নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীতে বসবাসের অধিকার আছে আমার আপনার সবার; হোক সে রোহিঙ্গা ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩


পৃথিবী নামের এই গ্রহে একটি মানুষ যদি কোনভাবে ভূমিষ্ঠ হয়ে যায় তবে তার বাঁচার অধিকার আছে-- যেমন বাঁচার অধিকার আছে আমার আপনার সবার। মানুষটি কোন জাতের, কোন ধর্মের, কোন বর্ণের, কোন দেশের, কোন সীমান্তের এসবকে ছাপিয়ে বড়কথা হলো-- যেহুতু সে এই 'পৃথিবীর মানুষ' তাই তাকে বাঁচতে দিতে হবে। মানুষের সুবিধার জন্য পৃথিবীকে বিভিন্ন অঞ্চলে নামকরণ করে তার সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্র সেই সীমানার মালিক হয়ে যদি তার সীমানায় বসবাসরত কাউকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় তবে সে পাশের রাষ্ট্রে গিয়ে বাঁচার জন্য আশ্রয় খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রই যদি আপন সীমানায় তাকে একটুখানি দাঁড়াতেও না দেয় তাহলে সে যাবে কোথায়?

আয়তনে ছোট্টখাট্টো দেশ বাংলাদেশ, যার পেটের ভেতর ১৮কোটি মানুষের বাস। এদের সবার সবধরনের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা, সন্ত্রাসবাদের দমন, দুর্নীতি দমন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা দেশটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও দেশটি আভ্যন্তরীণ সামাজিক রাজনৈতিক অনেক সমস্যায় জর্জরিত। এমন পরিস্থিতিতে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া, তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করা, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া আসলেই কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। তারচেয়ে বড় ব্যপার হলো তাদের জায়গা দিলে যদি তারা এদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠে, তখন? আর কত দিনের জন্যই বা আশ্রয় দিতে হবে তাও তো অনুমান করা যাচ্ছে না। তাই হয়তো বাংলাদেশ নিরব!

রাষ্ট্রের সকল ভয়-আশংকা আমলে নিয়েই বলছি, বাংলাদেশের সামর্থ্য আছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার। সময় এসেছে এব্যপারে তৎপরতা হওয়ার। যেহুতু অবিবেচক অত্যাচারী মায়ানমার বাংলাদেশের বন্ধু প্রতিম তাই তাদের সরকারের সাথে কথাবলা এবং জাতিসংঘের সাথে কথাবলে এর সমস্ত খরচ আদায় করা এখন সময়ের দাবী। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল-- এটাই তো মানবতা। বাংলাদেশের বুঝি সেই ঋণশোধ করার সময় এসেছে-- রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে খানিকটা ঋণমুক্তির আনন্দ পেতে পারে প্রিয় বাংলাদেশ।
( ছবি, ইন্টারনেট থেকে নেয়া)

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মুহাম্মদ জাবেদ বলেছেন: যথার্থই বলেছেন আপনি। মানবতা বোধ আমরা আজ হারিয়ে ফেলেছি। বিশ্বের সকল দেশ আজ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হামলায় লিপ্ত, প্রত্যকে একজন অন্যজনকে উসকানি দিচ্ছে এর আবাস এটাই বলছে শীঘ্রই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আশংঙ্খা।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

