|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 মোঃ রেজাউল ইসলাম
মোঃ রেজাউল ইসলাম
	আমি নতুন সর্বদা----
আপনি কি আপনার নাম নিয়ে লজ্জিত ? হুম, প্রশ্নটা কেমন হয়ে গেল না ? 
না না সত্যি করে বলেন তো, আপনার কি কখনও এমন মনে হয় না যে আপনার নাম টা ঠিক জুতসই হয় নি ?
আচ্ছা দু একটা ঘটনা বলি, আমার পাশের বাসায় একটা বড় আপা ছিলেন যার নাম  হাসি। আমরা ডাকতাম 'হাসি আপা' বলে। আমার মনে হত নামটা তাকে খুব মানিয়েছে। তার হাসিটা খুব মিষ্টি। তা একদিন ওদের বাসায় গেলে হাসি আপা বলল-
- শোন, আমাকে আর হাসি আপা বলবি না। 
আমি অবাক হয়ে বললাম, - তাইলে কি বলব ! 
- বলবি 'মনি আপা'
- হাহ ! কেন, কেন, কেন! হাসি  নামটা তো সুন্দর। 
- নাহ, বেশি তর্ক করিস না। আমাকে মনি আপা বলে ডাকবি। 
দেখলাম, আপা বেশ সিরিয়াস। নিজের নামের ব্যাপারে যে কারো অস্বস্তি থাকতে পারে তা আমি সে প্রথম দেখলাম। এর পর থেকে ওদের বাসায় গেলে খুব মনে রাখতে  হত। পাছে মুখ ফস্কে বলে ফেলি ! আর তার পুরনো নাম হাসি আপা বললেই উনি খুব রাগ করতেন। ধীরে ধীরে সবাই তাকে ‘মনি’ নামেই ডাকতে লাগল। 
ঘটনা ২
আমার নিজের বড় ভাইয়ার ডাক নাম ‘রতন’। কিন্তু সে যখন মাদ্রাসায় পড়া শুরু করল আর নামাজ-কালাম পরতে লাগল তখন কিছু পরিবর্তন আসল। বাসার বাইরে বা কলেজে তাকে কেউ ডাক নামে চিনত না। সে তার full name বা ভাল নামে পরিচিত হয়ে উঠল। এবং আমরা বুঝতে পারতাম যে সে ওই নামেই বেশি অভ্যস্ত। 
আমার কথাঃ 
আমার ডাক নাম ‘স্বপন’। আর নামটা হিন্দু নাম হিসেবেই বেশি পরিচিত।  এই নাম নিয়ে বিভ্রান্তি আমারও ছোটকাল থেকেই ছিল।  অনেক অনেক বার আমাকে এই প্রশ্নের মুখে পরতে হয়েছে- “আচ্ছা, তুমি কি হিন্দু?”  ছোট বেলায় অনেক সময়  মজা করে উত্তর দিতাম- ‘হ্যা’ !! কিন্তু বড় হওয়ার পর এই নাম বিভ্রান্তি আমাকে পীড়া দিতে থাকে। আমি আমার নাম দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছি। এটা কি ঠিক ?? কই আমার কোন হিন্দু বন্ধুর নাম তো হাসান, কামাল, জাকির, মইন না। আমার খ্রিষ্টান বন্ধুর নাম তো বিভ্রান্তি তৈরি করে না। তবে আমরা মুসলমানরা কেন এমন বিভ্রান্তিকর নাম রাখি !!! 
