নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মবিশ্বাসী। নিজের কাজ নিজেই করি। গঠনমূলক সমালোচনা আনন্দের সাথে গ্রহন করি।

রিয়ানা তৃনা

যেখানে জ্ঞান নেই সেখানে বিধাতাও নেই।

রিয়ানা তৃনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোরখা, হিজাব এবং আমার কিউরিয়াস মাইন্ড

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৫২

হিজাব আর বোরখা নিয়ে আমার যথেষ্ট পরিমানে আগ্রহ এবং কৌতূহল আছে। মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর পাচ্ছি না। মেয়ে মানুষ গুলো প্রকৃত কারনে কেন হিজাব পরে আমার জানা নাই। তবে লোকমুখে যা শুনে আসছি তার অর্থ বা ব্যাখ্যা ঠিক এই রকম।
যেমন, হিজাব করা হয় মাথার চুল ঢেকে রাখার জন্য। পর পুরুষ বা বেগানা কোন পুরুষ যেন মাথার চুল দেখতে না পায় তাই হিজাব করে মাথার চুল ঢেকে রাখা হয়। কারন চুল বের হয়ে থাকলে পুরুষ মানুষ এর কাম বাসনার উদয় হতে পারে এবং মেয়েদের দৃশ্যমান কেশবিন্যাসের কারনে শরীরে কাম উত্তেজনা দৃশ্যমান হতে পারে।

এখন আমার প্রশ্ন হল, একজন মানুষ এর সম্পূর্ণ শরীরের কোন অংশটি সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয়? আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন আমি অবশ্যই মুখমণ্ডলের কথা সবার আগে বলবো। কারন মানব শরীরে বা প্রথম দর্শনে সবার নজর মুখমণ্ডলের দিকেই সরাসরি চলে যায়। মুখশ্রী ভাল হলেই তাকে আমরা বলি অনিন্দ্য সুন্দর, মায়াময়, মোহনীয় , সুদর্শন অথবা সুশ্রী। মুখমণ্ডলের পর আসে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অথবা কেশ। তাহলে মুখমণ্ডলের চেয়ে কেশবিন্যাসের আকর্ষণ ক্ষমতা কি সবচেয়ে বেশী?

মুখমণ্ডলটি খোলা রেখে হিজাব করার মানে টা আমার ঠিক বোধগম্য নয়। আসল আকর্ষণীয় অংশটি খোলা রেখে কেশবিন্যাস ঢাকতে হিজাবের ফ্যাশনটা আজকাল বড় বেশী চোখে লাগে। তাহলে মুখমণ্ডল খোলা রেখে পাহাড় সমান উঁচু হিজাবি নারীরা আসলেই কি পুরুষদের লোভনীয় কামাত্ত দৃষ্টি থেকে মুক্ত? আপনি কি বলেন?

আমি বলি, কখনই না। বরং আজকালকার হিজাবি মেয়েদের ফ্যাশন দেখে নিজেই রীতিমত থতমত খাই। ইয়া বড় বড় উটের পিঠের কুঁজোর মতো মাথাটাকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে। মুখ ভর্তি অতিরঞ্জিত মেকআপ দিয়ে রাঙিয়ে রাখে। আবেদনময়ি চোখের সাজে ইয়া লম্বা করে কাজল টানে। ঠোঁটে সলিড রঙের কড়া লিপস্টিক অথবা গ্লসি বোল্ড ঠোঁট নিয়ে ঠাটিয়ে চলে। আর পরনে ফিটিংস লম্বা আলখাল্লা। দেখেলেই মনে হয় আবেদনময়ী নারী তার সাজসজ্জা দিয়ে বোঝাতে চাইছেন তোমরা সকলে আমাকে দেখ। প্রানভরে দেখ। আমি সুন্দর করে সেজেছি তাই দেখ। কিন্তু আমি হিজাব করেছি। হিজাবের সহি সম্মানার্থে আমাকে ভদ্রভাবে দেখ। খারাপ নজরে দেখ না। খারাপ নজর দিও না কারন আমি ইসলামের বিধান অনুযায়ী হিজাব করেছি এবং পুরো শরীর বোরখা (ফিটিংস আলখাল্লা) দিয়ে ঢেকেছি। আমাকে দেখে কাম রসে ভিজে যেও না।

