![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেওবন্দী চিন্তাধারার অনুসারী । ভন্ড পীর, রাজাকার ধর্ম ব্যাবসায়ী সব খেদাই !
ইসালমের জরুরী আক্কীদা বা বিশ্বাস যেগুলো মুখে ও অন্তরে স্বীকার করে নিলে একজন মানুষ অমুসলিম থেকে মুসলমান হয়ে যায় সেগুলোই ইমানের মুল বিষয় , আর এগুলোতে কম বেশী করার কোন সুযোগ নেই । তবে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আক্কীদা অনুসারে নেক আমলের দ্বারা ইমানের শক্তি বা নুর বৃদ্ধি পায় আর গুনাহের দ্বারা ইমানের শক্তি বা নুর কমে যায় ।
ইমান বৃদ্ধির একটি বিশেষ উপায় কুরাণ তেলওয়াত : কেউ নিজে তেলওয়াত করুক বা অন্যের তেলওয়াত শুনুক, চাই বুঝে আসুক বা না আসুক এর দ্বারা ইমান বৃদ্ধ পাবে । উপরে আয়াতে বলা হয়েছে যখন তেলওয়াত হয় - তখন ইমানদারের ইমান বৃদ্ধ পায় । পবিত্র কুরাণের বাণী অকাট্য সত্য - তাই ইমান বাড়বেই । কোরাণ শরীফের অনেক আয়াতের অর্থ আমরা জানি না যেমন ( আলিফ লা-ম মী-ম ইত্যাদী ) , সেগুলো তেলওয়াতের দ্বারাও ইমান বাড়বে ।
ইমান বৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকর অবলম্বন নামাজ :
নামাজের বিষয়ে পবিত্র কোরাণ শরীফে এসেছে নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, অর্থাৎ গুনাহ থেকে দূরে রাখে ! যে জিনিষ মানুষকে গুনাহ থেকে দূরে রাখছে - এটাই প্রকৃত ইমানের বৃদ্ধি আলামত। আর কোন আমলের ক্ষেত্রে এরূপ স্পষ্ট ঘোষণা নেই ।
ফাজায়েলে নামাজে বর্নিত আছে, যাকে নিয়মিত মসজিদে যাতায়াতে অভ্যস্ত দেখ তার ইমানদারীর সাক্ষী দাও । এরূপ নিশ্চয়তা, এমন সুনিশ্চিত ঘোষণা অন্য কোন আমল সম্পর্কে নেই !
ফাজায়েলে নামাজে আরো আছে , যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত আল্লাহর ওয়াস্তে প্রথম তকবীরের সাথে নামাজ পড়বে সে দুটি পরওয়ানা পাবে । এক জাহান্নাম থেকে মুক্তি, দুই মুনাফিকি থেকে মুক্তি । আর কোন আমলে কি এরূপ নিশ্চয়তা আছে? বুঝা যাচ্ছে নামাজ ইমানকে নিশ্চতভাবে শক্তিশালী ও নিরাপদ করার উপায় ।
ফাজায়েলে নামাজে আরো আছে , যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত আল্লাহর ওয়াস্তে প্রথম তকবীরের সাথে নামাজ পড়বে সে দুটি পরওয়ানা পাবে । এক জাহান্নাম থেকে মুক্তি, দুই মুনাফিকি থেকে মুক্তি ।
আর কোন আমলে কি এরূপ নিশ্চয়তা আছে? তাহলে কি নামাজ ইমানকে নিশ্চতভাবে শক্তিশালী ও নিরাপদ করার উপায় না ?
কোরাণ-হাদীসের অসংখ বর্নণা থেকে দেখা যায় নামজের সাথে ইমানের যে সম্পর্ক তা অন্য কোন আমলে নেই ।
তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইলিয়াস (রহ : ) অমর বাণীতে দেখা যায় নামাজকেই তিনি দ্বীনের মূল বিষয় বলছেন ।
১৫৩। ( তিনি আরোও বলেন) ছাত্রদিগকে সম্বোধন করিয়া তিন বলেন-
নামাজ কায়েম করা সমস্ত জেন্দেগী দুরস্তকারী কাজ। কিন্তু তখনই নামাজ কায়েম করা পূর্ণ হইবে যখন নামাজ সম্বন্ধে যে সব গুণের কথা কোরআন হাদীছে বলা হইয়াছে নামাজীর মধ্যে তাহা পয়দা হইবে।
১৯৪। তিনি বলেন-
নামাজকে হাদীছে ----- “দ্বীনের খুটি” বলা হইয়াছে। ইহার মতলব এই যে, নামাজের উপর অবশিষ্ট দ্বীন নির্ভর করে ও নামাজ হইতেই দ্বীন পাওয়া যায়। নামাজের মধ্যে দ্বীনের বুঝও পাওয়া যায়। আমলের তওফীকও দেওয়া হয়। আবার যাহার নামাজ যেইরূপ হইবে সেইরূপ তাহার জন্য তওফীকও দেওয়া হইবে। এই জন্য নামাজের দাওয়াত দেওয়া ও অন্যের নামাজে “খুশুখুজু” (নম্রতা) পয়দা করিবার জন্য কোশেশ করা পরোক্ষভাবে পূর্ণ দ্বীনের জন্য কোশেশ করা।
।
ইমান বৃদ্ধিতে বিশেষ কার্যকর উপায় রোজা :
আর নামজের পর রোজাও ইমান বৃদ্ধিতে বিশেষ কার্যকর । যেমন রোজার বিষয়ে-ই কোরাণ শরীফে এরশাদ হচ্ছে, তোমাদের উপর রোজা নির্ধারইত করা হয়েছে যেন তোমরা তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করতে পার !
রোজার দ্বারা খোদা ভীতি অর্জন হয়, আর "তাকওয়া বা খোদাভীতি" - ই ইমানের প্রাণ , ইমানের মুল অভিষ্ঠ বস্তু
২য় পর্ব : view this link
©somewhere in net ltd.