![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেওবন্দী চিন্তাধারার অনুসারী । ভন্ড পীর, রাজাকার ধর্ম ব্যাবসায়ী সব খেদাই !
কথাটা তাবলীগের অনেক বয়ানের মুল আলোচ্য বিষয় : মাখলুকের( সৃষ্টির) উপর থেকে এক্কীন হটিয়ে পুরাপুরি খালেকের (স্রষ্টার) উপর এক্কীন করতে পারলে, আপনি মাখলুকের সাহায্য ছাড়াই চলতে পারবেন । কথাটা খুবই চিত্তাকর্ষক, তবে বাস্তব সম্মত নয় । অবশ্য যারা এই কথা বা মতবাদের প্রচার করেন তারা বাস্তবের খুব একটা ধার ধারেন না । যাই হোক মুল আলোচনায় আসা যাক । উম্মতের শ্রেষ্ঠতম পুরুষ আবু বকর রা: খলিফা হয়ে কাপড়ে গাট্টি নিয়ে বাজারে রওনা হলেন ব্যবসার উদ্দেশ্যে । ওমর রা: বললেন আপনি যদি ব্যবসা কর্মে ব্যস্ত থাকেন তবে খেলাফত চলবে কি করে ? আবু বকর রা: বললেন তাহলে আমার সংসার চলবে কি করে ? প্রশ্ন হচ্ছে আবু বকর রা: কি ব্যবসার উপর থেকে এক্কীন হটাতে পারেন নি ? তাবলীগি ভাইদের কথা মত ব্যাবসার উপর থেকে এক্কীন হটাতে পারলে তো আল্লাহ পাক ব্যবসা ছাড়াই পালবেন !
ক্ষিদার কারণে রসুল পেটে পাথর বেধেছেন । প্রশ্ন আসবে রসুল কি খাবারের উপর থেকে এক্কীন হটাতে পারেন নি ? নাকি ক্ষিদা সমস্যা দূর করতে বা কিছুটা লাঘব করতে পাথরে উপর এক্কীন করেছেন ? পবিত্র কুরআন শরীফে হযরত মুসা আ: এর ঘটনা আছে : 'মুসা তোমার হাতে কি' এর উত্তরে তিনি লাঠি দিয়ে কি কি কাজ করেন ( বকরি চরানো , পাতা সংগ্রহ ) এর এক ফিরিস্তি দিয়ে বসেন । লক্ষ করার বিষয় হচ্ছে উনি তো মাখলুক লাঠি দিয়েই কাজ সমাধা করেছেন । মাখলুক ছাড়া করেন নি । তবে কি ওনার এক্কীন সহিহ ছিল না ? নবী রসুলগনের ঘটনাগুলো দেখলে এ কথা স্পষ্ট হয় এসব বস্তু ব্যবহার করে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে কাজ কর্ম সম্পাদন করাই সুন্নত বা আদর্শ পদ্ধতি । বস্তু ছাড়া , মাখলুক বাদ দিয়ে বা আসবাব ত্যাগ করে কাজ করা নবীগণের আদর্শ না ।
এক্ষেত্রে একটা বিষয়ে কেউ কেউ ভুল বুঝাবুঝির শিকার হয়ে যান । সেটা হচ্ছে নবীদের মুজিজা বা মোজেজা । কিছু ব্যতিক্রম ধর্মী ঘটনা আল্লাহ তা'লা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশ করেন । মজার বিষয় হচ্ছে এগুলো নবীদের এখতিয়ার ভুক্ত কোন বিষয় না । অর্থাৎ বিষয়গুলো এমন না যে নবী চাইলেই এগুলো প্রকাশ হবে আর না চাইলে প্রকাশ হবে না । বা বিষয় গুলো সংগঠিত হওয়া বা না হওয়া নবীদের ইচ্ছা ধীন কোন বিষয় না । আরো মজার বিষয় যে এগুলোর বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে কিছু জানানো না হলে , নবী নিজেও জানেন না কখন এমন কিছু প্রকাশিত হবে বা হবে না ।অর্থাৎ উলামারা বলেন হযোত মুসা আ: লাঠি ছাড়লেন, সেটা সাপ হল , কিন্তু সেটা আগে থেকে নবীর জানা ছিল না ।
