নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তীব্র সমালোচনা! বিষয়ঃ আন্দোলন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

#অতীতের_গৌরব_গত হয়ে যায় যখন #বর্তমান নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়!

ঠাকুরের মনগলাতে হলে, যে ঠাকুর যেমন পুজা চায় তাকে সেই পুজো দিতে হয়। পুজো করবেন সাপের আর ভোগে দেবেন অছোলা নারকেল, তা কি করে হয়! milk দিতে হয়, milk.

প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে একটা বিবেকবান বুদ্ধিহীন মহল শহীদমিনারে যে নৈতিক আদর্শের জায়গাথেকে অনাহারে পুজো করছেন তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন গলে নাই, এটি স্পষ্ট। কারন ইদানিং আন্দোলনে নতুনমাত্রার ভোগের চলন যোগ হয়েছে!

বড়ই বিচিত্র এই বাংলাদেশে গৌরবময় ইতিহাস তৈরী হয়েছে তীব্রতর আন্দোলনের মাধ্যমে। মজার ব্যাপার হলো, ইতিহাসের যেসব অন্দোলন সফলকাম হয় নাই, যার ফলাফল ইতিবাচক ছিলনা, সেসব কালের প্রবাহে নতুন মাত্রা পেয়েছে। আজকের বিবেচনায় সেই ইতিহাসটুকুই বাঙ্গালী জাতিকে ইতিবাচকভাবে নির্ভিক লড়াকু আন্দোলনকারী জাতীতে পরিনত করেছে। কিন্তু হায়! আন্দোলনকে বা দাবীকে মূল্যায়ন করবার মত প্রজ্ঞা বোধহয় এখনো আমাদের প্রশাসনের তৈরী হয় নাই। নয়তো যারা আন্দোলন করছেন তারা তো বিএনপি জামাত নয়, তবুও কেন....!

প্রশাসনে কর্মরত হর্তাকর্তারা যখন আন্দোলন করেছিলেন তখন ভালোই খেইল দেখিয়েছিলেন! কিন্তু এখন তারা প্রশাসনে থেকেও অন্যের নৈতিক আন্দোলনকে মূল্যায়ন করছেননা বড়ং এমন স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন যে, স্বাভাবিক চিন্তার ইতিবাচক জায়গাথেকে সরে এসে নেতীবাচক একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। যা সবকিছুর মৌলিক সংজ্ঞায়ন পরিবর্তন করে দিচ্ছে। নতুনকরে বাঙালী জাতীকে শেখাচ্ছেন কিভাবে আন্দোলন করতে হয়! কিসে ঠাকুরের ভোগ মেলে! মনগলে! চোখকান খোলা রাখলে এসব নতুন সংজ্ঞা জানা যায়। যেমন....

চাঞ্চল্যকর ও হাস্যকর সত্য হলো, আন্দোলন মানেই রাস্তাবন্ধ করে দিতে হয়! শহীদমিনার ঘেঁষা আন্দোলন খুব একটা সফল পরিনতি পায় না, তবে রাস্তার আন্দোলন একটা পরিণতি পায়। এও সত্য বিশৃঙ্খলা করে দাবী কখনো অদায় করা যায় না।

যুদ্ধ করতে যেমন অস্ত্র লাগে তেমন আন্দোলন করতে ইদানীং ঢোল তবলা গায়কী লাগে! নিম্নমধ্য আয়ের বাংলাদেশে সারাদিন চিৎকার দিয়ে দাবীর কথা বলতে হয়না! শুধু যখন ক্যমেরা তাক করবে তখনই একটু আধটু আওয়াজ করতে হয়! আর আড্ডাবাজি যাতে ভালই হয় এজন্য ঢোল তবলা হারমনি ও দু'একজন গায়কীর গানশুনে পথচারীর জমায়েত হলে, বিজ্ঞাপন বিরতির সময় চেয়ে নিয়ে, জানিয়ে দিতে হবে, এই সমাবেশ প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে। ব্যাস! আবার গান আড্ডাবাজি, খোশগল্প! মাঝে মাঝে কিছু খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেই আন্দোলন বেগবান হয়। ভ্রাম্যমাণ চা, পান, বিড়ি-সিগারেটের ব্যবসা হবে, টাকা লেনদেন হবে! যখন আন্দোলনের নামে আড্ডার সমাবেশে অর্থনীতির চাকা সজোরে ঘোরা শুরুকরবে তখন সরকার এইগতী থামিয়ে দিয়ে বলেবেন, এতো উন্নয়ন দরকার নাই, মেডিকেল ভর্তিপরীক্ষা প্রয়োজনে একশবার হবে! প্রশ্নপত্র একশবার ফাঁস হলেও স্বীকার করা হবে না। ঠিকাছে যার যার পরীক্ষা দেবার ইচ্ছা আছে শুক্রবার ১০টায় এসো। ব্যাস আন্দোলন সফল, দাবী আদায়!

