নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'পহেলা বসন্ত ও ভালবাসা দিবস\' বদ শ্রেণীর চাকচিক্য মাত্র!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

বসন্ত বরণের নামে কি হচ্ছে এসব! বাংলা সংস্কৃতি ঠিক কোনদিকে মোড় নিচ্ছে কেউ কি ভাবছেন? যে যার সুবিধামত নিজের জৈবিক চাহিদা মেটাচ্ছেন! হলুদ কিংবা বাসন্তি রঙের শাড়িতে আমার কোন এলার্জি নাই, কিন্তু যখন দেখি এ দেশের মূল্যবান বহু পুরনো ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিরনামে চলে অকথ্য বেহায়াপনা ও প্রকাশ্যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির দারুণ চর্চা তখন সত্যি ভিষণকষ্ট লাগে! কী কী নষ্টামো চলে, জানাতে লিখতে বসি নাই। তারপরেও এতো উদ্বেগের কারণ জানতে চাইলে বলব আপনার বাড়ির সামনের পিচ ঢালারাস্তার মোড়ে একটু লক্ষ্য করুণ, দেখবেন রিক্সাগুলো যেন ভ্রাম্যমান পতিতালয়। আর অন্যকিছু দেখতে চাইলে দেখবেন সবুজ বাংলার ঝোপেঝাড়ে গাছের গোড়ায়, বিল্ডিংয়ের চিপায় যেন শুধুই বিষধর সাপের আবাদ!

এদেশের সংস্কৃতিমান ও সংস্কৃতিমতি কারা? কাদের দায়িত্ব সাংস্কৃতিক চেতনার উন্মেষ ঘটানো? কারা বলে দেবেন ওটা বাংলা সংস্কৃতির অংশ আর এটা নয়? কে শেখাবেন সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ?

যদি সেমন কেউ না থাকেন! তবে আমাদেরই জানতে হবে, নিজে ও নিজেদের বাঁচার তাগিদে। এ প্রজন্মকে হয় বাংলা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হবে নয়তো HIV সস্পর্কে জানতে হবে। সুযোগ পেলেই শুধু খাই খাই স্বভাবটা একটু পরিবর্তন করা দরকার। আমার আপনার এ স্বভাবের জন্য গোটা জাতি কোনদিকে যাচ্ছে একটু লক্ষ্য করুণ। পার্ক, চিড়িয়াখানা, লেক, আবাদি ক্ষেত, বিল্ডিংয়ের চিপা, ঝোপঝাড়, কাদের দখলে??

আমাদের নির্বোধ পাংকু তরুণ প্রজন্মই সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হতে পারেনা। জি, আপনার মুক্তবুদ্ধি আছে আপনি সংস্কৃতিমান কিংবা সংস্কৃতিমতি তবে আপনাকেই বলছি। আপনার সাংস্কৃতিক মুল্যবোধ আজ পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত! আওয়াজ করছেন না কেন? কেন বলছেন না, এ ঠিক নয়। এইভাবে ঠিক হয় না। আমরা কি সবাই মজাদেখছি! হেঁয়ালিকরতেই করতেই বাংলার সব লুট হয়ে যাচ্ছে! আজ বসন্তেই এমন! কাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি! ইশ্বরক্ষমা করো!

সমাজের একটি শক্তিশালী মহল নানান কিসিমের দিবসের গ্যাঁড়াকলে ফেলে চুটিয়ে ব্যবসা করছন। আর বেহায়পনার সুযোগ সৃষ্টিকরে দিচ্ছেন। একধরনের মেকি দুর্বোধ্যতার আবহ সৃষ্টি করে বোঝাচ্ছেন যে, সময়ের সাথে সকলে এগিয়ে যাচ্ছে, শুধু আমি আপনি পিছিয়ে আছি! ওসব আমরা বুঝব না, তাই চুপ থাকতে হবে! বাণিজ্যের বিপক্ষে নই কিন্তু যখন তা আবেগকে পদদলিত করে তখন মনটা বিদ্রোহ করে বসে।