প্রকৃতির স্বাভাবিক রীতি বিরূদ্ধ কোন বিষয় নবীদের থেকে প্রকাশ পাওয়া কে মুজিজা বলে । আর সেটা কোন দ্বীনদার ভাল মুসলমান থেকে প্রকাশ পেলে সেটাকে কারামত বলে । আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আক্কীদা " কারামাতুল আউলিয়া হক্কুুন " অর্থাৎ ওলীদের কারামত সত্য । মুজিজার মত কারামত ও ওলীদের এখতিয়ারভুক্ত কোন বিষয় না । অর্থা কোন ওলী পানির উপর দিয়ে পার হয়ে গেলেন - এটা ওনার ইচ্ছাধীন কোন বিষয় না । কোন বিশেষ অবস্হায় আল্লাহর ইচ্ছায় এরূপ ঘটেছে বা ঘটতে পারে । তার মানে এটা না যে ওলী চাইলেই পানির উপর দিয়ে হেটে চলে যেতে পারবেন, বা সবসময় তিনি পানির উপর দিয়ে হেটে হেটে চলাচল করবেন ।
আলা ইবনে হাদরামিন রা: বাহরাইন অভিযানে ঘোড়ার বাহিনী নিয়ে পানির উপর দিয়ে চলে গেছেন । এটা ছিল কারামত । এবং সেটা ছিল একটা বিশেষ অবস্হায় এবং আল্লাহর ইচ্ছায় । আলা ইবনে হাদরামিন রা: এর ইচ্ছা বা পরিকল্পনাধীন না । অর্জিত কোন বিষয় -ও না । বাহরাইন থেকে ফিরার পথে কিন্তু উনি পানির উপর দিয়ে ঘোড়া চালিয়ে আসেন নি । অথচ একবার পানি পার হওয়ার পর এক্কীন তো আরো বেড়ে যাবার কথা । সুতরাং পানি পার হওয়াটা এক্কীনের সাথে সম্পর্ক না , আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল । আল্লাহ যখন চান তখনই হবে । এর মানে এটা না যে যে সব সাহাবা নৌকা দিয়ে বিভিন্ন স্হানে নদী পার হয়েছেন তাদের এক্কীন কম ছিল !
মজার বিষয় এরকম বিভিন্ন অলৌকিক বিষয় যেমন নবী -ওলীদের থেকে প্রকাশ পায় তেমনি মন্দ লোকদের থেকেও প্রকাশ পায় ! কোন মন্দ লোকের থেকে প্রকাশ পেলে সেটাকে কারামত বলে না , সেটাকে বলা হয় ইস্তিদরাজ বা সাময়িক অবকাশ । যেমন ফিরআউনের নির্দেশে নীল নদের পানি প্রবাহিত হওয়া বা কেয়ামত পর্যন্ত শয়তানের হায়াত পাওয়া - এসবই ইস্তিদরাজের উদাহরণ । শরীয়তের খেলাফ চলে এমন ভন্দ পীরদের কাছ থেকে অনেক অলৌকিক বিষয় সংগঠিত হওয়ার কথা অনেক সময় শুনা যায় । বেশীর ভাগ সময়ই এগুলো বানানো ও মিথ্যা হয়ে থাকে, নিছক মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে প্রচারিত । আবার কোন কোন সময় 'জিন হাসিল' করে অনেক বিভিন্ন কাজ করে থাকে । উল্লেখ্য এই ' জিন হাসিল' কোন বুজুর্গীর বিষয় না , আল্লাহর নৈকট্যের ও কোন উপকরণ বা কারন না । কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে চেষ্টা তদবীর করলে একজন বেনামাজীও 'জিন হাসিল' করতে পারবে । অথচ হাদীসে আছে যার নামাজ নাই তার ধর্ম নাই !
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: ভাই কি আহলে হাদীস / সলাফী ?
আসহাবে সোহফা'র কথা শুনেছেন ?
সব সময় মদীনার মসজিদে পরে থাকত ?