আচ্ছা বলুনতো, বোরখা কেমন হউয়া উচিৎ? আঁটসাঁট নাকি ঢিলেঢালা? যেন শরীরের শেপ বোঝা না যায় সেরকম। তাহলে এই হিজাবি অতিরঞ্জিত মেকআপ দিয়ে রাঙ্গানো মেয়েরা আঁটসাঁট বোরখা কেন পরে? এটা কি শরিয়ত মতো নিয়ম মেনে পরা হচ্ছে? ইসলাম কি বলে? এইরকম করে কি ইসলাম নারীদের চলার অনুমতি দিয়েছে? যদি দিয়ে থাকে অনুরোধ করি রেফারেন্স সহ বইটির নাম জানাবেন।
আর যদি এমন কোন নিয়ম না থেকে থাকে তাহলে আপনারা এই রকম ইসলাম অবমাননাকারি নারীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি বাবস্থা নিচ্ছেন না কেন? কেন তাদেরকে ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার জন্য গ্রেফতার করছেন না? নাকি এই জন্য করছেন না যে, তারা আপনাদের চলার পথের আনন্দের খোঁড়াক। রাস্তাঘাটে , কলেজ, ইউনিভারসিটিতে, কর্মক্ষেত্রে ননস্টপ বিনোদন আর যৌন আকাঙ্ক্ষা নিবারনের খোঁড়াক। সাময়িক কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী বিনা মূল্যে লোভনীয় আইটেম গার্ল, যা যখন তখন দেখে তৃপ্ত হয়া যায়। বিকৃত পৈশাচিক আনন্দ পাওয়া যায়।

একটা কথা বলুনতো , যদি ধর্ম পালন করতেই হয় তাহলে তা যথার্থ ভাবে পালন করা উচিৎ কিনা বলুন? আর যদি পালন না করা যায় নিয়মকে এভাবে বিকৃত করে পালন করা কোন ভাবেই উচিৎ নয়। কারন এভাবে মতভেদ সৃষ্টি হয়। ধর্ম হয় প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্বাসে পরে ছেদ। ভিত্তি হয় নড়বড়ে। কি লাভ এই ভণ্ডামি করে। ধর্মের দোহাই দিয়ে কি লাভ এই বিকৃত ফ্যাশন করে? এর চেয়ে হিজাব আর বোরখা না পরেই মনের মতো পোশাক পড়ুন। যেমন ইচ্ছে পোশাক পড়ুন। আপনার ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ান। আপনার ইচ্ছেমত সাজুন। মনের মাধুরি মিশিয়ে সাজুন। নিজেকে সুন্দর করে সাজান। কেউ কিছু বলবে না। শুধু মাত্র ধর্মের নামে ভণ্ডামি করবেন না। নিজেদের মান টুকু নষ্ট করবেন না।

আমি নারী জাতিকে কখনও অসম্মান করিনা। ওটা আমার এখতিয়ারে পরে না। আমি জানার জন্য জিজ্ঞেস করি মাত্র। আমরাও ফ্যাশন করি। দেশের বাহিরে থাকার সুবাদে পোশাকের স্বাধীনতা বাংলাদেশের চেয়ে বহু গুন বেশী। সেটাও যেমন দেখেছি আবার এখানে হিজাব/ বোরখা ধারীদের ফ্যাশন এর স্টাইল ও অন্যরকম বা চোখে লাগার মতো। আমি তো আর মধ্যা বয়স্কা নই, ফ্যাশন সম্পর্কে যথেষ্ট ধারনা রাখি/করি।

আমার মোদ্দা কথা হল আপনি যা খুশি পড়ুন যা ইচ্ছা পড়ুন কোন আপত্তি নেই। আপত্তি হল যখন হিজাব/ বোরখা ধারীদের কারো সাথে কথা বলি বা ইসলাম সম্পর্কে এই এরাই যখন অনেক বড় বড় বয়ান দেন বা তাদের বাবা মাকে উগ্র পন্থি হতে শুনি/দেখি সেখানেই সমস্যা।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৪২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

একে বলে হিজাব। এইটাই সহিহ। এইটাই বাঙলাদেশের সাম্প্রতিকতম ফ্যাশান।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

এ আর ১৫ বলেছেন: মুখে নিকাব পরার পক্ষে এবং মাথার চুল ঢাকার ভেইল যাকে এখন অনেকে হিজাব বলে --- তার পক্ষে কোরানের আয়াতের রেফারেন্স দিন ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০২

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: আমি জানিনা বলেই তো কিউরিসিটি মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো। আপনি জানেন?

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

বিজন রয় বলেছেন: শুধু মাত্র ধর্মের নামে ভণ্ডামি করবেন না। নিজেদের মান টুকু নষ্ট করবেন না।

ওরা এসব কথা শোনে না।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৬

বিজন রয় বলেছেন: হিজাব, বোরখা এখন ফ্যাশন।

১ নং মন্তব্যে ছবিটি দেখুন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: সত্যি কি তাই? অনেক বছর দেশের বাইরে তাই দেশের বর্তমান ফ্যাশন সম্পর্কে কোন ধারনা নেই।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫

মশার কয়েল বলেছেন: ফ্যাশনের কি দেখছেন?এখনকার বেরকাগুলো উপরে উঠতে উঠতে হাটুর উপরে উঠে গেছে ৷

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১১

মোস্তফা ভাই বলেছেন: পার্কে বোরখা গায়ে অনেক মেয়ে দেখা যায়। উনারা বেশ শালীন।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: পোষাক শালীনতা প্রতিটা নারীর দায়।নিজেকে শাষণ করা প্রতিটা পুরুষের দায়।মনের সাথে শরীরের সম্পর্ক যাদের আছে তাদের কাছে বোরকা থাকা না থাক দুটোই সমান,মনের সাথে শরীরের সম্পর্ক যাদের নেই তাদের কাছেও বোরকা থাকা না থাকা দুটৈ সমান।কাম বাসনা দুভাবে হয়ে থাকে,এক শুধু শরীর দ্বারা, দুই শরীর ও মনের সমন্বয়ে।শুধু শরীর দ্বারা চালিত মানুষগুলোকে হিজাব বোরখা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়না।ওরা ওদের গতিতে ছুটবেই।

