![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেখানে জ্ঞান নেই সেখানে বিধাতাও নেই।
ঢাকার গুলশানের হলি আরটিজান রেস্টুরেন্টে হামলার দিন সেখানে হাসনাত পরিবারের সাথে তাহমিদ এবং আরও একজন লোক বের হয়ে আসে।ওই লোকের পরনে ছিল নীল রঙের জামা এবং অফ হোয়াইট এর প্যান্ট। কোরিয়ান ভদ্রলোক ডি কে হোয়াং যে ভিডিও টা করেছিলো, সেটার ফুটেজ থেকে এই লোক কে বের হতে দেখা গেছে তাহমিদ এর সাথে। যে তাহমিদ এ আরেক জঙ্গি সেটার প্রমাণ আপনারা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য, আমি কার কথা বলছি এজন্য আমি স্ক্রীন সট দিয়ে এই লোকের বের হবার একটা ছবিও দিচ্ছি এখানে।
ভিডিওতে আরও ভাল করে দেখতে পারবেন। আশা করছি ভিডিও গুলো ইতিমধ্যে আপনারা সকলেই দেখে থাকবেন। ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখবেন, এই লোকের হাতে কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো কিছু একটা ছিল। কিন্তু কি ছিল বুঝতে পারি নাই। প্রথমে ভেবেছি হয়ত ছোট বাচ্চা হতে পারে। এখন ঠিক বুঝতে পারছি না আসলে কি ছিল হাতে প্যাঁচানো!
হাসনাত জঙ্গিদের মাস্টার মাইন্ড আর তাহমিদ হাসনাত এর সহযোগী এ সত্য প্রকাশ হবার পর এখন দেশের অবস্থা বেশ উত্তাল এরা দুজনেই বেশ অবস্থা সম্পন্ন ঘরের সন্তান। তাই টাকা দিয়ে এদের অপরাধ ঢাকার অপচেষ্টা চলছে সারাদেশ ব্যাপি। ফেসবুক ফ্যান পেজ থেকে শুরু করে, ফ্রী তাহমিদ ক্যাম্পেইন পর্যন্ত চলছে। আসলে টাকা থাকলে কি না হয়! সততা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে যায় টাকার কাছে।
আমি ওই নীল জামাপরা মানুষটার পরিচয় জানতে চাইছিলাম। নির্ভরযোগ্য ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) একটা সূত্র থেকে জানতে পারি, এই লোকের নাম সত্য পল প্রকাশ। একজন ভারতীও নাগরিক। পেশাগত অবস্থানঃ চিকিৎসক। বাংলাদেশের একটা মাদক নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনা করেন। এই কেন্দ্রের নাম প্রত্যয় মেডিক্যাল ক্লিনিক।
লিঙ্কঃ (Click This Link )
যারা বিপুল অর্থের মালিক এবং অবস্থা সম্পন্ন ঘরের সন্তান এদের কাছে এই সত্য পল প্রকাশ বেশ জনপ্রিয় একজন মানুষ। আরও জানতে পারলাম এই লোক গায়ে হাওয়া দিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছেন বাংলাদেশে। তার চিকিৎসার অধিকাংশ মানুষ ধনীর দুলালেরা।
আমি আমাদের গোয়েন্দা পুলিশের কাছে বিনয়ের সাথে জানতে চাইছি যে, এই ভারতীও ব্যাক্তিকে জঙ্গিরা ছেড়ে দেবার পর বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশরা কি এই ব্যাক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন? যদি না করে থাকেন তাহলে কেন করলেন না? এই পিছনে কি এমন কারন ছিল? কারন যাদেরকে জঙ্গিরা ছেড়ে দিয়েছিল তারা প্রত্যেকেই গুলাশানের জঙ্গি হামলার সাথে যুক্ত ছিল সেটা আজকে প্রমানিত হয়েছে। আর যদি ধরে নেই, গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেই থাকে, তাহলে এই খবর এতদিন আমরা কেন পেলাম না? কোন পত্র পত্রিকাও এই ব্যাপারে কোন আওয়াজ করলেন না। কোন খবর ও প্রকাশ করেন নাই। ব্যাপারটা বেশ সন্দেহজনক। এই লোককেও কি আপনারা সন্দেহের উর্ধ্বে রেখেছেন? কিন্তু কেন রেখেছেন? ব্যাপারটা খোলাসা করে বলবেন কি প্রশাসন?
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২০
নতুন বলেছেন: কোরিয়ান ভদ্রলোকের ভিডিও না থাকলে টাকলুর বিষয়টাও এতো পরিস্কার হতো না। এই বিষয়টাও সবার নজরে আসলে তাকে নিয়েও পুলিশ ভেবে দেখবে বলে আশা করি।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৮
রিয়ানা তৃনা বলেছেন: কোরিয়ান ডি কে হং (Duck Kyu Hwang) সাহেব না থাকলে আজকে কি হইতো সেইটা ভাবতে গেলে খেই হারায়া ফেলি। মাথা চক্কর দিয়া উঠে। গলা শুকায়া যায়। পাছার মত বিভক্ত এই জাতিরে আপনি না হয় একবার বাঁচাইলেন ভাই, কিন্তু সামনে যে ঘোর অমানিশা!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৬
ফারিছ হামদিহ বলেছেন: অবাক হলেও সত্য যে এই দুইজনের ব্যপারে কেউ কোন আলোচনা করেনি। কোন পুলিশ বা মিডিয়াকেও দেখলাম না এদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে। সবাই ছিল হাসনাত নিয়ে ব্যস্ত।