নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ। আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ ....

রাজজাকুর

রাজজাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষয়ঃ শবে বরাত

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১০

বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার খাতিরে ধরেই নিলাম, হাদিস কি, কতপ্রকার, মতন কি, সনদ কি, কোন সনদ দূর্বল, কোনটা জাল, কোনটা জইফ, কোনগুলো মিথ্য, বানোয়াট, আর কোন হাসিসটা হাসান এ বিষয়গুলো আমরা জানি। যেহুতু মোটামুটি ধারনা আছে তাই মনযোগ দিয়ে শবে বরাত প্রসঙ্গে হাদিসগুলো ও এর আগে পিছের সনদ ও সনদের সত্যতা সম্পর্কে পড়ে ফেলি।

ক। আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: এক রাতে আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে কর, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবেন?’ আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন।

হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮), তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২) বর্ণনা করে বলেন, এ হাদীসটিকে ইমাম বুখারী দুর্বল বলতে শুনেছি। অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদ দুর্বল বলে সমস্ত মুহাদ্দিসগণ একমত। এই হাদিসের সুত্র যে বিচ্ছিন্ন তা স্পষ্ট করে বুঝতে হলে এই লিংকে যেতে হবে।https://www.youtube.com/watch?v=fuuxnx_uvkk

খ। আবু মূসা আল আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা‘আলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যতীত, তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন।

হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার মু’জামুল কাবীর (২০/১০৭,১০৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
আল্লামা বূছীরি বলেন: ইবনে মাজাহ বর্ণিত হাদীসটির সনদ দুর্বল। তাবরানী বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাজমা‘ আয যাওয়ায়েদ (৮/৬৫) গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত হাদীসটির সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী শক্তিশালী। হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার সহীহতে বর্ণনা করেছেন। এ ব্যাপারে দেখুন, মাওয়ারেদুজ জাম‘আন, হাদীস নং (১৯৮০), পৃঃ (৪৮৬)।

গ। আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন শা‘বানের মধ্যরাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন”।

হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন। আল্লামা বূছীরি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ (২/১০) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনে আবি সুবরাহ রয়েছেন যিনি হাদীস বানাতেন। তাই হাদীসটি বানোয়াট।

এ বিষয়ে আরো বলা যেতে পারে, কিন্তু তাতে বক্তব্য বড় হবে। অনেক হাদিস থাকলেই হবে না তার বর্ণনাকারী রাবী শক্তিশালী হতে হয়। আবার শুধু রাবী শক্তিশালী হলেই তো হয় না বক্তব্যও সঠিক হতে হবে। কেননা ইসলাম সত্য ধর এর মধ্যে কোন সন্দেহ নাই। তো বুঝা যাচ্ছে যে, সাবানের মধ্যরাত্রির ফযীলত বিষয়ে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলোই দুর্বল অথবা বানোয়াট।

সুরা আনআমের এই আয়াতটি নিশ্চয় মনে আছে তবুও বলি - অাল্লাহ বলেছেন, হে নবী যারা নিজের দ্বীন কে খণ্ড বিখণ্ড করেছে, তার সাথে অাপনার কোন সম্পর্ক নেই। (সুরা:অানঅাম, অায়াত :১৫৯) বিশ্লেষণে না যাই, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুক।