নবীজি কিন্তু ওদের বের করে দেন নি ।
আবু হোরায়রা কিন্তু ওনাদের -ই একজন !
কর্ম করে - মজদুরী করে খাওয়ার মত সামর্থ কিন্তু ওনাদের ছিল!
এরপরও মসজিদেই পরে থাকতেন!
তাই 'মসজিদে পরে থাকা' মন্দ কিছু না,
মন্দ হলে রসুল নিষেধ করে দিতেন।
ওমর রা: যাদের নিষেধ করেছেন হয়ত অন্য কোন কারণ ছিল ।
আড় আহলে হাদীসরা তো ওমরের কোন কাজকে গ্ঢ়নই করেন না !
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩২
মো কবির বলেছেন: ওরা আসলে একটা বুজুর্গ ওয়ালা দল । মুরুব্বীরা যা বলে তারা তাই বিশ্বাস করে অন্ধ ভাবে, আর সেটাই মেনে চলে। এই হল ওদের মুল সমস্যা। আল্লাহ্ তুমি আমাদেরকে তোমার দ্বীন কে বুঝার এবং মেনে চলার তফিক দান করুন।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: ভাই তবলীগের আসল মুরুব্বী হযরত ইলিয়াস রহ ও জাকারিয়া রহ তো কখনও এজাতীয় কথা বার্তা বলেন নি । ওনাদের বক্তব্য এবং লেখা বেশ ভাল ভাবেই সংরক্ষিত আছে । আর মুরুব্বি নামধারী কেউ যদি ভুল বক্তব্য দেন তা শুধরে দেওয়ার দায়িত্ব ওলামাদের । আমি তাবলীগ বিরিধী না । তাবলীগ জামাতে একাধারে তিন চিল্লা দেওয়া ছাড়াও দেশে বিদেশে বহু চিল্লা দিয়েছি । কিন্তু কর্মীদের সাধারণ ভুল ত্রুটিগুলোর সংশোধন হওয়া দরকার মনে করি । সেটাও তাবলীগ জামাতের স্বার্থেই ।
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
আহলান বলেছেন: আফসোসের বিষয় হচ্ছে এই তাবলিগ জামাত টার্গেট করে করে দেশের সব জেলায় সব মসজিদে নিজেদের আক্বিদা এক্বিন প্রয়োগে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরা আল্লার ওলি আউলিয়া পীর দরবেশ (যাদের হাত ধরে এই দেশে ইসলামের আগমন ও প্রসার, যারা না আসলে এই তাবলিগ ওয়ালারাও হয়তো ইসলামের নামও শুনতো না, মুসলমান হওয়া তো দূরের কথা) মাশয়েখগনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য জ্ঞ্যান করে, এদের এলমে শরীয়ত সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণা থাকলেও এলমে মারেফত সম্পর্কে এদের বিন্দুমাত্র ধারণা নাই, চর্চা তো করেই না। কোন জিকির আজকার, মোরাকাবা, মোশাহেদা কি জিনিষ, কিভাবে তার চর্চা করতে হয় সে তো জানেই না। মসজিদে গোল হয়ে বসে বসে শুধু ফাজায়েলে আমলে উল্লেখিত হাদিস পাঠ করে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: আহলান ভাই "নিজেদের আক্বিদা এক্বিন প্রয়োগে নিরলস কাজ করে যাচ্ছ " ?
নিজেদের আক্কীদা আবার কি জিনিস ?
