নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন নিয়মিত ব্লগ পাঠক

আমি লেখা-লেখিতে তেমন দক্ষ না। মুলত একজন পাঠক । তারপরও কিছু লেখা লিখতে চাই মনের মত করে

পাঠক মোস্তাফিজ

পাঠক মোস্তাফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিতর্কিত অ্যাপোলো ইস্পাতের আইপিও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১

উৎপাদন বন্ধ,ঋণ-খেলাপি, মিথ্যা তথ্য প্রদান এদের যে কোন একটি অভিযোগ থাকলেই উক্ত কোম্পানিকে IPO এর মাধ্যমে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয় না।



সাম্প্রতি একটি কোম্পানির IPO এর মাধ্যমে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১২ টাকা প্রিমিয়ামসহ মোট ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। যেখানে অনেক স্বনামধন্য এবং লাভবান কোম্পানি অনেকদিন যাবত তালিকাভুক্তির আবেদন করার পরও এখনো অনুমোদন পায় নি।



এর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কোম্পানির আইপিও অনুদনের পূর্বে ৪টি বিষয় খতিয়ে দেখতে বিএসইসিকে চিঠি দেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে দেয়া চিঠিতে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কোম্পানিটি আইপিওতে যাওয়ার ব্যাপারে তার কাছে নালিশ এসেছে। বেশ কিছুদিন থেকে কোম্পানিটি অচল। আইপিওর মাধ্যমে তারা বেশ কিছু সম্পদ লুটের আয়োজন করে। তারা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেশ কিছু লোকের দাবি-দাওয়া মেটাতে পারে না। কোম্পানিটি এনবিআরের কর খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত। বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে। তাই তাদের ব্যাপারে তদন্ত করা উচিত।পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে বিএসইসি এ কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিত করে।একই সঙ্গে, অর্থমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে চারটি বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু করে।

কিন্তু মন্ত্রী নিজেই এক মাসের ব্যবধানে তার অবস্থান পরিবর্তন করেন।

পরবর্তী সময়ে কোম্পানির জোর তদবিরে অর্থমন্ত্রী নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ান। পরে তিনি আবারও বিএসইসি’র চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি লেখেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ কোম্পানির আইপিও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে ডিএসইর কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণ আমলে না নিয়েই অনুমোদন দিয়েছিল বিএসইসি। কোম্পানির প্রসফেক্টাস জমা দেয়ার পর ডিএসইর পক্ষ থেকে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন বিএসইতিতে জমা দেয়া হয়। কোম্পানির উচ্চ প্রিমিয়াম এবং অপারেশন বন্ধ থাকার কথা জানানো হয়। এছাড়াও প্রতিবেদনে কোম্পানিটির বিভিন্ন অসঙ্গতির ব্যাপারে এক্সপাট প্যানেলের মূল্যায়ন হুবহু বিএসইসিকে জানানো হয়। কিন্তু বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি কমিশন।

এছাড়াও প্রতিবেদনে কোম্পানিটির বিভিন্ন অসঙ্গতির ব্যাপারে এক্সপাট প্যানেলের মূল্যায়ন হুবহু বিএসইসিকে জানানো হয়। কিন্তু বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি কমিশন। প্রসঙ্গত, কোন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বিগত তিন বছরে মুনাফা থাকতে হবে। কোনভাবেই লোকসানে থাকা যাবে না। কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিতের পর কোম্পানির পক্ষ থেকে আইপিও প্রক্রিয়া চালুর জন্য নানা জায়গার তদ্বির করা হয়। অবশেষে উৎপাদন বন্ধ থাকা দুর্বল এ কোম্পানিকে বাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা লুটে নেয়ার সুযোগ করে দিলেন মন্ত্রী।

কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্তের জন্য দেওয়া অর্থমন্ত্রীর ৪টি বিষয়ে খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয় কমিশন। এলসি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত এবং ঋণ খেলাপি কি না তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছের জানতে চাওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাপোলো ইস্পাত দেনা হয়েছে ৪৩৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি ঋণ খেলাপী এবং বেশিরভাগ ঋণই নিুমান এ পরিনত হয়েছে। কিছু ঋণ মন্দ ও ক্ষতিজনক হিসেবে শ্রেনীকৃত করা হয়েছে। কোম্পানিটি উৎপাদনে থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকঋণ শোধ করছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে। ১৭টি ব্যাংকের ১৮টি শাখায় এ ঋণ রয়েছে অ্যাপোলো ইস্পাতের। এরমধ্যে তিনটি শাখায় বেশি লেনদেন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও ওই তিনটি শাখায় পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে।



বিস্তারিত লিঙ্কঃ

অ্যাপোলো ইস্পাতের আইপিও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার



http://www.sangbad24.net/?p=89124' target='_blank' >বিতর্কিত অ্যাপোলো ইস্পাতের আইপিও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.