি করে কিছু একটা করতে পারে। অনেকে লেখালেখির পাশাপাশি গান শুনে অভ্যস্ত তাদের ভাল লাগবে। অন্যান্য বার্তার এ্যাপ থাকা সত্ত্বেও ফেইসবুক নিজের ম্যাসেঞ্জার তৈরী করেছে। এতে তাদের বৈশিষ্ট্যকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। মাসিক বা সাপ্তাহিক গল্প, প্রবন্ধ, কবিতার আসর করা যেতে পারে। এখান থেকে বিজয়ীদের ডিজিটাল গিফট ভাউচার দিয়ে ব্লগারদের অনুপ্রাণিত করা যেতে পারে। এগুলো করতে হবেই বলে কথা নেই।

উপরের সারমর্ম হল সামুকেও কিছু একটা innovative এ যেতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ ব্লগের উপর আস্থা ফিরে পায় ও আকৃষ্ট হয়।

মডারেশন প‌্যানেল ছোট, আর্থিক সমস্যা আছে এগুলো গ্রহণ করতে কষ্ট হয়। আর্থিক সমস্য কাটিয়ে উঠলেই মডারেশন প‌্যানেলকে সুগঠিত করতে হবে।
শখের কবির কবিতা হলেই যে, যে কেউ মডারেটর বা মানুষ সেই কবিতা বুঝতে পারবে তা মাথা থেকে বাদ দিতে হবে। যার যে বিষয়ে পান্ডিত্য আছে সে, সেই বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারা উচিত বলে মনে করি।

১৩১| ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:০০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চাঁদ গাজীর মন্তব্য ভালো লেগেছে। আমি এখন এধরণের পোস্ট এ কমেন্ট করি না। তবে কমেন্ট দেখতে ভুল করি না। আসলে আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি সব কথা বলা হয়ে যায়। তাই মন্তব্য না করে মন্তব্য পড়ি।

এতটুকু বলতে পারি ব্লগ আর ফেসবুক ভিন্ন অধ্যায়। দুটোই নিজস্ব গতিতে চলবে। মডারেশন নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। বিজ্ঞ ব্লগার কৌশিক যখন বললেন ফেসবুকে লিখেই এখন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তখন কিছু টা অবাক হলেও তার কথার মধ্যে যুক্তি খুঁজে পেলাম। ফেসবুকের এক্সেস এখন তৃণমূল পর্যায়ে। ব্লগ ওখানে পৌঁছতে পারবে না কখনো। ওখানে মডারেশন বিষয় টি নেই।

ওখানকার দলবাজি ভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শ পেশা প্রতিষ্ঠান পরিবার ইত্যাদি। ফেসবুকের কল্যাণে এখন যেন সবই জানা । শের শায়েরী ফেসবুকেও আছেন। উনি কিন্তু সেখানে ব্লগের মতো লিখেন না। লিখলেও তা পড়ি না। এখানে পড়ি। উনি প্রফেশন লব্ধ জ্ঞান উহ্য রাখেন আমিও। এটা প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থ সংরক্ষণে। আমি লিখি আমার মনের কথা কবিতায় উনি লিখেন আকর্ষণীয় বিষয় নিয়ে যথেষ্ট পড়াশোনা করে। চাঁদগাজীর পোস্ট ভিন্ন ধরনের। হাসান মাহবুব লিখেন তার স্বকীয়তা স্পষ্ট।

ব্লগে বিবাদের অন্যতম বিষয় মডারেশন। অন্যান্য ক্যাচাল তো আছেই। ক্যাচালের বিষয় টি খুজপাচরা চুলকানোর মত। যত চুলকাবেন তত ভালো লাগবে শরীর ক্ষতবিক্ষত হবে রক্ত বের হবে তবু আরাম লাগবে। এই ভালো লাগা বিকৃত ভালো লাগা । মানুষকে হেয় করার চেয়ে অসভ্যতা আর কিছু নেই। তবুও অনেকের কাছে এর চেয়ে মজা দায়ক কিছু নেই। অন্তত বঙ্গীয় বদ্বীপে এমন ই চলছে।

ব্লগ যদি এলিট হয়ে থাকে ফেসবুক আমজনতা। গণতান্ত্রিক বিশ্বে আমজনতাই যে সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম। ফেসবুকের শক্তি তাই অন্যরকম।

১৩২| ২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট এবং সবগুলি মন্তব্য পড়ার পর আমার যা মনে হলঃ
আমারে মাইরা কাইটা টুকরা টুকরা করে ফেললেও সেটাও রাজি আছি, মাগার সামুর মডারেটরের চাকুরি কোন দিনও করবো না। এর চেয়ে না খেয়ে ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়াবো তাও ভালো!
বাপ রে, বাপ এত প্যারা।


জানা আপু, এম আই টি কিংব নাসার কাছে একটা কাসটমাইজড রোবটের অর্ডার দিতে পারে।
তাতে যদি সব ব্লগারদের প্রবলেম সলভ হয়!

১৩৩| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১২

মা.হাসান বলেছেন: একটি হাইপোথিটিক্যাল প্রশ্ন-- কাল্পনিক_ভালোবাসা চাইলে কি জানা আপাকে জেনারেল বা ওয়াচ বা ব্লক করতে পারেন?

১৩৪| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন একটি আলোচনার সূত্রপাত করার জন্য ধন্যবাদ। অনেকেই (প্রায় সবাই) মন খুলে কথা বলেছেন, মডারেটরসহ। এখন এ আলোচনাটির একটা সার সংক্ষেপ বের করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখা যেতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.