বাংলাদেশের শীর্ষস্হানীয় ওলামায়ে কেরাম আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের যে আক্কীদায় বিশ্বাস স্হাপন করেন ওনারা তো সেটারই অনুসারী ।
আল্লামা আহমাদ শফী সাহেব বা শীর্ষ মুফতী আবদুর রহমান সাহেব বলেন আর তাবলীগ জামাত বলেন
ওনারা সবাই তো দেওবন্দী । আমিও দেওবন্দী ।
কর্মীরা অনেক সময় ভুল বুঝে ভুল কিছু ধারণায় বিশ্বাসী হয় , সেটার সংশোধন দরকার । সে জন্যই এই পোষ্ট ।
তাবলীগের বিরোধিতা এর উদ্দেশ্য না ।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
মো কবির বলেছেন: @আহলান,
"মারেফত সম্পর্কে এদের বিন্দুমাত্র ধারণা নাই, চর্চা তো করেই না। কোন জিকির আজকার, মোরাকাবা, মোশাহেদা কি জিনিষ, কিভাবে তার চর্চা করতে হয় সে তো জানেই না।মারেফত সম্পর্কে এদের বিন্দুমাত্র ধারণা নাই, চর্চা তো করেই না। কোন জিকির আজকার, মোরাকাবা, মোশাহেদা কি জিনিষ, কিভাবে তার চর্চা করতে হয় সে তো জানেই না।"
ভাই আপনার আকিদা তাবলিগির চেয়ে আরো খারাপ। আপনি যে উপরের কথা গুলো বললেন, এই নিয়ে কুরআন এবং হাদিসের দলিল দিতে পারবেন ?? যে নবিজির মারেফত ছিল কিংবা তিনি মোরাকাবা করেছেন ?? এগুলো আমাদের নবীজির আকিদা নয় এগুলো হচ্ছে রেজভিদের আকিদা । কাউকে কিছু বলার আগে ভাই ভাল করে সেটা সম্পর্কে জানুন, তারপর নিশ্চিত হয়ে বলুন। কেননা, যদি আপনার না জানার কারনে আপনি কাউকে ভুল কিছু সিখিয়েদিলেন আর অন্যরা সেটা পালন করল, একটু ভাবেন তো আপনার অবস্থা কি হবে কেয়ামতের দিন ??
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৪
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: আহলান সাহেব সম্ভবত কোন বেদাতী পীরের মুরীদ । মারেফত শব্দটির উৎপত্তি 'আ'রাফ' বা ' পরিচয় পাওয়া ' থেকে । পারিভাষিক অর্থ আল্লাহ কে চিনতে পারাই মারেফত । এখানে একটা মজার বিষয় কেউ আল্লাহকে চিনতে পারলে নামাজ রোজায় আরো মনোযোগী হবে , আর বেদাতীরা মারেফত হাসিল হরলে নামাজ রোজা ছেড়ে দেয় !
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
জাহিদ ২০১০ বলেছেন: রাতুল ভাই বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, উলু বনে মুক্তা ছড়ানো। আপনার পোষ্ট সেটাই প্রমান করে। সবকথা সব জায়গায় বলা যায় না, সব জিনিস সব জায়গায় রাখা যায় না।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: আপনার কথার যুক্তি আছে ভাই । আমি নিজেও বিশ্বাস করি ফেসবুক + ব্লগ ধর্ম প্রচার আর চর্চার যায়গা না ।
তাহলে মাঝে মধ্যে এ রকম পোষ্ট কেন দেই?
কারণ অনেক সময় কথা বলার কোন জায়গা না পেলে মানুষ ভুল জায়গাতেও কথা বলে !
