নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ নাকি উষ্কানি(?) এবং ধর্মের নামে একি অধর্ম!

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

সংবিধানের ৩৬নং অনুচ্ছেদ আমাকে চলাফেরার স্বাধীনতা দিয়েছে। আর আমার বাবার ট্যাক্সের টাকা দিয়ে চলাচলের পাঁকা রাস্তা তৈরী করেছে সরকার। তাইবলে মহাসড়কে যেখানে ভীষণ গতীতে বাস ট্রাক চলে সেখানে গিয়ে যদি আমার চলাচলের স্বাধীনতা আদায় করতে চাই, রাস্তার মাঝদিয়ে হাঁটাচলা শুরু করি, তাহলে কি ঘটবে? বাসট্রাক কি আমাকে আমার চলাচলের অধিকার দেবে? কেন দেবে না, আমার বাপের টাকায় করা রাস্তা! সেই রাস্তা দিয়ে আমি হাঁটলে ক্ষতি কি!? ইসলামকে নিয়ে কটুবাক্য লিখেন যে ব্লগার ভাইয়েরা, তারা এই সহজ হিসাব কেন বুঝেন না!? তা ছোট মাথায় খেলে না....। তাই চুপ মেরে ছিলাম কিন্তু শুভাকাঙ্ক্ষী জনেরা মতামত জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাই আরকি...! জি জনাব, লম্বা পোষ্ট! বলি, ইগনোর করেন! আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর রাখার দরকার কি!? আর যদি পড়েনই, তবে পুরোটা পড়েন।

সোজা সাপ্টাভাবে চিন্তা করি, অনুচ্ছেদ ৩৭,৩৮ যথাক্রমে সমাবেশ ও সংগঠন করবার স্বাধীনতা সংবিধান দিয়েছে। তো জঙ্গিবাহিনী প্রকাশ্যে সমাবেশ করে না কেন? করলে মাইর কি একটাও মাটিতে পড়বে? না, পড়বে না, সব পিঠে পড়বে। এটাই স্বাভাবিক। নিষিদ্ধ জিনিসের চর্চা প্রকাশ্যে করলে পিটুনিই সহি।

এবার আসি মত প্রকাশের স্বাধীনতায়, আমার স্বাধীনতা অন্যজনের সমস্যার কারন হলে সেই স্বাধীনতা কি আসলেও স্বাধীনতা থাকে নাকি এই স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হয়ে যায় তা একটু বিবেচনায় আনি। যদি আপনি বাসট্রাককে কেয়ার না করে অগত্যা রাস্তার মাঝদিয়ে হাঁটতে চান তবে সেটা অপরাধ হয়ে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই বলছি জনাব, আপনি মুক্তমনা ব্লগার, আপনি নিশ্চয় বুঝেন। আপনার এই স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ( উস্কানি) অপরাধ। আপনার মত প্রকাশে সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনার লিখনিকে সংকীর্ণ মনা ও বাজেচিন্তা বলা যায়, কখনো মুক্তচিন্তা বলা চলে না। গালাগালি ছাড়ুন সমালোচনা করতে শিখুন, আপনার আত্মউন্নয়ন করা ভীষণ প্রয়োজন, কারন সংকীর্ণ মন দিয়ে মুক্তচিন্তা হয় না।

সরকারকে বলি এইসব নির্বোধকে মুক্তমনা, স্বাধীনচেতা দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধা বলে বলে এদের মাথায় তোলা গাঁধামো হবে। কারন বান্দর কে মাথায় তুলতে নেই...! দু একবার এদের দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায়, কিন্তু মনে রাখতে হবে বারবার এক শালুক দেখালে চলেবে না। প্রয়োজন শেষ, এবার বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিন। বুদ্ধি দিয়েই তো দেশ চালাতে হয়! যে সিষ্টেমে চলছেন তাতে যাই করেন, তাই করেন পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত রাখাই কিংবা সময়মত চড় মারাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

এবার আসি হত্যাকারি প্রসঙে, ইসলাম রক্ষ্যার দ্বায়ীত্ব কি শুধু কয়েক জন হত্যাকারীর। এরাই ইসলাম বুঝে আর কেই বুঝে না? জুম্মার আযান হয়েছে মুসলিমের কাজ সলাত কায়েম করা। মুসলিমগণ তো মসজিদে আর যারা এই ফাঁকে আল্লাহু আকবার বলে কোপাকুপি করে খুন করে, এরা কারা? লিখার জবাব চাপাতি দিয়ে দেয় এরা কারা? এরা ধর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়, এদের পরিচয় হত্যাকারী।

