নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার ছেলে মাওলানা কমারুল গাফ্ফার

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশী !

রাতুলবিডি৫

দেওবন্দী চিন্তাধারার অনুসারী । ভন্ড পীর, রাজাকার ধর্ম ব্যাবসায়ী সব খেদাই !

রাতুলবিডি৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাসিরুদ্দীন আলবানী-সম্বন্ধে কয়েকটি প্রশ্ন এবং তার উত্তর

১৩ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

নাসিরুদ্দীন আলবানী-সম্বন্ধে আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল।



১/ সে যে পদ্ধতিতে হাদিস যাচাই বাছাই করেছে সেটা সঠিক কিনা ?

২/ সে অনেক সহীহ হদীসকে যঈফ এবং যঈফ হাদীসকে সহীহ বলেছে একথা সত্য কিনা?

৩/ সে একই রাবীকে কোন সময় সিকাহ বা গ্রহনযোগ্য এবং অন্য কোন সময় ‘‘বাতিল’’ বা অগ্রহনযোগ্য বলেছে একথা সত্য কিনা?


(প্রশ্নকর্তা- জুলকারনাইন)





১ নং প্রশ্নের উত্তরঃ-



ভিন্ন চিন্তা চেতনার অধিকারী আলবানী সাহেব কোন প্রতিষ্ঠানে বা কোন উস্তাদের নিকট পড়া লেখা করেন নাই, নিজস্ব গবেষনার মাধ্যমে সুন্দর বিন্নস্ত আকারে অনেক গবেষনা মূলক বই পুস্‌তক পাঠকবর্গকে উপহার দিয়েছেন।

তাই এতে তিনি হাদীস যাচাই বাছাইয়ে হাদীস শাস্ত্রের বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ ও তাদের প্রনীত মূলনীতির পরোয়া না করে নিজ মতাদর্শকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করেছেন। একারণে বিচক্ষন উলামায়ে কেরামের নিকট হাদীসের মান নির্ধারনে আলবানী সাহেবের গবেষনায় অনেক ক্ষেত্রে মতবিরোধ হয়েছে, এমন কি হাদীস গবেষনার জগতের বিজ্ঞ উলামাগন আলবানী সাহেবের ভূলত্রুটি একত্র করে ৫০ টির অধিক পুস্‌তক রচনা করেছেন।

তাম্মধ্যে

১। তানাফুজাতে আলবানী- গ্রন্থকারঃ- হাসান ইবনে আলী আস সাক্কাফ,

প্রকাশনায়ঃ-দারুল ইমাম বিন নবুবী- (উমাম- উর্দুন) এবং

২। তানবীহুল মুসলিম ইলা তাযাদ্দী আলবানী-গ্রন্থকারঃ- মাহমুদ সাইদ মামদুহ-

প্রকাশনায়ঃ মাকতাবা-আল ইমাম শাফী-(রিয়াজ-সৌদী)

বিষেশ ভাবে উল্লেখ যোগ্য।





২নং প্রশ্নের উত্তরঃ-



তিনি অনেক সহীহ হাদীসকে যঈফ এবং যঈফ হাদীসকে সহীহ বলেছেন। প্রথমে আমরা দেখব নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেব কিভাবে সহীহ হাদিসকে যঈফ বলেছেন , তার উদাহরন :



আবু হুরাইরা (রাঃ) সূত্রে বর্নিত রাসুল (সাঃ) বলেনঃ- যখন তোমাদের কেহ রাত্রিতে নামাযের জন্য দাড়ায়, তখন সে যেন সংক্ষিপ্ত ভাবে দুই রাকাতের মাধ্যেমে আপন নামাযকে শুরু করে।

হাদীসটিকে ইমাম মুসলিম (রহঃ) স্বীয়গ্রন্থ সহীহ মুসলিম (১/৫৩২) পৃষ্টায় উল্লেখ করেন । এ ছাড়াও আল ইহসান ফি তাকরিবে সহীহ ইবনে হিববান-(৬/৩৪০) আল মুসনাদ লিল ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল-(৯/১২৯) শরহুস সুন্নাহ লিল ইমাম বগবীতে (৪/১৭) উল্লেখ করা হয়েছে।

