![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শারিয়া আইন এম ৫.২ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৫২৫, ইমাম গাজ্জালী হতে): স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সংগম করবে চার রাতে এক বার। কেননা স্বামীর হয়ত চার বিবি থাকতে পারে। স্ত্রীকে এর জন্য এই দীর্ঘ অপেক্ষা করতেই হবে। যদি সম্ভব হয় তবে স্বামী এর চাইতে অধিক অথবা কম সঙ্গমও করতে পারে। এমন ভাবে স্ত্রীর সঙ্গমের চাহিদা মিটাতে হবে যেন স্ত্রী চরিত্রবতী থাকে, তার যৌন ক্ষুধা আর না জাগে। এর কারণ এই যে স্বামীর জন্য এটা বাধ্যতামূলক যে তার স্ত্রী যেন সর্বদা চরিত্রাবতী থাকে।
ইবনে ওয়ারাকের, আমি কেন মুসলিম নই বই, পৃঃ ৩২১: ১৯৯০ সালে পাকিস্তানী এক নারীকে হোটেলের চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় যেহেতু মহিলাটি এক পুরুষের সাথে করমর্দন করেছিল। তারপর পাকিস্তানী মহিলাটি বললেন: “পাকিস্তানে নারী হয়ে বাস করা খুবই বিপদজনক”।
কোরান সূরা আন নুর, আয়াত ৩১ (২৪: ৩১): ইমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত: প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নি-পুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদি, যৌনকামমুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগন, তোমরা সবাই আল্লাহ্র সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
কোরান সূরা আল আহযাব, আয়াত ৩৩ (৩৩:৩৩) তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে—মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ্ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত পবিত্র রাখতে।
সহিহ মুসলিম, বই ৭ হাদিস ৩১০৫: আবু হুরায়রা বললেন: “রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে নারী আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে সে কখনই তার মাহরাম ছাড়া এক দিনের ভ্রমণে যাবে না”।
মালিকের মুয়াত্তা, হাদিস ৫৪.১৪.৩৭: মালিক—সাইদ ইবনে আবি সাইদ আল মাকবুরি—আবু হুরায়রা থেকে। মালিক বললেন: আল্লাহ্র রসুল (সাঃ) বলেছেন: যে নারী আল্লাহ ও আখেরতে বিশ্বাস করে তার জন্যে তার পুরুষ মাহরাম ছাড়া একদিনের রাস্তা ভ্রমণ করা হালাল নয়।
ইবনে ওয়ারাকের বই, আমি কেন মুসলিম নই, পৃঃ ৩২১: আমরা এই সব মহিলাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি। আমরা তাদেরকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলব। আমরা ওদেরকে এমন সাজা দিব যে কস্মিনকালে ওরা ইসলামের বিদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে পারবে না।
শারিয়া আইন এম ১০.৩ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৫৩৮): স্বামী তার স্ত্রীকে পবিত্র আইন শিক্ষার জন্য গৃহের বাইরে যাবার অনুমতি দিতে পারবে। সেটা এই কারণে যে যাতে করে স্ত্রী জিকির করতে পারে এবং আল্লাহ্র বন্দনা করতে পারে। এই সব ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য স্ত্রী প্রয়োজনে তার বান্ধবীর গৃহে অথবা শহরের অন্য স্থানে যেতে পারে। এ ছাড়া স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী কোন ক্রমেই তার মাহরাম (যে পুরুষের সাথে তার বিবাহ সম্ভব নয়, যেমন পিতা, ভ্রাতা, ছেলে…ইত্যাদি) ছাড়া গৃহের বাইরে পা রাখতে পারবে না। শুধু ব্যতিক্রম হবে হজ্জের ক্ষেত্রে, যেখানে এই ভ্রমণ বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া অন্য কোন প্রকার ভ্রমণ স্ত্রীর জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং স্বামীও অনুমতি দিতে পারবে না। হানাফি আইন অনুযায়ী স্ত্রী স্বামী অথবা তার মাহরাম ছাড়া শহরের বাইরে যেতে পারবে যতক্ষণ না এই দূরত্ব ৭৭ কি: মিঃ (৪৮ মাইল) এর অধিক না হয়।
