নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠকের মুগ্ধতাই আমার লেখার প্রেরণা, সত্য প্রচার আমার লেখার উদ্দেশ্য আর মিথ্যাকে বিনাশ করে দিকেদিগন্তে সত্যের আলোকচ্ছটার বিচ্ছুরণই আমার লেখার চূড়ান্ত লক্ষ্য।

বিদ্রহীসূত

রাকীব আল হাসান, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি।

বিদ্রহীসূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতিকদের ছেড়ে সাধারণ জনগণকেই একতাবদ্ধ হতে হবে

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০

জাতির ঐক্য এতটাই প্রয়োজনীয় বিষয় যে একটি জাতি একটি সংগঠন যত শক্তিশালীই হোক যত প্রচণ্ড শক্তিশালী অস্ত্র-শস্ত্র, ধন-সম্পদের অধিকারীই হোক, যদি তাদের মধ্যে ঐক্য না থাকে তবে তারা কখনই জয়ী হোতে পারবে না। অতি দূর্বল শত্রুর কাছেও তারা পরাজিত হবে। তাই আল্লাহ কোর’আনে বহুবার এই ঐক্য অটুট রাখার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। এই ঐক্য যাতে না ভাঙ্গে সে জন্য তার রসুল (দ:) সদা শংকিত ও জাগ্রত থেকেছেন এবং এমন কোন কাজ যখন কাউকে কোরতে দেখেছেন, যাতে ঐক্য নষ্ট হবার সম্ভাবনা আছে তখন রেগে গেছেন।

রসুলাল্লাহ (দ:) তাঁর আসহাবদের মধ্যে যে কোন বিষয়ে মতবিরোধ দেখলে রেগে লাল হোয়ে যেতেন। তিনি বলেছেন- যে কোন প্রকার মতবিরোধই কুফর (হাদীস-আব্দাল্লাহ বিন আমর (রা:) থেকে- মোসলেম, মেশকাত)। খুব স্বাভাবিক, মতভেদ থেকে জাতির ঐক্য নষ্ট ও পরিণামে যে জন্য জাতির সৃষ্টি সেই সংগ্রামে শত্রুর কাছে পরাজয় ও পৃথিবীতে এই দীনকে প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতা, এজন্যই যে কোন প্রকার মতভেদ ও অনৈক্যই কুফর। অর্থাৎ মো’মেন থাকার পূর্বশর্ত হোল ঐক্যবদ্ধ থাকা। তবুও ইতিহাস এই যে, যে কাজকে রসুলাল্লাহ (দ:) কুফর বলে আখ্যায়িত করেছেন সেই কাজকে মহা সওয়াবের কাজ মনে করে করা হয়েছে এবং হচ্ছে অতি উৎসাহের সাথে এবং ফলে বিভিন্ন মযহাব ও ফেরকা সৃষ্টি হয়ে জাতির ঐক্য নষ্ট হয়ে গেছে এবং জাতির শত্রুর কাছে শুধু পরাজিতই হয় নি তাদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে।

বিদায় হজ্বে বিশ্বনবীর (দ:) ভাষণ মনযোগ দিয়ে পড়লে যে বিষয়টা সবচেয়ে লক্ষণীয় হয়ে ওঠে সেটা তার জাতির ঐক্য সম্বন্ধে তার ভয় ও চিন্তা। স্বভাবতঃই কারণ জীবনের সবকিছু কোরবান করে অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করে সারা জীবনের সাধনায় একটি জাতি সৃষ্টি করলে এবং সেই জাতির উপর তার আরদ্ধ কাজের ভার ছেড়ে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার সময় একটা মানুষের মনে ঐ ভয়, ঐ শংকাই সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়াবে। কারণ ঐক্য ভেঙ্গে গেলেই সবশেষ, জাতি আর তার আরদ্ধ কাজ করতে পারবে না, শত্রুর কাছে পরাজিত হবে। তাই তাকে বিদায় হজ্বের ভাষণে বলতে শুনি- হে মানুষ সকল! আজকের এই দিন (১০ই জিলহজ্ব), এই মাস (জিলহজ্ব) এই স্থান (মক্কা ও আরাফাত) যেমন পবিত্র, তোমাদের একের জন্য অন্যের প্রাণ, সম্পদ ও ইয্যত তেমনি পবিত্র। শুধু তাই নয় এই দিন, এই মাস ও এই স্থানের পবিত্রতা একত্র করলে যতখানি পবিত্রতা হয়, তোমাদের একের জন্য অন্যের জান-মাল-ইযযত ততখানি পবিত্র। খবরদার! খবরদার! আমার (ওফাতের) পর তোমরা একে অন্যকে হত্যা করে কুফরী করো না। শেষ নবী (দ:) এই সাবধান বাণী একবার নয়- পুনঃপুনঃ উচ্চারণ করলেন এবং শেষে আসমানের দিকে মুখ তুলে বললেন - হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক- আমি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিলাম। হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক- আমি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিলাম। এখানে লক্ষ্য করুন নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটিকে, অর্থাৎ জাতির ঐক্যকে নষ্ট বা ক্ষতি করাকে শেষ নবী (দ:) কোন্ শ্রেণীর গোনাহের পর্যায়ে ফেলছেন। একেবারে কুফরের পর্যায়ে। তাই আল্লাহর রসুল দ্ব্যার্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন, ‘যে ব্যক্তি এই উম্মতের ঐক্য ও সংহতির মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করতে চায় তাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাতে চেষ্টা করে, তলোয়ার দ্বারা তোমরা তাকে শায়েস্তা করো, সে যেই হোক না কেন (হাদিস, আরফাজা (রা:) থেকে মোসলেম)।