এখান থেকেই মনে প্রশ্ন জাগে, আসলে মানুষের নাম রাখার ব্যাপারটা কি ? নাম রাখাটা কেনই বা গুরুত্বপূর্ণ ?  আমাদের কিরকম নাম রাখা উচিৎ ? ইতাদি ইত্যাদি। 
নাম রাখার ব্যাপারে কিছু মাত্রার নিয়ন্ত্রন অনেক দেশেই আছে। এর কিছু কারন ধর্মীয় আবার কিছু কারন ঐতিহ্যগত। __________________ 
অল্প কিছুদিন আগেই  সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কারণে ৫০টি নাম নিষিদ্ধ করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।  এই তালিকায় লিন্ডা, আমির ও স্যান্ডি এ ধরনের নামও অন্তর্ভুক্ত। সংবাদ সংস্থা ইউপিআই এ খবর দিয়েছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় বলছে, যে নামগুলোর তালিকা তারা প্রকাশ করেছে যেগুলো তাদের কাছে ইসলামিক ও আরবীয় মনে হয়নি।কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, ওই নামগুলো সৌদি আরবে আর রাখা যাবে না।
ফলে এখন থেকে দেশটিতে বসবাসরত কেউ তাদের সন্তানের এসব নাম রাখতে পারবে না এবং ওইসব নামে কাউকে ডাকাও যাবে না।
এখন থেকে কেউ তার সন্তানের নাম- লিন্ডা, অ্যালিস,রাম, বেঞ্জামিন,সৌদি রাজপরিবারের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত যেমন- সুমু (রাজাদের মর্যাদাসূচক আখ্যাবিশেষ),মালিক (রাজা)এবং মালিকা (রাণী) রাখতে পারবে না।
ওই তালিকার আরো কিছু নিষিদ্ধ নাম হলো- মালাইকা (ফেরেশতা),আব্দুল আতি, আব্দুন নাসের, আব্দুল মুসলেহ, নারিস, ইয়ারা, লোল্যান্ড, তিলাজ,বারাহ,আব্দুন নবী, আব্দুর রাসূল, মামলাকা (রাজত্ব), তবারক, নারদিন, মালাইন, অ্যালাইন, ইনার, মালিকতিনা, জিব্রাইল, আব্দুল মইন, আবরার, ঈমান, বায়ান, বাসেল, উইরিলাম, নবীয়াহ, আমির, অ্যারাম, নারিজ, রিতাল, ল্যারিন, কিবরিয়া, লরেন ইত্যাদি।
আমার পুরো নাম মোঃ রেজাউল ইসলাম।  আমার পাসপোর্টেও এভাবে লেখা। (MD REZAUL ISLAM). আর এই নাম নিয়ে আমিও পরলাম সমস্যায়। আমাকে যে ID Card দেয়া হোল তাতে ইংরেজিতে লেখা MD REZAUL ISLAM 
আর আরবিতে লেখা     محمد رجا ا اسلام
আর আমার ইউনিভার্সিটিতে লিখল محمد رضا اسلام  
আর এই নামের গড়মিলের কারনে আজও আমি suffer করি। Western Union এবং এখানকার একটা ব্যাংক আমার নামের বিপরীতে কোন একাউন্ট খুলতে রাজি হয়নি। 
আমার শ্রদ্ধেয় সহকর্মী এবং কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক   ডঃ হারুনুর রশিদ আশকারী।   তিনি ডঃ আশকারী নামেই বেশি পরিচিত।  কিন্তু সৌদি আরবে  চাকুরি  এসে হল বিপত্তি। কারন আরবি ভাষায় আশকারী শব্দের অর্থ আর্মি বা মিলিটারি। এখন কারও নাম মিলিটারি ক্যামনে হয় !! কাজেই তাকে বেশ ঝামেলাতেই পরতে হয় ! 
 ১৭ টি
    	১৭ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ৮:৪৭
১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ৮:৪৭
মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন:  হুম......... এই দেশে অনেক কিছুই কিছুটা উদ্ভট। 
তবে, মনে রাখা ভাল, প্রথম বিশ্বের অনেক দেশেও নাম নিয়ে অনেক বিধি নিষেধ আছে। 
আমার লেখার দ্বিতীয় কিস্তিতে এ বিষয়ে কিছু কথা বলব। 
২|  ১৬ ই জুলাই, ২০১৪  সকাল ৮:৪১
১৬ ই জুলাই, ২০১৪  সকাল ৮:৪১
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: এসব ঝামেলা এড়াতে আপনার নাম আলফা-২০১৪ রাখুন
  ১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ৮:৫৬
১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ৮:৫৬
মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন: হাহ হা......... ভালই বলেছেন ভাই !! 
আমার ক্লাসে ছাত্ররা যখন জিজ্ঞেস করে, "স্যার আপনার নাম ?"
আমাকে বলতে হয়, ' মোহাম্মদ রেদা আল ইসলাম' !!!
নিজের নাম নিজেকেই বিকৃত করতে হয় !!
