নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত ও গরু

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

Secularism in India means equal treatment of all religions by the state. With the 42nd Amendment of the Constitution of India enacted in 1976, the Preamble to the Constitution asserted that India is a secular nation.

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ (ইংরেজি ভাষায়: Secularism) বলতে কিছু নির্দিষ্ট প্রথা বা প্রতিষ্ঠানকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করাকে বোঝানো হয়। এক অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মকে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে না। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ সেই বিশ্বাসকে ধারণ করে যাতে বলা হয় মানুষের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধান্তগুলো, বিশেষত রাজনীতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণের উপর নির্ভর করবে, কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়। অর্থাৎ বলা যায়, “ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার”। -উইকিপিডিয়া।

ভারতের গুজরাট রাজ্য বিধানসভা গো সুরক্ষা আইন সংশোধনের মাধ্যমে আইন লঙ্ঘনের জন্য আগের চেয়ে আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। এর ফলে রাজ্যটিতে ‘গো–হত্যা’ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। - প্রথম আলো, ১ এপ্রিল ২০১৭. ভারতের বিচারপতি বিক্রমজিৎ সেন বলেন, ‘এটা একটা ধর্মনিরপেক্ষ (সেক্যুলার) দেশ। তবে আমি জানি না, কত দিন এ রকম ব্যবস্থা বহাল থাকবে। বিবাহবিচ্ছেদ, বিয়ে ও সন্তান দত্তক নেওয়ার মতো পারিবারিক ও নাগরিক ব্যাপারে কোনো ধর্ম সম্প্রদায়ের নিজস্ব নিয়মকানুনকে স্বীকৃতি দিতে আইনকে বাধ্য করা উচিত নয়।’ বিচারপতি আরও বলেন, আদালতের এমন জায়গায় যাওয়া উচিত নয়, যাতে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের নিজস্ব বিধিমালা আইনের আওতাভুক্ত করার দাবি জানাতে পারে। ধর্মকে নাগরিক (সিভিল) বিষয়গুলোর বাইরে রাখতে হবে। - প্রথম আলো ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫.

একটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মকে সংখ্যালঘিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর উপর আইন করে চাপিয়ে দেয় এবং তা মানতে বাধ্য করায় সেই রাষ্ট্রযন্ত্রের মাথায় গোবর ছাড়া কী ই বা থাকতে পারে!? আইন সংবিধানের ভিতরে থেকে করতে হয়। নিজেদের আবেগের উপর ভিত্তি করে মনগড়া আইন বানালে অন্যদের তা মানতে হবে কেন? আইন তৈরী করা হয় আর সেটা মেনে চলার জন্য, সেটাকে উপেক্ষা করে সংঘর্ষ তৈরী করবার জন্য নয়। এ ধরণের আইনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই।

বুদ্ধ ধর্ম মতে জীব হত্যা মহাপাপ। যুক্তির খাতিরে ধরা যাক ভারতের গুজরাট রাজ্য বিধানসভা বুদ্ধইজমে অনুপ্রাণিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন - যদি কেউ যদি জীব হত্যা করে তাহলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হবে। তাহলে এই সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবসম্মত হবে? ধরুন, মিষ্টির দোকানদারের হাতে একটা পিঁপড়া মারা পড়ল ফলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হলো। কিন্তু কারাদণ্ড ভোগ করার প্রথমদিনেই তার হাতে আরো কয়েটা মশার হত্যাকান্ড সংঘটিত হলো এবার বিচার কি হবে? এই বিচার যখন আদালতে শুনানি চলতে শুরু করল সেই সময় বিচারকের হাতে একটা মশা প্রাণ হারাল! এবার? এভাবে বিচারক কেন সামগ্র গুজরাটবাসীকে একদিন জেলের ভেতরে চলে যেতে হবে। সেদিন হয়তো গুজরাটে শুধু গরু গাধার রাজত্ব হবে! জানি না, তারা সেটাই চায় কি না!

(বিঃ দ্রঃ আমার লিখা পড়ে আপনি কী বুঝলেন তার দায় সম্পূর্ণ আপনার; আমার নয়। )

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারত মোটামুটি গণতান্ত্রিক দেশ, ওরা ওদের জাতীয় ভাবনাকে সংবিধানে ও আইনে প্রতিফলিত করবে।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জুন বলেছেন: আনন্দবাজার পত্রিকায় পড়লাম গোমাংসের সাথে কেএফসিতেও মুরগীর আইটেমের উপর নিষেধাজ্ঞা ।
তাহলে কি ঐদেশে গিয়ে ফ্রাইড চিকেনের বদলে ফ্রাইড গোবি আর গোবি বার্গার খেতে হবে ! :-*

ভোলা ফেরায় থরহরি শ্রীরামপুর
http://www.anandabazar.com/district/dhaksinbanga/howrah-hoogly/fear-in-serampore-as-the-ox-returns-again-1.589944?ref=hm-new-stry

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জুন বলেছেন: ভোলা ফেরায় থরহরি শ্রীরামপুর
ভোলা ফেরায় থরহরি শ্রীরামপুর

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমি মনে করছিলাম ভারত গরু :)

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১১

রাজজাকুর বলেছেন: আপনি কী বুঝলেন তার দায় সম্পূর্ণ আপনার; আমার নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.