শারিয়া আইন এম ১০.৪ (ঐ বই, পৃঃ ৫৩৮): স্ত্রীর ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা। স্বামীর কর্তব্য হবে স্ত্রীকে গৃহের বাইরে পা না দেবার আদেশ দেওয়া। (O. কারণ হচ্ছে বাইহাকি এক হাদিসে দেখিয়েছেন যে নবী (সাঃ) বলেছেন: যে মহিলা আল্লাহ্ ও কিয়ামতে বিশ্বাস করে সে পারবেনা কোন ব্যক্তিকে গৃহে ঢোকার যদি তার স্বামী সেই ব্যক্তির উপর নারাজ থাকে। আর স্বামী না চাইলে স্ত্রী গৃহের বাইরে যেতে পারবে না।) কিন্তু স্ত্রীর কোন আত্মীয় মারা গেলে স্বামী স্ত্রীকে অনুমতি দিতে পারে গৃহের বাইরে যাবার।
শারিয়া আইন এফ ১২.৪ (ঐ বই, পৃঃ ১৭১): …নারীদের জন্যে গৃহে উপাসনা (অর্থাৎ নামাজ) করাই উত্তম। (A. তারা তরুণীই অথবা বৃদ্ধাই হউক)। একজন তরুণী, সুন্দরী, আকর্ষণীয় মহিলার মসজিদে পা রাখা অপরাধমূলক।(O এমনকি তার স্বামী অনুমতি দিলেও)। যদি তরুণীটি আকর্ষণীয় না হয় তবে তার মসজিদে আসা অন্যায় হবে না। আসল কথা হল তরুণী যেন মসজিদের নামাযীদের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে। এই জন্যেই আয়েশা (রঃ) বলেছেন: “নবী (সাঃ) যদি দেখে যেতেন আজকালকার মহিলারা কি সব কার্যকলাপ করে তবে উনি নিশ্চয়ই মহিলাদের মসজিদে আসা নিষিদ্ধ করে দিতেন; যেমন করা হয়েছিল বনী ইসরাইলের মহিলাদের।“ এই হাদিসটা বোখারী ও মুসলিম দিয়েছেন।
শারিয়া আইন এফ ২০.৩ (ঐ বই পৃঃ ২১৪): গ্রহণের সময় নামায। এই সময় নামাযটা দলবদ্ধভাবে মসজিদে পড়া উচিত। যেসব মহিলাদের দেহ আকর্ষণীয় নয় অথবা যারা বৃদ্ধা সেইসব মহিলারাও মসজিদে এই নামায পড়তে পারে। আকর্ষণীয় দেহের মহিলাদের উচিত গৃহের ভিতরে নামায পড়া।
শারিয়া আইন পি ৪২.২ (৩) (ঐ বই পৃঃ ৬৮২): আল্লাহ ঐ মহিলার প্রতি নযর দিবেন না। নবী (সাঃ) বলেছেন যে মহিলার স্বামী গৃহে বর্তমান তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর উপবাস (রোজা) রাখা বে আইনি। স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী কোন ব্যক্তিকে গৃহে ঢুকতে দিতে পারবে না।
বাংলা বোখারী হাদিস নম্বর ৪৮৯ (খণ্ড ১) ব্যাখাঃ এই হাদীছ দ্বারা ইমাম বোখারী (রঃ) ইহাও প্রমাণ করিয়াছেন যে, নারীদের জন্য মসজিদে যাইতেও স্বামীর অনুমতি গ্রহণ আবশ্যক ছিল।
মাওলানা আজিজুল হক - হাদিস নম্বর ৪৯০ প্রসঙ্গে: ব্যাখ্যাঃ এই হাদিছ দৃষ্টে বোখারী (রঃ) বলিয়াছেন, নারীদের জন্য মসজিদে অবস্থান সংক্ষিপ্ত করার এবং নামায হইতে দ্রুত বাড়ী প্রত্যাবর্তন করার আদেশ ছিল। এই হাদীছে ইহাও সুস্পষ্ট যে, শুধু মাত্র মসজিদ সংলগ্ন বাড়ী ঘরের নারীরাই মসজিদে আসিত।
সহিহ বোখারী, ভলুম ৭, বই ৬২, হাদিস ১৭৩: জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন, নবী (সাঃ) বলেছেন—যদি তুমি রাত্রে বাড়ী পৌঁছ তবে তৎক্ষণাৎ স্ত্রীর নিকট চলে যাবে না। যাবত না সে যৌনাঙ্গের কেশে ক্ষুর ব্যাবহারে পরিচ্ছন্ন হয় এবং মাথার কেশ বিন্যাস করে নেয়। নবী (সাঃ) আরও বললেন: “হে জাবির সন্তান উৎপাদন কর, সন্তান উৎপাদন কর!”
