নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠকের মুগ্ধতাই আমার লেখার প্রেরণা, সত্য প্রচার আমার লেখার উদ্দেশ্য আর মিথ্যাকে বিনাশ করে দিকেদিগন্তে সত্যের আলোকচ্ছটার বিচ্ছুরণই আমার লেখার চূড়ান্ত লক্ষ্য।

বিদ্রহীসূত

রাকীব আল হাসান, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি।

বিদ্রহীসূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রান্ত জঙ্গি আদর্শের বিপরীতে সঠিক ও শক্তিশালী আদর্শ প্রয়োজন

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩



আপনি একজন মুসলমান, হৃদয়ের মধ্যে দৃঢ়ভাবে লালন করছেন ধর্মের প্রতি বিশ্বাস। আপনাকে মারলে, নির্যাতন করলে, কপালে অস্ত্র ধরে মৃত্যুর ভয় দেখালে আপনি কি আপনার ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করবেন? আপনার সামনে বহু মুসলিমকে যদি এভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয় তবে কি আপনি ভয়ে ভীত হয়ে ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করবেন? বেশিরভাগ মানুষই তা করবে না। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে সে ধর্ম ত্যাগে বাধ্য হলেও নতুন ধর্মের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা ও বিশ্বাস কোনোটাই থাকবে না বরং বিশ্বাসগতভাবে সে পূর্বের ধর্ম ইসলামের প্রতিই আকৃষ্ট থাকবে। কিন্তু আপনারই কোনো পূর্বপুরুষ অন্য একটি ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাকে নির্যাতন করতে হয়নি, ভয় দেখাতে হয়নি বরং ইসলামের সৌন্দর্যে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাকে বোঝানো হয়েছিল তার অনুসৃত ধর্ম তথা আদর্শটি সঠিক নয়, তার ধর্ম বা আদর্শ তাকে মুক্তি দিতে পারবে না অপর পক্ষে ইসলাম হলো সঠিক ধর্ম বা আদর্শ, এতেই রয়েছে মুক্তি। তিনি ইসলামকে উত্তম আদর্শ হিসাবে শ্রদ্ধাভরে আলিঙ্গন করেছিলেন। এভাবেই যুগে যুগে মানুষ তাদের আদর্শ পরিবর্তন করেছে স্বেচ্ছায়, কেবল নতুন সেই আদর্শের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আদর্শ নির্মূলের পন্থা কথানোই পূর্ণরূপে সফল হয়নি, হওয়া সম্ভব নয়। জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও গোঁড়াপন্থীরা ইসলামের বিধি-বিধানকে জোর করে মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে চায়- এটা মোটেও সঠিক পন্থা নয়। কিন্তু একইভাবে যারা এই আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে তাদেরকেও শুধুমাত্র শক্তি প্রয়োগ করে ফেরানোর চেষ্টা একটি ভুল পদ্ধতি।

জঙ্গিবাদ একটি ভ্রান্ত, বিকৃত আদর্শ। শক্তি প্রয়োগ করে এই আদর্শকে নির্মূল করা সম্ভব নয়। একজন মুসলমান, একজন হিন্দু (সনাতন ধর্মী), একজন খ্রিষ্টান, একজন বৌদ্ধ বা একজন ইহুদিকে শক্তি প্রয়োগ করে, নির্যাতন করে ধর্ম ত্যাগ করানো যতটা কঠিন ঠিক একজন জঙ্গিকেও তার আদর্শ থেকে ফেরানো ততটাই কঠিন। তাদেরকে এই রাস্তা থেকে ফেরাতে হলে প্রয়োজন তাদের আদর্শ যে ভুল, তারা যে ঐ পথে মুক্তি পাবে না, জান্নাতের বদলে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে সেটা বুঝিয়ে দেওয়া একই সাথে তখন প্রশ্ন আসবে তাহলে কোন পথে মুক্তি? তখন মুক্তির সঠিক রাস্তাটাও তাকে দেখাতে হবে। এটা না করা গেলে তাদেরকে ফেরানো যাবে না।

