নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজিব আহসান

রাজিব আহসান ২১

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলোরে।

রাজিব আহসান ২১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক গৃহযুদ্ধের সম্মুখে দাঁড়িয়ে

২৩ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০৮

দেশ এক কঠিন অবস্থার মুখোমুখি। গৃহযুদ্ধ আসন্ন বা অনেকের মতে গৃহযুদ্ধ অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। আমার দেখতে খুব কষ্ট লাগছে যে, আমরা সমভাবাপন্ন লোকগুলো দলে দলে বিভক্ত। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে লেগে গেছি।অথচ দেখা যাচ্ছে আমাদের সবার মধ্যে লক্ষ্য এক, গন্তব্য এক। পথের শুধু পার্থক্য বা ওয়েটা ডিফারেন্ট হতে পারে কিন্তু আমাদের চাওয়াটা কিন্তু সবার এক। আমরা সবাই চাই আমার দেশ সারা বিশ্বের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাড়াক, একটা স্বনির্ভর দেশ হিসেবে বিশ্বের সামনে পরিচিতি পাক। কিন্ত এই চাওয়ার ধরনটা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন। যার কারনে আমরা বিভক্ত হয়ে গেছি ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে।
জুলাই পরবর্তী অবস্থায় সবাই নিজেকে জুলাই এর হিরো প্রমান করতে ব্যাস্ত হয়ে পরেছি। অথচ দেখেন একটা আন্দলন এককভাবে কিন্তু সফল হয় না। অসংখ্য জনমত লাগে। সকল জনমত যখন এক হয়ে যায় তখন সাফল্য নিশ্চিত, যার প্রমান এই জাস্ট ৮ মাস আগেই দেখেছি। এই সাফল্য শুধু একজন বা একটা গ্রুপের সাফল্য নয়। দল মত নির্বিশেষে ছাত্র জনতার বিজয়। প্রত্যেকে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রেখেছে। কেউ ময়দানে থেকে, কেউ সোসাল মিডিয়াতে ঘৃণা প্রকাশ করে, কেউ ইউটিউবে সাহস যুগিয়ে। দরকার ছিলো জনমত এক করা। যেইটা সবাই মিলে আমরা করতে পেরেছি। এখন জুলাই পরবর্তীতে সবার উচিৎ যার যার অবস্থান থেকে অবদান রেখে যাওয়া। মনে রাখতে হবে স্বৈরাচার এর রেখে যাওয়া একটা ধংশপ্রাপ্ত দেশের মেরামত চলছে। অনেক কিছুই হয়তো হবার কথা ছিলো, অনেক কিছুই করা হয় নাই।
ঐযে বললাম, আমাদের সবার চিন্তার ধরনটা একটু আলাদা আলাদা।
আমরা যারা বিভিন্ন দেশ নিয়ে একটু খোজ খবর রাখি তারা একটু ভাবি অন্য রকমভাবে। একটু বুঝিয়ে বলি। আমি বুদ্ধি বয়স থেকেই বাসায় পত্রিকা দেখে আসতেছি, যার কারনে ছোট বেলা থেকেই পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ছিলো। ছোট বেলা থেকেই পত্রিকা খুটিয়ে পড়তাম। যখন জর্জ বুশ বিশ্ব ক্ষমতায় তখনকার আমেরিকা সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের নীতি দেখেছি আবার ২০২৫ সালের ট্রাম্প আমলের অবস্থাও দেখতেছি। ছোট বেলা থেকে বই পড়ারও খুব নেশা ছিলো। কোথাও কোন টাকা পেলে ছোট ছোট গল্পের বই কিনতাম। একটু বড় হলে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সদস্য হই। বিভিন্ন এলাকা বা স্পট থেকে তাদের গাড়ি থেকে বই সংগ্রহ করে পড়তাম। সপ্তাহের সাত দিনের বিভিন্ন দিন বিভিন্ন স্পটে গাড়ি থাকে। আমি ভিন্ন ভিন্ন স্পট থেকে বই সংগ্রহ করতাম। একটা করে বই নেবার নিয়ম থাকলেও আমি খাতির করে দুইটা করে মোটা বই নিতাম। ওরাও বই পড়ার অভ্যাসটাকে উৎসাহিত করত, সো দিত। আমার একটা বই পড়তে এক রাত বা দুই তার লাগে। একটু চিকন বই হলে এক রাতে দুইটা করে বই পড়া যায়। যার কারনে আমি সপ্তাহের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্পট থেকে বই সংগ্রহ করতাম। এছাড়াও মাঝে মাঝে সাইকেল নিয়ে সরকারি উডবার্ন লাইব্রেরিতে বই পড়তে যেতাম। ওখান থেকে আবার বই আনার সিস্টেম নাই। আমার আবার বিছানায় আধোশোয়া অবস্থায় বই পড়তে ভাল লাগে। যাই হোক, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার চেস্টা করেছি।