সহিহ মুসলিম, বই ১, হাদিস ১৮৭: আবু বুরদা বলেছেন যে আবু মুসা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর স্ত্রী তাঁর কাছে আসলো ও উচ্চরবে বিলাপ আরম্ভ করল। যখন আবু মুসা ধাতস্থ হলেন তখন বললেন: তুমি কি জান না? আমি হলপ করে বলছি যে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “যে কেউ কারও অসুস্থতায় মস্তক মুণ্ডন করবে, উচ্চরবে কান্নাকাটি করবে ও পোশাক ছিঁড়ে ফেলবে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।“
সুনান আবু দাঊদ, বই ১, হাদিস ০১৮৮: আবু হুরায়রা বর্ণনা করলেন: আল্লাহর সৃষ্ট মহিলাদেরকে মসজিদ যেতে বাধা দিবে না। তবে তাদেরকে মসজিদে যেতে হবে সুগন্ধি না মেখে।
মালিকের মুয়াত্তা, হাদিস ৫৩.১.২: ইয়াহিয়া—মালিক—ওহাব ইবনে কায়সান থেকে। ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন: মোহাম্মদ ইবনে আমর বলেছেন: “আমি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের সাথে বসেছিলাম। এক ইয়ামানি ব্যক্তি এসে গেল। সে বলল: ‘ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু। এরপর ব্যক্তিটি আরও কিছু বলল। ইবনে আব্বাস (তখন তিনি অন্ধ ছিলেন) জিজ্ঞাসা করলেন: “ব্যক্তিটি কে?” উপস্থিত যারা ছিল তারা বলল: “এ হচ্ছে এক ইয়ামানি ব্যক্তি”। এরপর তারা তার পরিচয় জানিয়ে দিল। ইবনে আব্বাস বললেন: শুভেচ্ছার শেষ শব্দ হচ্ছে—আশীর্বাদ”। ইয়াহিয়া তখন মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন: “আমরা কি মহিলাদেরকে শুভেচ্ছা বা সম্ভাষণ জানাতে পারি?” তিনি উত্তর দিলেন: “এক বৃদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানাতে অসুবিধা নাই। তবে এক তরুণীকে আমি শুভেচ্ছা জানাই না।“
শারিয়া আইন ই ৪.৩ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৮৫৯): খৎনা একেবারে বাধ্যতামূলক। (O. পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যে। পুরুষদের জন্যে খৎনা হবে পুং জননেন্দ্রিয়ের আবরক ত্বক কর্তন করা। মহিলাদের খৎনা হবে ভগাঙ্কুরের আবরক ত্বক ছেদন দ্বারা। এর মানে নয় যে সম্পূর্ণ ভগাঙ্কুর কেটে ফেলা যেটা অনেকেই ভুলবশত: বলে থাকেন।) (হানবালিরা বলেন যে মহিলাদের খৎনা বাধ্যতা নয়—সুন্না। হানাফিরা বলে যে মহিলাদের খৎনা শুধুমাত্র স্বামীকে সম্মান দেখানোর জন্যে।)
সুনান আবু দাউদ, বই ৪১ হাদিস ৫২৫১: উম আতিয়া আল আনসারিয়া বর্ণনা করেন: মদিনার এক মহিলা মেয়েদের খৎনা করত। নবী (সাঃ) তাকে বললেন: “খুব বেশী কেটে দিবে না। কেননা এতে স্ত্রীর ভাল হবে এবং স্বামীও বেশী মজা পাবে”।
কোরান সূরা আল বাকারা, আয়াত ২২১ (২:২২১): আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ্ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
সহিহ মুসলিম, বই ২৪ হাদিস ৫৩১০: আবু হুরায়রা বর্ণনা করলেন: আল্লাহ্র রসুল (সাঃ) বলেছেন: “নরকের দুই অধিবাসী আমি যাদেরকে দেখিনি—তারা হল সেই সব ব্যক্তি যারা ষাঁড়ের লেজের মত চাবুক দিয়ে ঢোল পিটায় ও সেই সব মহিলারা যারা এমন পোশাক পরিধান করে যে তাদেরকে উলঙ্গই দেখা যায়। এই সব মহিলারা অশুভের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তাদের স্বামীকেও অশুভের দিকে নিয়ে যাবে। এদের মাথা বখত উটের কুব্জের মত এক দিকে কাত হয়ে থাকবে। এরা স্বর্গে প্রবেশ করবে না বা স্বর্গের সুবাসও গ্রহণ করবে না যদিও স্বর্গের সুবাস অনেক দূর থেকেই পাওয়া যাবে। এরা তা থেকে বঞ্চিত হবে।