প্রতিটা রুচিশীল মানুষ তার রুচি অনুযায়ী পোষাক নির্বাচন করবে।আর মানুষের রুচি তার পোষাকে প্রকাশ পাবে ,রুচিশীল পোষাক রুচিশীল মানুষ যোগাবে,রুচিহীন পোষাক রুচিহীন মানুষ টানবে। এটাই সূত্র,এখানে ধর্ম অধর্ম টেনে আনা বৃথা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: আমার কথা হল আপনি যা খুশি পড়ুন যা ইচ্ছা পড়ুন কোন আপত্তি নেই। আপত্তি হল যখন হিজাব/ বোরখা ধারীদের কারো সাথে কথা বলি বা ইসলাম সম্পর্কে এই এরাই যখন অনেক বড় বড় বয়ান দেন বা তাদের বাবা মাকে উগ্র পন্থি হতে শুনি/দেখি সেখানেই সমস্যা।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

হাবীব কাইউম বলেছেন: আশা করি আপনার প্রশ্নে জবাব এখানে আছে। তবুও আপনার উচিত একাধিক তাফসির দেখে নেয়া।

قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١]

মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। সূরা নূর : ৩০-৩১

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: আপনি লেখাটি ভাল করে পড়ুন। কিভাবে বোরখা/হিজাব করতে হবে ওটার রেফারেন্স দিতে বলি না। গতানুগতিক ধারায় আজকাল মেয়েরা জেভাবে হিজাব/ বোরখা পরছে সেটা সহি নিয়ম এর মধ্যে পরে কিনা সেটার রেফারেন্স চেয়েছি।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

হাবীব কাইউম বলেছেন: অনুবাদ নেয়া হয়েছে http://zekr.org/ সাইট থেকে।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১০

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: এটি ধর্মীয় ব্যাপার তো, তাই যুক্তির চেয়ে যার যার বোধ অনুযায়ী বিশ্বাসটাই মূল ভূমিকা পালন করে; আর তলায় সুবিধাবাদী চিন্তাধারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। আপনার প্রশ্নগুলি ভাল এবং যুগোপযোগী। ভাল থাকুন।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

মানবী বলেছেন: কোথাও ধর্ষন বা নারী লান্ছনার ঘটনা ঘটলে একদল নির্বোধ যেমন "পর্দা করে নাই, অশ্লীল পোষাক পরিধান করায় এমন হয়েছে" এধরনের অভিযোগ ও আলোচনার ধৃষ্টতা দেখায়.... তেমনি কোন নারী বোরখা পড়ছে, হিজাব কিভাবে করছে তা নি্য়ে ইতরামী করাটাও ধৃষ্টতা!

কোন মেয়ে হাতকাটা পোষাক পড়বে কি পড়বেনা তা যেমন তার একান্ত ব্যক্তিগত অ্ভিরুচি তেমনি কেউ টাইট জিন্সের সাথে হিজাব পড়বে না আলখেল্লার সাথে হিজাব পড়বে সেটিও যার যার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার, এনিয়ে তৃতীয় পক্ষের আলোচনা শুধু কুরুচীপূর্ণ নয় বরং ইতরামী।

আর কথাটা "কিউরিসিটি মাইন্ড" নয়, "কিউরিয়াস মাইন্ড"

(আমার নিজের বানান ও ভাষা খুব মান সম্পন্ন নয়, অপরের ভুল ধরার রুচীবোধ করিনা। তবে এই পোস্টটি ছিদ্রান্বেষী পোস্ট বিধায় এখানে বড় একটি ভুল উল্লেখ করাটা খুব শোভন মনে হলোনা)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: আপনি মনে হয় অত্যন্ত ক্ষেপে আছেন। ভুল তা শুধরে নিচ্ছি। কিন্তু আপনি মনে হয় আমার লেখাটা ভাল করে পরেন নি বা বোঝেননি। লেখাটির শেষের লাইন গুলো খুব ভাল করে পরবেন। আমি নারী জাতিকে কখনও অসম্মান করিনা। ওটা আমার এখতিয়ারে পরে না। আমি জানার জন্য জিজ্ঞেস করি মাত্র। আমরাও ফ্যাশন করি। দেশের বাহিরে থাকার সুবাদে পোশাকের স্বাধীনতা বাংলাদেশের চেয়ে বহু গুন বেশী। সেটাও যেমন দেখেছি আবার এখানে হিজাব/ বোরখা ধারীদের ফ্যাশন এর স্টাইল ও অন্যরকম বা চোখে লাগার মতো। আমি তো আর মধ্যা বয়স্কা নই, ফ্যাশন সম্পর্কে যথেষ্ট ধারনা রাখি/করি।
আমার মোদ্দা কথা হল আপনি যা খুশি পড়ুন যা ইচ্ছা পড়ুন কোন আপত্তি নেই। আপত্তি হল যখন হিজাব/ বোরখা ধারীদের কারো সাথে কথা বলি বা ইসলাম সম্পর্কে এই এরাই যখন অনেক বড় বড় বয়ান দেন বা তাদের বাবা মাকে উগ্র পন্থি হতে শুনি/দেখি সেখানেই সমস্যা। আগে লেখাটা ভাল করে বুঝুন তার পর না হয় আক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করবেন? আমি কোন মেয়েকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এই লেখা লিখি নি। তাই ইতরামির প্রশ্নই আসে না। আশা করব ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন আপনি।