বই পড়ার সুবিধা কি? বইতে বিভিন্ন দেশের কালচার, সে দেশের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
আর এখন তো তথ্য প্রযুক্তির যুগ, ওপেন নলেজের যুগ। এখন চারিদিকে উন্মুক্ত জ্ঞান। এখন চাইলেই অনলাইনে বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, বিভিন্ন দেশের কালচার, বিভিন্ন বিল্পবের ইতিহাস, বিভিন্ন ক্যাস স্ট্যাডি সম্পর্কে জানা যায়। আমার আগ্রহ এখনো সেই জানার আছেই। পাশাপাশি ছোট বেলা থেকেই হলিউড সহ ভিন্ন কালচারের মুভি, টিভি সিরিজ দেখে অভস্ত। যার কারনে গনতন্ত্রের মিনিংটা আমি একটু অন্যভাবেই বুঝি।
আমাদের চিন্তা ধারা, আমাদের লজিক কাজ কারে আমাদের মেমোরিতে সঞ্চিত ডাটার উপর বেইসড করে। সো যে যেই যাবে যেই কালচারে বেড়ে উঠেছে, সেই ডাটা ব্রেইনে স্টোর করে রেখেছে সে সেইভাবে সকল বিষয়গুলোকে চিন্তা করতেছে।
আন্দোলন সম্পর্কে আমার অবস্থান যদি পরিষ্কার করি তাহলে বলব, আমি ছোট বেলা থেকেই থেকেই বিএনপি, আওয়ামীলীগ উভয়েরই শাষনকাল দেখেছি। বিএনপি এর সময়ও শাষনকাল ভাল ছিলো না। স্বজনপ্রীতি, দুর্নিতি, চাদাবাজি, দখলদারিত্ব আওয়ামিলীগ এর সময়ও ছিলো, বিএনপি এর সময়ও ছিলো। একবার এই দল করেছে, আরবকবার আরেকদল করেছে। শুধু লোকজন পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই সময় কালটায় আওয়ামিলীগ কর্তৃক সব চেয়ে বেশি নির্যাতিত ছিলো বিএনপি ও জামাত। জুলাই পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি জনগনের সিমপ্যাথি ছিল সবচেয়ে এই দুইটি দলের উপরেই। আমরাও আশা করেছিলাম আওয়ামীলীগ ব্যাতিত সবচেয়ে বড় দল এবার আমাদের আশার কান্ডারী হবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ঘটনা ঘটে তার ঠিক উলটো। বিএনপি তার আগের রুপে ফিরে আসা শুরু করে। রাস্তাঘাটে আবার চাদাবাজি শুরু হয়, পরিবহন, বাজার হাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট পর্যন্ত বিএনপি ও জামাত দখল করা শুরু করে।
দলের উচ্চ মহল থেকেও এর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। মুখে এক কথা বললেও বাস্ততা দেখা যায় ভিন্ন। পৃথিবীর বহুদেশেই দেখা যায় এই সিমপ্যাথি ভোট খুব কাজে দেয়। তার উপরে আবার বিএনপি এর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষই যেখানে পরাজিত ভিলেন, সেখানে বিএনপি এর মাঠ ফাকা। বিএনপি এর জন্য সুযোগ ছিলো সবগুলো দলকে একত্রিত করার। সবগুলো দলকে আগলে রেখে একক রাজত্ব কায়েম করার। যেখানে তারেক রহমান হবেন সবার নেতা। কিন্তু আমার মতে বিএনপি এই সুযোগটা হেলায় হারালো। জনগনের মনের ভাব তারা বুঝতে ব্যার্থ।
ছাত্রদের জন্য দল গঠন করাটা খুব জরুরি। তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও। যদি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আবার ফিরে আসে তবে নিশ্চিতভাবেই এই সবগুলো ছাত্রনেতাদের ধরে ধরে ফাসিতে ঝুলাবে। সাথে ঝুলাবে যারা বিভিন্ন সোসাল মিডিয়াতে আওয়ামীগের বিরুদ্ধে জনমত গড়ার চেস্টা করেছে। যদি আজ থেকে ৫০ বছর পরেও ক্ষমতায় আসে তাও তারা সেই প্রতিশোধ নেবে এইটা তো আমরা আগেই দেখেছি। এক এক করে ধরে ধরে খুজে বাহির করবে।
যদি অন্যদল ক্ষমতায় তাহলে ছাত্ররা হবে তাদের জন্য হুমকি। হয়তো তাদের টাকা পয়সা দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হত। আর দেশের ভেতরে যারা ছোটখাট সমন্নয়ক থাকবে তাদের হয়তো বিভিন্ন চাপ, ক্ষমতা ব্যবহার করে। লাইনের বাহিরে পাঠিয়ে দিত। এমতবস্থায় ছাত্রদের জন্য অস্তিত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দল গঠন করা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল বলে আমি মনে করি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা তো এখনো সরকার গঠন করার মতন এত বড় দল নয়। তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি নেয়া উচিৎ, অন্য দলের সাথে টাই আপ করা উচিৎ কিনা অনেক কিছু নিয়েই অনেক বিতর্ক থাকতে পারে।
কিন্তু দেশের কথা যখন আসে তখন কারো মধ্যে মতভেদ থাকার কথা না।
আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে তাকাই, আন্দোলন চলাকালে আমরা ভিন্ন ভিন্ন মতের বিভিন্ন লোকজন বিভিন্নভাবে আন্দোলনে অবদান রাখার চেস্টা করেছি নিজ নিজ অবস্থান থেকে।
পিনাকী ভট্টাচার্য দাদার কথা যদি বলি, উনার অনেক ভিডিও ই দেখেছি। উনার অনেক বিষয়েই একমত ছিলাম না। এইটার কারনও হচ্ছে আমার ব্রেইনে সঞ্চিত ডাটা। বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাপট, কালচার, গনতন্ত্রের চিন্তাধারার পার্থক্যের কারনে। মজার ব্যাপার হচ্ছে পিনাকী ভট্টাচার্য অনেক জাননেওয়ালা মানুষ। উনি জেনেশুনেও অনেক বিষয়কে ভূলভালভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। উনার এই অচরনগুলোর জন্যেই উনি অনেকের অপছন্দের পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু খেয়াল করে দেখেন আমাদের মুল চাওয়াটা কিন্তু এক।