ইবাদত করা তো খারাপ কিছু না, বরঞ্চ খুব ভাল ব্যপার। তাহলে এই রাতে করলে ক্ষতি কী? কোন কাজটি ইবাদত আর কোনটি নয় সেটি নির্ধারণ করবার এখতিয়ার একমাত্র নবী সাঃ এর। তিনি যা করেছেন এবং যা করতে বলেছেন তাই ইবাদত। যা করেন নাই সেটি যত ভাল কাজই হোক না কেন কশ্চিনকালেও সেটা ইবাদত বলে গণ্য হবার সুযোগ নেই। যে যার ইচ্ছা মতন যে কোন কাজকে ইবাদত হিসেবে পালন করলে ভ্রান্ত বিশ্বাস জন্ম নেবে আমাদের উত্তরসূরিদের। সুরা অালে ইমরান, অায়াত:১০৩ তে আল্লাহ বলেন "তোমরা সবাই অাল্লাহর রুজ্জু শক্ত করে ধর,পরস্পরের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড় না"। আজকের ছোট একটা ভুল সময় গেলে আরো বড় হবে তেমনি ধর্ম বিশ্বাসে ক্ষতির পরিমানও বেশি হবে। হুজুরে যা বলেন তাই বিশ্বাস করি, কেননা ধর্ম হলো বিশ্বাসের বিষয়। এরকম করে ভাববার সুযোগ নেই। ফলত মসজিদে গিয়া বালাগুল উলাবে কামালিহি কাসাফাদ্দু যা বে জামালিহি পড়া কিংবা ইয়া নবী সালামু আলাইকা পড়তে পড়তে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ভিত্তি কতটুকুন তা ভাবতে হবে। আর আল্লাহ কোরয়ানে বলেন "তোমরা অাল্লাহর অনুসরন কর, রাসুলের অনুসরন কর, নিজেদের #অামল #নষ্ট কর না। [সুরা:মুহাম্মদ, অায়াত :৩৩]

লাভ লস হিসাব করে অনেকে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে, শবে বরাত না থাকলে নাই, কিন্তু যদি থাকে তাহলে যেন মিস হয়ে না যায়। সেজন্য রাত্রি উদযাপন করে থাকেন। কিন্তু সুরা আন নাজমের আল্লাহ্‌ বলেছেন "তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে। (- সুরা আন নাজম ২৩) "অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমানের উপর চলে। অথচ সত্যের ব্যাপারে অনুমান মোটেই ফলপ্রসূ নয়" ( সুরা আন নাজম ২৭)। শবে বরাত পালনে একটা সহি দলীলসহ সহি হাদিস না পাওয়া সত্ত্বেও কেন পালন করব? তা বোধগম্য নয়। আল্লাহ তায়ালা প্রথম যে আয়াতটি নাজিল করেছিলেন সেটি হলো "পড়, পড় তোমার প্রভুর নামে"। শবে বরাতেরমত বিদয়াত থেকে মুক্তির জন্য আমাদের সকলেরই পড়া শুরু করা ভীষণ জরুরী। কোরয়ান হাদিস তো পড়ার জন্য, শুধু হুজুরের থেকে শোনার জন্য নয়। যদি আমরা সত্যি পড়া শুরু করি তবে 'সত্য'ই আমাদের মুক্ত করবে।

সহি দলীলসহ বুখারী মুসলিমের এই হাদিসটির আমল থেকে আমরা কেন বঞ্চিত হবো? আল্লাহ্‌ মহান, আল্লাহ্‌ দয়ালু। সেই হাদিসটি হলো - “আল্লাহ তা‘আলা #প্রতি #রাতের #শেষাংশে – শেষ তৃতীয়াংশে- নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন ‘এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে দেব? আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব?” [বুখারী, হাদীস নং ১১৪৫, মুসলিম হাদীস নং ৭৫৮]

আরো সতর্কতার সাথে খেয়াল করুন বুখারী মুসলিমের হাদিস “আল্লাহ তা‘আলা #প্রতি #রাতের শেষাংশে – শেষ তৃতীয়াংশে- নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন …। প্রতিটি রাতই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিশেষ একটি রাতে ঘটা করে এভাবে ইবাদত করা বেদআত। সাবধান! আল্লাহ্‌, সবার অন্তরের খবর জানেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১৬

মানবী বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
আমার ধারনা কাঠমোল্লা আর ভন্ডহুজুরদের অপপ্রচারের সাথে সাথে যুগ যুগ ধরে পূর্বপুরুষ দ্বারা উদযাপিত হবার কারণে অনেকে বিদা'তের চর্চা থেকে সরে আসতে দ্বিধাবোধ করে।

