নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পানি দে হারামজাদা, নয়তো মামলা ঠুকে দেব!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

নদী আছে পানি নাই, জমি আছে আবাদ নাই এই বেদনা যে কতটা ভয়ঙ্কর তা এসির বাতাসে বসে মিলারেল ওয়াটার খেয়ে বোঝা যাবে না। আমাদের বুকের উপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা, একটা নদী অথচ তার মধ্যে কয়েক ছটাক পানিও নেই! এই তৃষ্ণা যে কতটা ভয়াবহ তা ব্যাখ্যা করারমতন ভাষাজ্ঞান আমার নাই। শুধু এতোটুকুন বুঝি, এর পতিটি বালিকনায় আছে যুগ যুগান্তরের তৃষ্ণা, এই বুক নদীটার তৃষ্ণা মেটাতে হবে সেটা পানি দিয়ে হোক আর রক্ত দিয়ে হোক!

একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি জনগণের সুবিধার জন্য এতোটা কঠিন-কঠোর ও আপসহীন হতে পারেন তাহলে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিস্তা পাড়ের মানুষের জন্য একবার মৃদুস্বরে "না" উচ্চারণ করতে পারবে না, এ কী করে হয়? কেন বলা যাবে না, 'মোদি সাহেব, কয়েকটা দিনের জন্য ট্রানজিট স্থগিত থাকুক? আমার জনগণ আসলে ট্রানজিটের বিনিময় চায় না, তারা ন্যায্যতা চায়'। কেন বলতে পারবে না, 'এনটিপিসি রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ কটাদিন বন্ধ থাকুক। আমার বাংলার ১৬ কোটি মানুষের বিদ্যুৎ দরকার কিন্তু তারা সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ কে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলতে চায় না...।

বড় বিষ জ্বালা এই বুকে, সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আমি, 'জনগণ', অথচ আমার সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে দেয়া হল 'সংসদ'কে। কেড়ে নেয়া হলো গণভোটের অধিকারকে। জনগণ তাদের রায় জানাবে কী করে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিরাপত্তার জন্য এতো কিছু করছেন তবু কেন যেন আমরা সবাই "আমারহীনতায়" ভুগিছি। আমি যতবার বলছি সুন্দরবন আমার, ততবার আমার গায়ে জলকামানের রঙ্গিন পানি ছিটিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে- সুন্দরবন তোমার নয়, এটার মালিক সরকার। একটা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র, পরমানু শক্তি এসবের যতটা প্রয়োজন তার চেয়েও হাজারগুণে জরুরী প্রয়োজন সুন্দরবনেরমত বনকে রক্ষা করা; যা সমস্ত পৃথিবী রক্ষার ঢাল। রাষ্টের সত্যিকারের 'প্রয়োজন' উপলব্ধি করাটাই আজকে বড় 'প্রয়োজন'।

তিস্তার জল পাওয়াটা মমতা কিংবা মোদির দয়া নয়, এটা আমাদের অধিকার। যুগের পর যুগ চলে যাচ্ছে আর আমাদের খালি মুখেমুখে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। এই আশার বাণী ভারতের কংগ্রেস ও বিজিপির রাজনীতি, সেখানে একটা ছোট্টদেশের বলি হওয়াটা কতটা যুক্তিসংগত? তিস্তার বদলে তোর্ষা, ধানসিঁড়ি, মানসিঁড়ির পানির প্রস্তাব আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে- বাংলাদেশ, ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করো, কশ্চিনকালেও মমতার পক্ষে মমতা দেখানো সম্ভব নয়। আচ্ছা, মামলা লড়ে যদি সমুদ্র জয় করতে পারি তাহলে মামলা লড়ে কি তিস্তার জলের ন্যায্য অধিকারটা আদায় করতে পারব না? -রাজ্জাকুর রহমান মুসা।

"বন্ধু গো আর বলিতে পারি না
বড় বিষ জালা এই বুকে
দেখিয়া শুনিয়া খেপিয়া গিয়াছি
তাই যাহা আসে তাই কহি মুখে
রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা
তাই লিখে যাই এই রক্ত লিখা।
বড় কথা বড় ভাব আসে নাকো মাথায়
বন্ধু, বড় দুঃখে...
অমর কাব্য তোমরা লিখিয় বন্ধু
যাহারা আছো সুখে"। -কাজী নজরুল ইসলাম।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