এখন পুলিশ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যতই সফলতার জয়োগান গাক, সরকার যতই বলুক- “জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমরা সফল”, চিন্তাশীল মহলে একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে আদতে তারা জঙ্গিবাদের রাস্তায় কতটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পেরেছে! এর চেয়ে অনেক বেশি সফলতা যুক্তরাষ্ট্রসহ পরাশক্তিধর দেশগুলোর ঝুলিতে আছে কিন্তু তাতে কি বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকানো গেছে? মোটেও না, বরং দিনকে দিন তা বেড়েই চলেছে, বেড়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। শুধুমাত্র শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জঙ্গি হামলা সাময়িকভাবে থামিয়ে রাখা যাবে কিন্তু জঙ্গিবাদকে থামিয়ে দেওয়া যাবে না। তাছাড়া যারা জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত হয়েছে, জঙ্গিহামলা চালাচ্ছে বা চালানোর পরিকল্পনা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় নেওয়া সম্ভব কিন্তু যারা ভবিষ্যতে জঙ্গিবাদের পথে পা বাড়াবে তাদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? এখানেই আমার কথা- শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি অবশ্যই আদর্শিক লড়াই লাগবে।

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ, চিন্তাশীল, নিরাপত্তা বিশ্লেষক সকলেই এখন একমত যে জঙ্গিবাদ নির্মূলে আদর্শ লাগবে। এই আদর্শিক লড়াইয়ে ভাড়া করা হচ্ছে তথাকথিত মাদ্রাসা শিক্ষিত ধর্মব্যবসায়ী আলেমদের। যারা হাদিয়ার বিনিময়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে, নানা ওয়াজ করে জঙ্গিবাদের ভ্রান্ততা প্রমাণের চেষ্টা করছে কিন্তু তাদের মুক্তির পথ কি দেখাতে পারছে? জঙ্গিবাদ নামক ভ্রান্ত আদর্শ ত্যাগ করে তারা কোন পথে গেলে সত্যিকার মুক্তি পাবে সেটা কি তারা বাতলে দিতে পারছে? তারা নিজেদের মধ্যেই এই পথ নিয়ে নানা বিতর্কে লিপ্ত। তা ছাড়া ঐ জঙ্গিরা এ সমস্ত তথাকথিত আলেমদের পথ বহুদিন ধরে দেখে দেখে বীতশ্রদ্ধ হয়েই তো জঙ্গিতে পরিণত হয়েছে।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াই করতে হলে অবশ্যই শক্তিশালী আদর্শ লাগবে, কারণ জঙ্গিবাদ ভ্রান্ত ও বিকৃত আদর্শ হলেও তা শক্তিশালী। কোনো একটি আদর্শ কতটা শক্তিশালী তা বোঝা যায় সেই আদর্শের অনুসারীদের ত্যাগ, কোরবানি দেখে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সেই আদর্শকে যদি মানুষ আকড়ে ধরে থাকে তবে বুঝতে হবে আদর্শটির শক্তি আছে। আর যে আদর্শে ত্যাগ নেই, কেবল ভোগ আছে বুঝতে হবে তার কোনো শক্তিও নেই। জঙ্গিবাদের আদর্শ ধারণ করে মানুষ তার সর্বস্ব উৎসর্গ করতে পারে, জীবন দিতে পারে, জীবন নিতে পারে- বুঝতে হবে তার একটি সাংঘাতিক শক্তি আছে অপরপক্ষে ধর্মব্যবসায়ীদের নিকট যে আদর্শটি আছে তা মোটেও ত্যাগ করতে শেখায় না, কেবল ধর্মের কাজ করে বিনিময় নিতে শেখায়। কাজেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এই মোল্লাদের ওয়াজ কখনোই জঙ্গিবাদের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না।

জঙ্গিবাদ ভাইরাসের মতো সংক্রমিত হচ্ছে মানুষের মাঝে। এখন প্রতিশেধক টিকার ব্যবস্থা না করা গেলে কোটি কোটি মানুষ সংক্রমণের আশংকায় থাকবে। তাহলে এখন সেই সঠিক আদর্শ কোথায় পাওয়া যাবে?