আমি যদি জামতে গিয়ে এ বিষয়গুলি বলি তবে ঝগড়া লাগবে ।
মহল্লার সাথীডের সাথে এগুলো আলাপ করলে শুধু শুধু সম্পর্ক খারাপ হবে ।
তবে কাউকে যদি মনে হয় সে বুঝতে চায় তাকে বলি ।
আর ব্লগ একটা ওপেন প্লাটফর্ম । কারো পছন্দ না হলে এড়িয়ে যাওয়া যায় ।
স্হায়ী ঝগড়া ঝাটি ফেতনা ফাসাদের চান্স নেই , তাই এখানেই বললাম ।
আমি তাবলীগ বিরোধী না , জামাত - বেদাত ও আহলে হাদীস বিরোধী ।
তবে বিরোধিতা আর সমালোচনা এক বিষয় না - এ বিষয়েও আমাদের দৃষ্টি ভংগী পরিবর্তন হওয়া চাই ।
ধন্যবাদ ভাই , ভাল থাকবেন ।
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
জাহিদ ২০১০ বলেছেন: আমি কখনোই বলি নাই যে, আপনি তাবলীগ বিরোধী। তবে যদি কেউ ভুল কিছু বলে তাহলে অবশ্যই তাকে শুধরানো আমাদের দায়িত্ব। এই জন্য বয়ানে বলা হয়, যদি কারো ভুল শুধরাতে হয় তাহলে তাকে মিষ্টি খাওয়াও তারপর তাকে তার ভুল ভ্রান্তি ধরিয়ে তাকে সঠিক পদ্ধতি শিখাও।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: হুম, খানা খাওয়ালে আন্তরিকতা তৈরী হয় । ভাল পদ্ধতি ।
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
জাহিদ ২০১০ বলেছেন: জি ভাই মিষ্টি জাতীয় খাবার সরাসরি দ্বীলের উপর আছর করে। এই জন্য কারও ভুল ভ্রান্তি শুধরানোর জন্য এই পদ্ধতি খুব কাজে দেয়। এর সাথে সাথে আল্লাহর কাছে খাছ দ্বীলে দোয়াও করা চাই। দাওয়াতের সাথে সাথে আমরা যদি দোয়া করি সেটা তাড়াতাড়ি কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৬
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: সালাম দিলে, খানা খাওয়ালে নরম ভাষায় কথা বললে আনতরিকতা তৈরী হয় । হাদিয়া দিলেও মহব্বত পয়দা হয় । মিষ্টি খাবারের বিষয়টা স্পেসিফিক্যালি কোন জায়গায় পাই নি । আর আমার তো ভাই ডাইবেটিস, অন্যকে খাওয়ালে নজেরও তো খাওয়া লাগবে । এমনিতে মহল্লার কিছু সাথী ভাই কোন কোন করবাণীর ঈদের পর অনেকটা জোড় করেই আমার বাসায় দাও্যাত নেন । আবার কোন বছর দাওয়াত না নিলে আমি নিজেও দাওয়াত দেই । তবে এটা আরো রেগুলার হলে ভাল হত । আরো বেশী আন্তরিকতা তৈরী হত ।
সামনে আপনার রেফারেন্স দিয়ে দাওয়াত দিব ইন- শা - আল্লাাহ ।
৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
টু-ইমদাদ বলেছেন: আমার তো মনে হয় তারা যেটা তোলে ধরার চেষ্ঠা করেন তা হলো ডাক পিয়নের উপর বিশ্বাস না করে ডাক পিয়নের ওপারে যে পাঠাচ্ছেন তা এক্কীন করার জন্য বলা হচ্ছে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৩
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: জী ভাই আমিও এ বিষয়ে একমত ও একাত্ম যে আমাদের দৃষ্টি থাকতে হবে প্রেরকের দিকে , এক্কীন করব প্রেরকের উপর , পিয়নের উপর না । তবে সমস্যা হচ্ছে অনেকে এটাকে ভুল বুঝে পিয়নকেই বাদ দিয়ে দেয় । কোন সন্মনিত প্রেরক কিছু পিয়ন মারফত পাঠালে আপনি যদি পিয়নকে ঘরেই ঢুকতে নাদেন সেটা কিন্তু প্রেরকের সাথেই েকরকম বেয়াদবী !
