নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈশাখে আকাশ ভ্রমণ

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

#বৈশাখে আকাশ ভ্রমণ#
এ দিকটায় সন্ধার অন্ধকার ঘনিয়ে আসলেও বৈশাখী মেলা নাকি এখনো শেষহয় নাই! বিদ্যুৎ এর এই যুগে রাত্রির অন্ধকারেও মেলা ভালো জমবে তাই তো স্বাভাবিক।
মেলায় যাত্রা শুরুর আগে জনৈক দার্শনিকের কথা স্মরণ হলো, বৈশাখী মেলায় এসো, একটু সাবধানে, খানিকটা মানষিক প্রস্তুতি নিয়ে এসো! যেন তোমাকে পরশ্রীকাতরতা গ্রাস না করে, যেন তুমি অন্যের কামনার উৎস হয়ে না উঠো!
যাক সে কথা এবার ভ্রমণে মননিবেশ করি। সয়ং আমারসাথে অস্ত্রহীন মিনহাজ ভাই ও অস্ত্রসস্ত্রসহ ফয়সাল ভাই (অর্থাৎ তার নতুন ক্যমেরা সাথে নিয়ে) হন্টন ক্রিয়ায় শামিল হলেন।
সম্রাট আকবর পায়ে হাঁটতেন কি না উইকিপিডিয়াতে লিখা নাই। তবে যতদূর ধারনা তাতে মনেকয় তিনি গাড়ি ঘোড়া বা পালকিতে চলাফেরা করতেন। তাহলে কি হেতু সয়ংউত্তম পুরুষ এক আমাকে হাঁটতে হবে? এই মুহূর্তে তা ঠাওর করা গেল না! কারন এই দুইজন আদাজল খেয়ে শুধু হেঁটেই যাচ্ছেন আর তাদের পায়ের ধাপ থেকে আমার ধাপ বিঘৎ কয়েক কম বৈ বেশি না।

বৈশাখে আকাশ ভ্রমন কাহিনী ভারতীয় সিরিয়ালের মত টেনে দীর্ঘায়িত করব না। তবে ভারতবাসী সম্পর্কে একটা কথা বলেই আপাতত এ পর্বের যবনিকাপতন ঘটাব।
যদি ভারত ফারাক্কা বাঁধদিয়ে পানি আটকে না রাখত তবে এই বৈশাখেও পদ্মায় থাকত উত্তাল জলরাশি। পদ্মাগার্ডেনে চেয়ারে বসে ফুচকা খেতে খেতে বর্শিদিয়ে গোটা কয়েক রুপালী ইলিশ ধরে ফেলতে পারতাম! বাকিটা যা হয় আরকি...!

বৈশাখী মেলায় নাগর দোলা দেখে মনেহল আকাশে উড়ার কিঞ্চিৎ সুযোগও নষ্টকরা চলে না। বড় ভাইদের আকাশে উড়ার অনিচ্ছা আমাকে মোটেও দমাতে পারল না। "আপনার পাখা নাই তাই বলিয়া আমি উড়িব না কেন?" এই ভেবে উপার্জিত অর্থের কিছু দিয়ে একটি নিল রঙের টিকেট ক্রয় করে লাইনে দ্বাড়িয়ে তাঁরার আলো গিলতে লাগলাম। খনিকক্ষন পরে নাগরদোলায় একটা আসন গেড়ে বসলে, টাল হওয়া ঘুড়িরমত চক্কর খেতে লাগলাম। বৈশাখের এত যত্নআত্তি করে খাওয়া খানা মিনিটকয়েকে হজম হয়েছে তার নোটিফিকেশ পেলাম।
মস্তিষ্কের করটির ভেতরে থাকা ঘিলু থেকে শুরু করে পায়ের পাতার শিরাউপশিরা ও প্রতিটি লোমকুপ জানে, আজ আমি আকাশে উড়েছি! উপরে বেশ স্বাচ্ছন্দে উঠছিলাম কিন্তু নামার সময় মনে হচ্ছিল হাড়ের ভেতরে থাকে মজ্জাগুলো জমাট বাঁধতে চায়! কিন্তু প্রতিকুল পরিবেশে জমাট বাঁধতে ব্যর্থ হচ্ছে! ভীষণ রকম চেষ্টা করছি জমাটবদ্ধ হওয়ার, নিজেকে সিটের সাথে শক্তকরে চেপে ধরেছি, সিটের হাতল এমনভাবে ধরেছি যেন এইতো, ছিড়ে যাবে! গেলবুঝি! চুড়ান্তভাবে ছেড়ার অপেক্ষায় চোখবুজে আছি! সাথে সাথে ধাক্কারমত ঝাঁকুনি খেলাম, বুঝতে বাকি থাকল না যে, আজ গেছি!! চোখখুলতে সাহস হচ্ছিল না! এমন সময় স্পষ্ট শুনলাম
: নামেন। ভাই, নামেন।
চোখ খুলে আশাহত হওয়ায় একটু চড়া গলায় বললাম
: নামেন মানে? কয়টা ঘুরানি দিয়েছ?
: ছয়টা।
: মাত্র ছয়টা!
: হ। ২০ টাকায় ছয়টা।
সামর্থ্য ছিল অনেক.... অনেকবার....ঘুরানি খাবার কিংবা আকাশে উড়ার কিন্তু নিজেকে সংযত করলাম। কেননা আকাশে উঠতে গিয়ে যদি নিজের স্বকীয়তা নষ্ট হয়, নিজেকে সংকুচিত করতে হয়, জমাটবদ্ধ হতে হয়, সে ওড়ায় মজা নাই। এভাবে নয়, এভাবে উড়তে চাই নি...! (চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.