হাদীসটিকে যুগ শ্রেষ্ট হাদীস গবেষকগন গবেষনার মাধ্যমে বিশুদ্ধ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তম্মেধ্যে উল্লেখ যোগ্য ,



আল্লামা শুয়াইব আরনাউত (রহঃ) মুসনাদ লিল ইমাম আহমাদ(১৫/৯৮)-

ইমাম বগবী (রহঃ) স্বীয় কিতাব শরহুস সুন্নাতে (৪/১৭)

হামজা আহমাদ যাইন (রহঃ) মুসনাদ লিল ইমাম আহমাদে (৯/১২৯) বিশুদ্ধ হাদীস বলে ঘোষনা করেছেন।



উল্লেখিত হাদীসটিকে আলবানী সাহেব স্বীয় কিতাব ‘‘যইফুজ জামে ও যিয়াদাহ’’ নামক গ্রন্থে (১/২১৩-) উল্লেখ করে বলেন, হাদীসটিকে ইমাম মুসলিম (রহঃ) এবং ইমাম আহমাদ (রহঃ) আবু হুরাইরা (রাঃ) এর সুত্রে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি (যঈফ) মর্যাদার দিক দিয়ে দুর্বল।





এবার আমরা দেখব নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেব কিভাবে যঈফ হাদিসকে সহীহ বলেছেন , তার উদাহরন :



হযরত উমায়ের ইবনে সাইদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীস তিনি বলেন তোমরা মোয়াবিয়া (রাঃ) কে ভাল ভাবেই স্মরণ কর, কেন না আমি রাসুল (সাঃ) থেকে শুনেছি রাসুল (সাঃ) বলেছেন হে আল্লাহ তুমি মোয়াবিয়াকে হেদায়েত দাও। (সুনানে তিরমিজি-৫/৬৪৫)



হাদীসটিকে আলবানী সাহেব সহীহ সাব্যস্ত করে স্বীয় কিতাব সহীহ সুনানে তিরমিজি (৩/২৩২) তে উল্লেখ করেছেন। অথচ হাদীসটির সূত্রের উপর গবেষনার দ্বারা দেখা যায় হাদীসটি মানগত ভাবে অত্যন্ত দুর্বল।

সূত্রের একজন রাবী-আমর ইবনে ওকেদ ইনার ব্যাপারে উলামাদের বক্তব্য,

১। হাফেজ ইবনে হাজার (রহঃ) বলেন (মাতরুক) ইনি পরিত্যাজ্য।

(তাকরিব-আত তাহজীব-৪২৮পৃঃ)

২। ইমাম বুখারি ও তিরমিজি (রহঃ) বলেন (মুনকারুল হাদীস) ইনি এমন রাবী যাদের হাদীস গ্রহন করা হয় না।

৩। আল্লামা মারওয়ান (রহঃ) বলেন (কাজ্জাব) মিথ্যাবাদী।

৪। ইমাম নাসায়ী,দারাকুতনী, এবং ইমাম বুবকানী (রহঃ) এনারা এই রাবীর ব্যাপারে একমত হয়ে বলেন (মাতরুকুল হাদীস) ইনি এমন রাবী যাদের হাদীস পরিত্যাজ্য। (তাহজীবত তাহজীব (৮/৯৮)



সূত্রের রাবী আমর ইবনে ওকেদ সম্পর্কে উল্লেখিত ইমামদের বক্তব্যের দ্বারা একথা সুস্পষ্ট হল হাদীসটি কোন অর্থেই সহীহ হতে পারে না।

এমন কি আলবানী সাহেব এই রাবীকে দুর্বল সাব্যস্ত করে ওনার কিতাব ‘‘জয়ীফা’’ তে (২/৩৪১) উল্লেখ করেছেন। স্বয়ং তিরমিজি (রহঃ) উল্লেখিত হাদীসটি (যঈফ) দুর্বল হিসেবে ইংগীত করে স্বীয় কিতাব সুনানে তিরমিজিতে (৫/৬৪৫) বর্ণনার শেষে বলেন, আমর ইবনে ওকেদ দুর্বল রাবীদের অন্তর ভুক্ত।