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

চানাচুর বলেছেন: এখন আপনি যেই প্রশ্নগুলো করলেন সেই প্রশ্নগুলো এক সময় আমারো ছিল। কয়েকজনের কাছে জিজ্ঞেস করে যা উত্তর পেয়েছি তা হল, ধর্মের কারণে বোরকা হিজাব খুব কম মেয়েই পরে!

কেউ কেউ ইভ টিজিং এর জন্য হিজাব বা বোরকা পরিধান করে (যেমন একটা হিন্দু মেয়েকে দেখেছি হিজাব পরে চলা ফেরা করে), কেউ কেউ করে ফ্যাশন রক্ষার্থে (যেমনঃ শীতকালে দেখবেন অনেক ফ্যাশন সচেতন মেয়ে হঠাত হিজাবী হয়ে উঠে আর এর প্রথম ও প্রধান কারণ হল শীতে তার কান গলা ঢেকে রেখে শীত নিবারণ করা যায় আবার সুন্দরও লাগে)

আর একটা কথা হল, something is better than nothing... যদিও আমি বোরকা অথবা হিজাব পরি না এত বড় কথা বলা উচিত না কিন্তু একটু পজেটিভ ভাবার চেষ্টা করি।
কোনো ইসলাম ধর্ম পালনকারী অন্যায় করছে এটার মানে তো এটা না যে সে ইসলাম ধর্ম পালন করছে তাই ইসলাম ধর্ম খারাপ। এখন কে কিভাবে বোরকা পরছে সেটা তো আমার দেখার প্রয়োজন নেই। আমি কি করছি সেটা ইমপর্টেন্ট। আমার ইচ্ছা হলে আমি পর্দা করব শরীয়তের বিধান অনুযায়ী। কে শরীয়তের বিধান মানছে না, সেটা দেখার দায়িত্ব আমার না। খামোখা এত প্রেশার নেওয়ার কি দরকার!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: আপনি যা খুশি পড়ুন যা ইচ্ছা পড়ুন কোন আপত্তি নেই। আপত্তি হল যখন হিজাব/ বোরখা ধারীদের কারো সাথে কথা বলি বা ইসলাম সম্পর্কে এই এরাই যখন অনেক বড় বড় বয়ান দেন বা তাদের বাবা মাকে উগ্র পন্থি হতে শুনি/দেখি সেখানেই সমস্যা।

১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

অডি বলেছেন: @ নিষ্‌কর্মা-
ঔই ছবিটা কি আপনার নিজের তোলা, আমাদের দেশ থেকে?

১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

হাবীব কাইউম বলেছেন: জি, আমি আপনার লেখাটা পড়েছি। সে কারণেই এটা উল্লেখ করেছি। ১. তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, ২. তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে, ৩. তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে—এ কথাগুলোর মধ্যে সব চলে আসে। যে প্রসঙ্গে বা যাদেরকে উদ্দেশ্য করে আপনি লিখেছেন, আশা করি তাদেরও কাজে লাগবে।

আমি কোনো বিজ্ঞ ব্যক্তি নই। সে কারণে এ বিষয়ে কোনো মতামত দিতে পারবো না। তবে উগ্রতা কেউই পছন্দ করে না : সেটা কথায় হোক, চিন্তায় হোক, আচরণে হোক বা অন্য যে কোনো বিষয়ে হোক।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৫| ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

মানবী বলেছেন: "লেখক বলেছেন: আপনি মনে হয় অত্যন্ত ক্ষেপে আছেন। ভুল তা শুধরে নিচ্ছি। কিন্তু আপনি মনে হয় আমার লেখাটা ভাল করে পরেন নি বা বোঝেননি"

- আমি ক্ষেপে নই, প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছি, ঠিক ততোটাই বিরক্ত হয়েছি যখন কোন ধর্ষনের খবর জেনে একদল ইতর ধর্ষিতার পোশাককেদায়ি করে জেনে হই। কিউরিসিটি মাইন্ড শুধরে কিউরিয়াস মাইন্ড করেছেন সেজন্য সাধুবাদ।
আমি ভালো লরে পড়েছি কিনা তা আপনার জানার কথা নয় তবে হ্যাঁ আপনার মতো করে বুঝিনি অবশ্যই...