৩|  ১৬ ই জুলাই, ২০১৪  সকাল ৯:০০
১৬ ই জুলাই, ২০১৪  সকাল ৯:০০
রাজিব বলেছেন: আপনার ডাক নাম স্বপন’ খুব সুন্দর। আমার নামের জন্যও অনেকে আমাকে হিন্দু মনে করতো। এর কারণ হল আমার নামের তিন ভাগের দুই ভাগ বাংলা আর এক ভাগ আরবি। এতে অবশ্য কখনোই খারাপ লাগেনি বরং ভাল লেগেছে যে আমার মা বাবা বাংলা ভাষাকে ভালবেসে আমার বাংলা নাম রেখেছেন। 
যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। 
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি॥ 
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়। 
নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়॥
কোন মুসলমানের নাম ভগবান, ইশ্বর, গণেশ, ইত্যাদি হতে পারে না কিন্তু স্বপন, রাজিব, অপূর্ব এগুলো হলে কি সমস্যা? 
  ১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ৯:০৫
১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ৯:০৫
মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন:  আমার মনে হয়, নাম হল একজন মানুষের প্রাথমিক পরিচিতি। 
আমি একজনকে চিনতাম যার নাম- প্রদীপ মৃধা'
নাম থেকে আমি ধরেই নিই উনি হিন্দু মানুষ। কাজেই দেখা হলেই 'আদাব' বলতাম। 
প্রায় ২ বছর পর একদিন ওনার বাসায় গিয়ে দেখি ড্রয়িং রুমে মক্কা-শরিফের বিরাট ছবি টাঙ্গানো। সোফার পাশে জায়নামাজ টুপি রাখা !!
৪|  ১৬ ই জুলাই, ২০১৪  দুপুর ১:৪৬
১৬ ই জুলাই, ২০১৪  দুপুর ১:৪৬
লুৎফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই,আমার নাম ও স্বপন। তাই অনেক জায়গায় জিজ্ঞেস করে দাস না সাহা। আমি ও বিব্রত হই।বলি আমি মুসলিম।আমার নাম লুৎফুল ইসলাম স্বপন। আমি লেখকের সঙ্গে অবশ্যই একমত যে,প্রত্যেকেরই তার ধর্ম অনুযায়ী একটা সুন্দর নাম হওয়া উচিত।এতে বিরম্বনা কমে।
  ১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ৯:১১
১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ৯:১১
মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন: আমি একজনকে চিনতাম যার নাম- প্রদীপ মৃধা'
নাম থেকে আমি ধরেই নিই উনি হিন্দু মানুষ। কাজেই দেখা হলেই 'আদাব' বলতাম।
প্রায় ২ বছর পর একদিন ওনার বাসায় গিয়ে দেখি ড্রয়িং রুমে মক্কা-শরিফের বিরাট ছবি টাঙ্গানো। সোফার পাশে জায়নামাজ টুপি রাখা !!
৫|  ১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ১১:৩৪
১৬ ই জুলাই, ২০১৪  রাত ১১:৩৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নাম নিয়ে আসলে ভাবিনা কর্মটাই আসল ।  
 
৬|  ২২ শে জুলাই, ২০১৪  রাত ৩:২৯
২২ শে জুলাই, ২০১৪  রাত ৩:২৯