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আদর্শের প্রয়োগ কিভাবে করতে হবে?
এদের মগজ ধোলাই করা হয় সহজে এদের মস্তিস্কে আদর্শ ঢোকানো অসম্ভব।

আর ঘন্টাটা বাধবে কে?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

বিদ্রহীসূত বলেছেন: যারা ইতোমধ্যে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে তাদের সংখ্যাটা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে খুব বেশি বলে আমি মনে করি না। যারা যুক্ত হয়েছে তাদের জন্য শক্তি প্রয়োগ লাগবে, তবে শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি জঙ্গিবাদের চেয়ে শক্তিশালী আদর্শ যদি তাদের সামনে উপস্থাপন করা যায় তাহলে আমি বিশ্বাস করি একটা বড় সংখ্যার মাথা থেকে জঙ্গিবাদের ভুত নামবে আর যাদের মাথা থেকে নামবে না তাদের বন্দী করে রাখা হলো অথবা অন্য কোনো শাস্তি দেওয়া গেল। তবে যারা এখনো জঙ্গিবাদে যুক্ত হতে পারেনি তারা যেন ভবিষ্যতে যুক্ত না হয় সেজন্য বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সঠিক আদর্শ প্রচারের। পাঠ্যপুস্তকে, মিডিয়াতে, সিনেমা-নাটকে, এক কথায় যতভাবে পারা যায় এর বিরুদ্ধে যুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, দলিল দিয়ে আদর্শ প্রচার করতে হবে।

আমার মূল কথা হলো- মোল্লাদের ভাড়া করে লাভ নেই, সকলকে উদ্যোগী হতে হবে যার যার স্থান থেকে।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

বিদ্রহীসূত বলেছেন: আমাদের দেশে এই আদর্শটি এমনভাবে পচ্ছে যে, এটাকে আর তুলতে পারবেন না। কাদিয়ানি একটা গালিতে পরিণত হয়েছে।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৭

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা .......

বাংলাদেশ!!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

বিদ্রহীসূত বলেছেন: হাসির কারণটা একটু বুঝিয়ে বলবেন জনাব?

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

বিদ্রহীসূত বলেছেন: জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে উদ্যোগী হতে হবে যার যার অবস্থান থেকে, কেবল মোল্লাদের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না, প্রশাসন বা সরকারের দিকে চেয়ে থাকলেও চলবে না।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪১

বিজন রয় বলেছেন: বুঝেন নাই?

বলছি, বাংলাদেশে আর সম্ভব নয়।
এখানে ধর্মের কল অনেক গভীরে আসন গেঁড়ে বসেছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৬

বিদ্রহীসূত বলেছেন: অবশ্যই সম্ভব। আমাদের সবাইকে জেগে উঠতে হবে।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি আধুনিক সভ্যতায় বিশ্বাসী?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

বিদ্রহীসূত বলেছেন: সেটা তো নির্ভর করছে “আধুনিক” এর সংজ্ঞায়নের উপর। তবে প্রচলিত অর্থে আধুনিক বলতে যে বস্তুবাদী, আত্মাহীন, স্রষ্টাহীন, পাশ্চাত্যদের অনুকরণকারী সভ্যতা (!) বোঝানো হয় সেই সভ্যতার আমি ঘোরতর বিরোধী।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

বিজন রয় বলেছেন: কেউ আর জাগবে না।
সবাই তেঁতুল হুজুরকে কদমবুচি করছে।

আর কেউ জাগবে না। কাউকে জাগাতে দেয়া হবে না।
শিশুদের মগজে ধর্মের কল ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য পাঠ্যসূচিতে খেলা চলছে।

আপনার জেগে ওঠার স্বপ্ন ?
হা হা হা ....................