"লেখক বলেছেন: ..... আমি নারী জাতিকে কখনও অসম্মান করিনা। ওটা আমার এখতিয়ারে পরে না। আমি জানার জন্য জিজ্ঞেস করি মাত্র।"

আজকালকার হিজাবি মেয়েদের ফ্যাশন দেখে নিজেই রীতিমত থতমত খাই। ইয়া বড় বড় উটের পিঠের কুঁজোর মতো মাথাটাকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে। মুখ ভর্তি অতিরঞ্জিত মেকআপ দিয়ে রাঙিয়ে রাখে। আবেদনময়ি চোখের সাজে ইয়া লম্বা করে কাজল টানে। ঠোঁটে সলিড রঙের কড়া লিপস্টিক অথবা গ্লসি বোল্ড ঠোঁট নিয়ে ঠাটিয়ে চলে। আর পরনে ফিটিংস লম্বা আলখাল্লা। দেখেলেই মনে হয় আবেদনময়ী নারী তার সাজসজ্জা দিয়ে বোঝাতে চাইছেন তোমরা সকলে আমাকে দেখ। প্রানভরে দেখ। আমি সুন্দর করে সেজেছি তাই দেখ

- আপনি নর না নারী তা জানার ব্যাপারে আগ্রহী নই তবে কোন আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন নারীর জন্য উপরে উল্লেখিত আপনার বক্তব্যটি যে অপমানকর তা হয়তো আপনার বোধগম্য নয়। উপরে যেভাবে আপনি নিজের মনের বানানো কল্পণা কিছু হিজাবধারী নারীর মানসিকতা হিসাবে আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যক্ত করেছেন ঠিক তেমনি একদল বিকৃতমনা নিজের মনের কল্পণাকে প্রায় একই ভাষায় হিজাব না করা নারীদের মানসিকতা হিসেবে ব্যক্ত করে। দুটো দলই ভীষণ হীনমন্যতার শিকার আর তাই অ্পরের পোশাক নিয়ে তাদের যতো বিকৃত চিন্তা ভাবনা।

"আমরাও ফ্যাশন করি। দেশের বাহিরে থাকার সুবাদে পোশাকের স্বাধীনতা বাংলাদেশের চেয়ে বহু গুন বেশী। সেটাও যেমন দেখেছি আবার এখানে হিজাব/ বোরখা ধারীদের ফ্যাশন এর স্টাইল ও অন্যরকম বা চোখে লাগার মতো। আমি তো আর মধ্যা বয়স্কা নই, ফ্যাশন সম্পর্কে যথেষ্ট ধারনা রাখি/করি।

- আবারও হীনমন্যতাপ্রসূত ভাবনা ব্যক্ত করলেনা মাত্র! আপনার বক্তব্য পড়ে মনে হতে পারে যাঁরা দেশে থাকেন তাঁরা ফ্যাশণ সম্পর্কে তেমন ধারনা রাখেননা আর যাঁরা মধ্য বয়স্ক, পৌঢ়া বা বৃদ্ধা তাঁরা প্রবাসী হলেও আপনার মতো ফ্যাশন সম্পর্কে ধারনা রাখা তাঁদের পক্ষে সম্ভব না।

ইউরোপ, আমেরিকা প্রবাস আবার ভারত, উগান্ডাও প্রবাস... আপনি ঠিক কোথা্য় আছেন জানা নেই বা জানার প্রয়োজন নেই তবে ইউরোপ আমেরিকার মানুষদের মাঝে যে ঔদার্য্য তার স্পর্শ থেকে বন্চিত তা স্পষ্ট এমনকি আপনি যদি সেসব দেশেও অবস্থান করেন। কেনো বলছি? সভ্য দেশের মানুষের মাঝে আধুনিকতা এবং ভদ্রতার একটি বড় শর্ত অপরের পোশাক বা জীবনাচার সমালোচনা না করা। অপছন্দ হলে নিরবে এড়িয়ে যাওয়া যায়, তাদের সমালোচনা বা তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর কৌতুহল না দেখানোটাই পাশ্চাত্যের সভ্যতা।

"আমার মোদ্দা কথা হল আপনি যা খুশি পড়ুন যা ইচ্ছা পড়ুন কোন আপত্তি নেই। আপত্তি হল যখন হিজাব/ বোরখা ধারীদের কারো সাথে কথা বলি বা ইসলাম সম্পর্কে এই এরাই যখন অনেক বড় বড় বয়ান দেন বা তাদের বাবা মাকে উগ্র পন্থি হতে শুনি/দেখি সেখানেই সমস্যা"

- কেউ আপনাকে অন্যায় উপদেশ দিয়ে থাকলে তার জবাবটা সেখানে দেয়াটাই যথার্থ, আর তা নিয়ে যদি এমন একটি প্লাটফর্মে মেয়েদের পোশাক নিয়ে (তা হিজাব হোক বা তার বিপরীত) এধরনের আপত্তিকর বক্ব্যসহ পোস্ট আসে সেখানে প্রতিবাদ আসবেই। আপনার সামাজিক পরিমন্ডল সম্পর্কে কোন ধারনা নেই তবে আজ পর্যন্ত কোন একজন উগ্রপন্থীকে দেখার বা জানার সুযোগ হয়নি, সেক্ষেত্রে আপনি এগিয়ে।