৩ নং প্রশ্নের উত্তরঃ-



আলবানী সাহেব একই রাবীকে কখনও সিকাহ বা গ্রহনযোগ্য এবং অন্যসময় যঈফ বা অগ্রহনযোগ্য বলেছেন। এ বিষয়টি উনার গবেষনার জগতের ভুল ত্রুটির অন্যতম একটি অংশ। উদাহরন স্বরূপ একটি ঘটনা নিম্নে তুলে ধরা হল।



আবু উমামা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন তোমরা মুমিন ব্যক্তির অন্তদৃষ্টি থেকে বেঁচে থাক, কেননা সে আল্লহ তা’লার নূরের দ্বারা দৃষ্টি করে থাকেন। (মুজামুল আওসাত-৩/৪৪৫)

উল্লেখিত হাদীসটির সূত্রের এক জন রাবী হলেন আবু সালেহ আব্দুল্লহ ইবনে- সালেহ । হাদীসটি আলবানী সাহেবের মতাদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারনে তিনি আবু সালেহ আব্দুল্লাহ ইবনে সালেহকে দুর্বল আখ্যায়িত করে হাদীসটি অগ্রহনযোগ্য হিসাবে স্বীয় কিতাব ‘‘সিলসিলাতুল আহাদীস আজ যইফাতু মওযুয়া,, (৪/২৯৯) তে উল্লেখ করেছেন।



অথচ আবু সালেহ আব্দুল্লাহ ইবনে সালেহ-এই একই রাবীর মাধ্যমে ইমাম তিরমিজি (রহঃ) স্বীয় কিতাব সুনানে তিরমিজিতে ইবনে মুররা (রাঃ)এর সূত্রে হাদীস উল্লেখ করেছেন রাসুল (সাঃ) বলেন হুসাইন আমার থেকে আর আমি হুসাইনের থেকে-, যে ব্যক্তি হুসাইনকে ভালবাসে সে আল্লাহ তা’লাকে ভালবাসে। হুসাইন আমার পরবর্তি-বংশধর।

সূনানে তিরমিজি-(৫/৬১৮)

হাদীসটিকে আলবানী সাহেব সহীহ হিসাবে স্বীয় কিতাব সিলসিলাতুল আহাদিস আস সহীহা (৩/২২৯) তে উল্লেখ করেন। এবং বলেন হাদীসটির সনদ উৎকৃষ্ট মানের আবু আব্দুল্লা ইবনে সালেহ এর ব্যপারে দৃর্বলতার যেই কথা রয়েছে তাহা কোন ক্ষতিকারক নয়।



উপরের উদাহরন দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম , একই রাবী আবু সালেহ আব্দুল্লাহ ইবনে সালেহকে আলবানী সাহেব কখনও দুর্বল আবার কখনও গ্রহনযোগ্য সাব্যস্ত করেছেন।





উত্তর দাতা

মোঃ ফরিদুল ইসলাম

উচ্চতর হাদীস গবেষনা বিভাগ

বসুন্ধরা ঢাকা।



পরীক্ষিত এবং অনুমোদিত

মুফতী রফিকুল ইসলাম

হাদিস এবং তফসীর বিভাগের প্রধান

ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার

বসুন্ধরা , ঢাকা – ১২১২

বাংলাদেশ ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

রাতুলবিডি৫ বলেছেন: https://www.facebook.com/notes/532601013511869/ :সুত্র

২| ১৩ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

পাউডার বলেছেন:
এই সকল হাদিস বই এর কোনো শক্ত ভিত্তি নাই। কে কারে বলছে, সে আবার আরেকজন রে বলছে....।

তার চেয়ে কোরআন অনুসরন করাই কি যুক্তিযুক্ত এবং কোরআনই মুসলিমদের জন্য যথেস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.