নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবেসে যাকে ছুঁই, সে যায় দূরপরবাসে!

রেনেসা

ভালবেসে যাকে ছুঁই, সে যায় দূরপরবাসে!

রেনেসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পটল তোলার সঙ্গে মৃত্যুর কী সম্পর্ক

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৪৯

পটল সামান্য একটা সবজি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এই সবজির দু'টা ব্যবহার আছে।

'পটলচেরা চোখ'

পটলকে লম্বালম্বিভাবে ফালা করলে টানা টানা চোখের মতো লাগে। সেই থেকে পটলচেরা চোখ।

'পটল তোলা'

পটল তোলা হলো মৃত্যু। তুচ্ছার্থে এর ব্যবহার। যেমন, হাবলু পটল তুলেছে।

পটল তোলার সঙ্গে মৃত্যুর কী সম্পর্ক, আমি অনেকদিন জানতাম না। বাংলা ভাষার পণ্ডিতদের জিজ্ঞেস করেছি, তারাও কিছু জানাতে পারেননি।

সম্প্রতি আমি এই বাগধারার উৎস জেনেছি। পাঠকদেরও জানাচ্ছি_'লিখে রাখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির।'

ফলবান পটলগাছের সবগুলি পটল তুলে নিলে গাছটি মারা যায় বলেই পটল তোলা মৃত্যু বুঝায়। [তথ্যের উৎস : সরল বাঙ্গালা অভিধান, সুবল চন্দ্র মিত্র সংকলিত, নিউ বেঙ্গল প্রেস।]



বাই হুমায়ুন আহমেদ। সুত্র: Click This Link







মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৬/-১

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫২

নিঃসঙ্গ বলেছেন: মূলা তোলা খাইওনা বেগুন তোলা খাও মানে কি কনতো ??? :-B B-))

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫৮

রেনেসা বলেছেন: দেখতাছি। পাওয়া গেলে কপি পেষ্ট মারুমনে।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫৪

রাজসোহান বলেছেন: :|

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫৯

রেনেসা বলেছেন: রাজসোহান ভাই, আমনে মোরে একখান হুগার করতে পারবেন। মুই ছবি, ইমোটিন এ্যাড করতে পারি না। হেইডা ক্যোমনে করে ।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫৬

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: সাধারণ অজানা তথ্যগুলো বের করায় +++
----

ফলবান পটলগাছের সবগুলি পটল তুলে নিলে গাছটি মারা যায় বলেই পটল তোলা মৃত্যু বুঝায়।

এতদিন তো বুঝে ফেলতাম যে পটলগাছ থেকে পটল তুলছে সেই মরে গেছে। এখন বুঝলাম, এটা মৃত্যু না হত্যা - আমি পটল তুললাম মানে মরে গেল গাছটা

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০১

রেনেসা বলেছেন: দারুন কমেন্ট।

পটলতোলার মানে তা হলে তো হত্যা করা বুঝায়।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫৬

অরুন্ধতি বলেছেন: ++

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০১

রেনেসা বলেছেন: ধইন্যাপাতা

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০৪

নিঃসঙ্গ বলেছেন: বুঝছি আপনি জানেন না আমি কইয়া দিতেছি। মূলা তোলা মানে হইলো গোরা থেকে তুলে ফেলা একবার তুলে ফেললে আর হবে না। আর বেগুন তোলা হইলো বার বার তোলা। সোনার ডিম দিনে একটা আসে কিন্তু হাঁস জবাই করে দিলে তো সব দিম এক সাথে পাওয়া যায় না। এই জন্যই মুরুব্বীরা বলে মূলা তোলা খাইওনা বেগুন তোলা খাও আসতে আসতে।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০৯

রেনেসা বলেছেন: ভাই মুলা তো না তুইলা খাওয়া যায় না।


হায়রে মুলা! খাইলে হয় পেট ফুলা।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০৭