"একটা কথা বলুনতো , যদি ধর্ম পালন করতেই হয় তাহলে তা যথার্থ ভাবে পালন করা উচিৎ কিনা বলুন? আর যদি পালন না করা যায় নিয়মকে এভাবে বিকৃত করে পালন করা কোন ভাবেই উচিৎ নয়। কারন এভাবে মতভেদ সৃষ্টি হয়। ধর্ম হয় প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্বাসে পরে ছেদভিত্তি হয় নড়বড়ে। কি লাভ এই ভণ্ডামি করে। ধর্মের দোহাই দিয়ে কি লাভ এই বিকৃত ফ্যাশন করে? এর চেয়ে হিজাব আর বোরখা না পরেই মনের মতো পোশাক পড়ুন। যেমন ইচ্ছে পোশাক পড়ুন."

- অপরের পোশাক দেখে যদি কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে ছেদ পড়ে বা ধর্ম নড়বড়ে হয় তাহলে সেই লোকের কোন বিশ্বাস বা ধর্মীয় ভিত্তিই ছিলোনা।
হিজাব কেউ আপনাকে বা আমাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে করেনা। তাই কেউ যদি যথার্থ হিজাবে ব্যর্থ তার দায়ভারটা তাঁরই.। এটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার ঠিক যেমনটা কেউ যদি হিজাব না করেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।

খুব সম্ভবত আমার আগের মন্তব্যের মতো এই মন্তব্যটিই আপনি বুঝতে ব্যর্থ হবেন এবং আবারও বলবেন আমি আপনার পোস্ট বুঝতে ভুল করেছি... এটা জেনেই জবাব টা রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন।

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:২২

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: মানবী বলেছেন: "আমি ক্ষেপে নই, প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছি, ঠিক ততোটাই বিরক্ত হয়েছি যখন কোন ধর্ষনের খবর জেনে একদল ইতর ধর্ষিতার পোশাককেদায়ি করে জেনে হই।''

-প্রথমত স্পষ্ট একটা কথা বলি আপনাকে, আমার এই লেখাটি ধর্ষণ/ ধর্ষিতার পোশাক সম্পর্কিত নয়। এই সম্পর্কে আমার লেখা আছে যদি ইচ্ছে হয় পড়ে নেবেন।

মানবী বলেছেন: আপনি নর না নারী তা জানার ব্যাপারে আগ্রহী নই তবে কোন আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন নারীর জন্য উপরে উল্লেখিত আপনার বক্তব্যটি যে অপমানকর তা হয়তো আপনার বোধগম্য নয়। উপরে যেভাবে আপনি নিজের মনের বানানো কল্পণা কিছু হিজাবধারী নারীর মানসিকতা হিসাবে আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যক্ত করেছেন ঠিক তেমনি একদল বিকৃতমনা নিজের মনের কল্পণাকে প্রায় একই ভাষায় হিজাব না করা নারীদের মানসিকতা হিসেবে ব্যক্ত করে। দুটো দলই ভীষণ হীনমন্যতার শিকার আর তাই অ্পরের পোশাক নিয়ে তাদের যতো বিকৃত চিন্তা ভাবনা।

- আমি আমার মনের বানানো কল্পনা থেকে কথা গুলো বলি নি। যা দেখেছি/ দেখছি তাই বলেছি। অনেক হিজাবধারী নারী দেরকে অনেক বিকৃত ভাবে চলতে দেখেছি। আমি, ধর্মীয় কনফারেন্স গুলোতে ঢালাও ভাবে বিকৃত মনোভাব সম্পর্কিত আলোচনাও শুনেছি। আবার তারাই যখন ভিতরে ভাব- গম্ভীর বক্তব্য দিয়ে বের হয়ে এসেই মাইক্রো মিনি পড়ে ক্লাবিং বা নাইট আউট এ চলে যায়, ওখানেই বুঝতে অসুবিধা হয় কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক। আমি বিতর্কে যাব না আপনার সঙ্গে। মাঝে মাঝে ভিম্রি খেতে হয় যখন এরাই নাস্তিক/ সংখ্যালঘূ নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন বা অন্য মানুষদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেন। এরকম অবস্থায় আমার মনে জাগা সংশয় ও প্রশ্ন গুলো কে আমি অবান্তর/ আপনার মনে করা, আমার নিজের মনের বানানো কল্পণা/ ভীষণ হীনমন্যতার শিকার মনে করি না।

মানবী বলেছেন: ''ইউরোপ, আমেরিকা প্রবাস আবার ভারত, উগান্ডাও প্রবাস... আপনি ঠিক কোথা্য় আছেন জানা নেই বা জানার প্রয়োজন নেই তবে ইউরোপ আমেরিকার মানুষদের মাঝে যে ঔদার্য্য তার স্পর্শ থেকে বন্চিত তা স্পষ্ট এমনকি আপনি যদি সেসব দেশেও অবস্থান করেন। কেনো বলছি? সভ্য দেশের মানুষের মাঝে আধুনিকতা এবং ভদ্রতার একটি বড় শর্ত অপরের পোশাক বা জীবনাচার সমালোচনা না করা। অপছন্দ হলে নিরবে এড়িয়ে যাওয়া যায়, তাদের সমালোচনা বা তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর কৌতুহল না দেখানোটাই পাশ্চাত্যের সভ্যতা।''