একটা উদাহরণ দেই । যেমন আপনার সন্তান দরকার , কিন্তু আপনি বিয়ে করবেন না । শুধু দোয়া করছেন দাতা সর্বশক্তিমান এই ভরশায় । আপনি ও দোয়া করতে পারেন আর সর্নশক্তিমানও সন্তান দিতে পারেন , কিন্তু এরূপ করাটা চরম বেয়াদবী । এক বুজুর্গকে কেউ জিজ্ঞেস করেছিল তকদীরে যদি সব লেখা থাকে তাহলে আপনি উচু মিনার থেকে লাফ দেন , তকদীরে না থাকলে মরবেন না । বুজুর্গ বললেন অবশ্যই তকদীরে না লিখা থাকলে মরব না , কিন্তু এরূপ করার অর্থ হচ্ছে তকদীরকে দেখতে চাওয়া - যা আল্লাহ গোপন রেখেছেন । এরূপ করাটা বেয়াদবী ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪২
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: এখই ভাবে আপনি যদি খানা খাওয়া বন্ধ করে দেন আল্লাহ -ই খাওয়াবে বলে সেটাও বেয়াদবী । মুল কথা হচ্ছে এসব বস্তু বা উপকরণ ব্যব হার করা সুন্ণত । যা নবী ও সাহাবারা করেছেন । আসবাব ছাড়া কোন কাজ সমাধা করার মাঝে কোন বুজুর্গী নেই । আসল বুজুর্গী সুন্ণতের অনুসরণে । প্রশ্ন করতে পারেন আমারা যে ওলী আউলিয়াদের বিভিন্ণ কারামতের কথা শুনি , সেগুলি কি ? আল্লামা ইবনে কাসির লিখেছেন কোন উম্মতের পক্ষ থেকে কোন কারামত প্রকাশ পাওয়া - সেই উম্মতের যে নবী মুলত তারই মোজেজার অন্তর্ভুক্ত । আড় এ বিষয়গুলো আল্লাহ পাক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে প্রকাশ করেন , সেটা ওনার ইচ্ছাধীন , সেখানে মানুষের কোন হাত নেই । এখতিয়ার বহির্ভুত বিষয় এগুলো ।
পক্ষান্তরে ইমান আমল দুরস্ত করা , দিলের এক্কীন সহিহ করা এগুলো এখতিয়ারী বিষয় । এগুলোর বিসয়ে মানুষ মুকাল্লাফ বা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত এবং এগুলো অর্জনে মানুষ সামর্থবান। এগুলোর সাথে গায়েরে এখতিয়ারী বিষয় যেমন 'কারামত' বা 'আসবাব ছাড়া কোন কাজ সমাধা করা ' এগুলো মিলানোর কোন সুযোগ নেই । কেননা শরীয়তে এই নির্দেশ দেওয়া হয়নি আসবাব ছাড়া কাজ সমাধা কর , বরং শরীয়তের দিক নির্দেশণা আসবাব ব্যভার করেই কাজ করা ।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৭
দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: মূল জিনিসটি হচ্ছে মাখলুক পালতে পারেনা একমাত্র আল্লাহতাআলাই পালতে পারে। এর জন্যই বলা হয় মাখলুক থেকে আল্লাহর দিকে এক্বিন করার জন্য।
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: মূল জিনিসটি হচ্ছে মাখলুক পালতে পারেনা একমাত্র আল্লাহতাআলাই পালতে পারে ।
প্রশ্ন হচ্ছে বস্তুর উপর থেকে বিশ্বাস সরিয়া ফেললে আপনি কোন বস্তু বা মাধ্যম ছাড়াই চলতে পারবেন ?
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:০১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে আপনার পড়াশুনা,অনুরাগ এবং ধর্মভাবনা আমাকে দারুন উৎসাহিত করে।চমৎকার ইঙ্গিতপূর্ণ পোষ্ট।চিন্তার খোরাক আছে।অনেক অনেক সাধূবাদ।
ছোট্ট একটি শেয়ারিং,একবার একটি মসজিদ এ তাদের বয়ানের ফাঁকে প্রশ্ন করলাম অমুসলিম ভাইবোনদের কাছে কালেমার দাওয়াতের ব্যপারে তাদের কি কি উদ্যোগ আছে?
উত্তর পেলাম আগে আমাদের নিজেদের ঈমান ঠিক করতে হবে,যতদিন নিজেরা ঠিক না হব ততদিন অমুসলিমদের দাওয়াত দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই............!!!!!!!!!!!!!!!!
বিস্ময়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম,নির্বিকার ভদ্রলোক সমানে নেকীর অংকের বয়ান করে চলেছেন.....!!!
