![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আম্মা হাসপাতালে, ডায়ালাইসিসে। আমার বন্ধু আসছে উনার সাথে দেখা করার জন্য, কুশলাদি বিনিময়ের পর আমার সাথে চিকিৎসার ব্যাপারে কথা বার্তা বলতেছে।
এখানে সুযোগ সুবিধা কেমন, চিকিৎসার মান কেমন, ডাক্তার নার্স পাওয়া যায় কিনা, আচরণ কেমন এইসব আর কি। একপর্যায়ে এখানে চিকিৎসা নেয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলো।
বললাম যে, এখানে ডায়ালাইসিস করতে হলে দরখাস্ত করতে হয়। তারপর সিট খালি হওয়া সাপেক্ষে ফোন করে। এবং আলোচনা করে স্কেজিউল পাওয়া যায়। তাতে প্রায় এক থেকে দুইমাস সময় লাগে। ততদিন অন্য কোথাও ডায়ালাইসিস করতে হয়(কিডনি রোগীদের সারাজীবন ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে বেচে থাকতে হয়)। তারপর আমার বন্ধু আমার কাছে জিজ্ঞেস করতেছে যে এখানে এই সময়ের মধ্যে স্কেজিউল পাওয়া কিভাবে সম্ভব হয়। অনেকেই তো এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। বললাম যে এখানে মাসে চার থেকে আট টা সিট খালি হয়। তো সে আবার জিজ্ঞেস করলো, এত রোগী, এরা কোথায় যায়?আমি আর কি বলবো, বললাম যে, তারা চিরদিনের মত চলে যায়।
পুনশ্চঃ
হাসিব সাহেব, পাছ ছয় মাস যাবৎ ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন, নিয়মিত স্ত্রীর সাথে আসেন। সাতাশ আঠাশ বছর বয়স, দুই বছর হলো বিয়ে করেছেন, আট মাসের একটা ছেলে বাবু আছে, কিডনী চেঞ্জ করবেন, স্ত্রী কিডনীদাতা।
শারীরিক কিছু জটিলতার জন্য তার চিকিৎসা চলছে, নিয়মিত দেখা সাক্ষাতে হৃদ্যতা সৃষ্টির কারন। আজকে একটু তাড়াতাড়ি চলে আসছেন, শরীর খারাপ।
হাসিব সাহেবঃ ভাই শরীরটা খারাপ খুব, এই জন্য একটু তাড়াতাড়ি চলে আসলাম।
আমিঃ ভাই প্রেশার কেমন, হিমোগ্লোবিন এর রেটিংস কত?
হাসিব সাহেবঃ প্রেশার তো অনেক হাই, উপোরেরটা ২৩০ আর নিচেরটা ১২০-১৩০, আর হিমোগ্লোবিন ৮ ছিল গত সপ্তাহে।
আমিঃ প্রেশারের তো যাতা অবস্থা, আর রক্ত নেয়া তো ফরয আপনার জন্য (নিজের রোগি দেখতে দেখতে অনেক কিছু জানা হয়ে গেছে।)।
হাসিব সাহেবঃ ভাই একবার রক্ত নিলে একুশ দিন পিছায়ে যায় অপারেশন, আর প্রেশার কোন ভাবেই কন্ট্রোল হচ্ছেনা।
আমিঃ প্রেশার এরকম থাকলে তো আপনাকে ও.টি. তে ঢোকাবেনা।
হাসিব সাহেবঃ চিকিৎসা চলতেছে, কিছুই বুঝতে পারতেছিনা।
এই পর্যায়ে উনি অসুস্থ হয়ে যান, শ্বাসকষ্টটা হতে থাকে, সিস্টাররা ডাক্তার এটেনডেন্ট সবাই ছুটে আসে, এর মাঝে উনি একবার মাকে ডাকলেন তারপর বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান, উনার স্ত্রী পাগলের মত এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন, এরপরই ডাক্তার উনার বুকে চাপ দিয়ে থেমে যাওয়া হৃদযন্ত্র চালু করার চেষ্টা করলেন, অনেক কিছুই করলেন বা করার চেষ্টা করলেন, অবশেষে তাকে মৃত ঘোষণা করলেন। পুরো ব্যাপারটা পাচ মিনিট মত সময়ের মধ্যে ঘটে গেলো।
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬
মামুন্ বলেছেন: রোগী হিসেবে আমরাও খুব বাজে, একেবারেই নিয়ম মেনে চলতে পারিনা। তবে BSMMU তে চিকিৎসার মান বেশ ভালো।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩১
সনেট কবি বলেছেন: আমার বুকে চাপ এবং কারেন্টের হিট দেওয়া হয়েছিল। জ্ঞান ফিরার পর আমি দেখলাম আমার শরীর একেবারে বরফ। ডাক্তার বললো আমি মরার পর ফিরেছি। আর এখন আমি ব্লগিং করছি।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৪১
কাইকর বলেছেন: খুব বাজে অবস্থা
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে চিকিৎসার মান খুব বাজে।