জসীম অসীম বলেছেন: নামও বড় করতে চান? করুন-যেমন লেখক বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। দেখুন দু’জনের নাম দিয়ে একজনের নাম রাখা হয়েছে। দুখু মিয়া কবিতা লিখেছিলেন। পরে নজরুল হয়েছেন তিনি। এখনও দুখু বাঙ্গাল নামে একজন কবিতা লিখেন। খাওয়ার নামে নাম রাখতে পারেন। যেমন ওমপুরী। ভারতীয় অভিনেতা। আপনারা বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’ পড়ে ‘অপু-দুর্গা’র কাহিনী জানেন। অপু কিন্তু ছেলে। বিটিভির অভিনেত্রী অপু হলেন মহিলা। তবে শিল্পী সরকার অপু। সালমান রুশদী ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ লিখে এক প্রকার পলাতক। আবু রুশদ দেশেই আছেন। নামে কতো মিল। একজন মেহেদী কবিতা লিখেন। শফিক আলম মেহেদী। গজল শিল্পী মেহেদী হাসান , কতো বিখ্যাত। অন্যজন মেহেদী হাসান কিন্তু আবৃত্তিকার। কে যে শওকত আলী আর কে যে শওকত ওসমান , তা অনেকেই ঠাহর করতে পারেন না। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বে’নজীর ভুট্টো। বাংলাদেশের একজন বেনজীর আহমেদ। আরেকজন খুব কাছ দিয়ে গেছেন। ব’নজীর আহমদ। ধাক্কা লাগার উপক্রম। এক বিজ্ঞানলেখকের নাম আব্দুল্লাহ আল মুতী। মুতী নামটাকে কেমন মনে হয়? শায়েস্তা খান। এমিল জোলা। ‘জোলা’ বলতে আমাদের গ্রামাঞ্চলে বোকাদের বুঝানো হয়। আকিলা রাব্বী। কুমিল্লার এক পত্রিকা সম্পাদকের মেয়ের নাম। শাকিলা জাফর। সংগীতশিল্পী। ফুলন দেবী। জীবনে অনেকবার ফুলে ফুঁসে দেখেয়েছেন। আরজ আলী মাতুব্বর। কী নতুন রকম নাম। ফটো সাংবাদিকের নাম রফিকুর রহমান রেকু। মীর আহম্মদ মীরু। ওসব নাম জননন্দিত। কিন্তু অবাক লাগে শুনলে। থমকে দাঁড়াতে হয়। আমার এক শিক্ষক ছিলেন। গবেষক। আবদুল মান্নান সৈয়দ। এক কবির সঙ্গে ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমির একই মঞ্চে বসে কবিতা পাঠ করে গৌরববোধ করেছিলাম। তিনি সৈয়দ শামসুল হক। তিনি ‘সৈয়দ’ আগে নিয়ে এসেছেন। এক কবি সৈয়দ হায়দার। ‘সৈয়দ’ বিশেষ নাম নয়। হায়দারও না। এক প্রকার নামের লেজটেজ। তার মূল নামই যেন নিখোঁজ। যেমন মোহাম্মদ উল্লাহ। আমার বর্তমান শ্বশুর । তারও মূল নামই নিখোঁজ। আরও সৈয়দ আছেন। হায়দারও। সৈয়দ হায়দার। দাউদ হায়দার। রশিদ হায়দার। মাকিদ হায়দার। জহির হায়দার। জাহিদ হায়দার। মোফাজ্জল হায়দার। পত্রিকার নাম আনন্দবাজার পত্রিকা , বাংলাবাজার পত্রিকা...। কুমিল্লাতে এখনও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নায়ক হিটলার, চার্চিল, রুজভেল্টরা বেঁচে আছেন। স্টালিনতো কবিই। রেজাউদ্দিন স্টালিন। এসব নামের তাৎপর্য কি সাধারণ মানুষ জানে ?
  ২২ শে জুলাই, ২০১৪  সকাল ১১:১৯
২২ শে জুলাই, ২০১৪  সকাল ১১:১৯
মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার মন্ত্যব্য পড়ে আমি নিজেই অনেক কিছু জানলাম।
আগেকার দিনে গ্রাম দেশে অদ্ভুত বা খারাপ নাম রাখার রেওয়াজ ছিল। উদ্দেশ্য ছিল যেন কারো নজর না লাগে !!
আজকাল এসব নাম হারিয়েই যাচ্ছে। ইতিহাস থেকেও হয়ত মুছে যাবে। নাহহ... ভুল বললাম। সাধারন মানুষের আবার ইতিহাস হয় নাকি !!
তবুও মনে হয় এমন কিছু নামের একটা তালিকা করা দরকার। যাতে আজ থেকে শত বছর পর কেউ যখন বাংলাদেশের মানুষকে জানার চেষ্টা করবে তখন তাদের নামও জানবে !!
