![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মৌলবাদ নিপাত যাক মুরসিদের পতন হোক
মিশর ঘটনা খুব উদ্বেগজনক। এত মৃত্যূ এত সহিংসতার পর গত এক বছরে মানুষের আশা আকাঙখার কাছাকাছি না গিয়ে হেফাজতে ইসলামের সন্ত হয়ে উঠল। মধ্যপ্রাচ্যে জুড়ের ধর্মের যে নৃশংসতা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের খলদের পতন হওয়াই ছিল কাম্য। কিন্তু মুর্খগুলো সে পথ না বুঝে ধর্মের ছাগলামির দায়িত্ব গ্রহণ করে।
মিশররে মোবারকের পতন এজন্য হয়নি তিনি ইসলামের খেদমত করতেন না। তার পতন হয়েছে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যর্থতার কারণে। পৃথিবীর সব বিপ্লবই হয় মানুষের নিরাপত্তার কারণে। অথচ মুরসি জাতীয় মুর্খ গুলো ক্ষমতায় গিয়ে ধর্মীয় লিঙ্গ তৈরী। যার মাথায় বিশেষ পোষাক থাকবে। তবে সব জায়েজ। মুরসির পতন হল। ইরানে রুহানির মত তুলনামুলক কম মৌলবাদি লোক ক্ষমতায় এসেছে। তুরস্কে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। বাংলাদেশে হেফাজতি জামায়াতে বিএনপির জন্য খবরগুলো দেখার জন্য অনুরোধ রইল। মুরসি ক্ষমতাসীন হয়েছে একবছর। হেফাজতিরা ক্ষমতায় গিয়ে ধর্মীয় লিঙ্গ তৈরীর কারখানা বানানোর পরিকল্পনা স্থির মাথায় চিন্তা করবেন। নিপাত যাক মৌলবাদ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
ইম্কাপণ বলেছেন: জি ইউসুফ ভাই সঠিক কথা বলেছেন। প্রত্যেক মানুষ ব্যাক্তিজীবনে মৌলবাদি। এটা নেগেটিভ অর্থে নয়। পৃথিবীর কোন ইতিহাস মৌলবাদের বিপরীতে নয়। এমনকি যিনি মৌলবাদি পরিচয়ে উদারবাদিকে শত্রু গণ্য করেন তারাও মৌলবাদিদের মন্দ বলেন না। সমস্যা দাড়ায় তখনই যখন মুরসিরা আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে মানে রাষ্ট্র নিপিড়ন করে আমি দাড়িয়ে প্রশ্রাব করব নাকি বসে প্রসাব এই ছবক রাষ্ট্রীয় নীতিমালার অংশ তৈরি করে।
মুরসিদের পতন প্রয়োজন নেই। আমাদের রাষ্ট্রের সমস্যা দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, দুবৃত্তায়ন। কখনোই অপরাজেয় বাংলা ভাঙার মধ্যে কোন ধর্ম বা মৌলবাদ কাজ করে না করে মূর্খতা। আর মৌলবাদ যখন মুর্খতার প্রতিশব্দ হয় সেটা সবাই পতন কামনা করে। আশা করি আপনিও বুঝেছেন।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২২
যোগী বলেছেন:
মৌলবাদ পৃথিবীতে কোথাও থাকবে না
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
ইমরান হক সজীব বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে ।
মৌলবাদ নিপাত যাক, মানবতা মুক্তি পাক ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৩
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: বাঙ্গালী মাত্রই যে হুজুগে মাতাল সে কথা আপনি আরও একবার প্রমান করলেন। তথাকথিত হলুদ মিডিয়া সন্ত্রাসের অপব্যাখ্যার কাছে স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞান যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে সেকথা বলাই বাহুল্য। মুরসি কে বা কারা সেটা আমার মাথাব্যাথা নয়। তবে মৌলবাদী কথাটার যে ব্যাপক নেগেটিভ অর্থবোধক প্রচলন হচ্ছে তাতে আমি রীতিমত শংকিত। মৌলবাদী শব্দটার উৎপত্তি ও এর অর্থবোধকতার ক্রম পরিবর্তন আমাদের জানা উচিত। আঠার শতকের শুরুতে ইউরোপে খ্রিষ্টান ধর্মযাজকদের দ্বারা আরোপিত ধর্মীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধে প্রগতিশীল তরুন প্রজম্ন আন্দোলন শুরু করে। তৎকালীন সময়ে যারা ধর্মীয় রীতিনীতি বা মুল বিষয়ের উপর অটল থাকেন তাদেরকেই মূলত মৌলবাদী বলা হত। তখনই মৌলবাদী শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ যারাই ধর্মের মূল বিষয়কে আকড়ে ধরতে চান তাদেরকে মৌলবাদী বলা হত। কিন্তু কালক্রমে খ্রিষ্টান সমাজের সেই মৌলবাদী ধারনাটি মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। আর মৌলবাদী শব্দটির শাব্দিক অর্থ বিশ্লেষন করলেও আপনি কোন নেগেটিভ অর্থ পাবেন না। এ ব্যাপারে ডা. জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনতে/পড়তে পারেন। সাধারন জ্ঞানে আপনিও বুঝতে পারবেন যদি কেউ ইসলাম বা অন্য কোন ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো মনেপ্রানে বিশ্বাস করেন ও পালন করেন তবে তাকে মৌলবাদী বলা যেতে পারে। অর্থাৎ ধর্মের ব্যাপারে তিনি মৌলবাদী । যদি কোন ডাক্তার চিকিৎসা বিজ্ঞানের খুটিনাটি জানতে পান ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার যাবতীয় নিয়ম মেনে চলতে চান তবে তাকে মৌলবাদী ডাক্তার বলা যেতে পারে। এটা নেগেটিভ কোন অর্থ বহন করেনা। বরং ভালো ও ইতিবাচক অর্থ বহন করে। সুতরাং যদি কোন মুসলমান নিজেকে মৌলবাদী দাবী করেন তাতে তো কোন সমস্যা আমি দেখিনা। বরং আমাকে কেউ মৌলবাদী বললে আমি গর্ব অনুভব করব। ধন্যবাদ আশা করি কিছুটা হলেও মৌলবাদী সম্পর্কে ভুল ধারনার অবসান হবে।