শারিয়া আইন এফ ৫.৬ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ১২২): একজন মহিলাকে তার মাথা ঢেকে রাখতে হবে (খিমার দ্বারা)। এছাড়াও শরীরের উপরে ভারী আচ্ছাদন পরতে হবে যা মহিলার সম্পূর্ণ দেহকে ঢেকে রাখবে। (O.কিন্তু এমনভাবে গায়ে জড়াবে না যাতে করে তার দাঁড়ান, উঠা, বসা করতে বাধা আসে অথবা নামায পড়তে অসুবিধা হয়। মহিলাটি নামায পড়ার সময় তিন পোশাকে পড়বে)।
শারিয়া আইন এম ২.৩ (ঐ বই, পৃঃ ৫১২): অধিকাংশ আলেমদের মতে (n. হানাফিরা বাদে যার বৃত্তান্ত রয়েছে নিম্নের ২.৮ এ) কোন মহিলার পক্ষে মুখমণ্ডল অনাবৃত রেখে গৃহের বাইরে যাওয়া বে আইনি—কোন প্রলোভন থাকুক আর না থাকুক। যখন প্রলোভন থাকে (মহিলার উপর কোন পুরুষের) তখন আলেমরা একমত যে মহিলার মুখমণ্ডল আবৃত থাকতেই হবে। এখানে প্রলোভন বলতে বুঝানো হচ্ছে যৌন সঙ্গমের ইচ্ছা অথবা তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। তবে অগত্যায় পড়লে যদি মহিলার প্রয়োজন হয় তবে সে দৃষ্টি দিতে পারে, যদি প্রলোভনের সম্ভাবনা না থাকে।
শারিয়া আইন ডবলু ৫২.১ (১০৮) (ঐ বই পৃঃ ৯৭৩): মহিলা পাতলা পোশাক পরতে পারবে না। মহিলাদের পাতলা পোশাক পরা অপরাধ তুল্য। যে মহিলা পাতলা পোশাক পরে তার দেহের বৈশিষ্ট্য দেখাবে অথবা অন্যের প্রতি হেলে পড়বে অথবা অন্যকে তার দিকে হেলে পড়তে দিবে সেও এই পর্যায়ে পড়বে।
শারিয়া আইন ডবলু ৫২.১ (২৭২) (ঐ বই পৃঃ ৯৮ ৯৯): মহিলাদের সুগন্ধি পরে গৃহের বাইরে যাওয়া অপরাধ, এমনকি তাতে স্বামীর অনুমতি থাকলেও।
শারিয়া আইন এম ২.৩ (এ) (ঐ বই, পৃঃ ৫১২): কোন মহিলার বিবাহযোগ্য কোন পুরুষের নিকটে থাকা বে-আইনি। (A.নিজের স্ত্রী অথবা অ-বিবাহযোগ্য আত্মীয় ছাড়া কোন পুরুষের জন্যে অন্য কোন নারীর সাথে একাকী থাকা একেবারেই বে-আইনি। তবে যদি দুই নারীর সাথে পুরুষ একা থাকে তবে তা বে-আইনি হবে না।
শারিয়া আইন ও ৯.৩ (ঐ বই পৃঃ ৬০১) জিহাদ বাধ্যতামূলক (O.ব্যক্তিগতভাবে) সবার জন্য (O.যারা সমর্থ, পুরুষ এবং মহিলা, বৃদ্ধ ও তরুণ) যখন শত্রু মুসলিমদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে। ….একজন মহিলা যে জিহাদে যোগদান করবে, যখন শত্রু চারিদিকে ঘিরে ফেলবে তখন তার কাছে দু’টি সিদ্ধান্ত থাকবে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করা অথবা শত্রুর কাছে আত্মসমর্পণ করা, যদি মহিলা মনে করে যে আত্মসমর্পণ করলে তার প্রতি কোন অসদাচরণ করা হবে না। কিন্তু যদি মহিলা মনে করে যে আত্মসমর্পণের পরেও সে নিরাপদে থাকবে না, তখন তাকে লড়াই করতেই হবে, সে মহিলা কোনক্রমেই শত্রুর কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
সহিহ মুসলিম বই ১৯, হাদিস ৪৪৫৬ ইয়াজিদ বিন হুরমু্য বর্ণনা করলেন যে নাজদা একটা পত্র লিখলেন আব্বাসকে পাঁচটা ব্যাপারে। … আমাকে বলুন আল্লাহ্র রসুল (সাঃ) যখন মহিলাদেরকে জিহাদে নিলেন তখন কি রসুলুল্লাহ মহিলাদের জন্য যুদ্ধে-লব্ধ মালের (খুমুস) জন্যে কোন নিয়মিত অংশীদার করেছিলেন? … ইবনে আব্বাস উত্তরে লিখলেন: …কখনও কখনও রসুলুল্লাহ মহিলা জিহাদিদের সাথে মিলে যুদ্ধ করেছেন। এছাড়া মহিলা জিহাদিরা আহত যোদ্ধাদের সেবা করত। জিহাদে লব্ধ মালের কিছু পুরষ্কার মহিলারা পেত। কিন্তু রসুলুল্লাহ মহিলাদের জন্য কোন নিয়মিত অংশভাগ রাখেননি।…
