![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধুরা ভুল বুঝে আমাকে, আমি কেমন তা কেউ বুঝতে পারে না, যা সবচেয়ে পীড়াদায়ক। মুখলুকিয়ে কেঁদে কেঁদে সুসময়কে বিদায় দেয়ার আনন্দে মত্ত থাকি। সরাসরি কথা বলতে ভালো লাগে। খুব কষ্ট হয় যখন কেউ আমাকে ভুল বুঝে। আড্ডা মারতে ভালো লাগে না তেমন, কোথাও ঘুরতে যেতেও ভালো লাগে না। চরম ফাঁকিবাজ, বিশেষ করে পড়াশোনায়। আত্মবিশ্বাসী, চঞ্চল, ভাবুক এবং কিছুটা অহংকারী। অবসরে কবিতা লিখতে ভালবাসি, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করা আমার নেশা। যুক্তিবাদী হতে শিখছি, সাথে একজন ভালো মানুষ। সব মানুষকেই সমান চোখে দেখি। উপকার করতে ভালবাসি কোনো প্রকার প্রতিদান ছাড়া। উপকার করে বাঁশ খেতেও ভালো লাগে। ভালবাসতে পারি অনেক, বাবা মা, ভাই বোন সকলকে। আমি আমার আকাশটা ছুঁতে চাই।যাতে আমি সবার আকাশকে রাঙাতে পারি। আমি স্বারথপর নই,আমি চাই সবাই তার বিবেক কে চিনুক;আবেগ কে নয়। মানুষের ভালোবাসাই তো মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি,সফল হওয়ার পেছনে। আমার ফেসবুক আইডি https://www.facebook.com/osfutoartonad/info
২
দরজায় ঠকঠক শব্দ। দরজা খুলে দিলো লুবনার মা। দরজায় মধ্যবয়স্ক একজন অচেনা মহিলা দাঁড়িয়ে। ভিক্ষুক কি না বুঝতে পারছে না। কারণ, ভিক্ষুকেরা এরকম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে না, পোষাকেও ভিক্ষুকের মতো লাগে না।
"আপা। দুইমিনিট কথা বলতাম, একটু সময় হবে?" কথাটা শোনার পর ল্লুবনার মা বুঝলো ইনি ভিক্ষুক নন। তবুও বাসার ভেতরে নিতে ইতস্তত করছে। হাজার হলেও সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষ। তাই সামাজিকতার বালাই না দেখিয়ে বলল, "বলেন।"
১।
আবীরের পরশু বৃত্তি পরিক্ষা। সকাল থেকে একটানা পড়ছে। কিন্তু, খালিপেটে আর কত পড়বে? পেতে কিছু নেই কাল থেকে। আবীরের মায়ের জ্বর। গত দুদিন ধরে আবীরের বাবা ঘরে ফিরছে না। জুয়া খেলতে যেয়ে সেই যে উধাও হয়েছে। আবীরের মা সেলাইয়ের কাজ করে।
আবীরের সব জামা ছিঁড়ে গেছে। পরিক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য একটা জামাও নেই। তাই কিছু টাকা আবীরের মা রেখে দিয়েছিলো আবীরের জামা আর বৃত্তি পরিক্ষার খরচের জন্য। কিন্তু, সেই টাকা আবীরের বাবা চুড়ি করে জুয়া খেলতে নিয়ে গেছে।
৩।
আবীরের মা সব ঘটনাই খুলে বলল লুবনার মায়ের কাছে। লুবনারা ধনী। কিন্তু, ধনীরাই নাকি বেশি কৃপণ হয়। লুবনার মা বলে, আপা, মাসের শেষের দিকে। হাতে তো টাকা নেই। দুশো টাকা নিয়ে যান। ওকে কিছু ভালোমন্দ কিনে খাওয়ান, আর কলম জ্যামিতিবক্স কিনে দেন।
বেশ কয়েকটা বাসায় খালিহাতে ফেরার পর শেষমেশ দুশো টাকা! তবুও নিল। কিন্তু, আবীরের যে একটা জামাও নেই। তাঁর ছেলে কি খালি গায়ে পরিক্ষা দিতে যাবে?
৪।
পাশ থেকে সব কথাই শুনেছে লুবনা। শুনে অর প্রচণ্ড খারাপ লেগেছে। ও ছোট মানুষ। ওরা ধনী হলেও লুবনার তো আর টাকা নেই। তবুও কিছু তো করা দরকার। হাজার হোক, লুবনাও যে বৃত্তি পরিক্ষা দিবে।
শেষে, চুপিসারে লুবনা অর ভাইয়ের একটা জামা দিয়ে দিলো আবীরের মায়ের হাতে। একটা ছেলে খালিগায়ে পরিক্ষা দিতে আসবে, ব্যাপারটা খারাপ দেখায় না?
৫।
পরিক্ষার হল। লুবনা তাঁর সিটে বসেছে। হঠাৎ দেখে তাঁর দুই বেঞ্চ পাশে তাঁর ভাইয়ের জামা গায়ে দিয়ে কেউ একজন বসে আছে। বুঝতে বাকি রইলো না যে এই সেই আবীর। কি মায়াকরা চেহারা! একমনে নিবিষ্ট হয়ে বইয়ের পাতায় বুঁদ হয়ে আছে, শেষ মুহূর্তের রিভাইজ বলে কথা।
৬।
আজ বৃত্তি পরিক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। আবীর ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। অবশ্য আবীর আর ওর মা আবীরের বাবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। আবীরের মাথা অনেক ভালো, ওর বাবার নোংরামিতে এটা নষ্ট করতে চান না আবীরের মা।
এককেজি মিষ্টি নিয়ে আবীরের মা চলেছে লুবনাদের বাসায়। লুবনাদের বাসায়ও উৎসবের আমেজ। মণ খানেক মিষ্টি ঘরে রাখা। লুবনাও বৃত্তি পেয়েছে যে! আবীরের মায়ের এই এক কেজি মিষ্টি কিনতেই অনেক কষ্ট হয়েছে। হয়তো এ জন্য তাঁদের একবেলা না খেয়ে থাকতে হবে। তবুও, ঘরে থাকা মণ খানেক মিষ্টি দেখে আবীরের মায়ের কষ্ট বা দুঃখ হয় না। সে জানে, ওই মণ খানেক মিষ্টির চেয়েও তাঁর এই এককেজি মিষ্টির দাম অনেক।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৮
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ছোট ছিমছাম গল্প, মেদহীন ঝরঝরে লেখনীতে ++++ রইল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: এটা গল্প এবং কিছুটা সত্যি ঘটনা ভাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
আলাপচারী বলেছেন: ++++
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভালো লাগলো। আবেগি গল্প।