পিনাকী চেস্টা করেছেন পপুলিস্ট টাইপের ভিডিও বানাতে। মানুষ যা শুনতে চায় তাই মানুষকে শুনাতে। উনি আরেকটা বড় হাতিয়ার ব্যবহার করেছেন, ভাষা। উনার ভিডিওগুলো উনি বানিয়েছেন আঞ্চলিক ভাষায়। যার কারনে সাধারণ মানুষের ভেতরে উনি খুব সহজে ঢুকে যেতে পেরেছেন। গ্রাম গঞ্জের মানুষও মোবাইলে ডাটা কিনে পিনাকীর ভিডিও দেখে। সো এইদিক দিয়ে উনি পুরোপুরি সফল। হাসিনা আমলে উনার অনেক কথাতেই বিরক্ত হতাম ভুলভাল ব্যাখ্যাগুলোর কারনে। তবে এগুলোতে কাজ হত। তাই বিরক্ত লাগলেও এর বিপক্ষে কখনো বলি নাই। উনার ভিডিওগুলো অনেক মানুষকে আশা জাগাত। আশা জিয়ে রাখত। উনিও এই আন্দোলনের বড় কারিগর।
আরেকটা মজার ব্যাপার শেয়ার করি, পিনাকী যখন ভারতীয় পন্য বর্জনের ডাক দেন তার অনেক আগে থেকেই ভারতীয় পন্য বর্জন করে আসতেছি। একদম ছোট বেলা থেকেই তো দেখে আসতেছি ভারতীয় আগ্রাসন। যার কারনে ছোট বেলা থেকেই মনের ভেতরে ভারত বীষ জমতে থাকে। পারত পক্ষে সব সময়ই বিকল্প থাকলে আমি ভারতীয় পন্য কিনতাম না। পিনাকী দাদা যখন ভারতীয় পন্য বর্জনের ডাক দেন তখন তার ডাকের সাথে একতত্বা হতে আমার দেরি হয় নাই। নিজে তো ইউজ করিই নাই, বন্ধুবান্ধব, আত্বীয়স্বজন, পরিচিত জন সবাইকেই ভারতীয় আগ্রাসনের ব্যাপারে বুঝিয়েছি। ফেসবুক বা সোসাল মিডিয়াতে হয়তো তখন পোস্ট দেয়া হয় নাই, কারন সেই সাহস তখন আমার ছিলো না। আবরার ফাহাতের ঘটনা সহ বিভিন্ন ঘটনা তখনো মনে ভয় ধরিয়ে রেখেছিলো। কিন্তু নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেস্টা করে গেছি দেশের সমর্থনে কিছু করে যেতে। এরপর আন্দোলন যখন শুরু হয় এবং আন্দোলনের ফাইনাল চাওয়া যখন এক হতে থাকে তখন আমার চাওয়া আর তাদের চাওয়া ভিন্ন কিছু থাকেনি। সব চাওয়া এক হয়ে গিয়েছিলো।
এখন আন্দোলন পরবর্তী ইউনুস সাহেবের কথায় যদি আসি, উনার আগের ইতিহাসগুলো যদি একটু দেখি তাহলে বোঝা যায় উনি আসলে শর্টটাইমের জন্য কখনোই ক্ষমতায় আসতে চান নাই। উনার ক্যারেক্টার যদি একটু বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখা যায় উনি ক্ষুদ্র ঋণ এর জনক ছিলেন। নোবেল পুরষ্কার পাবার পর পরবর্তী আওয়ামী সময়ে তার জন্য দেশের পরিস্থিতি অনুকুলে ছিল না। এই সময়টাতে তিনি সারা পৃথিবী ঘুরেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাকে ডেকেছে তাদের দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ও দারিদ্রতা বিমচনে উনার ফর্মুলা কাজে লাগানো যায় কিনা। উনি ঐসব ডাকে সারা দিয়েছেন। ঐসব দেশে গিয়েছেন। ওই সব দেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন। ওই সব দেশের জন্য আলাদা ফর্মুলা তৈরি করেছেন। এইভাবে ১৬ টা বছর তার বিভিন্ন দেশের জন্য কাজ করে গেছেন।এরভেতরেও অনেক ঘটনা প্রবাহ ও অনেক কিছু ছিল। আমি সেসব আলোচনায় যাচ্ছি না। লক্ষ্য করলে দেখা যায় নোবেল পূর্ববর্তী ইউনুস ও নোবেল পরবর্তী ইউনুস এর মধ্যে অনেক পার্থক্য। আরেকটা মজার জিনিস লক্ষ্য করা যায়, তিনি অর্থনীতিতে কাজ করে গেলেও কিন্তু নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন শান্তিতে। বাংলাদেশে দারিদ্র্যতা বিমচনে তার ফর্মুলা মারাক্তক কাজ করছিলো। পরবর্তীতে গ্রামীণ ব্যাংকের আদলে বহু এনজিও গড়ে উঠেছে।
আন্দোলন পরবর্তী এই ধ্বজভঙ্গ দেশের হাল ধরতে একজনের নামই মাথায় এসেছিলো, ড মোহাম্মদ ইউনুস। সকল দল, মত সবাই একমত ছিলেন ইউনুস সাহেব হয়তো উনার দক্ষতা ও ইন্টারন্যাশনাল কানেকশনগুলো ব্যবহার করে দেশকে একটা স্ট্যাবল অবস্থায় টেনে তুলবেন।
এবং এর অনেক নমুনা অলরেডি আমরা দেখতে পারতেছি। ইউনুস বাদে অন্য কেউ থাকলে ইন্ডিয়া ও আমেরিকা এতক্ষনে বাংলাদেশকে খেয়ে ছেড়ে দিত। ইন্টারন্যাশনাল চাপ সামলীয়ে, পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এত কিছু সামলানো সহজ নয়। উনাকে এই মুহুর্তে এসে ব্যার্থও বলতে পারছি না আবার সফলও বলতে পারছি না। ইউনুস সাহেব প্রথম থেকেই বিপ্লবী সরকার হতে চান নাই। এর পেছনে অনেকগুলো লজিকও আছে। বিপ্লবী সরকার হলে হয়তো তিনি হয়তো ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট এত পেতেন না। বিপ্লবী সরকারের পরিবর্তে তিনি নিজেদের অন্তর্বর্তীকরণ সরকার বলতেই বেশি সচেতন বোধ করেন। উনি যে গনতন্ত্রের রুপ লালন করেন সেখানে সবার কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে। পক্ষের মতেরও, বিপক্ষের মতেরও। প্রত্যেকের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে। সে যতই আমার প্রতিপক্ষ হোক না কেনো। এটাই গনতন্ত্রের সুন্দর্য।