দূরের যাত্রী বলেছেন: বাংলাদেশ মনে করছে এটাকে বোঝার ওপর শাকের আঁটি। তার ওপর রোহিঙ্গাদের বিষয়ে অভিযোগ তারা অপরাধপ্রবণ। আমরা সাধারণ মানুষ ঘুরি নিজের ধান্ধায়। কে বাঁচলো আর কে মরলো তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা সামান্যই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রাজজাকুর বলেছেন: সাধারণ মানুষ বিষয়টি নিয়ে মাথা না ঘামালে রাষ্ট্র শুধুই লাভ লস হিসেব করে হয়তো রোহিঙ্গাদের ঠাঁই দেবে না। ফলে মারা পড়বে অসংখ্য রোহিঙ্গা নামের মানুষ। কিন্তু মানবতার খাতিরে যদি আমি আপনি সবাই মিলে একটা জনমত তৈরী হয় যে, সমস্যা যতই হোক না কেন সেগুলোর সমাধান সবাই মিলে করব, আগেতো লোকগুলা বাঁচুক। পরে নাহয় অপরাধীদের বের করে তার শাস্তি দেয়া যাবে। জনমত তৈরী হলে সরকার সাহস পায়। হয়তো সরকার তখন আশ্রয় দেবে। আমাদের এখন মাথা ঘামানো দরকার। আপনার বাড়ীতে কেউ বাঁচার জন্য আশ্রয় চাইলে তো একটু মাথা ঘামাতেই হবে। রোহিঙ্গাদের সামনে নাফ নদী অন্য দিকে যাওয়ার তো কোন যায়গা নেই। তাই এখানেই আসবে আপনার বাড়িতে। সো মাথা না ঘামিয়ে উপায়ও নাই।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বাংলাদেশের সামর্থ্য আছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার। সময় এসেছে এব্যপারে তৎপরতা হওয়ার। যেহুতু অবিবেচক অত্যাচারী মায়ানমার বাংলাদেশের বন্ধু প্রতিম তাই তাদের সরকারের সাথে কথাবলা এবং জাতিসংঘের সাথে কথাবলে এর সমস্ত খরচ আদায় করা এখন সময়ের দাবী। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল-- এটাই তো মানবতা।

..........মায়ানমারে মানবতা ভুলুন্ঠিত হচ্ছে সে কথা অস্বিকার করার কোন সুযোগ নেই। আমরা এর তীব্র বিরোধীতা করে এখনি এর অবসান চাই। তবে আপনার কিছু কথার সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করছি, যেমন আপনি বলেছেন "বাংলাদেশের সামর্থ্য আছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার" আমি সেটা মনে করছিনা, কারণ অতীতেও এই সমস্যার কারণে বাংলাদেশ অনেক রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়াছে, বেসরকারী মতে তাদের পরিমান পাঁচ লাখের মতো। এবং পরবর্তিতে মিয়ানমার ওদেরকে ফিরিয়ে নিতে অস্বিকার করছে, ওদের বক্তব্য হলো রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশী। তাই তো ওদের মেরে কেটে বাংলাদেশে পাঠাতে পারলেই ওরা বেঁচে যায়। বাংলাদেশে এখন যদি একজন ব হিরাগতও ঢোকে সেটাই আমাদের জন্য অনেক বড় বোঝা, সুতরাং আমি বলব না বাংলাদেশের ওদেরকে গ্রহণ করা উচিৎ। আর " মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল" সেটা একেবারেই ভিন্ন প্রেক্ষাপট, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সবাই দেশে ফিরে এসেছিল, আর রোহিঙ্গারা ফিরতে চাইবেনা কিংবা চাইলেও ফেরার কোন সুযোগই মায়ানমার ওদেরকে দিবেনা, যেমনটা অতীতে ফিরে আসাদের সাথে হয়েছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৩

রাজজাকুর বলেছেন: আপনার কথাও অস্বিকার করার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু শুধু এর তীব্র বিরোধীতা করে এখনি এর অবসান কার কাছে চাইছেন? মায়ানমার সরকার তো এদের মেরা ফেলার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে তা গণমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে। আমি আপনি সবাই চাই তার নিজের দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষিত হোক কিন্তু তারও আগে তো মানুষগুলোকে বাঁচতে দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ততৎপর হতে হবে। কিভাবে আগের রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যায় তার জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ফেরত পাঠাতে হবে জাতিসংঘকে চাপ দিতে হবে। প্রয়োজনে ইউরোপে যেমন অভিবাসন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দক্ষিন এশিয়েতে এই ধরনের আলোচনার জোয়াড় তুলতে হবে। যাতে সমস্যার একটা সমাধানে আসা যায়। রোহিঙ্গাদের পাশে কোননা কোন শক্তিশালী মহলকে তো দাঁড়াতে হবে। সেটা যে বাংলাদেশই হবে এব্যপারে তো সন্দেহ নাই। কারন পেইন তো আমাদেরই।

