![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বসত্তার সাথে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার নাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মান্ধাতা আমলের ব্যবস্থা চালু রেখে শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হতে পারে না। যুগোপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না হলে যুগোপযোগী শিক্ষা কিভাবে দেয়া সম্ভব? পুথির মধ্যেই সব শিক্ষা থাকে না! নিশ্চয় প্রশাসনিক ভবনে জীবনমুখী কিছু ব্যাপার শেখবার আছে। কিন্তু সেখানে প্রতিনিয়ত হয়রানি হওয়াকে শিক্ষা বলতে রুচিতে বাঁধে!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে শিক্ষার্থীগণ প্রশাসনিক ভবনে দিনের পর দিন দরনা দেন মার্ক সার্টিফিকেট ও প্রভিশনাল তোলার জন্য। সেখানে হয়তো বলে, আজ হবে না ৭দিন পরে আসেন, ৭দিন পরে গেলে বলে নানান জটিলতা বা ভুল হয়েছে ওমুক তমুক। আর সে সার্টিফিকেট তোলার প্রসিডিওর ক্ষ্যত মার্কা বললেও অতুক্তি হবে না! একশ একটা পে ইন স্লিপ লিখতে হয়! যা একটা ফুল কোর্স পরীক্ষা দেয়ার সমান! এই পরীক্ষা দেয়া শেষ হলে হল আর প্রশাসনিক ভবনের এক তালা দোতালা ফলাফলের জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে অস্তির! বলি এতো কাহিনী করার দরকার কি! অনলাইন বেজড করে দিলেই তো মামলা খালাস! প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বললেই এরাই রা বি এল্পিকেশন তৈরী করে ফেলতে পারে। আর আমি তো আছিই!!!
যাউক গা, বলছিলাম সার্টিফিকেট এর কথা! ৫বছর পরে দেয়া সবুজ রঙের সার্টিফিকেটে যদি এক ফোঁটা পানির ছোঁয়া লাগে তবে পাঁচ সেকেন্ড পৃথিবীর বুকে স্থায়ী হবে কি না সন্দেহ। ডিগ্রী একটি বিশাল সম্মান, এটি বছরের পর বছর পড়ে তবেই পাওয়া যায়। এর মধ্যেই নিহিত আছে মেধা, পরিশ্রম, স্বপ্ন, আকাঙ্খা কত কিছু! তাহলে এই কাগজটা কেন এত নিম্নমানের হবে? বলতে চাচ্ছেন কগজের মূল্য নাই বাবা, লিখার আসল মূল্য! তাই তো! তবে জমির দলিল লিখার সময় এতো টাকা দিয়ে স্টাম্প কেনার দরকার কি বাবা? বসুন্ধরা টয়লেট টিসুতেই তো দলিল সইয়ের কাজটা সারা যায়!
সম্মানের স্বীকৃতি সম্মানের সাথেই নেয়ার দাবি করি। মার্কসার্টিফিকেট উঠানোর জন্য ৩০০ টাকা নিয়েছেন তো ৩০টাকার কাগজে তো দিবেন! আচ্চা তাও না দেন, কিন্তু তিন টাকার কাগজও দেবেন না, এ কেমন বিবেচনা?!
ব্যাকডেটেইড রা বি! শুনতে বা বলতে আমার কষ্ট হয়!
-রাজ্জাকুর রহমান মুসা ভাই
©somewhere in net ltd.