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

বিদ্রহীসূত বলেছেন: যুগে যুগে মানুষ এভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছে, আবার তাদেরকে একদল মানুষ এসে জাগিয়েছে। সেই জাগানিয়া মানুষ যখন সিঙ্গায় ফুৎকার দেবে তখন না জাগিয়া উপায় কী? তবে আপনার মতো হতাশাগ্রস্ত মানুষ আর যাই হোক মানুষকে জাগানোর জন্য সংগ্রাম করতে পারবে না। আমি সেই জাগানিয়া তুর্যবাদকদের একজন হতে চাই।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

নতুন বলেছেন: সমসা হইলো... বত`মানে ৭৪ রকমের তরিকা আছে... কোনটা সহী?

আর দেশের অনেকেই এই রকমরে জিহাদকে সঠিক মনে করে। ফেসবুকে সাধারন মানুষের কমেন্ট পড়লে বিষয়টা বুঝতে পারবেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

বিদ্রহীসূত বলেছেন: এটাই সবচেয়ে আতঙ্কের ব্যাপার। বেশিরভাগ মানুষ মনে মনে জঙ্গিবাদকে সমর্থন করছে, তারা বুঝতেই পারছে না যে, এটি পাশ্চাত্যদের পাতানো ফাঁদ। এজন্যই আমাদেরকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরকে সচেতন করতে হবে।

আর সত্যিকার অর্থে ইসলামের যতগুলো ফরম্যাট দাঁড়িয়েছে (পীরপূজা, মাজারপূজা, তবলীগী, চরমোনাই, রাজনীতিক ইসলাম, জঙ্গিবাদী ইসলাম ইত্যাদি ইত্যাদি) এগুলোর মধ্যে জঙ্গিবাদ সবচেয়ে শক্তিশালী। যাদের মধ্যে ত্যাগের মানসিকতা আছে তাদের অধিকাংশ গিয়ে জঙ্গিবাদের ফাঁদে আটকা পড়ছে। এর মূল কারণ হলো- জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে তাদের অধিকাংশই চায় না যে, জঙ্গিবাদ নির্মূল হোক, বেশিরভাগ মানুষ এটাকে ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করতে চায়।

সঠিক আদর্শ পেলেই কেবল জঙ্গিরা তাদের অনুসৃত পথ ছেড়ে সেই পথে আসবে। সেই আদর্শ আল্লাহর রহম আমাদের কাছে। হেযবুত তওহীদ হলো সেই আদর্শ। আমরা ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরে মানুষকে আহ্বান করছি- সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে এক কলেমার উপর ঐক্যবদ্ধ হতে যেটা রসুলাল্লাহ (সা:) দিয়ে গেছেন। মানুষ যদি এই পথে ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে জঙ্গিবাদসহ ইসলামের নামে যত ভ্রান্ত পথ আছে সব মুছে যাবে।

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

নতুন বলেছেন: হেযবুত তওহীদ << এটাও কি নতুন আরেকটা ফেকরা নয় কি?

সবাই যদি নতুন দল বানায় তবে সঠিক পথ মানুষ কিভাবে পাবে?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

বিদ্রহীসূত বলেছেন: যখন মুসলমানরা ৭২ ফেরকায় বিভক্ত তখন সত্য, সঠিক ৭৩ নম্বর ফেরকা তো আসতেই হবে। সে হিসেবে এটি একটি ফেরকা বটে, তবে এটিই সেই রসুলাল্লাহ বর্ণিত একমাত্র জান্নাতি ফেরকা। সমস্ত মত-পথের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম জাতিকে এক কলেমার নিচে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য হেযবুত তওহীদের সূচনা।

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে উদ্যোগী হতে হবে যার যার অবস্থান থেকে, কেবল মোল্লাদের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না, প্রশাসন বা সরকারের দিকে চেয়ে থাকলেও চলবে না।


সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

বিদ্রহীসূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: কত রকম দল,
কোন দলের দিকে যাবে সাধরণ জনতা।
বিভ্রান্ত দিন দিন বাড়ছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৩

