নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠকের মুগ্ধতাই আমার লেখার প্রেরণা, সত্য প্রচার আমার লেখার উদ্দেশ্য আর মিথ্যাকে বিনাশ করে দিকেদিগন্তে সত্যের আলোকচ্ছটার বিচ্ছুরণই আমার লেখার চূড়ান্ত লক্ষ্য।

বিদ্রহীসূত

রাকীব আল হাসান, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি।

বিদ্রহীসূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রিটিশ প্রবর্তিত প্রচলিত ভোগবাদী ও বস্তুবাদী শিক্ষাব্যবস্থা (পর্ব-১)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮



মানুষ আর দশটা প্রাণীর মতো নয়। সে দেহ এবং আত্মার সমন্বয়ে উন্নত বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অসাধারণ একটি সৃষ্টি। সে একাধারে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বনিকৃষ্ট সৃষ্টি। তার এই শ্রেষ্ঠত্ব বা নিকৃষ্টতা, হীনতা নিরূপিত হয় তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও কর্মের দ্বারা, আর এই চরিত্র নির্মাণ করে তার শিক্ষা। ‘প্রাণী’ মানুষকে আশরাফুল মখলুকাতে রূপান্তরিত করাই হচ্ছে শিক্ষার উদ্দেশ্য। যে শিক্ষা মানুষকে চরিত্রে, চিন্তায়, কর্মে উন্নত করে সেটাই প্রকৃত শিক্ষা, আর যে শিক্ষা মানুষকে চরিত্রে, চিন্তায় কর্মে অধঃগামী করে সেটা কুশিক্ষা। সকল সত্য ও ন্যায়ের উৎস মহান আল্লাহ। তিনিই মানুষের এবং সকল দৃশ্যমান ও অদৃশ্যের স্রষ্টা। সুতরাং মানুষের প্রথম শিক্ষাই হওয়া উচিৎ স্রষ্টা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা, সকল জ্ঞানের উৎস হচ্ছেন স্রষ্টা। সেই মহান সত্ত্বাকে বাদ দিয়ে কোন জ্ঞান হতে পারে না। আবার সৃষ্টির মধ্য দিয়েই স্রষ্টার পরিচয়, তাই অণু-পরমাণু থেকে শুরু করে এই মহাবিশ্ব এবং এর মধ্যস্থিত যাবতীয় বস্তুনিচয় অর্থাৎ সৃষ্টি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করাও শিক্ষার মৌলিক অংশ। এই জ্ঞানকেই বলা যায় বিজ্ঞান। তৃতীয়ত, যেহেতু মানুষ সামাজিক জীব; তাই তাকে জ্ঞান লাভ করতে হবে মানবজাতির শান্তিতে বসবাসের জন্য যে জীবনব্যবস্থা আল্লাহ তাঁর নবী-রসুলদের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন, সেই জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে। এক কথায় বলতে গেলে, একজন শিক্ষিত মানুষকে সবার আগে জানতে হবে, স্রষ্টার সাথে তার কী সম্পর্ক এবং তারপর জানতে হবে মানবজাতির সঙ্গে তার কী সম্পর্ক। এরপর জানতে হবে সৃষ্টির অন্যান্য বস্তুনিচয়ের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক। এই তিনটি বিষয়ে একজন ব্যক্তির যদি সঠিক ধারণা না থাকে তবে তাকে শিক্ষিত বলা যাবে না। কিন্তু আমাদের দেশে যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে তা থেকে কি মানুষ প্রকৃতপক্ষে সুশিক্ষিত, সচ্চরিত্রবান, দেশপ্রেমিক ও ধার্মিক হতে পারছে? শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হবে মানবতার কল্যাণ। সেটা কি এই প্রচলিত শিক্ষা থেকে অর্জিত হচ্ছে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা হা কি বলছেন দেখুন দিকি!

প্রকৃত শিক্ষা পেলে তাদের কেরানী হবে কে? ক্রীতদাস দালাল হবে কে? ভোগবাদী পশু না হলে যে বিবেকহীন অন্ধ পাপাচারে ডোবানো যায় না- তাই জীবনকে ভোগের রঙে রঙীন করতে পালে হাওয়া দেওয়াচ্ছে মিডিয়া দিয়ে.. ফেয়ার এন্ড লাভলী না মাখলে জীবনটাই অন্ধকার! এটা না খেলে তুমি গেয়ো.. ওটা না জনলে তুমি ব্যকডেটেড.. স্বেচ্ছাচারিতাই তোমার স্বাধীনতা! ব্লা ব্লা ব্লা!!

ভ্যাস উন্মত্ত দু পেয়ে ঝীবের বিবশ হয়ে পড়ছে - আর তাদের পূর্ব সেটকৃত ভ্যবস্থাপনাতো আছেই!

প্রকৃত শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত হোক দেশের আপামর মানুষের মন মনন।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০১

বিদ্রহীসূত বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.