![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংবিধান থাকিলে একটু খুলিয়া দেখিবেন অনুচ্ছেদ ৪৮ এর ৩, “প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন,
তবে শর্ত থাকে যে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোন পরামর্শ দান করিয়াছেন কি না এবং করিয়া থাকলে কি পরামর্শ দান করিয়াছেন, কোন আদালত সেই সম্পর্কে কোন প্রশ্নে তদন্ত্র করিতে পারিবেন না” ।
প্রথম অংশ পড়িয়া যাহা বুঝিলাম, প্রধানমন্ত্রী যেমনে নাচাইবেন সেইমনেই নাচিতে হইবে এর ব্যত্যয় করা সাংবিধানিকভাবে মোটেই সমীচীন নয়। অনেককে কাঠের পুতুলি ননির পুতুলা মুতলা বলিতে শুনিয়াছিলাম, আজ দেখিলাম । মাগার খানিক পরে “তবে” বলিয়া যে শর্তখানা জুড়িয়া দেয়া হইয়াছে তাহা মোটাদাগে সংবিধান গিলিতে গেলে যে কারো গলায় কাটারমত বাঁধিবে । ইহা স্পষ্ট করিতেই আরেকবার কষ্টকরিয়া উল্টাইবেন,
অনুচ্ছেদ ১৪১ এর ক, বলা হইয়াছে “রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্দেহজনকভাবে প্রতিয়মান হয় যে, এমন জরুরী-অবস্থা বিদ্যামান রহিয়াছে, যাহাতে যুদ্ধ বা বহিরাক্রমন বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের দ্বারা বাংলাদেশ বা উহার যে কোন অংশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন তাহা হইলে তিনি জরূরী অবস্থা ঘোষণা করিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরুপ ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষর প্রয়োজন হইবে”।
এতক্ষণ যদিও তাহাকে পুতলা মুতলা বলিয়া বিবেচনা করিয়াছি এখন বুঝিলাম মাইকে আওয়াজ দেয়ার ব্যপারে অর্থাৎ জরূরী অবস্থা ঘোষণা দেয়ার ব্যপারে মহামান্য পুতলাবাবাজির গুরুত্ব অপরিসীম । কেননা সংবিধানে অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কোন ব্যখ্যা নাই । তাই তিনি সকল পরিস্থিতিকেই অভ্যন্তরীণ গোলযোগ বলিয়া চালাইয়া দেয়ার ক্ষমতা রাখেন । এমনটাই তো সংবিধানে বলা আছে !
এবার কাঁটা বিঁধল কেমন করিয়া তাহা অনেকে বুঝিয়া থাকলেও কিঞ্চিত না বলিলে মনটা যেন তৃপ্ত হয় না । ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষর প্রয়োজন আছে বলিয়া অনার্থক বাক্যখানা লেখিয়া কাঁটা সৃষ্টি করার কোন মানে হয় ? কেননা ৪৮ এর ৩ এ পূর্বেই বলা হইয়াছে কোন আদালত সেই সম্পর্কে কোন প্রশ্নে তদন্ত্র করিতে পারিবেন না । আদালত প্রশ্ন করিতে না পারিলে আমি আপনি কোন স্যার ! তাহলে অহেতুক ......(চলবে)
যেহুতু অল্পবিদ্যা ভয়ংকারী, তাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস, এখানে বোঝার ঘাটতি আছে । বিষয়টি কেউ বুঝিয়া থাকলে আওয়াজ দিবেন কৃতজ্ঞ থাকিব । আর দেশ যখন সচল হইবে তখন আমার ভাষাও সংযত হইবে । পুড়েছাই কিংবা গুলি খেয়ে যাতে পরোকালে গমন না করেন সেই শুভকামনা সবসময় ।
'সব্বে সত্তা সুখীতা ভবন্তু' বিশ্বের সকল জীব সুখী হোক 'নিব্বানং পরমং সুখং' নির্বাণ পরম সুখ, নির্বাণ পরম শান্তি।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
রাজজাকুর বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আমরা আহাম্মক থেকে আহাম্মক হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন । কিছু বলার নাই । শুধু মুখ বুঝে মার খাবার জন্যই এ দেশে পরে আছি ।
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
রাজজাকুর বলেছেন: বীর বাঙালী ঝাঁটা ধর
নেতা-নেত্রী সমান কর।
ডাইনিদের পেটে লাথি মার
জ্বালাও পোড়াও বন্ধ কর।
আমরা সবাই বাঁচতে চাই
ঝাঁটাপপেটা ছাড়া উপায় নাই
ঝাঁটা পেটাও দেশ বাঁচাও।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৪
নিলু বলেছেন: মানুষ ভজো , লিখে যান