নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠকের মুগ্ধতাই আমার লেখার প্রেরণা, সত্য প্রচার আমার লেখার উদ্দেশ্য আর মিথ্যাকে বিনাশ করে দিকেদিগন্তে সত্যের আলোকচ্ছটার বিচ্ছুরণই আমার লেখার চূড়ান্ত লক্ষ্য।

বিদ্রহীসূত

রাকীব আল হাসান, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি।

বিদ্রহীসূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের গণতন্ত্রে সার্বভৌম কে?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

গণতন্ত্রে বলা হয় ‘আইন সবার জন্য সমান’। কিন্তু ইউনাইটেড কিংডম অর্থাৎ ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে রাজা আইনের ঊর্ধ্বে থাকেন। কারণ তিনিই আইনের উৎস (Fount of justice)। তার নামেই ব্রিটেনসহ পৃথিবীতে তাদের অধীন অন্যান্য রাজ্যগুলো শাসিত হয়। রয়্যাল অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রাজা বা রানীর নিরঙ্কুশ সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে পরিষ্কার বলা আছে Civil and criminal proceedings cannot be taken against the Sovereign as a person under UK law. অর্থাৎ তারা ব্রিটেনের আইনের অধীন নন। প্রশ্ন হলো তারা এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত কেন নিল?
এর যথার্থ কারণও রয়েছে। একটি জাতিসত্ত্বার বিকাশ ঘটাতে এবং এর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সর্বাগ্রে জাতির প্রয়োজন একটি নিরঙ্কুশ সার্বভৌম নেতৃত্ব যাকে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে অবস্থান করতে হবে। নতুবা অনেক সমস্যার কোনো সমাধান হবে না যেগুলি জাতির ভিত্তিকে, গঠনকে দুর্বল করে দেবে। কোনো একটি বিষয়ে বিতর্কের সূচনা হলে তা অনন্তকাল ধরে চলতেই থাকবে। এর অবধারিত ফলাফল অনৈক্য ও ধ্বংস। ব্রিটিশ রাজপরিবার প্রায় দীর্ঘ বারশ’ বছর আগে থেকে ব্রিটিশ জাতির মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এর আগেও অন্য রাজা ব্রিটেনে ছিল। যখনই যারা ব্রিটেনে রাজত্ব করেছে জাতি তাদেরকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। এর মাধ্যমেই তারা তাদের জাতিসত্ত্বা এবং নিজস্ব বিকাশকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। যখনই রাজ্যে কোনো কঠিন সমস্যার উদ্ভব হয়েছে, রাজার হস্তক্ষেপে সেটার সমাধান নিষ্পন্ন হয়েছে। কোনো সমস্যাই স্থায়ী রূপ নিতে পারে নি। এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘকাল ধরে টিকে থাকার কারণে জাতিটি সর্বদিকে তাদের শক্তি, শিক্ষা, সামর্থ্যকে বিকশিত করে এক সময় প্রায় গোটা দুনিয়াকে তাদের পায়ের তলায় নিয়ে আসতে পেরেছিল। ব্রিটিশ এম্পায়ারে সূর্য অস্তমিত হয় না- এটা ছিল তাদের ন্যায্য অহঙ্কার।
ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের উপস্থিতি এবং সংসদীয় ব্যবস্থা দেখে অনেকেই ব্রিটেনকে গণতান্ত্রিক দেশ আখ্যা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের গণতন্ত্রের সার্বভৌম ক্ষমতা নেই। তাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় যে সকল প্রতিষ্ঠান আছে তাদের নামের দিকে তাকালেই বোঝা যায় সেখানে প্রাচীন পারিবারিক রাজতন্ত্রই নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী। তাদের সর্বোচ্চ বিচারালয় (রয়েল কোর্ট- রাজকীয় বিচারালয়) থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনী পর্যন্ত রাজা বা রানীর অধীনেই অবস্থান করে। দেশটির নাম পর্যন্ত ইউনাইটেড কিংডম বা যুক্তরাজ্য (United Kingdom -UK))। তাদের বিমান বাহিনীর নাম রয়্যাল এয়ার ফোর্স (Royal Air Force), নৌ বাহিনীর নাম রয়্যাল নেভি (Royal Navy) বা রয়্যাল মেরিনস (Royal Marines)। শুরু থেকেই এই বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (Commander in Chief) থাকতেন ব্রিটেনের রাজা বা রানী। বর্তমানে আছেন ক্ষমতাসীন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
