![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেওবন্দী চিন্তাধারার অনুসারী । ভন্ড পীর, রাজাকার ধর্ম ব্যাবসায়ী সব খেদাই !
পরকালে নাজাতের জন্য ইমান শর্ত আর ইমান কবুল হওয়ার জন্য তা 'শিরক' মুক্ত হওয়া শর্ত । আরবের মুশরিকরাও আল্লাহকে স্বীকার করত, সৃষ্টি কর্তা হিসবে মানত, হজ্জ করত । কিন্তু আল্লাহ ছাড়া আরো দেব-দেবীর এবাদত করত। তাই তাদের ' আল্লাহকে বিশ্বাস' বা ' ভাল কাজ' কোনটাই গ্রহণযোগ্য হয়নি । আমাদের দেশেও অনেক -কে দেখা যায় যারা কবরে সেজদা করে , মাজারে গিয়ে সন্তান কামনা করে , 'বাবা' কে পরকালে নাজাতের অবলম্বন মনে করে , বাবার হুকুমে নামাজ মাফ বিশ্বাস করে । এসবই শিরক এবং ইমান ধংসের কারণ । শিরকের দ্বারা ইমান ধ্বংস করে ফেললে পূন্য কর্মে কোন ফায়দা নেই । শিরক সম্পরকে বিস্তারিত জানতে চাইলে বেহেশতী জেওর কিতাবের প্রথম খন্ড সংগ্রহ করুন । সেখানে শুরুতেই সংক্ষেপে শিরক ও কুফরের বর্নণা এসেছে । আমাদের সমাজে শিরক বিহীন ইমান নিয়ে বাচতে চাইলে অতটুকুই জানাই যথেষ্ট।
তবে এই পোষ্ট-এ একটা বিষয় আলোচনা করতে চাইছি , সেটা হল বিভিন্ন দল উপদল বা ভ্রান্ত মতের অনুসারীদের শিরক বিষয়ক বাড়াবাড়ি । ভ্রান্ত মতের অনুসারী দলগুলো এই শিরক নিয়ে অনেক বাজে কথা চালু করেছে সরল মুসলমানদের ধোকা দেবার জন্য । এদের মধ্যে প্রথম সারিতে আছে কথিত 'আহলে হাদীস' দলটি । এরা বলে বেড়ায় মাজহাব মানা শিরক ।
শরীয়তে কিছু বিষয় আছে যেগুলো খুবই স্পষ্ট , সেখানে কাউকে জিজ্ঞেস করার কিছু নেই । যেমন নামাজ পড়া , রোজা রাখা ইত্যাদী কাজ ফরজ হওয়া কিংবা চুরি করা বা মদ খাওয়া হারাম হওয়া । তবে শরীয়তের অনেক বিধি বিধান ব্যাক্ষা সাপেক্ষ । যেমন নামাজে কখন হাত উঠাবেন , কতবার উঠাবেন । এ বিষয়ে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে । সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত শুধু নামাজ শুরুর সময় হাত উঠাতে হবে । কোন কোন সাহাবী থেকে অন্য সময় হাত উঠানোর বর্ণনাও এসেছে । বিজ্ঞ আলেমরা বলেছেন অন্য সময়ে হাত উঠানোর বিষয়টা ইসলামের শরুর দিকের ঘটনা , কিন্তু শেষ জীবনে রসুল শুধু নামাজের শুরুতেই হাত উঠিয়েছেন । তাই শুরুতে হাত উঠান-ই সুন্নত অন্য সময় হাত উঠানো সুন্নত না। এবিষয়ে বেশ কিছু ব্যাক্ষা -বিশ্লষণ এবং মতপার্থক্য আছে । শরীয়তের ব্যাক্ষা বিশ্লষণ যদি আপনি কোন বিজ্ঞ আলেম থেকে জেনে নেন সেটাকে বলা হয় তাকলীদ, সোজা বাংলায় বলে ' মাঝহাব মানা ' । এতে শিরকের কি হল ?
মাজহাব মানা শিরক বলা যাবে তখনই যদি কোন ব্যক্তি বলে আমি নামাজ পড়ি এজন্য যে সেটা মাজ হাবে বলা আছে , তাই । এজন্য না যে আল্লাহর নির্দেশ । অথচ এমনটা কেউ বলেও না , করেও না । বরং মানুষ নামাজ পড়ে আল্লাহর নির্দেশ হিসেবে , আর নামাজ আদায়ের পদ্ধতি নিয়ে যে অসংখ্য বর্ণনা আছে তার মধ্যে কোনটা অনুসরণীয় তা বুঝার জন্য । বিষয়টা এমন যে আপনি দেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধানের আনুগত্যই করেন, কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের কথায় উঠেন বসেন বা উকিলের কাছ থেকে আইন শোনেন - তার কথামত কাজ করেন । কারণ একটাই তারা দেশের আইন সংবিধান ভাল বুঝেন , প্রফেশনাল । এটাকে কি কেউ রাষ্ট্রের আনুগত্য বাদ উকিল -ম্যজিষ্ট্রেটের আনুগত্য বলবেন ? রাস্ট্রদ্রোহ বলবেন ? রাস্ট্রের ভিতর রাষ্ট্রদ্রোহের আইন যেমন কঠিন, ইসলামের ভিতর -ও শিরকের আইন খুবই কঠিন ।
শিরক বিষয়ে ভ্রান্তি ছড়ানো আরেকটি দল 'জামাতে -ইসলামী' বা মউদুদীর চিন্তা-ভাবনার অনুসারীরা । তাদের একটা বক্তব্য হচ্ছে ' হুকুম একমাত্র আল্লাহর ' । তাই রাস্ট্র বা সরকারের আনুগত্য করা শিরক । কথাটা কখনও তারা সরাসরি বলে আবার কখনও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলে । বক্তব্য একই । অথচ আল্লাহ পাকই পবিত্র কোরাণ শরীফেই বর্ণিত আছে আল্লাহকে মান , রসুলকে মান আর তোমাদের মধ্যে আদেশ দাতাকে মান । ইসলাম ধর্মের সমস্ত বিশষজ্ঞরা এ বিষয়ে একমত রাষ্ট্রের আনুগত্য করতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত না রাস্ট্র বা রাজা প্রকাশ্য শরীয়ত বিরোধী কোন নির্দেশ না দেন । মউদুদীরা একথা মানে না । অথচ তাদের আমীর কোন শরীয়ত বিরিধী নির্দেশ দিলেও সেটা অবনত মস্তিষ্কে 'এবাদত হিসেবে' মেনে নেয় তবুও এতে তাদের শিরক হয় না !
২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২০
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: না জানার ফলেই এই সব বাবারা ব্যাবসা করে যাচ্ছে : একদম ঠিক কথা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
নতুন বলেছেন: না জানার ফলেই এই সব বাবারা ব্যাবসা করে যাচ্ছে।
মানুষ যে পীরের দরবারে যায় তারা কি শেখে ঐখানে?
যেই পীরের লাখো মুরিদ আছে তিনি কয় মিনিট উনি মুরিদকে শিক্ষা দেন?