নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞাপন সমালোচনা, পর্ব ৬

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

ভাবতাম পণ্যের বিজ্ঞাপনে পণ্যকে ফোকাসের পাশাপাশি দেশিয় শিল্প সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কে ফোকাস করে, কিন্তু ইদানিং ধারনা পাল্টে গেছে, এখন মনেহয় পণ্যকে ফোকাসের পাশাপাশি হরাহামেশা টিভিতে porn দেখানো হয়। না ঢালাওভাবে এমন বলার মত ঘাড়ে দুইটা মাথা নাই, যদিও অনেক ক্ষেত্রেই ঘটনা সত্য।

সমাজের অল্প বিদ্যার বৃহত্তম ভয়ংকরী তথাকথিত শিক্ষিত মহল, যাঁরা বিশ্বাস করেন, বক্তা যেমন টপিক নিয়ে বক্তব্য দেবেন তার চিন্তাচেতনা রুচিবোধ সেই ধাঁচের বা মাপের, এমন অহেতুক অযোক্তিক ধারনা প্রচলিত। আচ্ছামতন পিটুনি দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও এই মাহলটাকে মোটেও উপেক্ষা করা যায় না, বলেকয়ে সমান করাও সময় সাপেক্ষ! ফলত নিজের বাক্যকে সংযত করতে হয়। তাই কিঞ্চিত ইজ্জতহানীর ভয়ে স্পেসিফিকভাবে যৌন উত্তেজনাকর বা সুরাসুরি মুলক বিজ্ঞাপনগুলোর রেফারেন্স ও বিশ্লেষণ দিতে ব্যার্থ হলাম। তবে জনাব জেনে রাখুন এই ধারনা মোটেও ঠিক নয়। ধারণা করার আগে শুনুন বক্তা কী বলতে চায়। তারপর...

তাজ্জব বনে যাই, কি আজিব বিজ্ঞাপন রে বাবা, দেখে মনে হবে এটি হয়তো গর্ভনিরোধক খাপ বা গর্ভনিরোধক বরি বা এই ধাঁচের কোন পণ্য। কিন্তু পরে বোঝা যায়, এটি হয়তো রেফ্রিজারেটর, সাবান, প্রসাধনী বা অন্য কিছু। আশ্চার্য! যদি ওইসব পণ্যের বিজ্ঞাপন এতটা কুরুচিপূর্ণ না হয়, তবে সাধারণ পণ্যের বিজ্ঞাপন এমন হয় কি করে? এসব কি porn নয়?

অবস্থা এমন যে, ছেলেদের অন্তবাস, বডি স্প্রে এর বিজ্ঞাপনে মেয়েরা..... আর সেভিং ক্রিম রেজার তো আছেই। আর মেয়েদের প্রসাধনীতে যাচ্ছেতাই... এতো ওভার ল্যাপিং কেন?! এই ওভারলেপিং কিসের ইঙ্গিত করে? কোন পথে চলছি আমরা? এই গ্রহে এখন আইন পাশ করে সমকামিতা কে বৈধতা দেয়া হয়েছে। খামখেয়ালীপনার কারনে প্রতিবাদ না করার কারনে ধীরে ধীরে আমরা অন্ধ ও বধির হয়ে যাচ্ছি। আর এসব বিজ্ঞাপন আমাদের কোমলমতি শিশু, তরুণ ও বৃদ্ধ সকল স্তরের মানব কুলকে সুরসুরির মাধ্যমে ধর্ষণ করেই যাচ্ছে, সবাই ধর্ষিত হচ্ছেন কেউ উপভোগ করছেন, তবু চেতনা ফিরছে না। আর এভাবে চলতে থাকলে একদিন এই বাংলার মাটিতে সমকামিতা....।

এই অধঃপতন থেকে মুক্ত হতে চাইলে, আমাদের উত্তর প্রজন্মের জন্য এদেশকে বাসযোগ্য করে রাখতে চাইলে এখন থেকেই এসব পণ্যকে বর্জন করতে হবে। নয়তো যে পচন শুরু হয়েছে তার ঠিকানা সমকামিতা..।

রমযান মাসে খবরের মাঝখানে বা ইফতারের টাইমে বিজ্ঞাপনের দিকে চোখ রাখতে ভয় লাগে, যদি ওযু চলে যায়। খুব কষ্ট লাগে ইসলামি আলোচনা অনুষ্ঠান, যে বিজ্ঞাপনের সৌজন্য হয় তার মধ্যেই বেহায়াপনার অন্ত নেই। হুজুর বাবাজিরা যে কি করে এতে বক্তব্য রাখেন!! বলি, নীতি নৈতিকতা আদর্শে বোধের কতটা স্খলন হলে বুঝবেন এসব অশ্লীলতা... porn.?

বিজ্ঞাপনের মডেল, জি আপনাকে বলছি, আমরা পতিতাবৃত্তিকে ঘৃনা করি পতিতাকে নয়। আপনার পেশাকে সম্মান করি, কিন্তু যখন পণ্যকে উপস্থাপন না করে অশ্লীলভাবে সময়ে অসময়ে নিজেই উপস্থাপিত হন তখন দর্শকের ঘৃনা করা ছাড়া উপায় থাকে না। উদাম শরীরে টিভির পর্দায় ভারতের সালমান খানকে মানায় আর কাউকে না।

সম্পূরক আরো দুটি বিষয়ে দৃষ্টিপাত করতে হয়। যদিও মূল প্রসঙ্গ সংবাদ পাঠক না তবুও জানতে ইচ্ছে করে চ্যনেল গুলোর কি ড্রেস কোড নাই? তাছাড়া আধুনিক যুগের নারীরা তো ভীষণ সচেতন, তারা স্থান কাল পাত্র আবহাওয়া বুঝে মেকাপ কস্টিউম বাছাই করেন। তো সংবাদ পাঠক মহাদয়া আপনি যানেন না, এটি রমজান মাস মুসলিম শ্রোতা আপনার কথা শুনছে কিন্তু কেউ আপনাকে গিলছে না!

এপার বাংলার সংস্কৃতিমতি নারীগণ যদি ১৪হাত শাড়ি ভুলে পাখি জামা পরার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে মনে রাখতে হবে, এই ওড়না পেচিয়ে এদেশের শিল্প সংস্কৃতি চেতনা ও মূল্যবোধের পাখি আত্মহত্যা করবে!! আর এটিই তার সুইসাইড নোট!!

বিজ্ঞাপন নির্মাতা, এভাবে নিজেদের ক্ষমতার মিসক্যরেজ করলে যদি দর্শকগন ধর্ষক হয়ে উঠেন, তখন? স্বীকার করি আপনাদের অনেক ক্ষমতা! কিন্তু অশ্লীলতা কে শীল বলে চালিয়ে দিলেই তা কখনই শিল্প হয়ে যায় না। তাইতো বিনয়ের সাথে বলি আসুন সুস্থ্য, রুচিশীল মননের চর্চা করি।

আসুন সুকান্তের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলি, জীর্ন পৃথিবীতে ব্যর্থ আর ধ্বংসস্তুপ পিঠে, চলে যেতে হবে আমাদের, চলে যাব- তবু আজ যতক্ষন এ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপনে সবার জঞ্জাল সরিয়ে, এ বিশ্বকে এ আগামি প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে যাব। এই হউক আমাদের দৃঢ় অঙ্গিকার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.