নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

facebook.com/thinkingperson

রেটস_অয়ন

কি লিখব জানি না.................

রেটস_অয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

One day journey to My Home town Comilla.

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

One day journey to My Home town Comilla.

সাধারনত ফেসবুকে স্ট্যাটাস আমি কম ই দেই, কারন পোস্টে লাইক কমই পাই। লেখক যেমন বই লিখে মন্তব্য পেলে খুশি হই তেমনি আমরা ফেসবুকিয়ানরা লাইক কমেন্ট পেলে ভীষণ খুশি হই। প্রতিদিন ই যখন বাহিরে কোন না কোন মজার ঘটনা ঘটে তখন চিন্তা করি বাসাই গিয়ে সুন্দর করে একটি স্ট্যাটাস দিব, বাসে বসে বসে চিন্তা করি কি লিখবো কিভাবে লিখব। কিন্তু বাসায় এসে চিন্তা করি স্ট্যাটাস দেওয়ার পড়ে যদি লাইক না পড়ে! সেই চিন্তায় আর দেওয়া হয় না। কিন্তু আজ আর থামার ইচ্ছা নেই, আশা করি শেষ পর্যন্ত আমি এটা ফেসবুকে দিতে পারব। অন্তত কাছের দুএকজন বন্ধুতো লাইক দিবে।

কাজের কথায় ফিরে আসি, গত কাল রাতেই ঢাকা থেকে কুমিল্লার উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেই। গন্তব্য কুমিল্লা ক্যান্টর্নম্যান্ট। অবাক হলাম কারন মাত্র ২ ঘন্টায় পৌছে গেলাম। মা কিছুক্ষন পরপর ফোন দিচ্ছে-বুঝলাম কাছে থাকলে ভালোবাসা বুঝা যায় না, মাকে খুব অনুভব করছি। রাত দশটার দিয়ে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু মনির ফোন দিয়ে বলল যে আমি চলে যাওয়াতে তার মনে হচ্ছে যে পুরো ঢাকায় সে একলা, আমি ভাবলাম পাগলটা কি বলে, কয়েকঘন্টা আগেইতো আমাকে বাসে উঠিয়ে দিল তাও আবার কাল বিকেলেই তো ঢাকায় ফিরে ওর সাথে আমার দেখা হবে। যাই হোক রাতটা বিভিন্ন ভাবে কাটিয়ে সকালে গেলাম সেই কাজে যা করতে এসেছিলাম, আমার নিকট আত্মীয় ও বন্ধুরা অবশ্য জানে আমার এখানে আশার উদ্দেশ্য, আপনাদের বলব কিনা ভাবছি, কারন আমি এক পরাজিত সৈনিক, ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে গতবার পরাজিত হয়ে এবার আবার এসেছি ময়দানে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা! চিন্তায় ছিলাম মেডিকেলের জন্য পরীক্ষা দিব কিনা, কারন যা ইকটু পড়েছি তাও ভার্সিটি এডমিশনের জন্য। শেষ পর্যন্ত লাস্ট ডেট এর আগের দিন এপ্লাই করলাম, ফলাফল ঢাকায় কোনো সিট নেই, ঢাকার বাহিরে যেতে হবে, কিছুক্ষন চিন্তা করে কুমিল্লা সিলেক্ট করেছিলাম আমার হোম টাউন।

পরীক্ষা মোটামুটি হলো তবে হয়তো বা এবারও হেরে যাব। আজ বিকেলে রওয়ানা দিতে গিয়ে দেখলাম হালকা বৃষ্টি হচ্ছে, কিছুক্ষন অপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়লাম। একা হাটাটা বোধ হয় বিরক্তিকর তাই হেডফোনটা লাগিয়ে এফএম শুনবো চিন্তা করলাম, আমি সাধারণত গান শুনি না তাই মোবাইলে কোন গানও নাই। আফসোস এখানে কোনো রেডিও স্টেশনই টিউন করছে না। কি আর করা ময়নামতি স্ট্যান্ড এ এসে পৌছালাম। কুমিল্লায় এলে সবার আগে যে জিনিষটা সবার খেতে ইচ্ছা করে তা হলো কুমিল্লার মাতৃভান্ডারের রসমালাই, কিন্তু দোকান খুজতে গিয়ে দেখলাম প্রায় সব দোকানেই লিখা মাতৃভান্ডারের রসমালাই,আসল মাতৃভান্ডারের রসমালাই, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মাতৃভান্ডারের রসমালাই আরো কত কি! মজার ব্যপার হলো একাটি দোকানে তো লিখা দেখলাম “কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী মাতৃভান্ডারের রসমালাই -নকল হইতে সাবধান, আমাদের কোথাও কোন শাখা নেই”। হাসতে হাসতে পেটে খিল, নিজেরাই নকল আর ওরা বলে নকল হইতে সাবধান! রসমালাই খাওয়ার মুডটাই চলে গেল। চিন্তা করলাম, হালকা বৃষ্টীতে চা বা কফি হলে মন্দ হয়না, পাশাপাশি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য একটা খোড়াক পাওয়া যাবে। ময়নামতিতে কফি হাঊস নামে একটা বড়াকারের ঢাবা আছে সেখানে গেলাম। কিন্তু নাহ! কপাল মন্দ আমার স্মার্টফোনটা তো বিক্রি করে দিয়েছি, এখন যেটা আছে তাতে তো ছবিও তোলা যায় না আর ইন্টারনেট তো দূরের কথা। আবার মনটা খারাপ হয়ে গেল, প্রভাব পড়ল ওয়েটারের উপর। লোকটা কিছুক্ষন বকশিশের জন্য দাঁড়িয়ে থেকে বিষণ্ণ মনে চলে গেল। আমিও সেখান থেকে বেড় হয়ে বাসে ঊঠলাম। হটাৎ মনে পড়ল আরে আমার সাথে তো ল্যাপটপ আছে, তাই বাসে বসেই লিখা শেষ শুরু করলাম অতঃপর এখন শেষ করতে চলেছি। আর কোন কিছুই বলার মত ঘটলো না। সময় ঠিক সন্ধ্যা ছয়টা, দেখা যাক কয়টা বাজে ফেসবুকে দিতে পারি। এখন শুধু বাসায় পৌছে মার মুখখানা দেখার অপেক্ষায়......



পোস্টটি ফেসবুকের জন্য লিখেছিলাম, কিন্তু চিন্তা করলাম ব্লগেও দিয়ে দেই। :P

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.