![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধুরা ভুল বুঝে আমাকে, আমি কেমন তা কেউ বুঝতে পারে না, যা সবচেয়ে পীড়াদায়ক। মুখলুকিয়ে কেঁদে কেঁদে সুসময়কে বিদায় দেয়ার আনন্দে মত্ত থাকি। সরাসরি কথা বলতে ভালো লাগে। খুব কষ্ট হয় যখন কেউ আমাকে ভুল বুঝে। আড্ডা মারতে ভালো লাগে না তেমন, কোথাও ঘুরতে যেতেও ভালো লাগে না। চরম ফাঁকিবাজ, বিশেষ করে পড়াশোনায়। আত্মবিশ্বাসী, চঞ্চল, ভাবুক এবং কিছুটা অহংকারী। অবসরে কবিতা লিখতে ভালবাসি, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করা আমার নেশা। যুক্তিবাদী হতে শিখছি, সাথে একজন ভালো মানুষ। সব মানুষকেই সমান চোখে দেখি। উপকার করতে ভালবাসি কোনো প্রকার প্রতিদান ছাড়া। উপকার করে বাঁশ খেতেও ভালো লাগে। ভালবাসতে পারি অনেক, বাবা মা, ভাই বোন সকলকে। আমি আমার আকাশটা ছুঁতে চাই।যাতে আমি সবার আকাশকে রাঙাতে পারি। আমি স্বারথপর নই,আমি চাই সবাই তার বিবেক কে চিনুক;আবেগ কে নয়। মানুষের ভালোবাসাই তো মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি,সফল হওয়ার পেছনে। আমার ফেসবুক আইডি https://www.facebook.com/osfutoartonad/info
ছেলেটি বারবার আকাশ দেখে।
৫ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা শ্যামলা বর্ণের ছেলেটি। নাম কথক। ঠিক কথকের মতই ওর চপলতা। জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া এক বাস্তবার দুর্ভেদ্য দেয়াল সে।
কী সফলতা ছিল না তার।
পোর খাওয়া পিতার তাড়া খেয়ে মায়ের কাছে মুখ লুকিয়ে কাঁদত ছেলেটি। অসাধারণ প্রতিভাবান ছিল।
মাঝরাতে যখন সবাই ঘুমে বিভোর ছিল, তখনও ছেলেটি একটানা কবিতা মুখস্ত করে যেত। " টুইংকেল টুইংকেল ...................... "
কতই বা বয়স ছিল তখন।
তিন এর বেশি নয়।
স্কুলে ভর্তি হবার আগেই দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত সব কবিতা কণ্ঠস্থ ছিল। যে বয়সে ছেলেরা ১ আর ১ যোগ করলে কত হয় টা বলতে পারত না সে বয়সে সেই ছেলেটি সরল অংক করত।
কথকের বাবা ছিল নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া জুয়াড়ি। পড়াশোনার বালাই নেই, তাই কথককে তার বাবার অভিশপ্ত দৃষ্টির বাইরে থাকতে হতো সবসময়।
আর ঠিক এ কারণেই কথক পড়ত মাঝরাতে, যখন চাঁদ পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়তো, ঝিঁঝিঁপোকারা ডাকে মত্ত থাকতো।
পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় ছেলেটি জেলায় প্রথম হল। ঠিক তখনই ছেলেটির প্রতি সবার নজর পড়ল। স্কুলের শিক্ষক, এলাকার গণ্যমান্যরা কথকের বাবাকে বুঝাতে লাগলো কথক যেন পড়াশুনা চালিয়ে যেতে থাকে।
কিন্তু তার বাবা নির্বিকার। এলাকার চেয়ারম্যান পর্যন্ত তার বাবাকে বোঝাতে পারে নি। কথককে পড়াশুনা করতে দেখলেই তার গায়ে হাত উঠত। তাকে বাসা থেকে বের করেও দেয়া হয়েছিল রোজগার করে না বলে। তবুও কথক পড়েছিল,অস্তিত্তের লড়াই করেছিল শেষ পর্যন্ত।
প্রথম যেদিন বৃত্তির টাকাটা হাতে পেয়েছিলো কথক, সেদিন তার মায়ের খুশিতে কথক ভুলে গিয়েছিলো তার কষ্টের কথা। কিন্তু বিধি মনে হয় এই সুখ সয় নি। ছোঁ মেরে কথকের বাবা টাকাটা নিয়ে গেছিলো নেশায় বুঁদ হতে।
এরপর..............................
জল অনেক ঘোলা হয়েছিল। জীবনের প্রতিটা পরীক্ষায় সে প্রথম হয়েছিলো। এমনকি বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায়ও।
কিন্তু তারপর...........................
অভিমান পেয়ে বসে কথকের। তার নিজের প্রতি, বাবার প্রতি।
বন্ধুমহল, শিক্ষক, সবার বোঝানো সত্ত্বেও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে ছেলেটি। প্রথম দু বছরে একটা বিষয়ও পাশ করতে পারে নি কথক। তাই বাধ্য হয়ে বুয়েট থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়।
তাই কথক আকাশ দেখে বারবার। এছাড়া ওর যে আর কিছুই করার নেই।
এটি বিরক্তিকর ছোটগল্পের মত মনে হলেও সত্যি ঘটনা।
আমাদের চারপাশে এমন অনেক কথক আছে। যারা সম্ভাবনা ছড়িয়ে হারিয়ে যায় কালের অতলে।
কিন্তু দায়ী কে?
ভাগ্য?
প্রকৃতি?
না অন্য কেউ?
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: আসলে কাকে যে দায়ী করবো বুঝতেছি না।
হয়তো আপনার কথা ঠিক।
হয়তো না।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০০
আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: setai treatment to ace,,BUET theke ber kore dewa kono solution na..kono meye o ei kaje egiye aste parto
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: সে আসলে পরিস্থিতির স্বীকার।
কারও কিছু করার নেই।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: কত প্রতিভাই যে এভাবে অকালে ঝরে যায় !! আহারে
মন খারাপ করে দিলেন।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: হুম।
৪| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: এতো প্রতিকূলতার মাঝে জীবনের সাথে প্রবল সংগ্রাম করে বুয়েট অবধি এসে আবার জীবনের কাছে হেরে যাওয়া- কেমন যেন মনে হলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩
ইলুসন বলেছেন: দায়ী তার শিক্ষকরা। একটা ছেলে যে বুয়েটে প্রথম হয় তাকে যেভাবেই পারুক ধরে রাখা যেত। দরকার হলে শিক্ষকগণ তার সাইকোথেরাপির ব্যাবস্থা করতে পারত, মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু তাদের এত সময় কোথায়!