- আমি ইংল্যান্ড এ থাকি। দেশটার নাম এই কারনেই বললাম যেন আপনার বুঝতে সুবিধা হয়। এখানে পোশাকের যেমন অনেক বেশি স্বাধীনতা তেমনি এই দেশের ইসলামী সম্প্রদায় এর বিশাল একটা ভাগ কিন্তু ধর্ম/পোশাকের ব্যাপারে অনেক বেশি কট্টরপন্থী/ মৌলবাদী ধারনা পোষণ করেন। আমি জানি না আপনি এদেশেই থাকেন কিনা। যদি থেকে থাকেন তাহলে আপনার বাপারটা খুব ভাবে বোঝা উচিৎ বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ এর অনেক নাগরিক যারা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে অনেক বছর এই দেশেই আছেন এবং তাদের মধ্যে সপরিবারে অনেকেই বর্তমানে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে জড়িত/ সিরিয়ায় বসবাস রত/ তাদেরকে চ্যারিটির নামে উপার্জিত অর্থ জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রদান করেছে এরকম অনেক নিউজ কষ্ট করে ইন্টারনেট ঘাঁটলেই পাবেন। কথা গুলো বলার প্রয়োজন ছিল না তবুও আপনার বোঝার সুবিধার্থে এবং আশেপাশের প্রেক্ষাপট বোঝাতেই বলা।
পরিচিত এদের মধ্যে অনেক পরিবারের সদস্যদের কে দেখা যায় এরকম হিজাবধারী যারা সভা সেমিনারে কট্টর বক্তব্য রাখেন কিন্তু আবার এরাই অশালীন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন যা সহজ ভাবে একটা সাধারণ মানুষ এর কাছে অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু যারা আবার ব্রিটিশ শ্বেতবর্ণের নাগরিক আছেন আমার বন্ধু বর্গ বা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলোতে কাজ করেন তাদের কাছে যেমন আমার এই কিউরিয়াস মাইন্ড এর মত প্রশ্ন গুলো উঠে আসে বা আমাকে জিজ্ঞেস করে তখন চুপ করে থাকা ছাড়া/ ফ্যাশন বলে এড়িয়ে যাওয়া/ জানিনা বলতে হয়। আমরা না হয় বাঙালি মানুষ যা বুঝাবেন তাই বুঝব কিন্তু ওদের কে বুঝাই কাম্নে বলেন তো?

মানবী বলেছেন-‘‘সভ্য দেশের মানুষের মাঝে আধুনিকতা এবং ভদ্রতার একটি বড় শর্ত অপরের পোশাক বা জীবনাচার সমালোচনা না করা। অপছন্দ হলে নিরবে এড়িয়ে যাওয়া যায়, তাদের সমালোচনা বা তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর কৌতুহল না দেখানোটাই পাশ্চাত্যের সভ্যতা।''

সভ্য দেশে বাপার গুলো আমরা আসলে যেরকম ভাবি এখানে না থাকলে বা না মিশলে অনেক কিছু বোঝা যায় না।যেভাবে মনে করে ব্যাপার গুলো বলছেন এই এত এত জঙ্গি হামলা, মানুষের মৃত্যু, স্বজন হারানো থেকেই এদের মনেও এই প্রশ্ন গুলোর উৎপত্তি। বেশীর ভাগ মানুষই এখন এগুলকে জঙ্গিবাদ বা ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই বলে না।দিনে দিনে এরা সবাই প্রচণ্ড বর্ণবাদী হয়ে উঠছে।

আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি কোন প্রেক্ষাপট থেকে কথা গুলো লিখছি। আমরা ব্যাপার গুলোকে যে যেমন ইচ্ছা সেরকমই ভেবে বসে থাকি। হয়ত আপনার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে আপনি ঠিক বা আমার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে আমি ঠিক। যে যে রকম ভেবে খুশি হয়। জবাবের বদলে জবাব দেই। হয়ত আপনি আবার আপনার মত করে জবাব দেবেন। দিতেই পারেন। ব্যাক্তি স্বাধীনতা/ পোশাকের স্বাধীনতা সবার এ মৌলিক অধিকার বলে আমি মনে করি। শুধু ভণ্ডামি গুলো চোখে পড়ে। তাই মন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। নো ওয়ান ইজ পারফেক্ট, সো এম আই। ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। হাসি- খুশি থাকবেন। কারন মানুষ আজকাল হাসতেই ভুলে গেছে।