রাজসোহান বলেছেন: View this link



View this link

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:১৫

রেনেসা বলেছেন: থ্যাঙস্।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০৮

জুন বলেছেন: তথ্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এস এস সি পরীক্ষার পর ছুটিতে খালার সাথে তার শ্বশুর বাড়ীর গ্রামে বেড়াতে গেছি,পরদিন বিকেলে বাড়ীর পাশে একটা সবুজ মাঠে বেড়াতে গিয়ে দেখি সেটা পটলের ক্ষেত, যা আমি আগে কোনোদিনও দেখি নাই।ঝিরি ঝিরি
বৃষ্টি পড়ছে ।এমন সময় খালুর ছোটো ভাই ডাক দিয়ে বল্লো 'কি রে জুন ক্ষেতের ভেতর দৌড়াছিস কেন? আমি বল্লাম, মামা আমরা দৌড়ে দৌড়ে পটল তুলছি! এই কথার জন্য উনি আমাকে অনেক দিন খেপিয়েছে।
আপনার পোস্ট পড়ে সেই স্মৃতি মনে পড়লো।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:১১

রেনেসা বলেছেন: আমরা কি বলে খেপাবো?

পটল তোলা জুন?




- জাস্ট জোকিঙ

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:১৬

তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: তাহলে 'অমুক পটল তুলেছেন' না বলে 'অমুকের পটল তুলা হয়েছে' বলতে হয়!

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২১

রেনেসা বলেছেন: সে রকমটাই তো হওয়ার কথা। তাই না?

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:১৭

কণা বলেছেন: জানলাম... :)

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২৬

রেনেসা বলেছেন: কিন্তু বুঝলাম না! আমি যদি সব ফল তুলে ফেলি তা হলে গাছটি মারা যাবে। মানে আমি গাছটিকে হত্যা করলাম।

পটল তোলা = হত্যা করা?

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:১৯

এস এইচ খান বলেছেন:

'লিখে রাখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির।'

হ্যা তাই, কেননা আমি যে আপনার কাছেই শিখলাম। ধন্যবাদ।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২৯

রেনেসা বলেছেন: 'লিখে রাখো এক ফোটা দিলেম সেন্ট' অন্যের বোতল থেকে।

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৩১

ভোরের তারা বলেছেন: আমি জানতাম পটল গাছট একবার ফল দিয়েই মারা যায়।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৪৩

রেনেসা বলেছেন: সবজী জাতীয় সব প্রায় সব গাছই একবার ফল দিয়েই মারা যায়। তবে তাদের সব ফল তুলে ফেললে মনে হয় মারা যায় না। ব্যতিক্রম পটল গাছ। (আসলে আমিও জানিনা)

১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বলেছেন ভাল কিন্তু তেমন কোন যুক্তি নেই। সবগুলো ফল তুললেই যে গাছ মরে যাবে একথাটি ঠিক নয়।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৪৬

রেনেসা বলেছেন: ভাষা নিয়ত পরিবর্তনশীল। আপনি এই জিনিশটা প্রমান করুন, বিস্তর গবেষণা করে। তার পর বাগধারাটি পরিবর্তন করে ফেলুন।

১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৪৮

েগাধূলীেবলা বলেছেন:
ধন্যবাদ

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৫২

রেনেসা বলেছেন: ধইন্য।

১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভাষা পরিবর্তনশীল, এটা ঠিকই আছে। কিন্তু আমি তো আর সেটা বলছি না। আমার কথা হল সবগুলো ফল তুললেই যে পটল গাছ মরে যাবে একথাটি ঠিক নয়।

আমার গবেষণার কোন বিষয় নয়। এটি একটি সরল সত্য।
আপনি যে অর্থটা দিয়েছেন ( বাই মিঃ আহমেদ) সেটা সঠিক নয়।
আপনি গ্রামে চলে যান।
পটলের ক্ষেতে ।
সারা মাস পরীক্ষা করে দেখুন।
গাছ মরবে না। আরো জানতে যে কোন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর কাছে যেতে পারেন।
তাই পারলে সঠিক অর্থ দিন।
মানুষকে বিভ্রান্ত করে কি লাভ?

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৫৪

রেনেসা বলেছেন: বাগধারাটি সঠিক কিনা তা নিয়ে উপরে আরো মন্তব্য আছে। আপনার ধারণাও সত্যি।

আমরা আসল একটা সত্যকে জানতে চাই। আপনি আমাদের সহায়তা করতে পারেন। সে কথাটাই বুঝাতে চেয়েছি।

রাগ কইরেন ভাই।

১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৫৭

অন্ধকার বলেছেন: দারুণ তো...!

