নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ই বিশ্বনেতা তৈরী করে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৬

একজন নেতা কখন বিশ্বনেতায় পরিণত হন? একজন নেতা যখন একটা দেশের মানুষকে ভালবাসে সেই দেশের মানুষের জন্য ভাবে এবং তাদের জন্য নিরন্তর কাজ করে তখন তিনি ঐদেশের বা ঐঅঞ্চলের মানুষের প্রিয় নেতা বলে বিবেচিত হন। কিন্তু যদি একজন নেতার হৃদয়ে থাকে সীমাহীন ভালবাসা, যিনি বিশ্বের সবদেশের মানুষ নিয়ে ভাবেন ও তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যান তখন তিনি আর কোন দেশের বা অঞ্চলের নেতা থাকেননা তিনি হয়ে যান বিশ্ব নেতা। আর বিশ্ব নেতারাই তো পৃথিবীর ইতিহাসে টিকে থাকেন। সব নেতার জীবনে কিন্তু বিশ্ব নেতা হওয়ার সুযোগ আসে না। যা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনে এসেছে বলে মনেহয়। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত হওয়ার খবর প্রতিদিন বিবিসির সংবাদে শুনছি। প্রধানমন্ত্রী যদি এই ভূলুন্ঠিত মানবাতার অধিকার আদায়ের জন্য কথাবলেন তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করেন তাহলে সত্যি মানুষ তাকে বিশ্বনেতার সম্মান দেবে। তাছাড়া এই সমস্যার যদি একটা সমাধান করতে পারেন তবে তাকেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিয়ে সম্মান করা উচিতকাজ হয়ে দাঁড়াবে।
বঙ্গবন্ধু কিভাবে বঙ্গবন্ধু হলেন কিংবা জাতীর জনক কিভাবে জাতীর জনক হলেন কিংবা আমরা কিভাবে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত এতো বড় নেতে পেলাম? ৫২, ৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬, ৬৯ এই ‘সময়গুলোই’ তো বঙ্গবন্ধুকে তৈরী করেছে, এই ‘সময়গুলোই’ তো বঙ্গবন্ধুকে জাতীর পিতা হয়ে উঠবার সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে ৭ই মার্চে নির্দেশ পেয়েছি, যুদ্ধ করেছি আর অনেক রক্তের বিনিময়ে একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। তাই এটা স্পষ্ট যে ‘সময়’ সময়ে-সময়ে শ্রেষ্ঠ নেতা তৈরী করে। সেই সময় হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতা হওয়ার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। আমারদের আন্তরিক বিশ্বাস আর একমুহুর্ত অপেক্ষা নাকরে প্রধানমন্ত্রী ভূলুন্ঠিত মানবতার পাশে তথা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াবেন।
কখনই বলছিনা, রোহিঙ্গাদের এদেশে স্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে হবে। বলছি, ওরা শরণার্থী নাকি অনুপ্রবেশকারী স্পষ্ট করা হোক, তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়া হোক, রাষ্ট্রিয়ভাবে বিবৃতি দেয়া হোক, ইউএনএইচসিআর থেকে অর্থ আদায় করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক, মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করা হোক, সামনে বিমিসটেকের সম্মেলনে এই বিষটি জোড়ালোভাবে তোলা হোক, প্রয়োজনে ইউরোপেরমত অভিবাসীদের এশিয়ায় বা দক্ষিণ এশিয়ায় ভাগাভাগি করে নেয়া হোক, ভবিষ্যতে যাতে এরকম সমস্যা সৃষ্টিহলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া যায় সেমন একটা নীতি তৈরীর জন্য উদ্যোগ নেয়া হোক, আরো যা যা করা যায় তা দ্রুত করা হোক। এসব করবারমত ক্ষমতা ও যোগ্যতা প্রধানমন্ত্রীর আছে। সুচিরমত আর চুপথাকা নয় কিংবা ঘাড়ের উপর এতোগুলো রোহিঙ্গা নিয়েও এড়িয়ে যাওয়া নয় বড়ং প্রয়োজন সমস্যার মুখোমুখি হওয়া ও সমাধানে বিশ্বনেতার মত পদক্ষেপ নেওয়া।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধের পজিশন নেওয়া ছাড়া গতি দেখছি না। বাংলাদেশ আর্মিকে সত্যিকারের পরীক্ষা দেওয়া উচিত। যদিও যুদ্ধ কাম্য নয়। কিন্তু বার্মা কি অত্যাচার থামাবে? এরা থামালে তো এই রোহিঙ্গারা তো বন্যার মত এই দিকেই আসবে। আমি এই কথা গুলি ধর্মীয় বা ভাষাগত মিলের কারনে বলছি না। মনুষত্ব্য বোধ থেকেই বলছি। বাহিরের শক্তিগুলো তো এইটাই চাই। চুপ চুপ থাকলে তো এই নিরপরাধ মানুষগুলা শেষ হয়ে যাবে। তাদেরকে বহন করার ক্ষমতা আমাদের নাই যেহেতু আমাদের নিজেদের নিয়েই হিমশিম অবস্থা। যদি সোচ্চার না হই, তাহলেও আসবে, সোচ্চার হলেও আসবে। মারাই যাবে।

আর লেখক সাহেব তাদেরকে ভাগাভাগি! ভুলে যান! তখন দেখবেন কত বাঙালীরাই নিজেদেরকে রোহিঙ্গা বলে বাহিরে ভাগে যোগ দিতে যাবে। :)
আর বাংলাদেশের কেউ দাম দেয় নাকি? বললেই হবে না কি।
বাংলাদেশ যদি রোহিঙ্গাদের অর্গানাইজড করে বার্মিজদের কাউন্টার এ পাঠায় তখনই সম্ভব। আর যদি বার্মিজরা তাদের স্বীকৃতি দেয় তাহলে তো ঝামেলাই শেষ, যেটার কোন সম্ভাবনা কেউই দেখছেনা।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেক পাম্প-পট্টি দিলেন, দেখা যাক, কি হয়ে! রোহিংগারা মরে ধরে যা বাঁচে, সবগুলো বাংলাদেশে আসবে; কারণ বাংলাদেশই নিকটবর্তী নিরাপদ দেশ; যদি বাংগালীরা পালায়ে পশ্চিমে চলে যাচ্ছে ক্রমেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.