তারা আমাদের উপরে যে গণতন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে তাতে বলা হয়ে থাকে জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস অর্থাৎ সার্বভৌমত্বের মালিক। কিন্তু কার্যত দেশ পরিচালনার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই। সার্বভৌম ক্ষমতা ভাগ হয়ে গেছে একাধিক ভাগে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আদালতের রায়কে চূড়ান্ত বলে মান্য করা হয়, সে অর্থে আদালত হচ্ছে সার্বভৌম এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী প্রতিষ্ঠান। সেই আদালতে বিচার করা হয় যে আইন দিয়ে সেই আইন প্রণেতা অর্থাৎ সাংসদ বর্গ মনে করেন সংসদই হচ্ছে সার্বভৌম, যেহেতু গণতান্ত্রিক দেশ, জনপ্রতিনিধিরাই সার্বভৌম। কিন্তু সংবিধানে লেখা, আইন সবার জন্য সমান। সেই বিচারে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সবাই আইনের অধীন। অর্থাৎ সংবিধানমতে সংসদও সার্বভৌম থাকে না। আবার আদালতের রায়ে যখন সাংসদরাও অভিযুক্ত হন তখন তাদের ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। অপরদিকে সংসদ সদস্যদের রচিত আইন ও তার মানদণ্ড দিয়ে আদালত যখন কাউকে অভিযুক্ত করে বা মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় তখন রাষ্ট্রপতি চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। সুতরাং এ বিষয়ে তিনি চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ। তাকে রাষ্ট্রের অভিভাবক বলে আখ্যায়িত করা হয়, কিন্তু কার্যত তাকে মান্য করতে মন্ত্রী পরিষদ, আদালত, বা সংসদ কেউই বাধ্য নয়। প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারি দল ও বিরোধী দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে দেশে অরাজক পরিবেশ দেখা দিলে রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। অর্থাৎ তিনিও সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন, সার্বভৌম নন। আবার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সামরিক বাহিনীও কম যায় না। তারা ইচ্ছে করলেই ক্ষমতা দখল করে সংবিধান বাতিল করে দিয়ে মার্শাল ল জারি করে এবং সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হয়ে যায়। দেখা যাচ্ছে এ সকল দেশের পূর্ণাঙ্গ সার্বভৌম ক্ষমতা কারো হাতেই নেই। ক্ষমতা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার কারণে সবাই সবার ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চায়। ফলস্বরূপ এদের মধ্যে দেখা দেয় দ্বন্দ্ব। চিরাচরিত ফলাফল রাষ্ট্রীয় সর্ব অঙ্গনে অরাজকতা, অনৈক্য ও অব্যবস্থাপনা। এ সকল কারণে এসব রাষ্ট্র কখনো স্থিতিশীলতা লাভ করতে পারে না। নানা সময় একের পর এক গোলমাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগেই থাকে।
প্রশ্ন হচ্ছে ব্রিটিশ প্রভুরা যে গণতন্ত্র মানে এবং যে গণতন্ত্র মেনে নিজেরা নিজেদের উন্নতি সাধন করেছে তা আমাদেরকে শেখায় নি কেন? এর উত্তর হচ্ছে আমরা গোলাম। আমাদেরকে চিরস্থায়ী গোলাম করে রাখার জন্য যে ধরনের গণতন্ত্র দরকার তাই তারা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে গেছে। কারণ সেই পুরনো প্রাকৃতিক নিয়ম, অর্থাৎ প্রভুর খাবার আর দাসের খাবার সব সময় আলাদা।
সার্বভৌমত্বহীন এক বায়বীয় জীবনব্যবস্থাকে পুঁজি করে আমরা তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে বানরের গতিতে এগিয়ে চলেছি। প্রভুদের হুকুম মানতে গিয়ে আমরা তাদের থেকে পিছিয়ে আছি কয়েকশ বছর ব্যবধানে। সুতরাং এই গণতন্ত্র পালন করে আমরা কখনোই আমাদের জাতিসত্ত্বার বিকাশ ঘটাতে পারবো না। অন্যদের দয়া-ভিক্ষার উপর নির্ভর করে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে চিরকাল।গণতন্ত্রে বলা হয় ‘আইন সবার জন্য সমান’। কিন্তু ইউনাইটেড কিংডম অর্থাৎ ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে রাজা আইনের ঊর্ধ্বে থাকেন। কারণ তিনিই আইনের উৎস (Fount of justice)। তার নামেই ব্রিটেনসহ পৃথিবীতে তাদের অধীন অন্যান্য রাজ্যগুলো শাসিত হয়। রয়্যাল অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রাজা বা রানীর নিরঙ্কুশ সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে পরিষ্কার বলা আছে Civil and criminal proceedings cannot be taken against the Sovereign as a person under UK law. অর্থাৎ তারা ব্রিটেনের আইনের অধীন নন। প্রশ্ন হলো তারা এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত কেন নিল?