তায়েফের ময়দানে নবী (সাঃ) কে পাথর নিক্ষেপ করেছিল কাফেররা, তো নবী (সাঃ) এর জবার কি ছিল? আপনি কোন ইসলামিক রাষ্ট্রের শাসক নন আপনি হলেন ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আম পাবলিক। তাহলে আপনি বিচার করার কোন অথোরিটি? আল্লাহ আইন করে দিয়েছেন চুরি করলে হাত কেঁটে দিতে হবে, জেনা করলে পাথর মেরে, মেরে ফেলতে হবে। কই কোনদিনতো এমন করতে কাউকে দেখি নাই, কেন? যেখানে আল্লাহর আইনই মানছেন না সেখানে কিভাবে আল্লাহ নবীকে অবমাননা করার জন্য চোরাগোপ্তা হামলা চালান তাও আবার নামাজের সময়? ইসলাম কোন চোরের ধর্ম নয়। এই শাস্তি দিতে চাইলে আগে ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে, তারপরেও একটা শৃংখলার মধ্যদিয়ে শাস্তি দিতে হবে যদি বিশৃঙ্খলা করা প্রকৃত উদ্দেশ্য না হয়। অবমাননার জন্য ইসলামে যে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল তার কোনটাই চোরাগোপ্তা হামলা ছিল না। তো আপনি হত্যাকরে পালিয়ে আছেন কেন? নবীজির সময় অবমাননার জন্য যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের কাউকেই লিখালিখির জন্য হত্যা করা হয় নাই,একটু ভাল করে পড়ে দেখবেন। কোনদিন তো শুনি নাই কোন ইসলামী সংগঠন কারো এসলাহ(পরির্তন) ঘটানোর জন্য একটা কোরয়ান কাউকে দিয়েছে। এতো টাকা আপনাদের! চাপাতি বানানো যায়, কুপিয়ে মাড়া যায় একটা কুরযান দেয়া যায় না? যেখানে সৃষ্টিকর্তা নাস্তিকদের বলেছেন, তোমাকে সৃষ্টি করা কঠিন নাকি খুটিহীন ওই আসমান সৃষ্টি করা কঠিন?..... আচ্ছা না দেন, নিজেও তো একটু বুঝে পড়তে পারেন। কিসের জিহাদ কিসের গাজি কিসের শহিদ? শুনুন, অধর্ম করে ধর্ম রক্ষা করা যায় না। হক কখনো বাতিল দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আযান হয়েছে আর আপনি মানুষ খুন করেন মানে? কাকে কি বোঝাতে চান? সারা পৃথিবীতে ইসলামকে বাজেভাবে উপস্থাপন করে ইসলামের ক্ষতি করছেন, কেন? ব্রেইন ওয়াস হওয়া কিছু হত্যাকারীর দ্বাড়াই এটা সম্ভব। এদের কোন ছাড় দেয়া যাবে না। এরা দারি রেখে টুপি পড়ে ধর্মকে ইউজ করে ধর্মের ক্ষতি করছে। এদের ধরতে হবে দ্রুত দৃষ্টান্তসহকারে শাস্তি দিতে হবে। এই কাজটাও সরকারকেই করতে হবে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে জাতীয় স্বার্থে নির্দোষী কাউকে ধরে বলি দিয়ে দেবেন।

আমার মনে হয় না, বাংলাদেশে ইসলামী জাতীয়তাবাদ চেতনার এতোটা উন্মেষ ঘটেছে যে, ইসলামের নামে বাজে কিছু বলার জন্যই এই রিএকশন হয়েছে। আসলে এখানে বিভিন্ন স্নায়ুচাপের প্রভাব আছে। আছে যুদ্ধাপরাধ ইস্যু, ইসলামী দলগুলোকে উপেক্ষার ক্ষোভ, সরকারের স্বৈরাচারী আচরণ ও ক্ষমতায় লম্বা সময় টিকে থাকা ইত্যাদি। এগুলো হচ্ছে কারন আর হত্যাকান্ডগুলো এর ফলাফল। কারন রাজিব থেকে নিলাদ্রী সময়ের ব্যবধান খুব বেশি নয়!

ধর্মনিরপেক্ষতা চিন্তার ধারক সরকারের কাছে পৃষ্টপোষকতা পেয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করে লিখছে আর অন্যপক্ষ অনেকদিন সুবিধা না পাওয়ায় এদের ধরে সাইজ করছে। এখানে ধর্ম মেজর ফ্যাক্ট নয়।

আবার এও মনে হয় যে, আমার ধারনা পুরোপুরি ঠিক নয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

দস্যুরাজা বলেছেন: সহমত।
সঠিক কথাটাই বলেছেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

রাজজাকুর বলেছেন: ধন্যবাদ রাজা ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.