বিদ্রহীসূত বলেছেন: কথা সত্য। তবে সঠিক পথের জন্য অবশ্যই সন্ধান করতে হবে।

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

কিরমানী লিটন বলেছেন: চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। তাই কুকিরকে কেবলা চিনিয়ে লাভ নেই। জঙ্গীবাদ বুর্জোয়াদের অবৈধ চিন্তার ঔরসজাত। কোন আদর্শই তাদের অন্ধত্ব রুখতে পারবে না। তাই ওদের নির্মূলে মুগুরই দরকার- মৌলানা না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৪

বিদ্রহীসূত বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন, কিন্তু শুধু মুগুরে তো হবে না। আপামর জনতাকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।

১৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: যখন মুসলমানরা ৭২ ফেরকায় বিভক্ত তখন সত্য, সঠিক ৭৩ নম্বর ফেরকা তো আসতেই হবে। সে হিসেবে এটি একটি ফেরকা বটে, তবে এটিই সেই রসুলাল্লাহ বর্ণিত একমাত্র জান্নাতি ফেরকা। সমস্ত মত-পথের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম জাতিকে এক কলেমার নিচে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য হেযবুত তওহীদের সূচনা।

আপনার এই ধরনের মতের জন্যই এতো ফেকরা সৃস্টি হয়।

আপনার কেমনে মনে হলো যে বাকীরা ভুল পথা আছে আর আপনাদের হিজবুল তওহীদই সহী পথে আছে?

নুতুন দলের সৃস্টি হয় নতুন নেতা হবার জন্য... এর মাঝেও জটিলতা আছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৬

বিদ্রহীসূত বলেছেন: রসুলাল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- ইহুদিরা ৭২ ফেরকায় বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মাহ ৭৩ ফেরকায় বিভক্ত হবে। তার মধ্যে একটা ফেরকা হবে জান্নাতি আর বাকি সব ফেরকা হবে জাহান্নামি। তখন একজন সাহাবা প্রশ্ন করলেন, কীভাবে সেই জান্নাতি ফেরকাকে চেনা যাবে? তখন রসুলাল্লাহ (সাঃ) বললেন- আমি এবং আমার সঙ্গীরা (সাহাবাগণ) যেই রাস্তার উপর আছি যারা তার উপর থাকবে তারাই হবে সেই জান্নাতি ফেরকা।

রসুলাল্লাহই (সাঃ) বলেছেন- একটা বাদে সবগুলো ভুল ফেরকা হবে। তাছাড়া এটা সাধারণ জ্ঞান যে, সত্যের রূপ হবে একটা আর মিথ্যার রূপ হয় বহু। আল্লাহর পক্ষ থেকে যখন সত্য আসে তখন বাকী সবগুলো মিথ্যা হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন করতে পারেন কীভাবে বুঝলেন “হেযবুত তওহীদ”ই সেই জান্নাতি ফেরকা?

এর উত্তরে আমি বলব- আমি নিশ্চিত হয়েছি বলেই জান্নাতি ফেরকায় নিজেকে শামিল করেছি। আপনি যদি সঠিক রাস্তা চিনতে চান তাহলে-

১- আপনাকে অনুসন্ধান করতে হবে (হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে জানার আহ্বান রইল)
২- অনুসন্ধানের সময় সমস্ত অহংকার ও অন্ধত্ব ত্যাগ করে সত্য গ্রহণের মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
৩- আল্লাহর নিকট কায়-মনো-বাক্যে চাইতে হবে সত্য পথ।

আর সর্বশেষ বলব- আমার এই কথা প্রমাণিত হবে- হেযবুত তওহীদ যে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছে সেটা যখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে। ইনশাল্লাহ সে দিন বেশি দূরে নয়। আমার বক্তব্যের কোথাও যদি এমন কথা এসে থাকে যা অযৌক্তিক ও আপনার মনের উপর জবরদস্তিমূলক তাহলে তা ধরিয়ে দিলে বাধিত থাকব এবং একই সাথে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.