মুসলিম হিসেবে আমাদের মনে রাখা উচিৎ, সঠিক ও সত্যের পথে চলার জন্য হযরত মুহুম্মদ(সঃ) তাঁর পূর্বপরুষদের প্রচলিত পথ থেকে সরে এসেছিলেন!
আমাদের অনেকে পূর্ব পুরুষ গ্রামের গন্ডীর বাইরে পা রাখেননি আমরা রাখছি, অনেকে প্লেনে ভ্রমন করেননি আমরা করছি, অনেকের বাসায় কখনও টেলিভিশন কম্পিউটারের ব্যবহার ছিলোনা আজ আছে প্রযুক্তি আর সভ্যতার উন্নয়নের পথে আমরা যদি প্রথা থেকে বেড়িয়ে উন্নততর অবস্থানটি গ্রহণ করতে পারি, ধর্ম পালনাএর ক্ষেত্রে স্বশিক্ষিত হয়ে কুপ্রথা পরিহার করে সঠিক পথে আসা এতো কঠিন কেনো বোধ গম্য নয়।

শবে বরাত নিয়ে খুব সহজ একটি হিসাব।
এমন মহিমান্বিত রাতের অস্তিত্ব যদি সত্য হতো তাহলে প্রিয় নবী তাঁর উন্মতদের স্পষ্টা ভাবে তা জানিয়ে দিতেন। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পাপ পূণ্য নিয়ে যেখানে বারংবার সতর্ক করা হয়েছে সেখানে এ্মন গুরুত্বপূর্ণ রাত সম্পর্কে শুধু স্পষ্ট বক্তব্য নয় নিজে চর্চা করে পথ দেখিয়ে নির্দেশ দিয়ে যেতেন।
আর মহান আল্লাহ্রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের কাছ থেকে এমন বরকতময় গোপণ করবেন এমন হাস্যকর ভাবনা কোন ভাবেই যৌক্তিক হতে পারেনা। তিনি লাইলাতুল ক্কদর সম্পর্কে এটি পূর্ণ সুরাহ নাযিল করেছেন আর শবে বরাত সম্পর্কে টুঁ শব্দটি নেই।

ভন্ডহুজুরের বিভাজন সৃষ্টি করে ইসলাম ও মুসলিমদের ভুল পথে পরিচালিত করছে। কেউ সত্য বললে, কুরআন ফলো করতে বললে তাঁকে আহলে হাদীস আখ্যা দিচ্ছে! প্রকৃত ইসলামের সত্য রূপ যদি আহলে হাদীস হয়, আমার আহলে হাদীস হতে কোন আপত্তি নেই। তবে সমগ্র বিশ্বের মুসলিম একতি মাত্র মাজহাবে বিশ্বাসী হবে, সেই মাজহাবের নাম ইসলাম।

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ রাজজাকুর।

২| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

রাজজাকুর বলেছেন: ভাই, বক্তব্যটি বুঝি সমজ থেবে বোধহয় একটু বেশিই আলাদা হয়ে গেল!

৩| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

রাজজাকুর বলেছেন: কেন যেন আমরা বুঝেও বুঝিনা দেখেও দেখি না। মানবী আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রসুল (স) মৃত্যুর আগে হাদিস লিখতে বা ফলো করতে মানা করে গেছেন।
বিদায় হজে স্পষ্ট ভাবেই মানা করে গেছেন।
তাই হজরত আবুবকর রসুল (স) মৃত্যুর পর পর সব হাদিস নিজ হাতে পুড়িয়ে ফেলেন। ইতিহাস তাই বলে।

রসুলুল্লাহর মৃত্যুর পর আরব এলাকায় উম্মতদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য থাকার পরও ৩০০ বছরেও একটি আদর্শ ইসলামি রাষ্ট্র তৈরি করতে পারেনি। বিভক্ত মতবাদের কারনেই।
এরপর বাকি দেড়হাজার বছরেও কোন আদর্শ ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। সুধু সেই হাদিস-মাহাজাব নিয়ে নিজেদের ভেতর হাংগামা করে গেছে।