ভারত বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল সেটা একেবারেই ভিন্ন প্রেক্ষাপট কেন হবে? এই বাক্যের কী পয়েন্ট পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের বিপদে ভারত "আশ্রয় দিয়েছিল"। তাহলে পাশের রাষ্ট্রের রোহিঙ্গাদের বিপদে বাংলাদেশ কেন আশ্রয় দেবে না? আচ্ছা ধরুন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই তাহলে কি শরণার্থীরা পূর্বপাকিস্তানে ফিরতে চাইত? রোহিঙ্গাদের ফেরার মত পরিস্থিতি থাকলে কেন ফিরবে না? মিয়ানমার আজ সুযোগ দিচ্ছে না কিন্তু কাল নয়তো পরশু দেবে তাদের দিতেই হবে।

এবার আমাদের কিছু করা দরকার।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৫

মাহিরাহি বলেছেন: কিছু মানুষের কথাবাতা শুনে মনে হয়, এরা কখনো মৃত্যুবরন করবেনা, অনন্তকাল সাইনে শুধু ব্লগিংই করে যাবে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

রাজজাকুর বলেছেন: আপনার ইন্টেনশনের প্রশংসা করছি।
ধন্যবাদ।

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

কুহুক বলেছেন: আমাদের এখানে লোকরা নিজের দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কিছু বলে না আর মায়ানমারের মুসলিমদের প্রতি এত মায়া কান্না । এরা চায় বাংলাদেশ সংখ্যালঘু মুক্ত হোক আর মায়ানমারে সঙ্খালঘুরা ভালো থাকে

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৪

রাজজাকুর বলেছেন: শুনেছি, যার অন্তরে যা থাকে তাই নাকি ফাল দিয়ে উঠে। আপনার অন্তর যেমন, আপনি লোকেদের সেভাবেই মূল্যায়ন করবেন; এটাই স্বাভাবিক। তাই আপনার কথায় আমি আহত হই নাই। তবে একটা প্রশ্ন-- আপনি কি মানুষের অন্তরে প্রবেশ করে জেনে ফেলতে পারেন সে কি চায়? যদি পারেন তাহলে আপনি আপন অন্তরে প্রবেশ করে আপনার চিন্তায় সমৃদ্ধি আনতে পারেন। আর যদি নাপারেন তবে কেন হিংসা প্রচার করছেন?
ক্ষমা করবেন যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকি। কাউকে কষ্ট দেয়া আমারও উদ্দেশ্য নয়। আমার বক্তব্যকে ঠিকভাবে বুঝলে আপনার দারুণ লাগার কথা। যদিও সবটাই আপনার চিন্তার উপরে।
ভালথাকুন, ভালরাখুন। পৃথিবীর সকল প্রাণী ভাল থাকুক।

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্লগে বা ফেবুতে দেখা যাচ্ছে সুধু জাতীয়তাবাদি ও মউদুদিবাদি ছাগুরাই সুধু রহিঙ্গা আমদানি করার দাবী জানাচ্ছে। ছবি না পেয়ে ভুয়া ছবি বানিয়ে কান্নাকাটি করছে।
জাতিসংঘ ও বড়শক্তি গুলো বার্মাকে হামলা বন্ধ করতে না বলে সুধু বাংলাদেশকে বলে গেইট খুলে দিতে
সীমান্ত উম্মুক্ত করে বাংলাদেশকে পাক-আফগানিস্তানের মত মাদক আর অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসের অভয়ারন্য বানাতে চাচ্ছে মৌদুদিবাদি-জাতিয়তাবাদিরা। সীমান্ত খোলা রেখে চট্টগ্রামকে পেশোয়ার বানাতে দেয়া যায় না। এট পড়ুন - view this link

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

রাজজাকুর বলেছেন: আপনার "সুধু" যে শুধু নয় এটা আপনার কথার ধরনেই বোঝা যায়। রেফারেন্স ছাড়া এতো বাজে বকেন কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.