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০০

রেনেসা বলেছেন: ঠিক না বেঠিক? কোন অর্থে দারুন।

১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার রাগ করার তো বিষয় না। সত্য সুন্দর।
এই বাগধারার ভিন্ন কোন ব্যাখ্যা থাকতে পারে।
সেটা জানার চেষ্টা করুন।
পেলে আমাদেরকে জানান।
আধুনিক যুগে তো আর গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসালে চলবে না।
যুক্তি থাকতে হবে।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৮

রেনেসা বলেছেন: (তথ্যের উৎস : সরল বাঙ্গালা অভিধান, সুবল চন্দ্র মিত্র সংকলিত, নিউ বেঙ্গল প্রেস।)

পরের বাসায় কামলা খাটি। নেট ইউজ করা নিষেধ। চুরি জোচ্চরি কইরা বল্গাই। কপি পেষ্ট মাইরা নিজের উপস্থিতি ঠিক রাখি। গবেষণা কইরা কোন কিছু দিবার পারুম না। অত যোগ্যতা নাইক্কা। তয় কেউ কেউ না কেউ তো অনেক জ্ঞানী (সাইমুম, রাগীব ভাই) । তাদের কেউ যদি কমেন্টস করে তা হলে আমিও জানলাম।

আপনি করলে আরো ভালো হতো।

১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: (তথ্যের উৎস : সরল বাঙ্গালা অভিধান, সুবল চন্দ্র মিত্র সংকলিত, নিউ বেঙ্গল প্রেস।)
তিনি কি কোন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী? সূত্রটি সঠিক নয়।
কাজটি উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর।
আমি আবারও বলছি, প্রবাদটির অন্য কোন ব্যাখ্যা আছে।
সেটা মি. আহমেদও জানেন না।
আমরাও জানি না।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৩৯

রেনেসা বলেছেন: বহু কথা কইছেন। উদ্ভিদ বিজ্ঞান ছাড়াও মানুষ উদ্ভিদের বহু কিছু জানে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে।
খনার বচন শুনেছেন। খনা কোন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ছিলেন বলে আমার জানা নাই।
কাচায় না নোয়ালে বাশ
পাকলে করে ঠাস ঠাস। - খনার বচন। গবেষণাগারে পরীক্ষা ছাড়াই উনার এই বচন সর্বজন স্বীকৃত।

১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাই, খালি প্যাচাল পারলে হবে না। যুক্তি থাকতে হবে।