আপনার কি জানা আছে এমন কিছু নাম?? জানলে শেয়ার করতে পারেন। 
৭|  ২২ শে জুলাই, ২০১৪  দুপুর ১২:০০
২২ শে জুলাই, ২০১৪  দুপুর ১২:০০
ইমরান হক সজীব বলেছেন:  আমি আমার নামের প্রথম অংশ 'ইমরান হক' নিয়ে বিব্রত, লজ্জিত । 
বর্বর , অসভ্য, কুসংস্কারাচ্ছন্ন আরবদের আরবি ভাষার চেয়ে আমাদের বাংলা ভাষা অনেক শ্রুতিমধুর । 
  ২২ শে জুলাই, ২০১৪  দুপুর ১:১০
২২ শে জুলাই, ২০১৪  দুপুর ১:১০
মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন: আরবি ভাষা ব্যাবহারে ইসলাম সম্মত নাম রাখা ইসলামী সভ্যতার ঐতিহ্য। 
একজন মুসলিম, তা সে আরব হোক, আফ্রিকান, পশ্চিমা বা এশিয়ান, সে তো তার ধর্ম- বিশ্বাসকে তার নামে ধারন করবে। এটাই স্বাভাবিক। 
আমেরিকানরা যতই খুনি-আগ্রাসী-ষড়যন্ত্রকারী-সন্ত্রাসবাদ লালনকারী হোক কোন খৃষ্টান কিন্তু তার নাম ঈশ্বর চন্দ্র রাখবে না।
রাষ্ট্র সেকুলার হতে পারে কিন্তু নাম সেকুলার হয় না। 
৮|  ২২ শে জুলাই, ২০১৪  দুপুর ২:০১
২২ শে জুলাই, ২০১৪  দুপুর ২:০১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমার সঙ্গে একজন মিশরীয় ছিল যার নাম - আহমাদ মাশাল। মানে কি সম্মানিত মশাল?
বাংলাদেশে এমন নাম আছে> 
ঝাড়ু
ঝড়ু
মরনী
বুইদ্দা
মন্তা
শরবতের নেসা
পাহাড় মামুদ
হইক্কা
হক্কা
মজিবরের নেসা
বহুরাজা
আরো অনেক আজব নাম আছে। ভোটার তালিকা দেখলে দেখা যায় মানুষের নাম কত বিচিত্র।   
 
  ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৫
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৫
মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
৯|  ২২ শে জুলাই, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:০০
২২ শে জুলাই, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:০০
ইমরান হক সজীব বলেছেন: যতদূর জানি 'স্বপন' একটা বাংলা শব্দ । 
কুসংস্কারাচ্ছন্ন আরব জাতির ঐতিহ্য থেকে যত দূরে থাকা যাই ততই মানবতার মঙ্গল । 
  ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৩
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৩
মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন: হ্যা। স্বপন বাংলা শব্দ। বাংলা ভাষা আমাদের প্রানের মাতৃভাষা। এটা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। এটা আমার প্রসঙ্গও নয়। 
আর আরব জাতির প্রতি কোন অনুরাগ বা বিরাগ আমার নেই। থাকি সৌদি আরবে। কাজেই খুব ভাল করেই ওদের ভয়াবহ সমস্যাগুলো জানি এবং প্রতিনিয়ত এর মুখোমুখি হই। 
তবে আরব জাতি আর আরবি ভাষাকে এক কাতারে দাড় করাই না। মুসলিমরা আরবি ভাষার প্রতি ভালবাসা রাখে তাদের ধর্মীয় আচার থেকে। ঠিক যেমন হিন্দুরা ভালবাসে সংস্কৃত ভাষাকে। কারন তাদের মন্ত্র বা বিভিন্ন ধর্মীয় আঁচারে এর ব্যবহার। হিরোশিমা- নাগাসিকা থেকে শুরু করে আজকের ইরাক পর্যন্ত যে বর্বরতা আমেরিকানরা করেছে তার ফলে আমেরিকান ইংরেজির কি সম্পর্ক !!
যাই হোক, আমি মনে করি, নাম হওয়া উচিৎ এমন যাতে ব্যাক্তির পরিচয় প্রকাশ পায়। ঐতিহ্য হচ্ছে, মানুষ এখন পর্যন্ত নাম ধর্মীয় identity অনুসারেই রাখে। এজন্য হিন্দু মেয়ের নাম কখনোই ফাতেমা, হালিমা বা রাবেয়া কখনোই হয় না। এবং না হওয়াটা খুবই যুক্তি সঙ্গত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪  সকাল ৮:২২
১৬ ই জুলাই, ২০১৪  সকাল ৮:২২
মনিরুল হাসান বলেছেন: নাম নিষিদ্ধকরণে এক দিক থেকে ভালই হয়েছে। সৌদি আরবের কোনো ফকির জাতীয় লোক নিজের নাম 'মালিক' (রাজা) রাখবে না।