এর যথার্থ কারণও রয়েছে। একটি জাতিসত্ত্বার বিকাশ ঘটাতে এবং এর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সর্বাগ্রে জাতির প্রয়োজন একটি নিরঙ্কুশ সার্বভৌম নেতৃত্ব যাকে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে অবস্থান করতে হবে। নতুবা অনেক সমস্যার কোনো সমাধান হবে না যেগুলি জাতির ভিত্তিকে, গঠনকে দুর্বল করে দেবে। কোনো একটি বিষয়ে বিতর্কের সূচনা হলে তা অনন্তকাল ধরে চলতেই থাকবে। এর অবধারিত ফলাফল অনৈক্য ও ধ্বংস। ব্রিটিশ রাজপরিবার প্রায় দীর্ঘ বারশ’ বছর আগে থেকে ব্রিটিশ জাতির মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এর আগেও অন্য রাজা ব্রিটেনে ছিল। যখনই যারা ব্রিটেনে রাজত্ব করেছে জাতি তাদেরকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। এর মাধ্যমেই তারা তাদের জাতিসত্ত্বা এবং নিজস্ব বিকাশকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। যখনই রাজ্যে কোনো কঠিন সমস্যার উদ্ভব হয়েছে, রাজার হস্তক্ষেপে সেটার সমাধান নিষ্পন্ন হয়েছে। কোনো সমস্যাই স্থায়ী রূপ নিতে পারে নি। এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘকাল ধরে টিকে থাকার কারণে জাতিটি সর্বদিকে তাদের শক্তি, শিক্ষা, সামর্থ্যকে বিকশিত করে এক সময় প্রায় গোটা দুনিয়াকে তাদের পায়ের তলায় নিয়ে আসতে পেরেছিল। ব্রিটিশ এম্পায়ারে সূর্য অস্তমিত হয় না- এটা ছিল তাদের ন্যায্য অহঙ্কার।
ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের উপস্থিতি এবং সংসদীয় ব্যবস্থা দেখে অনেকেই ব্রিটেনকে গণতান্ত্রিক দেশ আখ্যা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের গণতন্ত্রের সার্বভৌম ক্ষমতা নেই। তাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় যে সকল প্রতিষ্ঠান আছে তাদের নামের দিকে তাকালেই বোঝা যায় সেখানে প্রাচীন পারিবারিক রাজতন্ত্রই নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী। তাদের সর্বোচ্চ বিচারালয় (রয়েল কোর্ট- রাজকীয় বিচারালয়) থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনী পর্যন্ত রাজা বা রানীর অধীনেই অবস্থান করে। দেশটির নাম পর্যন্ত ইউনাইটেড কিংডম বা যুক্তরাজ্য (United Kingdom -UK))। তাদের বিমান বাহিনীর নাম রয়্যাল এয়ার ফোর্স (Royal Air Force), নৌ বাহিনীর নাম রয়্যাল নেভি (Royal Navy) বা রয়্যাল মেরিনস (Royal Marines)। শুরু থেকেই এই বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (Commander in Chief) থাকতেন ব্রিটেনের রাজা বা রানী। বর্তমানে আছেন ক্ষমতাসীন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
তারা আমাদের উপরে যে গণতন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে তাতে বলা হয়ে থাকে জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস অর্থাৎ সার্বভৌমত্বের মালিক। কিন্তু কার্যত দেশ পরিচালনার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই। সার্বভৌম ক্ষমতা ভাগ হয়ে গেছে একাধিক ভাগে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আদালতের রায়কে চূড়ান্ত বলে মান্য করা হয়, সে অর্থে আদালত হচ্ছে সার্বভৌম এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী প্রতিষ্ঠান। সেই আদালতে বিচার করা হয় যে আইন দিয়ে সেই আইন প্রণেতা অর্থাৎ সাংসদ বর্গ মনে করেন সংসদই হচ্ছে সার্বভৌম, যেহেতু গণতান্ত্রিক দেশ, জনপ্রতিনিধিরাই সার্বভৌম। কিন্তু