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৫০: আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: হুনাইন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রসুল আওতাসে এক অভিযান চালালেন। মুসলিম সৈন্যরা তাদের শত্রুকে মোকাবেলা করল এবং তাদেরকে পরাজিত করল। তারা অনেক যুদ্ধবন্দিনী পেল। যুদ্ধবন্দিনীদের কাফের স্বামীরা একই স্থানে থাকার দরুন রসুলুল্লাহর অনেক সাহাবি তাদের হাতে গচ্ছিত বন্দিনী কাফের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করতে বিব্রত বোধ করলেন। এই সময় আল্লাহ্ নাজেল করলেন কোরানের আয়াত ৪:২৪: এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য—ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।
সহিহ মুসলিম বই ৮, হাদিস ৩৪৩২ আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রসুল আওতাসে এক সৈন্যদল পাঠালেন। তারা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করল। এরপর মুসলিম সৈন্যরা যুদ্ধবন্দি নিলো। মহিলা বন্দিদের সাথে তাদের পৌত্তলিক স্বামীরাও ছিল। নবীজির সাহাবিরা ঐ মহিলাদের সাথে তাদের স্বামীর সামনে সহবাস করতে নারাজ থাকলেন। এই সময় আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন এই আয়াত: “এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। (৪:২৪)”
সহিহ বোখারি, ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৬৩৭: বুরায়দা বর্ণনা করলেন: রসুলুল্লাহ আলীকে খালেদের কাছে পাঠালেন খুমুস (যুদ্ধে লব্ধ মাল) নিয়ে আসার জন্যে। আমি আলীকে ঘৃণা করতাম। সে সময় আলী গোসলে ছিলেন (এক যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সহবাস করার পর)। আমি খালেদকে বললাম: আপনি কি তাকে দেখলেন (অর্থাৎ আলীকে)? আমরা নবীজির কাছে পৌঁছিলে তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করলাম। তিনি বললেন: “হে বুরায়দা, তুমি কি আলীকে ঘৃণা কর?” আমি বললাম: “জী হ্যাঁ”। তিনি বললেন: “তুমি তাকে ঘৃণা করছ, তবে সে তো ঐ খুমুস থেকে আরও বেশী পাবার যোগ্য”।
সহিহ্ বোখারী ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৪৫৯: ইবনে মুহাইরিয বর্ণনা করেছেন: আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং আবু সাইদ আল খুদরিকে দেখলাম। আমি তাঁর পাশে বসে পড়লাম। তাঁকে আজল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু সাইদ বললেন: “আমরা আল্লাহ্র রসুলের সাথে বনি মুস্তালিকের যুদ্ধে গেলাম। আমরা আরব যুদ্ধবন্দিনী পেলাম। আমাদের জন্যে কৌমার্য (celibacy) পালন করা অসাধ্য হয়ে উঠেছিল। তাই আমরা চাইলাম সহবাস করতে। সত্যিই আমরা আজল করতে ভালবাসতাম। তাই আমরা যখন আজল করার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন চিন্তা করলাম: “রসুলুল্লাহ আমাদের সাথে আছেন, এমতাবস্থায় আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে কি ভাবে আজল করি?” আমরা তাঁকে আজলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তর দিলেন: “তোমাদের জন্যে উত্তম হবে এটা না করা কেননা যা জন্ম হবার তা হবেই।“