ইউনুস সাহেবের মতন এত জ্ঞানী ও পরিপক্ক না হলেও ইউনুস সাহেবের সাথে আমার চিন্তাধারা কিছুটা মেলে। শুধু আমার নয়, আমার মতন আরো যারা বিভিন্ন দেশ নিয়ে, ইতিহাস নিয়ে খোজ খবর রাখেন তাদেরো চিন্তাধারা সেম। আমাদের লজিকগুলো একইভাবে কাজ করে।

আমি কিন্তু পোস্টের শুরুতেই বলেছিলাম, আমরা সমভাবাপন্ন লোকগুলো দলে দলে বিভক্ত। এর কারন হতে পারে আরেকজন হয়তো আরেকটু বেশি জানেন, তার লজিক কাজ করছে আরেকভাবে, কেউ হয়তো আরেকটা ইতিহাস জানেন, তার লজিক হয়তো ঐভাবেই কাজ করছে। এখানে সবার চিন্তাধারা গ্যাপটা এখানেই। আমরা সবাই অনলাইনে লজিক্যালি আলোচনা করে নিজের জ্ঞানের পরিধিকে আরো বাড়িয়ে নিতে পারি। তাহলে হয়তো অনেক কিছুতেই, অনেক লজিকেই আমরা আবারো এক হয়ে যেতে পারি।

আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে যদি বলি, এইটা জোর করে হবে না। তাদেরো এখনো অনেক সমর্থক আছেন। গনতন্ত্রের আশা দেখে নিজেই সেই গনতন্ত্রের ভক্ষক হলে কেমন করে হয়। আওয়ামীলীগ সময়ে ইউনুস সাহেব যতটা নির্যাতিত হয়েছেন, অনেক কম মানুষই হয়েছেন। শুনেছিলাম উনি যখন কোর্টে যেতেন তখন লিফট বন্ধ করে রাখা হত। আওয়ামীলীগের পুরো সময়কালটাই তিনি আতংকের মধ্যে ছিলেন। সব কিছু নিয়তির হাতে ছেড়ে দিয়ে জেলে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই লোক যখন ক্ষমতায় তখন সেই আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করছেন না কেনো?
এর একটা বড় কারন হতে পারে ইন্টারন্যাশনাল চাপ আর প্রকৃত গনতন্ত্রের রুপ। একটা রাজনৈতিক দলকে এইভাবে নিষিদ্ধ করা যায় না। যদি দেখা যায়, আওয়ামী আমলে আওয়ামিলীগ এর পাতি নেতা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বড় নেতা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিল। কেউ চাদাবাজি, কেউ দখলদারি, কেউ মাদক পাচার, নারী পাচার, টাকা পাচার, খুন, ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। সবাইকেই যদি বিচারের আওতায় আনা যায় অটোমেটিক আওয়ামীলীগ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। এরপর বিচারিক কায়দাতেই আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।
কিন্তু আপনারা যেভাবে চাচ্ছেন ঐভাবে হয় না। অনেকেই হয়তো বলবেন সন্ত্রাসী দল হিসেবে আক্ষা দিয়ে একটা অর্ডিন্যান্স জারি করলেই তো হয়। কিন্তু এর পরেও অনেক সমস্যা আছে। বিষয়টা অনেক চ্যালেঞ্জিং।
ভাই আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হবেই। এই দেশে আওয়ামীলীগের আর জায়গা নাই। অপেক্ষা করেন। সময় দেন।
আমি আশাবাদি।
আমি এখনো দেশ নিয়ে আশা দেখি। দিল্লি এখনো বহুতদূর। অনেক কিছুই হতে পারে। প্রয়োজন এখনো আগের মতই সবাইকে একতা বদ্ধ থাকার।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:১৯