রসুল (স) মৃত্যুর ৩০০ বছর পর মক্কা মদিনার হাজার মাইল দূরে মিশরে বিচ্ছিন্ন ভাবে আবার হাদিসগুলো লেখা শুরু হয়।
হাংগামারত মুসলিমরা নিজেদের ভেতর রক্তপাত হানাহানিকে বৈধতা দিতে নিজেরাই একটি হাদিস বানিয়ে ফেললেন -
"রসুল (স) বলেছিলেন ইসলাম ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে। তার মধ্যে সুধু একটা সহি। বাকিরা সব জাহান্নামি"।
তবে কোনটা সহি বলে যান নি!
এধরনের ফালতু কথা কথা রসুল (স) বলতেই পারেন না।
মানে নিজেদের ভেতর হাংগামা বৈধতা দেয়ার জন্য মোক্ষম একটা জালহাদিস।

এরপর ইসলাম আরো বিভক্ত হয়ে মাহাজাব উপ-মাহাজাবের নামে ১১৭ ভাগে বা আরো বেশী ভাগে বিভক্ত।
এখন অবস্য নতুন হাদিস বের হয়েছে - "ইসলাম বিভক্তির জন্য দায়ী আমেরিকা রাশীয়া ইসরাইল"

এদেশে মৌদুদীবাদিরা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালি হওয়ার পর।
এদেশের শত শত বছরে বহুল প্রচলিত "খোদা হাফেজ" আল্লা হাফেজ হয়ে গেছে।
শত বছর প্রচলিত মিলাদ, দরুদ পাঠ, সবেবরাত এখন বেদাত বলে জোর প্রচারনা চলছে।
বিশ্বএজতেমা মোনাজাতকেও হারাম বলছে।
সুফি, হুজুর, পির মাজার সুধু বেদাত বলেই খান্ত হচ্ছে না, বোমা হামলা, জবাইও চলছে।
ব্লগে জনপ্রীয় কয়েকজন নারী নিকধারি ব্লগার কিছুদিন জাবত কৌশলে এসব বিরামহীন ভাবে ফ্যাসিস্ট মৌদুদীবাদি প্রচার করে যাচ্ছে।
দেখার কেউ নেই।

৫| ১২ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: আসলে আমরা মুসলিমরা দলেদলে বিভক্ত
হয়ে পড়েছি। আমাদের দুর্বলাতায় আমাদের
মাঝখানে অপধর্মের জালেমরা ইসলামের
মুখোশ পড়ে ঢুকে যাচ্ছে আমাদের অতি
সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে।

আসুন আমরা বিবেক দ্বারা তারিত হই।
নবী মোহাঃ সাঃ মৃত্যু পরর্বতী প্রধান চার
খলিফার নিয়ম নীতি অনুসরন শত শত
বছর ধরে হয়ে আসছে।
তাহলে কি আমরা ধরে নেব হযরত মোহাঃ
সাঃ এর ইন্তেকালের ২০০ বছর পর যে সব
হাদীস বানান হয়েছিল সবই বানোয়াট।
আবুবকর রাঃ আঃ আলি রাঃ আঃ আয়শা
রাঃ আঃ আরও অনেকে মুহাঃ সাঃ এর
অতি কাছের মানুষের মুখের হাদীস মিথ্যা
যেমন সবে বরাত বা লাইলাতুল বারাহ্।
যা নিয়ে বিদাত শুরু হয়েছে। শীয়া, সুন্নী
ওয়াহাবী লামাজহাবী আলেম উলামাদের
ভিতরে।
আমরা মুসলিম ভাই ভাই সে কথা যেন
ভুলে গেছি। যা তিন দশক আগেও ছিলনা।
কুয়েত যুদ্ধ ইরাক আফগাস্থান যুদ্ধ থেকে
শুরু হয়েছে আমেরিকা মুসলিম দেশের
উপর অন্যায় ভাবে যুদ্ধ চাপীয়ে দেওয়া।
কারন আমরা মুসলিম দেশগুলা কেউ
একত্রিত না।
আমাদের আলেম উলামারা নিত্যনতুন জাল
জাল হাদীস প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের
অভিব্যক্তি চাপীয়ে দেওয়ায় ব্যস্ত।
এভাবেই আলেম উলামা দন্দে জড়িয়ে পড়ছে।

