![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেওবন্দী চিন্তাধারার অনুসারী । ভন্ড পীর, রাজাকার ধর্ম ব্যাবসায়ী সব খেদাই !
শরীয়তের মুল বিষয়গুলো স্পষ্ট, সেগুলোতে কোনরুপ ব্যাক্ষা বিশ্লষনের অবকাশ নেই : যেমন নামজ - রোজা ইত্যাদী আদায় করা, শুকর হারাম হওয়া , চুরি - ডাকাতি ইত্যাদী কাজ নিষিদ্ধ হওয়া ।
অন্যদিকে শরীয়তের কিছু বিষয়ে ভিন্নমুখী বর্ননা আছে। যেমন রসুল কর্তৃক আস্তে ও জোড়ে আমীন বলা, রফে -ইয়াদাইন করা ও না করা ।
আবার কোরাণ হাদীসের কিছু শব্দ আছে যার অর্থ একাধিক । যেমন তালাক প্রাপ্ত মহিলারা ইদ্দত পালন করবে তিন 'কুরু' । এই 'কুরু' শব্দ হায়েজ বা মাসিক অর্থেও ব্যবহার হয়, আবার মহিলাদের হায়েজ মুক্ত'পবিত্র অবস্হা' অর্থেও ব্যবহার হয়। আর এখানে এসে সব যুগের শীর্ষ স্হানীয় ওলামা ও অনুসরণীয় ইমামরাও মতপার্থক্য করেছেন কোনটা গ্রহণীয় ।
আবার একই নির্দেশের ক্ষেত্রেও ভিন্ণমুখী ব্যাক্ষা এসেছে । যেমন অজুর আয়াতে " অত:পর মুখ ধোও এবং দুই হাত ..." এখানে 'অত:পর' আর 'এবং' এই দুই শব্দের প্রয়োগ কি অর্থে হবে তা নিয়ে ইমামদের মাঝে মট পার্থক্য হয়েছে , যদিও আয়াত একটি -ই । কোন ইমামের মতে অপ:পর শব্দের কারণে অযুতে সম্পাদিত কাজগুলো ধারাবাহিকতা মেনে করতে হবে । পবিত্র কুরাণের সিরিয়াল মেনে। এটা ফরজ । ইমাম শাফেয়ীর মত এটাই। অবার অন্য ইমাম বলেছেন , অত:পর শব্দ এসেছে কেউ নামাজ শুরু করতে চাইল, তখন । হাত মুখ দোয়া এসব শব্দের মাঝে এসেছে 'এবং' । তাই সিরিয়াল মনে কাজগুলো করা ফরজ না । তবে রসুলের অণুসৃত পদ্ধতি হিসেবে সুন্ণত । ইমাম আবু হানিফার মত এটাই ।
অন্যদিকে অত:পর শব্দ থেকে 'পর পর' বা 'লাগালাগি' / 'বিরতীহীন' / ' কাছাকাছি সময়ে' এসব অর্থ ও বের করা যায় । সেক্ষেত্রে অযুর অংগ গুলো লাগাতার ধুতে হবে, বিরতীহীন ভাবে, দুই অংগ ধোয়ার মাঝে দীর্ঘ সময় বিরতী দেওয়া যাবে না । ইমাম মালেকের মত -ও এরূপ । তিনি বলেন এক অং শুকানোর আগেই অন্য অংগ ধুতে হবে । এটা ফরজ । কিন্তু ইমাম অবু হানিফার মতে এটা সুন্নত । ঢাকা থেকে মুখ হাত দুয়ে বিমানে চড়ে কেউ চিটাগাং গেল । সেখানে গিয়ে পা ধুলো । অযু হয়ে যাবে, সুন্ণত মত অযু না হওয়ায় সোয়াব কম হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: আগের পোষ্ট : Click This Link