নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জলের ধারায় মুক্তো খুঁজে বেড়ানো রূপকথার কোনো এক ঘোড়সওয়ারী

মানুষের ভালোবাসাই তো মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি,সফল হওয়ার পেছনে।"

মোঃ নুর রায়হান

বন্ধুরা ভুল বুঝে আমাকে, আমি কেমন তা কেউ বুঝতে পারে না, যা সবচেয়ে পীড়াদায়ক। মুখলুকিয়ে কেঁদে কেঁদে সুসময়কে বিদায় দেয়ার আনন্দে মত্ত থাকি। সরাসরি কথা বলতে ভালো লাগে। খুব কষ্ট হয় যখন কেউ আমাকে ভুল বুঝে। আড্ডা মারতে ভালো লাগে না তেমন, কোথাও ঘুরতে যেতেও ভালো লাগে না। চরম ফাঁকিবাজ, বিশেষ করে পড়াশোনায়। আত্মবিশ্বাসী, চঞ্চল, ভাবুক এবং কিছুটা অহংকারী। অবসরে কবিতা লিখতে ভালবাসি, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করা আমার নেশা। যুক্তিবাদী হতে শিখছি, সাথে একজন ভালো মানুষ। সব মানুষকেই সমান চোখে দেখি। উপকার করতে ভালবাসি কোনো প্রকার প্রতিদান ছাড়া। উপকার করে বাঁশ খেতেও ভালো লাগে। ভালবাসতে পারি অনেক, বাবা মা, ভাই বোন সকলকে। আমি আমার আকাশটা ছুঁতে চাই।যাতে আমি সবার আকাশকে রাঙাতে পারি। আমি স্বারথপর নই,আমি চাই সবাই তার বিবেক কে চিনুক;আবেগ কে নয়। মানুষের ভালোবাসাই তো মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি,সফল হওয়ার পেছনে। আমার ফেসবুক আইডি https://www.facebook.com/osfutoartonad/info

মোঃ নুর রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবারও শিরোনামহীন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২

কিছুদিন আগের কথা। ট্রেনে করে খুলনা আসছিলাম। ট্রেন যশোর পার হওয়ার পর হঠাৎ দেখি ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে একজন মহিলা কাঁদছেন। কোলে একটা বাচ্চা। এটা দেখে ট্রেনের পরিচারক জিজ্ঞাসা করলেন কাঁদছেন কেন? মহিলা জবার দেয় যে সে তাঁর সব টাকা হারিয়ে ফেলেছে ট্রেনে। ট্রেন থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার মতো এক টাকাও নেই। সে মংলায় থাকে। তাঁর স্বামী নেই।



মহিলাটার কান্না দেখে কেন জানি একটু অন্যরকম লেগেছিল। এমনিতে আমি দান একটু কম করি, তাও আবার ট্রেনে। যতসব ভণ্ডামিতে ভরা। কিন্তু, সেদিন তাঁর কান্না দেখে আমি কেন জানি তাঁকে ২০০ টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমি ভালো নিয়তে দান করেছি, মহিলা যদি মিথ্যাকথাও বলে, আমার দানের নিয়ত তো মিথ্যা না।



ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু সেই মহিলার সাথে আজ হঠাৎ দেখা ফুলবাড়িগেটে। সে শিরোমণি যাচ্ছিল। সেখানেই এখন থাকে। আমাকে দেখেই সে চিনে ফেলেছে। আমাকে জিজ্ঞাসা করলো বাবা কেমন আছেন? আমি একটু ইতস্তত করতে করতে সে পরিচয় দিয়ে দিলো। সে বলল, বাবা সেদিন এতটাই ভেঙে পড়েছিলাম যে তোমাকে ধন্যবাদ দেই নাই।



সেদিন টাকাটা দিয়ে অনেক উপকার করেছিলো। বাবা, এই নাও তোমার টাকাটা। নিলে খুশি হবো।



আমি বিস্ময়ে হতবাক। সে অনেক জোরাজোরি করছিল টাকাটা ফেরত দেয়ার জন্য। শেষে বললাম যে আপনার ছেলে কোথায়? সে বলল বাসায় আছে। বললাম, আপনার ছেলের জন্য এই টাকাটা দিয়ে কিছু কিনে নিয়ে যান বাসায়। ।



টাকাটা ফেরত নিলে তাকেই ছোট করা হত। আসলে, এই দুনিয়ায় মানুষ চেনা বড় দায়। এই কাউকে ভাবছেন লোকটা ভণ্ড, ছোট মনের, হয়তো সে আপনার আমার চেয়েও অনেক বড় মনের হতে পারে। পৃথিবীটা কিন্তু খারাপ না। অনেক ভালোই বলা চলে। বড়ই অদ্ভুত আর সুন্দর এই পৃথিবীটা।



** পরিক্ষা খারাপ দিয়ে মনটা অনেক খারাপ ছিল। এই ঘটনার পর কারো মন না ভালো হয়ে পারে?***

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪

জীনের বাদশা বলেছেন: ভাল লাগলো এখনও ভাল মানুষ আছে দেখে।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: প্লাস দেওয়া যায় না, তাই প্লাস দিতে পারলাম না। খুব ভাল লাগল, অসম্ভব ভাল।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০১

স্বপনচারিণী বলেছেন: আমারও মনটা ভাল করে দিলেন। এ ধরনের ঘটনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে অন্যকে সাহায্য করতে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.