গণমাধ্যমগুলোতে বাণিজ্যিক ভালোবাসার সাজসজ্জা আয়োজন প্রচার প্রচারণা দেখে মনেহয় ভালোবাসা বদ-শ্রেণির চাকচিক্য! ওতে নাক গলানো অনুচিত। গতবারে তথাকথিত দিবসের নামে পত্রিকাগুলো ভালোবাসার গল্প ছেপেছিল, খুবভালো কথা! কিন্তু যেসব গল্প নির্বাচিত হয়েছিল তাতে সাহিত্যে কোথায়? সেসব তো শুধুই নেকামি! গল্পগুলো পড়লে আপনার নিজেকে আহাম্মক মনে হবে! মনেহবে বাংলা সাহিত্যে নেকেমি মধ্যদিয়ে মারাত্বক বিপ্লব সাধিত হয়ে উত্তরাধুনিক যুগ সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আপনি জানেনিই না। 'যা তা' লিখে ছাপিয়ে দিলেই কি সাহিত্য হয়ে যায়? দেশের সংস্কৃতি নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে অথচ দায়িত্বশীল সমাজ চুপচাপ নাকে তেলদিয়ে ঘুমাচ্ছেন। সুযোগ পেয়ে নির্বোধ পাংকু তরুণ সমাজ (যাদের পয়শা আছে তারা) পুতুলনাচের প্রথমাংশে অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য নগ্ননিত্যেরমত রাস্তা-ঘাটে বেহায়াপনায় লিপ্ত। আর অন্যদিকে অথর্ব মূল্যবোধহীন তরুণসমাজ যারা সুযোগ পাচ্ছেনা, তারা বুক চাপড়াচ্ছে। অভিভাবকগণ যেন মেনেই নিয়েছেন, ভালোবাসা দিবসের নামে সব বেহায়াপনা সিদ্ধ। ছেলেমেয়েরা রঙেঢঙে ফুলহাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবে কখন আসবে ঠিক নেই। এ যে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস!

তথাকথিত বিশ্ব ভালবাসা দিবসের নাম করে, নারী তার সতীত্ব কে উৎসর্গ করবে, কত পূরুষ তার পৌরুষত্বের উদ্দাম লীলা খেলায় মত্ত হবে তাদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য! কত নারী-পূরুষ, ছেলে-মেয়ে নিশিদ্ধতার কারনে চিপায় গিয়ে তাদের উশৃঙ্খলতার পূর্ন বহিঃপ্রকাশের মধ্যদিয়ে একে অন্যের ঠোঁটে বিষ ঢেলে দিবে! তার ইয়ত্তা নেই। এই বেহায়াপনা শুরু হবে আগামীকাল থেকে, আর এরপর থকে চলবে নিয়মিত। তীব্র নিন্দা করি, এসব ভালবাসার নামে বেহায়াপনা ছাড়া কিছুই নয়। এই সকল তথাকথিত ভালোবাসার বুকে লাথি মারি! হাস্যকর লাগে নিজেদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য ঘটাকরে এই দিনটাতে মানুষের সততা নিষ্ঠা শুদ্ধতা, সতীত্ব নিয়ে পৈচাশিক ভাবে খেলা চলছে। নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থ হাসিলের জন্য দেশিয় সংস্কৃতিকে দাবায় দেয়া হচ্ছে। সস্তা দামে ভালবাসাকে বলি দেয়া হচ্ছে। ভাষার মাসে পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির আগ্রাশন ঠেকাতে এগিয়ে আসুন। চলুন ভালোবাসা দিবসের নামে ‘বেহায়াপনার’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। একটা সময় নিশ্চই এ অপসংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষা পাব।

নানান রঙের শাড়ি বিদেশি ঢংয়ে পরে, কড়া দূর্গন্ধযুক্ত পারফিউম দিয়ে যাঁরা সেলফি তুলবে, "খবরদার" তোমাদের সেলফিতে আমাকেও সাথে নিতে, ভীষণকাছে এসোনা! বিশ্বাস কর, আমার ঘেন্নাকরে! ধাক্কাদিয়ে শীতেরদিনে পানিতেও ফেলে দিতে পারি। মাইন্ড ইট।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

বিজন রয় বলেছেন: সকলের সবকিছু পছন্দ নাও হতে পারে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

রাজজাকুর বলেছেন: এজন্যই তো শিরোনাম...
বদ শ্রেণীর চাকচিক্য ...

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: সম্পূর্ণ বাস্তব, এবং ভালো লিখেছেন.... :-)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

রাজজাকুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.