নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠকের মুগ্ধতাই আমার লেখার প্রেরণা, সত্য প্রচার আমার লেখার উদ্দেশ্য আর মিথ্যাকে বিনাশ করে দিকেদিগন্তে সত্যের আলোকচ্ছটার বিচ্ছুরণই আমার লেখার চূড়ান্ত লক্ষ্য।

বিদ্রহীসূত

রাকীব আল হাসান, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি।

বিদ্রহীসূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রচলিত সিস্টেমের গলদ

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৬



একসময় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নতুন নতুন দেশ জয় হতো, প্রচুর পরিমাণ ধনসম্পদ দেশে প্রবেশ করত। সেনাবাহিনীর দ্বারা অর্জিত সম্পদের কিছু অংশ সেনাবাহিনীর পেছনে ব্যয় করা হতো আর বাকিটা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়ত, ফলে দেশ সমৃদ্ধ হতো।

বর্তমান সিস্টেমটা হয়েছে এমন যে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সেনাবাহিনীর মাধ্যমে দেশের কোনো আয় হয় না, বিশেষ কোনো সেবাও তেমন হয় না, কিন্তু তাদের পেছনে রাষ্ট্রের বিরাট অংকের অর্থ ব্যয় হয়, বেশিরভাগ কর্মকর্তা সেই টাকা বিদেশি ব্যাংকে জমা করেন ফলে দেশ ফকির হতে থাকে। সবচেয়ে বেশি বাজেট করা হয় সামরিক খাতে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ ইত্যাদি জনকল্যাণমূলক খাতে অনেক কম বাজেট থাকে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল বলেছেন ভাইয়া, সেনাবাহিনীর আয় কম নয়। কিন্তু টাকা কোথায় যায়?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

বিদ্রহীসূত বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে সার্বিক ব্যবস্থাটাই ঘুণে ধরা। এখানে একটি দিক উল্লেখ করেছি মাত্র। শিক্ষাব্যবস্থা, অর্থব্যবস্থা, রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, বিচারব্যবস্থা সব জায়গাতেই সমস্যা। সামগ্রিক ব্যবস্থাকে এখন পরিবর্তন করতে হবে না হলে মানুষের মুক্তি মিলবে না।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২২

খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনি কি ইন্সুরেন্স করেছেন? সেনাবাহিনী দেশের জন্য ইন্সুরেন্স এর মতন। শক্তিসালি সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

বিদ্রহীসূত বলেছেন: আমি ইন্সুরেন্স করি নি আর করতেও চাই না। তবে একটা জাতির জন্য শক্তিশালী সেনাবাহিনী প্রয়োজন আছে- এই কথার সাথে আমি ১০০% একমত। কিন্তু আমি সমালোচনা করেছি বর্তমান ব্যবস্থার।

আমাদের যে সেনাবাহিনী তার শক্তিমত্তা দেখে ভারত বা চীনের মতো দেশগুলো আমাদেরকে আক্রমণ করছে না এমনটা নিশ্চয় আপনি ভাবেন না। আসলে একটা দেশ আক্রমণ করার উদ্দেশ্য থাকে সে দেশকে শোষণ করে, লুটপাট করে সম্পদ আহরণ করা, এখন সেটার জন্য আক্রমণের প্রয়োজন হচ্ছে না। এমনিতেই আমাদের মতো দেশকে শোষণ করে ফকির বানানো হয় সিস্টেমের যাঁতাকলে ফেলে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী কেবল ধর্মের উপাসনার মতো নিয়ম মানা আর আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আমাদের দেশে আসলে সেনাবাহিনীর দরকার হয় না। ফাও টাকা খরচ করছে

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

বিদ্রহীসূত বলেছেন: আসলে একটা দেশ আক্রমণ করার উদ্দেশ্য থাকে সে দেশকে শোষণ করে, লুটপাট করে সম্পদ আহরণ করা, এখন সেটার জন্য আক্রমণের প্রয়োজন হচ্ছে না। এমনিতেই আমাদের মতো দেশকে শোষণ করে ফকির বানানো হয় সিস্টেমের যাঁতাকলে ফেলে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী কেবল ধর্মের উপাসনার মতো নিয়ম মানা আর আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

একে৪৭ বলেছেন: আমার তালা বেশ ছোট, কিন্তু চোররা আজকাল এর চেয়েও অনেক বড় বড় তালা ভাঙতে সক্ষম, তাই বলে তি আমি ঘরে তালা দিব না???