মানবী বলেছেন: "একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি জনগণের সুবিধার জন্য এতোটা কঠিন-কঠোর ও আপসহীন হতে পারেন তাহলে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিস্তা পাড়ের মানুষের জন্য একবার মৃদুস্বরে "না" উচ্চারণ করতে পারবে না, এ কী করে হয়? কেন বলা যাবে না, 'মোদি সাহেব, কয়েকটা দিনের জন্য ট্রানজিট স্থগিত থাকুক? আমার জনগণ আসলে ট্রানজিটের বিনিময় চায় না, তারা ন্যায্যতা চায়'। কেন বলতে পারবে না, 'এনটিপিসি রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ কটাদিন বন্ধ থাকুক। আমার বাংলার ১৬ কোটি মানুষের বিদ্যুৎ দরকার কিন্তু তারা সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ কে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলতে চায় না...।"

- বাংলাদেশের সাথে অন্যায় আচরনের জন্য ভারত সরকারের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তীব্র ঘৃনা। তারপরও স্বীকার করতে হয়ে, এইযে ওদের এমন ঘৃন্য নেতৃবৃন্দ, তাদের মাঝে যে দেশপ্রেম আচে আমাদের নেতৃবৃন্দের মাঝে তার এক শতাংশও নেই আর তাই ওদের মূখ্যমন্ত্রীর ওমন দৃঢ় উচ্চারনের পাশে আমাদের জন কেবল নত মস্তকে "জ্বী হুজুর, জ্বী হুজুর" করে যায়।

তার চেয়েও দুঃখজনক যখন একপাল বিষাক্ত কীট নিজেদের বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে ভারত রক্ষা কমিটির একনিষ্ঠ কর্মীর মতো আচরন করে। এরা মুক্তিযুদ্ধ আর দেশ নিয়ে বড় বড় লেকচার দিতে পিছপা হবেনা, লীগের সমালোচনা শোনা মাত্র তাকে রাজাকারের পদবী দিয়ে বসে তবে ভারত সম্পর্কে কিছু বললে এদের গাত্রদাহ টা চোখে পড়ার মতো! এমন অকৃতজ্ঞ আর নির্লজ্জ যে দেশের সন্তান, তার বুকে ভেসে যাওয়া নদী তৃষ্ণার্ত হবে, নদীর বুক শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

তীব্র কষ্টের একটি পোস্ট! আমাদের হাতভাগী দেশের মৃতপ্রায় নদীদের কান্না তুলে ধরার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রাজজাকুর।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২১

রাজজাকুর বলেছেন: "এমন অকৃতজ্ঞ আর নির্লজ্জ যে দেশের সন্তান, তার বুকে ভেসে যাওয়া নদী তৃষ্ণার্ত হবে, নদীর বুক শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।"
এতো স্বাভাবিকতা আমরা আবার মানতে পারি না এটাও হয়তো দেশের অভাগা সন্তানদের জন্য স্বাভাবিক!

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

করুণাধারা বলেছেন:

নদী আছে পানি নাই, জমি আছে আবাদ নাই এই বেদনা যে কতটা ভয়ঙ্কর তা এসির বাতাসে বসে মিলারেল ওয়াটার খেয়ে বোঝা যাবে না। আমাদের বুকের উপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা, একটা নদী অথচ তার মধ্যে কয়েক ছটাক পানিও নেই!