১৬| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১০:০১

প্রীতম বলেছেন: খুব বিরক্ত হয়ে ভেবেছিলাম আপনাকে কোন কিছুই মন্তব্য করবনা। কারন আপনার লেখার মধ্যে অনেক অপক্কতা আর বাচ্চা মানুষী আছে যা ১৫ নং এ মানবী সুন্দর করে গুছিয়ে বলে দিয়েছেন। দুখিত আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে না পারায়।
ধন্যবাদ মানবী।

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: আপনি বিরক্ত হলেন কি হলেন না সেটা নিয়ে মাথাবাথা নেই। কারন আপনি বিরক্ত হবেন জেনে আমি লিখিনি।

১৭| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১২:০৯

বাংলার শয়তান বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ পোস্টটি করার জন্য। কে কি ধর্ম পালন করলো, কি করলো না, তা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই, বরং তাকে তার ধর্ম মেনে চলার জন্য যথেষ্ট সাধুবাদ জানাই ও সে যাতে করে ভালো করে তার ধর্ম শান্তিপূর্ণ পালন করতে পারে তা দেখতে পারলেই বরং ভালো লাগে।

একজন নারী হিজাব করবেন কি করবেন না, তা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। হিজাব করতে চাইলে, ভালো করে, শরিয়তি নিয়ম মেনেই করাটাই উচিত বলে মনে করি। কিন্তু হিজাবকে একটা ফ্যাশন-এর পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে বিকৃত করে হিজাব করলে তা আসলেই দৃষ্টিকটু। কেউ কেউ এত আঁটোসাটো বোরখা পরেন যে, দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গের আকার ফুটে উঠে। বলাবাহুল্য, এর দ্বারা বোরকার উদ্দেশ্য পূরণ হয় না।

হাদীস শরীফে এক শ্রেণীর নারীকে খুব কঠিন ভাষায় সাবধান করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, ‘তারা জান্নাতের সুবাস পর্যন্ত পাবে না।’ এরা হচ্ছে ঐ সকল নারী, যারা পোষাক পরেও নগ্ন, যারা (পরপুরুষের প্রতি) আকৃষ্ট ও (পরপুরুষকে) আকষর্ণকারী।। যারা বুখতী উটের হেলানো কুঁজের মতো মাথা বিশিষ্ট।

যারা এত মিহি কাপড় পরে যে, শরীর দেখা যায় কিংবা সংক্ষিপ্ত পোষাক পরিধান করে, যা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আবৃত করে না তারাই হচ্ছে ‘পোষাক পরিহিতা নগ্ন নারী। তদ্রূপ যারা এত আঁটোসাঁটো কাপড় পরে যে, অঙ্গ-সৌন্দর্য কাপড়ের উপর ফুটে থাকে তাদেরও ভয় আছে এই সাবধান বাণীর মধ্যে পড়ে যাওয়ার। তো কেউ যদি বোরকার নামে এমন পোষাক পরিধান করে, যার উদ্দেশ্য নারীদেহের সৌন্দর্য ও অঙ্গ-সৌন্দর্য প্রদর্শন করা তাহলে এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে?

বোরখা সম্পর্কে প্রথমেই যা বুঝতে হবে তা হচ্ছে, এটি সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য নয়; সৌন্দর্য আবৃত রাখার জন্য। এমন বোরখা ব্যবহার করতে হবে, যা এই উদ্দেশ্য পূরণ করে।

আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্বোধন করে বলেছেন-

হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদের, তোমার কন্যাদের ও মুমিনদের নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের চাদরের একাংশ নিজেদের (মুখের) উপর নামিয়ে দেয়।-সূরা আহযাব : ৫৯

বোরখা ও হিজাব সম্পর্কিত লিখাটি পুরোটি পড়ে নিতে পারেন এই লিঙ্ক থেকে। ধন্যবাদ।

১৮| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১২:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সেক্সি বোরকাওয়ালি!!!!
ভালো তো!

১৯| ০২ রা মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫০

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: সবাই দেখি একটা কমন ভুল কথা বলছেন, ধর্মের জন্য হিজাব বোরকা সেটা আবার কি জিনিস? ধর্মকে ঢেকে রাখতে বলছেন নাকি আপনারা? বোরকার হিজাব নিজের জন্য,ধর্মের জন্য হতে যাবে কেন? ধর্ম কি পুরুষ কতৃক লাঞ্ছিত হচ্ছে?

২০| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

মুক্ত মনের বাক্য বলেছেন: বাংলার শয়তান, মানবী, ও ১৫, আপনারা লেখিকাকে বুঝাতে পেরেছেন সঠিক ভাবে যে সব দূষ সুন্দর্য প্রদর্শনকারীবাংলার শয়তান, মানবী, ও ১৫, আপনারা লেখিকাকে বুঝাতে পেরেছেন সঠিক ভাবে যে সব দূষ সুন্দর্য প্রদর্শনকারী নারীদের, ধর্মের নয়।।

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

রিয়ানা তৃনা বলেছেন: আপনার কেন মনে হল আমি এখানে ধর্মকে দোষারোপ করেছি? না বুঝেই মন্তব্য করেন কেন?

২১| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩২

চানাচুর বলেছেন: #:-S #:-S #:-S

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.