সহিহ্ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭: আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০: ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল। মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)। এরপর মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল। এক ব্যক্তি সঙ্গম করল এবং জুনুব হয়ে গেল। তার কাছে পানি আনা হল গোসলের জন্য। সে ভুলে গেল গোসল করতে। পানি উত্তপ্ত না শীতল তা জনার জন্যে সে তার আঙ্গুল ডুবিয়ে দিল পানির মাঝে”। মালিক উত্তর দিলেন: “তার আঙ্গুলে যদি কোন ময়লা না থাকে তবে আমার মনে হয় না ঐ পানিকে দুষিত বলা যাবে”।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৩: ইয়াহিয়া—মালিক—ইবনে শিহাব—ওবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ—ইবনে উতবা ইবনে মাসুদ—তাঁর পিতা থেকে। ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন: উমর আল খাত্তাবকে জিজ্ঞাসা করা হল: এক ব্যক্তির কাছে এক ক্রীতদাসী ও ক্রীতদাসীর কন্যা আছে। এখন ঐ ব্যক্তি কি পারবে ক্রীতদাসী ও তার তার কন্যার সাথে পরপর সহবাস করতে? উমর বললেন: “আমি এ রকম করা পছন্দ করি না”। এর পরে উমর এই প্রথা নিষিদ্ধ করে দিলেন।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৪: ইয়াহিয়া—মালিক—ইবনে শিহাব—কাবিসা ইবনে দুবায়েব থেকে। ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন: এক ব্যক্তি উসমানকে জিজ্ঞাসা করল: এক ব্যক্তির কাছে দুই সহোদরা বোন আছে ক্রীতদাসী হিসাবে। ঐ ব্যক্তি কি এই দুই ভগিনীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? উসমান উত্তর দিলেন: “এক আয়াতে বলা হয়েছে এই প্রথা হালাল; অন্য আয়াতে বলা হয়েছে হারাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভাবে সহবাসের পক্ষপাতী নই”। ব্যক্তিটি উসমান থেকে বিদায় নিলো। তার পর সে রসুলুল্লাহর এক সাহাবির সাথে দেখা করল এবং ঐ একই প্রশ্ন রাখল। সাহাবি উত্তর দিলেন: “ আমার জানা মতে কেউ যদি এমন সহবাস করে তবে তাকে আমি দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিব”। ইবনে শিহাব বললেন: “আমার মনে হয় উনি (সাহাবি) ছিলেন আলী ইবনে আবু তালিব”।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৫.৩৮: ইয়াহিয়া—মালিক—ইবরাহিম ইবনে আবি আবলা—আবদ আল মালিক ইবনে মারোয়ান থেকে। ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন: ইবনে মারোয়ান তাঁর এক বন্ধুকে এক ক্রীতদাসী দিলেন। পরে ইবনে মারোয়ান বন্ধুকে ক্রীতদাসী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। বন্ধু উত্তর দিলেন: আমি চাচ্ছিলাম ক্রীত দাসীকে আমার ছেলের হাতে দিবো যাতে ছেলেটি তার সাথে যেমন খুশী তাই করতে পারে”। আবদ আল মালিক বললেন: “মারোয়ান আপনার চাইতে অনেক বিবেকবান ছিলেন। তিনি তাঁর এক ক্রীতদাসী তাঁর ছেলেকে দিলেন এবং বললেন: “তুমি এই দাসীর ধারে কাছে যাবে না, কেননা আমি তার উন্মুক্ত পা দেখেছি”।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.১৭.৫১: ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর বললেন: কোন ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসকে বিবাহ করার অনুমতি দেয়, তবে তালাকের ভার থাকে ক্রীতদাসের হাতে। এ ব্যাপারে কারো কোন কিছু বলার অধিকার থাকবে না। এক ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসের কন্যা অথবা তার ক্রীতদাসীর কন্যা নিয়ে নেয় তবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.