পুরানো ক্ষত নতুন করে জেগে উঠল। সত্যিই আমরা সর্বংসহা জাতি। আমাদের তিস্তা মরে গেল, তিতাসের উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে ট্রানজিট এর ভারী গাড়ী চলার ব্যবস্থা করা হল, সুন্দরবন মেরে ফেলার ব্যবস্থা হল। আমাদের এসব ভাবার সময় নাই। আমরা ব্যস্ত ক্রিকেট, পান্তা ইলিশ আর উৎসব নিয়ে।

ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১২

রাজজাকুর বলেছেন: পুরানো ক্ষত নতুন করে জেগে উঠল। সত্যিই আমরা সর্বংসহা জাতি। আমাদের তিস্তা মরে গেল, তিতাসের উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে ট্রানজিট এর ভারী গাড়ী চলার ব্যবস্থা করা হল, সুন্দরবন মেরে ফেলার ব্যবস্থা হল। আমাদের এসব ভাবার সময় নাই। আমরা ব্যস্ত ক্রিকেট, পান্তা ইলিশ আর উৎসব নিয়ে। কী হচ্ছে এসব!

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: প্রমত্তা তিস্তা! একটি নদীর অপমৃত্যু!! অতপর একটি জাতির করুণ আর্তনাদ!!

তিস্তার পানি আমাদের অধিকার কিন্তু আমরা কী আমাদের অধিকার আদায় করতে। আমারা আছি রাজনৈতিক হানাহানি ও কাটাকাটিতে ব্যস্ত। যখনই একটি বাস্তবতা আমাদের সামনে আসে তখনই আমাদের দৃষ্টি অন্যদিকে ডাইভার্ট করা হয় কিন্তু কেন? কি উদ্দেশ্যে? সময় এখনই ভাববার।



ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১০

রাজজাকুর বলেছেন: ক্ষমতায় টিকে থাকাই প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য কিনা, কে জানে!
প্রমত্তা তিস্তা! একটি নদীর অপমৃত্যু!! অতপর একটি জাতির করুণ আর্তনাদ!!
এবার একটু মুক্তি দরকার।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



পূর্বকথা: পানি বন্ধ মানে খাদ্য উতপাদন বন্ধ।
খাদ্য উতপাদন বন্ধ মানে, মরা নদী, বালু চর, ধূ ধূ মরু ভূমি, নিরন্ন ভূখা ফাকা মানুষের হাহাকার, মৃত্যুর পদধ্বনি।

দাদাদের নির্ভেজাল ভালবাসা: এবং এভাবেই। অত:পর এরকমভাবে। সর্বশেষ, এই পদ্ধতিতেই তোমাদের ভালবেসে- তোমাদের গলে জড়িয়ে ধরে- গলা চেপে মেরে ফেলব। তোমরা টেরও পাবে না যে তোমরা সত্যিই মরে যাচ্ছ। আসলে ঠিক ঠিক লক্ষ্য করলে দেখবে, ঠিকই তোমরা মরে গেছ।

আহ্! কত সৌভাগ্য তোমাদের!!!
কত আসানের মউত তোমাদের!!!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০৬

রাজজাকুর বলেছেন: পানি বন্ধ মানে খাদ্য উতপাদন বন্ধ। খাদ্য উতপাদন বন্ধ মানে, মরা নদী, বালু চর, ধূ ধূ মরু ভূমি, নিরন্ন ভূখা ফাকা মানুষের হাহাকার, মৃত্যুর পদধ্বনি।
সহজ মৃত্যু।


৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

জগতারন বলেছেন:
মমতা ফমতা'র বুঝা উচিৎ সূর্য মামা যখন বাষ্পাকারে পানি উঠায়ে উপরে নিয়ে যায় সেই পানি শুধু অভিশপ্ত পশ্চিম বংগ থেকেই নেয়না। তার সিংহ ভাগ প্রিয় বাংলাদেশ থেকেও নেয়। তার পরে সেই পানি বরফারে হিমালয়ে জমা করে পরে সেই গলা পানি নদী বহতা সৃষ্টি পর প্রকৃতি বাংলাদেশসহ তার অন্যান্য মেয়েদের আশীর্বাদ করে। প্রকৃতির সেই আশীর্বাদ অন্যায় করে বাধ দিয়ে মমতা ফমতা'র দেশের দিকে এক তরফাভাবে ফিরা্যে নিলে এর পরিনতি বেশী ভাল হবে না।মমতা ফমতা'র ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে দেখা দরকার বাঙ্গালী মুসলমানদের ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মাদ মমতাবখতিয়ার খিলজি কী শিক্ষা দিয়ে গেছেন।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

অগ্নি সারথি বলেছেন: :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.