সংবিধানে লেখা, আইন সবার জন্য সমান। সেই বিচারে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সবাই আইনের অধীন। অর্থাৎ সংবিধানমতে সংসদও সার্বভৌম থাকে না। আবার আদালতের রায়ে যখন সাংসদরাও অভিযুক্ত হন তখন তাদের ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। অপরদিকে সংসদ সদস্যদের রচিত আইন ও তার মানদণ্ড দিয়ে আদালত যখন কাউকে অভিযুক্ত করে বা মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় তখন রাষ্ট্রপতি চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। সুতরাং এ বিষয়ে তিনি চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ। তাকে রাষ্ট্রের অভিভাবক বলে আখ্যায়িত করা হয়, কিন্তু কার্যত তাকে মান্য করতে মন্ত্রী পরিষদ, আদালত, বা সংসদ কেউই বাধ্য নয়। প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারি দল ও বিরোধী দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে দেশে অরাজক পরিবেশ দেখা দিলে রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। অর্থাৎ তিনিও সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন, সার্বভৌম নন। আবার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সামরিক বাহিনীও কম যায় না। তারা ইচ্ছে করলেই ক্ষমতা দখল করে সংবিধান বাতিল করে দিয়ে মার্শাল ল জারি করে এবং সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হয়ে যায়। দেখা যাচ্ছে এ সকল দেশের পূর্ণাঙ্গ সার্বভৌম ক্ষমতা কারো হাতেই নেই। ক্ষমতা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার কারণে সবাই সবার ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চায়। ফলস্বরূপ এদের মধ্যে দেখা দেয় দ্বন্দ্ব। চিরাচরিত ফলাফল রাষ্ট্রীয় সর্ব অঙ্গনে অরাজকতা, অনৈক্য ও অব্যবস্থাপনা। এ সকল কারণে এসব রাষ্ট্র কখনো স্থিতিশীলতা লাভ করতে পারে না। নানা সময় একের পর এক গোলমাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগেই থাকে।
প্রশ্ন হচ্ছে ব্রিটিশ প্রভুরা যে গণতন্ত্র মানে এবং যে গণতন্ত্র মেনে নিজেরা নিজেদের উন্নতি সাধন করেছে তা আমাদেরকে শেখায় নি কেন? এর উত্তর হচ্ছে আমরা গোলাম। আমাদেরকে চিরস্থায়ী গোলাম করে রাখার জন্য যে ধরনের গণতন্ত্র দরকার তাই তারা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে গেছে। কারণ সেই পুরনো প্রাকৃতিক নিয়ম, অর্থাৎ প্রভুর খাবার আর দাসের খাবার সব সময় আলাদা।
সার্বভৌমত্বহীন এক বায়বীয় জীবনব্যবস্থাকে পুঁজি করে আমরা তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে বানরের গতিতে এগিয়ে চলেছি। প্রভুদের হুকুম মানতে গিয়ে আমরা তাদের থেকে পিছিয়ে আছি কয়েকশ বছর ব্যবধানে। সুতরাং এই গণতন্ত্র পালন করে আমরা কখনোই আমাদের জাতিসত্ত্বার বিকাশ ঘটাতে পারবো না। অন্যদের দয়া-ভিক্ষার উপর নির্ভর করে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে চিরকাল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

"গণতন্ত্রে বলা হয় ‘আইন সবার জন্য সমান’। "

-এটা গণতন্ত্রের ডেফিনেশন নয়; ভুল বলছেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বিদ্রহীসূত বলেছেন: বুঝলাম না! আমি কি ডেফিনেশন হিসাবে কথাটা বলেছি? আমি বলেছি, "গণতন্ত্রে বলা হয় ‘আইন সবার জন্য সমান'।"
অর্থাৎ এটা গণতন্ত্রের একটি ভাষ্য, একটি মৌলিক নীতি।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.