৩২.৯৯: ইয়াহিয়া—মালিক—দামরা ইবনে সাইদ আল মাজনি—আল হাজ্জাজ ইবনে আমর ইবনে গাজিয়া থেকে: উনি (অর্থাৎ আল হাজ্জাজ) জায়েদ ইবনে সাবিতের সাথে বসে ছিলেন। এই সময় ইয়ামান থেকে ইবনে ফাহদ আসলেন। ইবনে ফাহদ বললেন: “আবু সাইদ! আমার কাছে ক্রীতদাসী আছে। আমার কোন স্ত্রীই এই ক্রীতদাসীদের মত উপভোগ্য নয়। আমার স্ত্রীর কেউই এমন তৃপ্তিদায়ক নয় যে আমি তাদের সাথে সন্তান উৎপাদন করতে চাই। তা হলে কি আমি আমার স্ত্রীদের সাথে আজল করতে পারি?” জায়েদ ইবনে সাবিত উত্তর দিলেন: “হে হাজ্জাজ, আপনি আপনার অভিমত জানান”। আমি (অর্থাৎ হাজ্জাজ) বললাম: “আল্লাহ্ আপনাকে ক্ষমা করুন। আমরা আপনার সাথে বসি আপনার কাছে কিছু শিক্ষার জন্যে”। তিনি (অর্থাৎ জায়েদ) বললেন: “আপনার মতামত জানান”। আমি বললাম: “ঐ ক্রীতদাসী হচ্ছে তোমার ময়দান। তুমি চাইলে সেখানে পানি ঢাল অথবা তৃষ্ণার্ত রাখ। আমি এইই শুনেছি জায়েদের কাছ থেকে”। জায়েদ বললেন; “উনি সত্যি বলেছেন”।
কোরান সূরা আন নিসা, আয়াত ৪:২৪ এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য—ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।
সহিহ্ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ২৩৪৯: জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন: আমরা চুক্তি করে (মুতা) বিয়ে করতাম কয়েক মুঠো আটার বিনিময়ে। ঐ সময় আল্লাহ্র রসুল আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন। এই ব্যবস্থা চলতে থাকে আবু বকরের সময় পর্যন্ত। কিন্তু হারিসের ঘটনা শোনার পর উমর এই ধরণের বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন।
আল তাবারির ইতিহাস বই থেকে (ভলুম ৯, পৃঃ ১১২ ১১৪):
হে মানবজাতি, এখন তোমরা জেনে রাখ যে তোমাদের স্ত্রীর উপর তোমাদের যেমন অধিকার আছে তেমনি তাদেরও অধিকার আছে তোমাদের উপর। তোমাদের স্ত্রীর উপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে যে তারা যেন তোমাদের অপছন্দ কোন ব্যক্তিকে তোমাদের বিছানায় না নেয়। আর তোমাদের স্ত্রীরা যেন প্রকাশ্যে কোন কুকর্ম না করে। যদি তোমাদের স্ত্রীরা এইসব করে তবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন তাদেরকে প্রহার করার। তবে এই প্রহার যেন তীব্র না হয়। নারীদের সাথে ভাল ব্যাবহার করবে, কেননা ওরা হচ্ছে গৃহপালিত পশুদের মত। গৃহপালিত পশুদের মতই ওরা নিঃস্ব—ওদের নিজের বলে কিছুই নেই। তোমরা নারীদের নিয়েছ আল্লাহ্র কাছ হতে আমানত হিসেবে। এরপর তোমরা তাদের দেহ উপভোগ করেছ—যা আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে আইনসিদ্ধ করেছেন। হে মানবকুল, তোমরা আমার কথা শুন এবং উপলব্ধি কর। আমি আমার বার্তা তোমাদের কাছে পৌঁছিয়েছি এবং তোমাদের জন্যে যা রেখে গেলাম তা যদি তোমরা আঁকড়ে থাক তবে কোনদিন বিপথে যাবে না। তোমাদের জন্যে যা রেখে গেলাম তা হোল আল্লাহ্র কিতাব আর তাঁর নবীর সুন্নাহ্।
----------------------------------
কৃতজ্ঞতা: আবুল কাশেম (http://mukto-mona.com/bangla_blog/?author=37)
"ইসলামে বর্বরতা (নারী-অধ্যায় ০১ - ১০)"
কৃতজ্ঞতা: Abdul Mamun
©somewhere in net ltd.