দাবীর ভাষার একটা আলাদা ফিকোয়েন্সি আছে। যেমন, ভ্যাট দেব না, গুলি কর। যদিও ভাষায় উগ্রভাব বিদ্যমান। তবুও... এদাবী একটা ইতিবাচক পরিণতি পেয়েছে।

এযুগে আমরণ অনশন নির্বুদ্ধিতার কাজ! কারন নাখেয়ে মরে গেলেও কেউ এটা বিশ্বাস করবে না! পোষ্টমটেম রিপোটে দেখা যাবে ফুড পয়জনিং!তবে হ্যাঁ একটা উইকেট পড়লে বেশখানিকটা উত্তাপ ছড়াবে! আলেয়ানের উইকেটে বিশ্ব তথা ইউরোপ সজাগ হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনে ও টেষ্টক্রিকেটে উইকেটে টিকে থাকতে হয়। আর সত্যি কথা বলতে আমাদের ব্যক্তিত্ব এখনো সেই পর্যায়ে যায় নাই। গান্ধীজী বা রবীন্দ্র যুগের চর্চা এযুগে অচল। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেলেন "কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই"। এমন প্রমান রেখে অমরত্ব লাভ বাংলাদেশে অসম্ভব। সবাই মাথা দুলাবে আর বলবে বুঝচি....! যেমন কোটায় চান্স পেলে সকলে বলে, "ও আচ্ছা...! ঠিক তেমন! লস প্রোজেক্ট।

মরেগিয়ে অমরত্ব লাভের পথেও বাঁধা মিডিয়া।তখন এরা আমলনামা তৈরী করবে! ক্যমেরা সাথে থাকায় মিডিয়াওয়ালাকে এলিট শ্রেনী মনে হতে পারে, কিন্তু এরা আসলে ক্ষমতাধর নিম্নশ্রেনীর প্রজাতি। এরা যেমন তিলকে তাল করতে পারে আবার তেমনি তালকে ভ্যানিশও করে দিতে পারে। এরা কোথাথেকে সংবাদ ভিক্ষাকরে তা বিক্রি করবে বলা মুস্কিল! তাই এদের মতিগতির উপর নজর রেখে কর্মসূচী দিলেই আসাযায় সংবাদ শিরোনামে.....! শিরনামে যারা আসতে ক্যমেরার সামনে কৃত্রিম ভীড় তৈরী করতে হয়। কারন ক্যমেরা ক্লোজ শটে মনে হয় অনেক মানুষ, বিশাল আন্দোলন। অথচ....! মিডিয়া পাওয়ারফুল এখানেই, ইচ্ছামত শট নিতে পারে। যেমন প্রশ্নপত্র ফাঁসের আন্দোলনের খবরের প্রতিটি শট নেয়া হয় দূর থেকে যাতে মনেহয়, ওই তো কয়েকজন মাত্র! ইগনোর কর! অথচ সামান্য দুএকটা কথানিয়েই এর ওর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে, টকশো করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মিডিয়া। আবোলতাবোল লোকের মতামত অযৌক্তিক হয় আর সেটা নিয়েই তাদের ব্যবসা!

যেহুতু ক্ষমতাধর তাই ইচ্ছাকরলেই মিডিয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের আন্দোলনকে একটা পরিণতি দিতে পারে। প্রশাসনের উপর আস্থা তেমন নাই কিন্তু এখনো সবাই অপেক্ষায়, কারণ বোঝা যাচ্ছেনা মিডিয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের আন্দোলনকে ইতিবাচক পরিণতি দেবে কিনা? নাকি শিক্ষার্থীদের নাখেয়ে রাখিয়ে সংবাদ বিক্রি করে ব্যবসা করবেন!

(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.