চেংগিস খান বলেছেন:



১৩ বছর ১ মাস একলা কেটে গেছে!

২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে না।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

রাসেল বলেছেন: বাংলাদেশ একটি প্রভাবশালী দেশে পরিণত হতে পারত, কিন্তু আমরা এখন পতিতা। এজন্যই মুরব্বিরা বলে, মেয়েদের বেশি সন্দুরী হওয়া ঠিক না। যা ঘটতেছে, তা শুধু 1757 এর পুনরাবৃত্তির বিলম্বিত হওয়া।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: রাসেল সাহেব ঠিক বলেছেন। পাক-ভারতের দালালের দেশ!

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: এতো বই না পড়ে একটা বই পড়লে আজ আপনার এই অবস্থা হতো না।

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: আলোচনা হতেই পারে। তবে সব আলোচনা প্রকাশ্যে আনতে হয়না। হাসনাত আবদুল্লাহ যা করেছে তা পিনাকী চক্রান্ত.... যা জাতির জন্য অত্যন্ত খারাপ একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১৭

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: নাহিদ ইসলাম তার দলের পক্ষ থেকে খুব স্পষ্টভাবেই বিবৃতি দিয়েছে যে, এনসিপি গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার দাবী করেছে এবং বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিবাদের সকল সহযোগী ব্যক্তি ও সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

বৈষম্যিরোধি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা সবাই শিক্ষিত এবং এদের বেশ কয়েকজন আইন বিভাগে পড়াশনা করেছে ঢাবিতে। বেআইনি বা অগনতান্ত্রিক কোন কিছুই তারা দাবী করে নাই।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রবিন.হুড বলেছেন:

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চান?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.