হযরত আবুবকর রাঃ আঃ আয়শা রাঃ আঃ
আলি রাঃ আঃ এবং নবীজী মোহাঃ সাঃ
অন্তরের কাছের খাদীজা রাঃ আঃ ফাতেমা
রাঃ আঃ আল হাসান ওয়াল হুসাইন রাঃ
আঃ উনাদের হাদীস যদি মিথ্যা হয়।
উনাদের পড়ে ২০০ বছর পর যে সব হাদীস
এসেছে আমরা কোনটা সত্য ভাবব।
বিবেক কি বলে।
আমাদের চার প্রধান খলিফার অনুসারীরা
নবী মোহাঃ সাঃ এর সুন্নাহ্ মতবাদে কিছুটা
রকম ফের আছে বৈকি তাই নিয়ে বাড়াবাড়ি
বাদ দিয়ে সবাই ইসলামের অনুশীলন করা
জরুরী।
মুসলিমদের ভিতরে হিংসা বিদ্বেশ কে কার
থেকে বড় পন্ডিত থেকে বিরত থাকা আরও
জরুরী।
তানা হলে সাধারন মানুষ বিব্রত হচ্ছে।

আমি এক নগন্য মানুষ হিসাবে বিবেক
প্রসারীত করে যত টুকু পারলাম বলতে।

আমরা মুসলিমরা ভাই ভাই হিংসা বিদ্বেশ
না ভুললে জালিমদের দ্বারা আরও
বেশী নির্জাতন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
ধন্যবাদ,

৬| ১২ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

করুণাধারা বলেছেন:
সমস্ত প্রমাণ থাকা সত্বেও তারা বেদয়াত থেকে ফেরেনা!!!!

তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ রাজজাকুর।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

রাজজাকুর বলেছেন:
"তাহলে কি আমরা ধরে নেব হযরত মোহাঃ
সাঃ এর ইন্তেকালের ২০০ বছর পর যে সব
হাদীস বানান হয়েছিল সবই বানোয়াট"।

এই ২০০ বছর পরে হাদিস সূত্র সহ অবিকৃতভাবে (যেটাকে আমরা সনদ বলি) সংগ্রহ করা হয়েছে। আর যেগুলো বানানো হয়েছে নিশ্চয় সেগুলো বানোয়াট। সেগুলো বর্জনীয়।
"আলেম উলামারা নিত্যনতুন জাল
জাল হাদীস প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের
অভিব্যক্তি চাপীয়ে দেওয়ায় ব্যস্ত"।

চাপিয়ে দেয়ার একটা বাণিজ্যিক কারন রয়েছে। যা শবে বরাতের মিলাদের চাকচিক্য দেখলে বোঝা যায়।
"হযরত আবুবকর রাঃ আঃ আয়শা রাঃ আঃ
আলি রাঃ আঃ এবং নবীজী মোহাঃ সাঃ
অন্তরের কাছের খাদীজা রাঃ আঃ ফাতেমা
রাঃ আঃ আল হাসান ওয়াল হুসাইন রাঃ
আঃ উনাদের হাদীস যদি মিথ্যা হয়। উনাদের পড়ে ২০০ বছর পর যে সব হাদীস এসেছে আমরা কোনটা সত্য ভাবব।"

না ওনাদের কথা মিথ্যা নয়। কিন্তু ওনাদের কথা তো সরাসরি লিখিত পাওয়া যায় না। ওনারা যেসঅব কথা বলেছেন বলে বলা হচ্ছে সেসব আদৌ বলেছেন কি না সেটি প্রমানিত করতে সনদ বা সূত্র প্রয়োজন। মানে ওনাদের এই কথাটা কে শুনেছে, কার কাছ থেকে শুনেছে। যিনি শুনেছেন তিনি সত্যবাদী কি না? এদের রাবি বলা হয়। তাই সত্য মনে করার আগে রাবি সত্যবাদী কি না সেটি দেখতে হবে।

"সাধারন মানুষ বিব্রত হচ্ছে"।
সাধারণ মানুষ সত্যকে জানছে, শিখছে। কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসছে একে "বিব্রত হওয়া" বলা কতটা যৌক্তিক?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.