![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসা দিবস, বাপ দিবস, মা দিবস এসব হুযুগে বাঙ্গালীদের জন্য একটা ব্যপার হতে পারে কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত বিচক্ষণ বাঙ্গালীদের জন্য এটা কোন অর্থ বহন করে না। যারা ঠিকমত বাপকে চিনে না তাদের জন্য বাবা দিবসের প্রয়োজন থাকতে পারে, যারা মায়ের খবর রাখেনা তাদের জন্য মা দিবসের প্রয়োজন থাকতে পারে, যারা ভালবাসাকে শুধুই কাম ও যৌনতা হিসেবে দেখে তাদের জন্য ভালবাসা একটা দিবস হতে পারে কিন্তু কশ্চিনকালেও তা সত্যিকারের বাঙ্গালীদের হতে পারে না। কারণ ভালবাসা আপন গতীতে নিরন্তর ধানমান। ভালবাসা, দিবসের কেয়ার করে না। তবুও যারা এই দিবসের তথাকথিত স্পিরিটকে পুঁজিকরে এই দিনেই ভালবাসাকে প্রকাশ করেন কিংবা পথেঘাটে ফুল নিয়ে বেলজ্জারমত একে ওকে দেন কিংবা দেয়ার চিন্তা মাথায় আনেন সেটাকেই বলে চরম বেহায়াপনা। তাছাড়া এর সাথে আমাদের শিল্প সংস্কৃতির কোন মিল নেই। হ্যাঁ, মানুষের আচার আচরণের উপর ভিত্তি করে সংস্কৃতি তৈরী হয়। তার অর্থ এই নয় হুযুগে বাঙ্গালীদের আচরণের উপর সামগ্র বাঙ্গালীর সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। থার্টি ফাষ্ট নাইটে রাস্তার মোড়ে উচ্চশব্দে গান বাজানো, ১৪ফেব্রুয়ারিতে রিক্সা থামিয়ে শ্লীলতাহানি তথা প্রেম নিবেদন করা এটা বাংঙ্গালী জাতীর জন্য লজ্জাকর।
'ভালবাসা দিবস' একটি অভিশাপ যা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বাঙ্গালীর অধঃপতন কতটা হয়েছে। আমরা কোন পথে যাচ্ছি, এর ভবিষ্যৎ কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা আর কেউ না বুঝলে অন্তত আপনার বোঝা উচিত। জি জনাব, আপনি বুদ্ধিদীপ্ত বিচক্ষণ বাংঙ্গালী; আপনাকেই বলছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: সব কিছুই আজকাল দিবসকেন্দ্রীক।
সব দিবসই আজকাল সোহরাওয়ার্দী, হাতিরঝিল আর লিটনের ফ্লাট কেন্দ্রীক।
অসভ্য প্রজন্ম জাতীয় দিবসগুলিকেও ছাড়েনি।