"শক্তিমত্তা দেখে ভারত বা চীন আক্রমন করছে না" কথাটা আপনি মানতে না পারলেও এটার ভূমিকা অবশ্যই আছে। কিভাবে???

(খেলাধুলা বাদে)
কোন একটা বড় কাজ হবে কি হবে না, তা নির্ভর করে তার ফলাফলে কতটুকু লাভ হবে কি না হবে তার উপর। যেমন পাশের বাড়ির নেরিকুত্তা মারতে যদি আপনি লাখ টাকার বুলেট খরচ করেন, তবে তা অযৌক্তিক। তাছাড়া কুকুর মারার পরবর্তি ইফেক্টতো থাকছেই! আপনি পাগল না হলে তা কখনোই করতে যাবেন না।

ভারত বা চীন চাইলে হয়তো বাংলাদেশ দখল করতে পারে। কিন্তু তা যতটুকু কঠিন হবে, তা আমাদের সেনা সামর্থের উপর ডিপেন্ড করবে। আমরা এই কাজটাকে যতটা কঠিন রাখতে পারবো, তাদের লাভটা তার চেয়ে দুরে সরতে থাকবে। এতে তাদের দখলে নেয়ার চেষ্টাও দুরে সরতে থাকবে। তাছাড়া দখলে নেয়ার পরবর্তি ইফেক্টতো থাকছেই!
আর আমাদের সেনা এটাকে যতটা লম্বা করতে পারবে, অন্যরা ততদিন সেই কনফ্লিক্ট দেখতে পাবে, নৈরাজ্য থামানোর চাড় থাকবে।
আর সেনা না থাকলে? কাল দখলে নিয়ে ফেললেও কিছুই করতে পারবেন না।

It's not about winning, it's about buying more time...

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

বিদ্রহীসূত বলেছেন: আমার তালা বেশ ছোট, কিন্তু চোররা আজকাল এর চেয়েও অনেক বড় বড় তালা ভাঙতে সক্ষম, তাই বলে তি আমি ঘরে তালা দিব না?-
এমন তালা দিব যেন চোরের বাপ এসে খুলতে না পারে। আমি প্রচলিত ব্যবস্থার সমালোচনা করেছি। আমার মতে দেশের প্রতিটা নাগরিক দেশরক্ষার চেতনা নিয়ে সেনা প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। আর সেনাবাহিনীর পেছনে এত খরচ করার কিছু নেই, এটাও সিস্টেমের ত্রুটি। আসলে সেনা অভ্যুত্থান যেন না ঘটে সেজন্য প্রত্যেকটা সরকার চায় সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করে নিজেদের অনুকুলে সেনাবাহিনীকে রাখতে।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: সেনাবাহিনীর অবস্থা তো খুব ভালো।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

বিদ্রহীসূত বলেছেন: হুম, খুবই ভালো...:)

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৩৩

কালীদাস বলেছেন: প্রোডাক্টিভ, ইনকাম জেনারেটিং সেনাবাহিনী গঠনের প্রস্তাব যেই যোদ্ধা দিয়েছিলেন, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল ফোর্স থেকে। পরবর্তীতে তাঁকে ফাঁসিতে লটকান এমন একজন, যার জীবন বাঁচিয়েছিলেন সেই যোদ্ধা ;)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

বিদ্রহীসূত বলেছেন: কে সেই ব্যক্তি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.