![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় বেলা তিনটার কিছুটা পরে হবে। বাংলাভিশন নামক একটি তিভি চ্যানেলে চলছিল টেলিফিল্ম “ সুবর্ণপূর বেশি দূরে নয় ” । টেলিফিল্মটি শুরু থেকে দেখিনি। চ্যানেল টিউন করার সময় চোখে পড়ল।
প্রথমবার অনেক সময় ধরে বিজ্ঞাপন হল। তাই ঠিক করলাম পরবর্তীতে সময় হিসাব করবো।
আমাদের ঘড়িতে বিজ্ঞাপন শুরু ৩.২৫ মিনিটে । দীর্ঘ ১৫ মিনিটের বিজ্ঞাপন শেষে টেলিফিল্ম শুরু হল ৩.৪০ মিনিটে। মাত্র ১০ মিনিট হবার পর আবার ৩.৫০ মিনিটে বিজ্ঞাপন শুরু। এবার ৪-৫ মিনিটের নিউজ বুলেটিনসহ দীর্ঘ ২০ মিনিট পর ৪.১০ মিনিটে টেলিফিল্ম শুরু হল।
কিন্তু এবার মাত্র ৫ মিনিট হবার টেলিফিল্ম আর মাত্র ৩ মিনিট বাকি থাকা সত্ত্বেও ৪.১৫ মিনিটে আবার বিজ্ঞাপন শুরু। প্রস্তুতি ১৫ মিনিট বিজ্ঞাপনের। বাংলাভিশন অবাক করে এবার ১৩ মিনিটের বিজ্ঞাপন শেষে ৪.২৮ মিনিটে টেলিফিল্ম শুরু করল। ৩ মিনিটের মধ্যে টেলিফিল্ম শেষ।
১ ঘণ্টায় (৩.২৫ থেকে ৪.২৫) টেলিফিল্ম হল মাত্র ১৫ মিনিট । ৪-৫ মিনিটের বুলেটিন বাদ দিলে বিজ্ঞাপন হল পুরো ৪০ মিনিটের। টেলিফিল্মঃবিজ্ঞাপন=1:2.67
এই হচ্ছে বাংলাভিশন নামক একটি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন বাণিজ্য।
আমার মতে এটা একটি অবৈধ বাণিজ্য। আমাদের আধিকাংশ চ্যানেল এমন অনৈতিক কাজে লিপ্ত।
আমাদের প্রশাসন কেন কোন বিজ্ঞাপন নীতিমালা তৈরি করছেনা তা সবার জানা।
বিজ্ঞাপন আয় এর একটি অংশ তাদের পকেটে গেলে তারা কি এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেবে ???????
টেলিফিল্মটি কিন্তু আমার খুব একটা ভাল লাগেনি। ৫ এর মধ্যে ৩.৩ এর বেশি কোনভাবেই দিতে পারব না।
বিঃদ্রঃ এনালগ ঘড়িতে হিসাব করায় সময় +-১ মিনিট হতে পারে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
পাঠক মোস্তাফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম ভাই
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: অনেক সময় টিভি দেখতে বসলে মনে হয় যে, কোন অনুষ্ঠান না বিজ্ঞাপন দেখতে বসেছি
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
পাঠক মোস্তাফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
হাসান মেহেদী বলেছেন: মিজভী বাপ্পা ভাইয়ের সাথে একমত পোষন করছী।
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
একলা_আমি বলেছেন: এজন্যেই এবারের ঈদের নাটকগুলো প্রচার হওয়ার পরের দিন ইউটিউব থেকে দেখে নিচ্ছি !
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
পাঠক মোস্তাফিজ বলেছেন: ভাল আইডিয়া
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ভোরের সূর্য বলেছেন: এটা শুধু বাংলাভিশন না বরং কম বেশী সব বাংলাদেশের চ্যানেলের একই অবস্থা। আমরা সবাই ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধের জন্য সোচ্চার কিন্তু একই ভাবে আমাদের দেশীয় চ্যানেল কে সেই জায়গাটা দখল করতে হবে কিন্তু কিভাবে? অনুষ্ঠানের মান উন্নতির পাশাপাশি এ্যাডের সময় কমিয়ে আনতে হবে। আর এখানেই আমরা মার খেয়ে যাই। এটা ঠিক যে এই এ্যাডগুলোর উপর নির্ভর করে টিভি চ্যানেলগুলো চলে কিন্তু ভারতীয় টিভি চ্যানেলে ৩০মিনিটের অনুষ্ঠানে ১০ মিনিট এ্যাড থাকে এবং সেটা নিরদৃষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে সেটা থাকেনা যার ফলে একটা ভাল অনুষ্ঠান দেখতে বসলেও তখন সেটা দেখার মতন মানষিকতা থাকেনা এই দীর্ঘ এ্যাডের জ্বালাতনে। আর সেকারণেই দেখা যায় অনেকেই ভারতীয় টিভি চ্যানেলের দিকে ঝুকে পড়ে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
পাঠক মোস্তাফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ভারতীয় চ্যানেলগুলোর প্রতি আসক্তি সৃষ্টিতে দেশী চ্যানেলগুলোর অবাধ বিজ্ঞাপন অনেকাংশে দায়ী
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৯
ইফতেখার কাদির বলেছেন: আসলে বিজ্ঞাপন "এর বিরতিতে" মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান দেখায়!!!!!!!!!!!
তাইলে মানুষ কেন ইন্ডিয়ান মিডিয়ার দিকে ঝুকবে না? তাদের দোষ কি? মানুষরে কি বোকচুদ পাইছে। ডিশ এর টাকা কি বিজ্ঞাপন দেখার জন্য দেয়? জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০০
পাঠক মোস্তাফিজ বলেছেন: আমরা আজ বড়ই অসহায়
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন:
আপনি বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলোর খুবই ভয়াবহ এবং সত্য একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। ওরা ঈদ অনুষ্ঠান দেখানোর নামে জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে।
আমি এই ধরনের পরিস্থিতির তীব্র ঘৃণা এবং নিন্দা জানাই। আমাদের সকলের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কঠোর করা উচিৎ।
আপনাকে ধন্যবাদ এই ব্লগটি লেখার জন্য।