রসুলাল্লাহর সেই সাবধান বাণীর কোন তোয়াক্কা না করে আমরা আজ খ্রিস্টানদের চাপিয়ে দেওয়া অকার্যকর, ব্যর্থ সিস্টেম তথা গণতন্ত্র গিলে খেয়ে এখন নিজেরা নানা দলে বিভক্ত হয়ে অনৈক্য আর মতভেদেই শুধু লিপ্ত নই একেবারে ভাইয়ে-ভাইয়ে রক্তপাত আর খুনাখুনিতে মহা ব্যস্ত। গণতন্ত্র আর রাজনীতির বিষাক্ত ছোবলে আমরা যেন একেক জন হিংস্র ড্রাকুলা হোয়ে গেছি, রক্ত পান না করলে আমাদের আর চলে না। যেখানে প্রতিটা মোসলেম একে অপরের ভাই হবার কথা, একে অন্যের জন্য জীবন উৎসর্গ করার কথা সেখানে আমরা নানা দলে উপদলে বিভক্ত হোয়ে একে অন্যের শত্রুতে পর্যবসিত হোয়েছি। একপক্ষ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, জনগণের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, ভাংচুর কোরছে, অবরোধ আর হরতালের নামে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি মারছে আর অপরপক্ষ সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মারছে ঐ সাধারণ জনগণকেই। আমরা আল্লাহর দেওয়া সিস্টেম পরিত্যাগ করে, মানুষের তৈরি, তথা পাশ্চাত্য প্রভুদের সেখানো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অনৈক্য আর বিভেদের যে প্রাচীর নিজেদের মধ্যে নির্মাণ করেছি তাতে আপাদমস্তক ডুবে আছি কুফরীর মধ্যে অর্থাৎ ক্রয় করে নিয়েছি জাহান্নাম। আমাদের আবাসভূমি পৃথিবীকে তো স্বাক্ষাৎ নরকপুরীতে পরিণত করেছিই এখন এভাবেই যদি মৃত্যুবরণ করি তবে আখেরাতেও নিশ্চিত জাহান্নাম। কাজেই সময় এসেছে অনৈক্য আর বিভেদেরে এই প্রাচীর ভেঙ্গে একজাতি, একপ্রাণ হবার। তাই ঐক্যহীনতা নামক কুফর থেকে মুক্ত হোয়ে গণতন্ত্রকে ছুড়ে ফেলে আল্লাহর দেওয়া সিস্টেম বা জীবনব্যবস্থা গ্রহণ কোরে সুখি-সমৃদ্ধ ও বজ্রকঠিন ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়তে এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষকেই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

ভিজামন বলেছেন: আমাদের জাতিসঙ্ঘের সদস্যপদ দরকার নাই। আমরা রাজাকারের ফাঁসি চাই....

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

বিদ্রহীসূত বলেছেন: ঐক্যহীনতা নামক কুফর থেকে মুক্ত হোয়ে গণতন্ত্রকে ছুড়ে ফেলে আল্লাহর দেওয়া সিস্টেম বা জীবনব্যবস্থা গ্রহণ কোরে সুখি-সমৃদ্ধ ও বজ্রকঠিন ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়তে এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষকেই। আমরা সাধারণ মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তবে জাতিসঙ্ঘ বা পাশ্চাত্য প্রভুদের আর গোলামী করার প্রয়োজন হবে না্। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

ফ্রম_দা_জিরো বলেছেন: রাজনীতিবীদরা হয়ত ভুলে যাচ্ছে, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে আপনাদের সংখ্যা কত? ১০ লাখ ২০ লাখ ? মনে রাখুন যদি আপনাদের বিরুদ্ধে আমাদের দাড়াতে হয় চিন্তা করেন আপনাদের খাঁজেও পাওয়া যাবে না।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

বিদ্রহীসূত বলেছেন: একদম সত্য বলেছেন। সাধারণ জনগণকেই একতাবদ্ধ হয়ে একবার গর্জন করতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.