১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৪৭

সাইমুম বলেছেন: বাংলায় ব্যঙ্গার্থে পটল তোলা মানে মরে যাওয়া। তবে এখানে পটল যে আসলে কি তা নিয়ে ভাষা বিজ্ঞানীদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। কারণ বাংলায় পটল বলতে বোঝায় রাশি, অধ্যায়, সমূহ, চোখের পাতা, চোখের এক প্রকার রোগ, ঘরের চাল, এক প্রকার সবজিফল বা আনাজ, বিভাগ, অংশ, ছাদ, চাল, চাঁদোয়া।
তবে মারা যাওয়া অর্থে আমরা যে পটল নির্দেশ করি, তা যে আনাজ পটল নয়, সে ব্যাপারে ভাষাবিদরা একমত। কারণ কৃষকরা পটল তুলে মাঠ ত্যাগ করেন, দেহত্যাগ করেন না। তাই পটলডাঙ্গার পটল বাবু পটল তুললেও বা মারা গেলেও তিনি কিন্তু ক্ষেতের পটল তুলতে গিয়ে মারা যান না।
তবে কেউ কেউ দাবি করেন, পটল তোলা বাক্যভঙ্গির পটল বলতে চোখের পাতাকেই বোঝায়। যা মৃত্যুর পর উপরে দিকে উঠে যায়। আবার কারো মতে, এ পটল হল ঘরের ছাউনি বা চাল। এটাই সত্য হলে ধরে নিতে হবে, পটল তোলা মানে বাস ওঠানো বা মরা। তারা প্রমাণ হিসেবে বাউল গানের উদ্ধৃতি দেন। যাতে বলা হয়েছে, মনরে তোমারে আজ বাদে কাল ভবের পটল তুলতে হবে। এ গানের ইঙ্গিতে বোঝা যায়, পটল তোলা আর বাস তোলা একই (ষাটটা বছর পার হয়েছি বাপদাদাদের পুণ্যফলে/ওরে তোদের নন্দ খুড়ো এবার বুঝি পটল তোলে - হাত গনণা, সুকুমার রায়)।
অমৃতগ্রন্থাবলীতে পলায়ন করা অর্থে 'পটল তোলা' ব্যবহৃত হয়েছে (এদিকে গৌরির গৌর পটল তুলেছে)।
বঙ্গীয় শব্দকোষে পটল শব্দের অর্থে লিখা হয়েছে, চালের ছাঁচ বা প্রান্ত, চাল, আচ্ছাদন, ছানি, চোখের পাতা, পিটক, পেটরা, বাক্স, পরিচ্ছদ, তিলক, সমূহ, রাশি, পুঞ্জ, পরিজন, ফলশাক বিশেষ।
মূলানুগ অর্থে পটল মানে 'যা বিচ্ছেদ বা পৃথক করে'। শব্দটির গঠন হচ্ছে পট্ (ছেদন, বিদারণ অর্থে) + অল। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস তাঁর অভিধানে পটল ও পটোল শব্দের নানা অর্থ নির্দেশ করেছেন। যেমন পরিচ্ছদ, অংশ, বিভাগ (পর্বত বিলম্বিনী জলদমালার পটলে পটলে - কালীপ্রসন্ন ঘোষ), তন্ত্রের পরিচ্ছেদ (শাস্ত্র দৃষ্টে পূজা করে-পটল বিধানে - চৈতন্যভাগবত), বেদাংশ ও পট্ = বেষ্টনে অর্থে পরিচ্ছদ, বাক্স, ধান্যাদি পরিমাপ করার আঁধার (বিস্তর দুখেত পরভু জনমাইল ধান। ভীমক চাই বাঅল পটল তাঁউলের আন - শুন্যপূরাণ), পট = গমনে অর্থে আচ্ছাদন, চাল চাদোয়া, ছাদ। সমূহ বা রাশি অর্থেও পটল শব্দের প্রয়োগ ছিল (জলদ পটল বরিখত রসবার - জ্ঞানদাস)।
অন্যদিকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পটল মানে নেত্রতারা আবরণকারী ঝিল্লি, ছানি।
জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস ব্যঙ্গে পটল তোলা’র অর্থ নির্দেশ করেছেন মরা, উঠে যাওয়া, লোপ পাওয়া , নষ্ট হওয়া (এই ধরনের ১০০ ব্যাঙ্কও যদি আজ পটল তোলে- বিনয়কুমার সরকার)।
বাংলায় সবজি হিসেবে আমরা যে পটোলকে জানি, তা সংস্কৃত পটল শব্দেরই একটি নামান্তর মাত্র। এ সবজি হিন্দিতে পরবল, মারাঠি ভাষায় কহিপড়বল ও কতুপড়োল, তেলেগু ভাষায় কোম্মুপোটল, তামিল ভাষায় কোম্বু পুড়লে নামে পরিচিত। পটোল তোলার পর এ গাছ মরে যায়। তাই গ্রামীণ ভাষায় আলঙ্ককারিক অর্থে পটোল তোলা মানে মরে যাওয়া।
ড. সুকুমার সেন তাঁর 'ভাষার ইতিবৃত্ত' গ্রন্থে পটল তোলা (মরা), হাতানো (আত্মসাঃ করা), গুল মারা (মিথ্যা খবর দেওয়া) ইত্যাদিকে অপশব্দ বলেছেন।
আবার সংস্কৃত পটোল (ক্লীবলিঙ্গ) থেকেও বাংলায় পটল শব্দটি এসে থাকতে পারে। আর এ পটল হচ্ছে ফলশাক বিশেষ (সকল জোটা-জোট করে, এখন পটোল তোলেন - নবীন তপস্বিনী)। তবে পটল চেরা চোখ মানে চেরা পটলের মত আয়ত চোখ।

২০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৩

যুক্তিপ্রাজ্ঞ বলেছেন: শৈলেন্দ্র বিশ্বাসের 'সংসদ বাঙ্গালা অভিধান'-এ পট অর্থাদ, কাপড় তুলে রাখা বলে উল্লেখ আছে - মানুষ মারা গেলে তার কাপড় চিরতরে তুলে রাখা অর্থে বুঝানো হয়েছে (স্মৃতি থেকে লিখছি, ভুল হতে পারে). বর্তমানে আমার কাছে অভিধানটি নাই, কারও কাছে থাকলে দেখে অর্থ তুলে দিলে পটল তোলার অর্থ দিতে পারেন. আর সম্ভবত, সবজি অর্থে বানানটি হল 'পটোল', পটল নয়.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.