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: মুসলমানদের দাওয়াত দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি কাজ , যেটার বিষয়ে তাবলীগি ভাইরা অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছেন । তাই বলে অমুসলিম ভাইদের দাওয়াত দেবার বিষয়টি অস্বীকরার করার উপায় নেই । সহজ যুক্তির বিচারে দেখলে অমুসলিমদের দাওয়াত দেওয়াটা -ই বেশী জরুরী । বাংলাদেশে মান্ডাতে জুবায়ের সাহেব , মিরপুর আকবর কম্লেক্স - এ মাওলানা নিজামুদ্দীন সাহেব সহ অনেকেই মাওলানা কলীম সিদ্দীকি সাহেবের তত্তাবধানে এই কাজ করছেন।
মাওলানা তকী উসমানী সাহেব একটা সমাস্যার কথা দরসে তিরমিজীতে উল্ল্যেখ করেছেন : "আমরা যে দীনের যেই কাজে জড়িত সেটাকেই ফরজে আইন বানিয়ে ফেলি আর দীনের অন্যন্য কাজগুলো অস্বীকার করতে থাকি ।"
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
টু-ইমদাদ বলেছেন: আল্লাহর সৃষ্টির মাধ্যম হলো কুদরত অপরটি সুন্নত। এই দুইটিকেই অবিশ্বাস করার উপায় নেই। আল্লাহর প্রতি যেইরূপ ধারণা করা হবে আল্লাহ তার সাথে সেরূপ ব্যবহার করবেন। ধন্যবাদ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , তবে ধারণা বিষয়ে একটা কথা আছে , সেটা হল আপনি কি আল্লাহ পাকের কাছে সুন্নত সম্মত ধারণা করবেন ? নাকি সুন্নত বহির্ভুত ?
মানে বিয়ে করে ধারণা করবেন যে আল্লাহ সন্তান দিবেন ? না বিয়ে না করে ? বিষয়টা খুব হার্ড লাইনের হয়ে গেলো , আরো সোজা একটা অবস্হা বলি : চাকুরী/ব্যাবসা ইত্যাদী করে ধারণা করবেন যে আল্লাহ খাওয়াবেন ? নাকি চাকুরী/ব্যবসা ইত্যাদী না করে ? দুভাবেই মানুষ চলে , কোনটা সুন্নত সম্মত ? কোনটা আল্লাহর পছন্দনীয় ?
বেশীর ভাগ সাধারণ মুসনমান ও মোবাল্ললিগ ভাইদের দেখেছি সুন্নত বহির্ভুত কিছু হওয়াটাকে বুজুর্গী মনে করেন !
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১২
অলস শরীফ বলেছেন: বাংলাদেশে তবলিগ জামাতের নিজস্ব কিতাব ফাজায়েল আমল ছাড়া অন্য কিতাবকে তারা খুব একটা মানে না। অথচ রাসুল(সা
বিদায় হজ্বের ভাষনে মাএ দুইটি কিতাবের কথা বলে গেছেন তা হলো আল-কোরআন এবং নবীর হাদীস। আর হযরত ওমর (রা) শাসন আমলে কিছু লোক সব সময় মসজিদে নববীর মধ্যে বসে নামায আদায় করত এবং সেখানেই সব সময় বসে তিলায়ত, জিকির করত। বিষয়টি হযরত ওমর (রা) প্রত্যক্ষ করলেন এবং তাদের প্রশ্ন করলেন তোমরা কারা উত্তরে তারা বলল হুজুর আমরা মুসাফির এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করি আর আল্লাহ্ র জিকির করি, ওমর (রা) প্রশ্ন করলেন তা তোমরা খাও কি? মুসাফিররা বলল আমাদের জিকির তিলায়াত করতে দেখে লোকজন আমাদের খাবার দেয় তাই আমরা খায়। হযরত ওমর (রা) বললেন এরপর নামায ছাড়া অন্য সময় মসজিদে দেখি তাহলে পিটিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দেব, এর নাম ইসলাম না। পরিশ্রম করে খাওয়ার জন্য আল্লাহ্ হাত পা দিয়েছেন। রাসুল (সা
থেকে শুরু করে পৃথিবী সকল নবী পরিশ্রম করে জিবিকা নির্বাহ করেছেন। তাই ইসলাম ধর্মে হাদীস বলছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। এই সম্পর্কে একটি ব্লগ শীঘ্রই পোষ্ট করব আশা করছি।