![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রামায়ণে রামের জন্ম
তুমি অযোদ্ধায় ধরো
মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছে
ক'টা বলতে পারো?
দুই হাজার মানুষ মেরেছ
মারতে চাও আরো
রামের নামে কেমন করে
এতো রক্ত গিলতে পারো?
এমন ভাবে থামিয়ে দিয়েছ
সরার যায়গা নাই
বলছ তুমি- পাঁচ একর জমি দিচ্ছি
চুপ থাকো ভাই!
কোন পাল্লায় মাপলে তুমি
কিভাবে করলে দাম দর?
পৃথিবীতে যত মসজিদ আছে
সবি এক আল্লার ঘর।
ভাবছ তুমি অনেক বড়!
মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির গড়ো!
রাখ তোমার পাঁচ একর মাটি
পারলে তুমি মানুষ হয়ো খাঁটি।
(পৃথিবীতে যে কারোর উপাসনালয় ভাঙ্গা যে কতবড় অন্যায় তা বুঝারমত বিচার বুদ্ধি বিবেক ভারতীয় প্রশাসনের নাই। বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের রায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের মন্দিরগুলোকে শতভাগ নিরাপদ রাখতে হবে আমাদের। ইসলাম এই শিক্ষাই আমাদের দিয়েছে। এভাবেই শান্তি আসবে।)
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৩
প্রণব দেবনাথ বলেছেন: মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ তৈরির পর থেকে আন্দোলন চলছে । কয়েকশ বছর অপেক্ষা করেছে হিন্দুরা । আর আজ বলছেন কেন মসজিদের জায়গায় কেন মন্দির হলো!!!
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: ,সুপ্রিম কোর্টের এ রায় নিয়ে দেশটির সাবেক বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় এবিপি আনন্দ টিভিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এছাড়া এ রায় নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় মন্তব্যকলাম লিখেছেন সাবেক এই বিচারপতি।
বাবরি মসজিদ রায় নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এই রায়টা কিসের ভিত্তিতে দেয়া হল, সবটা ঠিক বুঝতে পারছি না। সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই আদালত একটা রায় দিলে তাকে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
চারশো-পাঁচশো বছর ধরে একটা মসজিদ একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। সেই মসজিদকে আজ থেকে ২৭ বছর আগে ভেঙে দেয়া হল বর্বরদের মতো আক্রমণ চালিয়ে। আর আজ দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলল, ওখানে এ বার মন্দির হবে।
সাংবিধানিক নৈতিকতা বলে তো একটা বিষয় রয়েছে! এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যাতে দেশের সংবিধানের উপর থেকে কারও ভরসা উঠে যায়। আজ অযোধ্যার ক্ষেত্রে যে রায় হল, সেই রায়কে হাতিয়ার করে ভবিষ্যতে এই রকম কাণ্ড আরও ঘটানো হবে না, সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেন?
শুধু অযোধ্যায় নয়, মথুরা এবং কাশীতেও একই ঘটনা ঘটবে— এ কথা আগেই বলা হত। যারা গুন্ডামি করে বাবরি মসজিদ ভেঙেছিলেন, তারাই বলতেন। এখন আবার সেই কথা বলা শুরু হচ্ছে।
যদি সত্যিই মথুরা বা কাশীতে কোনও অঘটন ঘটানো হয় এবং তার পরে মামলা-মোকদ্দমা শুরু হয়, তা হলে কী হবে? সেখানেও তো এই রায়কেই তুলে ধরে দাবি করা হবে যে, মন্দিরের পক্ষেই রায় দিতে হবে বা বিশ্বাসের পক্ষেই রায় দিতে হবে।
অযোধ্যা মামলা এর আগেও সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে। তখনই আদালত স্বীকার করে নিয়েছিল যে, বিতর্কিত জমিতে মসজিদ ছিল। যেখানে বছরের পর বছর ধরে নামাজ পড়া হচ্ছে, সেই স্থানকে মসজিদ হিসেবে মান্যতা দেয়া উচিত, এ কথা আদালত মেনে নিয়েছিল।
তা হলে আজ এই নির্দেশ এল কী ভাবে? যেখানে একটা মসজিদ ছিল বলে সুপ্রিম কোর্ট নিজেই মেনেছে, সেখানে আজ মন্দির বানানোর নির্দেশ সেই সুপ্রিম কোর্টই দিচ্ছে কোন যুক্তিতে?
ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক জরিপে (এএসআই) জানিয়েছিল, ওই মসজিদের তলায় একটি প্রাচীনতর কাঠামোর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেই প্রাচীনতর কাঠামো যে মন্দিরই ছিল, এমন কোনও প্রমাণ তো মেলেনি। সুপ্রিম কোর্ট নিজেও মেনে নিয়েছে যে, পুরাতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে কোনও ভাবেই প্রমাণ হচ্ছে না যে, একটা মন্দিরকে ভেঙে ওখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।
তা হলে কিসের ভিত্তিতে আজ মন্দির তৈরির নির্দেশ? বিশ্বাসের ভিত্তিতে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলল, অনেক হিন্দুর বিশ্বাস যে, ওখানে রামের জন্ম হয়েছিল।
বিশ্বাস বা আস্থার মর্যাদা রাখতে ওই বিতর্কিত জমি রামলালা বিরাজমানের নামে দিয়ে দেয়া হল। এটা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত হল? রামচন্দ্র আদৌ ছিলেন কি না, কোথায় জন্মেছিলেন, সে সবের কোনও প্রামাণ্য নথি কি রয়েছে? নেই।
রাম শুধু মহাকাব্যে রয়েছেন। সেই সূত্রে অনেক মানুষের মনে একটা বিশ্বাসও রয়েছে। কিন্তু সেই বিশ্বাসের বলে একটা মসজিদের জমি মন্দিরের নামে হয়ে যেতে পারে না।
@ প্রনব দেবনাথ , সত্য ও ন্যায় এর পক্ষ নেয়াটা ,মানবতার ধর্ম, ব্যক্তিগত ধর্ম যাই হোক না কেন।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: সবাই মিলেমিশে থাকতে পারলে কোনো কিছুর ভাঙ্গার দরকার পড়ে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
কৌটিল্যা বলেছেন: মতামত দেবার স্বাধীনতা সকল মানুষের আছে। তবে কিছু মতামত সমাজের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।